ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Hindusim

Post Top Ad

স্বাগতম

27 May, 2025

যজুর্বেদ ৩১/১১

27 May 0

 

যজুর্বেদ ৩১/১১

ব্রা॒হ্ম॒ণো᳖ऽস্য॒ মুখ॑মাসীদ্ বা॒হূ রা॑জ॒ন্যঃ᳖ কৃ॒তঃ ।
ঊ॒রূ তদ॑স্য॒ য়দ্বৈশ্যঃ॑ প॒দ্ভ্যাᳬশূ॒দ্রোऽঅ॑জায়ত ॥ #যজুর্বেদ ৩১।১১ ॥___ 
অথর্ববেদ ১৯.৬.৬ | ঋগ্বেদ ১০.৯০.১২
পদার্থঃ- হে জিজ্ঞাসুগণ ! তোমরা (অস্য) এই ঈশ্বরের সৃষ্টিতে (ব্রাহ্মণঃ) বেদ ঈশ্বরের জ্ঞাতা, তাহার সেবক বা উপাসক (মুখম্) মুখতুল্য উত্তম ব্রাহ্মণ (আসীৎ) আছে (বাহূ) ভুজ তুল্য বল পরাক্রমযুক্ত (রাজন্যঃ) রাজন্য (কৃত) করিয়াছে (য়ৎ) যে (ঊরূ) ঊরূতুল্য বেগাদি কর্ম্ম করে, (তৎ) সে (অস্য) ইহার (বৈশ্যঃ) সর্বত্র প্রবেশকারী বৈশ্য (পদ্ভ্যাম্) সেবাযুক্ত এবং অভিমান রহিত হওয়ার ফলে (শূদ্রঃ) মূর্খতাদি গুণযুক্ত শূদ্র (অজায়ত) উৎপন্ন হইয়াছে, এই উত্তরগুলি ক্রমপূর্বক জানিবে ॥ ১১ ॥ মহর্ষি দয়ানন্দকৃত সংস্কৃত ভাষ্য অনুযায়ী পদার্থ
ভাবার্থঃ- যে সব মনুষ্য বিদ্যা ও শমদমাদি উত্তম গুণে মুখের তুল্য উত্তম হয়, তাহারা ব্রাহ্মণ, যাহারা অধিক পরাক্রমযুক্ত ভুজ তুল্য কার্য্যগুলিকে প্রতিপন্ন করে, তাহারা ক্ষত্রিয়, যাহারা ব্যবহারবিদ্যায় প্রবীণ তাহারা বৈশ্য এবং যাহারা সেবায় প্রবীণ, বিদ্যাহীন, পায়ের সমান মূর্খতা আদি নীচগুণযুক্ত তাহারা শূদ্র হইবে এবং মান্যতা লাভ করিবে ॥ ১১ ॥
আধিদৈবিক ভাষ্যঃ ব্রাহ্মণ ইত্যস্য নারায়ণ ঋষিঃ । পুরুষো দেবতা । নিচৃদনুষ্টুপ ছন্দঃ ।
গান্ধারঃ স্বরঃ ॥
এই মন্ত্রের ঋষি হল নারায়ণ। [নরঃ = অশ্বনাম (নিঘণ্টু ১.১৪), নয়নকর্ত্তারো মনুষ্যা বায়বো বা (ম.দ.ঋ.ভা. ১.১৬৪.১০)] আশুগামী মরুদ্ রশ্মি অথবা কিরণকেই নর বলে আর এদের জন্য যে পথ তৈরি করে অথবা এদের যে নিয়ে যায়, তাকে নারায়ণ বলে। এইজন্য এই ছন্দ রশ্মির উৎপত্তি প্রাণ আর অপানের মিশ্রিত রূপ থেকে হয়। এখানে "নরঃ" পদের অর্থ হল ধনঞ্জয় রশ্মি আর তার থেকে উৎপন্ন "নারঃ" হল প্রাণাপানের মিশ্রিত রূপ। এর দেবতা হল পুরুষ। [পুরুষঃ = পুরুষো বৈ য়জ্ঞঃ (জৈ.উ. ৪.২.১), পুরুষো বাব সম্বতৎসরঃ (শ.১২.২.৪.১), পুরুষ এব সবিতা (জৈ.উ. ৪.২৭.১৭)]
.
এর ছন্দ নিচৃদনুষ্টুপ্ হওয়াতে এর দৈবত আর ছান্দস প্রভাব দ্বারা সূর্যলোকে হতে চলা বিভিন্ন সংযোগাদি ক্রিয়াতে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন রশ্মি অধিক অনুকূলতার সঙ্গে কর্ম করতে সক্ষম হয় আর সেই রশ্মির ক্ষেত্রে তাতে উৎপন্ন রঙের সঙ্গে-সঙ্গে লালিমাযুক্ত বাদামী রঙের প্রকাশেরও উৎপত্তি হতে থাকে। এর আধিদৈবিক ভাষ্য এইরূপ হবে -
.
(ব্রাহ্মণঃ, অস্য, মুখম্, আসীত্) [ব্রাহ্মণঃ = গায়ত্রছন্দা বৈ ব্রাহ্মণঃ (তৈ.১.১.৯.৬), গায়ত্রো বৈ ব্রাহ্মণঃ (ঐ.১.২৮, জৈ.২.১০২)] কেবল সূর্যই নয়, বরং সম্পূর্ণ সৃষ্টিতে হতে চলা য়জন ক্রিয়াতে গায়ত্রী ছন্দ রশ্মি মুখের কাজ করে। যেমন শরীরের মধ্যে মুখ থেকে উচ্চারিত বাণী সম্পূর্ণ শরীরের জন্য প্রেরণা দেওয়ার কাজ করে অথবা সম্পূর্ণ শরীরের পোষণের জন্য মুখ অন্নাদির ভক্ষণ করে, সেই রকম গায়ত্রী ছন্দ রশ্মি বিভিন্ন পদার্থের সংযোগের সময় অনিবার্য এবং প্রাথমিক ভূমিকা পালন করে। এই রশ্মিগুলোই অন্য সব রশ্মি আদি পদার্থকে বিভিন্ন য়জন প্রক্রিয়ার জন্য প্রেরিত করে। প্রসিদ্ধ "ওম্" রশ্মি হল দৈবী গায়ত্রী ছন্দ, এটাই হচ্ছে সম্পূর্ণ সৃষ্টির আদ্যপ্রেরক এবং আধার।
.
(বাহূ, রাজন্যঃ, কৃতঃ) [বাহূ = বাহূ কস্মাৎ? প্রবাধত আভ্যাম্ কর্মাণি (নিরুক্ত ৩.৮)। ত্রিষ্টুব্ছন্দা বৈ রাজন্যঃ (তৈ.ব্রা.১.১.৯.৬), রাজন্যঃ = আনুষ্টুভো রাজন্যঃ (মৈ.৪.৪.১০); (তাণ্ড.১৮.৮.১৪), ত্রৈষ্টুভো রাজন্যঃ (জৈ.২.১০২)] এই সৃষ্টি যজ্ঞতে, যারমধ্যে সূর্যাদি লোকের মধ্যে হতে চলা য়জন ক্রিয়াও সম্মিলিত আছে, ত্রিষ্টুপ্ ছন্দ রশ্মি বাহুর সমান উৎপন্ন হয় অর্থাৎ সেগুলো বাহুর সমান কাজ করে। মানুষ যেমন বাহুর দ্বারা সব কাজ সম্পাদিত করে, কারণ সে নিজের বলের প্রয়োগ বাহু দ্বারাই করতে পারে, সেইরকম সৃষ্টির মধ্যে তীব্র বল দ্বারা হতে চলা কাজ ত্রিষ্টুপ্ ছন্দ রশ্মিগুলোই করে, এইজন্য মহর্ষি য়াজ্ঞবল্ক্য এর তুলনা ইন্দ্রের সঙ্গে করে লিখেছেন - "ইন্দ্রস্ত্রিষ্টুপ্" (শ.৬.৬.২.৭) এই রশ্মিগুলোই বিভিন্ন বাধক রশ্মিকে নষ্ট করার জন্য বজ্রের কাজ করে। যখন এই রশ্মি অনুষ্টুপ্ ছন্দ রশ্মির সাথে মিলিত হয়, তখন এরা আরও অধিক শক্তিশালী হয়ে অন্য অনেক রশ্মি আদি পদার্থকে উৎপন্ন করতে থাকে। এইজন্য মহর্ষি ঐতরেয় মহীদাস বলেছেন -

