মান্ডূক্যোপনিষদ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

03 August, 2017

মান্ডূক্যোপনিষদ

মাণ্ডুক্য উপনিষদ্‌ হল একটি মুখ্য উপনিষদ্‌। এটি ক্ষুদ্রতম উপনিষদ্‌। মাণ্ডুক্য গদ্যে রচিত। এটিতে বারোটি শ্লোক রয়েছে। এই বারোটি শ্লোকে ওঁ-কারের ব্যাখ্যা, তিনটি মানসিক অবস্থা (জাগ্রত, নিদ্রামগ্ন ও সুপ্ত) এবং চতুর্থ তুরীয় অবস্থার বর্ণনা রয়েছে। মুক্তিকা উপনিষদের মতে, একমাত্র মাণ্ডুক্য উপনিষদের মাধ্যমেই মুক্তিলাভ সম্ভব। প্রামাণিক ঋষিকৃত উপনিষদ গুলি হলো 

১. ঈশ, ২. কেন, ৩. কঠ, ৪. প্রশ্ন, ৫. মুণ্ডক, ৬. মাণ্ডুক্য, ৭. ঐতরেয়, ৮. তৈতরীয়, ৯. ছান্দোগ্য, ১০. বৃহদারণ্যক, ১১. শ্বেতাশ্বতর।

মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড pdf

১) ওম্ (ঔঁ) এই অক্ষয় পদ, ওম্ (ঔঁ) অক্ষরই এই সমস্ত (জগত), তাহার স্পষ্ট ব্যাখ্যা ইহা ৷ অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ, যা কিছু ছিল, যা কিছু আছে, যা কিছু হবে এই সমুদয় ওম্ (ঔঁ), ত্রিকালের সীমা ছাড়িয়ে আর যাহা কিছু থাকতে পারে তাহাও ওঙ্কারই।
২) এই সমগ্র বিশ্ব সমস্তই ব্রহ্ম , এই আত্মা ব্রহ্ম, এই আত্মাই চারিপাদবিশিষ্ট। (আত্মার বৈশ্বানর, তৈজস, প্রাজ্ঞ, তুরীয় এই চার অবস্থা)
৩) জাগ্রত অবস্থায় যিনি বাহ্য বিষয়ের জ্ঞাতা, সপ্ত অঙ্গ বিশিষ্ট, উনিশটি দ্বার সমন্বিত, শব্দাদি স্থুল বিষয়ে যার বোধ ও ভোগ, বিশ্বরূপ পুরষ তিনিই (আত্মার) প্রথম পাদ।
৪) স্বপ্ন অবস্থায় যিনি অান্তঃবিষয়ের জ্ঞাতা, সপ্ত অঙ্গ বিশিষ্ট, উনিশটি দ্বার সমন্বিত, সুক্ষ্মবিষয় ভোগী, তৈজস নামক ইনিই (আত্মার) দ্বিতীয় পাদ।
৫) যে অবস্থায় সুপ্ত হইয়া মনুষ্য কোন কাম্য বস্তু কামনা করে না, কোন স্বপ্ন দেখে না, তাহা সুষুপ্তি অবস্থা; এই সুষুপ্ত অবস্থার অধিষ্ঠাতা, এক অনুভুতিবিশিষ্ট, প্রজ্ঞাঘন ঘনীভূত জ্ঞানের আধার, আনন্দময়, আনন্দের ভোক্তা, জ্ঞানমুখ, প্রাজ্ঞ, ইনিই (আত্মার) তৃতীয় পাদ।
৬) ইনি সর্বেশ্বর, ইনি সর্বজ্ঞ, ইনি অন্তর্যামী, ইনিই সকলের উৎপত্তিস্থান, ভূতসমূহের উদ্ভব ও প্রলয়ের কারন।
৭) যিনি আন্তঃপ্রজ্ঞ (অান্তঃবিষয়ের জ্ঞাতা বা তৈজস) নহেন, বহিঃপ্রাজ্ঞ (বর্হি বিষয়ের জ্ঞাতা) নহেন, জাগ্রত ও সপ্নের মধ্যবর্তীও নহেন, সুষুপ্ত অবস্থাপন্ন প্রজ্ঞাঘন নহেন ; জ্ঞানেন্দ্রিয় দ্বারা দৃষ্টিগোচর নহেন, ব্যবহারযোগ্য নহেন, যাকে ধরা যায় না, অনুমানযোগ্য নহেন, চিন্তারও অগোচর, শব্দ দ্বারা নির্দিষ্ট হওয়ার যোগ্য নহেন, কেবল মাত্র আত্মা- এইরূপ বোধগম্য, প্রপঞ্চ (জগৎ চরাচর) হইতে ভিন্ন, যিনি শান্ত, (শিব) মঙ্গলময় ও অদ্বিতীয়, তাকেই তারা মনে করে আত্মার চতুর্থ পাদ ; তিনি আত্মা, তিনিই একমাত্র জ্ঞানের বিষয়।
৮) সেই আত্মা ওম্ এই অক্ষর অধিকার করিয়া আছেন, তিনিই ওঙ্কার, তিনি তিন মাত্রা অধিকার করিয়া আছেন, আত্মার পাদসমূহই ওঙ্কার এর মাত্রা, ওঙ্কার এর মাত্রাসমূহই আত্মার পাদ অ-কার, উ-কার ও ম-কার ৷
৯) যিনি জাগ্রত অবস্থার অধিষ্ঠাতা, বৈশ্বানর, তিনি (ওঙ্কারের) প্রথম মাত্রা অ-কার স্বরূপ, ইহার কারন তিনি ব্যাপ্ত এবং আদি (বৈশ্বানর যেমন জগত ব্যাপ্ত করে আছেন এবং তিনি প্রথম পাদ তেমনি 'অ' কার সকল অক্ষর ব্যাপ্ত করে আছে ও সকল অক্ষরের প্রথম পাদ); যিনি এরূপ জানেন, তিনি সমস্ত কাম্য বস্তু লাভ করেন, মহৎদিগের মধ্যে প্রথম হন।
