শিয়া ও সুন্নি কারা - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

13 January, 2020

শিয়া ও সুন্নি কারা

অনেক মুসলিমের মনেই ভুল ধারণা যে, শিয়া সম্প্রদায় অন্য আর দশটা উপদলের মতই ইসলামের একটি শাখামাত্র। অনেকেই আবার ইরানকে আদর্শ মুসলিম দেশ হিসেবে কল্পনা করেন। কুর’আন হাদিসের কোথাও শিয়াদের উল্লেখ নেই।আরবি শিয়া শব্দের অর্থই হলো গোষ্ঠী। শিয়ারাই হলো রাজনৈতিক কারণে মুসলিমদের মূল জামা’আত থেকে স্বেচ্ছায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া প্রথম গোষ্ঠী, যারা পরবর্তীতে নিজেদের মনগড়া ভ্রান্ত আকিদা গড়ে নিয়েছে। শিয়াদের মধ্যেও ভাগ আছে। ইমামিয়্যাহ, ইসনে আশারিয়্যাহ, ইসমাইলি, নুসাইরিয়্যাহ প্রভৃতি। এদেরকেই রাফেজি বলা হয়। শুধুমাত্র যায়িদিয়া সম্প্রদায় ছাড়া বাকি শাখাগুলোর আকিদা কুফরে পরিপূর্ণ।মুহাম্মদের মৃত্যুর পর যারা খলিফা হিসাবে আবু বকরকে সাপোর্ট করেছিলো তারা হলো সুন্নি আর যারা হজরত আলীকে সাপোর্ট করে ছিলো তারা হলো শিয়া.যদিও মুহাম্মদের ইচ্ছা ছিলো যে আলী যাতে তার পরবর্তী মুসলিমদের নেতা হয়.কিন্তু আবু বকরের সাপোর্টে লোক সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে আবু বকর প্রথম খলিফা হোন.আর এটা তো শিয়াদের জন্য দুঃখের কারণ ছিলোই কিন্তু তার পর যা হয়েছে তার জন্য শিয়ারা আরও বেশি দুঃখিত কারণ এই সুন্নিদের প্রথম ও দ্বিতীয় খলিফা অর্থাৎ আবু বকর ও উমর মিলে মুহাম্মদের কন্যা ফাতেমাকে পিটিয়ে হত্যা করে ও তার সম্পত্তি ফাতেমার কাছ থেকে খলিফারা কেড়ে নেয়.তারপর ইসলামের পঞ্চম খলিফা মুয়াবিয়া হজরত আলীকে চক্রান্ত করে হত্যা করে,যা শিয়াদের দুঃখ আরো বাড়িয়ে দেয়.তারপর এই মুয়াবিয়া মুহাম্মদের নাতি ইমাম হাসানকে বিষ খাওয়াই ইমাম হাসানের স্ত্রীকে হাত করে যার কারণে শিয়ারা আরো দুঃখে ডুবে যায়.পরে ইসলামের ষষ্ঠ খলিফা অর্থাৎ মুয়াবিয়া পুত্র এজিদ আবার মুহাম্মদের আর এক নাতিকে কারবালার ময়দানে গলা কেটে হত্যা করে যার কারণে শিয়ারা আজোও মহরমে কেঁদে বেড়ায়.আর পর যখন উমাইয়া ও আব্বাসীরা খলিফা হয় তখন সব শিয়াদের হত্যার ফতুয়া ঘোষণা করে যার কারণ স্বরূপ আজো শিয়া সুন্নি যুদ্ধ করে। 
সুন্নি মুসলিমরা ইসলাম অনুসারীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সম্প্রদায়।সুন্নিদের বলা হয় orthodox মুসলিম, অর্থাৎ মেইনস্ট্রিম মুসলিম বা প্রথাগত মুসলিম।  সুন্নিরা আরো পরিচিত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'য়াত (আরবিاهل السنة والجماعة‎‎ ") সংক্ষেপে আহল আস-সুন্নাহ (আরবিأهل السنة‎‎‎) নামে। সুন্নি শব্দের উৎপত্তি সুন্নাহ (আরবিسنة‎‎) শব্দ থেকে যা দ্বারা ইসলামের নবি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী ও কর্মকে বুঝায়। নবি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবিত অবস্থায় সুন্নি বা শিয়া বা অন্য কোনো নামে কোনো সম্প্রদায় ছিল না। সুন্নিরা ইসলামের সেই অংশের প্রতিনিধিত্ব করে যারা নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্বাচিত খলিফা আবু বকরকে মেনে নিয়েছিল। তাই প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থায় ( খিলাফত) নির্বাচন বা ‘শুরা’ সুন্নি ইসলামের একটা বড় বৈশিষ্ট্য। অধিকাংশ সুন্নি আইনজ্ঞরা নিজেদের সুন্নি আইনের চারটি ঘরানার (হানাফিমালিকিশাফিয়িহাম্বলি) যে কোনো একটির অনুসরণ করেন। এর বাইরেও কয়েকটি সংখ্যালঘু সুন্নি মাযহাব রয়েছে।

