মনুস্মৃতি ১২/২৬
যখন আত্মায় জ্ঞান থাকে তখন সত্ত্বগুণ, যখন আত্মায় অজ্ঞানতা থাকে তখন তমঃ গুণ, যখন আত্মায় রাগ-দ্বেষ থাকে তখন রজোগুণ প্রবল বলে জানবে। প্রকৃতির এই তিন গুণ সাংসারিক যাবতীয় পদার্থের মধ্যে ব্যাপ্ত হয়ে আছে।।
মনুস্মৃতি ১০/৩১
বেদ অভ্যাস, ধর্ম অনুষ্ঠান, জ্ঞান উন্নতি, পবিত্রতা লাভের ইচ্ছা, ইন্দ্রিয় নিগ্রহ, ধর্মক্রিয়া এবং আত্মচিন্তন হলো সত্ত্বগুণের লক্ষণ।।
মনুস্মৃতি ১২/৩২
যখন রজোগুণের উদয় এবং সত্ত্ব ও তমোগুণের আবির্ভাব ঘটে, তখন কার্য আরম্ভে অরুচি, ধৈর্য্যত্যাগ, অসৎ কর্ম- গ্রহণ এবং নিরন্তর বিষয়ভোগে প্রীতি হয়ে থাকে। তখনই বুঝতে হবে যে আমার মধ্যে রজোগুণ প্রধানরূপে কাজ করছে।।
মনুস্মৃতি ১২/৩৩
যখন তমোগুণের আবির্ভাব এবং অন্য দুই গুণের অন্তৰ্ভাব ঘটে, তখন অত্যাধিক লোভ অর্থাৎ সকল পাপের বৃদ্ধি পায়, অত্যাধিক আলস্য ও নিদ্রা, ধৈর্য্য নাশ, ক্রূরতা জন্মে, নাস্তিক্য অর্থাৎ বেদ ও ঈশ্বরের প্রতি অশ্রদ্ধা জন্মে, অন্তঃকরণের বিভিন্ন বৃত্তি ও একাগ্রতা, অভাব যার তার নিকট ভিক্ষা করা, প্রমাদ অর্থাৎ মদ্যপান আদিতে বিশেষ আসক্তি জন্মে তখন বুঝতে হবে যে আমার মধ্যে তমোগুণ প্রধান রূপে কাজ করছে।।
মনুস্মৃতি ১২/৩৫
কোনো কর্ম করতে এবং করার ইচ্ছে হলে নিজের আত্মায় লজ্জা, সংশয় ও ভয় অনুভব নয় তখন বুঝতে হবে যে আত্মার মধ্যে তমোগুণের প্রাবল্য হয়েছে।।
মনুস্মৃতি ১২/৩৬
যখন জীবাত্মা কর্ম দ্বারা ইহলোকে বিপুল য়শ লাভের আকাঙ্ক্ষা করে এবং দরিদ্র হয়েও প্রসিদ্ধি লাভের জন্য চারণ, ভাট আদিকে দান দেওয়া ত্যাগ করেনা, তখন বুঝতে হবে আমার আত্মায় রজোগুণ প্রবল হয়েছে।।
মনুস্মৃতি ১২/৩৭
যখন মনুষ্যের আত্মা সর্বত্র জ্ঞানলাভের ইচ্ছা করে, নানান গুণ গ্রহণ করে থাকে, সৎকর্মে লজ্জা অনুভব করেনা এবং সৎকর্মে প্রসন্ন হয় অর্থাৎ ধর্ম আচরণে রুচি থাকে, তখন বুঝতে হবে আমার মধ্যে সত্ত্বগুণ প্রবল হয়েছে।
তমোগুণের লক্ষণ কাম, রজোগুণের লক্ষণ অর্থসংগ্রহের ইচ্ছা এবং সত্ত্বগুণের লক্ষণ ধর্ম সেবা। তমোগুণ অপেক্ষা রজোগুণ এবং রজোগুণ অপেক্ষা সত্ত্বগুণ শ্রেষ্ঠ।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