১০) যিনি স্বপ্নের অধিষ্ঠাতা, তৈজস তিনি (ওঙ্কারের) দ্বিতীয় মাত্রা উ-কার স্বরূপ, ইহার কারণ উৎকর্ষ ও উভয়ত্ব (বৈশ্বানর অবস্থার চেয়ে যেমন তৈজস অবস্থা উৎকর্ষ তেমনি অক্ষরের মধ্যে উ-কারও অ- কার হইতে উৎকর্ষ) ; যিনি এইরূপ জানেন, তিনি জ্ঞানসমূহ বর্ধিত করেন, শত্রু-মিত্র সম্বন্ধে তিনি সমজ্ঞানসম্পন্ন হন, ইহার কুলে অব্রহ্মবিদ জন্মে না।
১১) যিনি সুষুপ্ত, প্রাজ্ঞ, জ্ঞানের অধীশ্বর, তিনিই (ওঙ্কারের) তৃতীয় মাত্রা ম-কার স্বরূপ; ইহার কারন পরিমাপ ও সমাপ্তি, যিনি তাকে এইরূপ জানেন, তিনি এই দৃশ্যমান জগৎকে যথাযথভাবে জানেন, তিনি সকলের আশ্রয়স্থল হন।
১২) মাত্রাশূন্য চতুর্থ অবস্থা (তুরীয় অবস্থা) অব্যবহার্য, বিষয় প্রপঞ্চের অতীত, মঙ্গলময়, অদ্বিতীয় এরূপ ওঙ্কারই আত্মা ; যিনি এইরূপ জানেন, তিনি আত্মা দ্বারা পরমাত্মায় প্রবেশ করেন- যিনি বিদ্বান তিনি, যিনি বিদ্বান তিনি ৷
১ম—আগম প্রকরণ
ওঁকারের সর্ব্বাত্মকতা প্রতিপাদন
ॐ ইত্যেতদক্ষরমিদঁ সর্বং তস্যোপব্যাখ্যানং
ভূতং ভবদ্ ভবিষ্যদিতি সর্বমোঙ্কার এব
যচ্চান্যত্ ত্রিকালাতীতং তদপ্যোঙ্কার এব  .. ১..
ওঁকারই যে, পর ব্রহ্ম ও অপর ব্রহ্মের প্রতীক বা অবলম্বন, ইহা জ্ঞাপনার্থ প্রথমতঃ ওঁকারের সর্ব্বাত্মকতা নির্দেশ করিতেছেন। এই দৃশ্যমান সমস্ত জগৎই ‘ওঁ’ এই অক্ষরাত্মক; তাহার সুস্পষ্ট বিবরণ এই যে, ভূত, ভবিষ্যত ও বর্ত্তমান, এই সমস্ত বস্তই ওঁকারাত্মক, এবং কালত্রয়াতীত আরও যাহা কিছু আছে, তাহাও এই ওঁকারস্বরূপই বটে।।১।।
ব্রহ্মের সর্ব্বাত্মকতা, আত্মস্বরূপতা এবং পাদ-চতুষ্টয় নিরূপণ
সর্বং হ্যেতদ্ ব্রহ্মাযমাত্মা ব্রহ্ম সোঽযমাত্মা চতুষ্পাত্ .. ২..
এই পরিদৃশ্যমান সমস্তই ব্রহ্মস্বরূপ, এবং এই আত্মাও (জীবও) ব্রহ্মস্বরূপ; সেই এই আত্মা চতুষ্পাৎ অর্থাৎ চারিটি অংশযুক্ত।।২।।
ব্রহ্মের বৈশ্বানর-সংজ্ঞক প্রথম পাদ নিরূপন
জাগরিতস্থানো বহিষ্প্রজ্ঞঃ সপ্তাঙ্গ একোনবিংশতিমুখঃ স্থূল
ভুগ্বৈশ্বানরঃ প্রথমঃ পাদঃ .. ৩..
জাগ্রদবস্থা যাহার স্থান বা ভোগক্ষেত্র, বাহ্যবিষয়ে যাহার প্রজ্ঞা বা অনুভূতি, সাতটি যাহার অঙ্গ, ঊনবিংশতিটি যাহার মুখ বা উপলিব্ধিদ্বার, স্থূলবিষয়ভোজী সেই বৈশ্বানরই আত্মার প্রথমপাদ সাধকের নিকট প্রথমেই প্রতীতির বিষয় হয়।।৩।।
ব্রহ্মের তৈজস-সংজ্ঞক দ্বিতীয় পাদ কথন
স্বপ্নস্থানোঽন্তঃ প্রজ্ঞাঃ সপ্তাঙ্গ একোনবিংশতিমুখঃ
প্রবিবিক্তভুক্তৈজসো দ্বিতীযঃ পাদঃ .. ৪..