সুন্নি মাযহাব


ইসলামী আইনকে শরিয়াহ বলা হয়। আর এই শরিয়াহ তৈরি হয় কুরআনসুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াসের ভিত্তিতে। সুন্নিদের যারা এই আইনসমূহের ব্যাখ্যা দেন তাদের মধ্যে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য আছে। সুন্নিদের প্রধান চারটি মাযহাব (schools of thought) হল :
পারসিক ইমাম আবু হানিফা (জন্ম ৬৯৯খ্রি. - মৃত্যু ৭৬৭ খ্রি.) হলেন হানাফি মাজহাবের প্রবক্তা। তিনি ইরাকে জন্মগ্রহণ করেন। অন্য মাজহাবগুলোর তুলনায় তার মাজহাবটিতে প্রজ্ঞা ও যুক্তির উপর অনেক বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশপাকিস্তানভারতআফগানিস্তানমধ্য এশিয়া; দক্ষিণ রাশিয়াককেশাস, বলকান উপদ্বীপের কিছু অংশে, ইরাকসিরিয়ামিশরইয়েমেন এবং তুরস্কের অধিকাংশ মুসলিম এই মাজহাব অনুসরণ করেন।
মালিক ইবনে আনাস (জন্ম : ৭১১ খ্রিষ্টাব্দ/ ৯৩ হিজরি - মৃত্যু : ৭৯৫ খ্রিষ্টাব্দ/ ১৭৯ হিজরি) তার তত্ত্বগুলো সুসংগঠিত করেন মদিনাতে যেখানে তার সাথে পরিচয় ঘটেছিলো নবি মুহাম্মদের বেঁচে থাকা এক বৃদ্ধ সাহাবির সঙ্গে। সমগ্র আফ্রিকা (মিশর ব্যতিত) ও পুর্ব উপকূল জুড়ে এই মাজহাবের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।
আল শাফি একজন মধ্যপন্থী হিসেবে বিবেচিত হন। তিনি প্রথমে ইরাকে ও পরে মিশরে শিক্ষালাভ করেন। ইন্দোনেশিয়া, মিশরের দক্ষিণ ভাগ, মালেয়শিয়া এবং ইয়েমেনে এই মাজহাবের অনুসারীদের দেখা মেলে।
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল(৭৮০-৮৫৫ খ্রি./ ১৬৪-২৪১ হিজরি) আশ-শাফির শিষ্য ছিলেন। তৎকালীন খলিফার সাথে কিছু মতভেদের কারণে তার উপর অনেক নির্যাতন করা হয়। আধুনিক সৌদি আরবের অনেকে এই মতের অনুসারী।
এই মাজহাবগুলোর মধ্যে অল্পবিস্তর পার্থক্য থাকলেও সুন্নিরা সব কয়টি পথকেই সঠিক মনে করেন। এই মাজহাবগুলো ছাড়াও আরো মাজহাব রয়েছে যাদের অনুসারী সংখ্যা খুবই নগণ্য কিংবা এরা কেউ বেঁচে নেই।
শরিয়াহকে ব্যাখ্যা করে বিশেষ আইন প্রণয়নকে ফিকহ বলে। মাজহাব হলো একটা বিশেষ উপায়ে ফিকহকে ব্যাখ্যা করার প্রচেষ্টা। এই ঘরানাগুলো বিশেষ কিছু প্রমাণ (শাফি ও হাম্বলি) কিংবা বিশেষ কিছু সাধারণ নীতিমালা (হানাফী ও মালিকী) এর উপর গুরুত্ব আরোপ করে। যেহেতু এই মাজহাবগুলো শরিয়াহ ব্যাখ্যা করার পদ্ধতিগত ভিন্নতা নির্দেশ করে, তাই প্রতিটি ধারাতেই কিছু না কিছু পার্থক্য আছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন ফিকহ আইন তৈরি হয়। যেমন, একসময় তামাক সেবনে অনুৎসাহিত করা হতো এর উৎকট গন্ধের কারণে কিন্তু পরবর্তীতে গবেষণায় এর খারাপ দিকগুলো উন্মোচিত হওয়ায় এটিকে এখন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলাফল হলো শরিয়া অপরিবর্তিত থাকলেও ফিকহ সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে।
সুন্নীদের মতে মাজহাব ও ধর্মীয় উপদল একই বিষয় নয়। কারণ মাজহাবগুলো পরস্পরকে স্বীকৃতি দেয়। একটি বড় মুসলিম জনগোষ্ঠীতে চারটি মাজহাবের অনুসারী চিন্তাবিদই থাকতে পারে। এটা সম্পূর্ণ লোকজনের ব্যাপার যে তারা কোনটা পছন্দ করবে। অনেক সুন্নি মনে করেন যে, একজন মুসলিমের শুধু একটি মাজহাবই অনুসরণ করা উচিত। যদিও ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে অন্য মাজহাব থেকেও বিধান নেওয়া যেতে পারে। কিছু সুন্নিরা আবার নির্দিষ্ট কোনো মাজহাব অনুসরণ করেন না। যেমন, আহলে হাদীসরা বিশেষ কোনো মাজহাব মেনে চলতে অস্বীকৃতি জানায়।
শিয়া  একটি মুসলিম সম্প্রদায়। তারা খেলাফতের উত্তরাধিকার নির্ধারণে  হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর বংশধারাকে অনুসরণ করে। নবীর জামাতা হযরত আলীকে (রা.) তারা প্রথম খলিফা মানে। শিয়া ইসলাম (আরবি: شيعة‎‎, শীআ'হ্‌) ইসলামের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্প্রদায়। শিয়া ইসলাম অনুসরণকারীদের শিইতি বা শিয়া বলা হয়। “শিয়া” হল ঐতিহাসিক বাক্য “শিয়াতু আলি” (شيعة علي) এর সংক্ষিপ্ত রূপ, যার অর্থ “আলি অনুগামীরা” বা “আলির দল”। শিয়া মতবাদের মূল ভিত্তি হলো, আলি এবং ফাতিমার বংশের মাধ্যমে নবি পরিবারের (আহলে বাইত) লোকেরাই হলেন ইমামত বা নেতৃত্বের প্রধান দাবীদার; তাই আলি খিলাফতের প্রশ্নে আবু বকর, উমর ও উসমানের মুকাবেলায় অগ্রাধিকারী। শিয়ারা বিশ্বাস করে ইসলামের সর্বশেষ নবী গাদির খুমের ঘটনার (The event of Ghadir Khumm) মাধ্যমে তাকেই খিলাফতের জন্য মনোনীত করে গিয়েছিলেন। আবু বকর ছিলেন বনু তাইম গোত্রের, উমর বনু আদি গোত্রের, উসমান বনু