"বৃষা বৈ ত্রিষ্টুব্ য়োষানুষ্টুপ্" (ঐ.আ.১.৩.৫, তু.কৌ.২০.৩)
.
এছাড়া অনুষ্টুপ্ ছন্দ রশ্মি অন্য যেকোনো ছন্দ রশ্মিকে অধিক অনুকূলতা এবং সক্রিয়তা প্রদান করে। এই কারণে এই দুই ছন্দ রশ্মির মিশ্রিত রূপ সূর্যাদি লোক বা সম্পূর্ণ ব্রহ্মাণ্ডের মধ্যে বাহুর কাজ করে।
.
(ঊরু, তৎ, অস্য, য়ৎ, বৈশ্যঃ) [বিশ্ = বিড্ জগতী (জৈ.১.২৮৬), বৈশ্যো জগতীছন্দাঃ (জৈ.১.৬৯)] এই সৃষ্টিযজ্ঞতে জগতী ছন্দ রশ্মিগুলো উরুর সমান ব্যবহার করে অর্থাৎ এই ছন্দ রশ্মি সব পদার্থকে আচ্ছাদিত করে দূর-দূর পর্যন্ত ব্যাপ্ত হয়, এইজন্য এই রশ্মির বিষয়ে ঋষিগণ বলেছেন - "গততমম্ ছন্দঃ" (নিরুক্ত ৭.১৩), "জগতী গততমম্ ছন্দঃ" (দে. ৩.১৭) অর্থাৎ এই ছন্দ দূর-দূর পর্যন্ত ব্যাপ্ত হয়, এইজন্য একে জগতী বলে আর এইজন্য এর তুলনা উরু (জঙ্ঘা এবং কোমর) ক্ষেত্রের সঙ্গে করা হয়েছে। এই ছন্দ রশ্মির সঙ্গে অন্য ছন্দ রশ্মির বিস্তার হয়, এইজন্য মহর্ষি য়াজ্ঞবল্ক্য বলেছেন - "জগতী সর্বাণি ছন্দাম্সি" (শ.৬.২.১.৩০)। যেরূপ কোমরের মধ্যে অন্য তন্ত্রের পাশাপাশি উৎপাদক তন্ত্রও বিদ্যমান থাকে, সেইরূপ এই রশ্মির সঙ্গে পদার্থ উৎপাদনের বিশেষ সম্বন্ধ আছে। এইজন্য বলা হয়েছে - "প্রজননম্ জগতী" (জৈ.১.৯৩; ষ.২.৩)।
.
(পদ্ভ্যাম্, শূদ্রঃ, অজায়ত) [শূদ্রঃ = আনুষ্টুভঃ শূদ্রঃ (জৈ. ১.১০২), শূদ্রোऽনুষ্টুপ্ছন্দাঃ (জৈ.১.৬৯)] এই সৃষ্টিতে অনুষ্টুপ্ ছন্দ রশ্মিকেই শূদ্র বলে। অনুষ্টুপ্ ছন্দ রশ্মির বিষয়ে মহর্ষি য়াস্ক বলেছেন -
.
"অনুষ্টুবনুষ্টোভনাত্" (নিরুক্ত ৭.১২)
.
এই বিষয়ে অন্য ঋষিদের কথন হল -

"বাগনুষ্টুপ্ সর্বাণি ছন্দাম্সি" (তৈ.১.৭.৫.৫),

"অনুষ্টুবনুষ্টোভনাত্" (দে.৩.৭)।
.
এর অর্থ হল এই রশ্মি অন্য রশ্মিকে অনুকূলতা-পূর্বক ধরে রেখে তাদের প্রভাবকে অধিক সমৃদ্ধ করে। এদের তুলনা পায়ের সঙ্গে করা হয়েছে, কারণ পা-ও সম্পূর্ণ শরীরকে ধরে রেখে সেই অঙ্গগুলোকে অনুকূলতা প্রদান করে।
.
বিঃদ্রঃ এই ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ সৃষ্টিতে হতে থাকা য়জন ক্রিয়ার সম্বন্ধে করা হয়েছে। এই য়জন ক্রিয়া তারার মধ্যেও হচ্ছে, অন্য লোক বা অন্তরীক্ষেও হতে পারে। চার পদার্থের ভূমিকা সর্বত্র এটাই থাকবে। মনে রাখবেন, যেকোনো অন্য মন্ত্রের সমান এই মন্ত্রের স্বাভাবিক ভাষ্য আধিদৈবিকই হবে, সেটা আমি এখানে করে দিয়েছি। আধিভৌতিক এবং আধ্যাত্মিক ভাষ্য আধিদৈবিকের পরেই সম্ভব হয়, কারণ মনুষ্য ভাষা বেদ থেকেই শিখেছে আর পদার্থের নামও বেদ থেকেই রেখেছে। এইজন্য ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র সংজ্ঞক উপরোক্ত রশ্মিগুলোর গুণ দেখেই মনুষ্য ব্রাহ্মণাদি নামগুলো শিখেছে আর তারপর সেগুলোর ব্যবহার করতে শুরু করে। যেমন রশ্মির নাম তাদের গুণ-কর্ম-স্বভাবের অনুসারে হয়েছে, তেমনই বর্ণের নামও গুণ-কর্ম-স্বভাবের অনুসারেই হয়েছে। 
জ্ঞাতব্য হল "আত্মা" পদের অর্থ যেমন জীবাত্মা আর পরমাত্মা হয়, তেমনই এর একটা অর্থ শরীরও হয়। এই বিষয়ে ঋষিদের কথন হল - "পাঙ্ক্ত ইতর আত্মা লোমত্বঙ্মাম্সমস্থি মজ্জা" (তাণ্ড্য.৫.১.৪), "আত্মা বৈ তনূঃ" (শ.৭.৩.১.২৩; ৭.৫.২.৩২) এই কারণে আমরা আধ্যাত্মিক ভাষ্যতে (আত্মা, পরমাত্মা আর শরীর) এই তিনটাকে গ্রহণ করতে পারবো। পরমাত্মার বিষয়ে আধিদৈবিক ভাষ্যই আধ্যাত্মিক ভাষ্যের রূপে জানা যেতে পারে, যখন আমরা "পুরুষঃ" পদের অর্থ ঈশ্বর দ্বারা রচিত সৃষ্টিকে না নিয়ে ঈশ্বরই গ্রহণ করবো। সেই সময় যে গায়ত্রী আদি ছন্দ রশ্মি ব্রাহ্মণ আদি রূপে কাজ করে তা ঈশ্বরের প্রেরণাতেই কাজ করে। এইজন্য সেই রশ্মিগুলোকে সেইরূপ ঈশ্বরের অঙ্গের রূপে দর্শানো হয়েছে, যেরূপ যজু০ ৩১।১৩নং মন্ত্রের মধ্যে অন্তরীক্ষ আদির তুলনা ঈশ্বরের নাভি আদি অঙ্গের সঙ্গে করা হয়েছে ।

