স পর্যগাচ্ছুক্রমকায়মব্রণ মস্নাবিরং শুদ্ধপাপবিদ্ধম্।
কবির্মনীষী পরিভূঃ স্বয়ম্ভূ র্যাথাতথ্যতোহর্থান্ ব্যদধাচ্ছাশ্বতীভ্যঃ সমাভ্যঃ।।
যর্জুবেদ:অধ্যায়_ 40,মন্ত্র নং_8
(অন্বয়)------সঃ(সেই পরমাত্নাই), পর্যগাৎ ( সর্বত্র গিয়েছেন অর্থাৎ সর্বব্যাপী), [সঃ] (তিনিই), শুক্রম্ (জ্যোর্তিময়), অকায়ম্(শরীরহীন), অব্রণম্ (ক্ষতহীন), অস্নাবিরং (স্নায়ু বা শিরাবিহীন), শুদ্ধম্(পবিত্র), অপাপবিদ্ধম (পাপ দ্বারা অবিদ্ধ বা ধর্ম অধর্মাদি রহিত), কবিঃ(ক্রান্তদর্শী), মনীষী(সর্বজ্ঞ),পরিভূঃ (সর্বোপরি বিদ্যমান),স্বয়ম্ভূঃ (নিজেই নিজের কারণ),[সঃ] (তিনি), শাশ্বতীভ্যঃ সমাভ্যঃ (নিত্যকাল ধরে), [সংবৎসরাখ্য প্রজাপতিদের জন্য], অর্থান্( বিষয় সমূহ বা কর্তব্য পদার্থসমূহ), যাথা-তথ্যতঃ(লোকের যথাযথ কর্মফল ও সাধনা অনুসারে), ব্যদধাৎ(বিধান করেছেন)।
অনুবাদ-----তিনি অর্থাৎ পরমাত্মা, সর্বব্যাপী,জ্যোতির্ময় ও অশরীরী(অশরীর শব্দে পরমাত্মার লিঙ্গ শরীরের নিষেধ) ক্ষতরহিত,শিরাহীন, স্নায়ুহীন,(ক্ষতরহিত ও শিরাহীন শব্দে, স্থূল শরীরের নিষেধ), নির্মল (নির্মল শব্দে,কারণ শরীরের নিষেধ করা হল) ও অপাপবিদ্ধ।তিনি, সর্বদর্শী,সর্বজ্ঞ, সর্বোপরি বিদ্যমান ও স্বয়ম্ভূ।পরমাত্না, চিরকাল ধরে, লোকের যথাযথ কর্মফল অনুসারে কর্তব্য বিধান করছেন।
বিঃ দ্রঃ_এইবার নিজের যুক্তি দিয়ে ভাবুন।অসীম বস্তু সবসময় নিরাকার হয়।যেমন,মহাকাশ।ঈশ্বর তো সব জায়গায় আছেন অর্থাৎ জগতের সমস্ত অণু-পরমাণু ব্যাপ্ত করে আছেন।দেহধারণ করলে,ঈশ্বরের সর্বব্যাপকতা লোপ পায়।কারণ দেহধারী কখনোই সব জায়গায় থাকতে পারবেন না।
যাঁরা বলেন,ঈশ্বর সর্ব শক্তিমান তাই সাকার হতে পারেন,তাঁদের উদ্দেশ্যে বলি,যেখানে স্বয়ং ঈশ্বর বেদবাণীতে বলছেন,তিনি স্থুল,সূক্ষ্ম ও কারণ শরীর ধারণ করেন না,সেখানে আপনি ও আপনাদের গুরুরা কি, ঈশ্বরের চেয়ে বেশি জ্ঞানী হয়েছেন নাকি?!!!
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