উমাইয়া গোত্রের কিন্তু আলি মুহাম্মদের হাশেমি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া আলি একাধারে প্রথম পুরুষ মুসলিম, ইসলামের রাসুলের চাচাতো ভাই, রাসুলের জামাতা, রাসুলের দৌহিত্র হাসান ও হোসেনের পিতা ও রাসুলের সেনাপতি ছিলেন। রাসুলের কোনো পুত্রসন্তান ছিলনা এবং দৌহিত্রা (হাসান, হোসেন) শিশু ছিলেন। এসবদিক বিবেচনায় রাসুলের ইন্তেকালের পর আলিই নেতৃত্বের সর্বাধিক যোগ্য বলে শিয়া মুসলিমগণ মনে করেন। তারা আলি ও মুয়াবিয়ার মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধেও আলিকে সমর্থন করেন। পরবর্তীতে মুয়াবিয়ার পুত্র ইয়াজিদের সেনাবাহিনী আলির পুত্র হোসেনকে হত্যা করলে শিয়া মুসলিমরা খিলাফতের প্রতি পুরোপুরি আস্থা হারিয়ে ফেলে এবং হোসেনপুত্র জয়নুল আবেদিনের মাধ্যমে আলি ও ইসলামের রাসুলের বংশধরদের মধ্যে থেকে ইমামতের নীতি অনুসরণ করতে থাকে।
ইসলামের অন্য স্কুলের মতো, শিয়া ইসলাম ইসলামিক ধর্মগ্রন্থপবিত্র কুরআন এবং ইসলামের সর্বশেষ নবী এর জীবনাদর্শের উপর প্রধান গুরুত্ব দেয়।তবে তারা আব্বাসিয় শাসনামলে (হিজরি ৩য় শতকে) সংকলিত সিহাহ সিত্তাহ হাদিসের তুলনায় আহলে বাইতের নিকট থেকে প্রাপ্ত হাদিস সমূহকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য মনে করে। শিয়া মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে, শুধুমাত্র আল্লাহই ইসলাম, কুরআন এবং শরিয়াত রক্ষা করার জন্য একজন প্রতিনিধি (নবী এবং ইমাম) নির্বাচন করতে পারেন[৯], সাধারণ মুসলমানরা পারে না। যার কারণে শিয়ারা ইসলাম এবং কুরআনের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য জনগণ যে আবু বকরউমর এবং উসমানকে নির্বাচন করেছেন তা অনুসরণ করে না। এই জন্য শিয়ারা আলিকে চতুর্থ খলিফা হিসেবে বিবেচনা করে না, বরং প্রথম ইমাম হিসেবে বিবেচনা করেন। শিয়ারা বিশ্বাস করে যে, অনেক বর্ণনা রয়েছে যেখানে ইসলামের নবী তার উত্তরাধিকারী হিসাবে আলিকে নির্বাচিত করেছিলেন।
ইরানইরাক, বাহরাইন, আজারবাইজান, লেবানন, ইয়েমেন ইত্যাদি দেশে শিয়ারা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাছাড়া সিরিয়া, কুয়েত, জর্ডান, ফিলিস্তিন, সউদি আরব, ভারত, পাকিস্তানেও প্রচুর শিয়া মুস্লিমদের বসবাস।
শিয়া মতবাদ প্রথমে ছিল মূলত একটি রাজনৈতিক ব্যাপার। পরে ধীরে ধীরে তা একটি ধর্মমতের রূপ নেয় এবং আববাসী যুগে এর স্বাতন্ত্র্য স্বীকৃত হয়। এ সময় প্রকাশ্যে এ মতের চর্চা করারও অনুমতি দেওয়া হয়। ৯৬২ খ্রিস্টাব্দে সার্বজনীনভাবে হোসেনের শাহাদাতবরণ উপলক্ষে শোক প্রকাশ করা হয়। ষোড়শ শতকে যখন সাফাভি বংশ পারস্যের ক্ষমতায় আসে তখন শিয়া মতবাদ প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনায় প্রচারিত হতে থাকে। সাফাভি শাসকরা শিয়া মতবাদকে পারস্যের রাষ্ট্রধর্ম করেন।
আযানের সময় শিয়ারা বলে, ‘‘আলীয্যু ওয়ালিউল­াহ্ (আলী আল­াহর বন্ধু)।’’ তারা আরও বলে, ‘‘হাইয়া আলা খায়রিল আমাল (ভাল কাজে উদ্যোগী হও)।’’ এ কথাটা তারা দুবার বলে। শিয়ারা যুহর ও আসরের দুটি নামাযকে একীভূত করে থাকে।
বাংলায় শিয়া মতবাদ প্রচারিত হয় সতেরো শতকের প্রথমভাগে। পারস্যের বণিক ও ভ্রমণকারীরা এ মতবাদ প্রচার করে। বাংলার মুগল শাসক  শাহ সুজা সুন্নি হলেও শিয়াধর্মের একজন পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তাঁর মা মমতাজ বেগম ছিলেন শিয়া মতাবলম্বী। তাঁর দরবারের অনেক আমির ছিলেন পারস্যের এবং শিয়া মতানুসারী। শুধু তাই নয়, আঠারো শতকের প্রথমভাগের অধিকাংশ নবাবই ছিলেন শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত। সুতরাং এটা নিশ্চিত যে, তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলার মুসলিম সমাজে শিয়া সম্প্রদায়ের দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটেছিল। ইমাম হোসেন (রা.) এবং তাঁর অনুসারীদের শাহাদাতবরণের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে নবাব।
'যে তোমাকে সালাম দেয় তাকে এ কথা বল না যে,তুমি মুমিন নও'(সূরা নিসাঃ৯৪)
যে আমাদের মতো নামাজ পড়ে,আমাদের মতো কিবলামুখী হয়,আর আমাদের জবাইকৃত পশুর মাংস খায় সে এমন মুসলমান যার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূল জিম্মাদার।সুতরাং তোমরা আল্লাহর জিম্মাদারিতে বাড়াবাড়ি করো না।(বুখারী শরীফ,কিতাবুস সালাত)  
