ধর্ম্ম গ্রন্থ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

23 August, 2017

ধর্ম্ম গ্রন্থ

 বেদ সম্পূর্ণ মানব জাতীর ধর্ম্ম গ্রন্থ এবং সমগ্র মানবের আদি জ্ঞান ভাণ্ডার।  ঋষি মনু বলেছেন, ‘বেদঃ অখিলধর্মমূলম্।বেদ অখিল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ধর্মের মূল। প্রায় একই কথা ধর্ম সূত্রকার ঋষি গৌতমও বলেছেন- ‘বেদঃ ধর্মমূলম্।’ 
ধর্ম্ম গ্রন্থ
বেদ এর
ব্যাখ্যা করার জন্য বিবেচিত
গ্রন্থসকলকে বৈদিক ধর্মগ্রন্থ বলা হয়। মনে রাখবেন,
এখানে বেদ হচ্ছে প্রামাণ্য
গ্রন্থ।যে কোন গ্রন্থের ই কোন বানী বেদবিরোধী হলে তা বর্জনীয়।
বেদ কোন মানুষের রচিত নয় তাই বেদকে অপৌরুষেয় বলা হয়। স্বয়ং বেদ বলেছে- বেদ স্বয়ং উদ্ভূত। এসম্পর্কে বেদের পুরুষসূক্তে বলা হয়েছে-

তস্নাদ্যজ্ঞাৎ সর্বহুত ঋচ সামানি জজ্ঞিরে।

ছন্দাংসি জজ্ঞিরে তস্মাদ্যজুস্তস্মাদজায়ত।। ঋগ্বেদ, ১০/৯০/৯



বেদ অপৌরুষেয় কোন মানবকৃত নয়।পরমাত্মা যেমন নিত্য তাঁহার জ্ঞান এই বেদও নিত্য। ভিন্ন ভিন্ন বিদ্যা জানিবার জন্য একই বেদ চারিভাগে বিভক্ত হইয়াছে-ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ ও অথর্ব্ববেদ।
বেদাঙ্গের অভ্যাস বেদার্থ বোধের সহায়তা করে। শিক্ষা, কল্প, ব্যাকরণ, নিরুক্ত, ছন্দ ও জ্যোতিষ এই ছয়টিকে বেদের ‘ষড়ঙ্গ’ বলে। বেদার্থ জানিবার জন্য শিক্ষা, কল্প, ব্যাকরণ, নিরুক্ত, ছন্দ ও জ্যোতিষ এই ‘ষড়ঙ্গ’ প্রবর্তিত হইয়াছে।প্রত্যেক বেদের দুটি অংশ তা হলঃ
ক) সংহিতা (সংহিতায় আছে মন্ত্র) এবং
খ) 
ব্রাহ্মণ (ব্রাহ্মণে আছে তার অর্থ ও ব্যবহার)।
‘সংহিতা’ একটি সংস্কৃত শব্দ। এই শব্দের মূল ‘সং’ (सं) ও ‘হিত’ (हित) শব্দদুটি। এই শব্দদুটির অর্থ যথাক্রমে ‘সঠিক, যথার্থ’ ও ‘সমৃদ্ধ, বিন্যস্ত’। এই দুই শব্দের সম্মিলিত অর্থ হল ‘একত্রিত, মিলিত, রচনা, বিন্যাস, একত্রীকৃত’ এবং ‘উচ্চারণের নিয়ম অনুসারে যুক্ত অক্ষর, নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসারে সংকলিত গ্রন্থ বা মন্ত্রসমূহ’।সাধারণভাবে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসারে সংকলিত যে কোনো গ্রন্থ বা মন্ত্র-সংগ্রহকেই ‘সংহিতা’ বলা যায়। যে কোনো শাস্ত্রসূত্র বা সংস্কৃত মহাকাব্য এবং সর্বোপরি বৈদিক সাহিত্য ‘সংহিতা’ পদবাচ্য।যদিও সমসাময়িক সাহিত্যে ‘সংহিতা’ বলতে বেদের আদি ও প্রাচীনতম অংশটিকেই বোঝায়।বৈ দিক সংহিতা বলতে বোঝায় গাণিতিক নিয়মে নিবদ্ধ ছন্দে রচিত প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ। বেদের প্রতিটি ভাগেই (ঋগ্বেদসামবেদযজুর্বেদ ও অথর্ববেদ) একটি করে সংহিতা রয়েছে।
প্রতিটি বেদ চার ভাগে বিভক্ত। যেমন, সংহিতা (মন্ত্র ও আশীর্বচন), আরণ্যক (রীতিনীতি, অনুষ্ঠান, যজ্ঞ ও প্রতীকী-যজ্ঞ সংক্রান্ত শাস্ত্র), ব্রাহ্মণ (রীতিনীতি, অনুষ্ঠান ও যজ্ঞ বিষয়ে ব্যাখ্যা) এবং উপনিষদ্‌ (ধ্যান, দর্শন ও আধ্যাত্মিক জ্ঞান সংক্রান্ত আলোচনা শাস্ত্র)। সংহিতাকে বেদের ‘কর্মকাণ্ড’ (कर्म खण्ड, আচার-অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বিভাগ) এবং উপনিষদ্‌গুলিকে ‘জ্ঞানকাণ্ড’ (ज्ञान खण्ड, জ্ঞান/আধ্যাত্মিকতা সংক্রান্ত বিভাগ) বলা হয়ে থাকে। আরণ্যক ও ব্রাহ্মণগুলিকে কেউ কেউ কর্মকাণ্ড, আবার কেউ কেউ জ্ঞানকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

