ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে নাস্তিক মত - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

28 August, 2019

ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে নাস্তিক মত


নাস্তিক মত

ভূমিকা

আস্তিকদের অধিকাংশই বলা যায় বিশ্বাস করেন, নাস্তিকরা সবকিছু দূর্ঘটনাবশতঃ সৃষ্টি হয়েছে বলে বিশ্বাস করে। তারা ধরেই নেন যে, যেহেতু নাস্তিকরা ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না, সেহেতু তারা সবকিছু দূর্ঘটনাবশতঃ সৃষ্টি হয়েছে বলে বিশ্বাস করে। নাস্তিকদের ব্যাপারে আস্তিকদের এই ধারণা কতটুকু সত্য? সত্যিই কি নাস্তিকরা এমনটা বিশ্বাস করে? না, নাস্তিকরা এমনটা বিশ্বাস করে না। নাস্তিক হওয়ার জন্য কারো এমনটা বিশ্বাস করার কোনো প্রয়োজন নেই। এটা নাস্তিকতা বা নাস্তিকদের নিয়ে একটি ভুল ধারণা ছাড়া কিছুই না। নাস্তিকদের নিয়ে আস্তিকদের এই বহুল প্রচলিত ভুল ধারণাটি কেনো ভুল, সেটা তুলে ধরাই এই প্রবন্ধটির উদ্দেশ্য।

মূল আলোচনা

আমরা যারা নাস্তিক তারা ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করি না। ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস না করা মানে সবকিছু দূর্ঘটনাবশতঃ সৃষ্টি হয়েছে বলে বিশ্বাস করা নয়। ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস না করার জন্য সবকিছু দূর্ঘটনাবশতঃ সৃষ্টি হয়েছে বলে বিশ্বাস করা জরুরী নয়।

স্ট্রম্যান

আস্তিকরা প্রচার করে বেড়ান, নাস্তিকরা সবকিছু দূর্ঘটনাবশতঃ সৃষ্টি হয়েছে বলে বিশ্বাস করে, যা স্ট্রম্যান ফ্যালাসির একটি সুন্দর উদাহরণ।
স্ট্রম্যান ফ্যালাসি কি? এটা এক প্রকার কুযুক্তি, আর এই কুযুক্তিটা তখনই হয় যখন কেউ কারো বক্তব্য ভুল প্রমাণের উদ্দেশ্যে তার বক্তব্য বাড়িয়ে বলেন বা ভুলভাবে উপস্থাপন করেন বা তিনি যা বলেননি তা-ই তিনি বলেছেন বলে দাবি করেন।
নাস্তিকরা সবকিছু দূর্ঘটনাবশতঃ সৃষ্টি হয়েছে বলে বিশ্বাস করে বলাটা নাস্তিকরা যা বলে না তা-ই জোর করে নাস্তিকদের মুখে বসিয়ে নাস্তিকদের বোকা প্রমাণের চেষ্টা ছাড়া কিছুই না।

ব্ল্যাক অর হোয়াইট

আস্তিকরা ধরেই নেন যে, ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস না করার মানেই সবকিছু দূর্ঘটনাবশতঃ সৃষ্টি হয়েছে বলে বিশ্বাস করা। ‘ঈশ্বর’ এবং ‘দূর্ঘটনা’ কেবল এই দুটি সম্ভাবনা ছাড়াও আরও কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা সেটা তারা এড়িয়ে যান, যা ব্ল্যাক অর হোয়াইট ফ্যালাসির একটি সুন্দর উদাহরণ।
ব্ল্যাক অর হোয়াইট ফ্যালাসি কি? এটা এক প্রকার কুযুক্তি, আর এই কুযুক্তিটা তখনই হয় যখন কেউ কেবল দুটি সম্ভাবনা থেকেই একটি সম্ভাবনা বেছে নেওয়ার আহবান করে, আরও সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও।
ধরুন, আমি বললাম, হয় ২ + ২ = ৩, নাহয় ২ + ২ = ৫। তারপর আমি বললাম, যেহেতু ২ + ২ = ৩ নয়, সেহেতু ২ + ২ = ৫। সমস্যাটি বুঝতে পেরেছেন? ২ + ২ = ৩ ভুল হলেই ২ + ২ = ৫ সঠিক হয়ে যায় না। আবার, ২ + ২ = ৫ ভুল হলেই ২ + ২ = ৩ সঠিক হয়ে যায় না। কেননা, দুই ও দুইয়ের যোগফল ‘তিন’ এবং ‘পাঁচ’ ছাড়াও অন্য কিছু হতে পারে।
একইভাবে, সবকিছু ঈশ্বরের অবদান না হওয়ার মানে এটা নয় যে সবকিছু দূর্ঘটনাবশতঃ সৃষ্টি। আবার, সবকিছু দূর্ঘটনাবশতঃ সৃষ্টি না হওয়ার মানে এটা নয় যে সবকিছু ঈশ্বরের অবদান। কেননা, সবকিছু ‘ঈশ্বরের অবদান’ এবং ‘দূর্ঘটনাবশতঃ সৃষ্টি’ ছাড়াও অন্য কিছু হতে পারে।
আস্তিকদের ধারণা, মহাবিশ্ব বা প্রাণের দূর্ঘটনার ফলাফল হওয়াটা লটারি জেতার মতোই একটি অপ্রত্যাশিত ফলাফল। অতএব, মহাবিশ্ব বা প্রাণের উদ্ভবের পেছনে অবশ্যই কোনো অতিপ্রাকৃতিক সত্ত্বার অবদান রয়েছে।
‘ঈশ্বর’ এবং ‘দূর্ঘটনা’ ছাড়াও একটি সম্ভাবনা রয়েছে আর সেটা হচ্ছে ‘প্রত্যাশিত ফলাফল’।
বৃষ্টি হলে পথঘাট ভিজে যায়, বৃষ্টির ফলে এই পথঘাট ভিজে যাওয়াটা একটি প্রত্যাশিত ফলাফল। কেননা, বৃষ্টি হলে পথঘাট ভিজবেই। যতবারই বৃষ্টি হবে ততবারই পথঘাট ভিজবে।
আমরা এখনো মহাবিশ্বের অনেক ঘটনার পেছনের রহস্য জানি না, হয়তো কখনোই জানতে পারবো না। তাই বলে এটা ধরে নেওয়ার প্রয়োজন নেই যে, এসব কোনো অলৌকিক সত্ত্বার অবদান। এটা ধরে নেওয়ারও কোনো প্রয়োজন নেই যে, এসব দূর্ঘটনার ফলাফল। এসব ঘটনা বৃষ্টি হওয়ার কারণে পথঘাট ভিজে যাওয়ার মতোই প্রত্যাশিত ফলাফল হতে পারে।
প্রাণের সূচনা বা মহাবিশ্বের উদ্ভবও বৃষ্টি হওয়ার কারণে পথঘাট ভিজে যাওয়ার মতো পূর্ববর্তী ঘটনা বা ঘটনাসমূহের পরিপ্রেক্ষিতে একটি প্রত্যাশিত ফলাফল হতে পারে।
অতএব, পরিষ্কারভাবেই একজন নাস্তিক হওয়ার জন্য সবকিছু দূর্ঘটনাবশতঃ সৃষ্টি হয়েছে বলে বিশ্বাস করার প্রয়োজন নেই।

