একাদশী ব্রত - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

11 March, 2020

একাদশী ব্রত

একাদশী ব্রত

একাদশী ব্রতের পাপ-পুণ্যের ভাঁওতাবাজি
মানুষ কে পাপ কর্মে উৎসাহ প্রদান করার জন্য এবং কল্যাণকর কর্ম করতে নিরুৎসাহিত করার জন্যই মন্দবুদ্ধি সম্পন্ন লোকেরা একাদশী নামক প্রথার প্রচলন করেছিল। কিরকম??

একাদশী প্রথার উদ্ভব কারী গণ দাবী করেন---
মদ্যপান, গুরুপত্নী ধর্ষণ, স্ত্রীহত্যা, গোহত্যা পাপ, ধন অপহরণ, ভ্রুণহত্যা, আত্মীয়স্বজন বধ, পিতৃহত্যা, দ্যুতক্রীড়া ইত্যাদি যতই ঘৃণিত পাপ কর্ম করেন না কেন, একাদশী ব্রত পালন করলে সমস্থ পাপ বিনষ্ট হয়ে যায়। এই ব্রতপালনকারি দিব্য দেহ লাভ করে, স্বর্গ, বৈকুণ্ঠে গমন করে। এমনকি কেও সারা জীবন যতই পাপ করুক না কেন; নিজের মনের অজান্তেও যদি একাদশী থাকে। তাহলেও স্বয়ং যমরাজ ভয় পেয়ে দণ্ডবৎ প্রণাম জানিয়ে, ব্রতপালনকারীর পূজা করেন।

বিচার করে দেখুন-- কোন পাপী কে তার পাপকর্মের শাস্তি না দেয়ার অর্থ কি? অর্থাৎ সেই পাপী কে আরো গুরুতর পাপ করারা জন্য উৎসাহ দেওয়া। এবং যারা পাপকাজ করে না তারাও নির্ভয়ে পাপকর্ম করবে। ধরুন! কোন দস্যু একজন পথচারী কে হত্যা করে তার সম্পদ লুট করল। তারপর সে তার পাপের শাস্তি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য; নানা স্থানে গিয়ে রাজার প্রসংসা করতে লাগল। রাজার আজ্ঞা পালন কারি প্রজার মত তার সেবা করা শুরু করল। রাজা যখন দস্যুর কু-কর্মের কথা জানবে, তখন একজন ন্যায়পরায়ণ রাজা হিসাবে তিনি কি সেই দস্যু খুনি কে ক্ষমা করে দিবেন? তিনি যদি দস্যুর সেবায় খুশি হয়ে তাকে ক্ষমা করে দেন, তাহলে যে পথচারী কে হত্যা করা হল সেই পথচারী ও তার পরিবারে প্রতি রাজা অন্যায় করবেন। অন্য দিকে রাজার অন্যান্য জনসাধারণ মনে করবে পাপকার্য্য করে রাজার সেবা করলে রাজা খুশি হয়ে ক্ষমা করে দেন। তাহলে চল আমরা এই সুযোগ কাজে লাগায়। একিভাবে একাদশী ব্রত পালন করলে, যে ঈশ্বর সকল পাপ ক্ষমা করে দেন সেই ঈশ্বর কখনো ন্যায়কারী হতে পারে না। সেই ঈশ্বরের প্রতি তখন পক্ষপাতদুষ্ট দোষ লাগে। তাই সকল কর্মের যথোচিত ফল প্রদান করাই ঈশ্বরের কার্য্য, ক্ষমা করা নয়। এই সব পাপ বিনষ্ট কারি একাদশীর মত কু-প্রথা দুষ্ট বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেরা সৃষ্টি করেছে মানুষ কে আরো পাপ কর্মে উৎসাহ দেয়ার জন্য, ধর্মের নামে সমাজে নানা অনাচার সৃষ্টি করার জন্য।

আবার, অন্যদিকে একাদশী প্রথার উদ্ভব কারী গণ দাবী করেন---
একাদশী পালন করলে যে পুণ্যে ফল লাভ হয়, অশ্বমেধ, রাজসূয় যজ্ঞ, ধন-সম্পদ দান করলেও নাকি সে পুণ্য হয় না। গজদান, ভূমিদান, স্বর্ণদান, অন্নদান, গোদান ইত্যাদি কোন পুণ্যকর্ম নেই যা একাদশী ব্রতের সমান নয়। এমনকি দশ হাজার বৎসর তপস্যা ফল কেবলমাত্র এক একাদশী ব্রত পালনে লাভ হয়ে যায়। এই ব্রত কথা শুধু মাত্র শ্রবন কীর্তন করলেই নাকি সহস্র গোদানের ফল হয়ে যায়। আহারে! পাপের খন্ডন করা আর পুণ্যে কামনো কতই না সহজ!!!

