উচ্ছ্বঞ্চস্ব পৃথিবী মা নি বাধথাঃ সূপায়নাস্মৈ ভব সূপবঞ্ছনা।
মাথা পুত্রং য়থা সিচাভ্যেনং ভূম ঊর্ণুহি।।
ঋগ্ববেদ -১০।১৮।১১
[ঈশ্বর মনুষ্য সৃষ্টির জন্য পৃথিবীতে মাতৃ গর্ভ তৈরী করেন ] (১)
পদার্থ- ( পৃথিবী-উচ্ছ্বঞ্চস্ব মা নিবাধথাঃ) হে পৃথিবী! তুমি জীব গর্ভকে ধারণ করার জন্য পুলকিতপৃষ্ঠ-উষ্ণ হয়ে যাহাতে এই জীবের পীড়া না হয় (অস্মৈ সূপায়না সূপবঞ্চনা ভব) এই জীবের জন্য শরীর ধারণের যোগ্য সুন্দর আশ্রয় দানকারী হউন (ভূমে মাথা পুত্রং য়থাঃ সিচা এনম্-অভি-ঊর্ণুহি) হে ভূমি যেরূপ মাতা পুত্রকে জানার পশ্চাৎ দুধযুক্ত স্তন পাশে ঢেকে রাখে ঐরূপ তুমিও বনস্পতিযুক্ত নিচে তাহাকে আচ্ছাদিত কর।
ভাবার্থ-জীবগর্ভ যখন ভূতিতে আসে তখন ভূমির উপর পৃষ্ঠে আনন্দে উষ্ণ হয়ে শুন্যস্হান হয়ে যায় যাহাতে সুগমতার সাথে জীব বৃদ্ধি হতে থাকে আর সে গর্ভের আবশ্যকতার সম্পূর্ণ করেন।গর্ভ পূর্ণ হয়েই তাহার উপর যৌবন উদ্গত হয়ে-বাইরে প্রকট করতে যোগ্য হয় তথা বাইরে প্রকট হয়ে ঔষধির দ্বারা তাহারা পোষন করে অতএব এই সময় জীব সব প্রকার কুশল কুমারাবস্হাতে উৎপন্ন হয়।।
[ঈশ্বর আদিতে নানা জীব ও মনুষ্যদির অমৈথুন সৃষ্টি করেছিলো ] (২)
উপ সর্প মাতরং ভূমিমেতামুরুব্যচসং পৃথিবীং সুশেবাম্। ঊর্ণস্রদা য়ুবতির্দক্ষিণাবত এষা ত্বা পাতু নির্ঋতেরুপস্হাত্।।
ঋগ্বেদ -১০।১৮।১০
ঋগ্বেদ -১০।১৮।১০
পদার্থ- (এতাম্-উরুব্যচসং সুশেবাংভূমি মাতরম্-উপসর্প) হে জীব! জন্ম ধারণ করার জন্য তুমি এই অনেক প্রকারের জীব ব্যক্তির প্রকটকারীর বিস্তৃত আর অনুকূলতার সম্পাদক ভূমি রূপী মাতাকে প্রাপ্ত হয় (দক্ষিণাবতে -এষা য়ুবতিঃ ঊর্ণশ্রদাঃ) স্ব-কর্মফল শরীরে ধারণ যোগ্য জীবের জন্য এই যুবতির যথার্থ অথবা বীজকে নিজের অন্তর মিশ্রিতকারী কৃষি ভূমিকে যথার্থ (নির্ঋতেঃ-উপস্হাত্ ত্বা পাতু)মৃত্যুরূপ ঘোর আপত্তির অঞ্চল থেকে তোমার রক্ষা করে।
ভাবার্থ-ঈশ্বর আদি সৃষ্টিতে সব জীবের একমাত্র মাতা পৃথিবীই হয়। অতএব ওই সময় মনুষ্যেরও অমৈথুন সৃষ্টি হয়। নানা পার্থক্য দ্বারা মনুষ্যাদি শরীরের প্রাদুর্ভাব হয়। সূচনা সৃষ্টিতে পৃথিবী যুবতি যেরূপ অথবা ভূমি যেরূপ কোমল হয়।
[সৃষ্টির আদিতে এই ভূমিতে অসংখ্য জীবের উৎপন্ন করেন ] (৩)
উচ্ছ্বঞ্চমানা পৃথিবী সু তিষ্ঠতু সহস্রং মিত উপ হি শ্রয়ন্তাম্। তে গৃহাসো ঘৃতশ্চুতো ভবন্তু বিশ্বাহাস্মৈ শরণাঃ সন্স্বত্র।
ঋগ্বেদ-১০।১৮।১২
ঋগ্বেদ-১০।১৮।১২
পদার্থ- (উচ্ছ্বঞ্চমানা পৃথিবী সুতিষ্ঠিতু) যখন পুলকিতপৃষ্ঠ উষ্ণ হয়ে শূন্যস্হানে বনস্হলী হয়ে পৃথিবী তৈরী হয়ে যায় তখন (সহস্রং মিতঃ-হি উপশ্রয়ন্তাম্) বহু-সংখ্যা প্রাপ্ত জীব তাহার আশ্রিত থাকে ( তে গৃহাসঃ-ঘুতশ্চুতঃ-অস্মৈ বিশ্বাহা-অত্র শরণাঃ সন্তুঃ)জীবাত্মার জন্য তিনি গর্ভগৃহ রসপূর্ণ আর সর্বদা আশ্রয় দানকারী হয়।
