ভারতীয় গিরি
যে ঘরে তুলসী গাভি আছে, সেই ঘরে বৈদ্য যায় পাছে
|
আয়ুর্বেদে গোমূত্রকে অমৃত বা জীবনদায়ী জল বলে মনে করা হয়। নাইজেরিয়ায় এবং মায়ানমারের লোক-চিকিৎসকরাও তাদের ওষুধে গোমূত্রকে অন্তর্গত করেছেন। উত্তর প্রদেশে C.D.R.I (Central Drug Research Institute) এর রিসার্চ থেকে জানা যায় সমস্ত গরুর মূত্র থেকে ঔষধ তৈরী হয় না।গরু গর্ভবতীহলে ওষধ তৈরীর উপষুক্ত হয় না। গোমূত্রে(দেশী গরু) আমেরিকার তে এখন রিসার্চ শুরু হয়েছে, অন্য দেশে ও হতে পারে এখন মনে করে বলতে পারছি না। ভারতীয় গিরি জাতের গরু(দেশী গরু) মূত্র আয়ুর্বেদে চিকিৎসার কথা লেখা আছে, বানভট্টের অষ্টাঙ্গ হৃদয়(৩৫০০ বছর পূর্বে লেখা) পুস্তকে উল্লেখ আছে অরথাৎঃ ভারতে অনেক আগে রিসার্চ হয়েছে ।সূর্যোদয়ের আগে সংগ্রহ করা কুমারী গরুর মূত্র পান করাই শ্রেষ্ঠ।গোমূত্রের ব্যবহারে প্রায় 80 রকমের অনারোগ্য রোগের এবং অন্যান্য সমস্যার নিরাময় করা যায়।
ঔষধি গুণ ছাড়াও গোমূত্রের আরও অনেক ব্যবহার আছে। জৈব চাষে ব্যাপকভাবে গোমূত্র সার হিসাবে ব্যবহার করা হয়। নিম পাতার আর গোমূত্র এক সাথে মিশিয়ে চমৎকার বায়ো-পেস্টিসাইড হয়। গোমূত্র প্রচলিত পরিষ্কার করার দ্রবণের অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। তাই বিশেষ করে মেঝে পরিষ্কার করার জন্যও গোমূত্র ব্যবহার করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে গোমূত্র দিয়ে মেঝে পরিষ্কার করলে স্থানটি জীবাণু-মুক্ত হয়ে একটি পবিত্র স্থান হয়ে যায়। কসমেটিকস, বিশেষত শ্যাম্পু এবং সাবান প্রস্তুতে গোমূত্র ব্যবহার করা হয়। গাভিতে দেবতাদের বাস। এ কামধেনুর রূপ। সব নক্ষত্রের কিরণ গ্রহণ করে। সুতরাং সকলের প্রভাব এর মধ্যে আছে। যেখানে গাভি, সেখানেই সব নক্ষত্রের প্রভাব থাকে। সব দেবতাদের কৃপা বর্ষিত হয়। গাভিই এমন দিব্য প্রাণী যার মেরুদন্ডের মধ্যে সূর্য কেতু নাড়ি থাকে। এই জন্য দুধ,মাখন, ঘি স্বর্ণ আভা যুক্ত। কেননা সূর্য কেতু নাড়ি, সূর্যের কিরন দ্বারা রক্তে স্বর্ণ ক্ষার তৈরী করে- এই স্বর্ণ ক্ষার গাভি রসে বিদ্যমান। মানব দেহের রক্তে যে তত্ত্ব থাকে সেই তত্ত্ব গোমূত্রেও থাকে।
৩৫০০ সাল পূর্বে বাগভট্ট দ্বারা রচিত অষ্টাংগ হৃদয়ের মতে দেশী গোমূত্রে কারকিউমিনের মাত্রা ডাইজেস্টিভ আকারে বিদ্যমান থাকে বেশী মাত্রায় যা cancer নিরাময়ে বিশেষ ভুমিকা পালন করে। এখানে উল্লখ্য Blood Cancer কে সম্পূর্ণ ভাবে ঠিক না করতে পারলেও কারকিউমিন অস্বাভাবিক বৃদ্ধি আটকায় বলে ক্যান্সাররোধে কার্যকরী হয়। স্তনের ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার, লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা এবং পাকস্থলী ও অন্ত্রের বিশেষ কিছু ক্যান্সার কে সম্পূর্ণ ভালো করতে সক্ষম। তা ছাড়াও ৪৮ এরো বেশী রোগ নির্মূলকরতে পারে এই গোমূত্র। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক প্রতিদিন সামান্য মাত্রা ২৫ মিলি (এক আউন্স বা আড়াই তোলা) এক সময়। এই রকম দুই বারে ৫০ মিলি প্রতিদিন সকাল সন্ধা মিলিয়ে নিতে পারে। বেশীও নেওয়া যেতে পারে তবে গর্ভবতী ও বালকের মাত্রা অর্দ্ধেক দিতে হবে।
যাদের রোগের প্রকোপ বেশী তারা সকালে খালি পেটে ও বিকলে খালি পেটে (১০০ মিলিলিটার বা হাফ কাপ সারাদিনে)। যাদের রোগের প্রকোপ কম তারা সারাদিনে (সকালে খালি পেটে ও বিকলে খালি) ৫০ মিলিলিটার বা এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ মাত্রা খাওয়া জরুরী।গোমূত্র সংগ্রহের সময় খেয়াল রাখা উচিৎ গরু যেন গর্ভবতী না হয়, সুস্থ হয় এবং চলাফেরা করে এমন হয় (বেশীক্ষন সারাদিনে যেন বাঁধা না থাকে)।গরু টা কালো হলে সবচেয়ে বেশী ফলদায়ক না হলেও চলবে।কিছু কিছু ক্ষেত্রে গোমূত্রের সাথে হলুদের গুড়ো (প্রাকৃতিক) মেশানো হয়ে থাকে । হলুদ মেশানোর পর গোমূত্র টা গরম করে ঠান্ডা করে পান করার বিধি। সাথে পুনর্ণভা বা পুনর্নবা পাউডার মেশালে ভালো ফল পাউয়া যায়।গাঁট বা টিউমার থাকলে মূত্রের সাথে রোজ ১টা চালের মাপে চুন মিশিয়ে নিলে ভালো ফল পাবেন।
