আল্লাহ্ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

23 August, 2019

আল্লাহ্

আল্লা কি কাল্পনিক চরিত্র ?
ইসলামী বিশ্বাস মতে, আল্লাহ নামক একজন সর্বশক্তিমান স্রষ্টা গােটা বিশ্বজাহান ও তাতে ছােট বড় যা কিছু আছে সবকিছুর স্রষ্টা। ইসলাম-পূর্ব আরবরা আল্লাহকে ফেরেশতা বা স্বর্গীয় দূত হিসেবে ধারণা করতো।- কুরান (৫৩:২৬ ও ২৭),Gerhard Böwering, God and his Attributes, Encyclopedia of the Qur'an
তৎকালীন আঞ্চলিক দেবতা লা'ত, উজ্জা, মানাতকে তারা আল্লাহর কন্যা সাব্যস্থ করেছিলো [ Qur'an (53:19–22 ; 16:57 ; 37:149)]
ইসলাম-পূর্ব আরবে আল্লাহ নামের ব্যবহার খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু তা কেবল সৃষ্টিকারী বুঝাতে ব্যবহার করা হতো। আল্লাহ সম্পর্কে বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন ধারণা থাকলেও পৃথিবীর প্রধান তিনটি ধর্মের অনুসারীদের অর্থাৎ মুসলমান, ইহুদী ও খ্রিস্টানদের কাছে আল্লাহ একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, অদ্বিতীয়, একমাত্র অভিভাবক এবং একমাত্র আরাধনাযোগ্য, একই সঙ্গে আদি-অন্তহীন, অবিনশ্বর এবং সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।-{L. Gardet, "Allah", Encyclopedia of Islam}
 তবে ইসলামের ঈশ্বর আল্লাহ পাকের কিন্তু নির্দিষ্ট আকার আকৃতি রয়েছে। যার প্রমাণ কোরআন এবং হাদিসে পাওয়া যায়।
১.কুরান সূরা আর-রাদ আয়াত ২ (কুরআন১৩।২)-"আল্লাহ, যিনি খুঁটি ছাড়া আসমানসমূহ উঁচু করেছেন যা তোমরা দেখছ। অতঃপর তিনি আরশে উঠেছেন"। এই আয়তে পরিস্কার ভাবে বলা হয়েছে আল্লা আরশে উঠেছেন,যা সাকার হলেই সম্ভব।
২.কুরান সূরা আল হাদিদ আয়াত ৪ (কুরআন৫৭।৪)-"তিনিই ছয় দিনে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমাসীন হয়েছেন। তিনি জানেন যা কিছু ভূমিতে প্রবেশ করে এবং যা কিছু তা হতে বের হয় এবং আকাশ হতে যা কিছু নামে ও আকাশে যা কিছু উত্থিত হয়। তোমরা যেখানেই থাক না কেন তিনি তোমাদের সঙ্গে আছেন, তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ তা দেখেন।
৩.কুরান সূরা আল মুমিন আয়াত ৭(কুরান ৪০।৭)-"যারা আরশ ধারণ করে আছে এবং যারা এর চতুস্পার্শ্ব ঘিরে আছে তারা তাদের রবের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে প্রশংসার সাথে এবং তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং মু’মিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেঃ হে আমাদের রাব্ব! আপনার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী, অতএব যারা তাওবাহ করে ও আপনার পথ অবলম্বন করে, আপনি তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা করুন।"
-এখানে ফেরেস্তা আরশ ধারণ করে আছে, অর্থাৎ আল্লা আরশে বসে আছেন কারন তারা চতুস্পার্শ্ব ঘিরে রাখবে। নিশ্চয় আল্লা সাকার ও একদেশী। কারন কেয়ামতের দিন তাঁকে হাশরের ময়দানে অবতীর্ন হতে হয়।
৪.কুরান সূরা আন-নমল আয়াত ৮(কুরান ২৭।৮)-"অতঃপর সে(আল্লাহ্) যখন আগুনের কাছে আসল তখন আওয়াজ হল- ‘ধন্য, যারা আছে এই আলোর মধ্যে আর তার আশেপাশে, বিশ্বজাহানের প্রতিপালক পবিত্র, মহিমান্বিত।"
৫. কুরান সূরা আল-কাসাস আয়াত ৩০(কুরান ২৮।৩০)-"যখন মূসা আগুনের নিকট পৌঁছল তখন উপত্যকার দক্ষিণ পাশে পবিত্র ভূমিস্থিত এক বৃক্ষ হতে তাকে আহবান করে বলা হলঃ হে মূসা! আমিই আল্লাহ, জগতসমূহের রাব্ব।" -উক্ত আয়াতে পরিস্কার বলা হয়েছে আল্লা মূসার সাথে কথা বলেছিলেন যা সাকার হলে সম্ভব।
৬."কিয়ামতের দিন গোটা পৃথিবীই থাকবে আল্লাহ ডান হাতে ।"-(কুরান ৩৯।৬৭) আর তারা আল্লাহকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়নি। অথচ কিয়ামতের দিন গোটা পৃথিবীই থাকবে তাঁর মুষ্টিতে এবং আকাশসমূহ তাঁর ডান হাতে ভাঁজ করা থাকবে। তিনি পবিত্র, তারা যাদেরকে শরীক করে তিনি তাদের ঊর্ধ্বে। -সূরা ৩৯. আয-যুমার আয়াত নং ৬৭
(কেয়ামতের দিন পৃথিবী আল্লাহর মুঠোতে থাকবে এবং আকাশ ভাঁজ করা অবস্থায় তার ডান হাতে থাকবে। আলেমগণের মতে আক্ষরিক অর্থেই এমনটি হবে। যার স্বরূপ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ জানে না। এ আয়াতের ভাষ্য থেকে জানা যায় যে, আল্লাহ তা'আলার ‘মুঠি’ ও ‘ডান হাত’ আছে।-(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৫৫২২নং)/বুখারী: ৪৮১২, মুসলিম: ২৭৮১] )