মানুষের শুধুমাত্র নিজের উন্নতিতেই সন্তুষ্ট থাকা উচিত নয়, কিন্তু সকলের উন্নতিকে নিজের উন্নতি ভাবা উচিত। ভূমিহীন কে ভূমি দান করা, গোদান করা, দরিদ্র পিতা কে তার কন্যার বিবাহের জন্য স্বর্ণদান করা, অনাহারী কে অন্নদান করা অপেক্ষা আর কি বা পুণ্যকর্ম হতে পারে? কিন্তু এই সব মহৎ কর্ম থেকে যেহেতু একাদশী থাকলে বেশী পুণ্য হয় তাহলে আর এগুলা করার দরকার টা কি? শুধু একাদশী থাকলেই তো হয়। এমন ধারণা কি মানুষের মনে উদয় হবে না?
এই ভাবেই ব্রত প্রচলন কারিগণ কল্যাণকর, মঙ্গলময়, সমাজের উন্নতি মূলক কাজ করা থেকে মানুষকে নিরুৎসাহিত করেছে। সূক্ষ্ণ ভাবে তারা মানুষের মনে স্বার্থপর মনোভাব তৈরি করেছে। যারা এই একাদশী ব্রত প্রচলন করেছে, তাদের মধ্যে কেবল স্বার্থপরতাই আছে। একাদশী ব্রতকথা অনুসারে ধর্মকীর্তি নামক এক রাজা সারা জীবন পাপকর্মে লিপ্ত থেকেও, মনের অজান্তে একাদশী থেকে ছিলেন। আর তাতেই তার সব পাপ বিনষ্ট হয়ে যায়। এমনি কি যমরাজ পর্যন্ত তাকে প্রণাম করে পূজা করেছিলেন। তাহলে বৈষ্ণবরা স্বজ্ঞানে একটা একাদশী থাকলেই তো তাদের সব পাপ বিনষ্ট হয়ে যায়, দিব্য রথে চড়ে বৈকুণ্ঠে গমন করতে পারে। তবে বৈষ্ণব দের ২৫-২৬ টা একাদশী ব্রত আমদানি করার প্রয়োজন পড়ল কেন?

যুগ যুগ ধরে বেদের আলোকে আমাদের পূর্ব্বকালীন প্রজ্ঞাবান ঋষিগণ মানব কল্যাণের জন্য যজ্ঞ অনুষ্ঠান করেছেন এবং আমাদের কে সেই শিক্ষা দিয়েছেন। আমাদের কে কর্ম করার শিক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু সেই মূল ধারার সনাতন ধর্ম থেকে বাহির হয়ে; অন্য একটা মতবাদ সৃষ্টি করে একাদশীপ্রথার উদ্ভব কারি গণ, বলে যজ্ঞ অপেক্ষা একাদশী প্রথা আরো উচ্চপর্যায়ের, উচ্চ ফল প্রদায়ক অর্থাৎ এরা বেদের বিরুদ্ধে গিয়ে, সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে গিয়ে আমাদের ঋষিগণ কেও অপমান করছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হচ্ছে এই মতবাদ গুলা কে ওরা সনাতন ধর্মের নামে আমাদের খাওয়াচ্ছে আর আমরা নির্বোধের মত সেগুলা খাচ্ছি।
একাদশী প্রথার উদ্ভব কারী শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তার লীলাবিলাসের প্রথম থেকেই "একাদশী উপবাসের" প্রথা প্রবর্তন করেছিলেন। শ্রীল জীব-গোস্বামী তার ভক্তিসন্দর্ভ গ্রন্থে স্কন্ধ পুরাণের একটি উদ্ধৃৃতি দিয়ে বলেছেন, "যে মানুষ একাদশীর দিন শস্যদানা গ্রহণ করে সে তার পিতা, মাতা, ভাই এবং গুরু হত্যাকারী, সে যদি বৈকুণ্ঠ লোকেও উন্নীত হয়, তবুুুুও তার অধঃপতন হয়়।"-(শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত, আদিলীলা ১৫/৮-১০)
একাদশী করলে যে কেবলমাত্র নিজের জীবনের সদ্ গতি হবে তা নয় । একাদশী ব্যক্তির প্রয়াত পিতা / মাতা নিজ কর্ম দোষে নরকবাসী হন , তবে সেই পুত্র ই (একাদশী ব্রত ) পিতা – মাতাকে নরক থেকে উদ্ধার করতে পারে । একাদশীতে অন্ন ভোজন করলে যেমন নরকবাসী হবে , অন্যকে ভোজন করালেও নরকবাসী হবে । কাজেই একাদশী পালন করা আমাদের সকলেরই কর্তব্য । মদ্যপান, গুরুপত্নী ধর্ষণ, স্ত্রীহত্যা, গোহত্যা পাপ, ধন অপহরণ, ভ্রুণহত্যা, আত্মীয়স্বজন বধ, পিতৃহত্যা, দ্যুতক্রীড়া ইত্যাদি যতই ঘৃণিত পাপ কর্ম করেন না কেন, একাদশী ব্রত পালন করলে সমস্থ পাপ বিনষ্ট হয়ে যায়। এই ব্রতপালনকারি দিব্য দেহ লাভ করে, স্বর্গ, বৈকুণ্ঠে গমন করে। এমনকি কেও সারা জীবন যতই পাপ করুক না কেন; নিজের মনের অজান্তেও যদি একাদশী থাকে। তাহলেও স্বয়ং যমরাজ ভয় পেয়ে দণ্ডবৎ প্রণাম জানিয়ে, ব্রতপালনকারীর পূজা করেন।
একাদশী ব্রতের পাপ-পুণ্যের ভাঁওতাবাজি।
মানুষ কে পাপ কর্মে উৎসাহ প্রদান করার জন্য এবং কল্যাণকর কর্ম করতে নিরুৎসাহিত করার জন্যই মন্দবুদ্ধি সম্পন্ন লোকেরা একাদশী নামক প্রথার প্রচলন করেছিল। কিরকম??