কি কি রোগে ব্যবহার করা যায়ঃ- বাত,পিত্ত,কফ জনিত সমস্ত রোগে ব্যবহার করা চলে। মূত্র সংক্রান্ত সমস্ত রোগে গোমূত্র ভাল কার্যকরী। চোখের যাবতীয় রোগে গোমূত্র ব্বহার করা হয়, এমন কি Retinal detachment এর মত রোগ নির্মূল হয় গোমূত্রের বব্যহারে। চোখের রোগে মূত্র কাপড়ে ছেঁকে নেওয়ার পর সারাদিনে এক ফোটা করে তিনবার লাগানো হয়। সাধারন চোখের সমস্যায় ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগে Retinal detachment এর ক্ষেত্রে ১ বছর এর মধ্যে সেরে যায়। কানের ক্ষেত্রেও একি ভাবে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে,তবে কানে সারাদিনে ২বার যথেষ্ট। পুরানো গাঁটের ব্যাথায় এইমূত্র খুবই কার্যকারী।eczema সহ যে কোন চামড়ার রোগ নির্মূলে এর ভুমিকা প্রশংসনীয় ,এছাড়া blood pressure, asthma, thyroid, heart related diseases, piles, migraine, ulcers, prostrate, acidity, psoriasis and gynecological problems, boosts the immunity system।
গোমূত্রের পুষ্টিগুণ সংক্রান্ত তথ্য
গবেষণা অনুসারে গোমূত্র বিষাক্ত নয় বলে বিবেচনা করা হয়। এতে থাকে 95% জল, 2.5% ইউরিয়া এবং বাকি 2.5% হল বিভিন্ন লবণ, খনিজ(ক্যালসিয়াম,সালফার,আইরন), এনজাইম, এবং ১৮ রকম উপকারী সূক্ষ তত্ত্ব। ক্রিয়াটিনিন, অরিয়াম অক্সাইড, কার্বলিক অ্যাসিড, ফেনল, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ'এর মত কিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ এবং এনজাইম গোমূত্রে থাকে।
পুষ্টি মান (%)
জল 95%
ইউরিয়া 2.5%
অন্যান্য এনজাইম এবং যৌগ 2.5%
দক্ষিন ভারতে অনেক স্থানে গোমূত্র দিয়ে চিকিৎসা করে বহু রুগী কর্কট রোগের মত রোগ থেকে মুক্তি লাভ করেছে। আরবের মোল্লারা নানা বিষয় কপি করতে গিয়ে আজ ওদের এই অবস্থা
সাম্প্রতিক, গুজরাটের একদল বিজ্ঞানী গোমূত্রের গবেষণা করে একথা জানিয়েছেন যে এই বস্তুটির মধ্যে ক্যান্সার এর মত রোগ নিরাময়ের রসদ রয়েছে।
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, শুধু গোমূত্র, অথবা গোমূত্র ও গোদুগ্ধের মিশ্রণ অথবা গোমূত্র ও ত্রিফলার সংমিশ্রণ দিয়ে কিছু রোগের চিকিৎসা করা যায়, যেমন জ্বর, কলিক ব্যথা, রক্তাল্পতা, কুষ্ঠ, কর্কট রোগ এবং মৃগী।
বার্ধক্যের চিহ্ন রোধে গোমূত্র -
আমাদের শরীরের কিছু সুস্থ ও ক্ষুদ্র পুষ্টি উপাদান নিয়মিতভাবে প্রস্রাবের মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থ হিসাবে দেহের বাইরে বার করে দেওয়া হয়। এর ফলে দেহে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে। গোমূত্র পানে ক্ষুদ্র পুষ্টির ক্ষতি পূরণ হয়। এর ফলে বার্ধক্য আসতে দেরি হয়। কাজেই গোমূত্রকে শ্রেষ্ঠ ও অমোঘ ঔষধ এবং জীবন-দাত্রী বলা হয়।
অধিকন্তু, গোমূত্র অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস। তাই এর প্রভাবে ফ্রি র্যাডিকেলগুলি দেহের বাইরে বেড়িয়ে যায়। কাজেই দেহের টিস্যুগুলির কোনরূপ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হয় না। অতএব, গোমূত্রের সম্পূরকগুলি নিন এবং অকাল বার্ধক্যকে বিদায় জানান।
ত্বকের উপকারে গোমূত্র -
প্রথাগত ভাবে গোমূত্র চামড়ার অনেক অসুখের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়েছে, যেমন শ্বেতি এবং ছত্রাকের সংক্রমণ। বিশ্বাস করা হয় যে গোমূত্রে ব্রণেরও নিরাময় হয়। যদিও দেখা গিয়েছে সে গোমূত্রের ক্যান্ডিডা ছত্রাকের বিরুদ্ধে প্রভাব আছে, এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রভাবও আছে, তবুও নিশ্চিত প্রমাণের অভাব রয়েছে। psoriasis রোগ নিরাময়ে গোমূত্রের ভূমিকা প্রচুর।
গোমূত্রের চমৎকার ক্ষত নিরাময় গুণ রয়েছে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হ্রাস করতে পারে। এর কারণ গোমূত্রের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ আছে এবং দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসাবে গোমূত্র অকাল বার্ধক্য রোধ করতে পারে, কালো ছোপ, বলিরেখা এবং কুঞ্চন রোধ করতে পারে।
Recently the cow urine has been granted U.S. Patents (No. 6896907 and 6,410,059) for its medicinal properties, particularly for its use along with antibiotics for the control of bacterial infection and fight against cancers.
