১. গ্রন্থবাচী ব্রাহ্মণ শব্দ ও এর অর্থ
বৈদিক এবং সংস্কৃত সাহিত্যের গ্রন্থকার, ভাষ্যকার, বাতিককার ও টীকাকাররা সাধারণত ব্রাহ্মণ শব্দের অর্থ স্পষ্টভাবে লিখেননি। সায়ণ প্রভৃতি ভাষ্যকার কেবল লক্ষণই উল্লেখ করে সন্তুষ্ট হয়েছেন। নিজের ঋগ্বেদ-ভাষ্যের ভূমিকাে সায়ণ বলেন “যা পরম্পরা থেকে মন্ত্র নয়, তা ব্রাহ্মণ, এবং যা ব্রাহ্মণ নয়, তা মন্ত্র।”
ব্যাকরণ অনুসারে ব্রাহ্মণ শব্দের অর্থ হলো ব্রহ্ম বা মন্ত্র, অর্থাৎ ব্রহ্মই মন্ত্র এবং বেদও ব্রহ্মের সঙ্গে সম্পর্কিত।
দয়ানন্দ সরস্বতী স্বামী পরিশোধিত অনুভ্রমোচ্ছেদন এ লিখেছেন “যার মাধ্যমে এই ঐতরেয় ইত্যাদি গ্রন্থ ব্রহ্ম অর্থাৎ বেদের ব্যাখ্যা, সেই ব্যাখ্যাগুলি ব্রাহ্মণ নামে পরিচিত।”
সত্যার্থপ্রকাশেও একই মত প্রকাশ করা হয়েছে “তাঁদের নাম ব্রাহ্মণ অর্থাৎ ব্রহ্ম, যা বেদ, তার ব্যাখ্যা গ্রন্থ হওয়ায় ব্রাহ্মণ নামকরণ হয়েছে।”
আপস্তম্ভ-পরিভাষা-সুত্রে টীকাকার লিখেছেন “মন্ত্র নাম মনন থেকে এসেছে; ব্রহ্মের বক্তৃতা থেকে ব্রাহ্মণ শব্দের অর্থ হয়েছে।”
স্কন্দ স্বামীও বলেন “তথা অমীমদন্ত পিতার যেমন ভাগমা আভৃষায়িভত্… ইত্যসের মতো ভাগমা-শিষুর প্রতি শতপথব্রাহ্মণে বিবরণ আছে।”
অতএব, ব্রাহ্মণ শব্দ মূলত বেদ এবং তার ব্যাখ্যা গ্রন্থের প্রাসঙ্গিকতা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।
সূত্রসমূহ:
পৃঃ ১৭, ঋগ্বেদ ভাষ্য, উপোদ্ঘাত ভাগ ১, বৈদিক সংস্করণ, পুনা, ১৯৩৩
কাণ্ড ৭, অধ্যায় ১, ব্রাহ্মণ ১।৫।।, শ্রীগ্রন্থ, ভাগ ৩, ভেঙ্কটেশ্বর প্রেস, মুম্বাই, ১৬৪০
৪।১১।৪।৩।।; ৪।২৫।৩।।, জয়পুর উঃ ব্রাহ্মণ, রামদেব, লাহোর, ১৬২১
পৃঃ ৬, বনাস, সম্বৎ ১১৩৭
পৃঃ ২৬৬, স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী, রামলাল কাপুর ট্রাস্ট, বহালগড়, হরিয়ানা, संवत্ ২০২৬
সূত্র ৩২, পৃঃ ৭৪, দর্শপূর্ণমাসপ্রকাশ, আনন্দাথম, পুনা, ১৬২৪
১।৩২।৩।।, ঋগ্বেদ, বিশ্ববন্ধু, বি. ৩০ গবেষণা সংখ্যা, হোশিয়ারপুর, সম্বৎ ২০২১
তিনি পুনরায় লিখেছেন “শতপথে যে শ্রেষ্ঠ, সেই বাসিষ্ঠঃ, অর্থাৎ ‘বাসিষ্ঠ’ শব্দের শ্রেষ্ঠ শব্দের দ্বারা ব্যাখ্যা ও দৃষ্টান্ত।”
২. গ্রন্থবাচী ব্রাহ্মণ শব্দ
গ্রন্থবাচী ব্রাহ্মণ শব্দ সাধারণত নপুংসক লিঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে। বেদ বা মন্ত্রসংহতিতে এই শব্দের সরাসরি উপস্থিতি নেই। ব্রাহ্মণদের বক্তৃতা মূলত মন্ত্রের ব্যাখ্যা ও প্রকাশের উদ্দেশ্যে হওয়ায় মন্ত্রের মধ্যে এই শব্দের থাকা প্রয়োজন ছিল না। তবে, তৈত্তিরীয় সংহিতা, ব্রাহ্মণ, সূত্র এবং নৃুক্ত প্রভৃতি গ্রন্থে এই শব্দ প্রায়ই ব্যবহৃত হয়েছে। সেখানে সবসময়ই এটি নপুংসক লিঙ্গে এসেছে।
অমরকোষ ইত্যাদিতে এই শব্দের উল্লেখ নেই। তবে মেদিনীকোষের ণান্ত বিভাগে নিম্নলিখিত শ্লোক উল্লেখ আছে—
“ब्राह्मणं ब्रह्मसंघाते वेदभागे नपुंसकम् ॥ ৬৭৭”