 ক) সংহিতা 

ঋগ্বেদ সংহিতা

গায়ত্রী মন্ত্র হিন্দুধর্মের একটি বিখ্যাত মন্ত্র। এটি ঋগ্বেদ সংহিতায় পাওয়া যায়।
ॐ भूर्भुवस्व: | तत्सवितुर्वरेण्यम् | भर्गो देवस्य धीमहि | धियो यो न: प्रचोदयात्
ওঁ ভুর্ভূস্বঃ। তৎসবিতুর্বরেণ্যম্‌। ভর্গো দেবস্য ধীমহি। ধিযো যো নঃ প্রচোদয়াৎ
দিব্য আলোকের (সূর্য) মহৎ গৌরব ধ্যান করি। তিনি আমাদের চিন্তালোককে উদ্বুদ্ধ করুন, আমার চৈতন্য জাগরিত করুন।
– ঋগ্বেদ ৩। ৬২। ১০

সামবেদ সংহিতা

ওয়েবার বলেছেন, যে সামবেদ সংহিতা প্রকৃতপক্ষে ঋগ্বেদ সংহিতা থেকে গৃহীত মন্ত্র-সংকলন।উভয়ের মধ্যে পার্থক্য হল সাংগীতিক সুর ও ছন্দ এবং ভাষাগত পরিমার্জনা ও প্রয়োগভঙ্গিমা। এইভাবে মূল মন্ত্রটি পরে ‘রথান্তর’ (সুন্দর রথ) মন্তত্রে পরিণত হয়েছে। সামবেদ ও ঋগ্বেদ সংহিতায় প্রাপ্ত এই ধরনের একটি মন্ত্রের উদাহরণ হল,
ঋগ্বৈদিক রূপ: অভি ত্ব সুরা নোনুমো দুগ্বা ইব ধেনবঃ। ঈশানাং অস্য জগতঃ স্বর্দর্শং ঈশানাং ইন্দ্র তস্থুশঃ
সামবৈদিক রূপ: ওভিত্বসুরানোনুমোবা। অদুগ্ধ ইব ধেনব ঈশানামস্য জগতসসুবর্দশম। ঈশানাং ইন্দ্র। ই স্থু ও ব হ উ ব। অস।।
অনুবাদ (উভয় মন্ত্রের):
হে বীর, যে গাভীর দুগ্ধ দোহন করা হয়েনি, সে যেমন জগদীশ্বরকে আহ্বান করে, আমরা তেমনই আপনাকে আহ্বান করি!
হে ইন্দ্র! জড় বিশ্বের ঈশ্বর আপনি। আপনার চক্ষু হলেন সূর্য!

