দুধ হজমেসমস্যা বা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স এর প্রতিকার
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের খাওয়া -দাওয়ার মধ্যে দুধ একটি অতি পরিচিত খাদ্য বা পানীয় । কিন্ত দুধ নিয়মিত খেলেও সেটি আদৌও হজম হচ্ছে কি না সে ব্যাপারে অনেকেই কোন খোঁজখবর রাখেন না ।
এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষের Lactose Intolerence বা দুধ হজম করতে সমস্যা হয় । কোন বিশেষ খাবার হজম করতে সমস্যা কিন্ত কোন রোগ নয় , খাদ্যের তালিকা থেকে সেই খাদ্যটিকে বাদ দিলেই খুব সহজেই সেই সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করা যায় । মানব শিশু কম বেশি দুই বৎসর অতিক্রান্ত হবার পর আর মায়ের দুধ খায় না । আসলে বহু বছরের অভিব্যক্তি ও অভিযোজনের ফলে মানব শরীরের গঠনপ্রণালী' ই এমন ভাবে হয়েছে যাতে প্রায় দুই বৎসরের পর শিশুকে আর দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন পরে না ।
শুধু বন্য পশু কেন ? আমাদের গৃহপালিত পশুদের জীবনযাপন কে লক্ষ্য করলেই বোঝা যায় , একটি নির্দিস্ট সময় অতিক্রান্ত হবার পর তারা আর সারা জীবনে কখনো দুধ পান করে না । কিন্ত মানুষ এই সহজ প্রাকৃতিক নিয়মকে মানতে নারাজ । নিজে সারাজীবন উৎপাদন করতে না পারলে কি হবে , সারাজীবন ধরে প্রয়োজনীয় দুধের যোগান দেবার জন্য গরু , মোষ ও অন্যান্য পশুরা তো রয়েছে । মায়ের দুধের থেকে পশুর দুধের ' Growth Hormone ' অনেক বেশি থাকে । সেই কারণেই এতো তাড়াতাড়ি এদের বাচ্ছারা বেড়ে ওঠে ।
তাছাড়া মানুষের দুধের প্রোটিন বন্ডিং র সঙ্গে গরু, মহিষের দুধের প্রোটিন বন্ডিং' র পার্থক্য আছে । এমনিতেই মাছ , মাংস ও দুধের মত প্রোটিনের বন্ডিংকে ভেঙ্গে হজমের উপযোগী করতে শরীরকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয় । তার ওপরে আবার মানুষ ছাড়া অন্য জীবের দুধ , যার গ্রোথ হরমোনের সঙ্গে মানুষের গ্রোথ হরমোনের বিস্তর ফারাক । তাই দুধ হজম করতে অসুবিধা হলে দুধ খাওয়া বন্ধ করুন । এটি আপনার উপকারের থেকে অপকার' ই হয়তো বেশি করছে ।
দয়া করে , ক্যালসিয়ামের চিন্তা করবেন না । দুধ পান না করেও আপনি যদি নিয়মিত ফ্রেস ফল ও শাক সবজি খান আপনার ক্যালসিয়ামের অভাব এতেই পূরন হয়ে যাবে । জেব্রা , গাধা , ঘোড়া এতো 'strong bones ' কিন্ত এই এই সবুজ ঘাস ও লতা পাতা খেয়েই পায় , সারাজীবন ধরে দুধ পান করে নয় । তাই , Lactose Intolerence ' র ক্ষেত্রে দুধ না খাওয়াই একমাত্র সমাধান । দুধের সঙ্গে পাকা পেঁপে বা অন্য কোন নরম ফল সেবন করলে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া যায় ঠিকই কিন্ত এটা এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার কোন সঠিক সমাধান নয় ।
দুধ খাওয়ার পরে এক টুকরো কাঁচা বা পাকা পেঁপে খেতে পারেন।তবে আলসার থাকলে পেঁপে খাওয়া টা একটু রিস্কি।