আত্মার দ্বিতীয় পাদ কথিত হইতেছে—স্বপ্নদর্শন ইহার স্থান, অন্তরে (অবাহ্য বিষয়ে) ইহার জ্ঞান, সুতেজঃপ্রভৃতি পূর্বোক্ত সাতটি ইহার অঙ্গ, এবং পূর্ব্বোক্ত জ্ঞানেন্দ্রিয়াদি একশটি ইহার মুখ, কেবল সংস্কারোপস্থাপিত বিষয়ভোগী এই তৈজস (তেজোময় অন্তঃকরণস্বামী [আত্মার] দ্বিতীয় পাদ।।৪।।
ব্রহ্মের প্রাজ্ঞ-সংজ্ঞক তৃতীয় পাদ নিরূপণ এবং তাহারই সর্ব্বান্তর্য্যামিত্ব ও সর্ব্বকারণত্ব কথন
যত্র সুপ্তো ন কঞ্চন কামং কামযতে ন কঞ্চন স্বপ্নং
পশ্যতি তত্
সুষুপ্তম্ . সুষুপ্তস্থান একীভূতঃ প্রজ্ঞানঘন
এবানন্দমযো
হ্যানন্দভুক্ চেতো মুখঃ প্রাজ্ঞস্তৃতীযঃ পাদঃ .. ৫..
এষ সর্বেশ্বরঃ এষ সর্বজ্ঞ এষোঽন্তর্যাম্যেষ যোনিঃ সর্বস্য
প্রভবাপ্যযৌ হি ভূতানাম্ .. ৬..
সুষুপ্ত পুরুষ যে স্থানে বা অবস্থায় কোনরূপ ভোগ্য বিষয় প্রার্থণা করে না; কোনরূপ স্বপ্ন দর্শন করে না; তাহাই ‘সুষুপ্তস্থান’। এই সুষুপ্ত যাহার স্থান, [বাহ্য ও আন্তর সর্ব্বপ্রকার বিষয় বিজ্ঞান না থাকায়] একীভাবপ্রাপ্ত, কেনলই প্রকৃষ্ট জ্ঞানমূর্তি, প্রচুর আনন্দপূর্ণ ও আত্মানন্দভোজী এবং স্বীয় বোধশক্তি যাহার মুখস্বরূপ, সেই প্রাজ্ঞ আত্মা ইহার তৃতীয় পাদ।।৫।।
ইনি (প্রাজ্ঞ) সকলের ঈশ্বর, ইনি সর্ব্বজ্ঞ, ইনি অন্তর্যামী (যিনি অভ্যন্তরে থাকিয়া সকলকে নিয়মিত করেন), এবং যেহেতু ইনিই সমস্ত ভূতের উৎপত্তি ও বিলয় স্থান, অতএব ইনিই সর্ব্ব জগতের কারণ।।৬।।
উক্ত পাদত্রয়াতীত তুরীয় ব্রহ্ম স্বরূপ কথন
নান্তঃপ্রজ্ঞং ন বহিষ্প্রজ্ঞং নোভযতঃপ্রজ্ঞং ন প্রজ্ঞানঘনং
ন প্রজ্ঞং নাপ্রজ্ঞম্ | অদৃষ্টমব্যবহার্যমগ্রাহ্যমলক্ষণং
অচিন্ত্যমব্যপদেশ্যমেকাত্মপ্রত্যযসারং প্রপঞ্চোপশমং
শান্তং শিবমদ্বৈতং চতুর্থং মন্যন্তে স আত্মা স বিজ্ঞেযঃ ..৭..
বিবেকিগণ চতুর্থকে (তুরীয়কে) মনে করেন যে, তিনি অন্তঃপ্রজ্ঞ তৈজস নহেন; বহিঃপ্রজ্ঞ বিশ্ব নহেন; জাগ্রৎও স্বপ্নের মধ্যবর্ত্তী জ্ঞানসম্পন্ন নহেন; প্রজ্ঞানঘন প্রাজ্ঞ নহেন; জ্ঞাতা নহেন; অচেতন নহেন; পরন্তু চক্ষুরাদি ইন্দ্রিয়ের অবিষয়, ‘ইহা অমুক’ ইত্যাকার ব্যবহারের অযোগ্য, কর্ম্মেন্দ্রিয়ের অগ্রাহ্য, [অনুমানযোগ্য] কোনরূপ চিহ্নরহিত, মানস-চিন্তার অবিষয়, শব্দ দ্বারা নির্দ্দেশের অযোগ্য; কেবল ‘আত্মা’ ইত্যাকার প্রভীতিগম্য, জাগ্রদাদি প্রপঞ্চের নিবৃত্তিস্থান, শান্ত (নির্বিকার); মঙ্গলময়, অদ্বৈত। তিনিই আত্মা; এবং তিনিই একমাত্র জ্ঞাতব্য পদার্থ।।৭।।
বৈশ্বানরাদি পাদত্রয়ের জাগ্রদাদি অবস্থাত্রয়ে যথাক্রমে অকারাদি মাত্রারূপত্ব কথন, এবং তদ্‌বিজ্ঞানের ফল কীর্ত্তন 
