ब्रा॒ह्म॒णो॑ऽस्य॒ मुख॑मासीद्बा॒हू रा॑ज॒न्य॑: कृ॒तः ।
ऊ॒रू तद॑स्य॒ यद्वैश्य॑: प॒द्भ्यां शू॒द्रो अ॑जायत ॥
ব্রাহ্মণোহস্য মুখমাসীৎ বাহূ রাজন্যঃ কৃতঃ।
ঊরূ তদস্য যদ্বৈশ্যঃ পদ্ভ্যাং শূদ্রো অজায়ত।। (ঋগ্বেদ- ১০/৯০/১২)
पदार्थान्वयभाषाः -(अस्य) इस समष्टि पुरुष का (ब्राह्मणः) ब्राह्मण वर्ण (मुखम्-आसीत्) मुख है मुखस्थानीय है, जैसे मुख में गुण हैं, ऐसे सर्वकाल में नग्न रहना, तपस्वी होना, ज्ञानेन्द्रियों से युक्त होना, ज्ञानी होना तथा त्यागी होना, ऐसा ही ब्राह्मण को होना चाहिये (बाहू राजन्यः-कृतः) भुजाओं में शोधन, रक्षण व त्राण होते हैं, ऐसे क्षत्रिय में होने चाहिये (अस्य तत्-ऊरू) इस पुरुष की जङ्घाएँ वैश्य हैं अर्थात् वैश्य धन-धान्य-पशु का संग्रह करता है, यथापात्र विभाजन भी करता है (पद्भ्यां शूद्रः-अजायत) पैरों के तुल्य शूद्र होता है, पैरों के समान श्रमप्रवृत्तिवाला शूद्र है ॥
भावार्थभाषाः -मानवसमाज को देह के रूपक में देखना चाहिये। जैसे देह में मुख में गुण होते हैं, ज्ञान तपस्या त्याग ऐसे ब्राह्मण में होना चाहिये, जैसे भुजाओं में शोधन रक्षण त्राण गुण हैं, ऐसे क्षत्रिय में होने चाहिये, जैसे मध्य भाग उदर में अन्नादि का संग्रह और विभाजन होता है, ऐसे वैश्य में होने चाहिये, जैसे पैरों में दौड़ धूप श्रमशीलता होती है, ऐसी शूद्र में होनी चाहिये ॥-ब्रह्ममुनि
[maanavasamaaj ko deh ke roopak mein dekhana chaahiye. jaise deh mein mukh mein gun hote hain, gyaan tapasya tyaag aise braahman mein hona chaahiye, jaise bhujaon mein shodhan rakshan traan gun hain, aise kshatriy mein hone chaahiye, jaise madhy bhaag udar mein annaadi ka sangrah aur vibhaajan hota hai, aise vaishy mein hone chaahiye, jaise pairon mein daud dhoop shramasheelata hotee hai, aisee shoodr mein honee chaahiye]
অনুবাদঃ- সেই ভগবান ব্রহ্মার মুখ হইতে ব্রাহ্মণ, বাহুদ্বয় হইতে ক্ষত্রিয়, উরুদ্বয় হইতে বৈশ্য, এবং পাদদ্বয় হইতে শূদ্র উৎপন্ন হইল।
এই মন্ত্র দ্বারা কি মানুষকে বড় ছোট করা হয়নি?