বিচার করে দেখুন-- কোন পাপী কে তার পাপকর্মের শাস্তি না দেয়ার অর্থ কি? অর্থাৎ সেই পাপী কে আরো গুরুতর পাপ করারা জন্য উৎসাহ দেওয়া। এবং যারা পাপকাজ করে না তারাও নির্ভয়ে পাপকর্ম করবে। ধরুন! কোন দস্যু একজন পথচারী কে হত্যা করে তার সম্পদ লুট করল। তারপর সে তার পাপের শাস্তি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য; নানা স্থানে গিয়ে রাজার প্রসংসা করতে লাগল। রাজার আজ্ঞা পালন কারি প্রজার মত তার সেবা করা শুরু করল। রাজা যখন দস্যুর কু-কর্মের কথা জানবে, তখন একজন ন্যায়পরায়ণ রাজা হিসাবে তিনি কি সেই দস্যু খুনি কে ক্ষমা করে দিবেন? তিনি যদি দস্যুর সেবায় খুশি হয়ে তাকে ক্ষমা করে দেন, তাহলে যে পথচারী কে হত্যা করা হল সেই পথচারী ও তার পরিবারে প্রতি রাজা অন্যায় করবেন। অন্য দিকে রাজার অন্যান্য জনসাধারণ মনে করবে পাপকার্য্য করে রাজার সেবা করলে রাজা খুশি হয়ে ক্ষমা করে দেন। তাহলে চল আমরা এই সুযোগ কাজে লাগায়। একিভাবে একাদশী ব্রত পালন করলে, যে ঈশ্বর সকল পাপ ক্ষমা করে দেন সেই ঈশ্বর কখনো ন্যায়কারী হতে পারে না। সেই ঈশ্বরের প্রতি তখন পক্ষপাতদুষ্ট দোষ লাগে। তাই সকল কর্মের যথোচিত ফল প্রদান করাই ঈশ্বরের কার্য্য, ক্ষমা করা নয়। এই সব পাপ বিনষ্ট কারি একাদশীর মত কু-প্রথা দুষ্ট বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেরা সৃষ্টি করেছে মানুষ কে আরো পাপ কর্মে উৎসাহ দেয়ার জন্য, ধর্মের নামে সমাজে নানা অনাচার সৃষ্টি করার জন্য।
আবার, অন্যদিকে একাদশী প্রথার উদ্ভব কারী গণ দাবী করেন---
একাদশী পালন করলে যে পুণ্যে ফল লাভ হয়, অশ্বমেধ, রাজসূয় যজ্ঞ, ধন-সম্পদ দান করলেও নাকি সে পুণ্য হয় না। গজদান, ভূমিদান, স্বর্ণদান, অন্নদান, গোদান ইত্যাদি কোন পুণ্যকর্ম নেই যা একাদশী ব্রতের সমান নয়। এমনকি দশ হাজার বৎসর তপস্যা ফল কেবলমাত্র এক একাদশী ব্রত পালনে লাভ হয়ে যায়। এই ব্রত কথা শুধু মাত্র শ্রবন কীর্তন করলেই নাকি সহস্র গোদানের ফল হয়ে যায়। আহারে! পাপের খন্ডন করা আর পুণ্যে কামনো কতই না সহজ!!!
মানুষের শুধুমাত্র নিজের উন্নতিতেই সন্তুষ্ট থাকা উচিত নয়, কিন্তু সকলের উন্নতিকে নিজের উন্নতি ভাবা উচিত। ভূমিহীন কে ভূমি দান করা, গোদান করা, দরিদ্র পিতা কে তার কন্যার বিবাহের জন্য স্বর্ণদান করা, অনাহারী কে অন্নদান করা অপেক্ষা আর কি বা পুণ্যকর্ম হতে পারে? কিন্তু এই সব মহৎ কর্ম থেকে যেহেতু একাদশী থাকলে বেশী পুণ্য হয় তাহলে আর এগুলা করার দরকার টা কি? শুধু একাদশী থাকলেই তো হয়। এমন ধারণা কি মানুষের মনে উদয় হবে না?