গরু ছাগল ছাড়া মোষের দুধ গাধার ভেড়ার দুধ ইয়াকের দুধ গাধার দুধ ঘোড়ার দুধ মানুষ খেতে পারে এবং খায়ও। গরু ছাগল মোষের দুধে যে পরিমাণ মিল্ক প্রোটিন থাকে তা অন্য প্রাণীর দুধে থাকে না বললেই চলে যেমন কুকুর বিড়াল। মূলত তৃণভোজী প্রাণীর দেহ থেকে ভালো মিল্ক প্রোটিন পাওয়া যায় কিন্তু মাংসাশী প্রাণীর দেহ থেকে পাওয়া যায় না। প্রসঙ্গত বাঘের দুধের কথা না বললেই নয়। বাঘের দুধ দামি হতে পারে কিন্তু উপকার গরুর দুধের থেকে কম।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা জল ফোটাতে থাকলেও টগবগ টগবগ করে ফুটতে খাকে। একসময় জল বাষ্প হয়ে কমতে কমতে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু দুধের ক্ষেত্রে এমন হয় না। কারণ, দুধের মধ্যে Clostridium ও Bacillus নামক দুটি ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই ব্যাকটেরিয়া দুটি ফুটন্ত দুধে বুদবুদ তৈরি করে। তখন দুধের মধ্যেকার বুদবুদ পাতিলের ভেতর থেকে ঠেলে ওপরে বা বাইরে ফেলে দেয়। জলের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে বাতাস বা অক্সিজেন থাকে, যাকে আমরা দ্রবীভূত অক্সিজেন বা বিওডি (বায়োলজিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড) বলে থাকি। জল ফোটাতে থাকলে জলের ভেতরে এই বাতাস বা অক্সিজেন বের হয়ে যায়। অর্থাৎ দুধের মতো বুদবুদ সৃষ্টি করতে পারে না। আর সে কারণেই জল ফোটালে দুধের মতো উথলে ওঠে না।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা জল ফোটাতে থাকলেও টগবগ টগবগ করে ফুটতে খাকে। একসময় জল বাষ্প হয়ে কমতে কমতে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু দুধের ক্ষেত্রে এমন হয় না। কারণ, দুধের মধ্যে Clostridium ও Bacillus নামক দুটি ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই ব্যাকটেরিয়া দুটি ফুটন্ত দুধে বুদবুদ তৈরি করে। তখন দুধের মধ্যেকার বুদবুদ পাতিলের ভেতর থেকে ঠেলে ওপরে বা বাইরে ফেলে দেয়। জলের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে বাতাস বা অক্সিজেন থাকে, যাকে আমরা দ্রবীভূত অক্সিজেন বা বিওডি (বায়োলজিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড) বলে থাকি। জল ফোটাতে থাকলে জলের ভেতরে এই বাতাস বা অক্সিজেন বের হয়ে যায়। অর্থাৎ দুধের মতো বুদবুদ সৃষ্টি করতে পারে না। আর সে কারণেই জল ফোটালে দুধের মতো উথলে ওঠে না।
বেশিরভাগ মানুষই দুধ গরম খেতে পছন্দ করেন। আবার কিছু মানুষ পছন্দ করেন ঠান্ডা দুধ। কিন্তু ঠান্ডা দুধ এবং গরম দুধের মধ্যে তফাতটা কোথায়?
এক গ্লাস দুধে আছে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন ১২, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস, যা হাড়-দাঁত মজবুত করে। শক্ত করে পেশি। শরীরে পুষ্টি জুগিয়ে সুস্থ রাখে ওষুধ ছাড়াই।
এখন প্রশ্ন হলো, কোন দুধ খেলে বেশি উপকার ঠাণ্ডা না গরম। বিশেষ করে যাদের ল্যাকটোজ অ্যালার্জি আছে, তাদের কোন দুধ খাওয়া উপকারী।
তাহলে জেনে নিন কোন প্রকারের দুধ স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশি স্বাস্থ্যকর।
গরম দুধ কেন স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী?
