গীতা নবম অধ্যায় রাজগুহ্য যোগ শ্লোক ১১ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

10 November, 2018

গীতা নবম অধ্যায় রাজগুহ্য যোগ শ্লোক ১১

গীতা ৯/১১ 

অবজানন্তি মাং মূঢ়া মানষীং তনুমাশ্রিতম্।

পরং ভাবমজানন্তো মম ভূতমহেশ্বরম্।।১১।।
অনুবাদঃ আমি যখন মনুষ্যরূপে অবতীর্ণ হই, তখন মুর্খেরা আমাকে অবজ্ঞা করে। তারা আমার পরম ভাব সম্বন্ধে অবগত নয় এবং তারা আমাকে সর্বভূতের মহেশ্বর বলে জানে না। (প্রভুপাদ)
পদার্থঃ- (মূঢ়াঃ) মূর্খ ব্যক্তি (মাম্) আমাকে (মানুষীং তনুম্ আশ্রিতং) মনুষ্য শরীর ধারণ করেছি ভেবে (মম পরং ভাবম্ অজানন্তঃ) আমার পরম ভাবকে না জেনে (অবজানন্তি) অবজ্ঞা করে থাকে, আমার পরমভাব কেমন? (ভূতমহেশ্বরং) যে সমস্ত প্রাণী থেকে উত্তম ।
ভাষ্যঃ- এই শ্লোকে শ্রী কৃষ্ণ তদ্ধর্মতাপত্তিরূপ পরমভাবের কথন করেছেন কিন্তু ঈশ্বর জন্মগ্রহণ করেন একথা যাহারা বলেন তাহারা এর অর্থ করে থাকে যে - শ্রী কৃষ্ণকে পরমেশ্বর না জেনে সেই সময়ের মনুষ্যগন যারা শ্রী কৃষ্ণের অবজ্ঞা করতেন তাহাদের শ্রী কৃষ্ণ এখানে মূঢ় বলেছেন, এই টীকা কারির এই অর্থ যদিও সত্য বলে মেনে নিই তবুও শ্রী কৃষ্ণের ঈশ্বরাবতার হওয়া সিদ্ধ নয়। কেননা সেই সময়ের লোকজন কৃষ্ণকে তখনো মনুষ্য শরীরধারী জানতেন যখন তাহার ভৌতিক শরীরের ভাব হয়, আমাদের মতে এর অর্থ এই যে - প্রকৃতির তামস ভাবযুক্ত ব্যক্তি তাহার পরম ভাবের জ্ঞাতা নয় এইজন্য এই কথন করেছেন। (আর্যমুনি ভাষ্য)

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অথর্ববেদ ২/১৩/৪

  ह्यश्मा॑न॒मा ति॒ष्ठाश्मा॑ भवतु ते त॒नूः। कृ॒ण्वन्तु॒ विश्वे॑ दे॒वा आयु॑ष्टे श॒रदः॑ श॒तम् ॥ ত্রহ্যশ্মানমা তিষ্ঠাশ্মা ভবতুতে তনূঃ। কৃণ্বন্তু...

Post Top Ad

ধন্যবাদ