চক্ষুরোগে গোমূত্র-
আগেও বলা হয়েছে যে গরু গুলো টাইপ এ-২ অর্থাৎ দেশী গরু সে গুলোর মূত্র থেকে ঔষধ তৈরী করা হয়। এবং খেয়াল রাখতে হবে গরু যেন গর্ভবতী কিংবা বেশী বয়েসের না হয়।
এই গরুর মূত্র চোখের যে কোন রোগে ফোঁটা আকারে নিলে রোগ নিরাময় হয়।
অর্শের চিকিৎসায় গোমূত্র -
পায়ু-দ্বারে এবং তার আশে পাশে প্রদাহ এবং বেদনার নাম অর্শ অথবা হেমারয়েড। অসহ্য বেদনা ও অস্বস্তি ছাড়াও ফুলে যাওয়া হেমারয়েড টিস্যু থেকে রক্তক্ষরণও হয়। প্রথাগত চিকিৎসাতে গোমূত্রের সাথে অন্যান্য ভেষজের মিশ্রণ দিয়ে অর্শের উপসর্গগুলি এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ করা যায়।
সঠিক কারণ এবং অর্শের প্রাকৃতিক চিকিৎসা নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে যে কোষ্ঠকাঠিন্য অর্শের অন্যতম একটি কারণ। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ফার্মাকিউটিক্যাল সায়েন্স'এ প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধ অনুযায়ী অন্ত্রের উপরে গোমূত্রের একটি শীতল প্রভাব আছে। আয়ুর্বেদে মল-ভেদন, অর্থাৎ গোমূত্র, মল নিষ্কাসনে সহায়তা করে ফলে পায়ুর দেওয়ালে অতিরিক্ত চাপ পড়ে না।
নিয়ন্ত্রিত ভাবে গোমূত্র পান করলে গ্রেড 1 এবং গ্রেড 2 হেমারয়েড'এর বেদনা এবং অন্যান্য জটিলতা প্রতিরোধ করা যায়।
কর্কট রোগের জন্য: গোমূত্রের অ্যাটি-অক্সিডেন্ট গুণ আছে, তাই কর্কট রোগের কার্যকর চিকিৎসা করা যায়। এর ফলে ডিএনএ'র ক্ষতি হ্রাস হয়।গোমূত্রে উপস্থিত ইউরিক অ্যাসিডের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ এবং গোমূত্রের ডিএনএ'র জীর্ণসংস্কার করার ক্ষমতা, এই দুইয়ে মিলে গোমূত্র কর্কট রোগের একটি কার্যকর নিরাময় বলে গণ্য করা হয়। একটি প্রি-ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে গোমূত্রের প্রভাবে টিউমার'এর ঝুঁকি হ্রাস হয়। নিয়মিত ভাবে গোমূত্র ব্যবহার করলে টিউমারের তীব্রতা কম হয়।
আরও গবেষণায় দেখা যায় যে কাউপ্যাথী বা পঞ্চগভ্যপ্যাথি নামে পরিচিত একটি অনন্য ধরনের চিকিৎসা কর্কট রোগের লক্ষণগুলির বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর।
অন্ত্রের ক্রিমির জন্য: অন্ত্রের ক্রিমির চিকিৎসার জন্য পারম্পরিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে গোমূত্র ব্যবহার করা হয়, এবং ক্লিনিক্যাল পরীক্ষাতেও এটি যাচাই করা হয়েছে।প্রচলিত প্রথায় অন্ত্রের কৃমি নিরাময়ে গোমূত্র ব্যবহার করা হয়। এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে, ভারতীয় কেঁচোর উপরে পঞ্চগব্যর (দুধ, দই, ঘি, গোবর এবং গোমূতের মিশ্রণ) প্রভাব পরীক্ষা করা হয়। যেহেতু কেঁচো শারীরিকভাবে এবং দেহতত্ব অনুসারে অন্ত্রের কৃমির সাথে একই রকমের, তাই এই পরীক্ষা পঞ্চগব্যের ক্রিয়াকলাপ বুঝতে সাহায্য করে। দেখা গেল যে অন্য ওষুধের তুলনায় নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় পঞ্চগব্য কেঁচোদের অসাড় করে দিতে এবং মেরে ফেলতে খুবই কার্যকর।
ক্ষত নিরাময়ে গোমূত্র -
ইন ভিভো (পশু-ভিত্তিক) গবেষণা দেখাচ্ছে যে স্থানীয় ভাবে গোমূত্রের প্রয়োগে ক্ষত নিরাময়ের সম্ভাবনা রয়েছে। গোমূত্রে উপস্থিত এ্যালান্টইন ক্ষত নিরাময়ের প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। এটি অ্যান্টি-বডি'র পরিমান বৃদ্ধি করে যাতে ক্ষতে কোন সংক্রমণ না হয়।
বায়ো-এনহ্যান্সার: দেহের অভ্যন্তরে অন্য ওষুধ যাতে সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে তার জন্য প্রায়শই ওষুধের সাথে গোমূত্র দেওয়া হয়।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় গোমূত্রকে বায়ো-এনহ্যান্সার বলে মনে করা হয়। এর অর্থ হল গোমূত্রের সাথে যদি অন্য কোন ওষুধ দেওয়া হয়, তাহলে সেই ওষুধটি দেহের ভিতরে আরও সহজলভ্য হয়। অনেক আয়ুর্বেদিক ওষুধে গোমূত্রের এই বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগানো হয়। এই বৈশিষ্ট্য বিশেষ করে প্রয়োগ করা হয় যখন একটি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিবেচনা করে খুব অল্প মাত্রায় প্রয়োগ করতে হয়। আয়ুর্বেদে এই পদ্ধতিটিকে যোগবাহী বলা হয়।
বিভিন্ন উপাদানের সাথে মিশিয়ে মানসিক বিশৃঙ্খলার চিকিৎসায় এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ওষুধগুলি গোমূত্রের উপর ভর করে কোষের দেওয়াল ভেদ করে। ফলে দেহের প্রক্রিয়ার কাছে ওষুধগুলি সহজলভ্য হয়। আয়ুর্বেদ অনুসারে গোমূত্রে উপস্থিত 'রসায়ন’ তত্ত্ব বায়ো-এনহ্যান্সার হিসাবে কাজ করে।
