ঋগ্বেদের ৬।৪৭।১৮ মন্ত্রটি নিয়ে প্রচার করা হয় যে এখানে ঈশ্বরকে বিভিন্ন রূপ ধারণের উল্লেখ রয়েছে। চলুক দেখে নেওয়া যাক এই মন্ত্রটির যথার্থ বিশ্লেষণ ও প্রকৃত অর্থ।
শঙ্কা–
রূপং রূপং প্রতিরূপো বভুব তদস্য রূপং প্রতিচক্ষণায় ৷
ইন্দ্রো মায়াভিঃ পুরুরূপ ঈয়তে যুক্তা হ্যস্য হরয়াঃ শতা দশ ৷।
[ঋগ্বেদ – ৬।৪৭।১৮]
অর্থাৎ সমস্ত দেবগণের প্রতিনিধিভূত এ ইন্দ্র বিবিধ মূর্তি ধারণ করেন এবং সেই রূপ পরিগ্রহ করে তিনি পৃথকভাবে প্রকাশিত হন। তিনি মায়া দ্বারা বিবিধ রূপ ধারণ করেন এবং সেই রূপ পরিগ্রহ করে যজমানগণের নিকট উপস্থিত হন। কারণ তার রথে সহস্র অশ্ব যােজিত আছে।
রূপং রূপং প্রতিরূপো বভুব তদস্য রূপং প্রতিচক্ষণায় ৷
ইন্দ্রো মায়াভিঃ পুরুরূপ ঈয়তে যুক্তা হ্যস্য হরয়াঃ শতা দশ ৷।
[ঋগ্বেদ – ৬।৪৭।১৮]
অর্থাৎ সমস্ত দেবগণের প্রতিনিধিভূত এ ইন্দ্র বিবিধ মূর্তি ধারণ করেন এবং সেই রূপ পরিগ্রহ করে তিনি পৃথকভাবে প্রকাশিত হন। তিনি মায়া দ্বারা বিবিধ রূপ ধারণ করেন এবং সেই রূপ পরিগ্রহ করে যজমানগণের নিকট উপস্থিত হন। কারণ তার রথে সহস্র অশ্ব যােজিত আছে।
সমাধান– উক্ত শঙ্কাটি আমরা কয়েকটি পয়েন্ট আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবো।
১. যথারীতি এই মন্ত্রে ঈশ্বরের রূপ দাবীকারীরা রমেশচন্দ্র দত্ত অনুবাদিত ঋগ্বেদের অনুবাদ ব্যবহার করেছে, যার প্রকাশক হলো হরফ প্রকাশনী। যারা এই মন্ত্রের রমেশ চন্দ্রের অনুবাদ নিজেদের বই পত্রে ঈশ্বরের সাকার রূপের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করে, তারাই আবার গোহত্যা বা অশ্লীলতা নিয়ে কথা উঠলে হরফ প্রকাশনীকে তুলোধুনো করে এবং রমেশচন্দ্রের অনুবাদ যে ঠিক নয় তা এক বাক্যেই স্বীকার করে বসে!
২. এই মন্ত্রে কোথাও "প্রতিমা" বা "মূর্তি" শব্দটি উল্লেখ নাই। কিন্তু অনুবাদে মূর্তি শব্দটি দেওয়া দেখে এটির প্রচারকারীরা কোনো প্রশ্নই তোলে না। অথচ যজুর্বেদের ৩২।৩ মন্ত্রে সরাসরি "প্রতিমা" শব্দটি দেখতে পায় এবং সকল প্রসিদ্ধ ভাষ্যকারও যখন সেই "প্রতিমা" শব্দের অর্থ "প্রতিমা"-ই করে তখন এদের কান্না শুরু হয়ে যায়। তখন এরা এখানে প্রতিমা অর্থ উপমা দাবী করে বসে!
