জিজিয়া কর আদায় কালে মুসলিমরা ভারতীয়দের হিন্দু নামে চিহ্নিতকরণ করতো, আরবী, ফার্সি, ও উর্দু শব্দকোষ এমন কি বিশ্বকোষেও লেখা আছে হিন্দু মানে চোর, লুচ্চা, লাফাঙ্গা, দাগাবাজ, শরাবি, বদমাশ,কাফের, কালা আদমি।
হিন্দু শব্দটি এসেছে পার্সিয়ান থেকে।হিন্দু শব্দটি হচ্ছে পার্শি শব্দ । যার অর্থ হীন্ বা নীচতা । যদি হিন্দু শব্দের লম্বা উচ্চারণ করা হয় তাহলে দেখা যাবে হিন্-ন্-ন্ –ন্ –দু । এখানে হিন্ শব্দটি প্রধান । আর হীন্ মানে নীচ্ বোঝায় । গেবিন ফ্লাডের মতে, "আসল পরিভাষা হিন্দু প্রথম দেওয়া হয় পার্সিয়ান ভৌগোলিক পরিভাষা থেকে যা দ্বারা সিন্ধু নদীর পাশে বসবাসকারী লোকেদের বোঝানো হত[ Flood, Gavin D. (১৯৯৬)। An Introduction to Hinduism। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 6। আইএসবিএন 0521438780।]। হিন্দু শব্দটি পরবর্তীতে মাঝে মাঝে ব্যবহার করা হয়েছিল কিছু সংস্কৃত লেখায় যেমন কাশ্মীরের বিখ্যাত লেখক কলহনের লেখা রাজতরঙ্গিনীতে (হিন্দুকা সি. ১৪৫০)।
A Persian dictionary titled Lughet-e-Kishwari, published in Lucknow in 1964, gives the meaning of Hindu as ‘chore (thief), dakoo (dacoit), raahzan (waylayer), and ghulam (slave)’. Yet according to an other dictionary named Urdu-Feroze-ul-Laghat – part 1 (p 615), the meaning of the word Hindu is as under: In Turkish: chore, raahzan and lutera (looter). In Persian: ghulam (slave), barda (obedient servant), sia faam (black color) and kaalaa (black). The hypothesis that Persians had difficulty in pronouncing Sindhu is baseless and preposterous. For example, how do the Persians who are Shia Muslims pronounce words like Shia, Sunni and Shariat? In Punjabi there are many, many words of Persian origin, which start with “s” and “sh.” For example, sardar or sirdar (leader), shaheed (martyr), shhadat (martyrdom) shair (lion), sahir (town), sar (walk) shayer (poet), shakar (sugar), sja (punishment), siahi (black ink), siah(black) and so on. The word Punjab is also derived from Persian panch and aab (five waters).
“The political situation of our country from centuries past, say 20-25 centuries has made it very difficult to understand the nature of this nation and its religion. The western scholars, and historians, too, have failed to trace the true name of this Brahmanland, a vast
continent like country, and therefore, they have contended themselves by calling it by that meaningless term “Hindu.” This word, which is a foreign innovation, is not made use by any of our Sanskrit writers and revered Acharyas in their works. It seems that political power was responsible for insisting upon continuous use of the word Hindu. The word Hindu is found, of course, in Persian literature. Hindu-e-falak means “the black of the sky’ and Saturn.” In the Arabic language Hind not Hindu means nation. It is shameful and ridiculous to have read all along in history that the name Hindu was given by the Persians to the people of our country when they landed on the sacred soil of Sindhu.” [R. N. Suryanarayan, Universal
Religion, p 1-2, published from Mysore in 1952.]