আধ্যাত্মিক ভাষ্য_____

(ব্রাহ্মণঃ, অস্য, মুখম্, আসীত্) এই শরীরে সবথেকে উত্তম ভাগ মুখ অর্থাৎ মাথা ব্রাহ্মণের সমান কাজ করে। "মুখম্" পদের বিষয়ে মহর্ষি য়াজ্ঞবল্ক্য বলেছেন - "মুখম্ প্রতীকম্" (শ.১৪.৪.৩.৭) অর্থাৎ মুখ দ্বারাই শরীরকে চেনা যায় আর আমরা জানি যে শনাক্তকরণ কেবল জিহ্বা আর ঠোঁট আদি দিয়ে হয় না, বরং সম্পূর্ণ মুখমণ্ডল দ্বারাই হয়। এইজন্য আমি মুখের অর্থ মাথা গ্রহণ করেছি। আমাদের শরীরে শিরস্থ অঙ্গ চোখ, কান, নাক, রসনা, বাণী আর মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ শরীরের সমবেদনাকে গ্রহণ করে, তাদের প্রেরিত আর সঞ্চালিত করে, এইজন্য এই মাথাই হচ্ছে আমাদের শরীরের ব্রাহ্মণ রূপ। শরীরের যেকোনো অঙ্গের যন্ত্রণা অথবা কোনো অঙ্গের স্বাস্থ্য আর সুখ আদি মাথাই অনুভব করে আর প্রত্যেক যন্ত্রণাকে দূর করার জন্য বিভিন্ন ভাবে বিচারও করে, এইজন্য মাথা আমাদের ব্রাহ্মণ হবে। এই স্বভাব থেকে প্রেরণা নিয়ে সমাজে ব্রাহ্মণ বর্গ সেইরূপ ব্যবহার করে নিজের আধ্যাত্মিক স্তরকে উচ্চ বানাতে পারে। এর অর্থ হল যেকোনো সাধককে সমাজ আর পরিবারের বাস্তবিক সমস্যা, বিশেষ করে অজ্ঞানতা আর মানসিক প্রদূষণকে দূর করার চেষ্টা অবশ্যই করা উচিত। এইরূপ না করলে তার সাধনা একটা আড়ম্বর মাত্র হয়ে থাকবে।
.
(বাহূ, রাজন্যঃ, কৃতঃ) আমাদের শরীরে বাহু ক্ষত্রিয়ের কাজ করে। এই বাহুই শরীরের যেকোনো অঙ্গের উপর আসা প্রহারকে নিজের উপরে নিতে উদ্যত হয়। প্রহার মাথায় হোক অথবা হাতে, বুকে হোক অথবা পিঠে বা পায়ে, আমাদের হাত দ্রুত সেই প্রহারকে নিজের উপর নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে পড়ে আর না কেবল সেই প্রহারকে সহ্য করে, বরং প্রহারকর্তার উপর দ্রুত প্রত্যাক্রমণও করে। এইভাবে অধ্যাত্ম পথের ক্ষত্রিয় সাধককে অন্যের দুঃখ থেকে দুঃখী হয়ে সবার দুঃখ ভাগ করে এবং সেই দুঃখকে দূর করার চেষ্টা অবশ্যই করা উচিত। নিজের নিকট আর্তনাদ করতে থাকা ক্ষুধার্ত, নগ্ন, আহত, পীড়িতদের উপেক্ষা করে নেত্র বন্ধ করে ধ্যানে বসে থাকা কখনও আধ্যাত্মিকতা হতে পারে না।
.
(ঊরু, তৎ, অস্য, য়ৎ, বৈশ্যঃ) আমাদের শরীরে উরু এবং কোমর ক্ষেত্র বৈশ্যের কাজ করে। সমাজের মধ্যে যেমন বৈশ্য অধিকাধিক ধন অর্জন করে সমাজ বা রাষ্ট্র হিতে সম্পূর্ণ ধনকে সমর্পণ করে দেয় আর সেই ধনের বৃদ্ধিও করতে থাকে, সেই রকম শরীরস্থ মধ্যভাগ রসাদি ধাতুর অধিকাধিক সঞ্চয় করে সম্পূর্ণ শরীরকে আবশ্যকতানুসারে প্রদান করতে থাকে আর সন্ততি-বিস্তারের কাজও করে। এইজন্য এটা হচ্ছে বৈশ্যরূপ। এরদ্বারা প্রেরিত হয়ে প্রত্যেক বৈশ্য সাধকের উচিত যে সে ধর্মপূর্বক অধিক ধন অর্জন করার চেষ্টা করবে আর সে "ইদম্ রাষ্ট্রায় স্বাহা, ইদম্ রাষ্ট্রায় ইদন্ন মম" ভাবনার অনুসারে ব্যক্তিগত রূপে আবশ্যকতার অধিক ধনের সঞ্চয় কখনও যেন না করে। ধনাদির সঞ্চয়কারী কখনও সত্য সাধক হয় না, বরং সেটা হচ্ছে অধ্যাত্ম মার্গের অনেক বড় বাঁধক।
.
(পদ্ভ্যাম্, শূদ্রঃ, অজায়ত) শরীরের মধ্যে পা শূদ্রের রূপে কাজ করার জন্য উৎপন্ন হয়েছে। যেমন সমাজের শ্রমিক বর্গ শরীর দিয়ে পরিশ্রম করে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রের আধার হয়। তারা তিন বর্ণের সেবাতে প্রতিমুহূর্ত নিযুক্ত থাকে, সেই রকম আমাদের শরীরের পা শরীরের অন্য সব অঙ্গের উদ্যেশ্য পূর্তির জন্য তাদের যেখানে ইচ্ছে সেখানে নিয়ে যায়, তার নিজের কোনো স্বার্থ নেই। এইভাবে শ্রমিক সাধকদের উচিত যে তারা বিনা কোনো স্বার্থে নিজের থেকে অধিক শ্রেষ্ঠদের সৎকার সর্বদা বিনম্রতাপূর্বক করবে।
.
এখানে পাঠক ভাবুন, যে মন্ত্র আমাদের জীবন, সমাজ আর রাষ্ট্রের পুনরুদ্ধার করতে পারে, তাকেই আমরা আমাদের অজ্ঞানতার কারণে সমাজে বিষ মেশানো সাধন বানিয়েছি। এই মন্ত্র সম্পূর্ণ বিশ্বকে বন্ধুত্ব আর যেকোনো রাষ্ট্রকে সত্য রাষ্ট্রভক্তি শেখানোর জন্য অনেক বড় আধার হতে পারে। বর্তমান বিশ্বের সব সামাজিক আর রাষ্ট্রীয় সমস্যার সমাধানের দিশাতে এই মন্ত্রের ভূমিকা সবথেকে মুখ্য হতে পারে। আমরা যদি আমাদের পক্ষপাত আর স্বার্থকে ছেড়ে দিয়ে আত্মা আর অন্তঃকরণ দিয়ে এই মন্ত্রের ভাব বুঝতে সক্ষম হই, তাহলে বৈদিক বর্ণব্যবস্থার প্রতি বিশ্বের জনগণ, বিশেষ করে নির্ধন, শোষিত, পীড়িত আর অশিক্ষিতদের এমন আকর্ষণ বাড়বে যে বিভাজনকারী রাজনীতিও তাকে থামাতে পারবে না। ঈশ্বর সবাইকে সুমতি প্রদান করুক।
আচার্য সায়ণের ভাষ্য___________

"অস্য প্রজাপতের্ব্রাহ্মণো ব্রাহ্মণত্বজাতিবিশিষ্টঃ পুরুষো মুখমাসীত্ । মুখাদুৎপন্ন ইত্যর্থঃ । য়োऽয়ম্ রাজন্যঃ ক্ষত্রিয়ত্বজাতিমান্পুরুষঃ স বাহূ কৃতঃ । বাহুত্বেন নিষ্পাদিতঃ । বাহুভ্যামুৎপাদিত ইত্যর্থঃ । তথাস্য পদ্ভ্যাম্ পাদাভ্যাম্ শূদ্রঃ শূদ্রত্বজাতিমান্ পুরুষোऽজায়ত ।"

অর্থাৎ - প্রজাপতি ব্রহ্মার মুখ থেকে ব্রাহ্মণ উৎপন্ন হয়, বাহু থেকে ক্ষত্রিয় উৎপন্ন হয়, উরু থেকে বৈশ্য উৎপন্ন হয় আর পা থেকে শূদ্র উৎপন্ন হয়।

পদ্মভূষণ ডাক্তার শ্রীপাদ সাতবলেকর অথর্ববেদ ভাষ্যতে এর অর্থ এইভাবে করেছেন -
(অস্য মুখম্ ব্রাহ্মণঃ) এই পুরুষের মুখ ব্রাহ্মণ - হল জ্ঞানী, (রাজন্যঃ বাহূ অভবৎ) ক্ষত্রিয় এর বাহু হয়েছে, (মধ্যম্ তৎ অস্য য়ৎ বৈশ্যঃ) এর মধ্যভাগ হল বৈশ্য, (পদ্ভ্যাম্ শূদ্রঃ অজায়ত) পায়ের জন্য শূদ্র হয়েছে।
.
প্রথমে আমরা আচার্য সায়ণের ভাষ্যের উপর আলোচনা করবো যে কিভাবে তিনি নিরাকার ব্রহ্মকে সাকার বানিয়ে, তাঁর বিভিন্ন অঙ্গ থেকে কিভাবে মনুষ্য উৎপন্ন করে দিয়েছেন। পণ্ডিত সাতবলেকরের ভাষ্য অপেক্ষাকৃত অধিক উচিত আছে। এখানে অথর্ববেদের মধ্যে কিছু পাঠভেদ আছে, সেখানে "উরু" র স্থানে "মধ্যম" পদের প্রয়োগ আছে। ইতি ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র বর্ণের তুলনা ক্রমশঃ পরমাত্মার মুখ, বাহু, উদর/উরু আর পায়ের সঙ্গে করেছেন। এর উপর আপত্তি এমন করা হয় যে শূদ্রের তুলনা পায়ের সঙ্গে আর ব্রাহ্মণের তুলনা মুখের সঙ্গে কেন করা হয়েছে?
.
এই বিষয়ে আমি এটা বলে রাখতে চাইবো যে ব্রাহ্মণ আদি বর্ণ কি? বস্তুতঃ বর্ণ হল যাকে ব্যক্তি নিজের কর্ম আর যোগ্যতার অনুসারে বরণ করে। তার মাতা-পিতা আদির সঙ্গে বর্ণের কোনো সম্পর্ক হয় না। বর্ণ-ব্যবস্থার প্রথম প্রস্তোতা ভগবান্ মনুর অনুসারে মনুষ্যের জীবনে বর্ণের পরিবর্তনও হতে পারে। এই বিষয়ে ভগবান্ মনুর কথন হল -

শূদ্রো ব্রাহ্মণতামেতি ব্রাহ্মণশ্চৈতি শূদ্রতাম্ ।
ক্ষত্রিয়াজ্জাতমেবম্ তু বিদ্যাদ্বৈশ্যাত্তথৈব চ ।। (মনু.১০.৬৫)

অর্থাৎ - যদি শূদ্র বর্ণস্থ ব্যক্তি ব্রাহ্মণের যোগ্যতা অর্জন করে নেয়, তাহলে সে ব্রাহ্মণ হয়ে যায় আর যদি ব্রাহ্মণ বর্ণের ব্যক্তি নিজের কর্ম আর যোগ্যতা থেকে নেমে শূদ্রের সমান যোগ্যতার হয়ে যায়, তাহলে সে শূদ্র হয়ে যায়। এইভাবে ব্রাহ্মণ আর ক্ষত্রিয়াদি বর্ণেরও অন্য বর্ণের মধ্যে পরিবর্তন হতে পারে। অন্যদিকে গীতার মধ্যে ভগবান্ শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন -

চাতুর্বর্ণ্যম্ ময়া সৃষ্টম্ গুণকর্মবিভাগশঃ ।

এখানেও ব্রাহ্মণ আদি বর্ণের বিভাজন গুণ, কর্ম আর স্বভাবের আধারেই মানা হয়েছে, জন্মের আধারে মোটেও নয়। গুণ, কর্ম আর স্বভাবের আলোচনাও ভগবান্ মনু এইভাবে করেছেন -