এই ভাবেই ব্রত প্রচলন কারিগণ কল্যাণকর, মঙ্গলময়, সমাজের উন্নতি মূলক কাজ করা থেকে মানুষকে নিরুৎসাহিত করেছে। সূক্ষ্ণ ভাবে তারা মানুষের মনে স্বার্থপর মনোভাব তৈরি করেছে। যারা এই একাদশী ব্রত প্রচলন করেছে, তাদের মধ্যে কেবল স্বার্থপরতাই আছে। একাদশী ব্রতকথা অনুসারে ধর্মকীর্তি নামক এক রাজা সারা জীবন পাপকর্মে লিপ্ত থেকেও, মনের অজান্তে একাদশী থেকে ছিলেন। আর তাতেই তার সব পাপ বিনষ্ট হয়ে যায়। এমনি কি যমরাজ পর্যন্ত তাকে প্রণাম করে পূজা করেছিলেন। তাহলে বৈষ্ণবরা স্বজ্ঞানে একটা একাদশী থাকলেই তো তাদের সব পাপ বিনষ্ট হয়ে যায়, দিব্য রথে চড়ে বৈকুণ্ঠে গমন করতে পারে। তবে বৈষ্ণব দের ২৫-২৬ টা একাদশী ব্রত আমদানি করার প্রয়োজন পড়ল কেন?
যুগ যুগ ধরে বেদের আলোকে আমাদের পূর্ব্বকালীন প্রজ্ঞাবান ঋষিগণ মানব কল্যাণের জন্য যজ্ঞ অনুষ্ঠান করেছেন এবং আমাদের কে সেই শিক্ষা দিয়েছেন। আমাদের কে কর্ম করার শিক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু সেই মূল ধারার সনাতন ধর্ম থেকে বাহির হয়ে; অন্য একটা মতবাদ সৃষ্টি করে একাদশীপ্রথার উদ্ভব কারি গণ, বলে যজ্ঞ অপেক্ষা একাদশী প্রথা আরো উচ্চপর্যায়ের, উচ্চ ফল প্রদায়ক অর্থাৎ এরা বেদের বিরুদ্ধে গিয়ে, সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে গিয়ে আমাদের ঋষিগণ কেও অপমান করছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হচ্ছে এই মতবাদ গুলা কে ওরা সনাতন ধর্মের নামে আমাদের খাওয়াচ্ছে আর আমরা নির্বোধের মত সেগুলা খাচ্ছি।
তথ্যসূত্রঃ
১) রঘুনন্দনের একাদশীতত্ত্ব
২) ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে শ্রীভীমসেন-ব্যাস সংবাদ
৩) ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদ
📌বিঃদ্রঃ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ও বর্ত্তমান চাইনা স্টাডি অনুযায়ী সপ্তাহে ১ দিন উপবাস করতে পারেন নানা রোগ নিরাময়ে। কিন্তু সকলের মাসে একবার যে কোন দিন উপবাস করা উচিত। প্রয়োজনার্থে সুধু ডাবের জল পান করা উচিৎ।
বেদে আহার বিষয়ঃ
য়ুঞ্জতে মনऽউত যুঞ্জতে ধিয়ো বিপ্ৰা বিপ্ৰস্য বৃহতো বিপশ্চিতঃ।
বি হোত্রা দখে বয়ুনাবিদেऽইন্সহী দেবস্য সবিতুঃ পরিষ্টুতিঃ ॥ যজুর্বেদ (১১) অধ্যায় ।। ৪॥ পদার্থ ঃ- যে (হোত্রঃ) দান দেওয়া-নেওয়ার স্বভাবযুক্ত (বিপ্রাঃ) বুদ্ধিমান্ পুরুষ যে (বৃহতঃ) বৃহৎ (বিপশ্চিতঃ) সম্পূর্ণ বিদ্যাযুক্ত আপ্ত পুরুষের সমান বৰ্ত্তমান (বিপ্রস্য) সব শাস্ত্রজ্ঞাতা বুদ্ধিমান্ পুরুষ হইতে বিদ্যা প্রাপ্ত বিদ্বান্ দিগের হইতে বিজ্ঞানযুক্ত ব্যক্তি (সবিতুঃ) সর্ব জগতের উৎপন্নকারী এবং (দেবস্য) সকলের