সোঽযমাত্মাধ্যক্ষরমোঙ্করোঽধিমাত্রং পাদা মাত্রা মাত্রাশ্চ পাদা
অকার উকারো মকার ইতি .. ৮..
সেই এই আত্মা অক্ষরাধিকারে ওঙ্কারস্বরূপ; আর মাত্রাধিকারে পাদস্বরূপ। পাদও মাত্রাস্বরূপ, এবং মাত্রাও পাদস্বরূপ; অকার, উকার ও মকার, ইহারা ‘মাত্রা’ পদবাচ্য।।৮।।
জাগরিতস্থানো বৈশ্বানরোঽকারঃ প্রথমা
মাত্রাঽঽপ্তেরাদিমত্ত্বাদ্
বাঽঽপ্নোতি হ বৈ সর্বান্ কামানাদিশ্চ ভবতি য এবং বেদ.. ৯..
জাগরিতস্থান বৈশ্বানরই প্রথম মাত্রা আকারস্বরূপ; কেননা, উভয়ই ব্যাপক ও আদ্য। যে উপাসক এইরূপ জানে, সে সমস্ত কাম্য বিষয় লাভ করে এবং সকলের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে।।৯।।
স্বপ্নস্থানস্তৈজস উকারো দ্বিতীযা মাত্রোত্কর্ষাত্
উভযত্বাদ্বোত্কর্ষতি হ বৈ জ্ঞানসন্ততিং সমানশ্চ ভবতি
নাস্যাব্রহ্মবিত্কুলে ভবতি য এবং বেদ .. ১০..
পূর্ব্বোক্ত স্বপ্নস্থানগত তৈজস আত্মাই [ওঙ্কারের] দ্বিতীয় মাত্রা উকারস্বরূপ; কেননা [উভয়েরই] উৎকর্ষ ও মধ্যবর্ত্তিত্ব ধর্ম্ম তুল্য। যিনি এতদুভয়ের একত্ব জানেন; তিনি স্বীয় জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধন করেন, সাধুজনের সমান হন, এবং ইঁহার বংশে ব্রহ্মজ্ঞানহীন কেহ জন্মে নাম।।১০।।
সুষুপ্তস্থানঃ প্রাজ্ঞো মকারস্তৃতীযা মাত্রা মিতেরপীতের্বা
মিনোতি হ বা ইদং সর্বমপীতিশ্চ ভবতি য এবং বেদ .. ১১..
সুষুপ্তি স্থানগত প্রাজ্ঞ আত্মাও ওঙ্কারের তৃতীয় পাদ—মকারস্বরূপ; কেননা [প্রাজ্ঞ ও মকার, উভয়ই বিশ্ব ও তৈজসের এবং অকার ও উকারের] পরিমাপক বা নির্গমস্থান, এবং অপীতি বা বিলয়স্থান। যিনি এইরূপ জানেন, তিনি এই সমস্ত জগৎ অবগত হন এবং সকলের আশ্রয়ীভূত হন।।১১।।
উক্ত মাত্রাসম্বন্ধরহিত অদ্বৈত তুরীয়ব্রহ্মস্বরূপ নিরূপণ 
অমাত্রশ্চতুর্থোঽব্যবহার্যঃ প্রপঞ্চোপশমঃ শিবোঽদ্বৈত
এবমোঙ্কার আত্মৈব সংবিশত্যাত্মনাঽঽত্মানং য এবং বেদ .. ১২..
পূর্ব্বোক্ত মাত্রাশূন্য, অব্যবহার্য্য, জগতীপ্রপঞ্চের নিবৃত্তিস্থান, মঙ্গলময় এবং জ্ঞানিকর্ত্তৃক পূর্ব্বোক্ত প্রকারে প্রযুক্ত চতুর্থ ওঙ্কার অদ্বৈত আত্মস্বরূপই বটে। যিনি এইরূপে জানেন, তিনি নিজেও আত্মাতে (পারমার্থিক আত্মভাবে) প্রবেশ করেন।।১২।।
.. ইতি মাণ্ডুক্যোপনিষত্ সমাপ্তা ..

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

ব্রহ্মচর্য ও য়জ্ঞোপবীত

একাদশ অধ্যায় মেখলা প্রাচীনকালে গুরুকুলগুলোতে বেদের বিদ্বান বেদসংজ্ঞক আচার্য য়জ্ঞোপবীত সংস্কার করাতেন আর তারপর তারা বেদারম্ভসংস্কারের সময়...

Post Top Ad

ধন্যবাদ