এ মন্ত্রটির পরবর্তী মন্ত্রে স্পষ্ট হয়েছে যে, বেদ মূলত কাদের এমন কঠোরতম দন্ডের বিধান দিচ্ছে। পরের মন্ত্রটিতে বলা হয়েছে যে, ब्र॑ह्म॒ज्यं दे॑व्यघ्न्य॒ आ मूला॑दनु॒संद॑ह ॥[১২।৫।৬৩] "ব্রহ্মজ্যং অনুসংদহ " অর্থাৎ রাজার উচিৎ বেদ ব্যবস্থা অনুসারে বেদবিরোধীদের দূরে কারাগারে রাখা।[পণ্ডিত ক্ষেমকরন্দস ত্রিবেদী]
ব্রহ্মজ্ঞানীর (ব্রাহ্মণের) একটি সমাজ তথা রাষ্টে প্রয়োজনীয়তা কতটুকু এ সমন্ধে অথর্ববেদ ৫।১৯।৬ এ বলা হয়েছে যে, " যে উগ্র রাজা অভিমানী হয়ে বেদবিদ বিদ্বান ব্রাহ্মণ কে নষ্ট করতে চায় তার রাষ্ট্র সম্পদ শূণ্য হয়ে যায়। যেখানে ব্রহ্মজ্ঞানী ব্রাহ্মণ কষ্ট প্রাপ্ত হয় সেই রাষ্ট্র পরাজিত হয়।"
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে যে, একটি রাষ্ট্রে ব্রহ্মজ্ঞানীর গুরত্ব কতটুকু। কিন্তু যেসব অধার্মিক এই ব্রহ্মজ্ঞানীদের ধ্বংস করতে সদা উদ্যত বেদ তাদের কঠোরতম শাস্তির নির্দেশ দিচ্ছে। যাতে একটি রাষ্ট্র সদা জ্ঞানবান বিদ্বান দ্বারা পূর্ণ থাকে এবং জ্ঞানের বিনাশক কেহ না থাকে।
"হে শত্রুকে পরাজিত কারী অহন্তব্য বেদবাণী! তুমি এই ব্রাহ্মণের [ব্রহ্মজ্ঞানীর] হিংসক কে অর্থাৎ জ্ঞান বিনাশক কে কেটে ফেলো, উত্তমরূপে কেটে ফেলো, সম্যক কেটে ফেলো, এদের জ্বালিয়ে দাও, প্রকর্ষেন দগ্ধ করে দাও এবং সম্যক দগ্ধ করে দাও"-(অথর্ববেদ ১২।৫। ৬২-৬৩, হরিশরন সিদ্ধান্তলংকার)
পণ্ডিত ক্ষেমকরন্দস ত্রিবেদী ১২।৫।৬২ মন্ত্রের ভাষ্য বলেছেনঃ
অধার্মিক মনুষ্যদিগের নাশ করা ধর্মাত্মা দিগের উচিৎ; তাৎপর্য জ্ঞান দ্বারা অধার্মিকতা দূর করা।
वृ॒श्च प्र वृ॑श्च॒ सं वृ॑श्च॒ दह॒ प्र द॑ह॒ सं द॑ह ॥
टिप्पणी:६२−(वृश्च) छिन्धि (प्र) प्रकर्षेण (वृश्च) (सम्) सम्यक् (वृश्च) (दह) भस्मीकुरु (प्र) (दह) (सम्) (दह) ॥
पदार्थान्वयभाषाः -[वेदवाणी !] तू [वेदनिन्दक को] (वृश्च) काट डाल, (प्र वृश्च) चोर डाल, (सं वृश्च) फाड़ डाल, (दह) जला दे, (प्र दह) फूँक दे, (सं दह) भस्म कर दे ॥
भावार्थभाषाः -धर्मात्मा लोग अधर्मियों के नाश करने में सदा उद्यत रहें ॥-पण्डित क्षेमकरणदास त्रिवेदी
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