প্রকাশক জগদীশ্বরের (মহী) মহতী (পরিষ্টুতিঃ) সর্ব প্রকারের স্তুতি, সেই তত্ত্বজ্ঞান বিষয়ে যেমন (মনঃ) স্বীয় চিত্তকে (য়ুঞ্জতে) সমাধান করে (উত) এবং (ধিয়ঃ) স্বীয় বুদ্ধিসকলকে (য়ুঞ্জতে) যুক্ত করে সেইরূপ (বয়ুনাবিৎ) প্রকৃষ্ট জ্ঞানযুক্ত (একঃ) অন্যের সাহায্যের অপেক্ষা হইতে রহিত (ইৎ) ই আমি (বিদধে) বিধান করি ॥৪॥
ভাবার্থ :- এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে। যে নিয়মপূর্বক আহার বিহারকারী জিতেন্দ্রিয় পুরুষগণ নিভৃত স্থানে পরমাত্মা সহ নিজ আত্মাকে যুক্ত করেন, তাঁহারাই তত্ত্বজ্ঞান প্রাপ্ত হইয়া নিত্যই সুখভোগ করে ॥৪॥

ঊর্ধ্বামা রোহ পঙ্ক্তিস্ত্বাবতু শাঙ্কররৈবতে সামনী ত্রিণবত্রয়স্ত্রিংশৌ স্তোমৌ হেমন্তশিশিরাবৃত্ব বৰ্চো দ্রবিণং প্রত্যন্তং নমুচ্ঃে শিরঃ ৷৷ যজুর্বেদ দশম অধ্যায়।। ১৪ ৷৷
পদার্থ :- হে রাজন্ ! আপনি (ঊর্ধ্বাম্) উপরের দিকে (আরোহ) প্রসিদ্ধি লাভ করুন। (ত্বা) আপনাকে (পঙ্ক্তি) পঙ্ক্তি নামক পঠিত ছন্দ (শাঙ্কররৈবতে) শঙ্করী ও রেবতী ছন্দ দ্বারা যুক্ত (সামনী) সামবেদের পূর্ব উত্তর দুটি অবয়ব (ত্রিণবক্রয় স্প্রিংশৌ) তিন কাল, নয় অঙ্কের বিদ্যা এবং তেত্রিশ বসু ইত্যাদি পদার্থ যে দুইটি দ্বারা ব্যাখ্যান করা হইয়াছে তাহাদের পূর্ণ করিবার (স্তোমৌ) স্তোত্রদের দুইটি ভেদ (হেমন্তশিশিরৌ) (ঋতু) হেমন্ত ও শিশির ঋতু (বর্চঃ) ব্রহ্মচর্য্য সহ বিদ্যা পাঠ এবং (দ্রবিণম্) ঐশ্বর্য্য (অবতু) তৃপ্ত করুক এবং (নমুচেঃ) দুষ্ট চোরের (শিরঃ) শির (প্রত্যস্তম্) নষ্ট-ভ্রষ্ট হউক ॥১৪ ৷৷
ভাবার্থ :- যে মনুষ্য সকল ঋতুতে সময়ানুসার আহার-বিহারযুক্ত হইয়া বিদ্যা যোগাভ্যাস ও সৎসঙ্গের উত্তম প্রকার সেবন করে, সে সকল ঋতুতে সুখ ভোগ করে এবং তাহাকে কোন চোরাদিও পীড়া দিতে সক্ষম হয় না ৷৷১৪ ৷৷

অসাবি দেবং গোঝজীকমস্কো নাশ্মিরিদ্রো জনুষেমুবোচ।
বোধামসি ত্বা হয়শ য়জ্ঞৈবোধা ন স্তোমমসো মদেষু ॥সামবেদ ৩১৩॥
পদার্থঃ প্রথম অধ্যাত্ম পক্ষে।
আমাদের দ্বারা (দেবম্) দীপ্তিযুক্ত, তেজস্বী (গোর্খাজীকম্ ) ইন্দ্রিয়রূপ গো সমূহের সরলপথে চলার জন্য (অঃ) (অসাবি) তৈরি করা হয়েছে। (অস্মিন্) এর মধ্যে (ইন্দ্রঃ) পরমেশ্বর (জনুষা ঈম্) স্বভাবতই (নি উবাচ) নিত্য সম্বন্ধযুক্ত আছেন। হে (হয়শ) সমস্ত পদার্থের অধিপতি পরমাত্মা! আমরা (য়জ্ঞৈঃ) যোগাভ্যাসরূপ যজ্ঞ দ্বারা (ত্বা) তোমাকে (বোধামাস) জানতে পারি, [ইদন্তো মসি' অষ্টার ৭১ ৪৬] তুমি (অন্ধসঃ) আনন্দ রসের (মদেষু) তৃপ্তি দ্বারা (নঃ) আমাদের (স্তোমম্) স্তুতি সমূহকে (নো) জানো ["দাচোংতস্তিঙঃ'। অষ্টা০ ৬ ৩ ১৩৫] ॥ 8