প্রতিরোধ ক্ষমতা: দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য গোমূত্র চমৎকার কাজ করে। কারণ গোমূত্র রক্তের ডাব্লিউবিসি'র সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং হিউমোরাল এবং কোষের মধ্যস্থতায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নতি করে।জানা আছে যে ঔষধি এবং খনিজ পদার্থ ব্যবহার করে আয়ুর্বেদ দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করে। প্রাচীন যুগের বৈদ্যরা বিশ্বাস করতেন যে গোমূত্র ব্যবহার করে আমাদের দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার 104% পর্যন্ত উন্নতি হতে পারে। প্রাণীদের নিয়ে করা একটি গবেষণাতে দেখা গিয়েছে যে গোমূত্র দেহকোষের মধ্যস্থতায় এবং হিউমোরাল অনাক্রমতা উভয়েরই উন্নতি করে। এই পরীক্ষাটি আরও ইঙ্গিত দেয় যে গোমূত্র শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা এবং মোট অনাক্রমতার প্রতিক্রিয়া এক মাসের মধ্যে বৃদ্ধি করে। প্রস্তাব করা হয়েছে যে গোমূত্রে উপস্থিত "রসায়ন"তত্ত্ব দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নিত করে।
ত্বকের জন্য: গোমূত্র অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ফলে এটি ত্বকের বলিরেখা এবং কুঞ্চন হ্রাস করে ত্বককে বয়স বৃদ্ধির চিহ্নগুলিকে হ্রাস করে। যেহেতু গোমূত্র বয়সের ছাপ পড়াকে দেরি করিয়ে দিতে পারে, তাই একে জীবন-দায়ী তরল বলা হয়। তাছাড়া গোমূত্রে বেশী মাত্রায় সালফার তাকার কারনে যে কোন ত্বকের রোগ নিরাময় সম্ভব। খাওয়ার সাথে উক্ত স্থানে লাগাতেও পারেন।
হজমের জন্য: গোমূত্র হজমে সহায়তা করে, ফলে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। হেমারয়েডগুলিকে, এবং তার জন্য কোন জটিলতাকে প্রতিরোধ করতে পারে।
রক্তাল্পতার চিকিৎসাতে গোমূত্রের প্রয়োগের কথা আয়ুর্বেদে বলা আছে। ভারতবর্ষে রক্তাল্পতার সব চেয়ে সাধারণ কারণ আমাদের খাদ্যে লোহা সমৃদ্ধ সম্পূরকের অভাব। বিশ্বাস করা হয় যে গোমূত্রে এরিথ্রোপয়টিন উপস্থিত থাকার ফলে এর প্রয়োগে রক্তে লোহিত কণিকা'র সংখ্যা এবং হিমোগ্লোবিন'এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও গোমূত্রে ইউরিয়া থাকে, যা কিনা লোহিত কণিকা'র গঠনের রক্ষণাবেক্ষণ করে। ফলে উপকার হয়।
গোমূত্রের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ থাকাতে যকৃত'এর কার্যকলাপ মসৃণ হয়। কাজেই পাতন-করা গোমূত্র পান করলে যকৃতের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
মধুমেহ রোগে গোমূত্র -
গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য ইঙ্গিত দেয় যে কাউপ্যাথি অথবা পঞ্চগব্যপ্যাথি মধুমেহ রোগের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। মধুমেহ রোগে আক্রান্ত পশুদের উপরে গোমূত্রের প্রভাব নিয়ে গবেষণা হয়েছে। এই গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে গোমূত্র পান করলে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পায়, এবং গোমূত্রের মাত্রা বৃদ্ধি করলেও কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না।
অন্য আরেকটি গবেষণাতে প্রচলিত মধুমেহর ওষুধ, যাতে থাকে কিছু আয়ুর্বেদিক ঔষধি এবং গোমূত্র, এবং গোমূত্রের মধুমেহ বিরোধী প্রভাবকে তুলনা করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে যে গোমূত্র একাই অন্য ওষুধটির চেয়ে অধিক কার্যকরী।
তবে সুপারিশ করা হচ্ছে যে মধুমেহ রোগীরা গোমূত্র ব্যবহারের আগে তাদের চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নেবেন।
গোমূত্র মৃগী রোগ প্রতিরোধ করতে পারে কিনা সে বিষয়ে একটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরীক্ষার শেষে দেখা গেল পঞ্চগব্য (দুধ, ঘি, দই, গোবর ও গোমূত্রের মিশ্রণ) মৃগী প্রতিরোধ করতে পারলেও শুধু মাত্র গোমূত্র সেই কাজ পুরোপুরি পারে না।
রিসার্চ পেপার সমূহঃ
৩ Chemotherapeutic potential of cow urine: A review
৪ Investigation of the origin of prednisolone in cow urine
অন্যান্য:
