সংস্কৃত ভাষা - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

17 October, 2018

সংস্কৃত ভাষা


সংস্কৃত ক্রিয়া বিশেষণ সংস্কৃত- কথাটির আক্ষরিক অর্থ "সংযুক্ত করা", "উন্নত ও সম্পূর্ণ আকারপ্রাপ্ত", "পরিমার্জিত" বা "সুপ্রসারিত"। শব্দটি সংস্কার ধাতু থেকে উৎসারিত; যার অর্থ "সংযুক্ত করা, রচনা করা, ব্যবস্থাপনা করা ও প্রস্তুত করা"] সং শব্দের অর্থ "সমরূপ" এবং "(স্)কার" শব্দের অর্থ "প্রস্তুত করা"। এই ভাষাটিকে সংস্কৃত বা পরিমার্জিত ভাষা মনে করা হয়। এই কারণে এই ভাষা একটি "পবিত্র" ও "অভিজাত" ভাষা। প্রাচীন ভারতে ধর্মীয় ও শিক্ষাদান-সংক্রান্ত উদ্দেশ্যে লোকপ্রচলিত প্রাকৃত ("প্রাকৃতিক, শিল্পগুণবর্জিত, স্বাভাবিক ও সাধারণ") ভাষার পরিবর্তে এই ভাষা ব্যবহৃত হত। এই ভাষাকে "দেবভাষা" বলা হত; কারণ প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী এই ভাষা ছিল "দেবগণ ও উপদেবতাগণের ভাষা"।

ধারণা করা হয় ঋগ্বেদ গ্রথিত হয়েছে খ্রীষ্টপূর্ব ১৫০০ হতে ১২০০ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে। সে অনুসারে গাথা গ্রথিত হয়েছে খ্রীষ্টপূর্ব ১০০০ শতাব্দী হতে ২০০ বছর সময়কালের এর মধ্যে। উইকিপিডিয়া

সংস্কৃত ভাষা বিশ্বের প্রাচীন তম ভাষার মধ্যে একটি
World’s oldest language is Sanskrit. The Sanskrit language is called Devbhasha. All European languages ​​seem inspired by Sanskrit. All the universities and educational institutions spread across the world consider Sanskrit as the most ancient language. It is believed that all the languages ​​of the world have originated from Sanskrit somewhere. The Sanskrit language has been spoken since 5,000 years before Christ. Sanskrit is still the official language of India. However, in the present time, Sanskrit has become a language of worship and ritual instead of the language of speech. All the auspicious works performed in Hindu religion are recited by Veda Mantra, whose language is Sanskrit.