The Heart of Hinduism: The Eastern Path to Freedom, Empowerment And Illumination, By Stephen Knapp, page 522
|
Lughat e kishwari ৮২২ পৃঃ |
|
Lughat e kishwari |
pdf
পন্ডিত মহেন্দ্র পাল আর্যের কাছেও বিষয় টি জানতে পারবেনঃ ভিডিও
হিন্দু এই শব্দের ব্যুৎপত্তি বিষয়ে ভাষাতত্ত্ববিৎ পন্ডিতগণের ভিন্ন ভিন্ন মত আছে। কোন মতে "হিন্দু" শব্দটি সংস্কৃত ও চির প্রচলিত। অন্যমতে প্রাচীন ইংরাজী ভাষাতে "হেন্দু" শব্দের অপভ্রংশ। অনেকের মত হিন্দু শব্দ সংস্কৃতে আছে এবং বৈদিক যুগ থেকে আমরা নিজেদের হিন্দু নাম গূঢ় এবং গভীর অর্থেই ব্যবহার করে আসছি। আমাদের হিন্দু নামের কারণ
আসিন্ধুসিন্ধুপর্যন্ত। যস্য ভারতভূমিকা
পিতৃভূঃ পুণাভূশ্চৈব স বৈ হিন্দুরিতিস্মৃতঃ।
অর্থাৎ সিন্ধুদেশ থেকে আরম্ভ করে দক্ষিণে সিন্ধু অর্থাৎ সমুদ্র পর্যন্ত পৃথিবীর তাবৎ পুণ্য সংস্কার, পুণ্য আচার, পুণ্য অনুষ্ঠান, পুণ্য জ্ঞানের বিমল ধারা যেখানে পিতৃত্বঃ অর্থাৎ জন্মগ্রহণ করেছে সেই পাবন ক্ষেত্রে আমরা বাস করি বলে আমদের পিতৃপুরুষরা নিজেদেরকে হিন্দু নামে অভিহিত করতেন। হিন্দু এবং আর্য শব্দ সমার্থক। বৈদিক যুগে এই পুণ্য ভূখণ্ডের অধিবাসীরা নিজেদেরকে আর্য বলে পরিচয় দিলেও এবং আর্য শব্দটি তাদের কাছে অধিকতর প্রিয় হলেও মনে রাখতে হবে ভারতবর্ণে বৈদিক যুগ এবং বেদ প্রকট হওয়ার পূর্বেও মনুষ্যজাতির বাস ছিল। তারাই আমাদের পূর্বপুরুষ। তারাই হিন্দু। বৈদিক যুগে আর্যদের যে শাখাটি সম্প্রদায়গত বিরোধের জন্য ইরাণে চলে যান, তাঁরা তাঁদের এখানকার জাতিদেরকে হিন্দুই বলতেন। আবার এখানকার অধিবাসীরা বিদেশবাসী আতি ভাইদের বাসস্থানকে আবস্থান বলতেন ইরান < ডান আর্যস্থান। এখন যাদেরকে আমরা পারসিক বলি তাঁরা ঐ ঐড়ান বা আর্যস্থানের অধিবাসী।
প্রাচীন পারস্য ভাষায় হপ্তহিন্দু কথাটি রয়েছে। এই হপ্তহিন্দু বেদোক্ত 'সপ্ত সিন্ধু'। প্রাচীন পারসিকরা 'স' উচ্চারণ করতে পারতেন না, তাদের ভাষায় 'স' এর উচ্চারণ "হ"। এজন্য তারা সোমকে হোম, সিন্ধুকে হিন্দু, সপ্তকে হপ্ত, স্বপ্ন (স্বর্গ) কে হর বলতেন[এই বিষয়ে নীচে আলোচনা করা হবে]। যে কারণে সেই সুপ্রাচীন যুগে আমাদের আদি পূর্বপুরুষরা ইরানকে বলতেন আর্যস্থান, ঠিক সেই একই কারণে তাঁরাও পূর্বস্মৃতির স্মারক হিসাবে সিন্ধুনদ হতে সমুদ্র পর্যন্ত মূল ভূখণ্ডের অধিবাসী অর্থাৎ আমাদেরকে হিন্দু বলতেন। ঐ একইভাবে পারসিকদের হাতে হেন্দ > ইন্দাস > ইংরাজদের মুখে ইণ্ডিয়া এই নামকরণ হয়েছে। কাজেই হিন্দু বা ইণ্ডিয়ান বললে তার মধ্যে আমরা অগৌরবের কিছু দেখি না। পারসিক ভাষাতেও হিন্দু শাসের কোন দোয়াবহ অর্থ নাই। সত্য বটে, F. Streingah PhD A comprehensive Persian English Dictionary (ইংরাজী পারসিক অভিধান) দেখলে সেখানে হিন্দু শব্দে কৃষ্ণবর্ণ, ভূতা, ক্রীতদান, পৌত্তলিক, ঈশ্বর বিশ্বাসহীন ইত্যাদি অর্থ পাওয়া যাবে। কিন্তু একটু বিচার করলেই বুঝা যায়, পারস্য ভাষায় কোন পার্থানুসারে, কুৎপত্তি অর্থে হিন্দু শব্দ নিষ্পন্ন নয়, সাহেব বর্ণিত এরকম কোন অর্থও হয় না। পারসিক শব্দে হিন্দব' বলে একটি শব্দ আছে কিন্তু তা গৌরব ও সম্মান জ্ঞাপক। 'হন্দ' বলে একটি শব্দ হিব্রুতেও আছে। হলে শব্দের অর্থ তেজ ও বিক্রম প্রকাশক। হিব্রু ভাষার হন্দ শব্দই পুশতু ভাষায় হন্দ রূপ ধারণ করে। অতএব হন < ইন্দু < হিন্দু। হন্দু হতেই হিন্দু শব্দের উত্তর হয়েছে।
