মহাভারতের যুদ্ধে বর্ণনা আছে সেখানে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র আজকের আধুনিক যুগের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র গুলির সাথে অদ্ভুত রকমের সাযুজ্জ্য রাখে।
১৯৪৫ সাল। বহু প্রতিষ্ঠিত ম্যানহাটন প্রোজেক্ট অবশেষে সফল। বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক বোমা বানানোর কাজ শেষ। ডঃ ওপেন হাইমার এক বিশাল সভায় বক্তৃতা রাখছেন। তাঁর দুই চোখ সিক্ত। কে বলতে পারে এই অশ্রুধারা আবিষ্কার-এর আনন্দে ঝরে পড়া সাফল্যের বহিঃপ্রকাশ না আগামী দিনের ধ্বংসের উত্সের সৃষ্টির গ্লানি। কথা প্রসঙ্গে উনি ভগবত্ গীতার একটি পংক্তি বলে উঠলেন, ‘I am death’. অর্থাত্ , আমিই মৃত্যু।
১৯৪৫ সাল। বহু প্রতিষ্ঠিত ম্যানহাটন প্রোজেক্ট অবশেষে সফল। বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক বোমা বানানোর কাজ শেষ। ডঃ ওপেন হাইমার এক বিশাল সভায় বক্তৃতা রাখছেন। তাঁর দুই চোখ সিক্ত। কে বলতে পারে এই অশ্রুধারা আবিষ্কার-এর আনন্দে ঝরে পড়া সাফল্যের বহিঃপ্রকাশ না আগামী দিনের ধ্বংসের উত্সের সৃষ্টির গ্লানি। কথা প্রসঙ্গে উনি ভগবত্ গীতার একটি পংক্তি বলে উঠলেন, ‘I am death’. অর্থাত্ , আমিই মৃত্যু।
মহাভারতের সময়ও হয়েছিল পারমানবিক যুদ্ধ। সে সময়ে দাঁড়িয়ে পাণ্ডব ও কৌরবদের মধ্যে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই বড় মাপের যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল বিভিন্ন উন্নতমানের অস্ত্র। সেই সমইয়ের প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্রগুলি ছাড়া এই যুদ্ধ অসম্পূর্ণ থাকতো। মহাভারতের দ্রোণা পর্বে পুরো সেনা বাহিনী একটি বিষ্ফোরণের ফলে ধ্বংস হয়ে গেছিল। ধ্বংস হয়েছিল হাতি, ঘোড়া, এলাকার গাছ পাতা সমস্ত।
মহাভারতের যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল ঙ্গা অস্ত্র। এই অস্ত্র সাপের মত কাজ করত। এযুগের হিট সিকিং মিসাইলের সঙ্গে এই অস্ত্রের তুলনা করাই যায়। সম্মোহনা অস্ত্র নামক একটি অস্ত্র থেকে গ্যাস নিঃসৃত হত। এর ফলে শত্রুপক্ষ শারীরিক ও মানসিকভাবে আক্রান্ত হত। ‘মন্ত্র’ বলে একটি অস্ত্র ছিল যেটির শব্দ দিয়েই আক্রমণ করা হত।
‘বাসবী শক্তি’ অস্ত্র থেকে বিদ্যুতের মত আলো বের হত। এটি একবারের বেশি ব্যবহার করা যেত না। আজকের বাস্টার লঞ্চারের সঙ্গে এর তুলনা করা যায়। দেবরাজ ইন্দ্র এই প্সত্র কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে প্রদান করেছিল। এই অস্ত্র প্রথম রামায়ণে ইন্দ্রজিৎ লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিলেন।
ব্রহ্মাস্ত্র অস্ত্র মহাভারতের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত সোলার সিস্টেমকে ধ্বংস করার জন্য সক্ষম ছিল এই অস্ত্র। পুরাণে বলা আছে এই অস্ত্র প্রয়োগ করলে সমুদ্রের জল শুকিয়ে যাবে, পাহাড় ধ্বংস হয়ে যাবে।
মহাভারতে এই ধরণের প্রচুর অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছিল যার প্রযুক্তি আজকের অস্ত্রের সঙ্গে রীতিমত পাল্লা দিতে পারে। বিস্ফোরণ ধ্বংস, পারমানবিক যুদ্ধের সবই উল্লেখ আছে এই যুদ্ধে।