 শিয়া ও সুন্নি মাজহাবের মধ্যে মতবিরোধের একটা দিক হলো- বিশ্বনবী (সা.)'র পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত তথা খলিফা বা প্রতিনিধি নিয়োগ নিয়ে। সুন্নি ভাইয়েরা মনে করেন এ বিষয়টি আল্লাহর সর্বশেষ রাসূল মুসলমানদের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন এবং সাহাবাগণ নির্বাচন পদ্ধতিতে খলিফা নির্বাচন করেছেন।
অন্যদিকে শিয়া মুসলমানরা মনে করেন, বিশ্বনবী (সা.)'র স্থলাভিষিক্ত তথা খলিফা বা প্রতিনিধি নিয়োগের বিষয়টি মহান আল্লাহই নির্ধারণ করেন ও তা রাসূল (সা.)-কে জানিয়ে দেন। আর এরই ভিত্তিতে হযরত আলী (আ.) এবং এরপর তাঁর বংশধরগণ ছিলেন মুসলমানদের প্রকৃত খলিফা।
তবে শিয়াদের সম্পর্কে একটি মারাত্মক মিথ্যা অভিযোগ তথা অপবাদ হলো তারা বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (সা.)-কে  নবী বা শেষ নবী হিসেবে স্বীকার করেন না। বরং শিয়া মুসলমানরাও সুন্নি ভাইদের মতই মনে করেন যে, বিশ্বনবী (সা.)'র পর আর কোনো নবী আসবেন না এবং যারাই এ বিশ্বাস পোষণ করবে না তারা মুসলমান হিসেবে স্বীকৃত হবে না।
আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.)'র ভাষণ ও বক্তৃতামালার সংস্করণ 'নাহজুল বালাগ্বা' শিয়াদের জন্য শীর্ষস্থানীয় প্রামাণ্য বই। আল্লাহ ও বিশ্বনবী (সা.)'র বাণীর পরই এ বইকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন তারা। আবার সুন্নি মুসলমানের কাছেও এটি একটি নির্ভরযোগ্য প্রামাণ্য বই। এ বইয়ে স্বয়ং আলী (আ.) থেকে বার বার বলা হয়েছে যে রাসূল (সা.) ছিলেন সর্বশেষ নবী। দৃষ্টান্ত হিসেবে এ বইয়ে উল্লেখিত আলী (আ.)'র ৭১ ও ২৩৩ নম্বর খোতবা দেখুন (সাইটে এ দুই খোতবার ফটোকপি সংযুক্ত করা হল)।  তাই শিয়ারা রাসূল (সা.)-কে নবী ও রাসূল বলে মানেন না- এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ইসলামের শত্রুদের পক্ষ থেকে প্রচারিত একটি অপবাদ।
শিয়া মুসলমানরা যে কোনো সমাবেশে কিংবা একা থাকলেও বিশ্বনবী (সা.)'র পবিত্র নাম শোনার সঙ্গে সঙ্গে দরুদ পাঠ করে সম্মান প্রদর্শন করেন তাঁকে ও এমনকি তাঁর আহলে বাইতকেও।
এ ছাড়াও শিয়া মুসলমানরা বিশ্বনবী (সা.)'র নবুওত প্রাপ্তির দিবসকে উৎসব হিসেবে পালন করে থাকেন।
শিয়া ও সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে কোনো কোনো বিষয়ে মতভেদ থাকলেও তারা যুগ যুগ ধরে পরস্পরের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করে এসেছে। তাদের মধ্যে বড়জোর জ্ঞানগত তর্ক-বিতর্ক বা যুক্তি বিনিময় হতো। আসলে ইসলামের শত্রুরাই মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টির জন্য শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে সহিংস দাঙ্গা বাধানোর জন্য সুন্নি নামধারী একদল ওয়াহাবিকে উস্কে দিয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। এই ওয়াহাবিদের দৃষ্টিতে সুন্নিদের চার মাজহাবের তিন মাজহাবের ইমামগণ এবং তাদের অনুসারীরাও কাফির ও হত্যার যোগ্য! আপনারা হয়তো জানেন যে ভারত বর্ষে মোঘল শাসকদের অনেকেই ছিলেন শিয়া মুসলমান। নবাব সিরাজউদদৌলাও ছিলেন শিয়া মুসলমান। দানবীর ও ভারত বর্ষে মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের জন্য সবচেয়ে বেশি সম্পদ ওয়াকফকারী মহান ব্যক্তিত্ব হাজি মুহাম্মাদ মুহসিন ছিলেন একজন শিয়া মুসলমান। ভারতবর্ষ ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের নানা অঞ্চলে শিয়া ও সুন্নি মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেনসহ উপনিবেশবাদী কাফির শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।
বর্তমান যুগে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞ থেকে মুসলমানদের দৃষ্টি আড়াল করতে এবং মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য ও বিভেদ উস্কে দিয়ে তাদেরকে সহজেই শোষণ করার জন্য দেশে দেশে শিয়া-সুন্নি বিভেদ উস্কে দেয়ার চেষ্টা করছে সাম্রাজ্যবাদীরা।
সাম্প্রতিক সময়ে ইরাক ও সিরিয়ায় এ ধরনের তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে আলকায়দা বা আইএসআইএল-এর ওয়াহাবি সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে। কিন্তু এই দুই দেশের শিয়া ও সুন্নি আলেমগণ ঐক্যবদ্ধভাবে ওয়াহাবি ও বিজাতীয় শক্তিকে মোকাবেলার আহ্বান জানানোর পর সন্ত্রাসীরা শিয়া ও সুন্নি মুসলমানদের সম্মিলিত শক্তির কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।
ইরানের ইসলামী বিপ্লবের মহান রূপকার ইমাম খোমেনী (র.)ও বলেছেন, যারা মুসলমানদের মধ্যে শিয়া-সুন্নির নামে অনৈক্য সৃষ্টি করে তারা শিয়াও নয়, সুন্নিও নয়, বরং সাম্রাজ্যবাদীদের দালাল। 