কেউ কেউ বলেন আর্যগণ হিমালয় হতে বিন্দু সরোবরের মধ্যবর্তী প্রদেশে বাস করতেন। সেজন্য হিমালয়ের আদ্য অক্ষর হি' এবং বিন্দুর শেষ অক্ষর 'ন্দু' উভয়কে মিলিয়ে তাঁরা নিজেদেরকে হিন্দু বলে পরিচয় দিতেন। আমাদের পূর্বপুরুষদের মধ্যে যে ভাবে গূঢ় ব্যঞ্জনাময় সংস্কৃত শ্লোকাদি রচনার শৈলী প্রচি ছিল, তাতে আমরা ঐ মুক্তিকে অগ্রাহ্য করতে পারি না।
প্রত্যেকেই জানেন, উচ্চারণের বিকৃতিতে সাধারণ জনতার মুখে অনেক মূল ভাষায় একটি লোকায়ত রূপ নেয়, যেমন ধরুন সংস্কৃত হতে তৎকালীন জনতার ভাষা পালি ভাষার জন্ম হয়েছে। তেমনি পূর্বে গান্ধার দেশে। (বর্তমান যার নাম আফগানিস্থান) সেখানে লোকে মুখে মুখে উচ্চারণের দোষে সংস্কৃত হতে একটি নূতন ভাষা রূপ নেয়। এর নাম বাতারি। এই ভাষার দুটি আঞ্চলিক রূপ ছিল, একটি বিশ্ববিখ্যাত সংস্কৃত আর একটি অবস্তান। সংস্কৃতের 'স' অবস্তান ভাষাতে উচ্চারিত হত 'ই'। অবস্তান ভাষায় সিন্ধু মানে হচ্ছে ফলের দেশ। পুশতু ভাষাতেও সিন্ধু মানে বহু নদী। ভারতবর্ষ নদীমাতৃক – এখানে বহু নদী - হিন্দু নামের এটাও একটা কারণ। বিখ্যাত আফগান ভাষাবিদ, কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক শ্রী ফল রাসূচি পালবাক গবেষণা করে এই তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তবে কেউ যদি বিদ্বেষ বশে কোন জাতিকে তাদের ভাষায় বলর্থে অভিহিত করে তাতে মূল নামে কোন কদর্য প্রকাশ পায় না। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ম্যাকলে (Madaniay) সাহেব তো বাঙালী জাতির অনেক নিন্দা করেছেন, এজন্য কি বাঙালী জাতি দূষিত হয়েছে। মুসলমান রাজত্বের সময় মুসলমানদের গ্রন্থে বা ইংরেজদের রাজত্বের সময় ইংরেজদের গ্রন্থে তারা যদি অন্ধ বিদ্বেষ এবং হিংসা বশে হিন্দু অর্থে Heathen বা কাফের বলে গালি দিয়ে থাকে সেটা তাদেরই নীচতার পরিচয়। সেজন্য হিন্দু শব্দটিতে কোনভাবেই গ্লানি স্পর্শ করে না।
ম্যাকলে সাহেবের সগোত্রদেরকে Tory এবং মুসলমানদের ‘ফেরেস্তা এই শব্দের অর্থ জিজ্ঞেস করলেই মুখের মত জবাব দেওয়া যায়। Torry মূল Irish শব্দ Toraidhe শব্দ থেকে এসেছে। এর অর্থ robber বা ডাকাত। কিন্তু ইংরেজরা কি বিজয়ী Irish জাতিপ্রদত্ত ঐ অর্থের জন্য forry শব্দটিতে দূষিত মনে করেন। ইংলণ্ডের Torry বা Conservative Party ইংলণ্ডের সম্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকে নিয়েই গঠিত। ঠিক এমনি ভাবে সংস্কৃত প্রেত শব্দটি আরবীতে ফেরেস্তা শব্দে পরিবর্তিত হয়েছে। আমরা খারাপ অর্থে প্রেত শব্দ ব্যবহার করলেও মুসলমান ভাষায় ফেরেস্তা শব্দ মর্যাদাসূচক। আন্তর্জাতিক ধ্বনি পরিবর্তনের নিয়মানুসারে একই শব্দ ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কিরূপ রূপ এবং অর্থ পরিবর্তন করে তার কিছু প্রমাণ দিচ্ছি। প্রেত শব্দ আগেই বলেছি আমাদের কাছে নিন্দাবাচক হলেও মুসলমানদের কাছে মর্যাদাসূচক 'ফেরেস্তা', বৌদ্ধদের কাছে 'পেরেছ' ইউরোপীয়দের কাছে 'Priest'। 