উপসংহার

নাস্তিকরা বলে না যে, সবকিছু দূর্ঘটনার ফলাফল। একজন নাস্তিক হওয়ার জন্য এমনটা বিশ্বাসেরও কোনো প্রয়োজনও নেই। আস্তিকরা ‘ঈশ্বর’ এবং ‘দূর্ঘটনা’ ছাড়াও যে একটি সম্ভাবনা রয়েছে সেটা হয় বুঝতে পারেন না, নাহয় বুঝেও নাস্তিকদের বোকা প্রমাণের অসৎ চেষ্টা করেন।
 লেখকঃ মারুফার রহামান
শঙ্কাসমাধানঃ
অনাদি ঈশ্বর না থাকিলে,"অর্হন্ দেবের" মাতা-পিতা প্রভৃতির শরীর নির্ম্মাণ কে করিল ? সংযোগকর্ত্তা ব্যতীত যথাযোগ্য় সর্ব্ববয়বসম্পন্ন ও যথোচিত কার্য্যক্ষম শরীর নির্ম্মিত হইতে পারে না। শরীরের উপাদান জড় হওযায় উহা স্বয়ং এমন সুগঠিত হইয়া রচিত হইতে পারে না। কারণ জড়পদার্থের মধ্যে যথাযোগ্য নির্ম্মিত হইবার জ্ঞানই নাই। জীবের স্বরূপ একদেশী এবং পরিমিত গুণকর্ম্ম-স্বভাববিশিষ্ট। জীব সর্ব্বতোভাবে সর্ব্ববিদ্যার যথার্থ বক্তা হইতে পারে না অতএব জীব পরমেশ্বর হইতে পারেন না। যিনি অল্প এবং অল্পজ্ঞ তিনি কখনও সর্ব্বজ্ঞ এবং সর্ব্বব্যাপক হইতে পারেন না।।
যেমন রূপগ্রহণের সাধন চক্ষু, শব্দগ্রহণের সাধন কর্ণ, সেরূপ অনাদি পরমাত্মাকে দর্শন করিবার সাধন শুদ্ধ অন্তঃকরণ। পবিত্রাত্মারা বিদ্যা এবং যোগাভ্যাস দ্বারা পরমেশ্বরকে প্রতক্ষ দর্শন করেন জ্ঞান চক্ষু দ্বারা।যেমন 
অনুমানের দ্বারা সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর যে প্রনালী ন্যায় শাস্ত্রে আছে, ইংরাজী তর্কশাস্ত্র (লজিক) এর সিলেজিজম এর মিল দেখা যায়। অনুমান ঠিক ঠিক হেতুর ভিত্তিতে না হলে দুষ্ট হেতু বা হেত্বাভাস হয় (মহর্ষি গৌতম পাঁচ রকমের হেত্বাভাসের কথা বলেছেন) যা ইংরাজী fallacy. পাঁচ রকমের হেত্বাভাস:- সব্যভিচার হেত্বভাস, বিরুদ্ধ হেত্বাভাস, সৎ প্রতিপক্ষ হেত্বাভাস, অসিদ্ধ হেত্বাভাস এবং বাধিত হেত্বাভাস

>>কাজ বাকী আছে



No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