নিচে আমরা শিয়াদের আকিদা থেকে ১১০ টি কারণ বেছে নিয়েছি, যা থেকে আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হবো যে, শিয়ারা মুসলিম নয় বরং কাফির।
আলোচনার সুবিধার্থে ১১০ টি কারণকে আমরা ৫ টি বিভাগে ভাগ করেছি –
ক) সাধারণ বিষয়সমূহ
খ) আল্লাহ
গ) কুর’আন
ঘ) নাবী এবং সাহাবিগণ
ঙ) ইমামাত
ক) সাধারণ বিষয়সমূহ

১। শিয়া কালিমা মুসলিমদের শাহাদাহ থেকে ভিন্ন। তাদের কালিমা হলো – লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহি ‘আলিউন ওয়ালিউল্লাহি ওয়াসিয়্যু রাসুলুল্লাহি ওয়া খালিফাতুহু বিলা ফাসলিন।
২। শিয়ারা তাদের আযানে “আশহাদু আন্না ‘আলিউন ওয়ালিউল্লাহ” বলে তার সাথে বলে যে ওয়া আলীয়ু ওয়ালিউল্লাহ ৷ ও “হুজ্জাতুল্লাহ” এবং “হাইয়্যা আলা খাইরিল আমাল” যুক্ত করেছে।
৩। শিয়াদের মতে দ্বীনের পাঁচটি খুঁটি হলো – ওয়ালিয়াত/ইমামাত, সালাত, সাওম, যাকাত এবং হাজ্জ।
৪। প্রত্যেক সালাতের পর সবাইকে বলতে হয় – হে আল্লাহ! আবু বাকর, উমার, উসমান, মুয়াবিয়া, আইশাহ, হাফসাহ, হিন্দ এবং উম্মুল হাকামের উপর লানত বর্ষণ করুন।
৫। মিথ্যা বলা খুবই ভাল এবং সাওয়াবের কাজ।
৬। নিজের বিশ্বাসকে গোপন রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৭। প্রতারণা এবং প্রবঞ্চনা একটি মহৎ কাজ।
৮। তাকিয়া (একজন মনেপ্রাণে যা বিশ্বাস করে, তার ঠিক বিপরীত বলা বা করার ভান করা) বৈধ।
৯। সম্পূর্ণ ধর্মের দশ ভাগের নয় ভাগ হলো তাকিয়া।
১০। একটি পশুর মতই একজন অমুসলিমের গোপন অঙ্গের দিকে তাকানোও বৈধ।
১১। শুধুমাত্র চামড়ার রঙকেই ঢেকে রাখতে হবে (চামড়া রঙ করা হলে কোন ব্যক্তি কাপড় ছাড়াই ঘুরে বেড়াতে পারবে) ইমাম বাকির কোন ধরনের পোশাক ছাড়াই সম্মুখে এসেছিলেন এবং তার মতে এরূপ করা বৈধ কারণ তিনি তার গুপ্তাঙ্গে চুন মেখে নিয়েছিলেন।
১২। গুহ্যদ্বার দিয়ে সহবাস করা বৈধ।
১৩। কোন সাক্ষী ছাড়াই বিয়ে পড়ানো বৈধ।
১৪। কোন ব্যক্তি যদি মলমূত্রে পতিত কোন খাবার ধুয়ে এক গ্রাস পরিমাণ খায়, তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
১৫। মুতা বিয়ে বৈধ (সাময়িক বিয়ে/নির্দিষ্ট কোন সময়ের জন্য নারীদেহ ভাড়া দেয়া)।
১৬। মুতা’র সাওয়াব সালাত এবং সাওমের চেয়েও বেশি।
১৭। কোন ব্যক্তি একবার মুতায় অংশ নিলে সে হুসাইনের সমান মর্যাদা লাভ করে। এভাবে দুইবার হলে হাসান, তিনবার হলে ‘আলি এবং চারবার হলে রাসুলুল্লাহর সমান মর্যাদা লাভ করে।
১৮। যে কেউই তিনবার মুতায় অংশ নেয়, সে জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেকে মুক্ত করে নেয়।১৯। কোন ব্যক্তি চাইলে অন্য আরেকজনকে নিজের স্ত্রীর সাথে সহবাসের বৈধতা দিতে পারে।
২০। সুন্নিরা কুকুরের চেয়েও অধম।
২১। সুন্নিরা জারজ সন্তানের চেয়েও নিকৃষ্ট।
২২। ইরানে কোন সুন্নিকে তাদের সন্তানের নাম আবু বাকর, উমার বা আয়িশাহ রাখতে দেয়া হয় না।
২৩। শিয়া মতবাদ অনুসারে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোপনে আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুকে ৭০ ফুট লম্বা একটি পাণ্ডুলিপি হস্তান্তর করেছেন। যাতে প্রত্যেকটি হালাল, হারাম এমনকি আঁচড় দেয়ার শাস্তির কথাও বর্ণিত আছে। একে আলির সাহিফা বলা হয়।
২৪। জাফ্র হলো চামড়ার তৈরি একটি পাত্র যাতে বনি ইসরাইলের সকল নাবী, ওয়াসি এবং উলামার জ্ঞান সংরক্ষিত আছে।
২৫। ইমাম জাফর সাদিক এবং আবু বাশিরের মধ্যবর্তী এক আলোচনায় ফাতিমার মুসহাফ সম্পর্কে বলেন, এটি এমন একটি মুসহাফ যা তোমাদের কুর’আনের তিনগুণ। আল্লাহর কসম, এর একটি শব্দও তোমাদের কুর’আনে নেই।
২৬। হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদাতের সময় ফিরিশতারা ভুল করেছিল এবং তাদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল।
২৭। অযুর সময় পা ধৌত করার পরিবর্তে শুধুমাত্র মাসাহ করতে হয়।২৮। তিলাওয়াতে সাজদা এবং জানাযার সালাত অযু কিংবা গোসল ছাড়াই আদায় করা যায়।২৯। শিয়া ইমামদের কাবরের দিকে মুখ করে সালাত আদায় বৈধ।
৩০। সাওম ভাঙ্গা হয় সূর্যাস্তের ১০-১৫ মিনিট পর।
৩১। রামাদানে তারাবিহর সালাত পড়া হয় না।
৩২। মুতা দাওরিয়্যাহ বৈধ (দশ বা বিশজন পুরুষ এক রাতে একজন মহিলার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা)।
৩৩। কারবালার মাটি কাবার চেয়েও পবিত্র।
৩৪। আলির কাছে “ইয়া আলি, মাদাদ” বলে সাহায্য চাওয়া শির্ক নয়।

খ) আল্লাহ
৩৫। আল্লাহ ভুল করেন এবং আল্লাহ ভুলে যান।
৩৬। রাগান্বিত হলে, আল্লাহ বন্ধু এবং শত্রুর মাঝে পার্থক্য করতে পারেন না।
৩৭। আল্লাহ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবিদের ভয় পেতেন।
৩৮। মানুষের বিবেক মানুষের জন্য যা ভাল মনে করে সে অনুসারেই আল্লাহকে বিচার করতে হয় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়।
৩৯। আল্লাহ সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা নন।

গ) কুর’আন
৪০। কুর’আন অসম্পূর্ণ এবং একে বিকৃত করা হয়েছে।
৪১। শিয়া কুর’আন চূড়ান্ত ইমামের কাছে সংরক্ষিত আছে যিনি গত ১২০০ বছর ধরে ইরাকের কোন একটি গুহায় লুকায়িত আছেন।
৪২। বর্তমান কুর’আন শিয়া কুর’আন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
৪৩। প্রচলিত কুর’আনের আয়াত সংখ্যা ৬০০০ এর বেশি কিন্তু শিয়া কুর’আনের আয়াত সংখ্যা ১৭,০০০ এরও বেশি।

ঘ) নাবী/সাহাবিগণ
৪৪। আদম আলাইহিস সালাম শাইত্বানের চেয়েও খারাপ।
৪৫। আদম আলাইহিস সালাম বিদ্রোহী, ঈর্ষান্বিত এবং হিংসুক ছিলেন।
৪৬। নাবীরাও ভুল করেন যা তাদের নবুয়্যত বিনষ্ট করে দেয় যেমন ইউসুফ আলাইহিস সালাম।
৪৭। ইসমাইলি শিয়ারা নবুয়্যতের ক্রমধারায় বিশ্বাস করে।
৪৮। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সৃষ্টিকূলের ব্যাপারে ভীত ছিলেন এবং সঠিক ভাবে দ্বীন প্রচার করেননি।
৪৯। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর দেয়া একটি উপহার গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
৫০। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্বীন শিক্ষা দেয়ার বিনিময়ে ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন।
৫১। আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর ইচ্ছা এবং ক্ষমতা ছিল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীদের তালাক দেয়ার।৫২। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীগণ নাবী পরিবারের সদস্য নন।
৫৩। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর অধিকাংশ সাহাবাই মুরতাদ হয়ে ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছেন।
৫৪। প্রত্যেককেই ৪ জন পুরুষ আবু বাকর, উমার, উসমান, মুয়াবিয়া এবং ৪ জন নারী আইশাহ, হাফসাহ, হিন্দ, উম্মুল হাকাম থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন ঘোষণা করতে হবে।
৫৫। উপরোক্ত সাহাবাদের প্রত্যেক সালাতের পর অভিশাপ দিতে হবে।
৫৬। আইশাহ এবং হাফসাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিষ প্রয়োগ করেছে।
৫৭। আইশাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা বিশ্বাসঘাতক ও মুনাফিক ছিলেন এবং তাঁকে জঘন্যতম উপাধিগুলোতে সম্বোধন করা হয়।
৫৮। আইশাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা ব্যভিচার করেছিলেন।৫৯। রাসুলের মৃত্যুর পর দশজনেরও কম সাহাবা ইসলামের উপর স্থির ছিলেন।