গরম দুধের সবথেকে বড় উপকারিতা হল, গরম দুধ খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে, ভালো ঘুমের জন্য খুবই উপকারী গরম দুধ।
দুধ থেকে তৈরি খাবার যাদের হজম হয় না, তাদের খেতে হবে গরম দুধ। ঠাণ্ডা দুধ তুলনায় ভারী। হজম করা কষ্ট। আর গরম দুধে ল্যাক্টোজের পরিমাণ কম থাকে। তাই এই দুধ সহজে হজম হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থাকলে রাতে ঘুমনোর আগে প্রতিদিন এক গ্লাস গরম দুধ পান করুন।
ঠান্ডা দুধ কেন স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী?
ঠান্ডা দুধেরও উপকারিতা অনেক। প্রচুর পরিমানে ক্যালশিয়াম থাকার জন্য সমস্ত অ্যাসিড শুষে নিয়ে বদহজম হওয়া থেকে মুক্তি দেয়। সকালে ঠান্ডা দুধ খেলে সারাদিন শরীর হাইড্রেট থাকে।
ঠাণ্ডা দুধ স্থূলতা কমায়। যারা গ্যাস্ট্রিক বা স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য ঠাণ্ডা দুধ ভীষণ উপকারী। এতে বুক ও পেট জ্বালাও কমে। তাই খাবার পর রোজ আধ গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ খান। ওষুধ ছাড়াই সমস্যা কমবে।
ঠাণ্ডা লাগার ধাত না থাকলে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ঠাণ্ডা দুধ খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে শরীরে জলের ঘাটতি মিটবে। তবে রাতে ভুলেও খাবেন না। এতে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
দুধ খাওয়ার ব্যাপারে সাবধানতা:
যাদের কিডনিতে পাথর হয়েছে, যাদের শরীরে 'ল্যাক্টেজ' (lactase) নামক এনজাইমের অভাব আছে, যাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রথম অংশের আলসার তথা ডিউডেনাল আলসার আছে বা যাদের 'কোলেসিসটিটিস' (cholecystitis) তথা গলব্লাডারের সমস্যা আছে,যাদের পেটে অপারেশান করা হয়েছে, যাদের শরীরে আয়রন বা লোহার অভাব পূরণের জন্য নিয়মিত আয়রন ট্যাবলেট খাচ্ছেন,যারা লিড (lead) বা সিসা নিয়ে কাজ করেন, যারা পাকস্থলীর আলসার তথা গ্যাস্ট্রিক আলসারের রোগী, যারা প্যানক্রিয়েটিটিস (Pancreatitis) বা অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ রোগে আক্রান্ত, যাদের এলার্জি আছে তারা আবশ্যই চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই দুধ খাবেন।
দুধ এমনিতেই সুপারফুড। ঠান্ডা হোক কিংবা গরম, দু প্রকারের দুধেই প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। তবে, আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কোন দুধ বেশি উপকারী, তা চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই খান।
ঘরের তাপমাত্রায় দুধ অনেকক্ষণ রেখে দিলে তাতে ক্ষতিকর জীবাণু জন্মায় এবং দুধ নষ্ট হয়ে যায়, ওই দুধ খেলে শরীর খারাপ হবার সম্ভাবনা থাকে, তাই দুধ রেফ্রিজারেটরের ঠান্ডায় রাখতে হবে বা ৩-৪ ঘন্টা পর পর ফুটিয়ে গরম করে রাখতে হয়।