'Priest' শব্দটি আবার 'Preost' এই ফরাসী শব্দ থেকে এসেছে। পুরোহিত শব্দটি আমাদের কাছে কতই না মর্যাদাসূচক। কিন্তু এই শব্দটি অন্য ভাষায় ধ্বনি পরিবর্তন করে কি দশা লাভ করেছে দেখুন Purohita<Fulohida<Folohia < Follosi<Follis< ইংরাজীতে Foolish ! দুর্ভাগ্য যে, সম্প্রদায়গত এবং জাতিগত বিদ্বেষের ফলে এক জাতি অন্য জাতির নানা শব্দ নানা অর্থে এইভাবে কুৎসা করে থাকে। আমাদের দেশে এমন কি বৈদিক যুগেও দেব এবং অসুর জাতি একই আর্যজাতির শাখা হলেও উভয়ের মধ্যে যখন দ্বন্দ্ব এবং দ্বেষ তুঙ্গে উঠেছিল তখন অসুর শব্দে কদর্থ আরোপ করেছিলেন। এইভাবেই এক ভাষায় উল্লাস অন্য ভাষায় alas, এক ভাষায় হল হলা অন্য ভাষায় হলাহল, এক ভাষায় হব হব অন্য ভাষায় horror, এক ভাষায় হরিবোল অন্য ভাষায় horrible এ পরিণত হয়েছে। কাজেই হিন্দু শব্দে বিদেশীরা যে অর্থই আরোপ করুক না কেন আমাদের কাছে হিন্দু শব্দ পরম আদরণীয় শব্দ।
আর্য নাম বেদাদী শাস্ত্রে অসংখ্য জায়গায় পাবেন । কিন্তু কেউ কি আমায় হিন্দু শব্দটি একবার কোনো বেদ ,উপনিষদ, বেদান্ত,দর্শন , মনুস্মৃতি ব্রাহ্মণ শাস্ত্র থেকে দেখাতে পারবেন মিত্রগণ ? জানি পারবেন না । ভারতের সংবিধানে "হিন্দু" শব্দটি ব্যবহার করে যে কোন ভারতীয় ধর্মবিশ্বাসীকে (হিন্দুধর্ম, জৈনধর্ম, বৌদ্ধধর্ম বা শিখধর্ম) নির্দেশ করা হয়েছে।{ India-Constitution:Religious rights Article 25:"Explanation II: In sub-Clause (b) of clause (2), the reference to Hindus shall be construed as including a reference to persons professing the Sikh, Jaina or Buddhist religion"} এই ভারতে পূর্ব থেকেই বিদ্বান ঋষি মহর্ষি রা জন্ম নিয়েছে এবং তারা এখানে বসবাস করত বলে এই জায়গায় নাম ছিল আর্যাবর্ত অর্থাৎ আর্যদের নিবাস । আসুন এইবার আলোচনা করি আর্যবর্ত থেকে ভারত বা হিন্দুস্থান বা ইন্ডিয়া হলো কি ভাবে ।
রাজা ভরত এর নাম থেকে সেই জায়গার নাম হয় ভারতবর্ষ নাম,যখন মুঘল রা এলো তখন এই জায়গার নাম হিন্দুস্তান হলো, ইংরেজরা এই জায়গার নাম দিলো ইন্ডিয়া ।যখন মুঘলরা এই দেশে রাজত্ব করা শুরু করে তখন তারা আমাদের ওপর"জিজিয়া কর " লাগায় । জিজিয়া কর সম্পর্কে অনেকেই ইতিহাসে পড়েছ। অমুসলিম দের কে যদি মুসলিম শাসন করে তাহলে সেই অমুসলিম কে জিজিয়া কর দিতে হবে এইটা কুরআন এর বাণী ৯) সূরা আত তাওবাহ.. আয়াত ২৯ । তাই আমাদের কে চিহ্নিত করার জন্য আমাদের নাম দেওয়া হয় 'হিন্দু' , হিন্দু বলে ডাকতো ।যেহেতু মুসলিমদের দেওয়া নাম এই হিন্দু সেহেতু তাদের হিসেব মতোই এইনামের অর্থ তারা দিয়েছে ।
তোমরা যদি হিন্দুর অর্থ উর্দু,ফারসি,আরবি ভাষার মধ্যে খুঁজতে যাও তাহলে এর অর্থ মিলবে :- হিন্দু মানে চোর,লুচ্চা,ডাকাত,মাতাল, দাঙ্গাবাজ,কালো,শয়তান কাফের !এর থেকে খারাপ কিছু এর অর্থ নেই । ডিকশনারীর নাম বলে দিচ্ছি "Gayas-ul-Lughat" ফারসী ডিকশনারী,"Kareem ul Lughat" আরবি ডিকশনারী, "Feroz Ul Lughat " উর্দু ডিকশনারী এগুলো পেয়ে যাবে হিন্দুর অর্থ কি । ফার্সী অভিধান,
বাহারে আযম,২ খন্ড,পৃঃ ৪৯৭ হিন্দু শব্দের অর্থ চোর, দাস ও ক্রিতদাস অর্থ করা হয়েছে। যতটা খারাপ বলা যায় এইহিন্দু শব্দের অর্থ তাই হবে ।মুঘল রা আমাদের নাম হিন্দু দিয়েছে আর আমরা সেটা গ্রহন করেছি । কেও আমাদের বা আমাদের পূর্বপুরুষ দের চোর বা ডাকাত বলবে এটা কি আমাদের গর্ব নাকি অসম্মান একটু ভেবে দেখুন মিত্র গণ !
