প্রামাণিক ঋষিকৃত উপনিষদ গুলি হলো –
বেদান্তবিজ্ঞানসুনিশ্চিতার্থা
সন্ন্যাসযোগাদ্ যতয়ঃ শুদ্ধসত্ত্বাঃ।
তে ব্রহ্মলোকেষু পরান্তকালে
পরামৃতাঃ পরিমুচ্যন্তি সর্বে।।
( মুণ্ডক উপনিষদ ৩/২/৬)
অনুবাদঃ বেদান্তজনিত বিজ্ঞানের বিষয় পরমাত্মা যাঁহাদের নিকট সুনিশ্চিত হইয়াছেন, সন্ন্যাস-যোগাবলম্বনে যাঁহারা বিশুদ্ধচিত্ত হইয়াছেন এবং যাঁহারা যত্মশীল, তাঁহারা সকলে (জীবদ্দশায়ই) পরমাত্মার সহিত একীভূত হইয়া চরম দেহত্যাগকালে সর্বত্র নির্বাণপ্রাপ্ত হন।
সুতরাং যাহার আপনাকে মৃত্যুর পর অমুক লোক, তমুক লোকের লোভ দেখায় এবং শাশ্বত শাস্ত্রের (বেদ, উপনিষদ) এর বাহিরে গিয়ে নতুন শাস্ত্রের লোভ দেখায় তারা আত্মজ্ঞানী নহেন। তাদের সঙ্গ পরিত্যাগ করে বেদান্ত (১২ টি বেদ ভিত্তিক উপনিষদ) এর জ্ঞান আহরণ করতে হবে।
ব্রহ্মজ্ঞ হলে যা হয়:
যথা নদ্যঃ স্যন্দমানাঃ সমুদ্রেহস্তং
গচ্ছন্তি নামরুপে বিহায়।
তথা বিদ্বান্নামরুপাদ্বিমুক্তঃ
পরাৎ পরং পুরুষমুপৈতি দিব্যম্।।
(মুণ্ডক উপনিষদ ৩/২/৮)
অনুবাদঃ প্রবাহমান নদীসমূহ যেরুপ নাম ও রুপ ত্যাগ করিয়া সাগরের সহিত একতা প্রাপ্ত হয়, তদ্রুপ ব্রহ্মজ্ঞও নাম ও রুপ হইতে বিমুক্ত হইয়া অব্যাকৃত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ স্বপ্রকাশ পরমাত্মাকে প্রাপ্ত হন।
বেদান্তের জ্ঞান গ্রহন করতে হলে যা করতে হয়:
তদেতদৃচাহভ্যুক্তম্- ক্রিয়াবন্ত শ্রোত্রিয়া ব্রহ্মনিষ্ঠঃ
স্বয়ং জুহ্বত একষিং শ্রদ্ধয়ন্তঃ।
তেষামেবৈতাং ব্রহ্মবিদ্যাং বদেত
শিরোব্রতং বিধিবদ্ যৈস্ত্ত চীর্ণম্।।
(মুণ্ডক উপনিষদ ৩/২/১০)
অনুবাদঃ উক্ত ব্রহ্মবিদ্যা কিরুপে দান করিতে হইবে, তাহা এই মন্ত্রে বলা হইয়াছে ----যাঁহারা যথাশাস্ত্র কর্মপরায়ণ, বেদনিষ্ঠ ও পরমব্রহ্মোপাসক, যাঁহারা শ্রদ্ধাসহকারে একর্ষি নামক অগ্নিতে স্বয়ং আহুতি প্রদান করেন এবং যাঁহারা মস্তকে অগ্নিধারণরুপ ব্রত যথাবিধি আচরণ করিয়াছেন, তাঁহাদেরই নিকট এই ব্রহ্মবিদ্যা বলিবে।
