ইসলামের নাম নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সাধারণ মুসলিমদের ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে।
প্রিয় মোসলমান ভাই বোন একটু খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন এই জাকির নায়েক কত জঘন্য কত হিংস্র।
এক জন বিধর্মী ইসলামের জন্য যতটুকু ক্ষতিকর না তার চেয়ে বেশীক্ষতিকর এই জাকির নায়েক।
তার ভন্ডামীর পর্দা ফাশ হয়ে গেছে। তার অনেক আপক্তিকর বক্তব্য রয়েছে যা পবিত্র কুরআনও হাদিসের বিপরীত। ডাঃ জাকির নায়িককে বিশ্বের৫০০ এর অধিক ইসলামিক ইন্সটিটিউট থেকে “কাফির” ফতোয়া দিয়েছে বিস্তারিত দেখুন > http://www.cifiaonline.com
ইয়াহুদী খ্রিস্টানদের দালাল ঈমান চোর জাকির নায়েক প্রকৃত অর্থেই ইসলাম ও সুন্নীয়তের শত্রু সেটা তার কুফরী আকিদা ও কোরআন হাদিসের অপবেক্ষা থেকেই বিষয়টা সুস্পষ্ট হয়ে যায়। তার প্রতিটা ভিডিও ক্লিপ ও লেকচার সমগ্র ভলিউম নং দেখে নিন। তাহলে বুঝতে পারবেন সে কে?
জাকির নায়েকের কুফরী আকিদা ও তার আকিদার সত্ততা খন্ডনে কোরআন হাদিসের দলিল আপনাদের খেদমতে পেশ করছি । অতএব রায় আপনারাই দেবেন ডঃ জাকির নায়েক একটা ভন্ড, বেঈমান, মুনাফেক না কাফের ?
জাকির নায়েক বর্তমান এমন এক বির্তকিত নাম যার বিরুদ্ধে কোন অমুসলিম নয় খোদ বিশ্বের মুসলমানরা তার গুস্তাখীর বিরুদ্ধে এখন সোচ্চার। নবীজির শানে বিশাল গুস্তাখীর দরুন এখন তিনি এখন মুসলমানদের কাছে ঘৃনার পাত্র। তিনি এক লেকচারে ইয়াজিদকে ভালমানুষ বলে তাকে (রাঃ) বলে নিজেকে ইতিমধ্যে প্রমান করেছেন যে তিনি পাপিস্ট ইয়াজিদের উত্তরাধীকারী। সবচেয়ে বড় গুস্তখী তিনি করেছেস সেই নবীর শানে যার কালেমা তিনি নিজেই পড়েন যানি না মন দিয়ে পড়েন নাকি লোক দেখানো। তিনি এক লেকচারে বলেন নবীজিকি মানা আমাদের জন্য হারাম- নাউজুবিল্লাহ। এজন্য আজ বিশ্বের মুসলমান তার বিরুদ্ধে সোচ্চার। খোদ ভারতে বিভিন্ন রাজ্যে লক্ষনৌ সহ অন্যান্য রাজে ধম্যপ্রাণ মুসলমানদের আন্দোলনে তার পিস টিভি ও লেকচার ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আসুন দেখি ধর্মের লেবাসে এই এজিদের গুস্তাখীর নমুনা।
১. জাকির নায়েক এক লেকচারে বলেছে যে, আল্লাহ পাক, উনাকে যে কোন সুন্দর নামে ডাকা যাবে। যুক্তি হিসেবে সে হিন্দুদের বেদ থেকে কতগুলো শ্লোক তুলে ধরে বলেছে যে, আল্লাহ পাক, উনাকে হিন্দুদের দেবতার নাম ধরেও ডাকা যাবে। যেমনঃ ব্রহ্মা অর্থ সৃষ্টিকর্তা (খলীক্ব), বিষ্ণু অর্থ প্রতিপালক (রব) ইত্যাদি। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Concept of God in Major religions- from the CD-”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions) তাহলে জাকির নায়েকের যুক্তি মতে আল্লাহ পাক, উনাকে মুহম্মদ, আহমদ, হাসান প্রভৃতি নামেও ডাকা যাবে কারণ নাম মুবারক গুলো সুন্দর (নাউযুবিল্লাহ)। আল্লাহ পাক কুরআন মজিদের সুরা আ’রাফ এর ১৮০ নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন,“আর আল্লাহ পাক, উনার রয়েছে উত্তম সব নাম মুবারক। কাজেই সেই সব নাম মুবারক এ উনাকে ডাকো।” সুতরাং আল্লাহ পাক, উনাকে ৯৯টি নাম মুবারক এ ডাকা যাবে।
২. জাকির নায়েক সুরা বাকারা এর আয়াত শরীফ ১০৬ ও ১০৮, সূরা আল ইমরান আয়াত শরীফ ২৯, সূরা নেহাল আয়াত শরীফ ৭৭ এবং সূরা ফাতির আয়াত শরীফ ১ ইত্যাদি উল্লেখ করে বলেছে যে, আল্লাহ পাক, উনার সবকিছুর উপর ক্ষমতা রয়েছে কিন্তু আল্লাহ পাক সব কিছু সৃষ্টি করতে অক্ষম। সে আরো বলেছে যে, আল্লাহ পাক সৃষ্টি করতে অক্ষম এমন ১০০০ জিনিসের তালিকা সে তৈরী করতে পারবে। যেমনঃ আল্লাহ পাক লম্বা বেটে মানুষ তৈরী করতে অক্ষম, আল্লাহ পাক তাকে উনার সৃষ্টি জগতের বাহিরে নিক্ষেপ করতে অক্ষম ইত্যাদি। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Is Quraan Word of God, from the CD “Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions) আল্লাহ পাক সুরা ইখলাছ এ ইরশাদ করেন,“আমি (আল্লাহ পাক) বেনিয়াজ।” তাহলে কি করে বলা যেতে পারে যে, আল্লাহ পাক সব কিছু সৃষ্টি করতে পারেন না? একটা সময় তো ছিল যখন সময়ই ছিল না, আল্লাহ পাক সময় সৃষ্টি করলেন। আল্লাহ পাক পিতা-মাতা ব্যতীত হযরত আদম আলাইহিস সালাম, উনাকে সৃষ্টি করলেন। আল্লাহ পাক পিতা ব্যতীত হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম, উনাকে সৃষ্টি করলেন। এর কি জবাব জাকির নায়েক দেবে?