১. ব্রাহ্মণের কর্ম -
অধ্যাপনমধ্যয়নম্ য়জনম্ য়াজনম্ তথা ।
দানম্ প্রতিগ্রহম্ চৈব ব্রাহ্মণানামকল্প য়ৎ ।। (মনু. ১.৮৮)
অর্থাৎ - বেদের অধ্যয়ন ও অধ্যাপন, যজ্ঞ করা এবং করানো, দান দেওয়া এবং নেওয়া, এই ছয়টা হল ব্রাহ্মণের কর্ম।
.
এখানে ব্রাহ্মণের মুখ্য যোগ্যতা আর কর্ম হল বেদ পড়া আর পড়ার পর পূর্ণ-বিদ্বান হয়ে অন্যদের বেদ পড়ানো। যারা এই যোগ্যতা প্রাপ্ত করে আর সেই যোগ্যতার অনুসারে নিজের জীবন বানিয়ে নেয়, তারাই ব্রাহ্মণ হয়। এইভাবে আধ্যাত্মিক আর পদার্থ বিদ্যার বৈজ্ঞানিক য়োগীকে ব্রাহ্মণ বলে। এখানে ব্রাহ্মণের য়জন-য়াজন কর্মকেও অনিবার্য বলে দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হল ব্রাহ্মণকে শিল্প বিজ্ঞানে বিদ্বান, ত্যাগী-তপস্বী, সমাজকে সংগঠিত করতে কুশল হওয়া উচিত আর সমাজের জনগণকে এইরূপ আদেশকারী ব্যক্তি হওয়া উচিত। এখানে এমন কথার কোনো গুরুত্ব নেই যে সেই ব্যক্তির মাতা-পিতা, দাদা-দাদী বা বাপ-ঠাকুরদা কোন বর্ণের। যে ব্যক্তি সমাজে সংগঠন, সহায়ক আর সম্প্রীতির সঞ্চার করতে সক্ষম নয় অথবা এমন করার চেষ্টা করে না অথবা অর্থ আদিতে আসক্ত থাকে, সে ব্যক্তি উচ্চ কোটির বিদ্বান হলেও ব্রাহ্মণ বলার অধিকারী হবে না। এইজন্য মনুস্মৃতি আদি গ্রন্থের মধ্যে বীভৎস প্রক্ষেপকারী সংস্কৃত ভাষা বা ব্যাকরণের মহান পণ্ডিত হওয়া সত্ত্বেও ব্রাহ্মণ বলা যেতে পারে না, বরং তারা প্রচ্ছন্ন ব্রাহ্মণ-বিরোধী সিদ্ধ হচ্ছে।এইসব ব্যক্তি কারা ছিল, এটা পৃথক অনুসন্ধানের বিষয়।
.
২. ক্ষত্রিয়ের কর্ম -
প্রজানাম্ রক্ষণম্ দানমিজ্যাऽধ্যয়নমেব চ ।
বিষয়েষ্বপ্রসক্তিশ্চ ক্ষত্রিয়স্য সমাসতঃ ।। (মনু. ১.৮৯)
অর্থাৎ - প্রজার রক্ষা করা, দান দেওয়া, যজ্ঞ করা, বেদাধ্যয়ন করা আর বিষয়ে অনাসক্তি থাকা, এই হল ক্ষত্রিয়ের কর্ম।
.
এর তাৎপর্য হল ক্ষত্রিয়েরও অনিবার্য কর্তব্য হল তারা সব বিদ্যায় বিদ্বান হবে, কারণ অধ্যাত্ম আর পদার্থ বিদ্যায় বিদ্বান না হওয়া পর্যন্ত কোনো রাজাই তার প্রজার পালন আর রক্ষণ করতে পারবে না। এর পাশাপাশি যে রাজা জিতেন্দ্র হবে না, সেও কখনও প্রজার পালন আর রক্ষণ করতে পারবে না। ব্রাহ্মণের মতো ক্ষত্রিয়কেও য়াজ্ঞিক হওয়া উচিত। তার মানে ক্ষত্রিয়ও শিল্প-বিজ্ঞানী, ত্যাগী-তপস্বী, রাষ্ট্রহিতে বিদ্বানদের উচিত উপয়োগকারী তথা সম্পূর্ণ রাষ্ট্রকে এক সূত্রের মধ্যে বেঁধে রাখতে সক্ষম হওয়া উচিত। এখানেও ক্ষত্রিয়ের জন্মের সঙ্গে কোনো সম্বন্ধ নেই, বরং যোগ্যতা আর আচরণ দ্বারাই ক্ষত্রিয়ত্ব সিদ্ধ হয়, কারণ ক্ষত্রিয় হল প্রজার রক্ষক, এইজন্য অন্যায়ের প্রতি সংঘর্ষ করা, পক্ষপাত রহিত ন্যায়াদি করা, যুদ্ধ-কৌশল আর যুদ্ধনীতিতে নিপুণ হওয়া, বলবান আর বীরযোদ্ধা হওয়া আদি তার স্বাভাবিক গুণ হওয়া উচিত।
.
৩. বৈশ্যের কর্ম -
পশূনাম্ রক্ষণম্ দানমিজ্যাধ্যয়নমেব চ ।
বণিক্পথম্ কুসীদম্ চ বৈশ্যস্য কৃষিমেব চ ।। (মনু. ২.৯০)
অর্থাৎ - পশুদের রক্ষা করা, দান দেওয়া, যজ্ঞ করা, বেদাধ্যয়ন করা, ব্যবসা-বাণিজ্য করা, সুদ নেওয়া আর কৃষি করা হল বৈশ্যের কর্ম।
.
এখানেও সিদ্ধ হল যে, ব্রাহ্মণ আর ক্ষত্রিয়ের মতো বৈশ্যও বেদ-বিদ্যা অর্থাৎ সম্পূর্ণ জ্ঞান-বিজ্ঞানে বিদ্বান হওয়া উচিত। এরমধ্যেও পশু বিজ্ঞান, কৃষি বিজ্ঞান, অর্থশাস্ত্র, বিত্তীয় এবং বাণিজ্য প্রবন্ধন আদি বিষয়ে বিশেষ বিদ্বান হওয়া উচিত। এটাও উপরোক্ত দুই বর্ণের মতো য়াজ্ঞিক অর্থাৎ শিল্পবিজ্ঞানী, দানী আর সমাজ ও রাষ্ট্রের সংগঠনের ভাবনা রাখবে এমনটা হওয়া উচিত। এইসব ছাড়া পশুপালন, রক্ষণ, কৃষি এবং ব্যবসা উচিত রীতিতে কখনও করতে পারবে না। এটা হচ্ছে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রের আর্থিক মেরুদণ্ড। এখানেও জন্মের কোনো গুরুত্ব নেই, বরং সবকিছু যোগ্যতা আর আচরণের উপর নির্ভর করছে।
.
🌿 জ্ঞাতব্য - এই তিনটা বর্ণ বিশেষতঃ বিদ্বান এবং বুদ্ধিমানদের জন্য হয়েছে, কারণ উচ্চ কোটির বুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তিই এই উপরোক্ত সব কর্ম করতে সক্ষম হবে। এই কারণে বেদ-বিদ্যা পড়া এদের সর্বোপরি কর্তব্য বলে দেওয়া হয়েছে। এদের সবার জন্য যজ্ঞ করাটাও একটা অনিবার্য কর্তব্য বলা হয়েছে, যার উপরোক্ত অর্থের অতিরিক্ত ব্রহ্মযজ্ঞ, দেবযজ্ঞ আদি পঞ্চ মহাযজ্ঞ করাটাও এরই অন্তর্গত ধরে নেওয়া উচিত। ক্ষত্রিয়, বিশেষভাবে রাজাদের জন্য এই পঞ্চ মহাযজ্ঞের অতিরিক্ত বড়-বড় যজ্ঞ করারও বিধান করা হয়েছে। যে ব্যক্তি এগুলোর মধ্যে যেকোনো কর্মকে যোগ্যতাপূর্বক করতে সক্ষম হবে না, তাকেই শূদ্রের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
.
৪. শূদ্রের কর্ম -
একমেব তু শূদ্রস্য প্রভুঃ কর্ম সমাদিশত ।
এতেষামেব বর্ণানাম্ শুশ্রূষামনসূয়য়া ।। (মনু. ২.৯১)
অর্থাৎ - ঈশ্বর শূদ্রের জন্য একটাই কর্মের বিধান করেছেন যে তারা ঈর্ষা-দ্বেষ রহিত হয়ে উপরোক্ত তিন বর্ণের সেবা করবে।
.
লোকব্যবহারের মধ্যেও দেখা যায় যে একটা পরিবারের মধ্যে যদি চার ভাই থাকে, তাদের মধ্যে একজন বিদ্বান শিক্ষাবিদ্ হয়, দ্বিতীয়জন কোনো প্রশাসনিক - সেনা অথবা পুলিশের অধিকারী হয়, তৃতীয়জন কোনো উদ্যোগপতি, ব্যবসায়ী, অর্থশাস্ত্রী বা উন্নত কৃষক হয় আর চতুর্থজন এদের অপেক্ষা মন্দবুদ্ধি হওয়ার কারণে এই তিন ভাইয়ের ছোট-খাটো কর্মের মধ্যে সহায়ক মাত্র হয়, তো এরমধ্যে পক্ষপাত বা বৈষম্য কোথা থেকে আসবে? এগিয়ে যাওয়ার সমান সুযোগ সবারই প্রাপ্য, কিন্তু যোগ্যতা অসমান হওয়ার কারণে তারা সমান পদের অধিকারী হতে পারবে না। যদি এমনটা করে দেওয়া হয়, তাহলে সম্পূর্ণ ব্যবস্থা ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যাবে। এতকিছুর পরও, অসমান পদ হওয়া সত্ত্বেও, তারা ভাই-ভাই থাকবে। এদের মধ্যে পরস্পর নিজেদের মধ্যে প্রেম আর সমতার ব্যবহারই থাকবে। ভগবান্ মনুর দৃষ্টিতে চার বর্ণের মধ্যে এইরূপ সম্বন্ধ হওয়া উচিত। একে আমরা মনু জীর দণ্ড-ব্যবস্থার মাধ্যমে সঠিকভাবে জানতে পারবো যে তিনি সবথেকে দুর্বল বর্ণ অর্থাৎ শূদ্রদের প্রতি কতটা দয়া ভাব রাখতেন। এই বিষয়ে তিনি লিখেছেন -