সরলার্থঃ আমাদের দ্বারা দীপ্তিযুক্ত, তেজস্বী ইন্দ্রিয়রূপ গো সমূহের সরলপথে চলার জন্য শ্রদ্ধারস তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে পরমেশ্বর স্বভাবতই নিত্য সম্বন্ধযুক্ত আছেন। হে সমস্ত পদার্থের অধিপতি পরমাত্মা! আমরা যোগাভ্যাসরূপ ফ তোমাকে জানতে পারি, তুমি আনন্দ রসের তৃপ্তি দ্বারা আমাদের স্তুতি সমূহকে জানো ॥ পদার্থঃ দ্বিতীয়—জীবাত্মা পক্ষে।
(অন্ধঃ") আহার* সেটিই উত্তম যা কিনা ['অন্ধ ইত্যন্ননামসু পঠিতম্' নিঘ০ ২ ৭, 'অন্ন বা অন্ধ' জৈ০ ১৩:৩, 'অন্ধ্যাসি অন্নানি' নিরু০ ৯।৩৪] (অসাবি) উৎপাদন করা হয়েছে [সু= রোপণ করা (to sow)]। আহার ভূমিমাতা থেকে উৎপন্ন শস্যাদিরই করা উচিত। এই কথন-শৈলীতে স্পষ্ট যে মাংসাহার হেয়, কিন্তু এই চিন্তা করতে দুগ্ধও অগ্রহণযোগ্য হয়ে যাবে, তাই বলা হচ্ছে (ঋজীকম্‌=mixed up, ঋজ গতৌ)। অন্যত্র একেই বেদে 'পয়ঃ পশুনাম্' [অথর্ব০ ১৯।৩১।৫] এই বাক্যাংশ দ্বারা ব্যক্ত করা হয়েছে যে পশুদের প্রাণদায়ক দুগ্ধই' ভোজনাথে গ্রহণীয়, মাংসাদি নয় এবং পৃথিবী থেকে উৎপন্ন ব্রীহি, যব, মাষ, তিল, ফল-মূল-কন্দ বা গাভীর দুধই মানবজাতির ভোজন [ব্রীহিমত্তং য়মত্তমথো মাষমথো তিলম্। এষ বাং ভাগো নিহিতো রত্নধেয়ায় দন্তৌ মা হিংসিষ্টং পিতরং মাতরং চ ॥ - অথর্ব ৬।১৪০।২]। এই আহারই সাত্ত্বিক ও (দেবম্) দৈবী সম্পত্তির জন্মদাতা। (অস্মিন্) এই সাত্ত্বিক ভোজনে (ঈম) নিশ্চিতভাবেই (জনুষা) স্বভাবতই (ইন্দ্রঃ) ইন্দ্রিয়সমূহের শাসক হওয়া যায়, দাস নয়। অর্থাৎ সাত্ত্বিক ভোজন দ্বারা ইন্দ্রিয়সমূহকে বশীভূত করা যায়। পক্ষান্তরে রাজসিক ও তামসিক আহার ইন্দ্রিয়ের দাসত্বের কারণ। প্রভু উপদেশ দিচ্ছেন (হয়শ্ব) শীঘ্রতাযুক্ত ইন্দ্রিয়রূপ অশ্বযুক্ত মানব ! (ত্বা) তোমাকে (য়জ্ঞৈঃ) যজ্ঞসমূহ দ্বারা (বোধামসি) জ্ঞানযুক্ত করি। এই মন্ত্রাংশে বস্তুতঃ ক্রিয়াশীলতা, যজ্ঞে প্রবৃত্তি ও জ্ঞান - এই তিন লাভ সাত্ত্বিক আহারীর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে। যেভাবে এক ভক্ত 'আমার মা নিজ সন্তানকে স্বর্ণপাত্রে আহার করতে দেখুক' এই বাক্যে মাতার দৃষ্টিক্ষম চোখ, সন্তান ও ধন এই তিনটিই একত্রে কামনা করা হয়েছে সেভাবেই এখানে একই মন্ত্রে প্রকৃতপক্ষে সাত্ত্বিক আহারের ত্রিবিধ লাভের সংকেত দেয়া হয়েছে এবং (অন্ধসঃ মদেষু) সাত্ত্বিক আহারের আনন্দে বিহ্বলিত (নঃ স্তোমং বোধ) আমাদের স্তুতি সমূহকেও জ্ঞাত হও। অর্থাৎ, সাত্ত্বিক আহারী মানব প্রভুকে বিস্মৃত হয় না। বরং সর্বদা স্মরণ করে ॥১ ৷৷