■ আল্লাহর আকৃতি

ইসলামের মূল আকীদা অনুসারে, আল্লাহ তালাহ হযরত আদমকে নিজ আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ আল্লাহ পাকের অবশ্যই আকৃতি রয়েছে। নইলে নিজ আকৃতিতে কীভাবে সৃষ্টি করলেন? সহীহ মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বরঃ ৬৯০০. সহীহ মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ষষ্ঠ খণ্ড, পৃষ্ঠা নম্বর ৩৩৬, হাদিস নম্বরঃ ৬৯০০
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [6900]
অধ্যায়ঃ ৫৪/ জান্নাত, জান্নাতের নিয়ামত ও জান্নাতবাসীগনের বিবরণ
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ১১. জান্নাতে এমন অনেক দল জান্নাতে যাবে যাদের হৃদয় পাখির হৃদয়ের ন্যায়
৬৯০০। মুহাম্মদ ইলূন রাফি’ (রহঃ) … হাম্মাম ইবন মুনাব্বি (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এ হচ্ছে (সে সব হাদীস) যা আবূ হুরায়রা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আমাদের শুনিয়েছেন। (এভাবে) তিনি কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করেন। এর মধ্যে একটি হল এ ই যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা আদম (আলাইহিস সালাম) কে তার নিজ আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। তার দৈর্ঘ্য হল ষাট হাত। তাকে সৃষ্টি করার পর তিনি তাকে বললেন, যাও, এ দলটিকে সালাম কর। তারা হচ্ছে ফিরিশতাদের উপবিষ্ট একটি দল। সালামের জবাবে তারা কি বলে তা খুব মনোযোগ সহকারে শ্রবণ কর। কেননা তোমার এবং তোমার বংশধরদের অভিবাদন এ-ই। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি গেলেন ও বললেন, ‘আসসালামু আলাইকুম’। উত্তরে তারা বললেন, ‘আসসালামু আলাইকা ওয়ারাহমাতুল্লাহ’। তাঁরা ওয়া রামাতুল্লাহ বাড়িয়ে বলেছেন। এরপর তিনি বললেন, যে ব্যক্তি জান্নাতে যাবে সে আদম (আলাইহিস সালাম) এর আকৃতিতে যাবে। তার দৈর্ঘ্য হবে ষাট হাত। নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ এরপর হতে সৃষ্টি (-র দেহের) দেহের পরিমাণ দিন দিন কমতে থাকে আজ পর্যন্ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
 শুধু কী আকার আকৃতি? কোরআন এবং হাদীস দ্বারা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, ইসলাম ধর্মের ঈশ্বর আল্লাহ পাকের অন্যান্য সকল দেবদেবীদের মতই হাত পা মাথা শরীর চেহারা চোখ কান আঙ্গুল ইত্যাদি সবই আছে। ইসলামের আল্লাহ অন্যান্য দেবদেবীর চাইতে ব্যতিক্রম কিছু নন। আসুন শুরু করি।