অষ্টাপাদ্যম্ তু শূদ্রস্য স্তেয়ে ভবতি কিল্বিষম্ ।
ষোডশৈব তু বৈশ্যস্য দ্বাত্রিম্শৎক্ষত্রিয়স্য চ ।।
ব্রাহ্মণস্য চতুঃষষ্টিঃ পূর্ণম্ বাऽপি শতম্ ভবেৎ ।
দ্বিগুণা বা চতুঃষষ্টিস্তদ্দোষগুণবিদ্ধি সঃ ।। (মনু.৮.৩৩৭-৩৩৮)
.
এখানে ভগবান্ মনুর অনুসারে শূদ্র যদি এক টাকা চুরি করে, তাহলে তাকে আট টাকা দণ্ড দেওয়ার বিধান আছে, কারণ যদি এক টাকাই দণ্ড হতো, তাহলে সে পুনরায় চুরি করতে পারে। অন্যদিকে বৈশ্যকে এক টাকা চুরির উপর শূদ্রের থেকে দ্বিগুণ অর্থাৎ ষোলো টাকা দণ্ড তথা ক্ষত্রিয়কে শূদ্রের থেকে চারগুণ অর্থাৎ বত্রিশ টাকা দণ্ড দেওয়ার বিধান আছে। ক্ষত্রিয় হল সবার রক্ষক আর তার অপরাধ করা অধিক দণ্ডনীয়। ব্রাহ্মণের বিষয়ে ভগবান্ মনুর বিধান হল এই অপরাধে ব্রাহ্মণকে শূদ্রের তুলনায় আরও অধিক দণ্ড দেওয়ার বিধান আছে। সেই দণ্ড চৌষট্টি টাকা, একশ টাকা আর একশ আঠাশ টাকা পর্যন্ত হতে পারে অর্থাৎ শূদ্রের তুলনায় আট থেকে ষোলো গুণ পর্যন্ত দণ্ডের বিধান করা হয়েছে। ভগবান্ মনুকে শূদ্র বিরোধী বলে এমন সংসারের বিচারক আর দণ্ড বিশেষজ্ঞের অতিরিক্ত মনুবিরোধীরা এখন বিচার করুক যে ভগবান্ মনু কি শূদ্র বিরোধী, নাকি শূদ্রদের সবথেকে বড় হিতৈষী? ভগবান্ মনুর দৃষ্টিতে যে ব্যক্তি যত অধিক বুদ্ধিমান বা সমৃদ্ধ হবে, অপরাধের জন্য সে ততটাই অধিক দণ্ডনীয় হবে। রাজার বিষয়ে ভগবান্ মনুর কথন হল -

কার্ষাপণম্ ভবেদ্দণ্ড্যো য়ত্রান্যঃ প্রাকৃতো জনঃ ।
তত্র রাজা ভবেদ্দণ্ড্যঃ সহস্রমিতি ধারণা ।। (মনু. ৩.৩৩৬)
.
এখানে রাজাকে সাধারণ ব্যক্তির তুলনায় এক হাজার গুণ অধিক দণ্ড দেওয়ার বিধান আছে। এই বিষয়ে সত্যার্থপ্রকাশের মধ্যে ঋষি দয়ানন্দ লিখেছেন -
"মন্ত্রী অর্থাৎ রাজার "দেওয়ানের" আটশ গুণ, তদপেক্ষা নিম্নপদস্থের সাতশ গুণ, তদপেক্ষা নিম্নপদস্থের ছয়শ গুণ, এইভাবে ক্রমশঃ নিম্নপদস্থের অল্পদণ্ড হবে। ভৃত্য অর্থাৎ চাপরাসী প্রভৃতির আট গুণ অপেক্ষা কম দণ্ড হওয়া উচিত নয়। কারণ, প্রজা অপেক্ষায় রাজকর্মচারীদের দণ্ড অধিক না হলে তারা প্রজাদের বিনাশ করবে। যেমন, সিংহ অধিক দণ্ড দ্বারা কিন্তু ছাগী অল্প দণ্ড দ্বারা বশীভূত হয়, সেইরূপ রাজা থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন ভৃত্য পর্যন্ত রাজকর্মচারীর অপরাধের জন্য প্রজা অপেক্ষা অধিক দণ্ড হওয়া উচিত। (সত্যার্থপ্রকাশ, ষষ্ঠ সমুল্লাস)
.
বর্তমান লোকতান্ত্রিক প্রণালীর প্রশংসকদের উচিত যে তারা বিশ্বের যেকোনো দেশের দণ্ড-ব্যবস্থাতে শূদ্রের প্রতি এত দয়া-করুণা আমাকে দেখাক। আমাদের ভারতের মধ্যে তো আমরা দেখতেই পাই যে, রাজা অর্থাৎ মন্ত্রীদের হয় দণ্ডই নেই আর যদিও বা কারও দণ্ড হয়, তাহলেও সে পূর্ণ সুবিধাজনক দণ্ড প্রাপ্ত করে, কারাগারে বসে-বসে সে নির্বাচনের লড়াইও করতে পারে আর জামিনে বেরিয়ে এসে শাসনও করতে পারে। অন্যদিকে শূদ্র অর্থাৎ অল্পশিক্ষিত বা অশিক্ষিত ব্যক্তি সামান্য অপরাধের কারণে কত যন্ত্রণা সহ্য করে, সেইসব লেখার আবশ্যকতা নেই। আজ এভাবেই সর্ব-সুবিধাভোগীরা জাতির রাজনীতি করতে-করতে ভগবান্ মনুর নিন্দা করে বেড়ায়। আজ যদি ভগবান্ মনুর ব্যবস্থা থাকতো তাহলে বিধায়িকা, ন্যায়পালিকা অথবা কার্যপালিকাতে কোনোরূপ কোনো অপরাধীর স্থান হতো না আর অপরাধীদের দেওয়া দণ্ড দিয়ে রাজকোষ ভরে যেতো আর কোনো কৃষক, শ্রমিক, নির্ধন আর অশিক্ষিত ব্যক্তি কখনও দুঃখী আর শোষিত হতো না।
.
যদি মনুপ্রোক্ত ব্যবস্থা আজ হতো তাহলে দেশের মধ্যে কোনো অশিক্ষিতই থাকতো না, কারণ সেই ব্যবস্থার মধ্যে প্রত্যেক বালক আর বালিকাকে অনিবার্য রূপে শিক্ষা দেওয়ার বিধান ছিল। সমস্ত গুরুকুল বা বিদ্যালয় আবাসীয় হতো, যেখানে সকল বিদ্যার্থীর জন্য সমান ভোজন, বস্ত্র, শিক্ষা, শয্যা, চিকিৎসা আদির ব্যবস্থা রাজ্যের পক্ষ থেকে হতো। তা সে বিদ্যার্থী রাজকুমার হোক অথবা শূদ্র অথবা ভিক্ষুকের সন্তান হোক, সবার জীবনের-স্তর পূর্ণতঃ সমান রাখা হতো। কোনো বিদ্যার্থীর অভিভাবক, সে রাজাই হোক না কেন, নিজের পুত্রকে বিশেষ সুবিধা দিতে পারতো না। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের কোনো বালক অথবা বালিকা অশিক্ষিত থাকবে না আর নির্ধন মাতা-পিতাকে নিজের সন্তানের শিক্ষা পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ তাদের যুবকাবস্থা হওয়া পর্যন্ত তাদের আহার-বিহার, বস্ত্র, শিক্ষা আর চিকিৎসা আদি কোনো ধরণের অর্থ ব্যয়ের কোনো চিন্তা করতে হতো না। এইভাবে নিজের সন্তানের সব চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে শ্রমিকও নিজের জীবন সানন্দে ব্যতীত করতে পারতো।
.
হায় রে! যদি আজ ভগবান্ মনুর অনুসারে শাসন হতো, তাহলে দেশের প্রত্যেকটা শিশু পড়াশুনা করতো, কেউ ভিক্ষা করে বেড়াতো না, কেউ শিশুশ্রমের অভিশাপ ভোগ করতো না, কেউ গলিতে-গতিতে আবর্জনা তুলতো না, কেউ বস্তি-কুঁড়েঘরে দুঃখী জীবন ব্যতীত করতো না, কেউ ফুটপাতের উপর শুতো না, যাকে ধনের অহংকারে অন্ধ কেউ তার গাড়ি দিয়ে পিষে দেয়। ভগবান্ মনুর শূদ্র অর্থাৎ শ্রমিক না তো নির্ধন হতো আর না নিতান্ত অশিক্ষিত। তার মধ্যে বেদ পড়ার ক্ষমতা নেই তো তাতে কি হয়েছে, সে অন্য বিদ্যা তো পড়তে পারতো আর তারা পড়তো। এই কারণে পিতামহ ভীষ্ম শূদ্রকেও মন্ত্রী হওয়ার অধিকার দিয়েছেন। মহাভারতকার লিখেছেন -