৩. যারা এই মন্ত্রে ঈশ্বরের সাকার রূপ দাবী করে, তারা বোধহয় ভালো করে তাদের ব্যবহৃত বা প্রদত্ত মন্ত্রটির অনুবাদও পড়ে না। কারণ এই মন্ত্রে ইন্দ্রকে বলা হচ্ছে সকল দেবতার প্রতিনিধি। অর্থাৎ তাদের মান্যতা অনুসারে এই স্থলে ইন্দ্র শব্দের অর্থ ঈশ্বর হলে ঈশ্বর হবেন দেবতাদের প্রতিনিধি! কিন্তু সমস্ত পৌরাণিক মান্যতা অনুসারেই "ঈশ্বর" দেবতাদের প্রতিনিধি নন, বরং "দেবতা"-ই ঈশ্বরের প্রতিনিধি। তাই এখানে "ইন্দ্র" অর্থ "ঈশ্বর" ধরলে তাদেরই মান্যতার বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে!
৪. তাদের প্রদত্ত অনুবাদ অনুসারে যদি ঈশ্বরকে যজমানের সামনে বিভিন্ন রূপ ধারণ করে উপস্থিত হওয়াকে ঠিক মানা হয়, তবে তা স্বয়ং বেদে বর্ণিত ঈশ্বরের গুণের পরিপন্থী হয়। কারণ যজুর্বেদ [৪০।১] বলছে ঈশ্বর সর্বব্যাপী। তাই তিনি আলাদা করে যজমানের সামনে উপস্থিত হলে তাঁর সর্বব্যাপত্ব নষ্ট হয়ে যায়। আবার উপনিষদের ব্রহ্মবেত্তা ঋষি বলছেন ঈশ্বর অরূপম্ [কঠ - ১।৩।৩৫]। তাই এখানে ঈশ্বর রূপ ধারণ করে যজমানের সামনে এলে ব্রহ্মবেত্তা ঋষির বাক্যও মিথ্যা হয়ে যায়!
৫. উক্ত অনুবাদ অনুসারে ঈশ্বর যজমানের সামনে রূপ ধারণ করে আসেন। এখন যদি একাধিক যজমান একত্রে ঈশ্বরের স্তুতি করেন, তবে উক্ত অনুবাদ অনুসারে সকল যজমানের সামনেই ঈশ্বরের রূপ ধারণ করা আসা উচিত। অর্থাৎ এর ফলে ঈশ্বর একাধিক হয়ে যাবেন। কিন্তু অথর্ববেদ বলছে ঈশ্বর দুই, তিন, চার, পাঁচ, ছয়, সাত, আট, নয়, দশ নন, বরং তিনি এক ও অদ্বিতীয় [অথর্ব - ১৩।৪।২]।
৬. উপরের মন্ত্রের অনুবাদে দেওয়া ইন্দ্র মায়ার দ্বারা বহু রূপ ধারণ করেন। কিন্তু পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে ইন্দ্র মায়া দ্বারা যজমানের সামনে উপস্থিত না হয়ে গৌতম মুনির রূপ ধারণ করে কি করেছেন, তা আর বিস্তারিত বললাম না। তাই এখানে "মায়া" শব্দের নিরুক্ত-নিঘণ্টুগত অর্থ করতে হবে। নিঘণ্টু [৩।৯] অনুসারে "মায়া ইতি প্রজ্ঞানাম"। অর্থাৎ মায়া হচ্ছে প্রজ্ঞার নাম। অর্থাৎ এখানে মায়া অর্থ অলৌকিক কোনো শক্তি নয়, বরং মায়া অর্থ "প্রজ্ঞা"।
৭. তাহলে এখন প্রশ্ন আসতে পারে, এখানে "ইন্দ্র" অর্থ কী হবে? আর ঋগ্বেদ ১।১৬৪।৪৬ মন্ত্র অনুসারে তো ইন্দ্র অর্থ পরমাত্মাই। তাহলে এখানে ইন্দ্র শব্দটি পরমাত্মা অর্থে ব্যবহৃত হবে না কেন? এর উত্তর হচ্ছে, বৈদিক শব্দ গুলোর বহু অর্থ হয়ে থাকে। কোন অর্থ কোথায় গ্রহণ করা হবে তা প্রকরণ অনুসারে বিবেচনা করা হয়। যেমন মনে করুন, সৈন্ধব শব্দটি দ্বারা ঘোড়া ও লবণ উভয় নির্দেশ করে। যদি কেউ কারও কাছে খেতে বসে বলে, "আমাকে সৈন্ধব দাও", তবে কিন্তু তাকে সেখানে লবণ এনে দিতে হবে, ঘোড়া নয়। আবার যদি বেড়াতে যাওয়ার সময় বলে, "আমাকে সৈন্ধব দাও", তবে কিন্তু তাকে লবণ নয়, ঘোড়া এনে দিতে হবে।
তেমনি ভাবে এখানে ইন্দ্র শব্দের বিভিন্ন অর্থের মধ্যে পরমাত্মা অর্থ গ্রহণ না করে কোন অর্থ গ্রহণ করা উচিত?