যজুর্বেদ সংহিতা

যজুর্বেদ সংহিতার ৪। ১। ৫।–সংখ্যক স্তোত্রটি একাধিক প্রাচীন দেবদেবীর প্রতি উৎসর্গিত। এটি হল:
বসুগণ গায়ত্রী ছন্দ দ্বারা আপনাকে প্রস্তুত করুন; আপনি পৃথিবী,
রুদ্র ত্রিষ্টুপ ছন্দ দ্বারা আপনাকে প্রস্তুত করুন; আপনি আকাশ।
আদিত্যগণ জগতী ছন্দ দ্বারা আপনাকে প্রস্তুত করুন; আপনি স্বর্গ।
বিশ্বদেবগণ, যাঁরা সকল মানবলোকের, তাঁরা আপনাকে অনুষ্টুপ ছন্দ দ্বারা প্রস্তুত করুন; আপনি সর্বদিকময়।
আপনি অপরিবর্তনীয় দিক, আমাকে সন্তান দান করুন, প্রচুর অর্থসম্পদ দিন, প্রচুর গোসম্পদ দিন, অতুল শৌর্য প্রদান করুন।
— তৈত্তিরীয় সংহিতা, ৪। ১। ৫
ধর্ম্ম গ্রন্থ
ধর্ম্ম গ্রন্থ
 বেদাঙ্গঃ
শিক্ষা’ ছয় প্রকারের –শব্দ, শব্দাঘাত, শব্দাবয়ব, শব্দাবয়বাঘাত, স্বর মাধুর্য ও শব্দ সন্ধি। শিক্ষা গ্রন্থে এই সকল শিক্ষা দেওয়া হয়।
শ্রৌত, গৃহ্য, ধর্ম ও শল্ব এই চারি সূত্রের নাম ‘কল্প’। ইহাতে যজ্ঞ প্রয়োগ বিধি কল্পিত হইয়াছে বলিয়া ইহার নাম কল্প। আপস্তন্ব, বৌধায়ন, আশ্বলায়ন, প্রভৃতি ঋষিরা সূত্রাকারে কল্প গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছেন।
যাহা দ্বারা ভাষার সম্যক জ্ঞান লাভ হয় তাহার নাম ‘ব্যাকরণ’। পাণিনির অষ্টাধ্যায়ী ব্যাকরণই বর্তমানে একমাত্র বৈদিক ব্যাকরণ। মহর্ষি পতঞ্জলি ইহার উপর মাহভাষ্য নামে এক ভাষ্য রচনা করিয়াছিলেন। পাণিনির পূর্বেও বহু বৈদিক বৈয়াকরণ বিদ্যমান ছিলেন, তন্মধ্যে সাকল্য, সেনাকাশ, স্ফোটায়ন, গার্গ্যেয়, গালব, শত্রুবর্মন্, ভারদ্বাজ, অপিশালী ও কাশ্যপের নাম উল্লেখযোগ্য। ইহাদের ব্যাকরণ হইতেই পাণিনি সুত্রাকারে অষ্টাধ্যায়ী প্রণয়ন করিয়াছিলেন।
নিরক্ত গ্রন্থে বৈদিক শব্দ ও বাক্য সমূহের অর্থ সুস্পষ্ট করা হইয়াছে। যাস্কমুনি কৃত অতি প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ নিরুক্ত গ্রন্থই বর্তমানে আদৃত হইতেছে। যাস্কের পূর্বেও কৌৎস, শাকপুণি ঔর্ণনাভ ও স্থোলাষ্টীরী প্রভৃতি নিরুক্তকার বিদ্যমান ছিলেন। নিঘন্টু নিরুক্তের অঙ্গীভূত। নিঘন্টু বেদের অর্থ প্রকাশক শব্দকোষ বা অভিধান মাত্র। দেবরাজ যজ্বা নিঘন্টুর টীকা লিখিয়াছেন এবং দুর্গাচার্য নিরুক্তের বৃত্তি প্রণয়ন করিয়াছেন।
জ্যোতিষ’ গ্রন্থে আকাশস্থ জ্যোতিষ্ক মণ্ডলীর গতি বিধি সন্বন্ধে সম্যক জ্ঞান লাভ করা যায়।
‘উপাঙ্গ’ ছয়টি। বেদের ছয় উপাঙ্গের নাম ষড়দর্শন বা ষট্ শাস্ত্রগৌতমের ন্যায়, কণাদের বৈশেষিক, কপিলের সাংখ্য, পতজ্ঞলির যোগ, জৈমিনির পূর্ব মীমাংসা এবং ব্যাসদেবের ব্রহ্মসূত্র বা উত্তর মীমাংসা (বেদান্ত)।এছাড়া আরো দর্শন আছে তা প্রামাণিক ঋষিকৃত গ্রন্থ নয়।  উপাঙ্গের তীক্ষ্ণ বিচার দ্বারা বেদের সিদ্ধান্ত প্রমাণিত হইয়াছে।
উপবেদ’ চারি প্রকারের। 
ক) আয়ুর্বেদ (ভেষজশাস্ত্র / চিকিৎসা),
খ) ধনুর্বেদ (অস্ত্রবিদ্যা),
গ) 
গন্ধর্ববেদ (সঙ্গীত বিদ্যা) এবং
ঘ) 
স্থাপত্যবেদ (কৃষিবিদ্যা)
খ) ব্রাহ্মণ
বেদ(পুস্তক) মন্ত্র ছন্দে রচিত। বেদের ছন্দভাগ গদ্যরূপে ব্যাখ্যা সহকারে লেখা হয় তা ব্রাক্ষ্মণ ভাগ বা ব্রাক্ষ্মণ গ্রন্থ(বেদের পুরোনো ভাষ্য)। বেদের উপসংহার ভাগ ব্রাক্ষ্মণ। এই ব্রাক্ষ্মণের উপসংহার ভাগ আরণ্যক। ঋকবেদের ব্রাক্ষ্মণ গ্রন্থ ঐতিরেয় ব্রাক্ষ্মণ,সংখ্যায়ণ ব্রাক্ষ্মণ,কৌষীতকি ব্রাক্ষ্মণ। কৃষ্ণযজুৰ্বেদীয় ব্রাহ্মণ-(১) তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ । (মন্ত্র ও ব্রাহ্মণ প্রায় একসঙ্গে ) শুক্ল যজুৰ্বেদীয় ব্রাহ্মণ—(১) শতপথ ব্রাহ্মণ সামবেদের ব্রাক্ষ্মণ গ্রন্থ মহাতান্ড্যব্রাক্ষ্মণ, ষড়বিংশ ব্রাহ্মণ, মন্ত্র ব্রাহ্মণঅথর্ব বেদের ব্রাক্ষ্মণ গ্রন্থ গোপথ ব্রাক্ষ্মণ।ব্রাক্ষ্মণের উপসংহার ভাগ আরণ্যকউপনিষদ আরণ্যকেরই অংশ। আরণ্যকগুলি গভীর তত্ত্বালোচনাপূর্ণ।চতুৰ্ব্বেদে ১০৮ খানি উপনিষদ আছে। মুক্তিকোপনিষদে ইহার একটি তালিকা দৃষ্ট হয়। ঋগ্বেদীয় উপনিষদ–(১) কৌষীতকী উপনিষদ। কৌষীতকী আরণ্যকে যে ১৫টি অধ্যায় আছে তাহার মধ্যে তৃতীয় হইতে ষষ্ঠ অধ্যায় পৰ্য্যস্ত কৌষীতকী উপনিষদ। (২) ঐতরেয় উপনিষদ—ঐতরেয় আরণ্যকের যে ৫টি ভাগ আছে তন্মধ্যে দ্বিতীয় আরণ্যকের ৪ হইতে ৬ অধ্যায়কে ঐতরেয় উপনিষদ বলে । সমবেদীয় উপনিষদ-(১) ছন্দোগ্য উপনিষদ্ৰ—সামবেদীয় কোঁথুমী - শাখার ব্রাহ্মণে যে ৪০টি ভাগ আছে,
স্মৃতি শাস্ত্র দুইটি, (এক) মনুস্মৃতি যা বৈবাস্বত মনু কর্তৃক রচিত। ১২টি অধ্যায় আছে এতে। (দুই) যাজ্ঞবাল্ক্য স্মৃতি যা ঋষি যাজ্ঞবাল্ক্য কর্তৃক রচিত। ৩টি অধ্যায় আছে এতে।