অর্থাৎ, ব্রহ্মসংঘাত ও বেদভাগে ব্রাহ্মণ শব্দ নপুংসক লিঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে।
বায়ু পুরাণেও ব্রাহ্মণ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, যেমন—
“मन्त्रो मन्त्रयतेर्धातोर्वाह्मणे ब्रह्मणोऽरणनात्”
এখানে ‘অরণনাত’ থেকে অর্থ, পাণিনির পূর্ববর্তী ব্যুৎপত্তি অনুযায়ী ‘কথন’ বোঝায়।
‘বাঙ্ময’ শব্দ সংস্কৃত সাহিত্যে সাধারণত শাস্ত্রসমূহের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।
বৌধায়ন ধর্মসূত্রে ‘বাগ্’ থেকে ব্রাহ্মণের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। বিষ্ণুধর্মোত্তরে আরেকটি ব্যবহার দেখা যায়—
“मन्त्राः सब्राह्मणाः प्रोक्तास्तदर्थ ब्राह्मणं स्मृतम् । कल्पना च तथा कल्पाः कल्पश्च ब्राह्मणस्तथा ॥ ১১”
সূত্রসমূহ:
১।৩০।১০।।, ঋগ্বেদ
(ক) “সুবর্গ লোকṁ ন প্রজানন্তি তেভ্য ইদṁ ব্রাহ্মণṁ ব্রুহি।” কাণ্ড ৩, প্রপাঠক ১, অনুবাক ১, তৈত্তিরীয় সংহিতা, সাতভলেকর, সং. ২০১৩
(খ) “সো’ব্রবীদ্ ব্রাহ্মণং,” ২।৫।২।।, একই(ক) “যদ্ বাকো বাক্যং ব্রাহ্মণং, তদেৱৈতেনাপ্নুবন্তি তদ্বরুন্ধতে,” ৪।৬।৬।২০।।, শ্রী ব্রা., ভাগ ১, পৃঃ ৫৫৬, কাশী, সং. ১৬৬৪
(খ) ১।১১৬।।, জে গ্রা., রঘুবীর ও লোকেশচন্দ্র, নাগপুর, ১৬২৪ছন্দব্রাহ্মণানি চ তদ্বিষয়াণি, ৪।২।৬৫।।, পাণিনীয়ষ্টক, পূর্বার্ধ, গঙ্গাদত্ত, হরিদ্বার, ১৯৬১
৪।২৭।।, নৃুক্ত শাস্ত্র, ভাগবদ্দত্ত, রামলাল কাপুর ট্রাস্ট, আমৃতসর, সং. ২০২১
মেদিনীকোষ, সম্পাদক সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, কলকাতা, ১৮৬৬
মধ্যকালীন গ্রন্থকাররা ব্রাহ্মণ গ্রন্থকে বেদাংশই মনে করতেন
(ক) ৫৬।১৪১।।, আনন্দাশ্রম, পুনা
(খ) ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ, অধ্যায় ৩৪জগগু হেম্যস্ত সমস্ত বাঙ্ময, শ্লোক ১২, কাদম্বরী ভূমিকা, উপেন্দ্রনাৰায়ণ মিশ্র, इलाहাবাদ, ১৬৬৪
“বাগিতি ব্রাহ্মণমুচ্যতে,” ১।৭।১০।।, উমেশচন্দ্র পাণ্ডে, চৌ। সং. সি।, বারাণসী
৩।১৭।১।।, প্রিয়বালা শাহ, বড়োদা, ১৯৫৮
অর্থাৎ মন্ত্রের সঙ্গে ব্রাহ্মণদের বক্তৃতা করা হয়েছে, যা জানা উচিত। ‘কল্পনা’ এবং ‘কল্প’ এবং ‘কল্য’ এবং ‘ব্রাহ্মণ’ শব্দগুলি সেই মন্ত্রগুলির (ব্যাখ্যা ইত্যাদির) জন্য ব্রাহ্মণ (মন্ত্রের ব্যবহার দেখানো হয়েছে) বোঝায়।
এখানে শ্লোকের শেষে আসা ব্রাহ্মণ পদ সন্দেহজনক। যদি এটি জাতি-সূচক ধরা হয়, তাহলে অর্থ সঙ্গত হয় না। সুতরাং প্রশ্ন থেকে যায়—পুল্লিঙ্গে কি ব্রাহ্মণ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, নাকি এখানে পাঠ নষ্ট হয়েছে, অথবা অর্থ কিছু ভিন্ন।
মহাভারতের উদ্যোগ-পর্বের একটি শ্লোক এই বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে। সেখানে ব্রাহ্মণ শব্দ পুল্লিঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে—
“য ইমে ব্রাহ্মরণাঃ প্রোক্তা মন্ত্ৰা ও প্রোক্ষণে গবাম্। এতে প্রমারণং ভবত উতাহো নেতি বাসব ॥১৭৭৬”