আয়ুর্বেদিক গ্রন্থ যেমন সুশ্রুত সমাহিতা, অষ্টাঙ্গ সংগ্রহ এবং ভাব প্রকাশ নিঘণ্টু জানাচ্ছে যে শুধু গোমূত্র অথবা গোমূত্রের সাথে প্রাকৃতিক মিশ্রণ অথবা উপকরণ সংক্রমণের কার্যকর চিকিৎসা করতে পারে। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল হওয়ার কারণে গোমূত্র ক্ষয় রোগের চিকিৎসাও কার্যকর ভাবে করতে পারে। ঔষধ-প্রতিরোধী প্যাথোজেন'এর বিকাশ হওয়াতে প্রচলিত অনেক ওষুধই আর কাজ করতে পারে না। কিন্তু গোমূত্র প্রাকৃতিক হওয়ার কারণে এই সব অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকর বিকল্প হতে পারে।
রক্তাল্পতার চিকিৎসাতে গোমূত্রের প্রয়োগের কথা আয়ুর্বেদে বলা আছে। ভারতবর্ষে রক্তাল্পতার সব চেয়ে সাধারণ কারণ আমাদের খাদ্যে লোহা সমৃদ্ধ সম্পূরকের অভাব। বিশ্বাস করা হয় যে গোমূত্রে এরিথ্রোপয়টিন উপস্থিত থাকার ফলে এর প্রয়োগে রক্তে লোহিত কণিকা'র সংখ্যা এবং হিমোগ্লোবিন'এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও গোমূত্রে ইউরিয়া থাকে, যা কিনা লোহিত কণিকা'র গঠনের রক্ষণাবেক্ষণ করে। ফলে উপকার হয়।
গোমূত্রের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ থাকাতে যকৃত'এর কার্যকলাপ মসৃণ হয়। কাজেই পাতন-করা গোমূত্র পান করলে যকৃতের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
গোমূত্র মৃগী রোগ প্রতিরোধ করতে পারে কিনা সে বিষয়ে একটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরীক্ষার শেষে দেখা গেল পঞ্চগব্য (দুধ, ঘি, দই, গোবর ও গোমূত্রের মিশ্রণ) মৃগী প্রতিরোধ করতে পারলেও শুধু মাত্র গোমূত্র সেই কাজ পুরোপুরি পারে না।
গোমূত্র সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে, রক্তাল্পতা এবং মৃগী রোগেও উপশমে সহায়তা করে। এমন কি, যকৃতের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
গোমূত্রে উপস্থিত ইউরিক অ্যাসিডের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ এবং গোমূত্রের ডিএনএ'র জীর্ণসংস্কার করার ক্ষমতা, এই দুইয়ে মিলে গোমূত্র কর্কট রোগের একটি কার্যকর নিরাময় বলে গণ্য করা হয়। একটি প্রি-ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে গোমূত্রের প্রভাবে টিউমার'এর ঝুঁকি হ্রাস হয়। নিয়মিত ভাবে গোমূত্র ব্যবহার করলে টিউমারের তীব্রতা কম হয়।
আরও গবেষণায় দেখা যায় যে কাউপ্যাথী বা পঞ্চগভ্যপ্যাথি নামে পরিচিত একটি অনন্য ধরনের চিকিৎসা কর্কট রোগের লক্ষণগুলির বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর।
ইন ভিভো (পশু-ভিত্তিক) গবেষণা দেখাচ্ছে যে স্থানীয় ভাবে গোমূত্রের প্রয়োগে ক্ষত নিরাময়ের সম্ভাবনা রয়েছে। গোমূত্রে উপস্থিত এ্যালান্টইন ক্ষত নিরাময়ের প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। এটি অ্যান্টি-বডি'র পরিমান বৃদ্ধি করে যাতে ক্ষতে কোন সংক্রমণ না হয়।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় গোমূত্রকে বায়ো-এনহ্যান্সার বলে মনে করা হয়। এর অর্থ হল গোমূত্রের সাথে যদি অন্য কোন ওষুধ দেওয়া হয়, তাহলে সেই ওষুধটি দেহের ভিতরে আরও সহজলভ্য হয়। অনেক আয়ুর্বেদিক ওষুধে গোমূত্রের এই বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগানো হয়। এই বৈশিষ্ট্য বিশেষ করে প্রয়োগ করা হয় যখন একটি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিবেচনা করে খুব অল্প মাত্রায় প্রয়োগ করতে হয়। আয়ুর্বেদে এই পদ্ধতিটিকে যোগবাহী বলা হয়।
বিভিন্ন উপাদানের সাথে মিশিয়ে মানসিক বিশৃঙ্খলার চিকিৎসায় এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ওষুধগুলি গোমূত্রের উপর ভর করে কোষের দেওয়াল ভেদ করে। ফলে দেহের প্রক্রিয়ার কাছে ওষুধগুলি সহজলভ্য হয়। আয়ুর্বেদ অনুসারে গোমূত্রে উপস্থিত 'রসায়ন’ তত্ত্ব বায়ো-এনহ্যান্সার হিসাবে কাজ করে।
জানা আছে যে ঔষধি এবং খনিজ পদার্থ ব্যবহার করে আয়ুর্বেদ দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করে। প্রাচীন যুগের বৈদ্যরা বিশ্বাস করতেন যে গোমূত্র ব্যবহার করে আমাদের দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার 104% পর্যন্ত উন্নতি হতে পারে। প্রাণীদের নিয়ে করা একটি গবেষণাতে দেখা গিয়েছে যে গোমূত্র দেহকোষের মধ্যস্থতায় এবং হিউমোরাল অনাক্রমতা উভয়েরই উন্নতি করে। এই পরীক্ষাটি আরও ইঙ্গিত দেয় যে গোমূত্র শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা এবং মোট অনাক্রমতার প্রতিক্রিয়া এক মাসের মধ্যে বৃদ্ধি করে। প্রস্তাব করা হয়েছে যে গোমূত্রে উপস্থিত "রসায়ন"তত্ত্ব দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নিত করে।
একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো, ভারতীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারতন্ত্রের মেরুদণ্ড হিসেবে গরুকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। বলা ভালো শুধুমাত্র ভারতীয় কৃষির ইতিহাসেই নয়, মানব সভ্যতার ঊষাকাল থেকেই চাষবাসের সাথে এই জীবের সংযুক্তি রয়েছে, গরু ছাড়া প্রাচীনকালকে তো বটেই বর্তমান ভারতীয় কৃষিকেও ভাবা যায় না, এই কারণে হিন্দুরা গরুকে গোমাতা হিসেবে পূজা করে আসছে।
প্রাচীন চাষবাসে ভারতে ছিলো না শিল্পবিপ্লব, ছিলো না কোনো রাসায়নিক সার, ছিলো না কোনো রাসায়নিক পেস্টনাশক ও কীটনাশক- সমগ্র ভারতবর্ষে তখন ছিলো একটাই প্রাকৃতিক সার, তা হল গরুর গোবর এবং একটাই প্রাকৃতিক কীটনাশক ছিলো সেটি হল গো চোনা। অতীতে গো চোনার সাথে নিমের রস মিশিয়ে কীটনাশক তৈরী করা হোতো, এবং তা কৃষিতে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হত। এছাড়া ছত্রাকনাশক ও আগাছানাশক হিসেবে ব্যবহার হোতো ননীদুগ্ধ থেকে যা গরুর দুধ থেকে পাওয়া যেত।
গুজরাটের জুনাগড় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর জৈবপ্রযুক্তির বিজ্ঞানীরা গোমূত্রকে ব্যবহার করে যে ক্যান্সার আক্রান্ত কোশ মারা যায় সেই বিষয়টির গবেষণায় প্রথম পদক্ষেপ নেন। তারা দাবী করেন যে, গোমূত্র কাজে লাগিয়ে সাধারণ ক্যান্সার যেমন মুখের, ফুসফুসের, বৃক্কের, চামড়া ও বুকের ক্যান্সার নিরাময় করা সম্ভব।
গবেষকদের মধ্যে সহায়ক শ্রদ্ধা ভাট ও রিউকামসিন্ তোমার ও গবেষণায় প্রযুক্ত সদস্য কবিতা যোশী তাদের সুদীর্ঘ একবছরের গবেষণার ফলাফল ব্যক্ত করেছেন। তাদের বক্তব্য তারা যে গবেষণা সুদীর্ঘ এক বৎসর ধরে চালিয়েছেন সেটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো কারণ তারা সরাসরি ক্যান্সার আক্রান্ত কোষের উপর পরীক্ষা করেছিল যেগুলো কিনা বোতলে তৈরী হয়েছিলো। শ্রদ্ধা ভাট আরও বলেন “আমরা আসলে পরীক্ষা করতে চেয়েছিলাম যে ঠিক কত পরিমাণ ক্যান্সার আক্রান্ত কোশ গোমূত্র দ্বারা ধ্বংস করা যাচ্ছিলো এই বিষয়টি । পরবর্তী ক্ষেত্রে আমরা ইঁদুরের উপড় গবেষণা করতে চাই। যদি এই পরীক্ষাটি একবার সফল হয়ে যায় তাহলে আমরা বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার নিরাময়ের ঔষধ তৈরি করা শুরু করতে পারবো।”
গবেষক ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে তোমার বলেন যে কেমোথেরাপির প্রভাবে সুস্থ কোশগুলিও ধ্বংস হয়ে যায় কিন্তু গোমূত্র শুধুমাত্র ক্যান্সার আক্রান্ত কোশগুলিকেই বিনষ্ট করে।
১৯৭৫ সালে একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছিলো জার্সি গরুর মূত্রের অধিক প্রয়োগে ইঁদুরের মৃত্যু হয়েছিলো। ঐ একই পরীক্ষা ১৯৭৬ সালেও করা হয়েছিল কুকুরের উপরও করা হয়, দেখা যায় হাইপোটেনশন ও টেকনিপিয়া রোগে কুকুরটি আক্রান্ত হয় ও কিছুদিন পর সেটি মারা যায়। এরপর বেশ অনেকটা সময় গবেষণাকে বন্ধ রাখা হয়, ফের ২০০১ সালে আবার পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার পর জানা যায় ঐ গোমূত্রে প্রচুর পরিমাণে Prion (এক জাতীয় মিস্ফোল্ডেড সংযুক্ত প্রোটিন অনু যা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর দেহে স্নায়বিক রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী) পাওয়া যায়, জার্সি গরুকে পরীক্ষা করে দেখা গেছে গরুটি Bovine Spongiform Encephalopathy রোগে আক্রান্ত।
আয়ুর্বেদে গোমূত্রকে কুষ্ঠ, পেটের ব্যাকটেরিয়া ঘটিত বা কৃমি জনিত ব্যথা, ও কর্কট রোগ নিরাময়ের উপকরণ হিসাবে ব্যক্ত করা হয়েছে। গোমূত্র, ত্রিফলা ও গরুর দুধ দ্বারা নির্মিত এক প্রকার মিশ্রণ রক্তাল্পতা রোগের অবর্থ্য ঔষধ হিসেবে অতীতে ব্যবহৃত হত। তাছাড়া গোলমরিচ, দই, ঘি ও গো চোনা মিশিয়ে একধরণের মিশ্রণ তৈরী করা হত যা তারা জ্বর ও ছোটোখাটো রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করতো। নিমগাছের ছাল, বাসক গাছের ছাল, কুরিলো ছাল, ও কানের গাছের পাতার সাথে গো চোনা মিশিয়ে কাটাছেঁড়া ক্ষতস্থানে প্রলেপ দিলে সেই অঙ্গস্থানকে অণুজীবের সংক্রমণ থেকে বাঁচানো যেত। এছাড়া গোমূত্র ও দারুহরিদ্রা মিশিয়ে স্নায়বিক অস্বাভাবিকত্বকে কাটানো যেত। মন্দাসৌর থেকে জানা যায় গোমূত্রের দ্বারা ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরাও উপকার পেতে পারেন।