৩. জাকির নায়েক সুরা ত্ব-হা এর আয়াত শরীফ ২৫ এর অর্থ বিকৃত করে বলেছে “হে আল্লাহ পাক ! আমার মস্তিস্ককে (কেন্দ্র) প্রশস্ত করে দিন।” সে আরবী “ছদর” শব্দের অর্থ করেছে “মস্তিস্ক” কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে যে, বর্তমান বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে কল্বব নয় বরং মস্তিস্কই সকল চিন্তা শক্তির উৎস। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) ( Is Quraan Word of God, from the CD-”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions) সূরা মুনাফিকুন আয়াত শরীফ ৩, সূরা বাক্বারা আয়াত শরীফ ৭, সুরা আন আম আয়াত শরীফ ২৫, সূরা আ’রাফ আয়াত শরীফ ১০০, সূরা ইউনুস আয়াত শরীফ ৭৪, সূরা রূম আয়াত শরীফ ৫৯ এ মহান আল্লাহ পাক অবিশ্বাসীদের কল্ববে মোহর প্রসঙ্গে বলেছেন এবং সূরা নাস এর আয়াত শরীফ ৫ মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন যে শয়তান মানুষের ছুদুর (কল্বব) এ অসওয়াসা দেয়। তাহলে এ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মানুষের চিন্তাশক্তি মুলত কল্বব থেকেই। তাই সুরা ত্ব-হা এর ২৫ নম্বর আয়াত শরীফ এর অর্থ হবে, “হে আল্লাহ পাক ! আমার কল্ববকে প্রশস্ত করে দিন।”
৪. জাকির নায়কে কুরআন শরীফ এর আয়াত শরীফ এর সাথে কবির দাস (ভারতের তথাকথিত এক মুসলমান যে ইসলাম ধর্ম এবং হিন্দু ধর্মকে এক করার অপচেষ্টা চালিয়েছে) এর শ্লোকের তুলনা করেছে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (concept of God in major religions- from the CD-”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions) মহান আল্লাহ পাক সূরা ইমরানের ১৯ নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক, উনার নিকট একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম।” আবার একই সূরার ৮৫ নম্বর আয়াত শরীফ এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “যে দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম বা মতবাদের নিয়ম-নীতি গ্রহণ করবে সেটা তার থেকে গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থদের অর্থাৎ জাহান্নামীদের অন্তর্ভূক্ত হবে।” তাহলে একজন মুসলমান কি করে কুরআন শরীফ এর সাথে বাতিল ধর্মের সাদৃশ্য খুজতে পারে?
৫. জাকির নায়েক এক প্রশ্নোত্তর পর্বে সালাত সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে বাইবেল থেকে সালাতের ব্যাখ্যা দিয়েছে এবং সালাতের শারীরিক উপকারিতা তুলে ধরেছে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Concept of God in Major religions, question and answer session- from the CD-”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions) প্রথমতঃ একজন মুসলমান কখনো অন্য ধর্ম থেকে তার ধর্মীয় ব্যাখা দিতে পারে না। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক সূরা ইমরান এর ৮৫ নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “যে দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম বা মতবাদের নিয়ম-নীতি গ্রহণ করবে সেটা তার থেকে গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থদের অর্থাৎ জাহান্নামীদের অন্তর্ভূক্ত হবে।” দ্বিতীয়তঃ সালাতের ধর্মীয় গুরুত্ব না বুঝিয়ে শারীরিক উপকারিতা ব্যাখা করা মুলতঃ মানুষের ইবাদত নষ্টের হীন উদ্দেশ্য বৈ কিছু নয়। কারণ আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টির নিয়ত ব্যতীত ইবাদত করলে তার কস্মিনকালেও গ্রহণযোগ্য হবেনা। কেউ যদি ব্যায়ামের জন্য সালাত আদায় করে কিংবা শরীর কমানোর জন্য রোযা রাখে তাহলে সেই ইবাদত গ্রহনযোগ্য হবেনা।
৬. জাকির নায়েক শিশুদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেছে যে, শিশুদের “সিরাতুম মুস্তাকিম” এর উপর দৃঢ় রাখতে হলে আধুনিক প্রযুক্তি ও ইসলামিক খেলাধুলা প্রয়োজন।(নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Dawah or Destruction, question and answer session – from the CD-”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions) জাকির নায়েক তার এই বক্তব্যে মাধ্যমে চরম জাহিলিয়তা প্রকাশ করেছে। কারণ তার বক্তব্যনুযায়ী যখন প্রযুক্তি উন্নত ছিলনা তখন মানুষ সিরাতুম মুস্তাকিম এর উপর দৃঢ় ছিলনা এবং হারাম কাজ দ্বারা সিরাজতুম মুস্তাকিম এর উপর দৃঢ় থাকা যায়। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম “মুসতাদেরেকে হাকিম” এ ইরশাদ করেন, “সমস্ত খেলাধুলা হারাম।” তাহলে “ইসলামিক খেলাধুলা” কথাটি কোন পর্যায়ের জাহিলতি তা বলার অপেক্ষাই রাখেনা। বরং আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনাদের সন্তুষ্টির মাধ্যমে সিরাতুম মুস্তাকিম এর উপর দৃঢ় থাকা সম্ভব।
৭. জাকির নায়েক তার এক লেকচারে বলেছে যে, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত মুসা আলাইহিস সালাম, উনারা আল্লাহ পাক উনার মনোনীত রসূল ছিলেন এবং একই সাথে উনারা দুনিয়ার রাজা ছিলেন। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Similarities between Islaam and Christianity- from the CD-”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions) জাকির নায়েকের এই বক্তব্য স্পষ্টতঃ ইসলাম বিরোধী এবং ইহানতপূর্ণ। আল্লাহ পাক সূরা নমল এর ৩৪ নম্বর আয়াত শরীফ এ রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে বলেছেন এবং সূরা ইমরানের ১৯ নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক, উনার নিকট একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম।”