অর্থাৎ, এই ব্রাহ্মণ এবং মন্ত্র গোমেধে পড়া হয়েছে, হে বাসব! এরা আপনার কাছে প্রমাণ কি না।
দক্ষিণ ভারতীয় শান্তি-পর্বের একটি শ্লোকে ‘ব্রহ্মরণা’ ব্যবহৃত হয়েছে, যেমন—
“বৃহস্পতি সবেনেষ্ত্বা সূরাপো ব্রাহ্মণঃ পুনঃ। সমিতি ব্রাহ্মণো গচ্ছেদিতি বৈ ব্রহ্মরণঃ শ্রুতিঃ ॥২”
এখানে এটি মন্ত্রের বিশেষণ হবে। সম্ভবত কেউ এই ব্যবহারকে আর্ষ বলে এড়াতে পারে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই বিষয়ের যথাযথ অনুসন্ধান প্রয়োজন।
৩. ব্রাহ্মণ শব্দের অর্থ—যজ্ঞ সম্পর্কিত ব্যাখ্যা
ব্রাহ্মণ গ্রন্থে যজ্ঞ সম্পর্কিত ক্রিয়ার ব্যাখ্যায়ও ব্রাহ্মণ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন বলা হয়েছে—
“দূরোহণং রোহতি তস্যোক্তং ব্রাহ্মণম্”
এর পূর্বে ঐতরেয় ব্রাহ্মণে দূরোহণ ব্রাহ্মণের ব্যাখ্যা এইভাবে করা হয়েছে—
“দূরোহণং রোহতি। স্বর্গং ও লোকো দূরোহণং। স্বর্গমেভ তং লোকং রোহতি। য এভা দূরোহণং ৩ অসৌ সে দূরোহো য’সৌ তপ্তি। কশ্চিদ্বা অত্রে গচ্ছতি। স যদ্বরোহণং রোহতি এভাবে রোহতি। হংসবত্যা রোহতি। হংসঃ শুচিভবিত্যেভ সে হংসঃ শুচিষৎ।”
এ থেকে স্পষ্ট হয় যে, ‘দূরোহণ ব্রাহ্মণ’-এ ‘দূরোহণ’ শব্দের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
তদ্রূপ, লেখা আছে—
“যদ্গৌরিভীতং তস্যোক্তং ব্রাহ্মরণম্”
এর পূর্বে ঐতরেয় ব্রাহ্মণে এর ব্রাহ্মণ ব্যাখ্যা এভাবে করা হয়েছে—
“গৌরিভীতং ষোডশি সাম কুর্বীত। তেজস্কামো ব্রহ্মবর্চস্কামস্তেজো যং ব্রহ্মবর্চসং গৌরিভীতং। তেজস্বী ব্রহ্মবর্চসী ভবতি। য এভা বিদ্বান গৌরিবোতং ষোডশি সাম কুরুতে। নানং ষোডশি সাম কর্তব্যমিত্যাহুঃ।”
সূত্রসমূহ:
ভান্ডারকর, পুনা সংস্করণ
৩৪।১৮
পঞ্চিকা ৬। অধ্যায় ২৬। লণ্ড ৬। ঐতরেয় ব্রাহ্মণ, ভাগ ২, পৃঃ ৭৫৭, আনন্দাশ্রম, সন ১৯৩১
৪।১৮।৬, ভাগ ১
৮।৩৬।২।।, ঐতরেয় ব্রাহ্মণ
৪।১৬।২।।
এই ‘গৌরিভীত ব্রাহ্মণ’-এ গৌরিভীত শব্দের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
একই পরম্পরায়, অথাস্মা ঔদুম্বরীমাসন্দী সংবরণ্তি। তস্যা উক্তং ব্রাহ্মণম্ লেখা হয়েছে। এর পূর্বে ঐতরেয় ব্রাহ্মণে ইতিমধ্যে এর ব্রাহ্মণ বলা হয়েছে। যেমন—
“ঔদুম্বরি সমন্বারভন্ত ইষমূর্জমন্বারম্ভ ইত্যূর্জ্যা অন্নাদ্যামুটুম্বরো পই তদদেবা ইমূর্জ্য ব্যভজন্ত। তৎ উদুম্বরঃ সমভবত্তসমাত্রা ত্রিঃ সংস্কৎসরস্য পচ্যতে।”
উভট-যজুর্বেদের ভাষ্যে শ্রুতি শব্দের অর্থ ব্রাহ্মণ করা হয়েছে। যেমন— “শ্রুতির্বাহ্মণম্”।
এ থেকে জানা যায় যে, ব্রাহ্মণদের বক্তা-ঋষিরা এই শব্দের অর্থ ব্রহ্মের ব্যাখ্যা বোঝতেন।
ব্রাহ্মণ গ্রন্থে বহু স্থানে এভাবেই লেখা আছে— “ইত্যেক ব্যাখ্যানাঃ”, অর্থাৎ এই ঋচাগুলো সমান ব্যাখ্যাযুক্ত। এতটুকু লিখে এই মন্ত্রগুলিকে বাহ্মণ বলা হয় না। এ থেকেও বোঝা যায় যে, ‘ব্যাখ্যান’ শব্দই ব্রাহ্মণের সমার্থক।
৪. ব্রাহ্মণ গ্রন্থ কী?