ঙ) ইমামাত
৬০। শিয়ারা ১২ জন ইমামের ধারণায় বিশ্বাসী।
৬১। ইমামগণ নাবীদের মতই আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত।
৬২। ১২ জন ইমাম রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমমর্যাদার অধিকারী।
৬৩। প্রথম ইমাম হলেন আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং সর্বশেষ ইমাম ইরাকের একটি গুহায় লুকায়িত আছেন।
৬৪। ইমামগণ তাদের মায়ের উরু থেকে জন্মলাভ করেন কারণ জননাঙ্গ অপবিত্র।
৬৫। ইমামগণ সর্বত্র বিরাজমান।
৬৬। ইমামগণ নাবীদের মতই নিষ্পাপ।
৬৭। ইমামগণের উপর ঈমান আনা ফারদ। কোন ইমামকে অস্বীকার করা একজন নাবীকে অস্বীকার করার মতই কুফর।
৬৮। ইমামগণের শর্তহীন আনুগত্য ফারদ।
৬৯। ইমামগণের কাছে ওয়াহি আসে।
৭০। নাবী রাসূলগণের কাছে আসা মু’জিযা যেমন তাদের নবুয়্যতের প্রমাণ, ইমামগণের মু’জিযাও তাদের ইমামাতের প্রমাণ।
৭১। ইমামগণ শারিয়াহর যে কোন বিধান রদ করার ক্ষমতা রাখেন। তারা হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল ঘোষণা করতে পারেন।
৭২। আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং অন্যান্য ইমামদের মর্যাদা নাবীদের চেয়েও বেশি।
৭৩। ইমামগণের জ্ঞান নাবীদের চেয়ে বেশি।
৭৪। সম্পূর্ণ সৃষ্টি এমনকি নাবীদেরও সৃষ্টি করা হয়েছে শুধুমাত্র ইমামগণের খাতিরে।
৭৫। ইমামগণের ইমামাতের ব্যাপারে নাবীরাও বাইয়াত দিয়েছেন।
৭৬। ইমামগণের ইমামাত মেনে নেয়ার কারণেই নাবীদের নবুয়্যত দেয়া হয়েছে।
৭৭। আল্লাহ নাবী এবং সমগ্র সৃষ্টিজগতের উপর ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় ইমামগণের ওয়ালিয়াত মেনে নেয়া বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন।
৭৮। নাবীগণ ইমামগণের নূর থেকে নূর লাভ করেছেন।
৭৯। কিয়ামাতের দিন আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু সকল নাবীদের সম্মুখে থাকবেন।
৮০। কিয়ামাতের দিন আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বসবেন আল্লাহর আরশের ডান পাশে এবং নাবীগণ বসবেন বাম পাশে।
৮১। নাবীদের দু’আ ইমামগণের মধ্যস্থতায় কবুল করা হয়।
৮২। আদম আলাইহিস সালাম ইমামগণের মর্যাদায় ঈর্ষান্বিত হয়েছিলেন, একারণে তিনি ‘উলুল আযম আম্বিয়াদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নন।
৮৩। ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে সর্বপ্রথম নবুয়্যত, অতঃপর খুল্লাত (তাঁকে আল্লাহর খালিল বা বন্ধু বানানো হয়েছিল) এবং শুধুমাত্র এরপরই তাঁকে ইমামাত দেয়া হয়েছিল।
৮৪। আইয়ুব আলাইহিস সালাম ‘আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর ইমামাত নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছিলেন, একারণেই তিনি কঠিন পীড়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
৮৫। মুসা আলাইহিস সালাম যদি জীবিত থাকতেন, তাঁকেও ইমামগণের আনুগত্য মেনে নিত হতো।
৮৬। ইউনুস আলাইহিস সালাম ‘আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর ওয়ালিয়াত অস্বীকার করেছিলেন, একারণেই তাঁকে মাছ গিলে ফেলেছিল।
৮৭। সম্পূর্ণ পৃথিবী ইমামগণের অধিকারভুক্ত।
৮৮। শিয়ারা এই কথাটি আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর বলে প্রচার করে যে, “আমি জীবন এবং মৃত্যু প্রদান করি। আমি চিরঞ্জীব এবং আমি মৃত্যুবরণ করি না”।
৮৯। ইমামগণ সকলের মনের কথা জানেন।
৯০। শিয়ারা বলে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আলিকে বলেছেন, হে আলি! তুমি এই উম্মাতের দাইয়ান (যিনি পুরষ্কৃত করেন) এবং তুমিই তাদের জন্য দায়ী থাকবে। তুমি কিয়ামাতের দিন আল্লাহর ‘রুকন ই আযম’ হবে। শুন! লোকেরা তোমার দিকে আসবে এবং তুমিই তাদের হিসাব গ্রহণ করবে। পুলসিরাত তোমার, মীযান তোমার এবং মউকাফ তোমার।
৯১। অনেক শিয়াই আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুকে “জান্নাত ও জাহান্নামের বণ্টনকারী” নামে ডেকে থাকে। বিখ্যাত শিয়া আলিম বাকির মাজলিসি তার বই বিহার উল আনোয়ারে একটি অধ্যায়ের নাম রেখেছেন “নিঃসন্দেহে তিনিই (আলি) জান্নাত ও জাহান্নামের বণ্টনকারী”।
৯২। বাকির মাজলিসি তার বই হায়াতুল কুলুব বইতে লিখেছেন, “ইমামাতের মর্যাদা নবুয়্যতের চেয়ে বেশি”।
৯৩। ইমামগণের নিকট অতীত ও ভবিষ্যতের সকল জ্ঞান বিদ্যমান এবং আকাশ ও পৃথিবীর কোন কিছুই তাদের কাছে গোপন নেই।
৯৪। ইমামগণ জানেন, কখন তাদের মৃত্যু ঘটবে।
৯৫। ইমামগণ এই পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের ঈমান এবং নিফাকের অবস্থা সম্পর্কে অবগত। তাদের কাছে কারা জান্নাতে যাবে আর কারা জাহান্নামে যাবে তার একটি তালিকা আছে।
৯৬। ইমামগণ বিশ্বের সব ভাষা জানেন এবং সেসব ভাষায় কথা বলেন।
৯৭। ইমামগণ পশু পাখিদের ভাষা জানেন।
৯৮। ইমামগণ প্রতি জুমার সন্ধ্যায় মিরাজে যান। এসময় তারা আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যান এবং সেখানে তাদের গভীর জ্ঞান দান করা হয়।
৯৯। প্রতি লাইলাতুল কাদরে ইমামগণের নিকট আর-রুহ এবং ফিরিশতারা একটি বিশেষ বই নিয়ে আসেন।
১০০। ইমামগণ জন্মের সাথে সাথেই সকল ঐশী কিতাব পড়ে ফেলেন।
১০১। ইমামগণ সকল নাবীদের মু’জিযা প্রদর্শনে সক্ষম।
১০২। ইমামগণের সঙ্গীদের মধ্যকার সংগঠিত তর্ক নিয়ে শিয়ারা কোন সমালোচনা করে না।
১০৩। ইমামগণের সঙ্গীরা সত্যবাদী, বিশ্বাসভাজন এবং অনুগত ছিলেন না।
১০৪। ইমামগণের সঙ্গীরা দ্বীনের উসুল এবং ফুরু অর্জন করেননি।
১০৫। চূড়ান্ত ইমাম গত ১২০০ বছর ধরে ইরাকের একটি গুহায় লুকায়িত আছেন। তিনি যখন আত্মপ্রকাশ করবেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে বাইয়াত (আনুগত্যের শপথ) দিবেন।
১০৬। চূড়ান্ত ইমাম আবু বাকর এবং উমারের শরীর কাবর থেকে উত্তোলন করবেন এবং তাঁদের নগ্ন শরীর ঝুলিয়ে রাখবেন। তিনি তাঁদের চাবুক মারবেন এবং এক দিন ও রাতের মাঝে ১০০০ বার তাঁদের মৃত্যু ঘটাবেন।
১০৭। আইশাহকে জীবন দেয়া হবে এবং তাঁকেও চূড়ান্ত ইমাম চাবুক মারবেন।
১০৮। চূড়ান্ত ইমাম সকল সুন্নিকে জবাই করবেন এবং তিনি আলিমদের দিয়ে শুরু করবেন।
১০৯। কেউ যদি শিয়া ইমামদের ধারণা বিশ্বাস না করে, সে কাফির এবং অমুসলিম।
১১০। যখন ৩১৩ জন বিশ্বস্ত শিয়া একত্রিত হবে, চূড়ান্ত ইমাম আত্নপ্রকাশ করবেন।