৮. জাকির নায়েক চ্যালেঞ্জ করেছে যে, যদি কোন খৃষ্টান বাইবেল থেকে তাকে দেখাতে পারে যে, যিশু নিজেকে খোদা বলেছে তবে সে খৃষ্টান ধর্ম গ্রহণ করবে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Similarties between Islaam and Christianity- from the CD-”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions) তার বক্তব্যের দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সে কত বড় ধরণের মূর্খ। তার বক্তব্য মতে, এখন কোন ব্যক্তি যদি ফেরাউনের মত খোদা দাবী করে তবে সে ঐ ব্যক্তিকে খোদা হিসেবে মেনে নেবে এবং তার ধর্ম গ্রহণ করবে। মহান আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ এ ইরশাদ করেন, “পূর্বে ওহী দ্বারা নাযিলকৃত দ্বীন এবং পূর্বে,বর্তমানে এবং পরে মানবরচিত সমস্ত মতবাদ রদ করে সত্য দ্বীন ও হিদায়েতসহ উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন।” আবার হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসনদে আহমদ ও বায়হাক্বী শরীফ এ ইরশাদ করেন, “অবশ্যই আমি তোমাদের নিকট পরিপূর্ন, উজ্জ্বল ও পরিস্কার দ্বীন নিয়ে এসেছি। হযরত মুসা আলাইহিস সালাম উনিও যদি দুনিয়ায় থাকতেন, তাহলে উনাকেও আমার অনুসরণ করতে হতো।” যেখানে আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ওহী দ্বারা নাযিলকৃত ইঞ্জিল শরীফ রদ করে দিয়েছেন সেখানে ইঞ্জিল শরীফ এর বিকৃতরূপ বাইবেল কি হক্ব হতে পারে?
৯. জাকির নায়েক বুখারী শরীফ এর হাদীস শরীফ উদ্ধতি দিয়ে বলেছে যে, মুসলমানদের জন্য দাড়ি রাখা ফরয নয় সুন্নত। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Muhammed in various world religious scriptures – from the CD-”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions) তার এই বক্তব্য দ্বারা সে প্রমাণ করেছে সে কত বড় গন্ড মুর্খ! কারণ কুরআন শরীফ এর নির্দেশমুলক বাক্য “তোমরা নামায কায়িম কর” দ্বারাই নামায ফরয সাব্যস্ত হয়েছে। অনুরূপভাবে হাদীছ শরীফ এ “তোমরা (পুরুষরা) দাড়ি লম্বা করো” এই নির্দেশমুলক বাক্য দ্বারাই দাড়ি রাখা ফরয সাব্যস্ত হয়েছে।
১০. জাকির নায়েক বলেছে যে, মুসলমানদের জন্য টাই পরা জায়িজ। কারণ বাইবেলের কোথাও টাইকে ক্রুশের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। সে আরো বলেছে, টাই যদি ক্রুশের মত হয়ে থাকে তবে কুর্তা আরো বেশী ক্রুশের মত। সে আরো বলেছে যে, যে কোন পোশাক পরিধান করা যাবে যদি সেটি শরীয়া বিরোধী না হয়। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Muhammed in various world religious scripture- from the CD -”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions) জাকির নায়েক কত বড় মাপের মূর্খ যে সে বাইবেলে ইসলামী আদেশ-নিষেধ খুজে বেড়ায়! মহান আল্লাহ পাক সূরা মায়িদার ৪৪ নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “আল্লাহ পাক তিনি যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী যারা আদেশ-নির্দেশ করবেনা তারা কাফির।” মহান আল্লাহ পাক সূরা ইমরান এর ৮৫ নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “যে দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম বা মতবাদের নিয়ম-নীতি গ্রহণ করবে সেটা তার থেকে গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থদের অর্থাৎ জাহান্নামীদের অন্তর্ভূক্ত হবে।” আবার হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিশকাত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথে হবে।”
১১. জাকির নায়েককে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, সে কেন বিধর্মীদের ধর্মগ্রন্থ থেকে উদ্ধতি দিয়ে ইসলামের অনেক বিষয়ের ব্যাখা করার চেষ্টা করে। জবাবে সে বলেছে, কারণ বিধর্মীরা কুরআন শরীফ বিশ্বাস করেনা। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Muhammed in various world religious scriptures – -”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions) সে যে কত বড় জাহেল তা আরেক বার প্রমাণ করলো। যদি কোন বিধর্মীকে তার বাতিল ধর্মগ্রন্থ থেকে দলীল পেশ করে ইসলামী বিষয় ব্যাখ্যা করা হয় তবে অবশ্যই সেই বিধর্মী নিজের ধর্মকে হক্ব মনে করবে এবং সে তার বাতিল ধর্মের উপর দৃঢ় হবে। মহান আল্লাহ পাক সূরা মায়িদার ৪৪ ও ৪৫ নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “আল্লাহ পাক তিনি যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী যারা আদেশ-নির্দেশ করবেনা তারা কাফির ও জালিম।” সুতরাং বলার অপেক্ষাই রাখেনা যে বা যারা বাতিল ধর্মগ্রন্থ দলীল হিসেবে ব্যবহার করে তা কোন তবকার লোক।
১২. জাকির নায়েক বলেছে যে, সে অন্ধভাবে পরকাল, জান্নাত, জাহান্নাম, রূহ, জ্বিন, ফেরেস্তা বিশ্বাস করে না। সে যুক্তি এবং সম্ভবনা তত্ত্ব (theory of probably) দ্বারা বিশ্বাস করে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Quraan and Modern Science- conflict or conciliation- —”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions) তার এই বক্তব্য স্পষ্টতঃ সূরা বাক্বারা এর ২ এবং ৩ নম্বর আয়াত শরীফ বিরোধী। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “এ সেই কিতাব মুবারক যাতে কোন সন্দেহ নেই। মুত্তাকিদের জন্য যারা অদৃশ্যের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে।”
১৩. জাকির নায়েক ইসলামে বহু বিবাহের কারণ হিসেবে নারীদের সাংখ্যাধিক্যকে তুলে ধরেছে। করে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Quraan and Modern Science- conflict or conciliation- —”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions) তার এই ব্যাখ্যা স্পষ্টতঃ মনগড়া ও বানোয়াট। কারণ আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা বহু বিবাহের কারণ নারীর আধিক্য এ কথা বলেননি। বুখারী ও মুসলিম শরীফ ইরশাদ হয়েছে, “কেয়ামতের লক্ষণ হলো- জ্ঞানচর্চা উঠে যাবে, মূর্খতা বৃদ্ধি পাবে, ব্যভিচারের প্রসার হবে, মদ্যপান বেড়ে যাবে,পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে এবং নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।” জাকির নায়েক যদি এই হাদীছ শরীফ দ্বারা ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে তবে ইসলামের প্রাথমিক যুগের ব্যাপারে কি বলবে?