সুতরাং ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে হলে আপনাকে বেদনিষ্ঠ হতে হবে। প্রত্যাহিত ৩ বেলা বেদমন্ত্র অনুযায়ী উপাসনা ও প্রাণায়াম করতে হবে। জ্ঞান যজ্ঞ ও অগ্নি যজ্ঞ করতে হবে। নাহলে প্রকৃতপক্ষে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ হবে না। কেবল গ্রন্থ পড়া হবে।
সত্যমেব জয়তে নানৃতং
সত্যেন পন্থা বিততো দেবযানঃ।
যেনাক্রমন্ত্যৃষয়ো হ্যাপ্তকামা
যত্র তৎ সত্যস্য পরমং নিধানম্ ।।
( বৃহদারণ্যক উপনিষদ ৩/১/৬)
অনুবাদঃ সত্যেরই জয় হয়, মিথ্যার নহে, সত্যরুপ সাধনের দ্বারা লভ্য সর্বোত্তম পুরুষার্থ যেখানে নিহিত আছে, সেখানে আপ্তকাম ঋষিগণ যে পথে গমন করেন, সেই দেবযান মার্গও সত্যের দ্বারা অবিচ্ছিন্নভাবে আস্তীর্ণ (অর্থাৎ সতত সত্যাবলম্বনে প্রবৃত্ত) ।
আমাদের সকল মহান ঋর্ষি ও মহর্ষিরা বেদ অনুযায়ী চলার নির্দেশ দিয়ে গেছেন। আমাদেরও একমাত্র সেই সত্যের পথে চলা একান্ত কর্তব্য। সত্যের জয় হবেই। মিথ্যা ডুবে যাবে একদিন।
১. ঈশ, ২. কেন, ৩. কঠ, ৪. প্রশ্ন, ৫. মুণ্ডক, ৬. মাণ্ডুক্য, ৭. ঐতরেয়, ৮. তৈতরীয়, ৯. ছান্দোগ্য, ১০. বৃহদারণ্যক, ১১. শ্বেতাশ্বতর। ২০০ বেশি উপনিষদ থাকলেও প্রধান উপনিষদ ১১ টি যার মধ্যে অন্যতম উপনিষদ হল মুণ্ডকোপনিষদ।এই উপনিষদ অথর্ববেদের অন্তর্গত।মুণ্ডকোপনিষদ অনেকটা প্রশ্নোপনিষদের মতই তবে এখানে প্রশ্নকর্তা একজন।প্রশ্নোপনিষদে প্রশ্নকর্তা ছিলেন ৬জন । 'মুণ্ডক' নাম হওয়ার কারণ বিবিধ; বিশুদ্ধানন্দের মতে অথর্ববেদের ২৮টি উপনিষদ এর মধ্যে এটিই শ্রেষ্ঠ; তাই এটি মুন্ড বা শিরঃ । আবার এটি অজ্ঞান ও অবিদ্যা নামক কেশরূপ অঙ্গকে মুন্ডন করে বলে এর নাম মুণ্ডকোপনিষদ ।এই উপনিষদের মুল-ভাবধারা হলো-- "ব্রহ্ম সত্যং জগন্মিথ্যা, সত্যমেব জয়তে" । মুণ্ডকোপনিষদ এ শৌণক হলো প্রশ্নকর্তা আর অঙ্গিরা ঋষি উত্তরদাতা ।
মহর্ষি কপিল প্রণীত দর্শন সাংখ্য দর্শন নামে খ্যাত।এ দর্শন কঠোরভাবে দ্বৈতবাদী।এ দর্শনের মতে, জগৎ দু'টি সত্যের দ্বারা গঠিত; পুরুষ (চৈতন্য) ও প্রকৃতি (পার্থিব)। "জীব" হ'ল সেই অবস্থা যে অবস্থায় পুরুষ কামনার শক্তিতে প্রকৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে এবং এই সম্পৃক্ততার অবসানকে বলে মোক্ষ।
