মোহাম্মদ কি মুর্তি পুজারী ছিলেন? - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

11 November, 2017

মোহাম্মদ কি মুর্তি পুজারী ছিলেন?

 মুহাম্মদ যে পাপী ছিলেন , তা জানা যায় কোরানেই –

সুরা আল মুমিন- ৪০: ৫৫: অতএব, আপনি সবর করুন নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। আপনি আপনার গোনাহের জন্যে ক্ষমা প্রর্থনা করুন এবং সকাল-সন্ধ্যায় আপনার পালনকর্তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করুন।
সুরা আল ফাতহ- ৪৮: ২: যাতে আল্লাহ আপনার অতীত ও ভবিষ্যত পাপসমূহ মার্জনা করে দেন এবং আপনার প্রতি তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করেন ও আপনাকে সরল পথে পরিচালিত করেন।


সুতরাং নিয়মিত ভাবে মুহাম্মদ কাল পাথরকে চুম্বন করে তার পাপ মোচন করতেন। তার অর্থ , মুহাম্মদ উক্ত কাল পাথরকেই তার আল্লাহ হিসাবে কল্পনা করতেন পরোক্ষভাবে। কারন একমাত্র আল্লাহরই ক্ষমতা আছে পাপ মোচনের। এখন কাল পাথরেরও যদি সেই ক্ষমতা থাকে , তাহলে কাল পাথরই যে আল্লাহর প্রতিরূপ , তা অতি সাধারন কান্ডজ্ঞান যার আছে সেই বুঝতে পারে। সুতরাং এখন যৌক্তিক প্রশ্ন হলো – মুহাম্মদ কি তাহলে পাথরপুজারি ছিলেন ?তিরমিজি , হাদিস -৮৭৭: ইবনে আব্বাস বর্নিত, নবী বলেছেন , কাল পাথর যখন বেহেস্ত থেকে পতিত হয় তখন তা দুধের চাইতেও সাদা ছিল। মানুষের পাপ মোচনের ফলে সে কাল হয়ে গেছে।
তিরমিজি, হাদিস -৯৫৯: ওমর বর্নিত , আমি নবীকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন , কাল পাথর ও রুক ইয়ামানী উভয়কে স্পর্শ করলে মানুষের পাপ মোচন হয়।

উক্ত বিধান মেনে মুহাম্মদ কাবা ঘরে যেতেন , সেটাকে কেন্দ্র করে সাত পাক ঘুরতেন , অতি ভক্তি সহকারে কাল পাথরকে চুম্বন করতেন। কারন অন্য সবার মত তিনিও ছিলেন পাপী। আর সেই পাপ মোচনের জন্যেই কাল পাথরকে চুম্বন করতে হতো। 
মুহাম্মদ মক্কা ছেড়ে মদিনায় যাওয়ার আঠার মাস পর , হঠাৎ করে মক্কার দিকে মুখ করে নামাজ পড়া শুরু করলেন। এর আগে তার আল্লাহর ঘর হিসাবে যেরুজালেমের বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামাজ পড়তেন। মক্কার দিকে মুখ করে নামাজ পড়ার জন্যে মুহাম্মদ কোরানে আয়াতও নাজিল করলেন , যা আছে সহিহ হাদিসে –

