গুপ্তবিদ্যা - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

21 April, 2020

গুপ্তবিদ্যা


বাংলায় গুপ্তবিদ্যা বংলা দুষ্পাপ্য বই পিডিএফ

ডিজিটাল বইয়ের নাম- প্রত্যন্ত বাংলায় গুপ্তবিদ্যা
লেখক- প্রবোধকুমার ভৌমিক
ভাষান্তর- ডঃ দেবব্রত ভট্টাচার্য
বইয়ের ধরন- দুষ্পাপ্য বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৭
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৬এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানী ডক্টর প্রবোধকুমার ভৌমিক প্রণীত বিভিন্ন ইংরেজি গ্রন্থের তালিকায় তার “অকালটিজম ইন ফ্রিনজ বেংগল" গ্রন্থটিই বোধহয় আকারে সবথেকে ছোট। কিন্তু গুপ্তবিদ্যা-বিষয়ক তথ্যের পরিবেশনার দিক থেকে চিন্তা করে এটিকে স্বচ্ছন্দে মস্ত বড় গ্রন্থ বলা যায়। আর ঠিক এই কারণেই বোধকরি, বহু নৃবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও লোকাচার বিদ্যায় পণ্ডিত ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছে এই ছোট্ট গ্রন্থটি। বলতে দ্বিধা নেই যে, আমাদের এখানে অকালটিজম-এর ওপর লেখা ইংরেজি গ্রন্থ হিসেবে এটিই প্রথম, আজ থেকে পনেরো বছর আগে প্রকাশিত হয়। অকালটিজম সংক্রান্ত যে-কোন বিষয়ের গবেষণার ক্ষেত্রে গ্রন্থখানি যে খুবই প্রয়োজনীয়, তা বলা বাহুল্য।
এখন, গুপ্তবিদ্যা নামে নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উল্লেখ করা যায় না। কারণ, এমন অনেক বিষয় আছে যেমন, ডাকিনী বিদ্যা (Witchcraft), মায়াবিদ্যা (sorcery), শাকুনবিদ্যা (augury), সম্মোহনবিদ্যা(hypnotism) ইত্যাদি সবই গুপ্তবিদ্যার অন্তর্ভুক্ত। এই সব বিদ্যার অধিকাংশ ক্রিয়াকর্ম আচার অনুষ্ঠান কঠিন গোপনীয়তার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে গুপ্তবিদ্যার যাবতীয় চর্চা বা অনুশীলন (occult practices) যে প্রত্যন্ত বাংলার মাটিতেই কেবল সীমাবদ্ধ একথা কেউ যেন ভুলেও না মনে করেন। এ বিদ্যাচর্চার ইতিহাস অতি প্রাচীন। চলে আসছে হাজার হাজার বছর ধরে ভারতবর্ষের নানা জাতি উপজাতির সমাজ জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত হয়ে। এই গ্রন্থের বিষয়বস্তুর সংক্ষিপ্ত আলোচনায় এটা পরিষ্কার যে, গুপ্তবিদ্যার চর্চা কোন আকস্মিক বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, নিছক অন্ধবিশ্বাস নয়, আবার পুরোপুরি দুষ্ট বা কুবিদ্যাও নয়; বরং গুপ্তবিদ্যা বা রহস্যবিদ্যার বিভিন্ন আচার বিচার উৎসব অনুষ্ঠান, মস্তুতন্ত্র, দেবদেবী, পূজা-পার্বণ বিধিবিধান ইত্যাদি ভারতীয় সমাজ সংস্কৃতিরই (Socio-cultural) কতকগুলি একান্ত প্রয়োজনীয় ও প্রচলিত দিক। এ প্রসঙ্গে সব থেকে লক্ষণীয় বিষয় হলো এই যে, গুপ্তবিদ্যা বিষয়ক যাবতীয় প্রচলিত বিশ্বাস লোকমানসে (Flok-mind) এমনভাবেই প্রোথিত হয়ে এসেছে নানান সংস্কারের মধ্য দিয়ে, যা অপসারণ করা কোন ভাবেই কখন সম্ভব হয়নি। তাই এই অকালট-চৰ্চা ভারতের আদিম মানবগোষ্ঠীর জীবনে বংশ পরম্পরায় চলে এসেছে অটল অনড় এক ঐতিহ্য (a persisting tradition) হিসেবে। 
প্রাচীনতার ভিত্তি থেকে উদ্ভূত ও ধর্মবিশ্বাস থেকে গড়ে ওঠা বহু বিচিত্র মানসিক ধ্যানধারণাকে সম্বল করেই ভারতের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষ তাদের এই ঐতিহ্যকে যে সমানে বহন করে এসেছে বা আসছে, তা কোন মানববিজ্ঞানী বা সমাজবিজ্ঞানী অস্বীকার করতে পারেন না।