সনাতনী : এই মন্ত্র দ্বারা বড় কিংবা ছোট কোনটাই করা হয়নি। যদি আপনার জ্ঞান বুদ্ধি থাকে, তাহলে আমি কিছু মন্ত্র ও শ্লোক উপস্থাপন করতেছি তা থেকে পরিষ্কার বুঝতে পারবেন যে এই মন্ত্রে মানুষকে বড়/ছোট করা হয়নি।
স পর্যগাচ্ছুক্রমকায়ম ব্রণম স্নাবিরং শুদ্ধ মপাপ বিদ্ধম্ কবির্মনীষী পরিভূঃ স্বয়ম্ভূর্যাতা তথ্যতোহর্থাম্ব্যদধাচ্ছা শ্বতীভ্যঃ সমাভ্যঃ। [যজুর্বেদ-৪০/৮. ঈশোপনিষদ-৮]
পদার্থঃ - (সঃ) পরমাত্মা (পরি) সব দিক হইতে (অগাৎ) ব্যাপ্ত আছেন (শুক্রম) সর্ব শক্তিমান (অকায়ম্) শরীর রহিত (অব্রণম্) ছিদ্র রহিত (অস্নাবিরম্) স্নায়ু আদির বন্ধন রহিত (শুদ্ধম্) দোষ রহিত (অপাপবিদ্ধম্) পাপ রহিত (কবিঃ) সর্ব্বজ্ঞ (মনীষী) অন্তর্যামী (পরিভূঃ) দুষ্টের দমন কর্ত্তা (স্বয়ম্ভুঃ) জন্মরহিত (যথাতথ্যতঃ) যথাযথভাবে (অর্থান্) সব পদার্থের (বি) বিশেষরূপে (অদধাৎ) বিধান করিয়াছেন (শাশ্বতীভ্যঃ) বিনাশ রহিত (প্রজাভ্যঃ) প্রজাদের জন্য।
বঙ্গানুবাদঃ- পরমাত্মা সর্বব্যাপক, সর্বশক্তিমান, শরীররহিত, রোগরহিত, জন্মরহিত, শুদ্ধ, নিষ্পাপ, সর্বজ্ঞ, অন্তর্যামী, দুষ্টের দমন কর্তা ও অনাদি। তিনি তাঁহার শাশ্বত প্রজা জীবের জন্য যথাযথ ফলের বিধান করেন।
এই মন্ত্রে বলা হয়েছে ঈশ্বর শরীর রহিত অর্থাৎ ঈশ্বরের শরীর নেই, তাহলে আমাদের মতো ঈশ্বরের হাত,পা আছে আর তা থেকে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র সৃষ্টির হয়েছে এমন চিন্তা করাও মূর্খামি। এবার বলতে পারেন যে তাহলে কি এই মন্ত্রই ভুল? মন্ত্র ভুল নয় -আপনার মাথায় এই মন্ত্রের ভাবার্থ লোড নেয়নি তাই উল্টো পাল্টা বুঝেছেন। এর দ্বারা উদাহরণ দেওয়া হয়েছে কেবল - কিরকম উদাহরণ দেখুন-
সর্বস্যাস্য তু সর্গস্য গুপ্ত্যর্থং স মহাদ্যুতিঃ।
মুখবাহূরুপজ্জানাং পৃথক্ কর্মাণ্যকল্পয়ৎ।। (বিশুদ্ধ মনুস্মৃতি- ১/৮৭)
পদার্থ+ভাবার্থঃ - (অস্য সর্বস্য সর্গস্য) এই সমস্ত সংসারকে (গুপ্ত্যর্থম্) গুপ্তি অর্থাৎ সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং সমৃদ্ধির জন্য (সঃ মহাদ্যুতিঃ) মহাতেজস্বী পরমাত্মা (মুখ-বাহু-উরু-পদ্-জানাম্) মুখ, বাহু, উরু আর পায়ের তুলনায় নিমিত্ত অর্থাৎ ক্রমশঃ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র বর্ণের (পৃথক্ কর্মাণি + অকল্পয়ৎ) পৃথক পৃথক কর্ম বানিয়েছেন।
আর আপনার দেওয়া মন্ত্রটির যথার্থ অনুবাদ নিম্নে দেওয়া হলো -
ব্রাহ্মণোহস্য মুখমাসীদ্ বাহু রাজন্যঃ কৃতঃ।
উরু তদস্য যদ্বৈস্য পদভ্যাং শুদ্রো অজায়ত।। (ঋগ্বেদ - ১০/৯০/১২, যজুর্বেদ- ৩১/১১)
অনুবাদঃ- ব্রাহ্মণ মানব সমাজের মুখ স্বরূপ, ক্ষত্রিয় বাহু স্বরূপ, বৈশ্য উরু স্বরূপ, এবং শূদ্র পাদ স্বরূপ বলিয়া প্রসিদ্ধ।