সরলার্থঃ আহার সেটিই উত্তম যা কিনা উৎপাদন করা হয়েছে। আহার ভূমিমাতা থেকে উৎপন্ন শস্যাদিরই করা উচিত, সাথে গোদুগ্ধ। এই আহারই সাত্ত্বিক ও দৈবী সম্পত্তির জন্মদাতা। এই সাত্ত্বিক ভোজনে নিশ্চিতভাবেই, স্বভাবতই ইন্দ্রিয়সমূহের শাসক হওয়া যায়, দাস নয়। অর্থাৎ সাত্ত্বিক ভোজন দ্বারা ইন্দ্রিয়সমূহকে বশীভূত করা যায়। পক্ষান্তরে রাজসিক ও তামসিক আহার ইন্দ্রিয়ের দাসত্বের কারণ। প্রভু উপদেশ দিচ্ছেন শীঘ্রতাযুক্ত ইন্দ্রিয়রূপ অশ্বযুক্ত মানব ! তোমাকে যজ্ঞসমূহ দ্বারা জ্ঞানযুক্ত করি। ভক্ত বলছেন, সাত্ত্বিক আহারের আনন্দে বিহ্বলিত আমাদের স্তুতি সমূহকেও জ্ঞাত হও। অর্থাৎ, সাত্ত্বিক আহারী মানব প্রভুকে বিস্মৃত হয় না। বরং সর্বদা স্মরণ করে ॥১॥ এই মন্ত্রে অন্যান্য অলঙ্কার" রয়েছে ॥
ভাবার্থঃ পরমেশ্বরের উপাসনা দ্বারা যোগাভ্যাসী মানুষ নিজের ইন্দ্রিয়কে সরলপথে চালিত করতে পারে। এই জন্য সকলের শ্রদ্ধাপূর্বক পরমেশ্বরের উপাসনা করা উচিত। সাত্ত্বিক আহারের সুফলসমূহ - ১. জিতেন্দ্রিয় হওয়া ২. ক্রিয়াশীলতা ৩. যজ্ঞশীল হওয়া ৪. জ্ঞানী হওয়া ৫. সদা সর্বদা প্রভুর স্তুতি করার চেতনা লাভ ॥১॥

পুরাণ ও গীতায় উপবাসাদি (একাদশী) ব্রত পালন নিয়ে কি বলা হয়েছেঃ

* কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন।
মা কর্মফলহেতুভূমা তে সঙ্গোহস্ত্বকর্মণি।। ←গীতা ২/৪৭→
অর্থাৎ কেবল কর্মে তোমার অধিকার আছে, ফলে নেই। এইরূপ চিন্তা কর যে ফলই নেই। ফলে যেন কখনও তোমার আসক্তি না হয়, আবার কর্মে অশ্রদ্ধাও যেন না হয় ।
* যুক্ত: কর্মফলং ত্যক্ত্বা শান্তিমাপ্নোতি নৈষ্ঠিকীম্ ।
অয়ুক্ত: কামকারেণ ফলেসক্তো নিবধ্যতে।। ←গীতা ৫/১২→
অর্থাৎ নিষ্কাম কৰ্মযোগিগণ কৰ্মফল ত্যাগ করিয়া সর্বদুঃখ-নিবৃত্তিরূপ স্থির শান্তি লাভ করেন । সকাম বহির্মুখ ব্যক্তিগণ কামনাবশতঃ ফলে আসক্ত হইয়া বন্ধনদশা প্রাপ্ত হন।
(সামান্য তাৎপর্য তুলে ধরার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । কারণ যদি তাতে নিজস্ব বুদ্ধি থেকে থাকে তাহলে তা সংশোধন করে দেওয়ার জন্য)
* তাৎপর্য, যাহারা বা যিনি নিয়মিত যোগ সাধনা কর্ম করেন কিন্তু ফলের আশা করেন না তাহার বা সে ব্যক্তি মুক্তি লাভ করেন। তাই তাদের আর পূণজন্ম হয় না ।। কারণ তারা স্থির শান্তি লাভ করেন অর্থাৎ পরমাত্মাকে লাভ করেন ।।
আর যারা স্থির হতে পারে না তারা কি করলে কি ফললাভ হবে তা নিয়ে ব্যাস্থ থেকে তাকেই ধর্মকর্ম ভেবে করতে থাকে তাদের বারংবার জন্ম-মৃত্যু, মৃত্যু-জন্ম এভাবে চলতে থাকে। তা কতোইনা যন্ত্রনাদায়ক।।
আমরা সকাম কর্ম যে নিকৃষ্ট কর্ম এবং নিষ্কাম কর্ম যে শ্রেষ্ঠ কর্ম একথা সবাই জানি। আর জেনে শুনে আমরা যদি নিকৃষ্ট কর্ম করি তাহলে এতে দোষ দেব কাকে?