প্রাচীন এই উপমহাদেশের সমাজজীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুপ্তবিদ্যা সম্পর্কীয় বহুল প্রচলিত ক্রিয়াকর্মের সত্যতা যে অস্বীকার করা যায় না তা আমাদের বৈদিক যুগ ও তার পরবর্তীকালের পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলির মধ্যে প্রবেশ করতে পারলেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ বিষয়ে গ্রন্থকার তার ইংরেজী গ্রন্থের এক জায়গায় বলেছেন যে,..."these practices have a reality at the folk level and it may be traced in the sacred text as well."কিন্তু দুঃখের বিষয়, কিছু কিছু ভারতীয় বুদ্ধিজীবী (Indian intellectuals) পাশ্চাত্য মূল্যবোধ ও আদর্শের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে প্রতিষ্ঠানগত গুপ্তবিদ্যাচর্চার যে কোন রকম গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা থাকতে পারে, তা তারা চিন্তা করতেও প্রস্তুত নন। তবে তাদের কেউ কেউ অকাল্ট বিদ্যার গভীরে যদি একটু দৃষ্টি সঞ্চালন করার প্রয়াসী হন, তাহলে গুপ্তবিদ্যাচর্চার গুরুত্ব কিছুটা হয়ত উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন। গ্রন্থকার তাই বলেছেন যে,
"...a close scrutiny of the operations of the institution of allegedly occult practices reflects how different regional, religious and caste-groups interact and coalesce through these occult practices."
এরপর আমার আর কিছু বলার না থাকলেও একটা কথা না বলেই পারছি না সেটা হল এই যে, সাধারণ পাঠক-পাঠিকার কাছে এই গ্রন্থটি যাতে সুখপাঠ্য হয়ে উঠতে পারে, সেজন্য আমি আমার সাধ্যমত সহজ সরল বাংলায় দুরূহ ইংরেজি গ্রন্থটির ভাষান্তরের কাজ করেছি। অবশ্য, বিভিন্ন ইংরেজিতে পরিবেশিত মন্ত্রগুলির সরল বঙ্গানুবাদ করতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। বিচিত্র ভাষা ভাব ও অর্থের সমম্বয়েই যখন এক একটি মন্ত্রের ত্রিবেণী সঙ্গম তখন ঐ সঙ্গমের পবিত্রতা যথাযথভাবে বজায় রাখতে চেষ্টার ত্রুটি রাখিনি। কিন্তু সত্ত্বেও ত্রুটি-বিচ্যুতি ঘটে গিয়ে থাকা কিছু বিচিত্র নয়। সহৃদয় পাঠক মাত্রেই এরকম দোষত্রুটি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন বলেই আশা রাখি।
গ্রন্থটির বঙ্গানুবাদ করার ইচ্ছে প্রকাশ করা মাত্র গ্রন্থকার নিঃসংকোচ চিত্তে যেভাবে অনুমতি দেন তাতে তার কাছে আমি একান্তই কৃতজ্ঞ। গ্রন্থাকারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন মাইতি একাজে আমাকে যথেষ্টই সাহায্য করেছেন, সে জন্যে তার প্রতিও আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। বঙ্গানুবাদের কাজ আরম্ভ করার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমার ভ্রাতৃবধূ সুলেখিকা শ্রীমতী সোমা ভট্টাচার্য যে কি পরিমাণ সাহায্য করেছে তা আর বলার নয়। সুতরাং তার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা নয়, রইল অন্তরের আশীর্বাদ। এরই সংগে গ্রন্থকারের লেখা 'ধর্ম বিশ্বাসের পটভূমিকায় আচার অনুষ্ঠান' প্রবন্ধটি বক্তব্য পত্রিকা থেকে পুনর্মুদ্রিত করা হল।- দেবব্রত ভট্টাচার্য
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে প্রবোধকুমার ভৌমিক প্রণীত একটি দুষ্পাপ্য বই- 'প্রত্যন্ত বাংলায় গুপ্তবিদ্যা'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