উপনিষদ বেদের শিরোভাগ। এই জন্য এর নাম বেদান্ত। উপনিষদ্‌গুলি মূলত বেদ  পরবর্তী ব্রাহ্মণ ও আরণ্যক অংশের শেষ অংশে পাওয়া যায় । এগুলি প্রাচীনকালে গুরু-শিষ্য পরম্পরায় মুখে মুখে প্রচলিত ছিল।
উপনিষদ্‌ সাধারণভাবে "বেদান্ত" নামে অভিহিত হয়ে থাকে। দুশোটিরও বেশি উপনিষদের কথা জানা যায়। এগুলির মধ্যে অন্যতম হল মুক্তিকা উপনিষদ্‌। এই উপনিষদে ১০৮টি উপনিষদের নাম পাওয়া যায়। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ উপনিষদ ১১টি এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ঐতরেয়, কঠ, কেন, ছান্দোগ্য, ঈশ, বৃহদারণ্যক, শ্বেতাশ্বতর, তৈত্তিরীয়, প্রশ্ন, মুণ্ডক, মাণ্ডূক্য উপনিষদ।এগুলো প্রচীন ও প্রামাণিক ঋষিকৃত গ্রন্থ।উপনিষদ বিভিন্ন ঋষি কর্তৃক কথিত হয়েছে।  ঈশোপনিষদ (যজুর্বেদ ভিত্তিক), কেনোপনিষদ (সামবেদ ভিত্তিক), প্রশ্নোপনিষদ (অথর্ববেদ ভিত্তকি), মান্ডুুক্য উপনিষদ (অথর্ববেদ ভিত্তিক), মুন্ডক উপনিষদ (অথর্ব বেদ ভিত্তিক), ঐতরেয় উপনিষদ (ঋকবেদ ভিত্তিক), তৈতরীয় উপনিষদ (যজুর্বেদ ভিত্তিক), ছান্দোগ্য উপনিষদ (সামবেদ ভিত্তিক), বৃহদারণ্যক উপনিষদ (যজুর্বেদ ভিত্তিক), শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ (অথর্ববেদ ভিত্তিক)। ইত্যাদি। 
দর্শন শাস্ত্র( বেদের উপাঙ্গ) ,দর্শন শাস্ত্র ছয়টি যেগুলোতে আত্মা, পরমাত্মা, প্রকৃতি জগতের উৎপত্তি এবং মুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ১.ন্যায়শাস্ত্র (গৌতমমুনিকৃত), ২সাংখ্যশাস্ত্র (কপিলমুনিকৃত),৩ যোগশাস্ত্র (পতঞ্জলিমুনিকৃত), ৪ পূর্বমীমাংসা শাস্ত্র (জৈমিনিমুনিকৃত), ৫ উত্তরমীমাংসা শাস্ত্র (বেদব্যাস মুনিকৃত), ৬ বেদান্ত শাস্ত্র (উপনিষদ)
নীতি শাস্ত্রগুলির মধ্যে বিদুর নীতি,চাণক্য নীতি,ভারতিহারি
বেদ (গ্রন্থ) কোন একটি গ্রন্থ নয়, অসংখ্য গ্রন্থের সমষ্টি। ওপরে বেদ ছাড়া যে সমস্ত পুস্তকের নাম উল্লেখ করা আছে তা প্রামানিক ধর্ম্মগ্রন্থ(আনুষাঙ্গিক)।

