(মুন্ডক উপনিষদ্ ৩/১/১)
অনুবাদঃ— সর্বদা যুক্ত ও পরস্পর সখ্যভাবাপন্ন দুইটি শোভন-পক্ষ পক্ষী একই দেহ-বৃক্ষকে আশ্রয়পূর্বক পরস্পর আলিঙ্গন করিয়া আছে। তাহাদের মধ্যে একজন দেহ-বৃক্ষের বিচিত্র আস্বাদযুক্ত ফল ভোজন করে, অপরটি কিছু ভক্ষণ না করিয়া কেবল দর্শন করে।
অভি প্রর গোপতিং গিরেন্দ্রমর্চ যথাবিদে।
(ঋগ্বেদ ৮/৬৯/৪)
অজো নিত্যঃ শাশ্বতোহয়ং পুরাণো ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে।। (১৮)
হন্তা চেন্মন্যতে হন্তুহতশ্চেন্মন্যতে হতম্।
উভৌ তৌ ন বিজানীতো নায়হন্তি ন হন্যতে।। (১)
(কঠোউপনিষদ্ ১/২/১৮-১৯) (গীতা ২/১৮-২০)
যদি হত্যাকারী ব্যক্তি তাঁকে মারতে সমর্থ মনে করে যদি নিহত ব্যক্তি নিহত হয়েছি মনে করে তারা উভয়েই জানে না এই আত্মা কাউকে মারেন না কারো দ্বারা হতও হন না। (১৯)
তয়োরন্যঃ পিপ্পলং স্বাদ্বত্ত্যনশ্নন্নন্যো অভিচাকশীতি।। (মূণ্ডকোপনিষদ্ ৩/১/১), (ঋগ্বেদ ১/১৬৪/২০), (অথর্ববেদ ৯/১৪/২০ তেও এই মন্ত্র এইরূপে উপলব্ধ)
বুদ্ধের্গুণেনাত্মগুণেন চৈব আরাগ্রমাত্রো হ্যপরোহপি দৃষ্টঃ।।(৮)
বালাগ্রশতভাগস্য শতধা কল্পিতস্য চ।
ভাগো জীবঃ স বিজ্ঞেয়ঃ স চানন্ত্যায় কল্পতে।। (৯)
নৈব স্ত্রী ন পুমানেষ ন চৈবায়ং নপুংসকঃ।
যদ্ যচ্ছরীরমাদত্তে তেন তেন স যজ্যুতে।। (১০)
সংকল্পনস্পর্শনদৃষ্টিমোহৈর্গ্রাসাম্বুবৃষ্ট্যা চাত্মবিবদ্ধিজন্ম।
কর্মানুগান্যননুক্রমেণ দেহী স্থানেষু রূপাণ্যভিসম্প্রপদ্যতে।। (১১)
(শ্বেতাশ্বতরোপনিষদ্ ৫/৮-১১)
চুলের ডগার অগ্রভাগের শতভাগের পুনরায় শতভাগের কল্পনা করলে যে একভাগ হয় সে (তার বারবার) জীবাত্মা স্বরূপ জানা উচিত এবং সে অসীম ভাব যুক্ত হতে সমর্থ।। (৯)
এই জীবাত্মা না তো স্ত্রী না পুরুষ এবং না ইনি নপুংসক তিনি যে যে শরীর গ্রহণ করেন সেই সেই শরীর দ্বারা সম্বন্ধ যুক্ত হন।। (১০)
সংকল্প, স্পর্শ, দৃষ্টি এবং মোহে তথা ভোজন, জলপান এবং বর্ষাদ্বারা ( প্রাণীগণের) সজীব শরীরের বৃদ্ধি এবং জন্ম হয় এই জীবাত্মা ভিন্ন ভিন্ন লোকে কর্ম অনুসারে লব্ধ ভিন্ন ভিন্ন শরীর ক্রমানুসারে বারংবার প্রাপ্ত হন।। (১১)
(শ্বেতাশ্বতরোপনিষদ্ ৩/৮), (যজুর্বেদ ৩১/১৮) এরূপ বর্তমান), (গীতা ২/১৯-৩০)।।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