■ আল্লাহর চেহারা

আল্লাহ আল কুরআনের অনেকগুলো আয়াতে তার চেহারার প্রমাণ দিয়েছেন। সুরা রহমানের ২৭ নম্বর আয়াতের ইংরেজি অনুবাদ এবং বাঙলা অনুবাদে পার্থক্য লক্ষ্য করুন।

আল্লাহর চোখ

আল্লাহ তা’আলা নিজের দেখার ব্যাপারে কুরআনের পঞ্চাশটি আয়াত প্রমাণ দিয়েছেন। কিন্তু আইন (চোখ) ও আইউন (চোখগুলাে) শব্দ পাঁচটি আয়াতে ব্যবহার করেছেন। [6] [7]
হে মুহাম্মাদ! তােমার প্রতিপালকের হুকুম মােতাবেক তুমি ধৈর্য ধর। কারণ, তুমি আমার চোখের সামনে আছ
(সূরা তুর ৪৮ আয়াত)।
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ [315]
অধ্যায়ঃ ১। ঈমান [বিশ্বাস]
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ৭৫. মারইয়াম পুত্র ঈসা (আঃ) ও মাসীহিদ দাজ্জাল-এর বর্ণনা।
৩১৫-(২৭৪/…) মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক আল মুসাইয়্যাবী (রহঃ) ….. আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিঃ) বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবাদের সম্মুখে দাজ্জালের কথা উল্লেখ করে বললেন, অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা টেরা চোখ বিশিষ্ট নন। জেনে রাখ দাজ্জালের ডান চোখ টেরা যেন ফোলা একটি আঙ্গুর। ইবনু উমার (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, একবার আমি স্বপ্নে আমাকে কা’বার কাছে পেলাম। গোধূম বর্ণের এক ব্যক্তিকে দেখলাম। এ বর্ণের তোমরা যত লোক দেখেছ তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর। চুল তার কাঁধ পর্যন্ত বুলছিল। তার চুলগুলো ছিল সোজা। তা থেকে তখন পানি ঝরছিল। তিনি দু’ ব্যক্তির কাঁধে হাত রেখে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করছিলেন। জিজ্ঞেস করলাম, ইনি কে? বলা হল, ইনি মাসীহ ইবনু মারইয়াম। তারই পেছনে দেখলাম, আরেক ব্যক্তি, অধিক কোঁকড়ানো চুল। তার ডান চোখ ছিল টেরা। সে দেখতে ছিল ইবনু কাতান এর ন্যায়। সেও দু’ ব্যক্তির কাঁধে হাত রেখে বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করছে। জিজ্ঞেস করলাম, এ কে? বলা হল, মাসীহুদ দাজ্জাল। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৩, ইসলামিক সেন্টারঃ ৩৩৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
 কুরআনে উক্ত আয়াতগুলাে এবং বিভিন্ন হাদীস থেকে বোঝা যায়, আল্লাহর চোখ আছে