চতুরো ব্রাহ্মণান্ বৈদ্যান্ প্রগল্ভান্ স্নাতকাঞ্শুচীন্ ।
ক্ষত্রিয়াম্শ্চ তথা চাষ্টৌ বলিনঃ শস্ত্রপাণিনঃ ।।

বৈশ্যান্ বিত্তেন সম্পন্নানেকবিম্শতিসম্খ্যয়া ।
ত্রীম্শ্চ শূদ্রান্ বিনীতাম্শ্চ শুচীন্ কর্মণি পূর্বকে ।।

অষ্টাভিশ্চ গুণৈর্য়ুক্তম্ সূতম্ পৌরাণিকম্ তথা ।
পঞ্চাশদ্বর্ষবয়সম্ প্রগল্ভমনসূয়কম্ ।।

(মহাভারত-শান্তিপর্ব-রাজধর্মানু-শাসনপর্ব ৮৫.৭-৯)

অর্থাৎ - রাজার উচিত যারা বেদবিদ্যার বিদ্বান, নির্ভীক, বাহ্য-অন্তর শুদ্ধ এবং স্নাতক হবে, এমন চার ব্রাহ্মণ, শারীরিক ভাবে বলবান তথা শস্ত্রধারী আট ক্ষত্রিয়, ধন-ধান্যে সম্পন্ন একুশ বৈশ্য, পবিত্র আচার-বিচারশীল তিন বিনয়শীল শূদ্র তথা আটগুণ যুক্ত এবং পুরাণবিদ্যার জ্ঞাতা একজন সূত মনুষ্য, এইসব ব্যক্তিদের নিয়ে একটা মন্ত্রিমণ্ডল বানানো। সেই সূতের অবস্থা অন্তত পঞ্চাশ বর্ষ হবে আর সে নির্ভীক তথা দোষদৃষ্টি হতে রহিত হবে।
.
এখন আপনারাই ভাবুন, মন্ত্রী হওয়ার যোগ্য শূদ্র কি শিক্ষিত হবে না? অবশ্যই হবে। এখনও কি কেউ মনু জীর উপর অস্পৃশ্যতা আর বৈষম্য আদির দোষ দিতে পারবে? ঋষি দয়ানন্দ তো সত্যার্থ প্রকাশের মধ্যে এটাও লিখে দিয়েছেন -
প্রশ্ন - যদি কারও একটি মাত্র পুত্র বা কন্যা থাকে এবং সেই পুত্র বা কন্যা অন্য বর্ণে প্রবিষ্ট হয়, তবে তার মাতা বা পিতার সেবা কে করবে? তাতে বংশচ্ছেদও ঘটবে। এর কী ব্যবস্থা হওয়া উচিত?
উত্তর - কারও সেবাভঙ্গ অথবা বংশচ্ছেদ হবে না। কারণ তারা নিজ-নিজ পুত্র কন্যার পরিবর্তে বিদ্যাসভা ও রাজসভার ব্যবস্থা অনুসারে স্ববর্ণযোগ্য অন্য সন্তান প্রাপ্ত করবে। সুতরাং কোনো অব্যবস্থা হবে না।
.
এখন পাঠক বিচার করুন, যে বৈদিক ব্যবস্থা রাষ্ট্রহিতে গুণ-কর্ম-স্বভাব এবং যোগ্যতার সম্মান করার জন্য নিজের সন্তানকেও অন্যকে সমর্পণ করার আদেশ বা প্রেরণা দেয়, সেই ব্যবস্থা থেকে আদর্শ আর কি হতে পারে? আজ সংসারে এমন কোনো দেশ নেই যেখানে শান্তি, আনন্দ আর সন্তোষ আছে। এইসব মনুপ্রোক্ত বৈদিক ব্যবস্থাকে ভুলে যাওয়ার কারণেই হয়েছে।

Read More

17 April, 2025

अथर्ववेद 6/137/1

17 April 0

 