এই সমস্ত তথ্য জানার পরও অনেক সনাতনী ভাই জোর গলায় বলে যে আমরা হিন্দু ! আমি সেই সমস্ত ভাইদের প্রশ্ন করতে চাই যে - আপনারা কেন হিন্দু ? সেই ভাই উত্তরে অবশ্যই বলবে যে - "হিন্দু বলে আমাদের ডাকা হতো তাই আমরা হিন্দু "। আপনাদের হিন্দু বলে কারা ডাকতো ? নিশ্চয় আমরা নিজেই নিজেকে হিন্দু বলতাম না , অবশ্যই অন্য কোনো দেশের ব্যক্তি গণ আমাদের হিন্দু বলতো ? তাহলে আপনারা এইটাই প্রমাণ করছেন যে আপনারা লোকের দেওয়া নাম কেই বেশি গুরুত্ব দেন , আমি এইটাই ভাবছি যে আজ যদি ভিন্ন দেশের ব্যক্তিরা আমাদের পাগল , অজ্ঞানী , অসভ্য বলে ডাকতো তাহলে ঠিক হিন্দু শব্দের মতোই এই শব্দ গুলোকেও গুরুত্ব দিতেন তাই না ? বিষয় টি ভেবে দেখবেন । আমাদের সমস্ত শাস্ত্র বলছে আমাদের গুনগত নাম 'আর্য " বারবার বলা হয়েছে কিন্তু আমরা আজ নিজেকে হিন্দু বলতেই ব্যস্ত , হিন্দু নাম হওয়ার পর থেকে আমরা বেদাদী শাস্ত্র চর্চা কেও বাদ দিয়ে দিয়েছি , আজ হিন্দু সমাজ সনাতন বৈদিক ধর্মের শাস্ত্র থেকে অনেক টা দূরে আজ আমরা শাস্ত্র কে ভুলে কুসংস্কার ,অন্ধবিশ্বাস এখন আমাদের ধর্মের স্থান পেয়েছে ।
অনেকের ধারনা ঋগ্বেদে সিন্ধু নদীর নাম উল্লেখ আছে, সিন্ধু থেকে যদি হিন্দু হয়, তাহলে সিন্ধু কি থেকে হল? মনে রাখতে হবে, ঋগ্বেদে সিন্ধু মানে শুধু সিন্ধু নদ নয়, সিন্ধু মানে অন্য নদী, যেকোনো নদী, এমনকি আকাশ, সমুদ্র ও ভূমি l এমনকি ভূমির সূত্রে মানুষও বোঝায় l এই হল সংস্কৃত ভাষার মহিমা l একই শব্দ ক্ষেত্র বিশেষে ভিন্ন অর্থ হতে পারে l যেমন দেখুন, ঋগ্বেদে যে কোনো "বল" (power) হল ইন্দ্র l তাই সিন্ধু নদেও ইন্দ্র শক্তি আবার সরস্বতী নদীতেও l ঋগ্বেদে আবার সরস্বতী আর ইন্দ্র কখনো কখনো এক l দুজনেই বৃত্র হন্তা l সুতরাং gender নিয়ে অনর্থক চিন্তিত হবেন না l ঋষিরা gender এর উর্দ্ধে l অনেকে বলেন হিন্দুধর্ম পুরুষ কেন্দ্রিক নয় l এখানে বলে রাখি হিন্দু কোন ধর্মের নাম না।
জীবনে যেমন "একটি প্রধান গল্প" (grand narrative) বলে কিছু নেই l সংস্কৃত ভাষাতেও তাই l সংস্কৃত ভাষা জীবনের প্রতিচ্ছবি l পন্ডিতপ্রবর Monier Williams ও সিন্ধু শব্দের etymology নির্ধারণ করতে পারেননি l উনি tentatively বলেছেন, সিন্ধুর উৎপত্তি সিদ ধাতু থেকে, যার মানে গতি অর্থাৎ গতিময়তাই সিন্ধু l
বৃহদ আরণ্যক উপনিষদে, ইন্দ্রের আদি নাম ইন্ধ l যার তাৎপর্য হল চক্ষু l (শ্লোক নং 4.2.2)
সুতরাং চক্ষু মানে আক্ষরিক অর্থেই শুধু ড্যাবড্যাবে চোখ ভাববেন না l চক্ষু হল দৃষ্টি বা দর্শন... যার তাৎপর্য ঋষি এবং আর্য শব্দের মধ্যে আছে l ঋষিকে ইংরাজিতে seer বলা হয় l
সুতরাং... সিন্ধু শব্দের উৎপত্তি... স + ইন্ধ অর্থাৎ দৃষ্টি, দর্শন ও বলের সমন্বয় l
ঋগ্বেদে আবার ইন্দু হল সোম বা অমৃত l ইন্ধ বা ইন্দ্র আবার ইন্দু l সুতরাং সিন্ধু যদি... স + ইন্দু হয়... তাহলেও হেরফের হয় না l
একই ভাবে, হিন্দু হতে পারে হ + ইন্দু l
তার মানে, পবিত্র সোম বা অমৃতর প্রবাহ l
হি + ইন্দু... হলে অর্থ হবে "গতিময় অমৃতের প্রবাহ"
ঋগ্বেদে, "হিণ" হচ্ছে সন্তানের প্রতি পৃথিবী মাতার আদরের শব্দ সুতরাং, হিন্দু = হিণ + দু এটাও হতে পারে l
দু শব্দের অর্থ উত্তাপ... যা থেকে তপ, তাপস প্রভৃতি।