যতগুলো শাখা প্রাচীনকাল থেকে প্রসিদ্ধ, প্রায় সবগুলির ব্রাহ্মণ গ্রন্থও বিদ্যমান ছিল। এই ব্রাহ্মণ গ্রন্থের বক্তৃতাও সেই ঋষিরা করেছেন, যারা তাদের সংহতির মন্ত্র রচনা করেছিলেন। শাখা-গ্রন্থের পাশাপাশি ব্রাহ্মণ গ্রন্থেরও নির্দেশ ছিল।
পাণিনীয় সূত্রে ব্রাহ্মণ গ্রন্থের দুটি ভাগ নির্দিষ্ট করা হয়েছে। একটি সূত্রে পাণিনি সাধারণ নির্দেশ দিয়েছেন— “ছন্দোব্রাহ্মণানি চ তদ্বিষয়াণি”। অন্য সূত্রে প্রাচীন ও অর্বাচীন দুটি বিভাগে ইঙ্গিত— “পুরাণপ্রোক্তেষু ব্রাহ্মরণকল্পেষু”।
পুরাণে উল্লেখিত এবং অর্বাচীন ব্রাহ্মণ গ্রন্থের সীমা কী ছিল? তা কি কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসের শাখা-প্রবচন ছিল? অর্থাৎ, কৃষ্ণ দ্বৈপায়নের শাখা-প্রবচনের আগে প্রোক্ত ব্রাহ্মণ প্রাচীন এবং তার শিষ্যদের দ্বারা প্রোক্ত ব্রাহ্মণ অর্বাচীন।
কাশিকার জ্যাদিত্য প্রমাণ করেন— পুরাণ-প্রোক্ত ব্রাহ্মণগুলিতে ভল্লব, শাট্যায়ন, ঐতরেয় এবং অর্বাচীন ব্রাহ্মণগুলিতে যাজ্ঞবল্ক্য বা শতপথ ব্রাহ্মণ উল্লেখিত। তিনি শতপথ ব্রাহ্মণকে অর্বাচীন মনে করেন।
সূত্রসমূহ:
৮/৩৬।৩।। ঐতরেয় গ্রন্থ
৫১২৪।৫।।
১৮১১।।, যজুর্বেদ, উভট-ভাষ্যসহ, সিদ্ধান্ত সাগর প্রেস, ১৬২৬
অর্থাৎ— বাক্, মন্ত্র, সত্য, বেদ, যজ্ঞ
(ক) ১০ ৪২২, বৈদিক কোষ, হংসরাজ, প্রথম সংস্করণ, লাহোর, ১৬২৬
(খ) ১০ ৭৬৩, ব্রাহ্মণোদ্দারকোষ, বিশ্ববন্ধু, হোশিয়ারপুর, संवत ২০২৩
(গ) ১০ ৬২৭, বাহী
(ঘ) ১০ ৩৭১, বাহী
(ঙ) পৃঃ ৬৬১, একই
৬।৭।৪।৬।। শ্রী গ্রন্থ, ভাগ ৩
৪।২।৬৬।।, অষ্টাধ্যায়ী, শ্রীশচন্দ্র বসু, প্রথম ভাগ, পৃঃ ৭২০, মোতিলাল বানারসীদাস, ১৬৬২
৪।৩।১০৫।। অষ্টাধ্যায়ী
৪।৩।১০৫।। কাশিকা, সম্পাদক—শর্মা প্রমুখ, সংস্কৃত পর্ষদ, উসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, হায়দ্রাবাদ, ১৯৬৬
ব্রাহ্মণ-এর আরেকটি নাম ওজসনেয় বাহ্রাণ। জ্যাদিত্য প্রাচীন ব্রাহ্মণদের সঙ্গে তাণ্ড এবং অর্বাচীন ব্রাহ্মণদের সঙ্গে সৌলভ ব্রাহ্মণ নামেরও উল্লেখ করেন।
৫. ব্রাহ্মণের অন্তর্গত বিদ্যার সম্পর্ক একটি আথর্বণ মন্ত্র
ব্রাহ্মণদের মধ্যে যেসব বিষয় সংরক্ষিত আছে, সেগুলির উল্লেখ আথর্ববেদের একটি মন্ত্রে পাওয়া যায়—
“তামিতিহাসশ্চ পুরাণং ব গাথাশ্চ নারাশংসীশ্চানুভ্যচলন্ ॥৩”
এই মন্ত্রে কোনো বিশেষ গ্রন্থের ইঙ্গিত নেই। সাধারণভাবে বিদ্যার বিশেষ বিষয়গুলোর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এই ইতিহাস, পুরাণ, গাথা, নারাশংসী ইত্যাদির সংগ্রহ ব্রাহ্মণ গ্রন্থে পাওয়া যায়।