এর উত্তর হচ্ছে এখানে "ইন্দ্র" অর্থ "জীবাত্মা" গ্রহণ করা উচিত।
আপনারা হয়ত আশ্চর্য হয়ে প্রশ্ন করতে পারেন, ইন্দ্র জীবাত্মা অর্থে গ্রহণ করার পক্ষে শাস্ত্রীয় প্রমাণ কী?
এর শাস্ত্রীয় প্রমাণ বৈয়াকরণিক পাণিনি রচিত অষ্টাধ্যায়ী ও তার বৃত্তি থেকে দেওয়া হলো–
"ইন্দ্রিয়মিন্দ্রলিঙ্গমিন্দ্রদৃষ্টমিন্দ্রসৃষ্টমিন্দ্রজুষ্টমিন্দ্রদত্তমিতি বা।"
[অষ্টাধ্যায়ী – ৫।২।৯৩]
[অষ্টাধ্যায়ী – ৫।২।৯৩]
অর্থাৎ— (ইন্দ্রয়ম্) ইন্দ্রয়ম্ এই শব্দ নিপাতন করা যায়, (ইন্দ্রলি....দত্তমিতি) ইন্দ্র লিঙ্গাদি অর্থে (বা) বিকল্প দ্বারা।
ষষ্ঠী সমর্থ ইন্দ্র শব্দ দ্বারা লিঙ্গ অর্থে ঘচ্ প্রত্যয়ের নিপাতন হয়।
উদাহরণ– "ইন্দ্রস্য লিঙ্গ ইন্দ্রিয়ম্" এখানে ইন্দ্র নাম জীবাত্মা, তথা লিঙ্গ নাম চিহ্নের। জীবাত্মা যে চিহ্ন তাকে ইন্দ্রিয় বলে।
জয়াদিত্য অষ্টাধ্যায়ীর কাশিকা বৃত্তিতে এই সূত্রের বৃত্তিতে ইন্দ্র অর্থ আত্মা (জীবাত্মা), এই ভাবকে স্পষ্টভাবেই বলেছেন, "ইন্দ্র আত্মা, স চক্ষুরাদিনা করণেনানুমীয়তে"।
৮. এবার তাহলে উক্ত মন্ত্রের যথার্থ অনুবাদ মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর ঋগ্বেদ ভাষ্য অনুসরণ করে অনুবাদ থেকে দেখে নেওয়া যাক।
রূপং রূপং প্রতিরূপো বভুব তদস্য রূপং প্রতিচক্ষণায় ৷
ইন্দ্রো মায়াভিঃ পুরুরূপ ঈয়তে যুক্তা হ্যস্য হরয়াঃ শতা দশ ৷।
[ঋগ্বেদ – ৬।৪৭।১৮]
ইন্দ্রো মায়াভিঃ পুরুরূপ ঈয়তে যুক্তা হ্যস্য হরয়াঃ শতা দশ ৷।
[ঋগ্বেদ – ৬।৪৭।১৮]
পদার্থ– (ইন্দ্রঃ) জীবাত্মা (মায়াভিঃ) প্রজ্ঞা দ্বারা (প্রতিচক্ষণায়) প্রত্যক্ষ কথনের জন্য (রূপংরূপম্) রূপে রূপে (প্রতিরূপঃ) প্রতিরূপ অর্থাৎ স্বরূপে বর্তমান (বভুব) থাকে এবং (পুরুরূপঃ) অনেক শরীর ধারণ করে বিবিধ রূপ (ঈয়তে) পেয়ে যায়৷ (তৎ) সেই জীবাত্মা (অস্য) এই শরীরের (রূপম্) রূপ হয় এবং (অস্য) এই জীবাত্মা (হি) নিশ্চিত ভাবে (দশ) দশ সংখ্যা বিশিষ্ট এবং (শতা) শত সংখ্যা বিশিষ্ট (হরয়ঃ) অশ্বের ন্যায় ইন্দ্রিয়, অন্তঃকরণ এবং প্রাণ (যুক্তাঃ) যুক্ত শরীরকে ধারণ করে।