এবার আসুন, ক্লাসিক্যাল আলিমগণ শিয়াদের সম্পর্কে কী বলে গিয়েছেন তা দেখা যাক –

শাইখ মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল লাতিফ আল আশ-শাইখ তার সময়কার রাফেজিদের সম্পর্কে বলেছেন, “আর বর্তমান সময়ে তাদের অবস্থা আরো নিকৃষ্ট এবং করুণ। কারণ তারা তাদের আকিদায় আউলিয়া, আহলুল বাইত এবং অন্যান্যদের ব্যাপারে সম্মানের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত রকমের বাড়াবাড়ি করছে এবং বিশ্বাস করে যে বিপদ কিংবা সুখের সময় তারা ভাল বা খারাপের ক্ষমতা রাখে। এবং তারা একে আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার মাধ্যম মনে করে। এবং তারা একে ধর্মের অংশ বিবেচনা করে। একারণেই যারা তাদের এই অবস্থার কারণে তাদের কুফর সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করে, তাহলে সে নাবীগণ কী নিয়ে এসেছেন এবং কিতাবগুলোতে কী নাযিল করা হয়েছে সে সম্পর্কে অজ্ঞ। তার উচিত মৃত্যুর পূর্বে নিজের ঈমানকে পরীক্ষা করে দেখা”।

ইমাম মালিক রাহিমাহুল্লাহ সূরা ফাতহের ২৯ নং আয়াতটি রাফেজিদের উপর কুফরির দলিল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। কেননা তারা সাহাবিদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে। আর যারাই সাহাবিদের প্রতি শত্রুতা পোষণ করে, তারা কাফির। এই মাসয়ালায় উলামাদের একটি দলও ইমামের সাথে একমত পোষণ করেছেন। [তাফসির ইবন কাসির]

ইমাম বুখারি রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, “আমি একজন ইহুদি, একজন খ্রিস্টান কিংবা একজন রাফেজির পিছনে সালাত আদায়ের মধ্যে কোন পার্থক্য দেখি না। তাদের জবাই করা পশু খাওয়া যাবে না, তাদের সালাম দেয়া যাবে না, তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না, তাদের সাথে বিয়ে দেয়া হবে না এবং তাদের দেখতে যাওয়া যাবে না”। [খালক আফ’আলুল ইবাদ]
ইমাম সামা’নি রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, “উম্মাহর মাঝে ব্যাপারে ইজমা রয়েছে যে, শিয়ারা হলো কাফির। কারণ তারা বিশ্বাস করে, রাসুলের সাহাবিরা পথভ্রষ্ট, তারা তাঁদের ইজমাকে অস্বীকার করে এবং তাঁদের ব্যাপারে এমন সব কথা বলে তাঁদের সাথে মানানসই নয়”। [আল-আনসাব]

ইবন কাসির রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, “আর তারা সাহাবিদের সম্পর্কে এমন ধারণা পোষণ করে, তাঁদের বিরুদ্ধে অসৎ হওয়ার এবং রাসুলের বিরুদ্ধে আঁতাত করার অভিযোগ আনে এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিচার ও আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে। যারাই এই পর্যায়ে নিজেদের অবস্থান নিয়েছে, তারা নিজেদের ইসলামের গণ্ডি থেকে বের করে নিয়েছে এবং ইমামদের ইজমা অনুযায়ী তারা কুফরি করেছে। আর মদ্যপান ছেড়ে দেয়ার থেকেও তাদের রক্ত ঝরানো বেশি হালাল”। [আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া]

ইমাম আব্দুর রহমান ইবন মাহদি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, জাহমিয়্যাহ এবং রাফিজিয়্যাহ ভিন্ন দুটি ধর্ম। [খালক আফ’আলুল ইবাদাহ]