৬. ব্রাহ্মণ-পর্যায়ের প্রচারণা
গ্রন্থভাষায় ব্রাহ্মণ শব্দের অন্য একটি সমার্থক “প্রবচন”। লেখা হয়েছে— “প্রবচন শব্দেন ব্রাহ্মণমুচ্যতে”। প্রাবচন-চরণকেও উল্লেখ করা হয়েছে।
গঙ্গারাজ শ্রীপুরুষের শক ৬৬৩ তম তাম্রশাসনে লেখা আছে—
“হারিত গোত্রস্য নীলকণ্ঠনামধেয়स्य প্রাবচনচরণস্য”।
ভারমিত্রোদয়ের আহ্নিক প্রকাশে একই অর্থ প্রকাশ পেয়েছে—
“বসিষ্ঠঃ শ্রপি চ কাঠকে প্রবচনে বিজ্ঞায়তে শ্রদ্য শ্বো বা বিজ্ঞনিষ্যমানঃ”।
অনুশাসন পার্ব অনুযায়ী, শ্রাদ্ধে ব্রাহ্মণ-প্রবচন পংক্তি-পবিত্র বলে গণ্য। যেমন—
“অগ্রয়া সর্বেষু বেদেষু সর্বপ্রবচনেষু চ”।
একই অর্থ অন্য স্থানে গোভিল-গৃহ্যকর্মপ্রকাশিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে। এখানে দশ প্রবচনকারীর তर्पণ বলা হয়েছে—
“শটিঃ, ভল্লবিঃ, কাল্ববিঃ, তাণ্ড্যঃ, বৃষারণঃ, শমবাহুঃ, রুরুকিঃ, অগস্ত্যঃ, বষ্কশিরাঃ, দূহঃ”।
৭. ব্রাহ্মণের সম্পর্ক বিজ্ঞায়তে শব্দ
বিজ্ঞায়তে শব্দের প্রথম ব্যবহার গোপথ ব্রাহ্মণে পাওয়া যায়। যেমন—
“আত্মা বং স যজ্ঞস্যেতি বিজ্ঞায়তে”, অর্থাৎ এটি যজ্ঞের আত্মা, এটি ব্রাহ্মণ থেকে জানা যায়। বিজ্ঞায়তে শব্দের অর্থ হলো— “শ্রুত্যন্তরে এই বিশেষতা আছে, নিজের শাখায় নেই।” এই ভাব প্রকাশ পায় পুরুষোত্তমের প্রবরমঞ্জরী থেকে।
সূত্রসমূহ:
৪।৩।১০৬।। গণপাঠ, কপিলদেব শাস্ত্রী, কুরুক্ষেত্র
৪।২।৬৬।। কাশিকা
১৫।৬।১১।। সাতবালেকর, স্বাধ্যায়মন্ডল, ১৬৫৮
৮।৮।।, পুষ্পসূত্র, পৃঃ ১০৬, লক্ষ্মণ শাস্ত্রী, চৌঃ সংঃ সিঃ, ১৬২৩
পৃঃ ৩৪১, সংখ্যা ২০, প্রথম ভাগ, ভাগবদ্দত্ত, দ্বিতীয় সংস্করণ, অমৃতসর, संवত ২০১৩
Epigraphia Indica, Vol. XXVII, p. 151
পৃঃ ৫৬৪, নিত্যনন্দ শর্মা, চীঃ সংঃ সিঃ, ১৬১০
৬০/২৮।।, ভাণ্ডারকর, পুনে সংস্করণ
পৃঃ ৩০০, শুকদেব বর্মা, ১৯৩২
২।২।৬।। ১০ ১০৬, রাজেন্দ্রলাল মিত্র, কলকাতা, ১৮৭২
পৃ০ ১৪, ১৫
ঐতরেয় ব্রাহ্মণে বিজ্ঞায়তে শব্দটিও পাওয়া যায়। তবে এখানে এর অর্থ কিছু ভিন্ন। বিজ্ঞায়তে শব্দের ব্যাখ্যা নিম্নলিখিত স্থানে খুঁজে দেখা উচিত—
(ক) গৌতম ধর্ম সূত্র ১১।১১।। এবং ১১।১৬।।, মস্করি ভাষ্যসহ।
(খ) ঋক্সর্বানুক্রমণী ১।১।।, ষড়গুরু-শিষ্য প্রথা অনুযায়ী।
(গ) বোধায়ন ধর্ম সূত্রে গোবিন্দ স্বামীয়ের বর্ণনা একই অর্থ প্রকাশ করে।