থড়ুপুজার ধন্বন্তরী বিদ্যাশালা আয়ুর্বেদিক কেন্দ্রের প্রধান শতিশ নাম্বুদিরির মতে এটি পাকস্থলীর ঘা বা পাকস্থলীর ক্যান্সার এর উপশমে সক্ষম, তাছাড়া যকৃৎ প্রদাহ, ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগের উপশমেও সক্ষম।
২০০২ সালে ভারতীয় গবেষক যারা গোমূত্রের অ্যান্টিবায়োটিক ক্ষমতার উপড় গবেষণা করছিলেন তাদের Council of Scientific and Industrial Research Centre-এ গবেষণার ছাড়পত্র দিয়েছে।
২০১০ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ এবং ন্যাশানাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট থেকে গো-বিজ্ঞান অনুসন্ধান কেন্দ্র (দেওলাপুর) কে অনুদান করা হয়েছে। এই সব সংস্থা গোমূত্র নিয়ে গবেষণায় আমেরিকার পেটেন্ট স্বত্বকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আয়ুর্বেদিক গ্রন্থ যেমন সুশ্রুত সমাহিতা, অষ্টাঙ্গ সংগ্রহ এবং ভাব প্রকাশ নিঘণ্টু জানাচ্ছে যে শুধু গোমূত্র অথবা গোমূত্রের সাথে প্রাকৃতিক মিশ্রণ অথবা উপকরণ সংক্রমণের কার্যকর চিকিৎসা করতে পারে। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল হওয়ার কারণে গোমূত্র ক্ষয় রোগের চিকিৎসাও কার্যকর ভাবে করতে পারে। ঔষধ-প্রতিরোধী প্যাথোজেন'এর বিকাশ হওয়াতে প্রচলিত অনেক ওষুধই আর কাজ করতে পারে না। কিন্তু গোমূত্র প্রাকৃতিক হওয়ার কারণে এই সব অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকর বিকল্প হতে পারে।
রক্তাল্পতার চিকিৎসাতে গোমূত্রের প্রয়োগের কথা আয়ুর্বেদে বলা আছে। ভারতবর্ষে রক্তাল্পতার সব চেয়ে সাধারণ কারণ আমাদের খাদ্যে লোহা সমৃদ্ধ সম্পূরকের অভাব। বিশ্বাস করা হয় যে গোমূত্রে এরিথ্রোপয়টিন উপস্থিত থাকার ফলে এর প্রয়োগে রক্তে লোহিত কণিকা'র সংখ্যা এবং হিমোগ্লোবিন'এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও গোমূত্রে ইউরিয়া থাকে, যা কিনা লোহিত কণিকা'র গঠনের রক্ষণাবেক্ষণ করে। ফলে উপকার হয়।
গোমূত্রের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ থাকাতে যকৃত'এর কার্যকলাপ মসৃণ হয়। কাজেই পাতন-করা গোমূত্র পান করলে যকৃতের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
গোমূত্র মৃগী রোগ প্রতিরোধ করতে পারে কিনা সে বিষয়ে একটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরীক্ষার শেষে দেখা গেল পঞ্চগব্য (দুধ, ঘি, দই, গোবর ও গোমূত্রের মিশ্রণ) মৃগী প্রতিরোধ করতে পারলেও শুধু মাত্র গোমূত্র সেই কাজ পুরোপুরি পারে না।
যদিও গোমূত্র অনেক রোগের প্রাকৃতিক প্রতিকার, অনুপযুক্ত ভাবে মজুত করা, ভুল সংমিশ্রণ বা ভুল ব্যবহারে স্বাস্থ্যের বিপদ হতে পারে।
গরুটি যদি সংক্রামিত হয় তবে গরু প্রস্রাবে প্যাথোজেন থাকতে পারে।
কাঁচা গোমূত্রকে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সংরক্ষণের পরামর্শ দেওয়া হয় না।
10 বছরের কম বয়সী শিশুদেরও গোমূত্র পান করাবার পরামর্শ দেওয়া হয় না
যে পুরুষদের প্রজনন সংক্রান্ত সমস্যা আছে বা যাদের ঘুম কম হয়, তারা গোমূত্র নেবেন না।
একটি গবেষণায়, একজন ব্যক্তিকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই চোখে গোমূত্র দেওয়া হয়েছিল। ফলে দুই দিনের জন্য তার চোখে ব্যথা হয়েছিল এবং দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল।
উপসংহার
গোমূত্রের নানাবিধ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উপকারিতা আছে। এর অনেক চমৎকার গুণ আছে যার কারণে এটি অনেক অসুখের প্রতিকার করতে পারে, যেমন, মধুমেহর ব্যবস্থাপনা, ক্ষত নিরাময় এবং দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি। বায়ো-এনহ্যান্সার হিসাবে অনেক অ্যান্টি-বায়োটিক এবং অন্যান্য ওষুধের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে পারে। তবে গোমূত্রকে কোন বিশ্বস্ত উৎস থেকে কিনতে হবে নয়তো এতে অসুস্থ গরুর দেহের জীবাণুর সংক্রমণ থাকতে পারে। আপনি যদি বর্তমানে কোন ওষুধ নিতে থাকেন অথবা কোন অসুখে ভুগতে থাকেন, তাহলে গোমূত্র নেওয়ার আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নেবেন।
এই ছবিটি রামদেবেরই। কিন্তু ২০২০ সালের নয়। এই ছবিটি ২০১১ সালের। যখন রামদেব কালো টাকার বিরুদ্ধে আন্দো...