■ আল্লাহর হাত

আল্লাহ বললেন, হে ইবলীস, আমি স্বহস্তে যাকে সৃষ্টি করেছি, তার সম্মুখে সেজদা করতে তোমাকে কিসে বাধা দিল? তুমি অহংকার করলে, না তুমি তার চেয়ে উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন?
সুরা ৩৮ঃ৭৫ 
আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর রয়েছে।
কুরআন ৪৮ঃ১০
আর ইহুদীরা বলেঃ আল্লাহর হাত বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরই হাত বন্ধ হোক। একথা বলার জন্যে তাদের প্রতি অভিসম্পাত। বরং তাঁর উভয় হস্ত উম্মুক্ত
কুরআন ৫ঃ৬৪
 গ্রন্থের নামঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত]
হাদিস নম্বরঃ [3045]
অধ্যায়ঃ ৪৪/ তাফসীরুল কুরআন
পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী
পরিচ্ছদঃ ৬. সূরা আল-মায়িদাহ
৩০৪৫। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দয়াময় আল্লাহ তা’আলার ডান হাত পূর্ণ। সর্বদা তা অনুগ্রহ ঢালছে। রাত দিনের অবিরাম দান তাতে কখনো কমতি ঘটাতে পারে না। তিনি আরো বলেন, তোমরা লক্ষ্য করেছ কি যেদিন থেকে তিনি আসমান-যামীন সৃষ্টি করেছেন সেদিন হতে কত না দান করে আসছেন, অথচ তার ডান হাতে যা আছে তাতে কিছুই কমতি হয়নি (সৃষ্টির পূর্বে) তার আরশ ছিল পানির উপর। তার অপর হাতে রয়েছে মীযান (দাঁড়ি-পাল্লা)। তিনি তা নীচু করেন ও উত্তোলন করেন (সৃষ্টির রিযিক নির্ধারণ করেন)।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১৯৭)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি হল নিম্নোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যাস্বরূপঃ “ইয়াহুদীরা বলে, আল্লাহ তা’আলার হাত রুদ্ধ। ওরাই আসলে রুদ্ধহস্ত এবং ওরা যা বলে তজ্জন্য ওরা অভিশপ্ত। বরং আল্লাহ তা’আলার উভয় হাতই প্রসারিত, যেভাবে ইচ্ছা তিনি দান করেন”— (সূরা আল-মায়িদাহ ৬৪)।
ইমামগণ বলেন, এ হাদীস যেরূপে (আমাদের নিকট) এসেছে, কোনরূপ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও সন্দেহ-সংশয় ব্যতীতই তার উপর সেভাবেই ঈমান আনতে হবে। একাধিক ইমাম এ কথা বলেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সুফইয়ান সাওরী, মালিক ইবনু আনাস, ইবনু উয়াইনাহ, ইবনুল মুবারাক (রাহঃ) প্রমুখ। তাদের মতে এরূপ বিষয় বর্ণনা করা যাবে, এগুলোর উপর ঈমান রাখতে হবে, কিন্তু তা কেমন এ কথা বলা যাবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih

■ আল্লাহর হাতের আঙুল

গ্রন্থের নামঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত]
হাদিস নম্বরঃ [2140]
অধ্যায়ঃ ৩০/ তাকদীর
পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী
পরিচ্ছদঃ ৭. আল্লাহ তা’আলার দুই আঙ্গুলের মধ্যে সমস্ত অন্তর অবস্থিত
২১৪০। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দু’আ অধিক পাঠ করতেনঃ হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত (দৃঢ়) রাখো। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। আমরা ঈমান এনেছি আপনার উপর এবং আপনি যা নিয়ে এসেছেন তার উপর। আপনি আমাদের ব্যাপারে কি কোনরকম আশংকা করেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, কেননা, আল্লাহ তা’আলার আঙ্গুলসমূহের মধ্যকার দুটি আঙ্গুলের মাঝে সমস্ত অন্তরই অবস্থিত। তিনি যেভাবে ইচ্ছা তা পরিবর্তন করেন।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৮৩৪)।
আবূ ঈসা বলেন, নাওয়াস ইবনু সাম্আন, উন্মু সালামা, আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ও আইশা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান। আমাশ-আবৃ সুফিয়ান হতে, তিনি আনাস (রাঃ)-এর সূত্রে একাধিক বর্ণনাকারী একইরকম হাদীস বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ আমাশ-আবৃ সুফিয়ান হতে, তিনি জাবির (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আনাস (রাঃ)-এর সূত্রে আবূ সুফিয়ানের বর্ণিত হাদীসটি অনেক বেশি সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
আল্লাহ শব্দটি নিয়ে গবেষনা করে ইসলামী স্কলারেরা এর একাধিক অর্থ বের করেছেন। খুব অল্প কিছু সংখ্যক স্কলার মনে করেন – আল্লাহ শব্দের কোন অর্থ নাই, এটা শুধুই একটা নাম। তবে বেশীরভাগ স্কলারই আল্লাহ শব্দের বিভিন্ন অর্থ বের করেছেন, যার প্রত্যেকটির পেছনেই কোন না কোন প্রমাণ ও যুক্তি আছে। নিচে আল্লাহ শব্দের কিছু অর্থ তুলে ধরা হলো। অর্থগুলি সাংঘর্ষিক নয় সম্পূরক, কাজেই এর সবগুলিই সঠিক হতে পারে।
প্রথম মতামত হলো – আল্লাহ শব্দটি এসেছে ওয়ালিহা থেকে। ওয়ালিহা শব্দের একটি অর্থ হলো – হতবাক, বিস্মিত হয়ে যাওয়া। কারণ, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার শক্তি, ক্ষমতা, দয়া ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে চিন্তা করতে গেলে আমরা বিস্মিত, বিমোহিত হয়ে যাই। ওয়ালিহা শব্দের আরেকটি অর্থ হলো – প্রাণপ্রিয় কাউকে হারানোর শোকে পাগলপ্রায় হয়ে যাওয়া। যেমন – যে মা তার সন্তান হারানো বেদনায় কাতর হয়ে থাকে তাকে আরবীতে মুয়াল্লাহ বলা হয়। একইভাবে, যে ব্যক্তি সারাজীবনে আল্লাহকে চিনতে পারলো না সে তার মৃত্যুর সময় এবং পরকালেও আল্লাহকে না পাওয়ার বেদনায় পাগলের মত হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় মতামত হলো – আল্লাহ শব্দটি এসেছে আলাহা থেকে। আলাহা অর্থ হলো আশ্রয় প্রার্থনা করা। এই পৃথিবীতে আমরা সবাই আল্লাহর আশ্রয়ের উপর নির্ভরশীল। এই পুরো মহাবিশ্ব আল্লাহর, আমাদের দেহ-প্রাণ আল্লাহর দান, আল্লাহ আমাদের শ্বাসযন্ত্রকে চলতে হুকুম না করলে সে অক্সিজেন টানত না, হাতকে ধরার শক্তি না দিলে সে ধরতে পারতো না, পা কে চলার শক্তি না দিলে সে চলতে পারতো না। আমরা যখন আল্লাহর বাধ্যতা করি এবং এমনকি যখন আল্লাহর অবাধ্যতাও করি – আল্লাহ না চাইলে তার কিছুই হতো না। এভাবে, আমাদের সব কাজ সম্পাদনের জন্য আমরা প্রত্যক্ষ্য বা পরোক্ষভাবে আল্লাহর আশ্রয় খুঁজে বেড়াই। আলাহা শব্দের দ্বিতীয় অর্থ হলো – প্রশান্তি অনুভব করার উদ্দেশ্যে কোথাও স্থির হয়ে থাকা। কারণ, আল্লাহর স্মরণে একজন মু’মিন যে প্রশান্তি পায়, তা আর কোন কিছুতেই মানুষের পক্ষে পাওয়া সম্ভব না।
তৃতীয় মতামত হলো – আল্লাহ শব্দটি এসেছে “লা-হা ইয়ালিহু” থেকে যার অর্থ হলো মর্যাদার উন্নয়ন করা। যে ব্যক্তি আল্লাহ বিশ্বাস করে সে ইহকালে ও পরকালে – দুই জগতেই সম্মানিত হবে।