अथर्ववेद 6/137/1

एक वरिष्ठ वैदिक विद्वान् ने मुझे अथर्ववेद के निम्नलिखित मन्त्र का आधिदैविक और आध्यात्मिक भाष्य करने की चुनौती दी। इस चुनौती के उत्तर में मेरा त्रिविध भाष्य प्रस्तुत है।
यां जमदग्निरखनद् दुहित्रे केशवर्धनीम्।
तां वीतहव्यं आभरदसितस्य गृहेभ्य:॥ (अथर्व.6.137.1)
मेरे भाष्य से पूर्व आप देखें कि प्रसिद्ध वैदिक विद्वानों ने इस मन्त्र का भाष्य किस प्रकार किया है—
क्षेमकरणदास त्रिवेदी—
(केशवर्धनीम्) केश बढ़ाने वाली (याम्) जिस [नितत्नी ओषधि] को (जमदग्नि:) जलती अग्नि के समान तेजस्वी पुरुष ने (दुहित्रे) पूर्ति करने वाली क्रिया के लिये (अखनत्) खोदा है। (ताम्) उस [ओषधि] को (वीतहव्य:) पाने योग्य पदार्थ का पाने वाला ऋषि (असितस्य) मुक्त स्वभाव महात्मा के (गृहेभ्य:) घरों से (आ अभरत्) लाया है।
इस सूक्त में (नितत्नी) पद की अनुवृत्ति गत सूक्त से आती है। जिस प्रकार से वैद्य जन परम्परा से एक-दूसरे के पीछे शिक्षा पाते चले आये हैं, वैसे ही मनुष्य शिक्षा ग्रहण करते रहें।
प्रो. विश्वनाथ विद्यालंकार—
(केशवर्धनीम्) केशों को बढ़ाने वाली (याम्) जिष ओषधि को (जमदग्नि:) प्रज्वलित अग्नि वाले वानप्रस्थी (दुहित्रे) दुहिता सदृश कन्याओं के लिये (अखनत्) खोदा, (ताम्) उस ओषधि को (असितस्य) काले साँपों के (गृहेभ्य:) घरों अर्थात् जङ्गलों से, (वीतहव्य:) विगतहविष्क संन्यासी ने (आ अभरत् = आ अहरत्) प्राप्त किया।
[काले साँप अति विषैले होते हैं, प्राय: जङ्गलों में होते हैं। वानप्रस्थी भी वनों में रहते हैं। उदारहृदय परोपकारी वानप्रस्थी केशवर्धनी औषधि को कन्याओं के केश रोग के निवारण के लिये खोद रहते हैं और परोपकारी संन्यासी जब प्रचारार्थ गृहस्थों के घरों में जाते हैं, तो उसे ओषधि को कन्याओं में बाँट देते हैं। असितस्य = अ + सित (श्वेत), काला साँप। मन्त्र में असितस्य दुहित्रे, जमदग्नि:, वीतहव्य: — ये जात्येकवचन के प्रयोग हैं कन्याओं के यदि केश न हों, वे गञ्जी हों, तो उनका विवाह नहीं हो सकता। अत: केशवर्धनी ओषधि को खोद कर, उसका संग्रह कर रखना और उसका वितरण करना सामाजिक अत्युपकार है। वानप्रस्थियों के लिये यज्ञ करने की विधि है, संन्यासी वीतहव्य होते हैं, हवियों से विगत होते हैं।]
पद्मभूषण डॉ. श्रीपाद दामोदर सातवलेकर—
(जमदग्निः यां केशवर्धनीं दुहित्रे अखनत्) जमदग्नि ने जिस केशवर्धक औषधि को अपनी कन्धा के निमित्त खोदा (तां वीतहव्यः असितस्य गृहेभ्यः आभरत्) उसको वीतहव्य असित के घरों के लिये भर लिया।
आचार्य सायण का भाष्य भी इसी प्रकार का है।
इस मन्त्र का मेरा (आचार्य अग्निव्रत) भाष्य इस प्रकार है—
इस मन्त्र का ऋषि अथर्वा वीतहव्य है। [अथर्वा = प्राणो वा अथर्वा (शत.6.4.2.1), अथर्वाणोऽथर्वणवन्त: थर्वतिश्चरतिकर्मा तत्प्रतिषेध:]
इसका अर्थ यह है कि इस छन्द रश्मि की उत्पत्ति प्राण रश्मियों से होती है। ये प्राण रश्मियाँ विभिन्न बाधक रश्मियों के मध्य अविचल भाव से अपना कार्य करने में सक्षम होती हैं, इसी कारण इन्हें अथर्वा कहते हैं। इनको वीतहव्य इस कारण कहा गया है, क्योंकि ये इस सृष्टि यज्ञ में सर्वत्र व्याप्त रहते हुए हव्य का काम करती हैं। पण्डित क्षेमकरणदास त्रिवेदी ने इसका देवता ‘नितत्नी’ कहा है, जबकि पण्डित दामोदर सातवलेकर ने इसका देवता ‘नितत्नी वनस्पति’ कहा है।
[वनस्पति = अग्निर्वै वनस्पति: (कौ.10.6), वनानां पाता वा पालयिता वा (निरु.8.3), वनम् = रश्मिनाम (निघं.1.5)]
इसका छन्द अनुष्टुप् होने से इसके दैवत और छान्दस प्रभाव से बहुरंग अग्नि उत्पन्न वा समृद्ध एवं पूर्ण विस्तृत होने लगता है। इसके छान्दस प्रभाव से अग्नि तत्त्व को उत्पन्न वा समृद्ध करने वाली विभिन्न छन्द रश्मियाँ अनुकूलतापूर्वक कार्य करने में सक्षम होती हैं। इसका भाष्य इस प्रकार है—
आधिदैविक भाष्य—
(जमदग्नि:) [जमत् = ज्वलतोनाम (निघं.1.17), प्रजापतिर्वै जमदग्नि: (शत.13.2.2.14), आनुष्टुभ: प्रजापति: (तै.ब्रा.3.3.2.1)] अनुष्टुप् छन्द रश्मियों के प्रभाव से विशेष प्रज्वलित होता हुआ रंग-बिरंगा अग्नि (याम्, केशवर्धनीम्) [केश: = रश्मय: केशा: (तै.सं.7.5.25.1)] इसी कारण महर्षि यास्क ने ‘केशी’ पद का निर्वचन करते हुए लिखा है—
केशी केशा रश्मयस्तैस्तद्वान् भवति, काशनाद्वा,
प्रकाशनाद्वा केशीदं ज्योतिरुच्यत इत्यादित्यमाह (निरु.12.26)।
विभिन्न प्रकार की प्रकाश रश्मियों को समृद्ध करने वाली जिन गायत्र्यादि छन्द रश्मियों को [यहाँ ‘याम्’ पद बहुवचन अर्थ में एकवचनान्त प्रयुक्त हुआ है।] (दुहित्रे, अखनत्) [दुहिता = दुहिता दुर्हिता दूरे हिता दोग्धेर्वा (निरु.3.4)] यहाँ दुहिता उस विशाल खगोलीय पदार्थ का नाम है, जो अपने उत्पादक विशाल खगोलीय मेघ से पृथक् होकर दूर चला जाता है और अपने उत्पादक उस खगोलीय मेघ से नाना प्रकार की रश्मियों एवं कणों को दुहता हुआ परिपुष्ट होता रहता है। ऐसा ही पदार्थ कालान्तर में सूर्य आदि लोकों का रूप धारण करता है। उस ऐसे उस विशाल खगोलीय पदार्थ के लिए खोदता है अर्थात् प्राप्त करता है। इसका अर्थ यह है कि अनुष्टुप् छन्द रश्मियाँ सूर्यादि लोकों, विशेषकर उनके केन्द्रीय भागों के निर्माण के लिए गायत्र्यादि विभिन्न छन्द रश्मियों को उत्पन्न, आकृष्ट वा समृद्ध करने लगती हैं, जिससे अग्नि तत्त्व प्रबल से प्रबलतर होने लगता है और उसमें से अनेक प्रकार की किरणें उत्पन्न होने लगती हैं।
(ताम्) उन अनुष्टुप् छन्द रश्मियों को (असितस्य, गृहेभ्य:) [असित: = सितमिति वर्णनाम तत्प्रतिषेधोऽसितम् (नि.9.25)। गृहम् = गृहा गार्हपत्य: (अग्नि:) (मै.1.5.10), गृहा: कस्माद् गृह्णन्तीति सताम (नि.3.13)] यहाँ गार्हपत्य सूर्य अथवा विशाल खगोलीय मेघ का वह भाग है, जो केन्द्रीय भाग के बाहर कुछ दूर अर्थात् सन्धि क्षेत्र के ऊपर स्थित विशाल क्षेत्र में फैला होता है। यह भाग सन्धि क्षेत्र के माध्यम से केन्द्रीय भाग से तीक्ष्ण विकिरणों को ग्रहण करता रहता है। इसके साथ ही यह भाग सुदूर आकाश से भी अनेक रश्मियों व कणों को ग्रहण करता रहता है। ऐसे विशाल क्षेत्र में विद्यमान अप्रकाशित वायु तत्त्व अर्थात् असुर पदार्थ से (वीतहव्य:, आ, भरत्) इस छन्द की ऋषि अर्थात् प्राण रश्मियाँ सब ओर से प्राप्त करती हैं। इससे संकेत मिलता है कि सूर्यादि लोकों के अन्दर विद्यमान कुछ असुर पदार्थ को प्राण रश्मियाँ देव पदार्थ रूप अनुष्टुप् छन्द रश्मियों में परिवर्तित करती रहती हैं। इसके अतिरिक्त यह भी सम्भव है कि सूर्य के बाहरी विशाल भाग में कुछ क्षेत्र अपेक्षाकृत कम तेजस्वी होते हैं, उनमें विद्यमान रश्मियों में से प्राण रश्मियाँ अनुष्टुप् छन्द रश्मियों को ग्रहण करके केन्द्रीय भाग की ओर भेजती रहती हैं। उधर विशाल खगोलीय मेघ में से निर्माणाधीन सूर्यादि लोकों की ओर भेजती रहती हैं।
भावार्थ— इस मन्त्र में खगोलीय मेघों से तारों तथा निर्माणाधीन तारों में उनके केन्द्रीय भागों के निर्माण का विज्ञान दर्शाया है। खगोलीय मेघों से निर्माणाधीन तारे कुछ दूर हो जाते हैं, पुनरपि वे उस विशाल मेघ के केन्द्रीय विशालतर भाग से कुछ विकिरणों, कणों व रश्मियों को निरन्तर ग्रहण करते रहते हैं। इसी प्रकार सूर्य के बाहरी विशालतम भाग से केन्द्रीय भाग अनेक प्रकार के कणों व रश्मियों को प्राप्त करता रहता है। इन प्राप्तव्य पदार्थों में अनुष्टुप् रश्मियों की मात्रा विशेष होती है। ये रश्मियाँ असुर अर्थात् अप्रकाशित वायु रश्मियों से प्राण रश्मियों द्वारा परिवर्तित करके उत्पन्न की जाती हैं। यहाँ बहुत महत्त्वपूर्ण विज्ञान यह है कि यहाँ प्राण रश्मियों द्वारा डार्क ऊर्जा को दृश्य ऊर्जा में परिवर्तित करना बताया है। अनुष्टुप् रश्मियाँ तारों के अन्दर क्रियाशील अन्य गायत्र्यादि रश्मियों की शक्ति को बढ़ाने में सहायक होती हैं, जिससे बहुरंगी प्रकाश की उत्पत्ति होती है।
आध्यात्मिक भाष्य—
(जमदग्नि:) ज्ञानाग्नि से तेजस्वी जीवात्मा (याम्, केशवर्धनीम्) वाक् रश्मियों को उत्पन्न व समृद्ध करने वाले जिस प्राण वायु को (दुहित्रे) [दुहिता = दुहितेव कान्ति: (महर्षि दयानन्द ऋग्वेद भाष्य 4.43.2), दुहितेवोषा: (महर्षि दयानन्द ऋग्वेद भाष्य 3.55.12)] कमनीय वाणी के प्रकाशन के लिए (अखनत्) खोदता अर्थात् ताड़ता है। (ताम्) उस प्राणवायु को (वीतहव्यम्) [वीतम् = वीतम् अश्नीतम् (नि.4.19)] इन हव्यरूप प्राण वायु का भक्षण करने अर्थात् उन्हें अपने अन्दर लीन करने एवं स्वयं उनमें व्याप्त होने वाला मन (असितस्य, गृहेभ्य:) अप्रकाशित अर्थात् परावाणी के गृहरूप प्रकृति पदार्थ से (आ, भरत्) सब ओर से प्राप्त करता है अर्थात् मनस्तत्त्व प्रकृति में व्याप्त परा वाणी को पश्यन्ती में परिवर्तित हुए प्राण वायु को ताड़ता है।
पाणिनीय शिक्षा में वर्णित वाणी की उत्पत्ति सम्बन्धी प्रकरण हमारे इस भाष्य के भावार्थ का संकेत देता है। वह प्रकरण है—
‘‘आत्मा बुद्ध्या समेत्यर्थान् मनो युङ्क्ते विवक्षया
मन: कायाग्निमाहन्ति स: प्रेरयति मारुतम्।
मारुतस्तूरसि चरन्मन्दं जनयति स्वरम्॥
अर्थात् जीवात्मा बुद्धि से अर्थों की संगति करके कहने की इच्छा से मन को युक्त करता, मन विद्युत् रूप जाठराग्नि को ताड़ता, वह वायु को प्रेरणा करता और वायु उर:स्थान में विचरता हुआ मन्द स्वर को उत्पन्न करता है।’’ (महर्षि दयानन्द - वर्णोच्चारणशिक्षा)
भावार्थ— शरीर में आत्मा जब बोलने की इच्छा करता है, उस समय बुद्धि सहित मन प्रकृति में परावस्था में विद्यमान अक्षरों वा पदों को संगत करके पश्यन्ती रूप में परिवर्तित करता है। उसके पश्चात् मन पश्यन्ती को विद्युत् रूप मध्यमा में परिवर्तित करके उसके द्वारा वायु को प्रेरित करके स्वर यन्त्र के द्वारा नाद को उत्पन्न करता है। यही नाद तालु आदि स्थानों के प्रयत्न से वैखरी शब्द को उत्पन्न करता है।
आधिभौतिक भाष्य—
(याम् - केशवर्धनीम्) केशों के समान जिन ज्वालाओं को बढ़ाने वाली ज्वालामुखी को (जमदग्नि:) तीव्र प्रज्वलित अग्नि (दुहित्रे) दूर-दूर तक उषा के समान कान्ति फैलाने वाले और कठिनाई से जिसका धारण किया जा सके, उस लावे के लिए (अखनत्) भूमि के तल को फोड़ता है। (ताम्) उस ज्वालामुखी को (वीतहव्य:) भूगर्भस्थ प्रज्वलित लावा, जिसमें अनेक हव्य पदार्थ व्याप्त रहते हैं, (असितस्य, गृहेभ्य:) पृथिवी गहराइयों में विद्यमान अन्धेरी वा रंगबिरंगी गुफाओं से (आ, भरत) से प्राप्त किया जाता है।
भावार्थ— यहाँ ज्वालामुखी विस्फोट की चर्चा की गयी है। भूमि के अन्दर गहरी गुफाओं में रंग बिरंगा लावा भरा रहता है। उनके आसपास अन्धेरी चट्टानें होती हैं। उस लावे में अनेक हव्य ओषधियुक्त पदार्थ भरे रहते हैं। जब यह लावा तीव्र वेग एवं तीव्र दबाव से प्रज्वलित हो उठता है, उस समय धरती के तल को फोड़कर बाहर आग की नदी के समान बहने लगता है। उस समय ज्वालामुखी, पर्वत के मुख से आग की ज्वालाएँ ऐसे बाहर निकलती प्रतीत होती हैं, जैसे मानो वे ज्वालामुखी पर्वत के लम्बे-लम्बे केश हों। उस समय उस क्षेत्र में उषा केेसमान प्रकाश उत्पन्न होता है। भूगर्भस्थ प्रबल अग्नि एवं वायु के दबाव से केशों केे समान ज्वालाएँ सहसा ही बढ़ती हुई प्रतीत होती हैं। लावे से उत्पन्न भस्म में अनेक औषधीय गुण होते हैं, जो मनुष्यों के साथ-२ वनस्पतियों के लिए भी उपयोगी होते हैं, जैसे लावे की राख में गंधक होने के कारण ज्वालामुखी के क्षेत्र में रहने वाले मनुष्यों में चर्म रोग नहीं होते।
अब आप स्वयं सभी भाष्यों के स्तर की तुलना करके देखें और comment करके बतायें कि आपको कौनसा भाष्य सही लगा और क्यों?
सभी वैदिक विद्वानों से निवेदन है कि यदि वे इस मन्त्र का मेरे भाष्य से अच्छा और तर्कसंगत भाष्य कर सकते हैं, तो उनका स्वागत है।