মহাভারতের যুদ্ধের ষোড়শতম দিন। আকাশের প্রেক্ষাপট রক্তাভ হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে কর্ণ ধনুতে ভার্গভ অস্ত্র যোগ করলেন। সমগ্র কৌরব সেনা আনন্দে আত্মহারা। এবার বোধহয় পাণ্ডবদের পরাজয় আসন্ন। কৃষ্ণের আদেশে অর্জুনও ব্রহ্ম অস্ত্র প্রয়োগ হেতু গাণ্ডীব ওঠালেন। চারিদিকে ভীষণ শব্দ। সমগ্র ধরিত্রী যেন অস্ত্রের তেজে রসাতলে যাবার যোগাড়। ইতিমধ্যে রাধেয় তার বিজয় ধনু থেকে নিক্ষেপ করলেন সেই মহাভার্গব অস্ত্র। কি আশ্চর্য! একটি ভার্গব অস্ত্র থেকে অসংখ্য হুতাসনের ন্যায় প্রজ্জ্বলিত শর পাণ্ডবদের ওপর আছড়ে পড়ল।
দ্রোণ পর্ব– পিতার মৃত্যু সংবাদে ক্রুদ্ধ অশ্বত্থামা মহারোষে পাণ্ডবদের ওপর নারায়ণ অস্ত্র ছুঁড়লেন। সেই মহাশক্তি প্রয়োগ মাত্রই ঝড়, বৃষ্টি ও বজ্রপাত আরম্ভ হল। সূর্যদেব মলীন হয়ে উঠলেন। সাগর উথলিয়ে উঠল আর ঢেউয়ের তাণ্ডবে সব ভেসে গেল। কি অদ্ভুত সামঞ্জস্য। নারায়ণ অস্ত্র আর তেজে সমগ্র ভূমণ্ডলের যে ত্রাহি ত্রাহি রবে ভরে ওঠার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তার অনেকাংশই হিরোসিমা ও নাগাসাকি-র বিস্ফোরণের সাথে মিল রাখে। যে কোনও পারমাণবিক বিস্ফোরণকে সবথেকে ভয়াবহ আকার প্রদান করে তার থেকে নির্গত তেজস্ক্রিয় Radiation আর এই অভিশাপ বহু প্রজন্ম ধরে সমগ্র মানব জাতিকে স্থালন করতে হয়। সৌপ্তিক পর্বে দেখতে পাই অশ্বত্থামা- ভীত, সন্ত্রস্ত ও শ্রান্ত হয়ে ব্যাসদেবের ছত্রছায়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। ক্রুদ্ধ পঞ্চপাণ্ডব এই সংবাদ পাওয়া মাত্রই কৃষ্ণ-সহ দ্রোণ তনয়কে সমুচিত শিক্ষা দিতে সেই স্থানে চলেছেন। আত্মরক্ষার তাগিদে দ্রোণ-নন্দন পিতার প্রাদন করা ব্রহ্মশির নামক এক মহাঘাতক বাণ পাণ্ডবদের ওপর প্রয়োগ করে বসলেন। অর্জুনও এর জবাবে পাশুপত অস্ত্র প্রেরণ করলেন। দুই মহাশক্তির তেজে পৃথিবীকে আর বাঁচানো গেল না। এই সময় প্রকৃতির যে রুদ্র রূপ ধারণ করার বর্ণমা আছে তা অনেকটা এই রকম— আকাশ রক্তিম হয়ে উঠেছে। দ্বাদশ সূর্যের তেজে পৃথিবী ছারখার হয়ে যাচ্ছে। হুতাশনের ক্রুদ্ধ আলিঙ্গনে আবদ্ধ হয়ে প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের লোপ পাওয়ার দশা। আর এর পরেই এক অদ্ভুত আঁধারের চাদরে চারপাশ ঢেকে যাচ্ছে। ধরিত্রীর এই আর্তনাদে কাতর ব্যাসদেব দুই মহাবীরকে তাঁদের অস্ত্র ফিরিয়ে নিতে বলেন। সব্যসাচী পারলেও অশ্বত্থামা পারেননি। এর ফল স্বরূপ দ্রোণ-তনয়কে তাঁর ললাটে শোভা পাওয়া সামন্তক হীরা সমর্পণ করতে হয় পাণ্ডবদের কাছে। ব্রহ্মশির নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার খেসারত কিন্তু পরে রাজকুমারী উত্তরাকে দিতে হয়েছিল। রাজকুমারীর গর্ভে তখন অভিমন্যুর সন্তান। প্রসবকালে দেখা গেল তিনি একটি মৃত পুত্রের জন্ম দিয়েছেন। পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের কয়েক দশক পরেও হিরোসিমায় বহু জননী এই রূপ মৃত সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বলে কথিত আছে। আর একটি ব্যাপার লক্ষ্য করুন, এই দুই বীরকে ব্যাসদেব নিজেদের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছেন। এই নিয়ন্ত্রণ কি আজকের দিনের বহু চর্চিত Control Nuclear Reaction? কে বলতে পারে?