সন্ন্যাসযোগাদ্ যতয়ঃ শুদ্ধসত্ত্বাঃ।
তে ব্রহ্মলোকেষু পরান্তকালে
পরামৃতাঃ পরিমুচ্যন্তি সর্বে।।
( মুণ্ডক উপনিষদ ৩/২/৬)
অনুবাদঃ বেদান্তজনিত বিজ্ঞানের বিষয় পরমাত্মা যাঁহাদের নিকট সুনিশ্চিত হইয়াছেন, সন্ন্যাস-যোগাবলম্বনে যাঁহারা বিশুদ্ধচিত্ত হইয়াছেন এবং যাঁহারা যত্মশীল, তাঁহারা সকলে (জীবদ্দশায়ই) পরমাত্মার সহিত একীভূত হইয়া চরম দেহত্যাগকালে সর্বত্র নির্বাণপ্রাপ্ত হন।
সুতরাং যাহার আপনাকে মৃত্যুর পর অমুক লোক, তমুক লোকের লোভ দেখায় এবং শাশ্বত শাস্ত্রের (বেদ, উপনিষদ) এর বাহিরে গিয়ে নতুন শাস্ত্রের লোভ দেখায় তারা আত্মজ্ঞানী নহেন। তাদের সঙ্গ পরিত্যাগ করে বেদান্ত (১২ টি বেদ ভিত্তিক উপনিষদ) এর জ্ঞান আহরণ করতে হবে।
ব্রহ্মজ্ঞ হলে যা হয়:
যথা নদ্যঃ স্যন্দমানাঃ সমুদ্রেহস্তং
গচ্ছন্তি নামরুপে বিহায়।
তথা বিদ্বান্নামরুপাদ্বিমুক্তঃ
পরাৎ পরং পুরুষমুপৈতি দিব্যম্।।
(মুণ্ডক উপনিষদ ৩/২/৮)
অনুবাদঃ প্রবাহমান নদীসমূহ যেরুপ নাম ও রুপ ত্যাগ করিয়া সাগরের সহিত একতা প্রাপ্ত হয়, তদ্রুপ ব্রহ্মজ্ঞও নাম ও রুপ হইতে বিমুক্ত হইয়া অব্যাকৃত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ স্বপ্রকাশ পরমাত্মাকে প্রাপ্ত হন।
বেদান্তের জ্ঞান গ্রহন করতে হলে যা করতে হয়:
তদেতদৃচাহভ্যুক্তম্- ক্রিয়াবন্ত শ্রোত্রিয়া ব্রহ্মনিষ্ঠঃ
স্বয়ং জুহ্বত একষিং শ্রদ্ধয়ন্তঃ।
তেষামেবৈতাং ব্রহ্মবিদ্যাং বদেত
শিরোব্রতং বিধিবদ্ যৈস্ত্ত চীর্ণম্।।
(মুণ্ডক উপনিষদ ৩/২/১০)
অনুবাদঃ উক্ত ব্রহ্মবিদ্যা কিরুপে দান করিতে হইবে, তাহা এই মন্ত্রে বলা হইয়াছে ----যাঁহারা যথাশাস্ত্র কর্মপরায়ণ, বেদনিষ্ঠ ও পরমব্রহ্মোপাসক, যাঁহারা শ্রদ্ধাসহকারে একর্ষি নামক অগ্নিতে স্বয়ং আহুতি প্রদান করেন এবং যাঁহারা মস্তকে অগ্নিধারণরুপ ব্রত যথাবিধি আচরণ করিয়াছেন, তাঁহাদেরই নিকট এই ব্রহ্মবিদ্যা বলিবে।
সুতরাং ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন করতে হলে আপনাকে বেদনিষ্ঠ হতে হবে। প্রত্যাহিত ৩ বেলা বেদমন্ত্র অনুযায়ী উপাসনা ও প্রাণায়াম করতে হবে। জ্ঞান যজ্ঞ ও অগ্নি যজ্ঞ করতে হবে। নাহলে প্রকৃতপক্ষে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ হবে না। কেবল গ্রন্থ পড়া হবে।