ভাবার্থ- ঈশ্বর জীব সৃষ্টির জন্য পৃথিবী উপর শূন্যস্হান আর স্হীরচিত্ত কি্ছু কাল পর্যন্ত বনস্হলী থাকে। পূণঃ তাহাতে অসংখ্য জীব আশ্রিত থাকে অতএব আজ পর্যন্ত স্ব-স্ব জাতীয় সঙ্গে থাকার প্রায় সমস্ত জীবে বর্তমান। আত্মার জন্য গর্ভগৃহ স্বাভাবিক ভাবে রস দানে শরণীয়।
[ঈশ্বর অসংখ্য মনুষ্য সৃষ্টির আদিতে যুবাবস্হায় উৎপন্ন করেন ] (৪)
উপো রুরুচে য়ুবতির্ন য়োষা বিশ্ব জীবং প্রসুবংতি চরায়ৈ। অভূদগ্নিঃ সমিধে মানুষাণামরুজ্যের্তিবাধমনা সমাংসি।
ঋগ্বেদ-৭।৭৭।১
ঋগ্বেদ-৭।৭৭।১
পদার্থ- (তমাংসি) অজ্ঞানরূপ তমোকে (বাধমানা) নাশ করিয়ে (অগ্নিঃ জ্যাতিঃ) প্রকাশ-স্বরূপ জ্যাতি (মানুষাণাং, সমিধে,অকঃ) মনুষ্যের সম্বন্ধে প্রকট হয়ে যিনিই (প্রসুবংতি) প্রসুতাবস্হাতে (বিশ্ব,চরায়ৈ, জীবং) বিশ্বরের চরাচর জীবকে (অভূত্) প্রকট করে, সে জ্যাতি (উপো)এই সংসারে (য়ুবতিঃ) যুবাবস্হায় (রুরুচে) প্রকাশিত হয় (ন য়োদা) স্ত্রীর সমান নয়।
ভাবার্থ- এই মন্ত্রে পরমাত্মার জ্যাতিস্রূপে বর্ণন করেছেন অর্থাৎ জগৎজননী জ্যাতিরূপ পরমাত্মা যে জীবমাত্রের জন্মদাতা। উনিই সৃষ্টির আদিতে বিশ্বরের চরাচর জীবের যুবাবস্হাতে প্রকট করেন, আর সে পরমাত্মারূপ শক্তিএ যুবাবস্হাতে প্রকট হয় স্ত্রীর সমান নয়।
[ ঈশ্বরই আদিতে তিব্বতে মনুষ্য সৃষ্টি করেছিল ](৫)
উত্তে স্তভ্নামি পৃথিবীং ত্বত্পরীমং লোগং নিদধন্মো অহং রিষম্।
এতাং স্হূর্ণা পিতরো ধারয়ন্তু তেহত্রা য়মঃ সাদনা তে মিনোতু।।
ঋগ্বেদ ১০।১৮।১৩
এতাং স্হূর্ণা পিতরো ধারয়ন্তু তেহত্রা য়মঃ সাদনা তে মিনোতু।।
ঋগ্বেদ ১০।১৮।১৩
পদার্থ - (পৃথিবীং তে-উত্ স্তভ্নামি) হে জীব! তোমার জন্য আমি ঈশ্বর, পৃথিবীকে জলমিশ্রিত ভূগোল থেকে উপরে টেনে (ইমং ত্বত্-লোগং পরিনিদধত্-ম-উ-অহং-রিষম্) সেখানে তোমার এই গর্ভকোষে রেখেছি আমি না দুঃখ দান করি ( এতাং স্হূণাং পিতরঃ-ধারয়ন্তু)ইহা থেকে উপরে উঠে পৃথিবীকে সূর্য- কিরণে ধারণ করে (তত্র য়মঃ-তে সদনা মিনোতু) সূর্য তোমার জন্য প্রয়োজনীয় কোষ কে প্রাপ্ত করায়।
ভাবার্থ- ঈশ্বর আদিতে সৃষ্টি পৃথিবীর উঁচু স্হানে করেন । সে স্হান জলমিশ্রিত পৃথিবী থেকে পর্বতভূমি রূপে [ তিব্বতের ]
উপরের দিকে টানে। উঠে ওই ভূভাগে সূর্যের রশ্মি ধারণ করেন আর সূর্য নিজের রশ্মি দ্বারা জীবাত্মার গর্ভদিকে প্রাপ্ত করান, অর্থাৎ তাঁহার দ্বিতীয় নাম সবিতা।
ওম্ শান্তি শান্তি শান্তি।।
উপরের দিকে টানে। উঠে ওই ভূভাগে সূর্যের রশ্মি ধারণ করেন আর সূর্য নিজের রশ্মি দ্বারা জীবাত্মার গর্ভদিকে প্রাপ্ত করান, অর্থাৎ তাঁহার দ্বিতীয় নাম সবিতা।
ওম্ শান্তি শান্তি শান্তি।।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