উইকিপিডিয়া অনুযায়ী প্রথমদিকে হিন্দু শব্দটি ধর্মনির্বিশেষে ভারতীয় উপমহাদেশের সকল অধিবাসীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। কেবলমাত্র চৈতন্যচরিতামৃত ও চৈতন্য ভাগবত ইত্যাদি কয়েকটি ষোড়শ-অষ্টাদশ শতাব্দীর বাংলা গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মগ্রন্থে যবন বা ম্লেচ্ছদের থেকে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের পৃথক করার জন্য শব্দটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়ে।[ O'Conell, Joseph T. (১৯৭৩), "The Word 'Hindu' in Gauḍīya Vaiṣṇava Texts", Journal of the American Oriental Society, 93(3): 340–344, ডিওআই:10.2307/599467, ৭ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১০.]
অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ইউরোপীয় বণিক ও ঔপনিবেশিক শাসকেরা ভারতীয় ধর্মবিশ্বাসগুলির অনুগামীদের একত্রে হিন্দু নামে অভিহিত করে। ধীরে ধীরে এই শব্দটি আব্রাহামীয় ধর্মসমূহ অথবা অবৈদিক ধর্মবিশ্বাসগুলির (যেমন জৈনধর্ম, বৌদ্ধধর্ম ও শিখধর্ম) অনুগামী নন এবং সনাতন ধর্ম নামক ধর্মীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এমন সকল ভারতীয় বংশোদ্ভুত ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়ে পড়ে।[ "Sanatana Dharma – वेद Veda"। Veda.wikidot.com। ২০১০-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-০১।]
["Hindu Sects and Schools"। ReligionFacts। ২০১০-০৯-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-০১।]
ইংরেজি ভাষাতে ভারতের স্থানীয় ধর্মীয়, দার্শনিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলি বোঝাতে হিন্দুইজম বা হিন্দুধর্ম কথাটি চালু হয় ঊনবিংশ শতাব্দীতে।
Dr. B.R AMBEDKAR , ANNIHILETION OF CASTE এ বলেছেন-
`সর্ব প্রথম এই চরম সত্যকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, হিন্দু সমাজ একটি পৌরানিক কাহিনী । হিন্দু নামটা একটা বিদেশী নাম । ‘হিন্দু’ শব্দটা (আক্রমনকারী) মুসলমানদের দেওয়া নাম। স্থানীয় অধিবাসী এবং মুসলমানদের মধ্যে স্বাতন্ত্র বোঝানোর জন্য তারা স্থানীয় অধিবাসীদের ‘হিন্দু’ নামে অভিহিত করেছিল । ভারতে মুসলমানদের আক্রমনের পূর্বেকার সময়ে সংস্কৃত ভাষার লেখকদের ‘নেশন’(জাতি) সম্বন্ধে কোন ধারনা ছিলনা । তারা ভারতীয় অধিবাসীদের একটি সাধারণ নামকরনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। তাই হিন্দু সমাজের বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নেই । এটা শুধু জাতিগুলির একটি সমষ্টিগত নাম ।
The first and foremost thing that must be recognized is that Hindu Society is a myth. The name Hindu is itself a foreign name. It was given by the Mohammedans to the natives for the purpose of distinguishing themselves. It does not occur in any Sanskrit work prior to the Mohammedan invasion. They did not feel the necessity of a common name because they had no conception of their having constituted a community. Hindu society as such does not exist. It is only a collection of castes.’