रूपंरूपं प्रतिरूपो बभूव तदस्य रूपं प्रतिचक्षणाय। इन्द्रो मायाभिः पुरुरूप ईयते युक्ता ह्यस्य हरयः शता दश ॥१८॥-ऋग्वेद » मण्डल:6 सूक्त:47 मन्त्र:18
स्वामी दयानन्द सरस्वती
फिर यह जीवात्मा कैसा होता है, इस विषय को कहते हैं ॥
अन्वय:
हे मनुष्या ! य इन्द्रो मायाभिः प्रतिचक्षणाय रूपंरूपं प्रतिरूपो बभूव पुरुरूप ईयते तदस्य रूपमस्ति, यस्याऽस्य हि दश शता हरयो युक्ताः शरीरं वहन्ति तदस्य सामर्थ्यं वर्त्तते ॥१८॥
পদার্থঃ- (রূপং রূপং) (প্রতিরূপঃ) দতাকার বর্ত্তমানঃ (বভূব) বভতি (তৎ) (অস্য) জীবাক্মানঃ (রূপম্) (প্রতিচক্ষণাম্)প্রত্যক্ষ কথনায় (ইন্দ্র) জীবঃ (মায়াভিঃ) প্রজ্ঞাভিঃ (পুরুরূপঃ) বহুশরীরধারণের বিবিধরূপ (ঈয়তে) (যুক্তাঃ) (হি) খলু (অস্য) দেহিনঃ (হরয়ঃ) অশ্বা ইবোন্দ্রিয়ানবন্তঃ করণপ্রাণাঃ (শতা) শতানি (দশ)।।
पदार्थान्वयभाषाः -हे मनुष्यो ! जो (इन्द्रः) जीव (मायाभिः) बुद्धियों से (प्रतिक्षणाय) प्रत्यक्ष कथन के लिये (रूपंरूपम्) रूप-रूप के (प्रतिरूपः) प्रतिरूप अर्थात् उसके स्वरूप से वर्त्तमान (बभूव) होता है और (पुरुरूपः) बहुत शरीर धारण करने से अनेक प्रकार का (ईयते) पाया जाता है (तत्) वह (अस्य) इस शरीर का (रूपम्) रूप है और जिस (अस्य) इस जीवात्मा के (हि) निश्चय करके (दश) दश सङ्ख्या से विशिष्ट और (शता) सौ सङ्ख्या से विशिष्ट (हरयः) घोड़ों के समान इन्द्रिय अन्तःकरण और प्राण (युक्ताः) युक्त हुए शरीर को धारण करते हैं, वह इसका सामर्थ्य है ॥१८॥
भावार्थभाषाः -इस मन्त्र में वाचकलुप्तोपमालङ्कार है। हे मनुष्यो ! बिजुली पदार्थ के प्रति तद्रूप होती है, वैसे ही जीव शरीर-शरीर के प्रति तत्स्वभाववाला होता है और जब बाह्य विषय के देखने की इच्छा करता है, तब उसको देख के तत्स्वरूपज्ञान इस जीव को होता है और जो जीव के शरीर में बिजुली के सहित असङ्ख्य नाड़ी हैं, उन नाड़ियों से यह सब शरीर के समाचार को जानता है ॥१८॥