“ধর্ম জিজ্ঞাসমানানাং, প্রমাণং পরমং শ্রুতিঃ।।”-মনুসংহিতা ২/১৩ 
অর্থাৎ যে ধর্মের জ্ঞান প্রাপ্ত করতে চায় তাঁর জন্য পরম প্রমাণ বেদ।



বেদ কোন একটি গ্রন্থ নয়, অসংখ্য গ্রন্থের সমষ্টি। এ গ্রন্থের সমষ্টি প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত- মন্ত্র এবং ব্রাহ্মণ। বেদের প্রাচীন কল্পসূত্রকার আপস্তম্ব তাঁর যজ্ঞপরিভাষাসূত্রে (১/৩৪) বলেছেন-‘মন্ত্রব্রাহ্মণয়োর্বেদনামধেয়ম্’ অর্থাৎ মন্ত্র এবং ব্রাহ্মণকে একত্রে বেদ বলে। এ মতকেই সমর্থন করে চতুর্দশ শতাব্দীর বেদভাষ্যকার সায়নাচার্য তাঁর ঋগ্বেদ ভাষ্যোপক্রমণিকায় বলেছেন- ‘মন্ত্রব্রাহ্মণাত্মকঃ শব্দরাশির্বেদঃ।’ মন্ত্র অংশকে সংহিতা বলা হয়। সংহিতা অর্থ সংকলন। অর্থাৎ এখানে বিভিন্ন ঋষিদৃষ্ট মন্ত্রগুলো গুচ্ছ গুচ্ছ আকারে সাজানো থাকে বলে তাকে সংহিতা বলা হয়। ব্রাহ্মণ অংশ দুটি ভাগে বিভক্ত- আরণ্যক এবং উপনিষদ। সুতরাং বেদ বলতে আমরা বুঝি চার প্রকার শাস্ত্রগ্রন্থকে যথা (১) সংহিতা (২) ব্রাহ্মণ (৩) আরণ্যক ও (৪) উপনিষদ। এদের মধ্যে সংহিতা এবং ব্রাহ্মণকে বলা হয় ক্রিয়া বা কর্মকাণ্ড। যেখানে যাগযজ্ঞ বিভিন্ন প্রকার বিধি ব্যবস্থার কথাই প্রধানত আছে। অবশিষ্ট আরণ্যক এবং উপনিষদকে বলা হয় জ্ঞানকাণ্ড; যেখানে বিভিন্ন প্রকার উপাসনা বিধি এবং অধ্যাত্মবিদ্যাই মূখ্য আলোচনার বস্তু। যার উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে বেদান্তদর্শন।

