অমৈথুনী জীব কি ভাবে সৃষ্ট হয় - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

08 September, 2018

অমৈথুনী জীব কি ভাবে সৃষ্ট হয়

।। উপ সর্প মাতরং ভূমিমেতামুরুব্যচসং পৃথিবীং সুশোবাম্। ঊর্ণম্রদা যুবতির্দক্ষিণাবত এষা ত্বা পাতু নির্ঋতেরুপস্থাত্।।১০।।(ঋক ১০/১৮/১০)

পদার্থঃ ( এতাম্ উরুব্যচসং পৃথিবীং সুশোবাং ভূমিং সাতরম্ উপসর্প) হে জীব! জন্ম ধারণ করিবার জন্য তুমি এই বহু প্রকারে জীব ব্যক্তিকে প্রকটকারী বিস্তৃত এবং অনুকুশলতার সম্পাদিকা ভূমি রূপী মাতাকে প্রাপ্ত হও ( দক্ষিণাবতে এষা যুবতিঃ ঊর্ণম্রদাঃ) স্বকর্ম ফল শরীর ধারণ যোগ্য জীবের জন্য এই যুবতি দ্যুতি যা বীজকে নিজের ভীতরে মিলনকারী কৃষি ভূমির দ্যুতি ( নির্ঋতেঃ উপস্থাত্ ত্বা পাতু) মৃত্যু রূপ ঘোর আপত্তিকে চল দ্বারা তোমার রক্ষা করে।। ১০।।

ভাবার্থঃ আরম্ভ সৃষ্টিতে জীবের একমাত্র মাতা পৃথিবী ই হয়ে থাকে। অত এব সেই সময় মনুষ্যের ও অমৈথুনি সৃষ্টি হয়ে থাকে। নানা ভেদে মনুষ্য আদি শরীরের প্রাদুর্ভাব হয়ে থাকে। আরম্ভ সৃষ্টিতে পৃথিবী যুবতী। যে ভাবে কৃষি জমি কোমল হয়ে থাকে ঠিক তদ্রুপ।।১০।।

অমৈথুনি জীবকে পৃথিবী মাতা তার গর্ভ কোশে ধারণ করেন

।। উচ্ছবঞ্চস্ব পৃথিবি মা নি বাধথাঃ সুপায়নাসম্মৈ ভব সুপবঞ্চনা। মাতা পুত্রং যথা সিচাভ্যেনং ভূম ঊর্ণহি।। ১১।।

পদার্থঃ- ( পৃথিবি উচ্ছবঞ্চস্ব মা নিবাধথাঃ) হে পৃথিবী! তুমি জীব গর্ভকে ধারণ করিবার জন্য পুলকিত পৃষ্ঠা- উফনী স্বরূপ হয়ে থাক এজন্য যাহাতে এই জীবের পীড়া না হয় ( অস্মৈ সুপা যনা সুপবঞ্চনা ভব) এই জীবের জন্য শরীর ধারণ করানোর যোগ্য শোভন আশ্রয় প্রদানকারী হও ( ভূমে মাতা পুত্রং যথা সিচা এনম্ অভি ঊর্ণ হি) হে ভূমি যেভাবে মাতা পুত্রকে জানিবার পশ্চাৎ দুগ্ধবান স্তনপার্শব দ্বারা আবৃত করে তুমি ও বনস্পতি যুক্ত পার্শব দ্বারা ইহাকে আচ্ছাদিত কর।১১।।

ভাবার্থঃ জীব গর্ভ যখন ভূমিতে এসে থাকে তো ভূমি উপরের পৃষ্ঠা পর পুলকিত উফনী হয়ে পোলি সর হয়ে জমাট বাধে যাহাতে আসানীর সহিত জীব বাড়িতে পারে এবং এই গর্ভের আবশ্যকতাকে পুরন করতে পারে। গর্ভ পূর্ণ হতেই তাহার উপরের উভরনে বাহির প্রকট করিবার যোগ্য হয়ে থাকে। তথা বাইরে প্রকট হয়ে যাবার পরে ঔষধি দ্বারা তাহাকে পোষণ করে অতএব সেই সময় জীব সর্ব প্রকার কুশল কুমার অবস্থায় উৎপন্ন হয়ে থাকে।।১১।।