চতুর্থ মতামত হলো – আল্লাহ শব্দটি এসেছে “আলিহা ইয়াঅ লাহু বিমা’না ‘আবাদা ইয়া’বুদু” থেকে, যেটার অর্থ হলো –“ সেই সর্বোচ্চ অস্তিত্ব একমাত্র যিনি সকল উপাসনা পাওয়ার জন্য উপযুক্ত”। বিশিষ্ট সাহাবী ইবনে আব্বাস(রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে শুরু করে আরবী ভাষার পন্ডিত সিবাওয়ে, ইবনে ফারিস সহ বেশীরভাগ স্কলারের মতে এটাই সবচেয়ে সঠিক মতামত। এটি এমন একটি অর্থ – যা আল্লাহ সকল গুনবাচক নামকে ধারণ করে।  

আল্লাহর বৈশিষ্ট্য

আল্লাহ আরশে সমাসীন

  • অতঃপর তিনি আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
    কোরআন ১৩ঃ২
  • তিনি নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছেন ছয়দিনে, অতঃপর আরশের উপর সমাসীন হয়েছেন
    কোরআন ৫৭ঃ৪
  • সেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে।
    সেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে ও বিক্ষিপ্ত হবে।
    এবং ফেরেশতাগণ আকাশের প্রান্তদেশে থাকবে ও আট জন ফেরেশতা আপনার পালনকর্তার আরশকে তাদের উর্ধ্বে বহন করবে।
    কোরআন ৬৯ঃ১৫-১৭
  • আপনি ফেরেশতাগণকে দেখবেন, তারা আরশের চার পাশ ঘিরে তাদের পালনকর্তার পবিত্রতা ঘোষনা করছে। তাদের সবার মাঝে ন্যায় বিচার করা হবে। বলা হবে, সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর।
    কোরআন ৩৯ঃ৭৫
  • যারা আরশ বহন করে এবং যারা তার চারপাশে আছে, তারা তাদের পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করে, তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং মুমিনদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আপনার রহমত ও জ্ঞান সবকিছুতে পরিব্যাপ্ত। অতএব, যারা তওবা করে এবং আপনার পথে চলে, তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।
    কোরআন ৪০ঃ৭

আল্লাহর রূপ রঙ হাত পা কথাবার্তা

  • আমরা আল্লাহর রং গ্রহণ করেছি। আল্লাহর রং এর চাইতে উত্তম রং আর কার হতে পারে? আমরা তাঁরই এবাদত করি।
    কোরআন ২ঃ১৩৮
  • যখন সে তার কাছে পৌছল, তখন পবিত্র ভূমিতে অবস্থিত উপত্যকার ডান প্রান্তের বৃক্ষ থেকে তাকে আওয়াজ দেয়া হল, হে মূসা! আমি আল্লাহ, বিশ্ব পালনকর্তা।
    কোরআন ২৮ঃ৩০
  • অতঃপর যখন তিনি আগুনের কাছে আসলেন তখন আওয়াজ হল ধন্য তিনি, যিনি আগুনের স্থানে আছেন এবং যারা আগুনের আশেপাশে আছেন। বিশ্ব জাহানের পালনকর্তা আল্লাহ পবিত্র ও মহিমান্বিত।
    কোরআন ২৭ঃ৮
  • আল্লাহ তার কথা শুনেছেন। আল্লাহ আপনাদের উভয়ের কথাবার্তা শুনেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন, সবকিছু দেখেন।
    কোরআন ৫৮ঃ১
  • আর আল্লাহ সব কিছু শোনেন ও দেখেন
    কোরআন ৪ঃ১৩৪
  • আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর রয়েছে।
    কোরআন ৪৮ঃ১০
  • আর ইহুদীরা বলেঃ আল্লাহর হাত বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরই হাত বন্ধ হোক। একথা বলার জন্যে তাদের প্রতি অভিসম্পাত। বরং তাঁর উভয় হস্ত উম্মুক্ত।
    কোরআন ৫ঃ৬৪