যে কোনও পারমাণবিক বিক্রিয়া দুই রকমের হয়। ১. Nuclear Fission Reaction এবং আরেকটি 2. Nuclear Fusion Reaction
Fission Reaction-এ একটি অণু বহু নতুন অণুকে জন্ম দেয়। আর Fusion বিক্রয়ায় বহু অণু একটি মহাশক্তির উত্স তৈরি করে। এই দুইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় বিক্রিয়াটি আরও শক্তিশালী ও ভয়ঙ্কর। আধুনিক যুগের Hydrogen বোম এই প্রযুক্তিতে তৈরি। মহাদেবের পাশুপত অস্ত্র এই শক্তির ওপরেই আধারিত। মহিষাসুরের বিনাশ হেতু দেবকুল মা দুর্গাকে আবাহন করেছিলেন। তাঁকে সমগ্র দেবগণ নিজেদের শক্তি প্রদান করেছিলেন। কে বলতে পারে সেই অপার সম্মিলিত শক্তি Fusion বিক্রয়া নয়?
💮বাসবী_শক্তি
এই অস্ত্রটা ছিল ইন্দ্রর। এটা কর্ণকে দেবরাজ দিয়েছিলেন। এটা আসলে একটা মন্ত্রপূত তীর। এটার শর্ত ছিল, কেবলমাত্র একবারই ব্যবহার করা যাবে এই অস্ত্র। আর এটা কখনওই বিফল হবেনা। যাকে উদ্দেশ্য করে এই অস্ত্র ছোঁড়া হবে, সে যেখানেই থাকুক, এই শক্তি গিয়ে তার মাথাতেই লাগবে, আর সাথে সাথে তার মৃত্যু ঘটবে। এটা কর্ণ বহুবছর ধরে সংরক্ষণ করে রেখেছিল অর্জুনকে বধ করার জন্য, কিন্তু যখন ভীমের পুত্র ঘটৎকচ এসে যুদ্ধে প্রচুর কৌরবসেনা মারছিল, তখন বাধ্য হয়েই কর্ণ এই শক্তি ব্যবহার করে ঘটৎকচকে বধ করে। আর চিরতরে হারায় এই অস্ত্রটা।
🔅নারায়ণাস্ত্র
নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে এটা নারায়ণের অস্ত্র ছিলো। এই অস্ত্রটা ছিলো তিনজনের কাছে। দ্রোণাচার্য, অশ্বত্থামা আর কৃষ্ণ। কিন্তু যেহেতু কৃষ্ণ অস্ত্রধারণ করবেননা বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলেন, তাই যুদ্ধক্ষেত্রে এটা বাকি দুজনের কাছেই ছিলো। এটাও একটা তীর। তবে এর ব্যবহার ছিলো অদ্ভুত। নিক্ষেপ করার পরে এটা একটা তীর থেকে দশ হাজার তীর সৃষ্টি করতে পারতো। আর সামনের দশহাজার জনকে একসাথে মারার ক্ষমতা ছিলো। অশ্বত্থামা এটা একবার ব্যবহার করেছিলেন পাণ্ডব সৈন্যদের একসাথে শেষ করার জন্য। তবে এই অস্ত্রটার আবার একটা মজার জিনিস ছিলো এই অস্ত্র যিনি ব্যবহার করতে জানতেন, তিনি এটা ঠেকাতেও জানতেন। যেহেতু কৃষ্ণ এর ব্যবহার জানতেন, আর অশ্বত্থামা কৌরবপক্ষ থেকে পাণ্ডবদের দিকে এই তীর নিক্ষেপ করেছিলেন, তাই কৃষ্ণ এই প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়ে এটাকে নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছিলেন।
🔰পাশুপত
শিবের তপস্যা করে অর্জুন এই অস্ত্র লাভ করেছিলেন শিবের থেকে। সৃষ্টি বিনাশ করার ক্ষমতা ছিল এই অস্ত্রের। কিন্তু মহাভারতে এর ব্যবহারের কোনও উল্লেখ নেই।
🌟ব্রহ্মাস্ত্র