Egypt is considered to be one of the oldest civilizations in the world, and Egyptian Coptic is the oldest indigenous language of Egypt. Written records of its usage date back to 3400 BC, making it an ancient language. Coptic was the most widely spoken language in Egypt till the late 17th century AD until it was replaced by Egyptian Arabic, post-Muslim invasion. Coptic is still used as the liturgical language at the Coptic Church in Egypt. Only a handful of people fluently speak the language today.
অবেস্তা একটি প্রাচীন ইরানীয় ভাষা। এটি সম্ভবত প্রাচীন পারস্য সাম্রাজ্যের উত্তর-পূর্ব অংশে প্রচলিত ছিল। জরাথ্রুস্টবাদের পবিত্র গ্রন্থ অবেস্তা এই ভাষায় লেখা। ধর্মীয় কাজকর্ম ছাড়া বাকী সব ক্ষেত্রে ইরানে ইসলামের বহু শতাব্দী আগেই অবেস্তা ভাষার বিলুপ্তি ঘটে।
★ এখানে প্রায় ৩৫০০ বছর পুরনো ঋগ্বেদ এর কপি দেওয়া হইছে অইখানে। যা প্রামান্য ধর্মের মধ্যে সব চেয়ে পুরনো।
,,,কিন্তু এখন কি আমাদের বেদ ১০০০০+ বছর পুরনো বলি, তা হলে কি তার কপি দিতে হবে ?
কোন জিনিষ ১০০০০ বছর পুরনো বলতে তাকে ১০০০০ বছর আগের এনে দেখানোর দরকার নেই। অই সময় অই জিনিশ এর অস্তিত্ব ছিল তা প্রমান করলেই হবে।
♦ আমরা জানি, সনাতন ধর্মের ২ টি ইতিহাস আছে। ১: মহাভারত, ২: রামায়ণ।
★আমরা জানি, রামায়ন প্রায় ৭০০০ এরো বেশি পুরনো, এর প্রমান পাওয়া যায়। এখন দেখি রামায়নে বেদ সম্পর্কে কি বলা আছে।
ন অন ঋগবেদ বিনীতস্য ন অ যজুর্বেদ ধারিন। ন অ সামবেদ বিদুষ শক্যম এবম বিভাষিতু মদম। ( ৪/৩/২৮)
সরলার্থ: ঋগবেদ অধ্যয়ন এ অনভিজ্ঞ এবং যজুর্বেদ যার বোধ নেই তথা যার সামবেদ অধ্যয়ন নেই, সেই ব্যাক্তি এইরুপ পরিষ্কৃত বাক্য বলতে পারবে না।
এখন রামায়ন কত বছর পুরনো?
উত্তর: রামায়ন বিজ্ঞানিদের মতে ৭০০০ এরো বেশু পুরনো। রামায়ন এর একটি অংশ রাম সেতু এটার বয়স ৭০০০ বছর।
এখানে প্রমানিত হয় যে বেদ রামায়ন এর সময় এও ছিল,,। আর রামায়ন ৭০০০ বছর আগে পুরনো। এর প্রমান দেওয়া হল।
যদিও বৈদিক হিন্দু রা আর বেশি মনে করে।
♦এখন মহাভারত থেকে দেখা যাখ বেদ সম্পর্কে কি আছে।
,,অনাদিনিধনা নিত্যা বাগূত্সৃষ্টা স্বয়ম্ভূবা।
আদৌ বেদময়ী দিব্যা য়তঃ সর্বাঃ প্রবৃত্তয়ঃ।।” (মহাভারত শান্তি পর্ব ১২/২৩২/২৪)
অনুবাদ→ সৃষ্টির আদিতে স্বয়ম্ভূ পরমাত্মা এই বেদ বাণী প্রকাশিত হয়েছিল যার না আদি আছে,না অন্ত,যা নিত্যনাশরহিত এবং দিব্য।যা থেকে জগতের সমস্ত প্রবৃত্তির প্রকাশ পেয়েছে।
কর্ম ব্রহ্ম উদ্ভবম্‌ বিদ্ধি ব্রহ্ম অক্ষর সমুদ্ভবম্‌ ।
তস্মাত্ সর্বগতম্‌ ব্রহ্ম নিত্যম্‌ যজ্ঞে প্রতিষ্ঠিতম্‌ ।।১৫
অর্থ- যজ্ঞাদি কর্ম বেদ থেকে উদ্ভব হয়েছে এবং বেদ পরমাত্মা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। অতএব সর্বব্যপক ব্রহ্ম সর্বদা যজ্ঞে প্রতিষ্টিত আছেন।
