শাসন থেকে শাস্ত্র কথাটা এসেছে৷ অর্থাৎ ,যে গ্রন্থের মাধ্যমে ঈশ্বর আমাদেরকে শাসন করেন বা পরিচালিত করেন তাহাই শাস্ত্র৷ অপ্রত্যক্ষ জ্ঞানের ভাণ্ডার। সাধারন অর্থ গ্রন্থ ।
"ওঁ শাস্ত্র যোনিত্বাৎ" —(বেদান্তসূত্র ১/১/৩)—শাস্ত্র অধ্যয়নের মাধ্যমে পরম সত্যকে হৃদয়ঙ্গম করা যায়৷
শাস্ত্র প্রধানত ২ ধরনের
"ওঁ শাস্ত্র যোনিত্বাৎ" —(বেদান্তসূত্র ১/১/৩)—শাস্ত্র অধ্যয়নের মাধ্যমে পরম সত্যকে হৃদয়ঙ্গম করা যায়৷
শাস্ত্র প্রধানত ২ ধরনের
১. শ্রুতি ( বেদ-বেদান্ত, তখা বেদের সমস্ত ভাগ)
২. স্মৃতি ( বেদ পরবর্তী বিভিন্ন ঋষি ও মহামানবদের দেখানো পথ)
এই দুটির ভিতরে সাংঘর্ষিক কোনো মত দেখা দিলে শ্রুতি গ্রহণযোগ্য ও পালনীয় হবে। এ সম্পর্কে মনুসংহিতায় স্পষ্ট ভাষায় বলা আছে-
২. স্মৃতি ( বেদ পরবর্তী বিভিন্ন ঋষি ও মহামানবদের দেখানো পথ)
এই দুটির ভিতরে সাংঘর্ষিক কোনো মত দেখা দিলে শ্রুতি গ্রহণযোগ্য ও পালনীয় হবে। এ সম্পর্কে মনুসংহিতায় স্পষ্ট ভাষায় বলা আছে-
অর্থকামেষ্বসক্তানাং ধর্মজ্ঞানং বিধীয়েত।
ধর্মং জিজ্ঞাসসমানানং প্রমাণং পরমং শ্রুতিঃ।। মসুসংহিতা, ২/১৩
ধর্মং জিজ্ঞাসসমানানং প্রমাণং পরমং শ্রুতিঃ।। মসুসংহিতা, ২/১৩
অনুবাদ :
যাঁরা অর্থ ও কামে আসক্ত নন, ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান তাঁদেরই হয়। আর, ধর্মজিজ্ঞাসু ব্যক্তিগণের কাছে বেদই প্রকৃষ্ট প্রমাণ।যেখানে শ্রুতি ও স্মৃতির মধ্যে বিরোধ উপস্থিত হবে, সেখানে শ্রুতির মত-ই গ্রাহ্য। এই কারণে শ্রুতিকেই সর্বোৎকৃষ্ট প্রমাণ বলা হয়েছে।
সাধারন অর্থ গ্রন্থজ্যোতিষশাস্ত্র ,বৌদ্ধ শাস্ত্র,দর্শন শাস্ত্র ইত্যাদিযাঁরা অর্থ ও কামে আসক্ত নন, ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান তাঁদেরই হয়। আর, ধর্মজিজ্ঞাসু ব্যক্তিগণের কাছে বেদই প্রকৃষ্ট প্রমাণ।যেখানে শ্রুতি ও স্মৃতির মধ্যে বিরোধ উপস্থিত হবে, সেখানে শ্রুতির মত-ই গ্রাহ্য। এই কারণে শ্রুতিকেই সর্বোৎকৃষ্ট প্রমাণ বলা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