এক ফোঁটা নিয়ে মাটিতে ফেলে দেখবেন দুধ থাকছে না জলের দাগ হয়ে যাচ্ছে, যদি জলের দাগ হয়ে যায় তাহলে খাঁটি না, আর যদি দুধ-ই থাকে তাহলে খাঁটিদুধ।।
গরুর দুধে ভেজাল হিসাবে সাধারণত জল,স্টার্চ,মাখন
ইত্যাদি মেশানো হয়ে থাকে ।
জল: দুধে যদি জল থাকে তাহলে ল্যাকটোমিটার দুধে ডোবালে রিডিং ২৬ এর কম হবেনা।
এছাড়াও ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি তা শনাক্ত করতে পারবেন যেকোনো পালিশ দ্রব্য যেমন কাচের টুকরো একে হেলান দিয়ে রেখে তাতে এক ফোঁটা দুধ দিলে যদি খাঁটি দুধ হয় তো সেই দুধের ফোঁটা সেখানেই থাকবে আর যদি জল মেশানো হয় তাহলে সেই ফোঁটা সেখান থেকে দ্রুত গড়িয়ে পড়বে কোনোরকম দাগ ও থাকবে না ।
স্টার্চ: দু এক ফোটা আয়োডিন দ্রবন যেমন টিংচার আয়োডিন দিলে দুধে গাঢ় নীল রঙ হবে।
মাখন: এক্ষেত্রে ল্যাকটোমিটার ডোবালে রিডিং ২৬ এর বেশি দেখাবে।
একটা অন্ধবিশ্বাস প্রচলিত আছে যে, দুধ এবং আনারস একসাথে খাওয়া হলে বা অল্প সময়ের ব্যবধানে খাওয়া হলে বিষক্রিয়ায় মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এটা একদম ভুল ধারণা এবং এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নাই।
আগ্রহীদের জন্য জার্নালের লিঙ্ক দিলাম: Food taboo of taking pineapple and milk at a time
আনারসে থাকে সাইট্রিক এসিড, এসকরবিক এসিড, পেন্টোথেনিক এসিড। আর যেমন টা আমরা আগে ই জানি…দুধে থাকে ল্যাকটিক এসিড, আর আমাদের পাকস্থলীতে থাকে হাইড্রোক্লোরিক এসিড। আপনি যখন দুধ আনারস একসাথে খাবেন তখন এই সবগুলো এসিড আপনার পাকস্থলী তে থাকবে। আর এতগুলো এসিড একসাথে থাকলে এসিডিটি বাড়া স্বাভাবিক। হুম , আনারস দুধ একসাথে খেলে পেট ব্যাথা হতে পারে, এসিডিটি বাড়তে পারে। কিন্তু এই সামান্য কারণে মানুষ মরবে না। মৃত্যু এত সহজ না।
ভারতীয় দেশী গরুর দুধের গুরুত্ব বুঝতে হলে পড়ুন * Devil IN The MILK * Revision Book * www.chelseagreen.com * প্রফেসর কেইথ উডফোর্ডের লেখা ।
ভারতীয় দেশী গরু (গরু ও নন্দী) এবং বিদেশী গরুর মধ্যে পার্থক্য *
ভারতীয় 1. টি গরুর বৈজ্ঞানিক নাম বস ইন্ডিয়ান । বিদেশী গরুর বৈজ্ঞানিক নাম BOSS TAURUS ।
2. টি ভারতীয় দেশী গরুর পিছনে আধা-সার্কুলার ভাসাইন্ড (HUMP) আছে । বিদেশী গরুর পিঠ সহজ ।
3. ভারতীয় দেশী গরুর একটি গোল ব্যাকড্রপ আছে । বিদেশী গরুর পুসি ব্যাকসাইড সহজ ।
4. ভারতীয় দেশী গরুর গলার নিচে একটি ঝালর আছে, যা গরুকে গুড়িয়ে পরম সুখ দেয় । বিদেশী গরুর গলায় ঝালাই নেই ।
5. ভারতীয় দেশী নন্দী বা জামিন প্রতি ঋতুতে বেশি পরিশ্রমী ও বন্ধুত্বপূর্ণ । বিদেশী ষাঁড়রা তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে যায় এবং গরম সহ্য করতে পারে না ।
ভারতের 6. টি গরুর চোখে ভালোবাসার অনুভূতি দেখা যায় । বিদেশী গরুর চোখে ভয়াবহতা আছে ।