বেদাঙ্গ
সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক এবং উপনিষদ ছাড়াও প্রত্যেক বেদের সাথে যুক্ত আরও চার প্রকারের সূত্র আছে তাদের বলা হয় কল্পসূত্র। সায়নাচার্য তাঁর ঋগ্বেদ – ভাষ্যোপক্রমণিকায় বলেছেন- ‘কল্প্যতে সমর্থ্যতে যাগ প্রয়োগোহত্রইতি’। অর্থাৎ
 যার দ্বারা যাগযজ্ঞাদি কল্পিত বা সমর্থিত হয় তাকে কল্প বলে। বৃত্তিকার বিষ্ণুমিত্রের মতে ‘কল্পো বেদ বিহিতানাং কর্মনামানুপূর্ব্যণে কল্পনা শাস্ত্রম্।’ অর্থাৎ কল্প হলো বেদবিহিত কর্মের নিয়মানুসারী ব্যবস্থা বিধায়ক শাস্ত্র। এ কল্পসূত্র প্রধানত দুই প্রকার- শ্রৌতসূত্র এবং গৃহ্যসূত্র। এ দুটি ভাগের মধ্যে আবার দুটি করে ভাগ নিহিত আছে। শ্রৌতসূত্রের সাথে আছে যজ্ঞের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় শুল্বসূত্র এবং গৃহ্যসূত্রের সাথে যুক্ত আছে ধর্মসূত্র। এভাবে আমরা চার প্রকার কল্পসূত্র পাই- (১) গৃহ্যসূত্র, (২) ধর্মসূত্র, (৩) শ্রৌতসূত্র এবং (৪) শুল্বসূত্র।
প্রত্যেক বেদেরও পৃথক পৃথক কল্পসূত্র আছে। প্রাচীনকালে বেদের যতগুলো শাখা ছিল, ঠিক ততগুলিই কল্পসূত্র ছিল বলে বিশ্বাস। প্রাচীন উৎস থেকে জানা যায়, পূর্বে কল্পসূত্র ছিল ১১৩০টি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বর্তমানে এতগুলো কল্পসূত্র পাওয়া যায় না। বর্তমানে পাওয়া যায় প্রায় ৫০টি কল্পসূত্র। নিচে এর তালিকা দেয়া হলো।
ঋগ্বেদ
শ্রৌতসূত্র : (১) আশ্বলায়ন (২) শাংখায়ন (৩) পরশুরাম।
গৃহ্যসূত্র : (১) আশ্বলায়ন (২) শাংখায়ন।
ধর্মসূত্র : (১) বশিষ্ঠ
সামবেদ
শ্রৌতসূত্র : (১) লাট্যায়ন বা আর্ষেয়কল্প (২) দ্রাহ্যায়ন (৩) জৈমিনীয়।
গৃহ্যসূত্র : (১) গোভিল (২) দ্রাহ্যায়ন (৩) জৈমিনীয় (৪) খাদির।
ধর্মসূত্র : (১) গৌতম।
কৃষ্ণযজুর্বেদ
শ্রৌতসূত্র : (১) বৌধায়ন (২) আপস্তম্ব (৩) মানব (৪) সত্যাষাঢ় বা হিরণ্যকেশী (৫) বৈখানস।
গৃহ্যসূত্র : (১) বৌধায়ন (২) আপস্তম্ব (৩) মানব (৪) হিরণ্যকেশী (৫) ভারদ্বাজ (৬) বারাহ (৭) কাঠক (৮) লৌগাক্ষি (৯) বৈখানস (১০) বাধুল।
ধর্মসূত্র : (১) মানব (২) বৌধায়ন (৩) আপস্তম্ব (৪) হিরণ্যকেশী (৫) বৈখানস।
শুল্বসূত্র : (১) বৌধায়ন (২) আপস্তম্ব (৩) হিরণ্যকেশী (৪) কাঠক (৫) মানব (৬) বারাহ।
শুক্লযজুর্বেদ
শ্রৌতসূত্র : (১) কাত্যায়ন।
গৃহ্যসূত্র : (১) পারস্কর বা বাজসনেয়।
ধর্মসূত্র : (১) শঙ্খ (২) লিখিত।
শুল্বসূত্র : (১) কাত্যায়ন।
অথর্ববেদ
শ্রৌতসূত্র : (১) বৈতান।
গৃহ্যসূত্র : (১) কৌশিক।
ধর্মসূত্র : (১) পঠিনসী।
ঋগ্বেদ, সামবেদ, শুক্লযজুর্বেদ, কৃষ্ণযজুর্বেদ এবং অথর্ববেদ এ পাঁচপ্রকারের প্রত্যেকের অন্তর্ভুক্ত সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক এবং উপনিষদ নিয়ে সমগ্র বেদবিদ্যা। এর মধ্যে শুধু অথর্ববেদের কোন আরণ্যক নেই। 