সত্যমেব জয়তে নানৃতং
সত্যেন পন্থা বিততো দেবযানঃ।
যেনাক্রমন্ত্যৃষয়ো হ্যাপ্তকামা
যত্র তৎ সত্যস্য পরমং নিধানম্ ।।
( বৃহদারণ্যক উপনিষদ ৩/১/৬)
অনুবাদঃ সত্যেরই জয় হয়, মিথ্যার নহে, সত্যরুপ সাধনের দ্বারা লভ্য সর্বোত্তম পুরুষার্থ যেখানে নিহিত আছে, সেখানে আপ্তকাম ঋষিগণ যে পথে গমন করেন, সেই দেবযান মার্গও সত্যের দ্বারা অবিচ্ছিন্নভাবে আস্তীর্ণ (অর্থাৎ সতত সত্যাবলম্বনে প্রবৃত্ত) ।
আমাদের সকল মহান ঋর্ষি ও মহর্ষিরা বেদ অনুযায়ী চলার নির্দেশ দিয়ে গেছেন। আমাদেরও একমাত্র সেই সত্যের পথে চলা একান্ত কর্তব্য। সত্যের জয় হবেই। মিথ্যা ডুবে যাবে একদিন।
প্রথম মুণ্ডকে প্রথম খণ্ডে শ্রুতি—শ্রুতিপর্য্যন্ত
১.১.১-২ ব্রহ্মা হইতে যে সমস্ত আচার্য্য-পর্যায়ক্রমে এই ব্রহ্মবিদ্যা জগতে প্রচারিত হইয়াছে তাহার নির্দ্দেশ
সমস্ত জগতের কর্ত্তা (উৎপাদক) এবং উৎপন্ন জগতের পরিরক্ষক ব্রহ্মা দেবগণের প্রধানরূপে প্রথমে প্রাদুর্ভূত হইয়াছিলেন। তিনি অথর্ব্বনামক জ্যেষ্ঠ পুত্রকে সর্ব্ববিদ্যার আকর ব্রহ্মবিদ্যা উপদেশ করিয়াছিলেন।।১।।
এখন ব্রহ্মবিদ্যা প্রবর্ত্তক সম্প্রাদায় ক্রম বলা হইতেছে—আদি পুরুষ ব্রহ্মা অথর্ব্বন্ ঋষিকে যে ব্রহ্মবিদ্যা বলিয়াছিলেন, অথর্ব্বা সর্ব্বপ্রথম সেই বিদ্যা অঙ্গির্নামক ঋষিকে বলেন; তিনি ভরদ্বাজবংশীয় সত্যবহকে বলেন; ভরদ্বাজ আবার পূর্ব্ব পূর্ব্ব গুরু হইতে পরবর্ত্তী শিষ্যগণকর্ত্তৃক লব্ধ এই বিদ্যা অঙ্গিরা ঋষিকে বলিয়াছিলেন।।২।।
১.১.৩ ব্রহ্মবিদ্যালাভের উদ্দেশ্যে অঙ্গিরা ঋষির নিকট শৌনকের গমন এবং এই বিজ্ঞানে সর্ব্ববিজ্ঞান-বিষয়ক প্রশ্ন কথন
গ্রহস্থপ্রধান শৌনক যথাবিধি উপস্থিত হইয়া অঙ্গিরাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন,–ভগবন্, কাহাকে জানিলে এই সমস্ত (জগৎ) বিজ্ঞাত হয়।।৩।।
১.১.৪-৫ অঙ্গিরা কর্ত্তৃক পরা ও অপরাভেদের বিদ্যার দ্বৈবিধ্য কথন এবং পরা ও অপরাবিদ্যার স্বরূপ নিরূপণ