বহু প্রকার জীব নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত উৎপন্ন হতে থাকে এবং সঙ্গ দ্বারা তারা একত্রিত হয়।।

।। উচ্ছবঞ্চমানা পৃথিবী সু তিষ্ঠতু সহত্রং মিত উপ হি শ্রযন্তাম্। তে গৃহাসো ভবন্তু বিশবাহাস্যৈ শরণাঃ সন্তবত্র।। ১২।।

পদার্থঃ- ( উচ্ছবঞ্চমানা পৃথিবী সুতিষ্ঠতু) যখন পুলকিত পৃষ্ঠা উফনী হয়ে - পলি হয়ে পৃথিবী হয়ে যায় তখন ( সহত্রং মিতঃ হি উপশ্রযন্তাম্) বহু সংখ্যা প্রাপ্ত জীব তাহাতে আশ্রিত থাকে ( তে গৃহাসঃ ঘৃতশ্চুতঃ ভবন্তু অস্মৈ বিশ্বাহা অত্র শরণঃ সন্তু) জীবাত্মার জন্য এ গর্ভগৃহ রসপূর্ণ এবং সর্বদা আশ্রায় প্রাদানকারী হয়ে থাকে।।১২।।

ভাবার্থঃ জীব সৃষ্টির জন্য পৃথিবীর উপর পলী এবং মৃদু কিছু কাল পর্যন্ত হতে থাকে। পুঃন তাহাতে অসংখ্য জীব আশ্রিত থাকে। অতএব অাজ পর্যন্ত ও স্ব স্ব জাতীয় সঙ্গে রহিবার স্বভাব প্রায় সব জীবের মধ্যে বর্তমান। আত্মার জন্য গর্ভগৃহ স্বভাবিক রস প্রদান করে শরণীয় হয়।। ১২।।

পৃথিবীর সব থেকে উচুতম স্থানে সর্বপ্রথম অমৈথুনি স্থলচর প্রানী এবং মানুষ সৃষ্টি হয়েছিল।।

।। উতে স্তভ্রামি পৃথিবীং ত্বৎপরীমং লোগং নিদধন্মো অহং রিষম্। এতাং স্থূর্ণা পিতরো ধারযন্তু তেহত্রা যমঃ সাদনা তে মিনোতু।। ১৩।।

পদার্থঃ- ( পৃথিবীং তো উত স্তভনামি) হে জীব! তোমাদের জন্য আমি ঈশ্বর, পৃথিবীকে জলমিশ্রিত ভূগোল দ্বারা উপরে ভূভাগকে স্থাপন করছি ( ইমং ত্বত্ লোগং পরিনিদ্ধত্ ম উ অহং রিষম্) ওই স্থানে তোমাদের এই গর্ভকোশকে স্থাপন করে ও পীড়া মুক্ত রাখি অর্থাৎ অামি তোমাদের পীড়া দেই না ( এতাং স্থূণাং পিতরঃ ধারযন্তু) এই উপরে উদিত ভূভাগকে সূর্য কিরণ পালন পোষণ করে ( তত্র যমঃ তে সদনা মিনোতু) সূর্য তোমাদের জন্য সর্ব আবশ্যক পুষ্টি কোষ প্রাপ্ত করাবে।।১৩।।

ভাবার্থঃ প্রাক্ সৃষ্টি ভূগোলের উঁচু ভাগ পরে হয়ে থাকে। এই ভাগ জলমিশ্রিত ভূগোল পর্বত ভূমির রূপে উপরে জেগে যায়। সেই জাগরিত ভূভাগকে সূর্যের রশ্নি ধারণ করে থাকে এবং সূর্য নিজের রশ্নি দ্বারা জীবাদির গর্ভকে প্রাপ্ত করিয়ে থাকে, অতএব তাহার দ্বিতীয় নাম সবিতা।।১৩।।

সত্যার্থপ্রকাশে দয়ানন্দজী যে ভাবে সৃষ্টি তত্ব এবং ভৌগলিক স্থান নির্দেশ করেছিল তাহা বেদ সিদ্ধ।।
ইত্যোম্।

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