পতঞ্জলি - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

24 January, 2019

পতঞ্জলি

 তক্ষশীলার ছিল এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ব্রহ্মদত্ত, কৌটিল্য, পাণিনি, যিবেক ও পতঞ্জলি’র মত মহান পণ্ডিতগণ তক্ষশীলায় অধ্যয়ন করতেন। এদের মধ্যে পতঞ্জলি ছিলেন ভারতীয় যোগ দর্শনের প্রবর্তক, মহান দার্শনিক, ব্যাকরণবিদ ও বিজ্ঞানী। তিনি ছিলেন ‘যোগশাস্ত্রে’র স্রষ্টা। হিন্দু যোগ দর্শনের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণিক শাস্ত্রগ্রন্থ ‘যোগসূত্র’র সংকলক ছিলেন পতঞ্জলি। মহাভাষ্য (পাণিনির অষ্টাধ্যায়ী-এর উপর রচিত কাত্যায়নের বৃত্তিকার টীকা) গ্রন্থেরও রচয়িতা। দ্বাদশ শতাব্দীতে তিনি বিজয় নগরের রাজা বীরবাক্কুর প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন এই পতঞ্জলি। তাঁর রচিত গ্রন্থের নাম ‘মাধব নিদান’। রোগ নির্ণয়ের জন্য এই গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়েছে।

যোগ দর্শনের প্রবর্তক পতঞ্জলির প্রদর্শিত মার্গ ‘পাতঞ্জল দর্শন’ নামে পরিচিত। পতঞ্জলির যোগশাস্ত্রের চারটি পাদ। প্রথম পাদে আলোচিত হয়েছে যোগের লক্ষণ ও সমাধি। দ্বিতীয় পাদে সমাধি লাভের পূর্বে অনুসরণীয় ব্যবহারিক যোগ এবং যম, নিয়ম, আসন ইত্যাদি যোগাঙ্গের কথা আলোচনা করা হয়েছে। তৃতীয় পাদে ধারণা, ধ্যান, সমাধি ও এসবের ফল এবং বিভূতি বা ঐশ্বর্য আলোচিত হয়েছে। চতুর্থ পাদে পাঁচ প্রকার সিদ্ধি ও পরা প্রয়োজন কৈবল্যের আলোচনা করা হয়েছে।

পুরাণ মতে, পতঞ্জলির জন্মবৃত্তান্ত সম্পর্কে জানা যায়- এক সময় সমস্ত মুনি-ঋষিরা ভগবান বিষ্ণুর কাছে উপস্থিত হন। তাঁরা সমবেতভাবে বিষ্ণুর কাছে জানতে চান ধন্বন্তরী আয়ুর্বেদের মাধ্যমে অসুখ নিরাময়ের উপায় দিয়েছেন। তবুও মানুষ যদি অসুস্থ হয়, তখন কি করা উচিত? শুধু শারীরিক অসুস্থতাই নয়, কখনও কখনও ক্রোধ, লালসা, লোভ, ঈর্ষা ইত্যাদি থেকে উৎপন্ন মানসিক আবেগজনিত অসুস্থতাও নিরাময়েরও প্রয়োজন হয়। এই সব অশুদ্ধি থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে? ঋষিরা যখন তাঁর কাছে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন তখন তিনি আদিশেষকে (সচেতনতার প্রতীক) তাঁদের কাছে পাঠান। যিনি পৃথিবীতে ‘মহর্ষি পতঞ্জলি’ হয়ে জন্মগ্রহণ করেন। এইভাবে পতঞ্জলি পৃথিবীতে আসেন যোগের জ্ঞান দান করার জন্য। এইজ্ঞানই ‘যোগসূত্র’ নামে পরিচিত।

পতঞ্জলির সংঞ্জানুসারে ‘যোগ’ মানে হল মনের পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রণ করা। বিভিন্ন ধরণের যোগ থাকলেও, প্রত্যেক ধরণের যোগের উদ্দেশ্যই হল মনকে নিয়ন্ত্রণ বা বশ করা। ‘যোগ’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ ‘ইউয্‌’ থেকে। যার মানে হল একত্রিত করা- আত্মার সাথে পরমাত্মার সংযোগ।

পতঞ্জলি ১৯৪ যোগসূত্র সঙ্কলন করে রচনা করলেন এক যুগান্তকারী গ্রন্থ: যোগসূত্র । যা আজ বিখ্যাত একটি গ্রন্থের মর্যাদা লাভ করেছে। পতঞ্জলি কর্তৃক গ্রথিত যোগসূত্রটি চারটি পদে বা অধ্যায়ে বিভক্ত। এই পদসমষ্টি হল: সমাধি, সাধনা, বিভূতি এবং কৈবল্য।

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অথর্ববেদ ২/১৩/৪

  ह्यश्मा॑न॒मा ति॒ष्ठाश्मा॑ भवतु ते त॒नूः। कृ॒ण्वन्तु॒ विश्वे॑ दे॒वा आयु॑ष्टे श॒रदः॑ श॒तम् ॥ ত্রহ্যশ্মানমা তিষ্ঠাশ্মা ভবতুতে তনূঃ। কৃণ্বন্তু...

Post Top Ad

ধন্যবাদ