১৪. জাকির নায়েক আযানকে মুসলমানদের “আন্তর্জাতিক সংগীত” হিসেবে উল্লেখ করেছে।(নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Salaah- The programming towards righteousness- —”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12) ইসলামে সংগীত সম্পূর্ণ হারাম। মহান আল্লাহ পাক সূরা লুকমান এর ৬ নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “মানুষের মধ্যে কিছু লোক রয়েছে যারা লাহওয়াল হাদীছ (গান-বাজনা) খরিদ করে থাকে। যেনো বিনা ইলমে মানুষদেরকে আল্লাহ পাক উনার পথ থেকে বিভ্রান্ত করে এবং হাসি-ঠাট্টা রূপে ব্যবহার করে, তাদের জন্য অপমানজনক শাস্তি রয়েছে।” হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “আমি বাদ্যযন্ত্র ও মুর্তি ধ্বংসের জন্য প্রেরিত হয়েছি।” তাহলে আযানকে হারাম সংগীতের সাথে তুলনা করা কত বড় কুফরী কাজ তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
১৫. জাকির নায়েক সূরা বাক্বারা এর ২৩ নম্বর আয়াত শরীফ উল্লেখ করে বলেছে যে, আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ তৈরী করেছেন।(নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Salaah- The programming towards righteousness- —”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik,Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions) তার এই বক্তব্য প্রমাণ করলো সে বাতিল মোতাজিলা ফিরকার অনুসারী। কারণ মোতাজিলা ফিরকার অনুসারীরা কুরআন শরীফ কে আল্লাহ পাক উনার মাখলুকাত তথা সৃষ্টিবস্তু মনে করে। মুলতঃ কুরআন শরীফ আল্লাহ পাক উনার কালাম। যদি আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ সৃষ্টিই করতেন তবে একটা সময় (কুরআন শরীফ সৃষ্টি করার পূর্বে) আল্লাহ পাক ইলমহীন অবস্থায় ছিলেন (নাউযুবিল্লাহ)
১৬. জাকির নায়েক নাস্তিকদেরকে স্বাগত জানায় কারণ তারা কলেমা শরীফ এর প্রথম অংশ “লা ইলাহা” অর্থাৎ “কোন প্রভু নেই” স্বীকার করে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Quraan and Modern Science- conflict or conciliation- —”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions) প্রথমত কালেমা শরীফ এর প্রথম অংশ হলো “লা ইলাহা ইল্লালাহ” অর্থাৎ “আল্লাহ পাক ব্যতীত কোন ইলাহ নেই” কিন্তু জাকির নায়েক “ইল্লালাহ” বাদ দিয়ে বলেছে। দ্বিতীয়তঃ তার মত কুফরী আক্বীদা পোষণ করে কেউ যদি সারা জীবন কলেমা শরীফ পড়েও থাকে তবুও সে ৭২টি বাতিল ফিরকার সাথে জাহান্নামী হবে।
১৭. জাকির নায়েক তার চরম মূর্খতা জাহির করে বলেছে যে, কোন ধর্মীয়গ্রন্থটি প্রকৃত পক্ষে সৃষ্টিকর্তা উনার কালাম?, তার চুড়ান্ত পরীক্ষা বিজ্ঞান দ্বারা সম্ভব। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Symposium- religion in the right perspective——”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions) জাকির নায়েকের এই বক্তব্য স্পষ্টত কুরআন শরীফ বিরোধী। মহান আল্লাহ পাক সূরা বাক্বার এর ২ নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “এ সেই কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই, এটি মুত্তাকীদের জন্য পথ প্রদর্শক।” যেখানে মহান আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ এর ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করতে নিষেধ করলেন, সেখান জাকির নায়েক কি করে কুরআন শরীফ এর শুদ্ধতা বিজ্ঞান দ্বারা করতে চায়? বরং বিজ্ঞান নামক ইলমটি কুরআন শরীফ এর অংশ মাত্র।
১৮. জাকির নায়েক বলেছে যে, মুসলমান এবং হিন্দুদের মধ্যে মুল পার্থক্য হলো মুসলমান বিশ্বাস করে সবকিছু সৃষ্টিকর্তার অর্থাৎ everything is God’s অন্যদিকে হিন্দুরা বিশ্বাস করে সবকিছু সৃষ্টিকর্তা অর্থাৎ everything is God. (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Universal brotherhood- ——”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions) জাকির নায়েকের ভাষ্য মতে, মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে পার্থক্য হলো এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস অর্থাৎ তওহীদে বিশ্বাস। তার যুক্তিমতে হিন্দুদের জাত ব্রাহ্মণরাও মুসলমান কারণ তারাও এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী। প্রকৃত আহলে কিতাব (ইহুদী, খৃষ্টান)রা এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী ছিল, সুতরাং জাকির নায়েকের যুক্তি মতে তারা মুসলমান। কিন্তু মুসলমান হওয়ার মূল শর্ত হলো তওহীদের সাথে রিসালতে বিশ্বাসী হবে এবং আক্বীদা শুদ্ধ হবে।