সরাসরি পড়ার জন্য কিছু লিঙ্ক দেওয়া হলোঃ
1. Cow urine distillate as bioenhancer link
2. Efficacy of Cow Urine as Plant Growth Enhancer and Antifungal Agent link
3. Immunomodulatory properties of indigenous cow urine link
4. US Patents For Medicines Containing Cow Urine link
5. Benefits Of Cow Urine: A Study Based Approach link
6. Antioxident and antimicrobial activities of cow urine.pdf
বিভিন্ন গবেষণায় গরুর প্রস্রাবের (সিইউ) ভাল অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ক্রিয়াকলাপ পাওয়া গেছে যে অফলোক্সাসিন, সেফপোডক্সাইম, এবং হেনটামাইসিনের মতো স্ট্যান্ডার্ড ওষুধের সাথে তুলনীয় এক বিশাল সংখ্যক প্যাথোজেনিক ব্যাকটিরিয়ার বিরুদ্ধে, নেতিবাচক ব্যাকটেরিয়ার তুলনায় গ্রাম-পজিটিভের তুলনায় আরও বেশি।
Cow Urine Benefits (source: SSRF.org)
Nowadays, people have known the value of cow and its urine from the latest researches. The cow urine is used to cure numerous medical problems like cancer, constipation, tumor, cysts, breast cancer, diabetes, low appetite, body pain, etc. The cow’s urine is a divine medication for people suffering from fits, blood pressure, asthma, eczema, thyroid, heart related diseases, cancer, piles, AIDS, migraine, ulcers, prostrate, acidity, psoriasis and gynecological problems, etc.
Therefore, there are so many uses of cow urine but not everybody uses it for their treatment. Let us tell you how to use cow urine to improve the quality of life in detail.
Cow urine is used for skin:
You must be glad to know that with the help of cow urine you can get rid of pimples, sunburns, eczema, acne, leucoderma, freckles or any other skin problems. It is considered as the best treatment for many hair related common problems like dandruff, hair fall. Cow urine can also help in boosting the hair growth and making the hair shiny and strong.
Moreover, if you have a fear of tickling sensation from applying an antiseptic on the wounds, you can use cow urine to get rid of it. Due to the harmful radiations of the sun and ever-growing pollution, there are many skin disorders, which can be treated by using cow urine. Cow urine is suitable for skin as it has both antibiotic and antiseptic nature.
Cow urine as a medicine:
Many researches on cow urine have proved its magical effects. Since ancient times, the unprocessed cow urine also known as Panchagavya is the most rarely used ingredient of numerous medicines. Many Ayurveda texts have also proved it as the divine medicine.
Cow urine works directly on the body by acting as a toxic remover that cleanses the unwanted deposits in the body that results in illness. It also boosts up the immunity system of the individuals. Moreover, cow urine also improves the digestive system and stamina of absorbing the necessary nutrients.
However, there are thousands of patients who have got relived from various diseases like cancer, asthma, liver disorders, kidney disorders, blood pressure, arthritis, leprosy, ulcers, etc. Therefore, cow urine is approved as the best medicine for people by the global science associations and the Indian scientists have been honored with US patent for anticancer and antibiotic medicines that are created from cow urine.
Cow urine also used in cosmetics:
Nowadays, with the increasing demand and faith of people in the valuable products from cow urine, many shampoos, cleaners, creams, soaps, etc. are advertised and manufactured by numerous companies, that are engrossed with the protection of cows. Many other cosmetic products are available in the market these days. As cow, urine has many essential molecules, so it is used in many other cosmetic products. It is a natural compound and can be used to make skin creams. The best use of cow urine is for acnes and pimples.
Cow urine a boon for agriculture:
Cow urine is very beneficial in agriculture. It has rich nutrients and boosts up the soil fertility and crop productivity. Moreover, it is very economical in cost as it is a natural product, due to which the farmer’s expenses are reduced on a large scale. In today`s scenario, as there is a lot of need of organic and eco-friendly products, cow urine is used in agriculture.
Besides nutrients, cow urine is also rich in sulphur, nitrogen, sodium, potassium, manganese, phosphate, iron, carbolic acid, silicon, salt, hormones, chlorine and enzyme. Not only this, cow urine is also a good and effective pest repellent as well as a natural disinfectant. It works best as an organic fertilizer to improve the fertility of the soil and boosts up the crop production.
In fact, the cow urine is not a poisonous effluent as it contains 95% of water, 2.5% minerals, hormones, salts and enzyme the remaining 2.5% is urea. It is also a product of ecological sanitation for crops and plants. Moreover, cow urine also boosts up the growth of the crops and plants.
Cow urine is used for weight loss and reduces stress:
Apart from all this, cow urine is also beneficial in reducing weight as it controls the hormones in the human body. Moreover, it also helps in reducing stress, which is common problem nowadays. Cow urine treatment boosts the immunity system and helps in lowering the cholesterol level. It has properties of slowing down the diseases related to stress.
As an eco-friendly power resource:
You can produce around 1W of power supply from replenishing 5 litres of cow urine. As there are many ions, an alkaline pH and salts that build up an ultimate electrolyte. Therefore, it can be an eco-friendly electricity power supply.
Cow urine also improves memory and slows the ageing process:
These days, cow urine is widely used as a memory power enhancer for all the ages. Moreover, it is very beneficial in slowing down the ageing process and thus used by females largely.
Cow urine as an efficient fungicide:
Cow urine is more effective than lemon juice and neem due its remarkable antioxidant properties. It is thus, largely used to cure dandruff as it stops the development of Malessezia fungi that is responsible for causing dandruff.
Other uses of cow urine:
Many sanitization products like hand wash, cleaning lotions, floor cleaner liquids, etc. may include cow urine. Cow urine is also used in fitness products like energy drinks, massage creams for tightening the skin. Therefore, cow urine has uncountable benefits. It has been enjoying an enormous market value internationally. Cow urine also cures the most common problem like kidney stones, swelling of spleen and loss of appetite.
To conclude, we can say that cow urine should be used in every home as it has countless uses. We at Jain’s cow urine therapy clinic, provide several treatments and medicines. We have a long list of patients who have received best results. We suggest you to drink cow urine directly also as it does not have any side effects. We also give free consultation on phone if you share your reports with us through fax or email. Feel free to contact us for more details.
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