সহিহ বুখারী ::  ১ ::  ৮ :: হাদিস ৩৯২
‘আবদুল্লাহ ইবন রাজা’ (র)……বারা’ ইবন ‘আযিব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সঃ) বায়তুল মুকাদ্দাসমুখী হয়ে ষোল বা সতের মাস সালাত আদায় করেছেন। আর রাসূলুল্লাহ (সঃ) কা’বার দিকে কিবলা করা পছন্দ করতেন। মহান আল্লাহ নাযিল করেনঃ “আকাশের দিকে আপনার বারবার তাকানোকে আমি অবশ্য লক্ষ্য করেছি। (২:১৪৪) তারপর তিনি কাবার দিকে মুখ করেন। আর নির্বোধ লোকেরা –তারা ইয়াহুদী, বলতো, “তারা এ যাবত যে কিবলা অনুসরণ করে আসছিলো, তা থেকে কিসে তাঁদের কে ফিরিয়ে দিল? বলুনঃ (হে রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সঠিক পথে পরিচালিত করেন। (২:১৪২)তখন নবী (সঃ) এর সঙ্গে এক ব্যক্তি সালাত আদায় করলেন এবং বেরিয়ে গেলেন। তিনি আসরের সালাতের সময় আনসারগনের এক গোত্রের পাশ দিয়ে যাচ্চছিল। তাঁরা বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করেছিলেন। তখন তিনি বললেনঃ (তিনি নিজেই) সাক্ষী যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর সঙ্গে তিনি সালাত আদায় করেছেন, আর তিনি (রাসূলুল্লাহ (সঃ) কা’বার দিকে মুখ করেছেন। তখন সে গোত্রের লোকজন ঘুরে কা’বার দিকে মুখ করলেন।
তার অর্থ , মদিনায় যাওয়ার সতের মাস পরেই মুহাম্মদ কাবা ঘরের দিকে কিবলা করে নামাজ পড়তেন। এই যে কাবার দিকে মুখ করে নামাজ পড়া , সেটাও কিন্তু মুহাম্মদের ইচ্ছাতেই , আল্লাহর ইচ্ছাতে নয়। সেটাও দেখা যাচ্ছে কোরানের আয়াতে – ২:১৪৪। কিন্তু কি কারন ? সেটা বোঝা মোটেই কষ্টকর নয়। কারন মুহাম্মদের আল্লাহ সেই কাল পাথর , সে তো কাবা ঘরেই আছে। তাহলে তার কিবলা যেরুজালেমের বায়তুল মুকাদ্দাস হয় কিভাবে ? এতদিন যে তিনি বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামাজ পড়েছেন , সেটা তো ইহুদি আর খৃষ্টানদেরকে নিজের দলে টানবার জন্যে। মুহাম্মদ নিজেকে নবী হিসাবে দাবী করলে , তাকে অবশ্যই আগের নবীদের কাছে স্বীকৃত ঈশ্বরের ঘর বায়তুল মোকাদ্দাসকে মানতে হয়। যখন সেটা করার পরেও ইহুদি ও খৃষ্টানরা তাকে নবী মানল না , তখন বায়তুল মোকাদ্দাসকে কিবলা বানানোর আর আবশ্যকতা থাকল না। যখন দেখা গেল, তারা মোটেই তার দলে আসল না , তখন অগত্যা তাদের আশা ত্যাগ করে আসল চেহারায় দেখা দিলেন আমাদের নবী মুহাম্মদ।

মুহাম্মদ তো এবার কাবা ঘরকে কিবলা করে মদিনায় তার দলবল সহ নামাজ পড়া শুরু করলেন, ভাল কথা। কিন্তু প্রশ্ন হলো , তখন কাবা ঘরের মধ্যে কি ছিল ? তখনও তো কাবা ঘরের মধ্যে ৩৬০ টা মুর্তি বহাল তবিয়তে ছিল। মদিনায় যাওয়ার দশ বছর পর মুহাম্মদ মক্কা ও কাবা ঘর দখল করেন, আর মদিনায় যাওয়ার সতের মাস পরে মুহাম্মদ কাবা ঘরকে কিবলা বানন। তার মানে মদিনায় অবস্থানরত মুহাম্মদ ও তার দলবল সাড়ে আট বছর যাবৎ ৩৬০টা মূর্তি ভর্তি কাবা ঘরকে কিবলা করেই নামাজ পড়েছেন। অর্থাৎ সজ্ঞানে তারা সেই মূর্তির কাছেই মাথা নত করে , নামাজ পড়েছেন। মক্কা দখলের আগে , মুহাম্মদ ও তার দলবল প্রায় প্রতি বছর হজ্জের সময় মক্কায় আগমন করতেন , আর তারা তখন সেই মুর্তি ভর্তি কাবাকেই সাতবার প্রদক্ষিন করতেন ও মুর্তি ভর্তি কাবার সামনে মাথা নত করে নামাজ পড়তেন। অর্থাৎ তারা সবাই সেই মূর্তির সামনেই মাথা নত করেন।