১৯. জাকির নায়েক সূরা বাক্বার এর ১৫৪ নম্বর আয়াত শরীফ উল্লেখ করে বলেছে যে, আয়াত শরীফ এ উল্লেখিত “…..বরং তারা জীবিত……” এর অর্থ হলো পরকালে তারা আবার জীবিত হবে (পুনরুত্থান) এবং তাদের পুরস্কিত করা হবে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) ( Terrorism & Jihaad- an islaamic perspective- released by Peace Center)
সূরা বাক্বারা এর ১৫৪ নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ হয়েছে, “আরা যারা আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় শহীদ হয়, উনাদেরকে তোমরা মৃত বলো না। বরং উনারা জীবতি কিন্তু তোমরা তা বুঝো না।” এখানে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, উনারা দুনিয়াতে শহীদ হবার পরও জীবিত পরকালে তো অবশ্যই। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিরমিযী শরীফ ও মিশকাত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি কুরআন এর মনগড়া বা স্বীয় রায় অনুযায়ী তাফসীর বা ব্যাখ্যা করবে সে যেন তার স্থান দোযখে নির্ধারণ করে নেয়।” সুতরাং জাকির নায়েক যে কোন স্তরের লোক তা বলার অপেক্ষাই রাখেনা। প্রমাণ = ডাঃ জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং-১,২,৩,৪,৫ ]
(৩) পবিত্র কোর আন শরীফের মধ্যে ব্যাকরণ গত ভুল-ত্রুটি আছে, [ ডাঃ জাকির নায়েক লেকচার, ভলিয়াম ১, পৃষ্ঠা=৫১২ ]
(৪) ডাঃ জাকির নায়েক বলেন- হিন্দু গ্রন্থ”বেদ”এই টি আল্লাহ পাকের কিতাব, [ ডাঃ জাকির নায়েক লেকচার, ভলিয়াম ২, পৃষ্ঠা=১৬২ ]
(৫) ইসলামে ৪ জন মহিলা নবী এসেছেন, তারা হলেন- বিবি মরিয়ম (আঃ), বিবি আছিয়া (আঃ), বিবি ফাতেমা (রাঃ) ও বিবি খাদীজা (রাঃ) ।
(৬) হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার রাওজা মুবারকে সশরীরে মৃত
(৭) কোর আন শরীফ স্পর্শ করার জন্যে কোন অযুর প্রয়োজন নেই ,
(৮) হায়েয_নেফাস ঋতুবর্তী মহিলারা কোর আন পড়তে পারবে
(৯) আরবী”হুর”শব্দটির অপ-ব্যাখ্যা ,
(১০) হাদীস শরীফের অর্থ বিকৃতি করে ভ্রান্ত মতবাদ
(১১) দাজ্জাল সম্পর্কে মন গড়া ভ্রান্ত মতবাদ
(১২) ঈদের দিন জোম আ নামায পড়া লাগেন না,
[ ডাঃ জাকির নায়েক লেকচার, ভলিয়াম ৫, পৃষ্ঠা=৪৭৬ ]
(১৩) ঈদের নামাযে অতিরিক্ত ১২ তাকবীর দিতে হবে
(১৪) তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ এক ই নামায
(১৫) তারাবীহ নামায শুধু ৮ রাক আত আদায় করতে হবে
(১৬) ফজরের আযানের পর সাহরী খাওয়া যাবে বলে ভ্রান্ত মতবাদ
(১৭) ভূল অজ্ঞতা বা বাধ্যতার কারনে রোযা না ভাঙ্গার ভ্রান্ত মতবাদ
(১৮) নারী ও পুরুষের নামায এক ই নিয়ম বলে ভ্রান্ত মতবাদ
(১৯) জুমার খোতবা যে কোন ভাষায় দিতে পারে বলে ভ্রান্ত মতবাদ
(২০) ৩ তালাক কে ১ তালাক বলে ভ্রান্ত মতবাদ
(২১) মহিলাদের চেহারা ঢাকতে হবে না বলে ভ্রান্ত মতবাদ
(২২) খৃষ্টান শার্ট-প্যান্ট-ট -াই -কোর্ট এই গুলো নামায আদায়ের সবচাইতে উত্তম পোষাক ।
(২৩) কাকড়া ও কচ্ছপ খাওয়া হালাল
(২৪) ডাঃ জাকির নায়েক বলেন- মহিলাদের মসজিদে গিয়ে নামায পড়তে কোন অসুবিধা নাই
(২৫) রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একাধিক বিবাহ ছিল”রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ।
(২৬) ডাঃ জাকির নায়েক বলেন ঃ ক্বাযা নামায পড়া লাগে না ।
(২৭) বিশ্ব-বিখ্যাত যুগশ্রেষ্ঠ তাবেয়ী ও শ্রেষ্ট ফকীহ ইমাম আযম আবু হানীফা (রাহঃ) সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ ও মিথ্যা অপ-প্রসার ।
(২৮) ডাঃ জাকির নায়েক বলেন- ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ভুল করেছেন,
ইমাম শাফেয়ী (রহ) ভুল করেছেন,
ইমাম মালেক (রহ) ভুল করেছেন,
ইমাম হাম্বলী সবাই শুধু ভুল করেছেন,
[ ডাঃ জাকির নায়েক লেকচার, ভলিয়াম নং-৫, পৃষ্ঠা=৯২ ]
(২৯) ডাঃ জাকির নায়েকের সমাবেশে একসাথে নারী-পুরুষ, খৃষ্টান ধর্ম ও হিন্দু ধর্মের ব্যপক প্রচার ও ব্যপক প্রসার ।
(৩০) কাফির শিয়া ও সুন্নীদের মধ্যে পার্থক্য টা শুধু মাত্র”রাজনৈতিক”, আক্বীদা গত নয় ।
(৩১) ২ ওয়াক্ত নামায কে একত্রিত করণ সম্পর্কে ভ্রান্ত মতবাদ।
মহিলাদের মসজিদে নামাজ আদায় প্রসঙ্গে
ড. জাকির নায়েক এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছে যে,