♦ ৫০০০ বছর আগের মহাভারতে বেদের উল্লেখ স্পষ্ট পাওয়া যাচ্চে। এতে বুঝা যাচ্চে অই সময় বেদের উল্লেখ পাওয়া যায়। আর এটা মহাভারত অনেক জায়গায় ই বেদের উল্লেখ পাওয়া যায়।
★ মহাভারত এর গুরুত্বপুর্ন দ্বারকা নগরী।
প্রমান: https://youtu.be/I9uwVj7_0oY
★ মহাভারত এর নগরী বর্তমান স্থান।
♦ এখন বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা সিব্ধু সভ্যতা নিয়ে বলি। অই মুমিন দাবী করেছিলেন যে বেদ ৩৫০০ বছর পুরনো।
কিন্তু সিন্ধু সভ্যতা ই ত ৫০০০ এরো বেশি পুরনো। বেদের অন্যতম এক নীতি হল নিরাকারবাদ। আর সিন্ধু সভ্যতা তে কোন মুর্তি পাওয়া যায় নি। এটা প্রমান করে যে সিব্ধু সভ্যতা তে বেদ এর প্রচলন ছিল।
,,,এমন কি অইখানে সরস্বতী নদী এর শাখা এর ও উল্লেখ পাওয়া যায়। যা বেদে বর্ণিত এক নদী বটে। ( যদিও অই বেদে সরস্বতী পরমাত্মা এর উল্লেখ করে)।
☞ এখন কেউ বলবে " vedic civilisation” এর কথা। এটা একটা অনুমান মাত্র। এর কোন শক্ত প্রমান নেই।
বেদিক পিরিয়ড মানে বোঝায় বেদ কোন সময় তৌরী হয়েছিল তার ডেট।
,,,কিন্তু তারা যে ৩৫০০ বছর বলে, তার আগেও বেদ এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মহাভারত রামায়ন তার প্রমান।
এছাড়া ও আরো অনেক জায়গা তে বেদ এর উল্লেখ পাওয়া যায়।
জনহানি
♦ "Chronology of Ancient india " বইতে বেদ কে ১০০০০ BC বয়স বলা হইছে। এবং তার প্রমান ও বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হইছে।
♦ তিনি এও দাবী করেছেন যে সংস্কৃত ভাষা বিশ্বের প্রাচীন তম ভাষার মধ্যে পরে না। তিনি উইকিপিডিয়া এর সোর্স ত দিয়েছেন, কিন্তু এটা জানেন না উইকি যা কেউ এডিট করতে পারে। আর এমন সেন্সেটিব জিনিষ জন্য উইকিপিডিয়া এর তথ্য সত্য হয় না।
,,, সংস্কৃত ভাষা বিশ্বের প্রাচীন তম ভাষার মধ্যে একটি
♥ এমন কি উইকিপিডিয়া তে সংস্কত ভাষা কে ৪৫০০ বছর এর বেশি পুরনো বলা হয়েছে।
♦ তিনি দাবী করেছেন, যজুর্বেদ ১৩/৩৭ এ প্রাচীন জ্ঞ্যানীদের থেকে জ্ঞ্যান নিতে বলা হয়েছে। দেখা যাক।
আপনারা দেখে নিন এখানে এমন কিছু আছে কি না😪😪
♦তিনি দাবী করেছেন, আবেস্তা নামে এক ধর্ম, যা এইটি পার্সিয়ান ধর্ম অংশ বলা হয় ; তা বেদ থেকেও পুরনো।
,,, আমি তাকে তার দেওয়া প্রমান থেকেই দেখিয়ে দেই যে এটা কতটা সত্য।
An extreme case is the Vedic Sanskrit of the Rigveda: the earliest parts of this text may date to c. 1500 BC,[1] while the oldest known manuscripts date to c. 1040 AD.[2] Similarly the oldest Avestan texts, the Gathas, are believed to have been composed before 1000 BC, but the oldest Avestan manuscripts date from the 13th century AD.[3]
☞ এখানে আবেস্তা কে ১০০০ BC বয়স বলা হয়েছে। আর ওদের মতে বেদ ১৫০০ BC পুরনো। তা হলে ত বেদ আবেস্তা থেকে বেশি পুরনো হয়!।