ব্রাহ্মণরা প্রচার করছে ‘গর্ব করে বল আমি হিন্দু ’। এই ভাবে বহুজনদের কাছে এসে শ্লোগান দেয় । কারণ এটা ওদের কথা । ওদের মনে আশঙ্কা শুরু হয়েছে যদি কেউ জানতে চায় যে, কিসের ভিত্তে গর্ব করা হবে ? ‘হিন্দু’ নাম তো আক্রমনকারী মুসলমানদের দেওয়া ? তাই তারা প্রচার করছে ইতিহাসের পাতায় পাতায় যে, সিন্ধু থেকে হিন্দু হয়েছে । কিভাবে ? মুসলমানরা ফার্সি ভাষায় কথা বলত । ফারসিতে ‘স’ ‘হ’ –এর মত উচ্চারিত হয় বা তারা ‘স’ কে ‘হ’ বলত, তাই সিন্ধু থেকে হিন্দু হয়েছে । কিন্তু এদের কথা তর্কের খাতিরে মেনে নিলেও ,সেটাতো মুসলমানদের দেওয়া নাম । তা নিয়ে হিন্দুদের গর্ব করা কিকরে সম্ভব । কারন হিন্দুত্ববাদীরাতো সব সময় মুসলমানদের বিরোধীতা করছে ।
যদি সিন্ধু থেকে হিন্দু হয়ে থাকে তবে সেটা শুধু সিন্ধু অববাহিকা অঞ্চলে বসবাসকারী লোকদের ক্ষেত্রে হিন্দু শব্দ প্রযোজ্য হওয়া উচিত ছিল । সম্পুর্ন ভারতবর্ষের লোকদের ক্ষেত্রে হিন্দু নামাঙ্কণ হওয়ার দরকার পড়ে না । ।সম্পুর্ন ভারতবর্ষের লোকদের ক্ষেত্রে হিন্দু নামে চিহ্নিত হওয়ার কারণ,সারা ভারতে মুসলমান শাসন কায়েম ছিল । তাই হিন্দু শব্দের প্রসার সারা ভারতব্যাপী হয়েছিল । আর একটা কথা সিন্ধু থেকে হিন্দু হয়ে থাকলে শুধুমাত্র সিন্ধু অঞ্চলে এই নাম সীমাবদ্ধ থাকা উচিত ছিল ।এতে প্রমান হয় সিন্ধু থেকে হিন্দু হয়নি । আরও একটা কথা ‘স’ কে যদি ‘হ’ বলত তাহলে‘স’ দিয়ে আরও যে সব শব্দ আছে সেগুলোরও পরিবর্তন হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটা তো হয়নি । যেমন মুসলমান উচ্চারণ "মুহলমান" হয়নি। পার্সি "পার্হি" শিয়া "হিয়া" সুন্নি "হুন্নি" বা সুলেমান "হুলেমান" হয়নি।যদি সিন্ধু থেকে হিন্দু হয়ে থাকে তাহলে হিন্দুধর্ম অনুসারে‘গঙ্গা’নদীর পরিবর্তে সিন্ধু নদীকে পবিত্র হিসাবে মানা উচিত ছিল। কিন্তু সেটা মানা হয় না। অতএব সিন্ধু থেকে হিন্দু হয়েছে একথাটি মিথ্যা প্রমানিত হল।
যিনি হীনতা ত্যাগ করতে পারেন________ তিনিই হিন্দু।। ফারসী ডিকশনারী, আরবি ডিকশনারী, উর্দু ডিকশনারী তে হিন্দু শব্দের খারাপ অর্থ থাকলেও, প্রাচীন মেরিতন্ত্রানুসারে এর অর্থই হল___"হীনঞ্চ দূষয়তোব হিন্দুরিত্যুচতো প্রিয়ে।" ব্যকরণের নিয়মানুসারে হীন+দুষ-ডু-যে____নিপাতনে। নিপাতনে সিদ্ধ এই পদপৃষোদরদিত্বাৎ সাধুঃ। রামকোষ নামক প্রাচীন অভিধানেও হিন্দু শব্দের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে,
হিন্দুর্দুষ্টনৃহঃ প্রোক্তোহনার্যনীতি বিদূষকঃ।
সদ্ধর্ম-পালকো বিদ্বান্ শ্রৌতধর্মপরায়ণঃ।।
_________অর্থাৎ দুষ্টের দণ্ডদাতা, অনার্য নীতির বিরোধী সদ্ধর্মের পালক ব্যক্তিই হিন্দু।
বিবাদ যাই হোক না কেন আর্যরা বর্ত্তমান হিন্দু, প্রমান নীচে দেওয়া পুস্তকে পাওয়া যায়। যদিও পুস্তকে বর্ণিত সিন্ধু তেকে হিন্দু শব্দ ভুল তা পূ্র্বে আলোচনা করা হয়েছে।