এছাড়াও বিভিন্ন শাস্ত্রের দুর্বোধ্যতা দূর করার জন্য অনেক ভাষ্যকারগণ বহু টীকা, টিপ্পনী, বার্তিক রচিত করেছেন। 
यथे॒मां वाचं॑ कल्या॒णीमा॒वदा॑नि॒ जने॑भ्यः। ब्र॒ह्म॒रा॒ज॒न्या᳖भ्या शूद्राय॒ चार्या॑य च॒ स्वाय॒ चार॑णाय च। प्रि॒यो दे॒वानां॒ दक्षि॑णायै दा॒तुरि॒ह भू॑यासम॒यं मे॒ कामः॒ समृ॑ध्यता॒मुप॑ मा॒दो न॑मतु ॥२ ॥-यजुर्वेद अध्याय:26 मन्त्र:2
প্রিয়ো দেবানাং দক্ষিণায়ৈ দাতুরিহ, ভূয়াসময়ং মে কামঃ সমৃধ্যতামুপ মাদো নমতু ।। (যজুর্বেদ ২৬/২)
হে মনুষ্যগণ আমি যে রূপে ব্রাক্ষণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র, স্ত্রীলোক এবং অন্যান্য সমস্ত জনগনকে এই কল্যাণদায়িনী পবিত্র বেদবাণী বলিতেছি, তোমরাও সেই রূপ কর। যেমন বেদবাণীর উপদেশ করিয়া আমি বিদ্বানদের প্রিয় হয়েছি, তোমরাও সেইরূপ হও। আমার ইচ্ছা বেদ বিদ্যা প্রচার হোক। এর দ্বারা সকলে মোক্ষ এবং সুখ লাভ করুক।

সূত্রঃ


  1.  saMhita, Monier-Williams' Sanskrit-English Dictionary, Cologne Digital Sanskrit Lexicon, Germany
  2.  samhita[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] Sanskrit-English Dictionary, Koeln University, Germany
  3. ↑ ঝাঁপ দাও:    Lochtefeld, James G. "Samhita" in The Illustrated Encyclopedia of Hinduism, Vol. 2: N-Z, Rosen Publishing, আইএসবিএন ০-৮২৩৯-২২৮৭-১, page 587
  4. ↑ ঝাঁপ দাও:  A Bhattacharya (2006), Hindu Dharma: Introduction to Scriptures and Theology, আইএসবিএন ৯৭৮-০৫৯৫৩৮৪৫৫৬, pages 8-14
  5.  Jan Gonda (1975), Vedic Literature: (Saṃhitās and Brāhmaṇas), Otto Harrassowitz Verlag, আইএসবিএন৯৭৮-৩৪৪৭০১৬০৩২
  6.  Gavin Flood (1996), An Introduction to Hinduism, Cambridge University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০৫২১৪৩৮৭৮০, pages 35-37
  7.  See গুগল বইয়ে Shankara's Introduction to Brihad Aranyaka Upanishad at pages 1-5; Quote - "The Vedas are divided in two parts, the first is the karma-kanda, the ceremonial part, also (called) purva-kanda, and treats on ceremonies; the second part is the jnana kanda, the part which contains knowledge, also named uttara-kanda or posterior part, and unfolds the knowledge of Brahma or the universal soul." (Translator: Edward Roer)
  8.  Stephen Knapp (2005), The Heart of Hinduism: The Eastern Path to Freedom, Empowerment and Illumination, আইএসবিএন৯৭৮-০৫৯৫৩৫০৭৫৯, pages 9-16
  9. ↑ ঝাঁপ দাও:  Monier Monier-Williams (1893), Indian Wisdom, Luzac & Co., London, page 17
  10.  Edward F Crangle (1994), The Origin and Development of Early Indian Contemplative Practices, Otto Harrassowitz Verlag, আইএসবিএন ৯৭৮-৩৪৪৭০৩৪৭৯১, page 124
  11.  Albrecht Weber, History of Indian Literature, গুগল বইয়েSamaveda-Samhita, page 63
  12. ↑ ঝাঁপ দাও:   Frits Staal (2009), Discovering the Vedas: Origins, Mantras, Rituals, Insights, Penguin, আইএসবিএন৯৭৮-০১৪৩০৯৯৮৬৪, pages 107-115
  13. ↑ ঝাঁপ দাও:  Harvey P. Alper (2012), Understanding Mantras, Motilal Banarsidass, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১২০৮০৭৪৬৪, pages 75-76
  14.  Edward F Crangle (1994), The Origin and Development of Early Indian Contemplative Practices, Otto Harrassowitz Verlag, আইএসবিএ

