আত্মার স্বরূপ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

20 December, 2017

আত্মার স্বরূপ

আত্মার স্বরূপ

নিচের বেদমন্ত্র সুন্দর ও সহজ বর্ণনা অর্থাৎ পরমাত্মা ও জীবাত্মা এটাই দ্বৈতবাদের জন্মভূমি।আবশ্য বেদ কথিত তিনটি অজা বা জন্ম রহীত শক্তির মধ্যে একটি প্রেরক বা পরমাত্মা, একটি জীবাত্মা এবং তৃতীয়টি মায়া বা প্রকৃতি। সেই বিচারে দুই আত্মার বর্ণনা যুক্তিযুক্ত।
দ্বা সূপর্না সযুজ্জা সখায়া সমানং বৃক্ষং পরিষস্বজ্জাতে। তয়োরন্যঃ পিপ্পলং স্বাদ্বত্ত্যনশ্নন্নন্যোহভিচাকশীতি।।
(মুন্ডক উপনিষদ্ ৩/১/১)

অনুবাদঃ— সর্বদা যুক্ত ও পরস্পর সখ্যভাবাপন্ন দুইটি শোভন-পক্ষ পক্ষী একই দেহ-বৃক্ষকে আশ্রয়পূর্বক পরস্পর আলিঙ্গন করিয়া আছে। তাহাদের মধ্যে একজন দেহ-বৃক্ষের বিচিত্র আস্বাদযুক্ত ফল ভোজন করে, অপরটি কিছু ভক্ষণ না করিয়া কেবল দর্শন করে। 

অভি প্রর গোপতিং গিরেন্দ্রমর্চ যথাবিদে।

সূনুং সত্যস্য সৎপতিম্।
(ঋগ্বেদ ৮/৬৯/৪)
অনুবাদঃ— হে মনুষ্য! যথার্থ জ্ঞান লাভের জন্য ইন্দ্রিয়ের স্বামী আত্মাকে বাণী দ্বারা পূজা কর। আত্মা সত্যের পুত্র এবং সত্যের পালক।
ওঁ ন জায়তে ম্রিয়তে বা বিপশ্চিন্নায়ং কুতশ্চিন্ন বভূব কশ্চিৎ।
অজো নিত্যঃ শাশ্বতোহয়ং পুরাণো ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে।। (১৮)
হন্তা চেন্মন্যতে হন্তুহতশ্চেন্মন্যতে হতম্।
উভৌ তৌ ন বিজানীতো নায়হন্তি ন হন্যতে।। (১)
(কঠোউপনিষদ্ ১/২/১৮-১৯) (গীতা ২/১৮-২০)
অনুবাদঃ— নিত্য জ্ঞানস্বরূপ আত্মা জন্ম নেন না অথবা মারেন না ইনি না করো থেকে সঞ্জাত হয়েছেন না কোনো কিছু হয়েছে অর্থাৎ ইনি কোনো কিছুরই কার্য-কারণ নন ইনি অজাত নিত্য চিরন্তন, সর্বদা একরস (আর) পুরাতন অর্থাৎ ক্ষয় -বৃদ্ধিরহিত শরীরের নাশ হলেও (আত্মাকে) নাশ করা যায় না। (১৮)
যদি হত্যাকারী ব্যক্তি তাঁকে মারতে সমর্থ মনে করে যদি নিহত ব্যক্তি নিহত হয়েছি মনে করে তারা উভয়েই জানে না এই আত্মা কাউকে মারেন না কারো দ্বারা হতও হন না। (১৯)
ওঁ দ্বা সুপর্ণা সযুজা সখায়া সমানং বৃক্ষ পরিষস্বজাতে।
তয়োরন্যঃ পিপ্পলং স্বাদ্বত্ত্যনশ্নন্নন্যো অভিচাকশীতি।। (মূণ্ডকোপনিষদ্ ৩/১/১), (ঋগ্বেদ ১/১৬৪/২০), (অথর্ববেদ ৯/১৪/২০ তেও এই মন্ত্র এইরূপে উপলব্ধ)
অনুবাদঃ— একসাথে অবস্থানকারী পরস্পর সখ্যভাব-পোষণকারী দুটিটি পক্ষী (জীবাত্মা ও পরমাত্মা) একই বৃক্ষের আশ্রয় নিয়ে থাকেন দুজনের মধ্যে একজন ওই বৃক্ষের সুখ-দুঃখরূপ কর্মফলের স্বাদ নিয়ে কিন্তু অন্য না খেয়ে কেবল দেখেন।
ওঁ অঙ্গুষ্ঠমাত্রো রবিতুল্যরূপঃ সংকল্পাহংকারসমন্বিতো যঃ।
বুদ্ধের্গুণেনাত্মগুণেন চৈব আরাগ্রমাত্রো হ্যপরোহপি দৃষ্টঃ।।(৮)
বালাগ্রশতভাগস্য শতধা কল্পিতস্য চ।
ভাগো জীবঃ স বিজ্ঞেয়ঃ স চানন্ত্যায় কল্পতে।। (৯)
নৈব স্ত্রী ন পুমানেষ ন চৈবায়ং নপুংসকঃ।
যদ্ যচ্ছরীরমাদত্তে তেন তেন স যজ্যুতে।। (১০)