মহাভারত, পুরাণ, রামায়ণ সবজায়গাতেই পাইকারিরেটে যে অস্ত্রের নাম পাওয়া যায় সেটা হল ব্রহ্মাস্ত্র। পৌরাণিক কালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর শক্তিশালী অস্ত্র ছিল এই ব্রহ্মাস্ত্র। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল এই ব্রহ্মাস্ত্রকেই কিন্তু নিউক্লিয়ার বোমের অনুপ্রেরণা হিসেবে ধরা হয়। কারণ ব্রহ্মাস্ত্র ব্যবহার করার পরে একটা বিশাল এক্সপ্লোশনের কথা পাওয়া যায়। আর গোটা এলাকা একদম নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিলো এই অস্ত্রের।
🪂ব্রহ্মশিরা
এটাও ব্রহ্মারই দানের অস্ত্র। এই অস্ত্রের মজার বিষয় হল এটা যার প্রতি নিক্ষেপ করা হবে, সে তো মারা যাবেই। এর মন্ত্রবলে আগামি বেশ কয়েকটা প্রজন্মও মৃতসন্তান হিসেবে জন্মাবে। অশ্বত্থামা এটা অর্জুনের উপর নিক্ষেপ করলেও কৃষ্ণের করুণায় অর্জুন বেঁচে যায়। কিন্তু মারা যায় অর্জুনের নাতি পরিক্ষীত। কিন্তু কৃষ্ণের আশীর্বাদে সেও পরে জীবন ফিরে পায়।
এ ছাড়াও নিজস্ব অস্ত্রের মধ্যে ছিলো কৃষ্ণের #সুদর্শন_চক্র। যেটা তিনি যুদ্ধে একবার বের করলেও ব্যবহার করেননি নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার জন্য।
এগুলো তো গেল রথীমহারথীদের অস্ত্রের কথা। এবার সাধারণ সেনাবাহিনীদের অস্ত্রগুলো নিয়েও বলি। সেগুলোও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।
🚀তোমর
এটা ঘোরসওয়ার সৈন্যদের কাছে থাকতো। এটা দেখতে ছিল অনেকটা ঝাঁটার মতো। কিন্তু জিনিসটা লোহার। এটাকে শস্ত্র বলা যেতে পারে। এটা দিয়ে একবার কারওর গায়ে সজোরে মারলে হাড় পর্যন্ত গুঁড়ো হয়ে যেত। এতই ক্ষমতাধর ছিলো এই শস্ত্র।
🔱কচ_গ্রহ_বিক্ষেপ
এটা একটা অদ্ভুত শস্ত্র ছিল। লম্বা লাঠির মাথায় একটা ছোট্ট কাপড়ের পুঁটলি। আর সেই পুঁটলিতে ছিল সাংঘাতিক শক্তিশালী আঠা। সেই লাঠিটা কারও মাথায় একবার ঠেকাতে পারলেই চুল মাথা ছিঁড়ে চলে আসবে তবু আঠা থেকে মাথা আলাদা হবেনা।
⚜কর_গ্রহ_বিক্ষেপ
এও এক ভয়ানক শস্ত্র ছিল। দুপাশে দুটো আর মাথায় একটা লোহার আঁকশি লাগানো লম্বা লোহার দন্ড। এটা কারও পেটে একবার ঢুকিয়ে টান মারলেই নাড়িভুঁড়ি সব ছিঁড়ে বেরিয়ে আসত।
এছাড়াও গদা, তীর, ধনুক, বল্লম, ত্রিশূল, লাঠি, বর্শা এগুলো তো ছিলই। এমনকি লাঙলও ব্যবহার হয়েছে যুদ্ধে।
তবে সবচেয়ে শক্তিশালী যে অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে মহাভারতে তা হল কৃষ্ণের বুদ্ধি। যেটার জোরেই শেষ পর্যন্ত পাণ্ডবরা জয়ী হয়। নাহলে পাণ্ডবদের সাত অক্ষৌহিণী সৈন্য নিয়ে কৌরবদের এগারো অক্ষৌহিণী সৈন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে জেতা যথেষ্টই কষ্টকর হত।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