কুরআনে এমন কোন দলীল নেই যা মহিলাদের মসজিদে যেতে নিষেধ করে | এমনকি কোন হাদীছও এমন নেই। যেখানে বলা হয়েছে যে, মহিলারা মসজিদে যেতে পারবে না | বরং এর বিপরীতে অনেক হাদীছ আছে |
সহীহ বুখারী শরীফ-এ আছে যখন তোমার স্ত্রী মসজিদে যাওয়ার অনুমতি চায় তখন তাদের নিষেধ কর না | (হাদীছ নং ৮৩২)
এমনকি সহীহ বুখারীতে আছে, যদি তোমার স্ত্রী রাতের বেলায়ও মসজিদে যেতে চায় তাহলে তাকে অনুমতি দাও | হাদীছ নং ৮২৪ | মুসলিম শরীফ-এ আরও আছে, হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত | মহিলাদের জন্য মসজিদে সবচেয়ে ভালো স্থান হচ্ছে তারা প্রথম কাতারে দাঁড়াবে আর পুরুষরা শেষ কাতারে দাঁড়াবে | অথবা পুরুষরা প্রথম কাতারে দাঁড়াবে আর মহিলাদের জন্য ভাল হলো শেষ কাতারে দাঁড়ানো |
√ দলীল- বুখারী শরীফ ১ম খন্ড, হাদীছ নং ৮৮১; সূত্র ডাক্তার জাকির নায়েক উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর ৪/২৩৪, পিস পাবলিকেশন্স, ঢাকা
জাকির নায়েকের উপরোক্ত ভ্রান্ত বক্তব্যের জবাব-
হাদিস নং ১:-
عن حضرت ام حميد امرأة ابى حميد الساعدى انها جاءت النبى صلى الله عليه وسلم فقالت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم انى احب الصلوة معك، قال علمت انك تحبين الصلاة معى، وصلاتك فى بيتك خيرلك من صلاتك فى حجرتك وصلاتك فى حجرتك خير من صلاتك فى دارك وصلاتك فى دارك خيرلك من صلاتك فى مسجد قومك وصلاتك فى مسجد قومك خيرلك من صلاتك فى مسجدى، قال فأمرت فبنى لها مسجد، فى اقصى شىء من بيتها واظلم فكانت تصلى فيه حتى لقيت الله عزوجل
অর্থ : হযরত উম্মে হুমাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি একবার হুযূর পাক صلى الله عليه و آله وسلم এর খিদমতে হাজির হয়ে আরয করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم ! আপনার সাথে নামায পড়ার আমার খুবই ইচ্ছে হয় |
হুযূর পাক صلى الله عليه و آله وسلم ইরশাদ করলেন, আমি জানি, আপনি আমার সাথে নামায পড়তে ভালোবাসেন | কিন্তু মনে রাখবেন, বদ্ধ ঘরে আপনার নামায পড়া খোলা ঘরে নামায পড়ার চেয়ে উত্তম | আর খোলা ঘরের নামায বারান্দার নামাযের চেয়ে উত্তম। আর বারান্দার নামায মহল্লার মসজিদের নামাযের চেয়ে উত্তম | আর মহল্লার মসজিদের নামায আমার মসজিদের (মসজিদে নববী শরীফ) নামাযের চেয়ে উত্তম | এই ইরশাদ শ্রবণের পর হযরত উম্মে হুমাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি স্বীয় ঘরের সবচেয়ে নির্জন কোণে বিশেষভাবে নামাযের জায়গা তৈরি করেন এবং ইনতিকাল পর্যন্ত সেখানেই নামায পড়তে থাকেন | সুবহানাল্লাহ!
√ দলীল- মুসনাদে আহমদ শরীফ, ছহীহ ইবনে খুযাইমা শরীফ, ছহীহ ইবনে হিব্বান শরীফ, সূত্র: আত তারগীব- ১/১৩৫
হাদিস নং ২:-
عن ام الـمؤمنين حضرت عائشة الصديقة عليها السلام قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لان تصلى الـمراة فى بيتها خير من ان تصلى فى حجرتها خير من ان تصلى فى الدار، ولان تصلى فى الدار خير من ان تصلى فى الـمسجد
অর্থ: উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বলেন, রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم বলেছেন , মহিলাদের বদ্ধ কামরার মধ্যে নামায পড়া খোলা কামরায় নামায পড়ার চেয়ে উত্তম | আর খোলা কামরার নামায বারান্দার নামাযের চেয়ে উত্তম | আর ঘরের বারান্দার নামায মহল্লার মসজিদের নামাযের চেয়ে উত্তম |
√ দলীল- তবারানী শরীফ- সূত্র: কানযুল উম্মাল শরীফ- ৮/২৬৮
হাদীছ নং ৩ :-
عن حضرت ابن مسعود رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الـمرأة عورة فاذا خرجت استشرفها الشيطان. رواه الترمذى وقال حديث حسن صحيح غريب وابن خزيمة وابن حبان فى صحيحها بلفظ وزادا واقرب ما تكون من وجه ربها وهى فى قعر بيتها.
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্নিত, রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم বলেছেন , নারী জাতি পর্দার সহিত বা আবৃত অবস্থায় অবস্থান করবে | তারা যখন বাড়ি থেকে বের হয় তখন শয়তান তাদেরকে মানুষের দৃষ্টিতে তুলে ধরে | পক্ষান্তরে মহিলারা স্বীয় বাড়ির সবচেয়ে গোপন স্থানে মহান আল্লাহ পাক উনার অধিক নৈকট্য লাভ করে থাকে |
√ দলীল- তবারানী ফিল আওসাত, সূত্র: আত তারগীব- ১/১৩৬
হাদীছ নং ৪:-
عن ام الـمؤمنين حضرت ام سلمة عليها السلام عن رسول الله صلى الله عليه قال خير مساجد النساء قعر بيوتـهن.