অঙ্গিরা শৌনকের উদ্দেশে বলিলেন যে, ব্রহ্মবিদ্গন (বেদতাৎপর্য্যবেত্তারা) এইরূপ বলিয়া থাকেন যে, পরা ও অপরা, এই দুইটি বিদ্যা অবশ্য জানিতে হয়।।৪।।
সেই উভয় বিদ্যার মধ্যে অপরা বিদ্যা কথিত হইতেছে—ঋগ্বেদ, যজুর্ব্বেদ, সামবেদ, অথর্ব্ববেদ, শিক্ষা, কল্পসূত্র, ব্যাকরণ, নিরুক্ত, ছন্দঃশাস্ত্র ও জ্যোতিষ। অনন্তর পরা বিদ্যা কথিত হইতেছে, যাহা দ্বারা সেই অক্ষর ব্রহ্মকে প্রাপ্ত হওয়া যায়।।৫।।
১.১.৬-৯ পরা বিদ্যায় বিদ্যার বিষয় অক্ষর ব্রহ্মের স্বরূপ কথন এবং ঊর্ণিনাভদৃষ্টান্তে ব্রহ্মের সর্ব্বকারণত্ব সমর্থন
ধীর বিবেকিগণ [এই পরা বিদ্যা দ্বারা] সেই যে, অদৃশ্য, অগ্রাহ্য, অগোত্র (মূলরহিত) নীরূপ, এবং চক্ষুঃ ও কর্ণরহিত, হস্তপদবিহীন, নিত্য, বিভু, সর্ব্বব্যাপী ও অতি সূক্ষ্ম, সেই যে ভূতযোনি (সর্ব্বকারণ) অক্ষরকে সর্ব্বোতোভাবে অবগত হইয়া থাকেন।।৬।।
ঊর্ণনাভি যেরূপ অপর কোন বস্তুর সাহায্য না লইয়া আপনিই তন্তুরাশি সৃষ্টি করে এবং পুনশ্চ যে সমস্ত আত্মসাৎ করিয়া থাকে; পৃথিবীতে যেরূপ ওষধিসমূহ প্রাদুর্ভূত হয়, এবং জীবৎ পুরুষদেহ হইতে যেরূপ কেশ ও লোমসমূহ সমুৎপন্ন হয়; সেইরূপ এই সংসারে অক্ষর ব্রহ্ম হইতে সমস্ত জগৎ প্রাদুর্ভূত হইয়া থাকে।।৭।।
এই শ্রুতিতে উৎপত্তির ক্রম কথিত হইতেছে,–তপস্যা অর্থাৎ উৎপাদনোপযোগী জ্ঞান দ্বারা [উক্ত ভূতযোনি অক্ষর] ব্রহ্ম উপচয় প্রাপ্ত হন, অর্থাৎ সৃষ্টি বিষয়ে উন্মুখতা লাভ করেন; সেই ব্রহ্ম হইতে অন্ন অর্থাৎ জীবোপভোগ্য অব্যাকৃত প্রকৃতি উৎপন্ন হয়, অন্ন হইতে প্রাণ (হিরণ্যগর্ভ), হিরণ্যগর্ভ হইতে মনঃ (অন্তঃকরণ০, তাহা হইতে সত্যনামক সূক্ষ্ম পঞ্চভূত, তাহা হইতে পৃথিব্যাদি লোকসমূহ, (লোকেতে আবার কর্ম্ম) এবং শুভ কর্ম্মে আবার অমৃত অর্থাৎ কর্ম্মফল সমুৎপন্ন হয়।।৮।।
যিনি সর্ব্বজ্ঞ ও সর্ব্ববিৎ, সর্ব্বজ্ঞতারূপ জ্ঞানই যাঁহার তপস্যা, সেই অক্ষর ব্রহ্ম হইতে পূর্ব্বোক্ত হিরণ্যগর্ভনামক ব্রহ্ম, নাম (সংজ্ঞা), শুক্লাদি রূপ ও ধান্যদি অন্ন সমুৎপন্ন হয়।।৯।।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