(ঘ) সায়ণও নিজের ঋগ্বেদ ভাষ্যে একই অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন।
শ্রোত্র, গৃহ্য, শুল্ব, ধর্ম সূত্র, নিরুক্ত ও নিদান ইত্যাদি গ্রন্থে, যেমন তৈত্তিরীয়াদি সংহিতায় ব্রাহ্মণ প্রবচন এবং ব্রাহ্মণান্তর্গত বচনকে প্রায়শই “বিজ্ঞায়তে” বলে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
কিন্তু এখনো জানা যায়নি কেন এই শব্দটি ব্রাহ্মণ বচনের দ্যোতক হিসেবে ধরা হয়েছে। ধূর্ত স্বামী ঘাপস্তম্ব সূত্রের টীকা এবং যাজ্ঞবাল্ক্য স্মৃতি-র বালক্রীড়া টীকা-তেও একইরকম উল্লেখ রয়েছে।
সূত্রসমূহ:
৪।১৮।৮।।
(ক) ধর্মস্য হ্যশংভাগ্ভবতীতি বিজ্ঞায়তে ১১।১১।।
(খ) ব্রহ্মপ্রসুতং হি ক্ষত্রমৃদ্যতে নি ব্যথতে ইতি চ বিজ্ঞায়তে ১১।১৬।। গৌতম ধর্ম সূত্র, মস্করি ভাষ্যসহ, ১৬৬৬পৃঃ ১, কাত্যায়ন কৃত ঋক্সর্বানুক্রমণী, ম্যাকডানেল, অক্সফোর্ড, ১৮৮৬
অধ্যায় ৪, খণ্ড ৬, ১৫।।, চিন্ন স্বামী শাস্ত্রী, চৌঃ সংঃ সিঃ, ১৬৯১
পৃঃ ৫, পংক্তি ৬, ভাগ প্রথম, ঋগ্বেদ, সায়ণ ভাষ্যসহ, ম্যাক্সমুলার, চৌঃ সংঃ সিঃ, ১৬৬৬
২।৫।২।।; ২।১১।৬।।, আপনি:আপস্তম্ব শ্রৌত সূত্র, ধূর্ত স্বামী টীকা সহ, মাইসুর, ১৬৪৫
(ক) ১।১০।১৫।।; ৩।৫।৭।। আশ্বলায়ন গৃহ্য সূত্র, ভবানি শঙ্কর শর্মা, মুম্বাই, ১৬০৬
(খ) ১।৩।১৪।।; ২।৫।৭২।। বোধায়ন গৃহ্য সূত্র, শাম শাস্ত্রী, মাইসুর, ১৬২০
(গ) ২৪।২০।। কাঠক গৃহ্য সূত্র, পৃঃ ৮৭, ক্যালেন্ড, লাহোর, ১৬২৫৩০০৮।।, ১০ ৪০৬, ভাগ ৩, বোধায়ন শুল্ব সূত্র, ক্যালেন্ড, কলকাতা, ১৯১৩
১১৩৬।।; ১১৪৬শা; ৪১৩॥; ৫।৮।।; ১১১৪।; ২।৩১॥; ২৩।৩৩॥, বাসিষ্ঠ ধর্ম শাস্ত্র, ফিউহেরার, পুনে, ১৯৩০
২০১১০; ২০১৮
৩।৫।।, পৃঃ ৪৬, নিদান সূত্র, ভাটনাগর, দিল্লি, ১৯৭১
বিস্ময়করভাবে, নীরুক্ত ৪।৪।।-এ ঋগ্বেদীয় মন্ত্রস্থ পদগুলোকে “ইতি বিজ্ঞায়তে” বলে উদ্ধৃত করা হয়েছে। একইভাবে বোধায়ন পিতৃ সূত্র ১।১৩।৬।।-এও বলা হয়েছে “দাশতয়ে বিজ্ঞায়তে”
পৃঃ ৩১, নরসিংহাচার, মাইসুর, ১৬৪৫
এখানে বিজ্ঞায়ত ইতি শ্রুত্যুপন্যাস অনুযায়ী, পৃঃ ১২০, ভাগ ২, গণপতি শাস্ত্রী, ত্রিবেন্দ্রম, ১৬২৪
দুর্গাচার্য নীরুক্ত টীকা ২।১২।। এবং ২।১৭।।-এ ইতি বিজ্ঞায়তে শব্দের অর্থ এবং ब्राह्मणेऽपि विज्ञायते-কে বিবেচনা করলে তা প্রকাশ পায়।
৮. ব্রাহ্মণের দুটি প্রকার
ভট্ট ভাস্কর, তৈত্তিরীয় সংহিতার ভাষ্য ভূমিকায় লিখেছেন—
“দ্বিভিদং ব্রাহ্মণং। কর্ম-ব্রাহ্মরণং, कल्प-ব্রাহ্মণং চেতি।।”