আল্লাহর আবেগ অনুভূতি

  • আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।
    কোরআন ৯৮ঃ৮
  • তোমাদের নিজেদের প্রতি তোমাদের আজকের এ ক্ষোভ অপেক্ষা আল্লার ক্ষোভ অধিক ছিল, যখন তোমাদেরকে ঈমান আনতে বলা হয়েছিল, অতঃপর তোমরা কুফরী করছিল।
    কোরআন ৪০ঃ১০
  • নিশ্চয় তিনি কাফেরদের ভালবাসেন না
    কোরআন ৩০ঃ৪৫

আল্লাহ প্রতিশোধ পরায়ন

  • আর আল্লাহ হচ্ছেন পরাক্রমশীল, প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
    কোরআন ৩ঃ৪

লুতের সময় চালানো গণহত্যা

  • তারা বললঃ আমরা একটি অপরাধী সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।
    কিন্তু লূতের পরিবার-পরিজন। আমরা অবশ্যই তাদের সবাইকে বাঁচিয়ে নেব।
    কোরআন 15:58/59
  • অতএব আপনি শেষরাত্রে পরিবারের সকলকে নিয়ে চলে যান এবং আপনি তাদের পশ্চাদনুসরণ করবেন না এবং আপনাদের মধ্যে কেউ যেন পিছন ফিরে না দেখে। আপনারা যেখানে আদেশ প্রাপ্ত হচ্ছেন সেখানে যান।
    কোরআন 15:65
  • আমি লূতকে এ বিষয় পরিজ্ঞাত করে দেই যে, সকাল হলেই তাদেরকে সমুলে বিনাশ করে দেয়া হবে।
    কোরআন 15:66
  • অতঃপর আমি জনপদটিকে উল্টে দিলাম এবং তাদের উপর কঙ্করের প্রস্থর বর্ষণ করলাম।
    কোরআন 15:74
  • অতঃপর আমি তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিয়েছি। উভয় বস্তি প্রকাশ্য রাস্তার উপর অবস্থিত।
    কোরআন 15:79
  • আর বলুনঃ আমি প্রকাশ্য ভয় প্রদর্শক।
    কোরআন 15:89
  • যখন আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ সুসংবাদ নিয়ে ইব্রাহীমের কাছে আগমন করল, তখন তারা বলল, আমরা এই জনপদের অধিবাসীদেরকে ধ্বংস করব। নিশ্চয় এর অধিবাসীরা জালেম।
    সে বলল, এই জনপদে তো লূতও রয়েছে। তারা বলল, সেখানে কে আছে, তা আমরা ভাল জানি। আমরা অবশ্যই তাকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে রক্ষা করব তাঁর স্ত্রী ব্যতীত; সে ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত থাকবে।
    কোরআন 29:31/32

