ঋষিঃ - সাবিত্রী সূর্যা ॥ দেবতা - আত্মা; সোমঃ ॥ ছন্দঃ - অনুষ্টুপ্ ॥
আচ্ছর্দ্বিধানৈর্গুপিতো বার্হতৈঃ সোম রক্ষিতঃ।
গ্রাব্ণামিচ্ছৃণ্বন্তিতিষ্ঠসি ন তে অশ্নাতি পার্থিবঃ॥ অথর্ব্বেদ ১৪/১/৫।।
অর্থ-(বার্হতৈঃ) বৃহতী বেদবাণীতে কথিত (আচ্ছদ্বিধানৈঃ) আচ্ছাদনের বিধিগুলির দ্বারা (সোম) হে বীর্য! (গুপিতঃ) তুমি অন্তর্লীন হও, (রক্ষিতঃ) এবং সুরক্ষিত থাকো। (গ্রাব্ণাম্) বিদ্বানদের [বাণীগুলি] (ইত্)ই (শৃণ্বন্) শুনতে শুনতে (তিষ্ঠসি) তুমি [শরীরে] অবস্থান করো। (পার্থিবঃ) স্ত্রীভোগী বা পার্থিব ভোগে আসক্ত পুরুষ (তে) তোমার (অশ্নাতি, ন) অশন অর্থাৎ পান করে না।
[বার্হত- বৃহতী অর্থাৎ মহতী বেদবাণীতে কথিত। বেদবাণী বৃহতী, কারণ এটি ঐশ্বরিক এবং মানবসৃষ্টির সমসাময়িক। বৃহতী-বাক্ (শতপথ ব্রাহ্মণ ১৪.৪.১.২২)। আচ্ছদ্বিধানৈঃ = আচ্ছাদনের বিধিসমূহ, ঢাকার বিধিসমূহ, সুরক্ষিত রাখার বিধিসমূহ, যাদের দ্বারা বীর্য শরীরে আচ্ছাদিত থাকে। গ্রাব্ণাম্- “বিদ্বানরাই গ্রাবাণঃ” (শতপথ ব্রাহ্মণ ৩.৯.৩.৪)। এবং “আ বাং গ্রাবাণো অশ্বিনা ধীভির্বিপ্রা অচুচ্যুবুঃ” (ঋগ্বেদ ৮.৪২.৪) এ গ্রাবাণঃ-কে বিপ্রাঃ অর্থাৎ মেধাবী বলা হয়েছে, এবং ধীভিঃ দ্বারা এদের বুদ্ধিমান বলা হয়েছে।]
ব্যাখ্যা- বেদোক্ত আচ্ছাদনের পদ্ধতির মাধ্যমে, অর্থাৎ বৈদিক সুরক্ষার সাধন ও উপায়ের দ্বারা, বীর্য শরীরে লীন থাকতে পারে এবং সুরক্ষিত হতে পারে। শৃঙ্গারোৎপাদক গীত, সেই ধরনের কাহিনী এবং কথোপকথনের ফলে শরীরে বীর্য স্থিত থাকে না। এর স্থিরতার জন্য বিদ্বানদের দ্বারা বেদবাণীর নিয়মিত শ্রবণ প্রয়োজন। স্ত্রীভোগী এবং পার্থিব ভোগে লিপ্ত পুরুষ বীর্যাশন অর্থাৎ সোমপান করতে পারে না।
( ভাষ্য-পণ্ডিত বিশ্বনাথ বিদ্যালঙ্কার)