অর্থ : উম্মুল মু’মিনীন হযরত উম্মে সালামা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم বর্ণনা করেন যে, মহিলাদের জন্য সর্বোত্তম মসজিদ হলো তাদের বাড়ির গোপন প্রকোষ্ঠ |
√ দলীল- ছহীহ ইবনে খুযাইমা, মুসতাদরাকে হাকিম, সূত্র: আত তারগীব
হাদীছ নং ৫:-
عن حضرت عبد الله بن مسعود رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلوة الـمراة فى بيتها افضل من صلوتـها فى حجرتها، وصلوتـها فى مخدعها افضل من صلوتها فى بيتها.
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم ইরশাদ করেন, মহিলাদের ঘরের নির্জন কোণে নামায পড়া এটা (খোলা) ঘরে নামায পড়ার চেয়েও উত্তম |
√ দলীল- আবূ দাউদ শরীফ, ছহীহ ইবনে খুযাইমা শরীফ, সূত্র: আত তারগীব- ১/১৩৫
হাদীছ নং ৬:-
عن حضرت ابى عمرو الشيبانى انه رأى عبد الله يخرج النساء من المسجد يوم الجمعة ويقول اخرجن الى بيوتكن خير لكن.
অর্থ : হযরত আবু আমর শায়বানী বলেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে দেখেছি তিনি জুমুয়ার দিন মহিলা উনাদেরকে মসজিদ থেকে বের করে দিতেন এবং বলতেন আপনারা বের হয়ে যান | আপনাদের ঘরই আপনাদের জন্য উত্তম |
√ দলীল- তবারানী শরীফ, আত তারগীব- ১/১৩৬
হাদীছ নং ৭:-
ليس على النساء غزو ولا جمعة ولا تشبيع جنازة.
অর্থ : মহিলাদের জন্য জিহাদও নেই জুমুয়ার নামাযও নেই এবং জানাযায় শরীক হওয়া নেই |
√ দলীল- তবারানী ফিছছগীর শরীফ, কানযুল উম্মাল শরীফ- ৮/২৬৪
হাদীছ নং ৮:-
উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা থেকে বর্নিত, একবার রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم
মসজিদে বসা ছিলেন এমন সময় মুযাইনা গোত্রের জনৈকা মহিলা সুন্দর পোশাকে সজ্জিতা হয়ে অহঙ্কারী চালে মসজিদে এসে উপস্থিত হলেন |
রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم বললেন যে, হে লোক সকল! তোমরা স্বীয় মহিলাদেরকে উগ্র পোশাক পরিধান থেকে এবং মসজিদে অঙ্গভঙ্গি করা থেকে বিরত রাখো | বনী ইসরাইলরা ততক্ষণ পর্যন্ত অভিশপ্ত হয় নাই যতক্ষণ না তাদের মহিলারা উগ্র পোশাক পরা এবং মসজিদে অহঙ্কারী পদক্ষেপে চলা শুরু করেছে |
√ দলীল- ইবনে মাজাহ শরীফ
হাদীছ নং ৯:-
اذا استعطرت الـمراة فمرت على القوم ليجدوا ريحها فهى زانية.
অর্থ : যখন কোন মহিলা সুগন্ধি লাগিয়ে বের হয় আর লোকেরা তার খুশবু পায় সেই মহিলা ব্যভিচারী হিসেবে গণ্য হয় |
√ দলীল- নাসায়ী শরীফ, ইবনে খুযাইমা শরীফ, তারগীব তারহীব শরীফ
হাদিস নং ১০:-
এই ফিতনার কথা উপলব্ধি করেই উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বলেছিলেন, যদি রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم মহিলাদের এই (দুঃখজনক) অবস্থা দেখতেন তাহলে অবশ্যই তাদেরকে মসজিদে আসতে নিষেধ করে দিতেন | যেমন নাকি বনী ইসরাইলের মহিলাদেরকে মসজিদে আসতে নিষেধ করে দেয়া হয়েছিল |
√ দলীল- বুখারী শরীফ- ১/১২০
হযরত উম্মু হুমাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইরশাদ মুবারক উনার উপর আমল করার জন্যেই মসজিদ ছেড়ে সারাজীবন বাড়ির নির্জন প্রকোষ্ঠে নামায আদায় করেছেন এবং সে যুগের মহিলারা সাধারণভাবে এটাই করতেন |
বুখারী শরীফ-এর বিখ্যাত ব্যাখ্যাকার আল্লামা হযরত বদরুদ্দীন আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আজকের যুগে খোদার পানাহ! আজকের যুগে মহিলারা যে বিদয়াত আর নিষিদ্ধ জিনিস অবলম্বন করছে, পোশাকপরিচ্ছদ আর রূপচর্চায় তারা যে নিত্যনতুন ফ্যাশন আবিষ্কার করছে যদি উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা (রা) তিনি এই দৃশ্য দেখতেন তাহলে আরও কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতেন | এর পরে হযরত আল্লামা আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা (রা) এর উক্ত মন্তব্য তো
রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم বিছাল শরীফ এর কিছুদিন পরের মহিলাদের সম্বন্ধে | অথচ আজকের যুগের মহিলাদের উগ্রতা আর বেহায়াপনার হাজার ভাগের এক ভাগও সেকালে ছিল না | তাহলে এ অবস্থায় তিনি কি মন্তব্য করতেন?