ভাবার্থ- হে মনুষ্য! যথা বিদ্যুৎ পদার্থং পদার্থং প্রতি তদ্রূপা বভতি, তথৈব জীবঃ শরীরং শরীরং প্রতিতৎস্বভাবো জায়তে যদা বাহ্য বিষয়ং দুষ্ঠুমিচ্ছতি তদাতদ্দৃষ্টা তদাকারং জ্ঞানমস্য জায়তে যা অস্য শরীরে বিদ্যুৎসহিতা অসংখ্যা নাড্যঃ সস্তি তাভিরয়ং সর্বস্য শরীরস্য সমাচারং জানতি। (মহর্ষি দয়ানন্দ)।। যেমন বৈদ্যুতিক শক্তি যে বস্তুতে যায় তারই রূপ গ্রহন করে সেইরূপ জীবাত্মা কর্মের প্রবাহে জন্মজন্মান্তরে যেমন শরীর গ্রহন করুক না কেন, তখন তদাকার বৃত্তি লাভ করে,যেমন যেমন বাহ্যবস্তুর সংস্পর্শে যায় তার থেকে তদাকার জ্ঞানলাভ হয়। বিজলীশক্তি যেমন অসংখ্য তারের মধ্যে দিয়ে পবাহিত হয়,তেমনি আমাদের শরীরস্হ অংসখ্য নাড়ীতে যে চিৎশক্তি প্রবাহিত হচ্ছে তার কেন্দ্রস্হুল অন্তঃকরণ। জীবাত্মা ঐ কেন্দ্রে বসেই শরীরস্হ নাড়ীর মধ্য দিয়ে যেমন চিৎশক্তির প্রবাহে জীবনশক্তি ক্রয়াশীল থাকে, তেমনি চিদ্প্রবাহের যে অসংখ্যধারা বা রশ্মি আছে, তারই সহায়তায় সমস্ত জ্ঞানলাভ করে। জীবাত্মা চিদবিন্দুর যে কেন্দ্রে থাকে সেইখান থেকেই উৎক্রমণের পথ। জীবাত্মা যতক্ষণ না ঐ উৎক্রমণের পথে গিয়ে পরমাত্মার সঙ্গে মিলিত হয়, সেই সেই শরীরের অন্তঃকরণের ঘাটে বসেই জীবাত্মা দেশকালপাত্রানুযায়ী তদাকার বৃত্তি, সংস্কার ও জ্ঞানলাভ করে সেই সেই শরীরের কার্য নির্বাহ করে থাকে।
[বি. দ্র. অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, এই মন্ত্রে কি ইন্দ্র অর্থ কখনই পরমাত্মা গ্রহণ করা যাবে না? এর উত্তর হচ্ছে– যাবে, সর্বব্যাপক পরমাত্মা অর্থে৷ তবে সেখানে খেয়াল রাখতে হবে যাতে উপর্যুক্ত ৪,৫,৬ নং পয়েন্টে বর্ণিত ঈশ্বরের গুণাবলি খণ্ডিত না হয়। আর আমার উপরের লেখাটিতে মূলত রমেশচন্দ্রের অনুবাদের ভুল ও তা প্রচারকারীদের অযথার্থতা তুলে ধরা হয়েছে।]
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