বিবেকানন্দ রচনা সমগ্র পৃঃ ৭০০, ১৯৮৮ খ্রীষ্টাব্দ, তিনি হিন্দু শব্দ ব্যবহারের চেয়ে বৈদান্তিক শব্দ ব্যবহার বেশী যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করেছেন। স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী একজন অতিশয় জাতিপ্রিয় লোক ছিলেন। তিনি আমাদের রীতিনীতি সকল অন্তরের সহিত ভালবাসিতেন। যাহাতে হিন্দুর সাহিত্য, সভ্যতা, শিল্প ও বাণিজ্য প্রভৃতি রক্ষিত ও উন্নত হয়, তন্নিমিত্ত তারই অতিশয় আগ্রহ ছিল। স্বজাতির কোন কলঙ্কের কথা শুনিলে দয়ানন্দ জী নিতান্ত ব্যথিত হতেন। এ কথা বোধ হয় আপনা দিগের ভিতর অনেকেই জানেন যে হিন্দু, নাম' ঘৃণাব্যঞ্জক, এবং হিন্দুবিদ্বেষী মুসলমানগণ কর্তৃকই এই নাম প্রদত্ত হইয়াছে । এই কারণ দয়ানন্দ জী ইহার তীব্র প্রতিবাদ করিতেন, এবং যাহাতে এতদ্দেশের অধিবাসিবর্গ হিন্দু নামের পরিবর্তে আর্য্যনামে পরিচিত হয়েন তজ্জন্য তিনি সর্ব্বদাই অনুরোধ করিতেন । ফলতঃ হিন্দুর কলঙ্করাশি প্রক্ষালিত করিবার নির্মিত, হিন্দুর প্রনষ্ট গৌরব পুনরুদ্দীপিত করিবার নিমিত, এবং হিন্দুনাম জ্ঞান ও ধর্ম্মের মহিমায় পুনরায় মহিমান্বিত করিবার নির্মিত্তই তাহার তপস্যা ও সাধানা ছিলো।
"হিন্দু-শব্দো হি যবনেষ্বধর্মী-জন-বোধকঃ।
অতো নার্হতি তচ্ছব্দ - বোধ্যতাং সকলো জনঃ॥
পাপিনাং পাপী যবনঃ সংকেতং কৃতবান্ নরঃ।
নোচিতঃ স্বীকৃতোস্মাভির্হিন্দু-শব্দ ইতীরিতঃ ॥
কাফির কো হিন্দু কহত, যবন স্বভাষা মাংহি।
তা তে হিন্দু নাম য়হ, উচিত্ কহইবো নাংহি॥"
এ থেকে স্পষ্ট যে কাশীর সনাতন পণ্ডিতদের দৃষ্টিতেও হিন্দু নামটি যবনরা (মুসলিম) দিয়েছে এবং তাদের ভাষায় এর অর্থ অধার্মিক (কাফির)। মহর্ষি দয়ানন্দের বক্তব্যের আগেই কাশীর ধর্মতাত্ত্বিকরাও ঘোষণা ও ব্যবস্থা করেছিলেন যে বর্ণাশ্রমী (আর্য) যেন এই হিন্দু নাম গ্রহণ না করে। সমস্ত বর্ণাশ্রমী আর্য নামে পরিচিত, এই সত্যটি বেদ এবং তদনুযায়ী ঋষি- মুনিদের ধর্মগ্রন্থ ও ইতিহাস থেকে স্পষ্ট। এর থেকে অর্থ বের হয় যে, প্রত্যেক বর্ণাশ্রমিকে আর্য বলা উচিত, এই বর্ণাশ্রমীর দেশের নামকে হিন্দুস্থান বলাও উচিত নয়, বরং আর্যাবর্ত বলা উচিত। এটি প্রমাণ- সিদ্ধ, সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত। , (সূত্র: হিন্দু নাম পরীক্ষা, লেখক ড. বীরেন্দ্র শর্মা, পৃষ্ঠা 45-46)
আর্য শব্দটি বেদ, উপনিষদ, দর্শন, রামায়ণ, মহাভারত প্রভৃতি গ্রন্থে আছে। এদেশের আদি নামও আর্যাবর্ত, আর্য কোন বিদেশী শব্দ নয়, এটি একটি বিশুদ্ধ দেশীয় শব্দ। হিন্দু শব্দটি বিদেশী এবং দাসত্বের প্রতীক। ঋষি দয়ানন্দ এবং 1870 সালে কাশীতে অনুষ্ঠিত বর্ণাশ্রম ধর্মসভাও এই সত্যকে মেনে নিয়েছিল। কিন্তু সঙ্ঘ, বিজেপি, হিন্দু মহাসভা, শিবসেনার মতো হিন্দু সংগঠনের লোকেরা তাদের হঠ, দুরাগ্রহ, অনড়তার কারণে তা ছাড়তে রাজি নয়! ,তাদের পুরো রাজনীতি 'হিন্দু' এই শব্দ এবং হিন্দুদের মধ্যে প্রচলিত মূর্তি পূজা ইত্যাদি ভণ্ডামির ওপরে ভিত্তি করে।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