সংকল্পনস্পর্শনদৃষ্টিমোহৈর্গ্রাসাম্বুবৃষ্ট্যা চাত্মবিবদ্ধিজন্ম।
কর্মানুগান্যননুক্রমেণ দেহী স্থানেষু রূপাণ্যভিসম্প্রপদ্যতে।। (১১)
(শ্বেতাশ্বতরোপনিষদ্ ৫/৮-১১)
অনুবাদঃ— যিনি অঙ্গুষ্ঠমাত্র পরিমাণস্বরুপ সূর্যতুল্য প্রকাশস্বরূপ তথা সংকল্প এবং অহংকারযুক্ত বুদ্ধির গুণের কারণে এবং নিজ গুণের কারণে ই সুঁচের অগ্রভাগের ন্যায় সূক্ষ্ম আকারবান এইরূপ অপর (অর্থাৎ পরমাত্মা ভিন্ন জীবাত্মা) ও নিঃসন্দেহে (জ্ঞানিগণ কর্তৃক) দৃষ্ট।। (৮)
চুলের ডগার অগ্রভাগের শতভাগের পুনরায় শতভাগের কল্পনা করলে যে একভাগ হয় সে (তার বারবার) জীবাত্মা স্বরূপ জানা উচিত এবং সে অসীম ভাব যুক্ত হতে সমর্থ।। (৯)
পদার্থঃ- (এষঃ) এই জীবাত্মা (ন) না (এব) তো (স্ত্রী) স্ত্রী (ন) না (পুমান্) পুরুষ (চ) আর (ন) না (এব) তো (অয়ম্) এই আত্মা (নপুংসকঃ) নপুংসক (যৎ যৎ) যে যে (শরীরম্) শরীর কে (আদক্তে) গ্রহণ করে (তেন তেন) সেই সেই শরীর দ্বারা (সঃ) সে (রক্ষ্যতে) রক্ষিত হয় অর্থাৎ সেই শরীরে যুক্ত হয়ে যায়।
এই জীবাত্মা না তো স্ত্রী না পুরুষ এবং না ইনি নপুংসক তিনি যে যে শরীর গ্রহণ করেন সেই সেই শরীর দ্বারা সম্বন্ধ যুক্ত হন।। (১০)
সংকল্প, স্পর্শ, দৃষ্টি এবং মোহে তথা ভোজন, জলপান এবং বর্ষাদ্বারা ( প্রাণীগণের) সজীব শরীরের বৃদ্ধি এবং জন্ম হয় এই জীবাত্মা ভিন্ন ভিন্ন লোকে কর্ম অনুসারে লব্ধ ভিন্ন ভিন্ন শরীর ক্রমানুসারে বারংবার প্রাপ্ত হন।। (১১)
আত্মা সম্পর্কে আরো রেফারেন্স নিচে দেওয়া হল।
(শ্বেতাশ্বতরোপনিষদ্ ৩/৮), (যজুর্বেদ ৩১/১৮) এরূপ বর্তমান), (গীতা ২/১৯-৩০)।।

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