কথিত আছে , মুহাম্মদ মক্কা দখলের পর কাবা ঘরের সব মুর্তি ভেঙ্গে গুড়িয়ে বাইরে ফেলে দেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো , তার আগে যে তিনি মুর্তি ভর্তি কাবার সামনে মাথা নত করতেন ও নামাজ পড়তেন , সেটার কি হবে ? যদি মুর্তি ইসলামের কাছে এতই হারাম হয়ে থাকে , তাহলে মুহাম্মদ মক্কা বিজয়ের পর , কাবা থেকে সব মুর্তি বের করে দেয়ার পরেই সেটাকে কিবলা বানাতে পারতেন। তাহলে কিন্তু এই প্রশ্ন উত্থাপিত হতো না। কিন্তু সেটা তিনি তো করেনই নি , বরং অতি সজ্ঞানে , সচেতনভাবেই তিনি মুর্তি ও কাল পাথর ভর্তি কাবাকে কিবলা বানিয়েছেন। তিনি এতটাই সজ্ঞানে ও সচেতন ভাবে এটা করেছেন যে এক পর্যায়ে মুহাম্মদ এ সম্পর্কিত আয়াতও নাজিল করেছেন।

তার মানে মক্কা বিজয়ের আগ পর্যন্ত মুহাম্মদ একাধারে পাথরপুজারি ও মূর্তি পুজারী ছিলেন , তাই নয় কি ? মক্কা বিজয়ের পর মুর্তিগুলো ভেঙ্গে ফেলেছেন , কিন্তু কাল পাথরকে যথাস্থানে রেখেছেন। মুহাম্মদের দেখান পথে গত ১৪০০ বছর ধরে , লাখ লাখ মোমিন মুসলমান হজ্জের সময় কাবা ঘরে গিয়ে কাল পাথরকে চুমু খেয়ে পাপ মোচনের প্রান পন চেষ্টা করে থাকে। এমন কি তা করতে গিয়ে বেঘোরে কত মানুষের প্রান চলে যায়। কিন্তু সেই পাথরকে চুম্বন করতে হবেই , কারন সেটাই তা আসলে আল্লাহ , তাকে চুম্বন করে পাপ মোচনের সুযোগ কেউ বা হারাতে চায় ?

– মুর্তি পুজক ছিল তার পুর্ব পুরুষরা। তাদের সমস্ত নিয়ম কানুন মোহাম্মদ ইসলামে ডুকিয়েছে।
১. কাবা ঘড় সাত পাক ঘোরা।
২. পাথরে চুমা দেওয়া।
৩. মাথা ন্যাড়া করা।
৪. সাফা মারওয়া দৌড়ানো
৫. শয়তান কে ঢিল মারা।
৬. আল্লার ৯৯ নাম বলা।
৭. সুরা ফিল ( অবাবিল দিয়ে হাতি মারা এই ঘটনার সময় কাবা ঘড়ে ৩৬০ মুর্তি ছিল।)
৮. মদিনায় গিয়ে ( মক্কা বিজয়ের আগে) কাবার দিকে মুখ করে নামাজ পড়া( তখন ওখানে ৩৬০ মুর্তি)।
৯. মুর্তি পুজকদের রোজা পালন।
১০. মুর্তি পুজকদের জাকাত পালন।
১১. মুর্তি পুজকদের হজ্জ পালন।
১২. প্যাগান চন্দ্র দেবী আলাতের ( আল্লা) নাম গ্রহন করা এবং প্রচার করা।

উক্ত ঘটনা প্রমান করে সে মুর্তি পুজায় বিশ্বাসি ছিল।
সুতরাং মুর্তি ভাঙ্গার পর( মক্কা বিজয়ের পরে) , ইসলাম হয়ে গেছে ১০০% পাথর পুজা, তাই নয় কি ?

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

वैदिक रश्मिविज्ञानम्

EBooks Download – Vaidic Physics

Post Top Ad

ধন্যবাদ