ভাবার্থঃ- যাহারা মস্তিষ্ক বা বুদ্ধি বল দ্বারা সমাজ সেবা করেন তাঁহারা ব্রাহ্মণ, যাহারা বাহু বল দ্বারা সমাজ সেবা করেন তাঁহারা ক্ষত্রিয়, যাহারা কৃষি গোরক্ষা, বানিজ্য দ্বারা সমাজের পুষ্টিসাধন করেন তাঁহারা বৈশ্য,যাহারা সমাজের পাদ, ভিত্তি বা আশ্রয় স্বরূপ তাঁহারা শূদ্র।
যদি আপনার জ্ঞান-বুদ্ধি থাকে তাহলে আশা করি বুঝতে পেরেছেন । সনাতন ধর্মে মানুষকে ভেদাভেদ শেখায় না বরং সকলেই সমানতার সহিত ঐক্য হয়ে চলতে শেখায়। ভালো করে দেখুন কি বলা হয়েছে -
তে অজ্যেষ্ঠা অকনিষ্ঠাস উদ্ভিদো হমধ্যমাসেঃ মহসা বি বাবৃধুঃ।
সুজাতাসো জনুষঃ পৃশ্নি মাতরা দিবো মর্যা আ নো অচ্ছা জিগতন।। (ঋগ্বেদ-৫/৫৯/৬)
অনুবাদঃ- মনুষ্যের মধ্যে কেহ বড় নয় কেহ ছোট নয় এবং কেহ মধ্যম নয় তাঁহারা সকলেই উন্নতি লাভ করিতেছে। উৎসাহের সঙ্গে বিশেষ ভাবে ক্রমোন্নতির প্রযত্ন করিতেছে। জন্ম হইতেই তাঁহারা কুলীন। তাঁহারা জন্মভূমির সন্তান দিব্য মনুষ্য। তাঁহারা আমার নিকট সত্য পথে আগমন করুক।
সমানী প্রপা সহ বোরন্নভাগঃ সমানে যোক্তো সহ বো যুনজমি।
সমঞ্চোহগ্নিং য়পর্যতারা নাভি মিবাভিতঃ।। (অথর্ব্ববেদ- ৩/৩০/৬)
অনুবাদঃ- তোমাদের পান একসঙ্গে, ভোজনও এক সঙ্গে হউক।তোমাদিগকে এক সঙ্গে একই প্রেমবন্ধনে যুক্ত করিয়াছি। সকলে মিলিয়া পরমাত্মাকে পূজা করো। রথচক্রের কেন্দ্রের চারিদিকে যেমন অর থাকে তোমরা সেইভাবে থাকো।
সঘ্রীচীনাম্বঃ সংমনসস্কৃণোম্যেকশষ্টীস্তুসংবননেন সর্বান্।
দেবা ইবাহ মৃতং রক্ষমাণাঃ সায়ংপ্রাতঃ সৌমনসো বো অস্ত।। (অথর্ব্ববেদ. ৩/৩০/৭)
অনুবাদঃ- তোমরা সৎভাবে একই পথে অগ্রসর হও, চিত্ত তোমাদের উন্নত হউক, পানাহার তোমাদের এক সঙ্গে হউক -আমি তোমাদের জন্য এইরূপ ব্যবস্থাই করিয়াছি। অমৃত রসে আপ্লুত বিদ্বানদের ন্যায় প্রাতে ও সায়ংকালে তোমাদের চিত্ত প্রসন্ন হউক।
সংগচ্ছধবং সংবদদ্ধং সংবো মানাংসি জানতাম্।
দেবাভাগং যথাপূর্ব্বে সংজানানা উপাসতে।।(ঋগ্বেদ-১০/১৯১/২)
অনুবাদঃ- হে মনুষ্য! তোমরা একসঙ্গে চল, একসঙ্গে মিলিয়া আলোচনা কর, তোমাদের মন উত্তম সংস্কার যুক্ত হউক। পূর্ব্বকালীন জ্ঞানী পুরুষেরা যেরূপ কর্ত্তব্য কর্ম্ম সম্পাদন করিয়াছেন তোমরাও সেইরূপ কর।।
সমানো মন্ত্রঃ সমিতিঃ সমানী সমানসংখ্যক মন সহচিত্ত মেষাম্।
সমানসংখ্যক মন্ত্রমভি মন্ত্রয়ে বঃ সমানেন বো হবিষা জুহোমি।। (ঋগ্বেদ-১০/১৯১/৩)
অনুবাদঃ- তোমাদের সকলের মত এক হউক, মিলন ভূমি এক হউক, মন এক হউক, সকলের চিত্ত সম্মিলিত হউক, তোমাদের সকলকে একই মন্ত্রে সংযুক্ত করিয়াছি, তোমাদের সকলের জন্য অন্ন ও উপভোগ একই প্রকারে দিয়াছি।।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