সত্যার্থ প্রকাশ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

17 September, 2017

সত্যার্থ প্রকাশ




“সত্যার্থ প্রকাশ” - মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী রচিত এক অনন্যসাধারন গ্রন্থ। এই গ্রন্থের এমনই ক্ষমতা, যে হিন্দু এতদিন বোবা হয়ে থাকত সেই হিন্দু গর্জন করবে। যে মেয়ে লাভ জিহাদের ফাদে পড়ে মুসলিমদের বিছানায় শয়নের স্বপ্ন দেখত সেই মেয়ে ঐ মুসলিমকে ঠাস ঠাস করে চড় মারবে। যে হিন্দু জাকির নায়েকের ছলনায় পড়ে ইসলাম গ্রহন করতে চাইছে সেই হিন্দুই এখন জাকিরের মুখে থুতু ফেলবে। যে হিন্দু পূরাণের কল্পকাহিনীকে অমান্য করে নাস্তিক
হয়েছে সে হিন্দু এই গ্রন্থ পাঠের পর পূরাণ কে বর্জন করে বেদ উপনিষদিক আদর্শ আর্য হয়ে উঠবে। আপনারা ইউটিউবে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে আর্য সমাজের মহেন্দ্র পাল আর্যকে দাড়াতে দেখেছেন। জানেন কি এই মহেন্দ্র পাল আর্য আগে উত্তরপ্রদেশের বড়ি মসজিদের প্রধান হাফেজ ছিলেন(তৎকালীন নাম মৌলানা মেহবুব আলি)। এই সত্যার্থ প্রকাশই তাকে সনাতন ধর্মে প্রত্যাবর্তন করিয়েছে।         
পিডিএফঃ বাংলা             👈ডাউনলোড করুন
দয়ানন্দ সরস্বতী (গুজরাটি દયાનંદ સરસ્વતી) (এই শব্দ সম্পর্কে শুনুন (সাহায্য·তথ্য)) (১২ ফেব্রুয়ারি ১৮২৪, টঙ্কর[২] -৩০ অক্টোবর ১৮৮৩, আজমির)[৩] একজন গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু ধর্ম ও সমাজ সংস্কারক এবং আর্যসমাজের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন । পশ্চিম ভারতের কাথিয়াওয়াড়ের মোরভি শহরে এক ধনাঢ্য নিষ্ঠাবান সামবেদী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর গার্হস্থ্যাশ্রমের নাম মূলশংকর । বাল্যশিক্ষা পিতার কাছেই লাভ করেন । ইংরাজি শিক্ষার সুযোগ না হওয়ায় প্রথম থেকেই তিনি সংস্কৃতশাস্ত্র উত্তমরূপে আয়ত্ত্ব করেন এবং ধীরে ধীরে সমগ্র যজুবেদ ও আংশিকভাবে অপর তিন বেদ, ব্যাকরণ, তর্ক ও দর্শনশাস্ত্র, কাব্য, অলংকার, স্মৃতি প্রভৃতিতে যথেষ্ট বুৎপত্তি অর্জন করেন । 

প্রতিষ্ঠা

বৈদিক বিদ্যালয়

১৮৬৯ থেকে ১৮৭৩ এর মধ্যে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী ভারতে তাঁর প্রথম সংস্কার প্রচেষ্টা চালান। এই প্রচেষ্টা ছিল মূলত “বৈদিক বিদ্যালয়” বা “গুরুকূল” স্থাপনের লক্ষ্যে যা শিক্ষার্থীদের বৈদিক জ্ঞান, সংস্কৃতি ও ধর্ম সম্পর্কে গুরুত্ব প্রদান করে। প্রথম বিদ্যালয়টি ১৮৬৯ সালে ফররুখাবাদে প্রতিষ্ঠিত হয় মাত্র ৫০ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে। প্রারম্ভিক সাফল্যের দরুন মির্জাপুর(১৮৭০), কাসগঞ্জ (১৮৭০), চালিসার (আলীগড়) (১৮৭০) এবং বারাণসী (১৮৭৩)-তে দ্রুত বেশ কিছু বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। বৈদিক বিদ্যালয় সমূহ মূলত স্বামী দয়ানন্দের সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কারের প্রায়োগিক প্রয়াসকেই তুলে ধরে। সেগুলো মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল। একদিকে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে ঐতিহ্যগত মূর্তিপূজা করতে পারত না, বরং তাদের প্রতিদিন দুবার সন্ধ্যা বন্দনা ও অগ্নিহোত্র যজ্ঞ করতে হত। তারা ছিল শৃঙ্খলাবদ্ধ। অন্যদিকে তাদের সমস্ত খাবার, বাসা, পোশাক এবং বই বিনামূল্যে দেয়া হত এবং অ-ব্রাহ্মণরাও সংস্কৃত পাঠ করতে পারত। তাদেরকে প্রধানত বেদ শিক্ষা দেয়া হত। বৈদিক বিদ্যালয়সমূহ দ্রুতই বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়।


আর্যসমাজের মূলনীতি

আর্য সমাজ মূলত স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী প্রবর্তিত দশটি নিয়মের উপর প্রতিষ্ঠিত। নিয়মগুলো হচ্ছে:
সব সত্যবিদ্যা এবং যা পদার্থবিদ্যা দ্বারা জানা যায় সেসবের আদিমূল পরমেশ্বর।
ঈশ্বর সচ্চিদানন্দস্বরূপ, নিরাকার, সর্বশক্তিমান, ন্যায়কারী, দয়ালু, অজন্মা, অনন্ত, নির্বিকার, অনাদি, অণুপম, সর্বাধার, সর্বেশ্বর সর্বব্যাপক, সর্বান্তর্যামী, অজর, অমর, অভয়, নিত্য, পবিত্র ও সৃষ্টিকর্তা, একমাত্র তাঁরই উপসনা করা উচিত।
বেদ সব সত্যবিদ্যার পুস্তক, বেদের পঠন-পাঠন, শ্রবণ ও শ্রাবণ সবল আর্যের পরম ধর্ম।
সত্য গ্রহণে ও অসত্য পরিত্যাগে সদা উদ্যত থাকবে।
সব কাজ ধর্মানুসারে অর্থাৎ সত্য ও অসত্য বিচারপূর্বক করা উচিত।
সংসারের উপকার করা এই সমাজের মুখ্য উদ্দেশ্য অর্থাৎ শারীরিক, আত্মিক ও সামাজিক উন্নতি করা।
সকলের সঙ্গে প্রীতিপূর্বক ধর্মানুসারে যথাযোগ্য ব্যবহার করা উচিত।
অবিদ্যার নাশ ও বিদ্যার বৃদ্ধি করা উচিত।
প্রত্যেককে নিজের উন্নতিতেই সন্তুষ্ট থাকা উচিত নয়, কিন্তু সবার উন্নতিতে নিজের উন্নতি ভাবা উচিত।
সব মানুষকে সামাজিক সর্বহিতকারী নিয়ম পালনে পরতন্ত্র এবং প্রত্যেক হিতকারী নিয়মে সবাইকে স্বতন্ত্র থাকা উচিত।

 সত্যার্থ প্রকাশ মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী প্রণীত অমর গ্রন্থ "সত্যার্থ প্রকাশ" এর বঙ্গানুবাদ। বৈদিক ধর্ম ও অন্যান্য মতবাদের উপর বিশ্লেষণমূলক গ্রন্থ।


Download Link


No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