—आचार्य अग्निव्रत
Read More

13 April, 2025

মুহাম্মাদ নামের অর্থ

13 April 0

 

মুহাম্মাদের প্রকৃত নাম
ছবিঃ  حیات محمد ﷺ

মুসলিমরা মুহাম্মাদকে "মুস্তাফা", "মাহমুদ" এবং "আহমদ" নামেও সম্বোধন করে থাকে। "মুস্তাফা" অর্থ "নির্বাচিত" এবং "আহমদ" অর্থ "অধিক প্রশংসিত"। মুছলমানদের মতে মুহাম্মাদের পুরো নাম "আবুল কাসিম মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম ইবনে আব্দ মানাফ আল কুরাইশি" (محمد بن عبد الله بن عبد المطلب بن هاشم بن عبد مناف القرشي)সংক্ষেপে তাকে "আবুল কাসিম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্তালিব আল হাশিমি" বলেও ডাকা হয়। এই নামের বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায়: "কুরাইশ গোত্রের আব্দুল মানাফের পুত্র হাশিম, হাশিমের পুত্র আব্দুল মুত্তালিব, আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র আব্দুল্লাহ এবং আব্দুল্লাহর পুত্র মুহাম্মাদ"। "মুহাম্মদ" শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো "প্রশংসার যোগ্য", এটি কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম নয়। এটি আরবি শব্দ "আলহামদ" (الحمد) থেকে এসেছে, যার অর্থ "প্রশংসা"। এই নামটি ইসলাম মতের প্রবর্তক মহানবী হযরত মুহাম্মদের (সাঃ) নামে পরিচিত হলেও বাস্তবে তা নয়। ইসলামী জগতের বিখ্যাত ইহুদী স্কলার ডঃ ইউসুফ জিদান (Dr. Youssef Ziedan) এর মতে নবুয়ত প্রাপ্তির সময় অর্থাৎ ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত নবীজীর প্রকৃত নাম ছিল কুথাম বা কুসম 'Qutham' (পুস্তকঃ Hayat e Muhammad, page: 39). ২০১৭ সালে এক আইনে চীনে শিশুদের নাম মোহাম্মদ নামকরণ করা অবৈধ করা হয়। নবীজীর পিতার নাম আবদুল্লাহ মুত্তালিব (আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব), আবদুল্লাহ অর্থ আল্লার গোলাম। 

কিন্তু ইসলামের আগে আল্লার গোলাম শব্দ কিভাবে নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়? প্রকৃত পক্ষে তাঁর নাম আব-দুল-লাত, যা ২৫০বছর পরে অর্থাৎ আব্বাসীয় খিলাফতের পর ইসলামিক স্কলারেরা মুহাম্মদের জীবনী লেখার সময় পরিবর্ত্তন করে দেন। পূর্ব নাম কুথাম বাস্তবে মুহাম্মদের পিতামহের এক পুত্রের নাম যিনি, মুহাম্মদ যখন মাতৃগর্ভে ছিলেন তখন মারা যান। পিতা মাতার মৃত্যুর পর আব্দুল মুত্তালিব বা শায়বা ইবনে হাশিম শিশু মুহাম্মদ (সা.)–কে লালন পালন করেন। মুহাম্মদ (সা.) দশ বছর বয়সী থাকাকালীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। যাই হোক সেই নাম থেকে আব্দুল মুত্তালিব মুহাম্মদের নাম রাখেন 'কুথাম'। কিন্তু ইসলামী ইতিহাস আনুযায়ী  পাওয়া যায় একজন প্যাগন (কুরাইশ উপজাতি) নারীর ওপর আল্লাহর আদেশ আসে পুত্রের নাম 'মুহাম্মদ' রাখার। মুহাম্মাদের জন্মের পূর্বেই তার পিতা মৃত্যুবরণ করেন এবং ছয় বছর বয়সে তার মাতা মৃত্যুবরণ করেন।

ইসলাম পূর্বে কুরায়শ সহ বিভিন্ন গোত্রের প্রধান দেবতা বা উপাস্য ছিলেন 'হুবাল' এবং তাঁর কন্যা লাত, মানাত ও উজ্জা দেবী। যাদেরকে আল্লাহর তিন কন্যা হিসেবে ধারণা করা হত। নবীজীর পিতা-মাতা প্যাগনদের এই দেব দেবীর উপাসক ছিলেন। আল্লাহ الله হলো সৃষ্টিকর্তার জন্য ব্যবহৃত একটি আরবি শব্দ। এটা কোন নাম নয় এটা নামের পূর্বে বা পরে ব্যহহার করা উপাধির ন্যায় একটি শব্দ যেমন মিঃ বা মিসেস। এই মিঃ বা মিসেস কারো নাম হতে পারে না। উদাঃ ভারতে রাজা রামচন্দ্র জীর নামের সাথে ব্যবহৃত হয় 'ভগবান্' শব্দ (ভগবান রামচন্দ্র), আবার পরমাত্মা বোঝাতেও ভগবান শব্দের ব্যবহার করা হয় অর্থাৎ ভগবান অনেক হতে পারে। ইসলাম-পূর্ব সময় থেকে আরবের বিভিন্ন গোষ্ঠীর লোকেরা ‘আল্লাহ’ শব্দটি ব্যবহার করে আসছে। সুনির্দিষ্টভাবে, স্রষ্টা বুঝাতে মুসলিমগণ (আরব ও অনারব উভয়) ও আরব খ্রিস্টানগণ এই শব্দটি ব্যবহার করে থাকে।

______________চলবে

 


Read More

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ ৩১/১১

  ব্রা॒হ্ম॒ণো᳖ऽস্য॒ মুখ॑মাসীদ্ বা॒হূ রা॑জ॒ন্যঃ᳖ কৃ॒তঃ । ঊ॒রূ তদ॑স্য॒ য়দ্বৈশ্যঃ॑ প॒দ্ভ্যাᳬশূ॒দ্রোऽঅ॑জায়ত ॥ #যজুর্বেদ ৩১।১১ ॥___  অথর্ববেদ ১৯....

Post Top Ad

ধন্যবাদ