অর্থাৎ তৈত্তিরীয় সংহিতা এবং ব্রাহ্মণ গ্রন্থে দুই প্রকার ব্রাহ্মণ রয়েছে। একটি হলো কর্ম ব্রাহ্মণ, অন্যটি হলো कल्प ব্রাহ্মণ।
কর্ম ব্রাহ্মণ কেবল কর্মের বিধান এবং মন্ত্রের ব্যবহার বলে, প্রশংসা বা নিন্দা নয়।
कल्प ব্রাহ্মণ শুধুমাত্র মন্ত্রের পাঠ, ব্যবহার নেই।
ভট্ট ভাস্কর প্রদর্শিত এই সংজ্ঞাগুলি কতটা প্রাচীন তা চিন্তা করার বিষয়। তিনি ব্রহ্ম শব্দের অর্থও ব্রাহ্মণ ধরেন, যেমন— ব্রহ্মণামন্ত্রৈর্াহ্মণৈর্া।
৬. আট প্রকারের ব্রাহ্মণ
সায়ণ, তৈত্তিরীয় আরণ্যকের ব্যাখ্যায়, বৃহদারণ্যক উপনিষদের প্রমাণ অনুযায়ী ব্রাহ্মণের আট প্রকার দেখান—
“ব্রাহ্মণং চাষ্ঠধাভিন্নম্। তদ্ভবাস্তু, ওয়াজসনেয়ীভিরাম্নায়তে ইতিহাস, পুরাণং, বিদ্যা, উপনিষৎঃ, শ্লোকা, সূত্রাপ্যঅনুভ্যাখ্যানি, ব্যাখ্যানানি ইতি।”
আচার্য শঙ্করও বৃহদারণ্যক উপনিষদের একই স্থানে ব্রাহ্মণের এই আট বিভাগ লিখেছেন।
১০. অনুব্রাহ্মণ
অষ্টাধ্যায়ী-এ একটি সূত্র আছে— “অনুব্রাহ্মরণাবিনিঃ”।
কাশিকাকার জয়াদিত্য লিখেছেন—
“ব্রাহ্মণসদৃশোয়ং গ্রন্থো অনুব্রাহ্মণম্।”
প্রায় সকল টীকারকারই লিখেছেন, এটি ব্রাহ্মণ নয়, তবে ব্রাহ্মণের সমান গ্রন্থকে অনুব্রাহ্মণ বলা হয়।
কিছু লোক সামবেদের ছোট ছোট ব্রাহ্মণ থেকেও যেকোনো একটি অনুব্রাহ্মণ বলে অভিহিত করেন।
সত্যব্রত সামশ্রমী আর্ষেয় ব্রাহ্মণকে মুখপৃষ্ঠে অনুব্রাহ্মণ লিখেছেন।
নীরুক্তালোচনে বলা হয়েছে—
“তাণ্ড্যাংশভূতানি, তাণ্ড্যপরিশিষ্টভূতানি, বা অনুব্রাহ্মণানি বা অপরাণ্যাপি সপ্তাধীয়ন্তে চ।”
অর্থাৎ—অগ্নিই হলো যজ্ঞ এবং বনস্পতিই যজ্ঞের যোগ্য। মানুষ যজ্ঞ করতে পারে না যদি বনস্পতি না থাকে। তাই বলা হয়েছে, বনস্পতিই যজ্ঞের যোগ্য।
এ থেকে প্রকাশ পায় যে যজ্ঞের জন্য বনস্পতি হলো উপযুক্ত উপাদান। পশু ইত্যাদির বলি কেন এবং কবে থেকে শুরু হলো, ব্রাহ্মণদের মধ্যে বলির প্রক্রিয়া সর্বত্র পাওয়া যায় কি না—এগুলি সব আলাদাভাবে বিবেচনার বিষয়।
(ত) দেবতা
ব্রাহ্মণ গ্রন্থে সমস্ত যজ্ঞের হাভি গ্রহণকারী দেবতাদের উল্লেখ আছে। এই দেবতা দুই প্রকারের—একটি হলো মানুষদেব এবং অন্যটি ভৌতিক দেব।
মানুষদেবদের সম্পর্কে ব্রাহ্মণ লিখেছে—
২।১।৩।। ষড়্বিংশ ব্রাহ্মণ
৩।৪।৫।। একই
৩।২।২।৬।। শতপথ
সূত্রসমূহ:
নীরুক্ত, ভদকমকর, মুম্বাই, ১৯১৮
১।৮।১।।, ভাগ ৩, পৃঃ ১০৫, মাইসুর, ১৮৬৫
একই
৭৭৪।১২।।, তৈঃ সংঃ, পৃঃ ৭৪, ভাগ ১২, মাইসুর, ১৮৬৮