মূলবক্তব্যঃ
সমস্ত মানবজাতির ধর্ম্মগ্রন্থ বেদ (পুস্তক)। বেদের অর্থ জ্ঞান। বেদ পাঠের জন্য বেদাঙ্গ পাঠ আবশ্যক। বেদাঙ্গ ছয়টি, সেগুলি হল – শিক্ষা, কল্প, ছন্দ, ব্যাকরণ (উদাঃ পাণিনি মুনি কৃত অষ্টাধ্যায়ী), জ্যোতিষ, নিরুক্ত। বেদের উপাঙ্গ গুলিকে দর্শন শাস্ত্র এবং শাস্ত্র ও বলা হয়।
ন্যায় দর্শন / শাস্ত্র (গৌতমমুনিকৃত), সাংখ্য শাস্ত্র / দর্শন (কপিলমুনিকৃত),  যোগ দর্শন / শাস্ত্র (পতঞ্জলিমুনিকৃত),পূর্বমীমাংসা দর্শন / শাস্ত্র (জৈমিনিমুনিকৃত), উত্তরমীমাংসা শাস্ত্র / দর্শন(বেদব্যাস মুনিকৃত)।
বেদের গঠনগত বিভাজন হলোঃ সংহিতা (ঋগঃ,সামঃ,যজুঃ,অথর্বঃ), ব্রাহ্মন ( ঐতরেয়, শতপথ, তান্ড্য, গোপথ, ইত্যাদি ),আরন্যক, উপনিষদ ( ঈশ, কেন, কঠ, প্রশ্ন, মুণ্ডক,মাণ্ডুক্য,ঐতরেয়, তৈতরীয়, ছান্দোগ্য,  বৃহদারণ্যক, শ্বেতাশ্বতর ইত্যাদি)। বেদ মন্ত্র গুলো ছন্দে রচিত পরে গদ্য আকারে ব্রাহ্মন গ্রন্থ রচিত হয়। বৈদিক সাহিত্যে ‘ব্রাহ্মণ’ গ্রন্থগুলির শেষাংশে আর একজাতীয় রচনা সংযোজিত দেখা যায়, তার নাম ‘আরণ্যক’ ও ‘উপনিষদ’।
 বেদ বলতে আমরা বুঝি চার প্রকার শাস্ত্র গ্রন্থ কে ১) সংহিতা,২) ব্রাহ্মন,৩) আরন্যক, ৪) উপনিষদ। সংহিতা ও ব্রাহ্মন কর্ম্মকান্ড, আরন্যক ও উপনিষদ জ্ঞান কান্ড।  
বেদের অঙ্গীভূত উপনিষদ :
—-(১) ঈশ,– শুক্ল-যজুর্বেদের বাজসনেয় সংহিতার অংশ
—-(২) ঐতরেয়,– ঋগ্বেদের ঐতরেয় আরণ্যকের অংশ
—-(৩) কৌষীতকি,– ঋগ্বেদের শাংখ্যায়ন আরণ্যকের অংশ
—-(৪) তৈত্তিরীয়,– কৃষ্ণ-যজুর্বেদের তৈত্তিরীয় আরণ্যকের অংশ
—-(৫) বৃহদারণ্যক,– শুক্ল-যজুর্বেদের শতপথ ব্রাহ্মণের অংশ
—-(৬) কেন,– সামবেদের জৈমিনীয় বা তলবকার ব্রাহ্মণের অংশ
—-(৭) ছান্দোগ্য,– সামবেদের ছান্দোগ্য ব্রাহ্মণের অংশ
—-(৮) প্রশ্ন,– অথর্ববেদের পৈপ্পলাদ শাখার অন্তর্ভুক্ত
ঐতিহ্য অনুসারে বেদের সাথে সংযুক্ত :
—-(৯) কঠ,– ঐতিহ্য অনুসারে কৃষ্ণ-যজুর্বেদের অন্তর্ভুক্ত
—-(১০) শ্বেতাশ্বতর,– ঐতিহ্য অনুসারে কৃষ্ণ-যজুর্বেদের অন্তর্ভুক্ত
—-(১১) মুণ্ডক,– ঐতিহ্য অনুসারে অথর্ববেদের অন্তর্ভুক্ত
—-(১২) মাণ্ডুক্য,– ঐতিহ্য অনুসারে অথর্ববেদের অন্তর্ভুক্ত
—-(১৩) মৈত্রায়ণীয়,– ঐতিহ্য অনুসারে কৃষ্ণ-যজুর্বেদের অন্তর্ভুক্ত
স্মৃতিশাস্ত্রসমূহ-
* উপবেদ (৫)
* বেদাঙ্গ (৬)
* ব্রাহ্মন (৬)
* আরণ্যক (৬)
* সূত্র (৯)
* স্মৃতি (২)
* দর্শন ( ৬)
* উপনিষদ (১১)
* ইতিহাস

* নীতি (৪)
সূত্র গ্রন্থ :
* গৃহ সূত্র
* ধর্ম সূত্র
* শ্রোতা সূত্র
* অশবালায়ন
* গোভিল
* প্রসাকর
* কোশিতকি
* কাত্যায়ন

* বোধায়ন

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

জম্বুদ্বীপে ভারখণ্ডে

 মহাভারতের ভীষ্মপর্ব হতে তৎকালীন ভৌগলি বর্ণনা পাওয়া যায়। পৃথিবীতে ৭টি দ্বীপ আছে (বর্ত্তমানের সপ্ত মহাদেশের মত)। সাত দ্বীপের মধ্যে একটি হলো জ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