মিথ্যাচারঃ"হে পুরুষ! তোমার পুরুষাঙ্গ বড়ো আর দীর্ঘ না হলে তুমি পিতা হতে পারবে না"
সঙ্কাসমাধানঃ
ন সেশে যস্য রোমশং নিষেদুষো বিজৃম্ভতে।
সদীশে যস্য রম্বতেন্তরা সকথ্যা কপৃদ বিশ্বস্মাদিন্দ্র।।
(অথর্বববেদ ১০।১২৬।১৭)
.পদার্থঃ (সঃ) সেই মনুষ্য (ন ঈশে) ঐশ্বর্যবান হয় না ( যস্য নিষেদুষঃ) যে বসে থাকে [অলস] (রোমশম) কেশযুক্ত মস্তকে (বিজুম্ভতে) হাই তোলে (সঃ ইত) সেই পুরুষ (ঈশে) ঐশ্বর্যবান হয় (যস্য) যার (কপৃত) শির পালনকারী কপাল (সকথ্যা অন্তরা) দুই জঙ্ঘার মাঝে [চিন্তনে(রম্বতে) ঝুকে থাকে (ইন্দ্র) ইন্দ্র (বিশ্বস্মাত্) সবার থেকে (উত্তর) উত্তম।
[ অনুবাদঃ ক্ষেমকরনদাস ত্রিবেদী]
.
উপরিউক্ত মন্ত্রে না আছে পুরুষাঙ্গের কথা না আছে সেটা বড় বা দীর্ঘ করার কথা। উক্ত মন্ত্রে "ঈশ" শব্দটি এসেছে যার অর্থ ঐশ্বর্য। এবং একজন ব্যক্তির ঐশ্বর্য তখনই বৃদ্ধি পাবে যখন সে কর্মঠ এবং কর্ম চিন্তনে রত থাকবে। অলস ভাবে বসে থাকলে তার কখনও ঐশ্বর্য প্রাপ্তি ঘটবে না। ইহাই মূলত উক্ত মন্ত্রেরমূল ভাবার্থ।
আর ঈশ্বর্য্য প্রাপ্তির জন্য পুরুষাঙ্গ দীর্ঘ বা বড় হওয়ার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। বরং এটা কাম চাহিদার সাথে সম্পর্কযুক্ত। যা ওই পাপবুদ্ধির মস্তিস্কে প্রবেশ করেছে।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