৮।২।।, দ্বিতীয় ভাগ, পৃঃ ৫৬৩, আনন্দাশ্রম, পুনে, ১৬২৭
২।৪।১০।।, বৃহদারণ্যক উপঃ, শঙ্কর ভাষ্যসহ, আনন্দাশ্রম, পুনে, ১৬২৭
৪।২।৬২।।, পূর্বে দেখানো হয়েছে
পৃঃ ১৬৭, কলকাতা, ১৬০৭
এই লেখার অর্থ হলো সত্যব্রত বলছেন, সামবেদের তাণ্ড্য বাদে বাকী সাতটি ব্রাহ্মণকে অনুব্রাহ্মণ ধরা যেতে পারে। নিধান সূত্রেও প্রায়শই অনুব্রাহ্মণ বলে বিভিন্ন প্রমাণ উল্লেখিত হয়েছে।
ভট্ট ভাস্কর, তৈত্তিরীয় সংহিতা ১১৮।১।।-এর ভূমিকায় তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণান্তর্গত ১১৬।১১।১।। উদ্ধৃত করে লিখেছেন—
“অনুব্রাহ্মণং চ ভবতি—অষ্টাভেতানি হवींষি ভবন্তি। ইতি।”
মাধব, তার তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ ভাষ্যে ১।৬।১।।-এ ব্যবহৃত এই অনুবাকের সব ব্রাহ্মণের নাম উল্লেখ করেছেন। শাঙ্কহায়ন শ্রৌত ভাষ্যকার আনর্তীয় বরদত্ত লিখেছেন—
“অথ রাজসূয়স্য অনুব্রাহ্মণং” এবং “এত্থ অনুব্রাহ্মণমেতত্ মহাকৌষীতকোদাহৃতং, कल्पকারেণাধ্যায়ত্রয়ং।”
এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, कल्प সূত্রকাররা ব্রাহ্মণ গ্রন্থের যে অংশটি कल्प সূত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছেন, তা হলো অনুব্রাহ্মণ, যা ব্রাহ্মণদের অন্তর্বিভাগের সমান।
অনুপ্রবচন শব্দও ব্যবহৃত হয়েছে। অষ্টাধ্যায়ী-এ দেখা যায় যে, ব্রাহ্মণের সমার্থক শব্দ হলো প্রবচন, অনুপ্রবচন কি অনুব্রাহ্মণের সমার্থক।
১১. ব্রাহ্মণাচ্ছন্সি
মন্ত্রে বহু স্থানে এই শব্দ পাওয়া যায়। তৈত্তিরীয় সংহিতার কিছু স্থানে ভট্ট ভাস্কর লিখেছেন—
“ব্রাহ্মণা-দাহৃত্য শংসতি ব্রাহ্মণানি শংসতি বা।”
এটি নির্দেশ করে, ব্রাহ্মণ গ্রন্থের ওচন থেকে যে প্রশংসা করা হয়েছে। মহাভাষ্যকারও লিখেছেন—
“ব্রাহ্মণানি শংসতীতি ব্রাহ্মণাচ্ছন্সি। ব্রাহ্মণে ভ্যোহ গ্রহীৎ করা… শংসতীতি ব্রাহ্মণাচ্ছন্সি।”
অর্থাৎ, যা ব্রাহ্মণদের থেকে নেওয়া হয়েছে, তা অনুব্রাহ্মণ হতে পারে। তবে, ইতিহাস অনুযায়ী মন্ত্রের আগে অন্য কোনো ব্রাহ্মণ ছিল না।
সূত্রসমূহ:
কুমারিল—সবকেই ব্রাহ্মণ মনে করেন। তন্ত্রবাতিক ১১৩।১২।।, মীমাংশা দর্শন, শাওয়ার ভাষ্যসহ, আনন্দাশ্রম, পুনে, ১৬২৬
ভট্টনাগর, দিল্লি, ১৬৭১
১।৬।১।।, তৈঃ সংঃ, মাইসুর, ১৮৬৫
৪।১০।১।।, ব্যাকরণ শাস্ত্রের ইতিহাস, প্রথম ভাগ, ইউ. মি., পৃঃ ২৪৩, দ্বিতীয় সংস্করণ
৫০১।১১
১।৮।১৮।। ভাগ ৩, পৃঃ ২০৩
৬।৩।২।।, পৃঃ ১৪২, ভাগ ৩, কিলাহানং, মুম্বাই, ১৬০৬