*তস্মাদসক্তঃ সততং কার্যং কর্ম সমাচর ।*
* অসক্তো হ্যাচরন্ কর্ম পরমাপ্নোতি পুরুষঃ।। * গীতা ৩/১৯
অর্থাৎ: তুমি আসক্তিশূন্য হইয়া কর্ম সম্পাদন করো, অনাসক্ত হয়ে কর্মানুষ্ঠান করিলে পুরুষ পরমপদ (মোক্ষ) প্রাপ্ত হন।
*গীতায় স্পষ্টভাবে বলেছে আসক্তিশূন্য কর্ম করার জন্য। *
উপবাস সম্পর্কে গীতায় শ্রী কৃষ্ণ কি কিছু বলেছেন নাকি অন্যকিছু→ *
*নাত্যশ্নতস্ত যোগোহস্তি ন চৈকান্তমনশ্নতঃ।
*ন চাতিস্বপ্নশীলস্য জাগ্রতো নৈব চার্জুন।। ←গীতা ৬/১৬
*অর্থাৎ: হে অর্জুন! যে অতিরিক্ত ভোজন করে অথবা উপবাস থাকে, আবার অতিরিক্ত নিদ্রা অথবা সমস্ত রাত্রি জাগীয়া থাকে তাহার যোগ হয় না। *
যুক্তাহারবিহারস্য যুক্তচেষ্টাস্য কর্মসু।*
যুক্তস্বপ্নাববোধস্য যোগো ভবতি দুঃখহা।। ←গীতা ৬/১৭
অর্থাৎ: আহার, বিহার, কর্ম, নিদ্রা ও জাগরণে যিনি সমতা রাখিয়া চলেন, তাহার যোগ দুঃখনাশী হয়। *
অশাস্ত্রবিহিতং ঘোরং তপ্যন্তে যে তপো জনাঃ।
দম্ভাহঙ্কারসংযুক্তাঃ কামরাগবলান্বিতাঃ।।
কর্ষয়ন্তঃ শরীরস্থং ভূতগ্রামমচেতসঃ।
মাং চৈবান্তঃশরীরস্থং তান্ বিদ্ধ্যাসুরনিশ্চয়ান্।। ←গীতা ১৭/৫-৬
অনুবাদঃ দম্ভ ও অহঙ্কারযুক্ত এবং কামনা ও আসক্তির প্রভাবে বলান্বিত হয়ে যে সমস্ত অবিবেকী ব্যক্তি তাদের দেহস্থ ভূতসমূহকে এবং অন্তরস্থ পরমাত্মাকে ক্লেশ প্রদান করে শাস্ত্রবিরুদ্ধ ঘোর তপস্যার অনুষ্ঠান করে, তাদেরকে নিশ্চিতভাবে আসুরিক বলে জানবে।
[ অর্থাৎ এর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি যে, অশাস্রীয় কঠোর তপস্যা শরীরের ভূতগুলিকে কষ্ট দেয়, সে অসুরের ন্যায়, কার্য করিয়া থাকে ]
অত্রিসংহিতা -
*জীবদ্ভর্ত্তরি যা নারী উপোষ্য ব্রতচারিণী।*
* আয়ুষ্যং হরতে ভর্ত্তুঃ সা নারী নরকং ব্রজেৎ।। *
(অত্রিসংহিতা ১৩৬নং শ্লোক।)
*অনুবাদ: যে নারী স্বামী জীবিত থাকিতে উপবাস করিয়া ব্রত করে,সে নারী স্বামীর আয়ু হরণ করে ও নরকে গমন করেন।।*
* এই বচন অনুসারে কোন সধবা নারী, একাদশী হলো উপবাস ব্রত,তাই তা পালন করে স্বর্গে যাওয়া ত দূরের কথা, সাথে স্বামীর আয়ু হরণ কারিনী হন। *
বিষ্ণুসংহিতায় -
*পত্যৌ জীবতি যা যোষিদুপবাসব্রতং চরেৎ।*
* আয়ুঃ সা হরতে ভর্ত্তুর্নরকঞ্চৈব গচ্ছতি।।
*(বিষ্ণুসংহিতা ২৫তম অধ্যায় ১৬নং শ্লোক)
*অনুবাদঃ যে স্ত্রী পতি জীবিত থাকিতে উপবাস ব্রত আচরণ করে, সে নারী স্বামীর আয়ু হরণ ও নরকে গমন করে।।*
পতৌজীবতিয়া নারী উপবাস ব্রতংচরেৎ।
আয়ুষ্বংহর তেভর্তুর্মৃতা নরকমিচ্ছতি।।
(পদ্ম পুরাণ, সৃষ্টি খণ্ড, অঃ ৩৪, শ্লোক ৭৪)
পদার্থ: (পতো জীবতিয়া) পতির জীবিত অবস্থায় (নারী) যে নারী (উপবাস ব্রতম) উপবাসাদি ব্রত (আচরেৎ) পালণ করে, সে নারী (ভর্তু আয়ুম্বম) পতির আয়ু (হরতে) হরণ করে এবং (মৃতা) মৃত্যুর পর (নরকম) নরক (ইচ্ছতি) কামনা করে সরলার্থ: পতির জীবিত অবস্থায় যে নারী উপবাসাদি ব্রত পালণ করে, সে নারী পতির আয়ু হরণ করে এবং মৃত্যুর পর নরক কামনা করে।"

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