,,, এখন তিনি আবেস্তা ধর্ম সাথে বেদ এর কিছু মিল দেখিয়েছেন। আর তা থেকে তিনি প্রমান করতে চান যে, বেদ আবেস্তা ধর্ম থেকে কপি করছে। কারন আবেস্তা অনেক কিছুই বেদের সাথে মিলে যায়।
★ কিন্তু আমি যদি বলি আবেস্তা বেদ কে কপি করেছে ! বা আবেস্তা বেদ এর ই পার্সি অংশ হতে পারে?।
,,,আমরা জানি প্রাচীন কালে পার্সিয়া ইরান ইরাক নিয়ে বিস্তির্ন অঞ্চল কে বুঝায়। আর সেই অঞ্চল এক সময় পারসি নামে পরিচিত ছিল।
,,, একটা রিপোর্ট এ দেখা গেছে ইরানের এক পাহাড়ে রাম এর ছবি পাওয়া গেছে।
,,এবং তার সাথে হনুমান জী আছেন।
আমরা জানি একসময় ইরান ইরাক অঞ্চল ভারত বর্ষের ই অংশ ছিল। তার ফলে অই খানে ভারতীয় রীতি নীতি অনেক কিছুই মিলে যায়।
♦ তিনি দাবী করেছেন যে ইসলাম ই সবচেয়ে পুরনো ধর্ম। আর তা হাজার হাজার এমনকি মানব সভ্যাতার শুরু থেকেই আছে। ক্রিশ্চান আর পুরান সহ কিছু গ্রন্থ থেকে তিনি দেখিয়েছেন যে সব জায়গায় বুঝি মুহাম্মদ এর নাম। যদিও পুরানে এক অসুর মুহাম্মদ এর নাম আছে।
☞ কিন্তু মুসলিম রা বিশ্বাস করে আদম নামে এক ব্যাক্তি তিনি প্রথম মানব এই বিশ্বের। ,,, কিন্তু মজার ব্যাপার তাদের আদম ( যিনি বিশ্বের প্রথম মানব) তার জন্মই ইসলাম অনুযায়ী ৫০০০ থেকে ৮০০০ বছর পর্যন্ত😀
♦আদম এর জন্ম তারিখ
আদম আঃ এর কত বছর পরে বিশ্ব নবী পৃথিবীতে তাশরিফ আনেন ?
ঐতিহাসিকদের মতে রাসুল সাঃ
আসহাবে ফীলের ঘঠনার বছরেই জন্ম
গ্রহন করেছিলেন ৷ আর আসহাবে ফীলের ঘঠনাটি ৫৭১ খৃষ্টাব্দের ২০
শে এপ্রিল সংঘঠিত হয়েছিল ৷ এতে
প্রমানিত হয়, রাসুল সাঃ এর জন্ম হযরত ইসা আঃ এর জন্মের ৫৭১ বছর পর হয়েছিল ৷
হাদীস শাস্ত্রের প্রখ্যাত ইমাম আল্লামা
ইবনে আসাকির (রঃ) পৃথিবীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এভাবে লিখেছেন :
হযরত আদম আঃ ও হযরত নুহ আঃ
এর মধ্যে ১২ শত বছরের ব্যবধান ছিল ৷ আর হযরত নুহ আঃ হতে হযরত ইবরাহীম আঃ পর্যন্ত ১১৪২
বছরের ব্যবধান ছিল ৷ এমনিভাবে হযরত ইবরাহীম হতে হযরত মুসা
আঃ পর্যন্ত ৫৬৫ বছর , মুসা আঃ হতে
হযরত দাউদ আঃ পর্যন্ত ৫৬৯ বছর,
দাউদ আঃ হতে হযরত ইসা আঃ পর্যন্ত ১৩৫৬ বছর এবং ইসা আঃ ও বিশ্ব নবীর মাঝে প্রায় ৬০০ বছর ব্যবধান ছিল ৷
এতে দেখা যায় , আদম আঃ হতে
বিশ্ব নবী পর্যন্ত সময়ের পার্থক্য হল
৫৪৩২ বছর ৷ ( তারীখে ইবনে আসাকির, ১ম খন্ড , ১৯-20 পৃষ্ঠা )
এখানে স্পষ্ট বলা আছে যে আদম জন্ম গ্রহন করেছেন ৫০০০ থেকে ১০০০০ বছর মধ্যে। তা হলে উনার কাছে আমার প্রশ্ন তিনি যে পোস্ট এ মানব জন্ম ১,৯৮০০০০০

লেখক:
Arya Utfal ©

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অথর্ববেদ ২/১৩/৪

  ह्यश्मा॑न॒मा ति॒ष्ठाश्मा॑ भवतु ते त॒नूः। कृ॒ण्वन्तु॒ विश्वे॑ दे॒वा आयु॑ष्टे श॒रदः॑ श॒तम् ॥ ত্রহ্যশ্মানমা তিষ্ঠাশ্মা ভবতুতে তনূঃ। কৃণ্বন্তু...

Post Top Ad

ধন্যবাদ