7. ভারতীয় দেশি গরুর বাছুর হাম্মা বা মা শব্দটির মত আওয়াজ দেয় । বিদেশী গরুর বাছুর হাস্কি এবং উদ্ভট শব্দ করে ।
8. ভারতীয় দেশী গরুর সূর্যাস্ত আছে ভাসিন্দায় যা সূর্যরশ্মির কারণে জেগে ওঠে গরুর দুধে সোনালী অংশ তৈরি করে বিশেষ ধরনের ক্যারোটিন উপাদান দিয়ে, যা গরুর দুধে হলুদ করে তোলে । বিদেশী গরুর দুধ সাদা ।
9. ভারতীয় দেশী গরুর লম্বা শিং আছে । বিদেশী গরুর শিং ছোট ।
ভারতীয় 10. টি দেশি গরু দেখতে সুন্দর এবং শ্বাসরুদ্ধকর । বিদেশী গরুগুলো অদ্ভুত এবং দেখতে ভয়ঙ্কর ।
11. ভারতীয় দেশী গাভী কম খায় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী । বিদেশী গরু যত পারে খায়, রিজার্ভ খালি করে ।
12. টি ভারতীয় গরুর গোবর সুস্থ থাকলে না এর সমান । বিদেশী গরুর গন্ধ গোবরের ময়লার মত ।
14. ভারতীয় দেশি গরুর দুধ হালকা ও হজমে মিষ্টি । বিদেশী গরুর দুধ হজম করতে সময় লাগে ।
15. টি গোরোচান আইটেম শুধুমাত্র ভারতীয় দেশী গরুতে পাওয়া যায় । বিদেশী গরুচান উপাদান পায় না ।
16. ভারতীয় দেশী গরু মানুষের অনুভূতি, গলা, অঙ্গভঙ্গি খুব ভালো বোঝে । সেই অনুভূতিগুলো কর্তৃত্বপূর্ণ । বিদেশী গরুকে মানুষ মনে না করা সমান । তারা খুবই আবেগহীন ।
17. ভারতীয় দেশী গরু শীঘ্রই নতুন পরিবেশে বিলীন হবে । বিদেশী গরু নতুন পরিবেশে বিলীন হতে সময় নেয় ।
গোপালকের পরিবারের সুখ-দুঃখ বোঝে ভারতের 18. টি আদিবাসী গরু । পরিবারের কারো মৃত্যুতে ফোর্ড করা নিষেধ যতক্ষণ না পানি আর চোখ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয় । বিদেশী গরুগুলো বেহুশ ।
19. মহিলাদের দুধের সাথে ভারতের দেশি গরুর দুধের উপাদানের মিল আছে । হরমোন একই রকম । গর্ভাবস্থার সময়ও 9 মাস 9 দিনের সমান । মেয়েদের দুধ আর বিদেশী গরুর দুধে কোন মিল নেই । বিদেশী গরুর দুধ বিষাক্ত ।
20. ভারতীয় দেশি গরুর দুধে A2 beta casein ধরনের প্রোটিন থাকে, তাই ভারতীয় আদিবাসী গরুর দুধকে A2 দুধ বলা হয় । এ দুধের তৈরি ঘি কে এ ঘি বলে । বিদেশী গরুর দুধে এ বেটা কেসিন টাইপের প্রোটিন তাই বিদেশী গরুর দুধ এ দুধ । এ দুধের ঘি কে এ ঘি বলে ।
21. ভারতীয় আদিবাসী গরুর দুধে প্রলিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিডের ডিএনএতে 67 র্থ স্থান রয়েছে, যা পুষ্টিকর এবং মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী । বিদেশী গরুর দুধে রয়েছে হেস্টিডাইন নামক অ্যামাইনো এসিড, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক ।
22. ভারতীয় গরুর দুধে ডি 22. ভিটামিন আছে, যা এটিকে সেরা করে তোলে । বিসিএম 7 (বিটা ক্যাসো মর্ফাইন-7) বিদেশী গরুর দুধে । এটি একটি ক্ষতিকর পদার্থ যা অ্যামালিব্রেশন এর মধ্যে আসে, যার ফলে 80 ধরনের রোগ যেমন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস টাইপ ওয়ান, অটিজম, স্কিজোফ্রেনিয়া
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