√ দলীল- আইনী শরহে বুখারী- ৩/২৩১
আল্লামা হযরত বদরুদ্দীন আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হিজরী নবম শতাব্দীর মহিলাদের সম্বন্ধে এই কথা বর্ণনা করেছেন | তাহলে আজ হিজরী পঞ্চদশ শতাব্দীর এই সূচনালগ্নে সারা বিশ্ব যে অশ্লীলতা আর উলঙ্গপনার দিকে ছুটে চলেছে | বেপর্দা আর বেহায়াপনার আজ যে ছড়াছড়ি, মেয়েরা যখন পুরুষের পোশাক পরছে, বব কার্টিং করছে, পেট পিঠ খুলে পার্কে হাওয়া খেয়ে বেড়াচ্ছে, সমানাধিকারের শ্লোগান দিয়ে সম্মানিত ওহী মুবারক উনার দ্বারা প্রবর্তিত সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার হুকুম-আহকাম সম্পর্কে চু-চেরা ও কীল ও ক্বাল করছে | নাঊযুবিল্লাহ!
নামাজে উচু এবং নিচু হবার সময় তাকবীর বলা / নাবলা
সহীহ মুসলিম এর ৪/ কিতাবুস স্বলাত অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) - ৭৫৫ মুহাম্মদ ইবনুূু মিহরান আর রাযি (রহঃ) আবূ সালামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। আবূ হুরায়রা (রাঃ) সালাত (নামায/নামাজ) প্রত্যেক বার উচু এবং নিচু হবার সময় তাকবীর বলতেন। আমরা বললাম, হে আবূ হুরায়রা! এ কেমন তাকবীর? তিনি বললেন , এটাইতো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত (নামায/নামাজ)।
সহীহ মুসলিম এর ৪/ কিতাবুস স্বলাত অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) - ৭৭৩ মুহাম্মাদ ইবনুূুল মূসান্না ও ইবনুূু বাশশার (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বাকর, উমার ও উসমান (রাঃ) -এর পেছনে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছি, কিন্তু তাঁদের কাউকে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম সরবে পড়তে শুনিনি।
চার কালিমা
নবী করীম (সা:)এরশাদ করেছেন: ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির উপর স্থাপিত : কালিমা-নামায-রোজা-হজ্ব-যাকাত (বুখারী ও মুসলিম)
উক্ত হাদীসে রাসূলে আকরাম (সা:) ইসলাম ধর্মের বুনিয়াদ অর্থাৎ ফাউন্ডেশন বা ভিত্তি প্রস্তর হিসাবে পাঁচটি জিনিসকে ঘোষনা করেছেন। তন্মধ্যে প্রথম এবং প্রধান হল কালিমা।
১. কালিমায়ে তাইয়িবাহ্ : শব্দের অর্থ-পবিত্র বাক্য।
আরবি : لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ
উচ্চারণ ঃ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।
বাংলা অর্থ ঃ আল্লাহ এক আর কোন মাবুদ নেই। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল।
২. কালিমা শাহাদৎ
আরবি : اشْهَدُ انْ لّآ اِلهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه، وَ اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدً اعَبْدُهوَرَسُولُه
উচ্চারণ ঃ আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।
বাংলা অর্থ ঃ আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নেই। তিনি এক। তাঁহার কোন অংশীদার নেই, এবং আমি আরও সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, নিশ্চয়ই হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহ্র প্রেরিত বান্দা ও রাসূল।
৩. কালিমায়ে তাওহীদ :
لا اله الا انت وحدا لا ثانى لك محمد رسول الله امام المتقين رسول رب العلمين
উচ্চারণঃ- লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা ওয়াহিদাল্-লা-ছানিয়া-লাকা মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহি ইমামুল মুত্তাক্বিনা রাসুলু রব্বিল আলামিন।
অর্থঃ- হে আল্লাহ্! তুমি ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই, তুমি এক, তোমার কোন দ্বিতীয় স্বত্ত্বা নেই, মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল। ধর্মভীরুদের ইমাম, তিনি জগতের প্রতিপালক প্রভূর মহান দূত।
৪. কালিমায়ে তামজীদ :
لااله الا انت نورا يهدى الله لنوره من يشاء محمد رسول الله امام المرسلين خاتم النبين
উচ্চারণঃ- লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা নূরাই ইয়াহ্দি আল্লাহু লিনূরিহি মাই-ইয়াশাউ-মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহি ইমামুল মুরছালিনা খাতামুন্ নাবিয়্যিন।
অর্থঃ- হে আল্লাহ্! তুমি ছাড়া নেই কোন ইলাহ্, তুমি জ্যোতির্ময় আল্লাহ্! তোমার নূর দ্বারা যাকে ইচ্ছা তাকেই সৎপথ প্রদর্শন করেছ। মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর বার্তাবাহক, সমস্ত রাসূলগণের ইমাম বা নেতা, সর্বশেষ নবী।
তুইযে কোন নিকৃষ্ট মায়ের নিকৃষ্ট সন্তান জানিনা, কয় বাবার সন্তান সেটাও জানিনা তোর মুখটা খুব দেখতে ইচ্ছা করছে যদি সম্ভব হয় ইমেইলে যোগাযোগ করবি
ReplyDeleteজাকির নায়েক চ্যালেঞ্জ করেছে যে, যদি কোন খৃষ্টান বাইবেল থেকে তাকে দেখাতে পারে যে, যিশু নিজেকে খোদা বলেছে তবে সে খৃষ্টান ধর্ম গ্রহণ করবে
ReplyDelete.
আপনার উদাহরণটি: এখন কোন ব্যক্তি যদি ফেরাউনের মত খোদা দাবী করে তবে সে ঐ ব্যক্তিকে খোদা হিসেবে মেনে নেবে এবং তার ধর্ম গ্রহণ করবে
.
"মূর্খ এটা একটা চ্যালেঞ্জ গোটা বিশ্বে খ্রিস্টানদের উপর যা এখনো তারা গ্রহণ করতে পারেনি" ভুল ব্যাখ্যা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। আপনার উদাহরণটি তার কথার সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক যেটা পাগল ও বুঝবে " পাঠকদেরকে নিজের মতো মূর্খ মনে করেন। দালালি অন্য জায়গায় কইরেন