এছাড়াও ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল, মুহাম্মাদ ইবন ইউসুফ আল-ফিরইয়াবি, আহমদ ইবন ইউনুস, ইবন কুতাইবা আদ-দিনাউরি, আব্দুল কাদির আল-বাগদাদি, আল কাজি আবু ইয়ালা, ইবন হাযম আয-যাহিরি, আবু হামিদ আল-গাজ্জালি, ইবন তাইমিয়্যাহ, ইবন আবিদিন, আবু হামিদ মুহাম্মাদ আল-মাকদিসি, আব্দুল মাহাসিন আল-ওয়াসিতি রাহিমাহুমুল্লাহ আজমাঈন থেকে রাফেজিদের কাফির হওয়ার ব্যাপারে যুক্তি ও বর্ণনা পাওয়া যায়। স্থান সংকুলান না হওয়ায় যা এখানে উল্লেখ করা হলো না।

মুসলিম সম্প্রদায় কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১) সুন্নী মুসলমান
২) শিয়া মুসলমান
৩) খাওয়ারিজ মুসলমান
আবার সুন্নীকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১) হানাফী মুসলমান
২) Hanbali মুসলমান
3) Maliki মুসলমান
4) Shafii মুসলমান

শিয়া সম্প্রদায়ের কে ৩ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।
১) Isma Ilism মুসলমান
2) Jafri মুসলমান
3) Zaidiyyah মুসলমান

শিয়া সম্প্রদায় থেকে বিভক্ত 
Isma Ilism  মুসলমান সম্প্রদায়কে
 কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১) Sevener মুসলমান
2) Nizari মুসলমান
3)  Mustali মুসলমান

Isma Llism থেকে বিভক্ত হয়ে যাওয়া 
Sevener 
Nizari 
Mustali
এদের কেও তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১) Sevener মুসলিম সম্প্রদায়ের নিচে হচ্ছে Qaramita মুসলিম সম্প্রদায়।
২) Nizari মুসলিম সম্প্রদায়ের নিচে হচ্ছে Druze মুসলিম সম্প্রদায়।
৩) Mustali মুসলিম সম্প্রদায়ের নিচে হচ্ছে Tyyibi মুসলিম সম্প্রদায়।

শিয়া মুসলমান সম্প্রদায়ের ২ নং বিভক্ত Jafri কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে

১)  Twelver মুসলিম সম্প্রদায়
২) Alawi মুসলিম সম্প্রদায়
৩) Alevi মুসলিম সম্প্রদায়

শিয়া মুসলমান সম্প্রদায়ের থেকে বিভক্ত হয়ে যাওয়া Jafri আবার Jafri থেকে বিভক্ত হয়ে যাওয়া Twelver সম্প্রদায় কে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১) Akbari মুসলিম সম্প্রদায়
2) Usuli মুসলিম সম্প্রদায়

শিয়া মুসলমান সম্প্রদায়ের তৃতীয় বিভক্ত হলো
১) Zaidiyyah মুসলিম সম্প্রদায়

ইসলামের তৃতীয় বিভক্ত সম্প্রদায় হচ্ছে
১) Khawarji মুসলিম সম্প্রদায়

Khawarji সম্প্রদায়কে একটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে
১) Ibadiyya মুসলিম সম্প্রদায়

Ibadiyya সম্প্রদায় কে আবার ২ ভাগে ভাগ হয়েছে।
১) Nukkur মুসলিম সম্প্রদায়
2) Azzabas মুসলিম সম্প্রদায়

সর্বমোট ২৩ টি বিভক্ত সম্প্রদায় রয়েছে মুসলিমদের

গ্রন্থ সহায়িকা
১। শিয়া বিলিফ, শাইখ খালিদ মাহমুদ, পিএইচডি, ইসলামিক একাডেমি অফ ম্যানচেস্টার
২। হিদায়াতুস শিয়া, শাইখ খালিল আহমেদ শাহারানপুরি
৩। তুহফাহ ইতনা ‘আশারিয়্যাহ, শাহ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিস দেহলভি
৪। শিয়া কায় হাজার সাওলন কা জাওয়াব, শাইখ হাফিয মুহাম্মাদ মিইয়ানওয়ালউয়ি
৫। আকাইদুস শিয়া, মুহাম্মাদ ফারুক
৬। আয়াত বাইয়্যিনাত, শাইখ সাইয়্যিদ মুহাম্মাদ মাহদি আলি খান
৭। মাসালা তাহ্রিফায় কুর’আন পুর বিনরি টাউন কা তাহকিকি ফাতওয়া, মুফতি মুহাম্মাদ ইনামুল্লাহ
৮। ইরশাদুস শিয়া, শাইখ মুহাম্মাদ সরফরাজ খান, মাকতাবাহ সাফদারিয়্যাহ
৯। খোমাইনিজম অর ইসলাম, শাইখ জিয়াউর রাহমান ফারুকি
১০। শিয়াইজম এক্সপোজড, মাজালিসুল উলামা, সাউথ আফ্রিকা
১১। সুন্নি স্ট্যান্ড পয়েন্ট অন শিয়াস, আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাত, ফর সুপ্রিম কোর্ট অফ পাকিস্থান
১২। দ্য ট্রুথ এবাউট শিয়াইজম, মাজালিসুল উলামা, সাউথ আফ্রিকা
১৩। শিয়া মাযহাব কায় চালিস বুনিয়াদি আকিদা, শাইখ আব্দুস সাকুর লখনৌভি
১৪। সুন্নি শিয়া মুত্তাফাকাহ তারজামাহ কুর’আন কা আযিম ফিতনা, শাইখ কাজি মাযহার হুসাইন
১৫। শিয়া ইতনা আশারিয়্যাহ অর আকিদাহ তাহ্রিফি কুর’আন, শাইখ মাঞ্জুর নোমানি
১৬। শিয়া মাযহাব, শাইখ আশিক ইলাহি বুলন্দশহরি
১৭। তাইদ মাযহাব আহলুস সুন্নাহ তারজামাহ রাদ রাওাফিদ, ইমাম মুজাদ্দিদে আলফে সানি
১৮। আসসাওয়াইকুল মুহ্রিকাহ, শাইখ ইবন হাজার আল-হাইতামি
১৯। দ্য ডিফারেন্স বিটুইন দ্য শিয়া এন্ড দ্য মেজরিটি অফ মুসলিম স্কলারস, সাইদ ইসমাইল

[তথ্য সংগ্রহ এবং প্রথম অংশের মূল ইংরেজি লেখা – মুহাম্মাদ আতাউর রহমান]

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