তোষামোদলোভী আল্লাহর আত্মপ্রশংসা

  • হে মূসা, আমি আল্লাহ, প্রবল পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
    কোরআন ২৭:৯
  • হে মূসা! আমি আল্লাহ, বিশ্ব পালনকর্তা।
    কোরআন ২৮ঃ৩০
  • আমি বিশ্বস্ত রক্ষক ও অধিক জ্ঞানবান।
    কোরআন ১২ঃ৫৫
  • আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক।
    কোরআন ৩ঃ২
  • হে মানুষ, তোমরা আল্লাহর গলগ্রহ। আর আল্লাহ; তিনি অভাবমুক্ত, প্রশংসিত।
    কোরআন ৩৫ঃ১৫
  • করুনাময় আল্লাহ।
    কোরআন ৫৫ঃ১
  • আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,
    তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি
    এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
    কোরআন ১১২ঃ২-৪
  • সকল প্রশংসা এবং ধন্যবাদ আল্লাহর, তিনি বেহেশত ও পৃথিবীর সবকিছুর স্রষ্টা। তাকে বন্দনা করি, তিনি ফেরেশতাদেরকে তৈরি করেছেন। তিনি যা ইচ্ছা করেন, তাই সৃষ্টি করেন। আসলে আল্লাহ সবকিছুই করতে পারেন।
    কোরআন ৩৫ঃ১
  • এবং সকল প্রশংসা ও ধন্যবাদের মালিক আল্লাহ কারণ তিনি আলামিন (মানুষ, জিন এবং যা কিছু আছে সবকিছুর)।
    কোরআন ৩৭ঃ১৮২
  • অতএব সকল প্রশংসা ও ধন্যবাদ আল্লাহর উপরে বর্ষিত হোক, কারণ তিনিই জগতের প্রভু।
    কোরআন ৪৫ঃ৩৬
  • নভোমন্ডল, ভূমন্ডল এবং এতদুভয়ে অবস্থিত সবকিছুর আধিপত্য আল্লাহরই। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
    কোরআন ৫ঃ১২০

আল্লাহর হুমকিধামকিমূলক আয়াত

  • কখনই নয়, যদি সে বিরত না হয়, তবে আমি মস্তকের সামনের কেশগুচ্ছ ধরে হেঁচড়াবই-
    কোরআন ৯৬/১৫-১৬
  • আর যারা কাফের হয়েছে, তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের আগুন। তাদেরকে মৃত্যুর আদেশও দেয়া হবে না যে, তারা মরে যাবে এবং তাদের থেকে তার শাস্তিও লাঘব করা হবে না। আমি প্রত্যেক অকৃতজ্ঞকে এভাবেই শাস্তি দিয়ে থাকি।
    কোরআন ৩৫ঃ৩৬
  • সে দিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠদেশকে দগ্ধ করা হবে (সেদিন বলা হবে), এগুলো যা তোমরা নিজেদের জন্যে জমা রেখেছিলে, সুতরাং এক্ষণে আস্বাদ গ্রহণ কর জমা করে রাখার।
    কোরআন ৯ঃ৩৫
  • আমি তার নাসিকা দাগিয়ে দিব।
    কোরআন ৬৮ঃ১৬
  • …তাদের জন্যে উত্তপ্ত পানি এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে-কুফরের কারণে।
    কোরআন ৬ঃ৭০

পথভ্রষ্ট করা এবং সৎপথ দেখানো আল্লাহর ইচ্ছাধীন

  • আল্লাহ যাকে সৎপথে চালান, সেই সৎপথ প্রাপ্ত এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, আপনি কখনও তার জন্যে পথপ্রদর্শনকারী ও সাহায্যকারী পাবেন না।
    কোরআন ১৮:১৭
  • যাকে আল্লাহ পথ দেখাবেন, সেই পথপ্রাপ্ত হবে। আর যাকে তিনি পথ ভ্রষ্ট করবেন, সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত।
    কোরআন ৭:১৭৮

রিজিক (খাবার দাবার) দানকারী একমাত্র আল্লাহর

  • যদি আল্লাহ তাঁর সকল বান্দাকে প্রচুর রিযিক দিতেন, তবে তারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করত। কিন্তু তিনি যে পরিমাণ ইচ্ছা সে পরিমাণ নাযিল করেন। নিশ্চয় তিনি তাঁর বান্দাদের খবর রাখেন ও সবকিছু দেখেন।
    কোরআন ৪২:২৭
  • আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা রুযী প্রশস্ত করেন এবং সংকুচিত করেন।
    কোরআন ১৩:২৬
  • আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সীমাহীন রুযী দান করেন।
    কোরআন ২:২১২
  • আর পৃথিবীতে কোন বিচরণশীল নেই, তবে সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন
    কোরআন ১১:৬

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