ঋগ্বেদ ১/৫০/১, ঋগ্বেদ ১/৫০/৮, ঋগ্বেদ ২/১২/২, ঋগ্বেদ ২/২৩/৫, ঋগ্বেদ ১/৮৪/৮, ঋগ্বেদ ৩/৫৩/১৪, অথর্ববেদ ১৮/৪/৮৯, অথর্ববেদ ২/২৩/২, অথর্ববেদ ১১/৩/২, অথর্ববেদ ৪/৫/১, অথর্ববেদ ১৯/২৭/৩, অথর্ববেদ ১২/৫/৫২, অথর্ববেদ ১২/৫/৬২, অথর্ববেদ ১২/৫/৫৪ , অথর্ববেদ ২০/৯৩/১, যজুর্বেদ ৭/৪৪, যজুর্বেদ ১৩/২, যজুর্বেদ ৩২/৬,যজুর্বেদ ১৩/১২, যজুর্বেদ ১৩/১৩, যজুর্বেদ ১৭/৩৮, যজুর্বেদ ১৭/৩৯, যজুর্বেদ ৩৩/৪৩, যজুর্বেদ ৭/৩৮, যজুর্বেদ ১৮/৭৪, যজুর্বেদ ২৯/৩৯, যজুর্বেদ ১৬/৩৬, যজুর্বেদ ৪/৩০, যজুর্বেদ ১৪/৫ ও নিরুক্ত ৪/৫, নিরুক্ত ৫/১৭, নিরুক্ত ৬/৩২, মনুস্মৃতি ৭।৯৬
অথর্ববেদ ১২/৫/৬২,
”বেদের নিন্দাকারীকে, কেটে ফেল, চিড়ে ফেল,ফেড়ে ফেল,জ্বালিয়ে দাও,ফুকে দাও,ভষ্ম করে দাও।
অথর্ববেদ ২০/৯৩/১,
“তাদেরকে হত্যা কর, যারা বেদ ও উপাসনার বিপরীত।
দাবীর সত্যতা-
প্রাচীন ঋষিদের বিভিন্ন নাস্তিক্য দর্শন চর্চা,অন্যা মত সহিষ্ণুতা তো একদম দিবালোকের মত ই স্পষ্ট,বুদ্ধের মত প্রত্যক্ষ নাস্তিককে হিন্দুরা অবতারের সন দিয়েছে,চার্বাক, কপিলদের মত নাস্তিকদের মন্দির বানিয়ে হিন্দুরা পুজো করে। এখন ধরুন উদাহরনস্বরুপ অথর্ববেদের এই মন্ত্রটি যেটি আপনি দিয়েছেন সেটা খুব
চর্বিত হয় সবজায়গায় এই নাস্তিকতা প্রসঙ্গে।
অথর্ববেদ ১২/৫/৬২
বৃশ্চ প্র বৃশ্চ সং বৃশ্চ দহঃ প্র দহঃ সং
দহঃ
বেদের নিন্দককে জ্বালিয়ে দাও,পুড়িয়ে দাও,কেটে ফেল
ইত্যাদি ইত্যাদি😆🤣 অর্থাৎ বৃশ্চ,দহ ইত্যাদি,কিন্তু কথা হল সংস্কৃত এই লাইনটিতে বেদ বলে তো কোন শব্দ ই
নেই,নিন্দক বলেও কোন শব্দ নেই,তাহলে বেদ নিন্দক এই শব্দটি আসল কোথা
থেকে? মন্ত্রটি বলছে জ্বালিয়ে দাও,পুড়িয়ে দাও কিন্তু কাকে?এবং সেটা কে জ্বালিয়ে দেবে?কে পুড়িয়ে দেবে?
আমি-আপনি বা আমরা?
পরের মন্ত্রে অর্থাৎ ১২/৫/৬৩ তে যেতে হবে এর উত্তরের জন্য- ব্রহ্মজ্যং দৈবঘ্নে আমুলদসন্দহ
ব্রহ্মজ্যং(ব্রহ্মময় লোকদের হিংসক,উল্লেখ্য ব্রহ্ম শব্দের অর্থ মহৎ,আরেকটি অর্থ সত্য এজন্য ব্রহ্মচর্য শব্দের অর্থ মহৎ বৃত্তি,আরেকঅর্থ সত্য পথের তপস্যা, তাই ব্রহ্মময় তথা মহৎলোকদের এবং সত্যের যারা হিংসক)
দৈবঘ্নে(হে অসৎ এর বিনাশকারী দেববাণী অর্থাৎ বেদ) এদের আমুলদসন্দহ অর্থাৎ সমূলে জ্বালিয়ে দাও। অর্থাৎ এখানে এই কথা বলা হয়নি যে আপনি যে বেদের নিন্দা করে তাদের মোল্লাদের স্টাইলে ধরে মুণ্ডু কেটে ফেলবেন বা জ্বালিয়ে দিবেন,যজ্ঞের সময় বেদবাণীতে প্রার্থনা করা হচ্ছে(এটাই টার্নিং পয়েন্ট,এখানে মানুষকে কিছু করতে বলা হচ্ছেনা,বেদবাণীর শক্তির নিকট প্রার্থনা করা হচ্ছে) যে যারা মহৎ লোকদের,যারা সত্য বলেন,সত্য পথে চলেন তাদের হিংসক বা বাঁধাদানকারী তাদের যেন তুমি সমূলে উৎপাটিত কর।
এরপর ২০/৯৩/১ এর অবস্থা দেখে তো
খুবই দুঃখবোধ হল,মিথ্যাচার কখনোই ভালো চর্চা নয়।ওই মন্ত্রে হত্যা শব্দটা কোথায় কেউ পেল আমার জানা নেই,ওখানে একটা কথা ই আছে অব ব্রহ্মদ্বিষো জহি অর্থাৎ আমাদের(অব) ব্রহ্মদ্বিষোবগ অর্থাৎ মহৎদের দ্বেষকারীদের থেকে জহি(দূরে রেখো)। এখানে নাস্তিক হত্যার কি পাওয়া গেল?
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