|| ঈশ্বরকে জানতে হলে মহাবিশ্বের মহাবিশ্ব জানতে হবে ||
এই ভাবনা ঋষি দেব দয়ানন্দ জির কাছ থেকে, শুধু মানুষের উচিত সৃষ্টির সৃষ্টি জেনে ভালো করে ঈশ্বরকে জানা, সেটা হল, কেউ যদি নিজেকে জানতে চায় বা ঈশ্বরকে জানতে চায়, তাহলে প্রথমে সৃষ্টির সৃষ্টি জানা দরকার । |
সৃষ্টির স্রষ্টা কে, কি হওয়ার কারণ, কিভাবে তৈরি হয়, এটা কিভাবে তৈরি হয়, এটা মানুষের কাজ সব বিষয় জানা, মানুষ নামের কারণে, এটা জানা ও প্রয়োজন । মানুষ হচ্ছে পৃথিবী । কা এমন একটি জীব যে জানতে চায়, তার জ্ঞান বৃদ্ধি করতে চায়, যখন, কি, কেন, এবং কিভাবে, এবং কিভাবে, তাদের একমাত্র নাম যাদের জানার ক্ষমতা আছে তারা মানুষ |
যাত্রা থেকে তিনটি জিনিস কখনো ধ্বংস হয় না, এটা চিরকালের জন্য এবং চিরকাল থাকবে | ঈশ্বর = প্রকৃতি = জীবন = যে এটাকে তৈরি করেছে তাকে আশীর্বাদ বলা হয় | ঈশ্বর কখনো শেষ করবেন না = এমনকি বেঁচে থাকা হচ্ছে না শেষ = এবং প্রকৃতি শেষ না করে রূপ পরিবর্তন করে | ঈশ্বর যেমন আশীর্বাদ, ঠিক তেমনি, বেঁচে থাকা, এবং প্রকৃতি ও ধন্য, এটাই, যার একটি প্রারম্ভিক পিরিয়ড নেই, এটি চিরকাল এবং চিরকাল থাকবে |
द्वा सुपर्णा सयुजा सखाया समानं वृक्षं परिषस्वजाते |
तयोरन्यःपिप्पलं स्वाद्वत्त्यनश्न्न्यो अभि चाकशीति || ऋ० म० 1 सू 164 म० 20
তার মানে এখানে ঈশ্বর, প্রকৃতি, এবং প্রাণী, তিন জন সমান, একে অপরের সত্য {বন্ধু} প্রকৃতি গাছের গাছে বসে আছে | ঈশ্বর খাবার পান করতে হয় না, তিনি জানেন, বেঁচে থাকা ছোট , প্রকৃতি জ্ঞান শূন্য হ্যায় | জীবন খাবার খায়, ঈশ্বর খাবার পান করতে হয় না, তিনি জানেন ক্ষুধা করার সময় ও সবার স্বাদ |
এই তিনজনের গুণাবলী ও ধন্য, এই পৃথিবীর গাছে থাকা জীবন্ত পাপের ফল খাচ্ছে | আর ঈশ্বর কষ্ট করেন না, সর্বত্র জ্বলজ্বল করছে | ঈশ্বর, জীবন, এবং প্রকৃতি, সব তিনটি । এটা অনাথ |
তার মানে, ঈশ্বর অনন্ত অনন্ত জীবনের জন্য বেদ দ্বারা সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞান দিয়েছেন |
अजामेकां लोहितशुक्लकृष्णां, ब्रह्मिःप्रजाःसृजमानां स्वरुपः|
যে, সে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
প্রকৃতি, প্রাণী, এবং ঈশ্বর সব তিন " আজ মানে যারা কখনো জন্ম নেয় না, তারা কখনো জন্ম নেয় না | তার মানে, এই তিন জন পৃথিবীর সব কারণে, তাদের কোন কারণ নেই | এই anadi প্রকৃতি হয়েছে জীবন যাপন করে ধরা । | আর ঈশ্বর এটা কষ্ট দেন না এবং এতে জড়িত না | জীবন এবং জীবনের কাজ শেষ । ঈশ্বর যা করেন তা ঈশ্বর করতে পারেন, তিনি বাঁচতে পারেন না | এবং যে কাজ আত্মা করে । ঈশ্বর করেন না, তার অহংকার মর্যাদার বিরুদ্ধে | এবং প্রকৃতি রুট কারণ সে নিজে কিছু করতে পারে না, সে নিজেই কিছু করতে পারে না, সে নিজেই কিছু করতে পারে না । এটা জানা খুব জরুরি |
প্রকৃতি কি তা বুঝে {সত্য} {রাজা :} {তমা :} এই তিনটি একত্রে প্রকৃতি বলা হয় | এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান: ইগো থেকে, অহং থেকে পাঁচটি tanmātrā, sukṣyma ভুত এবং দশ ইন্দ্রিয় এবং একাদশ মন পাঁচ ভুত পৃথিবীর পাঁচটি ভুত, এই চব্বিশ এবং পাঁচ "পুরুষ" বেঁচে আছে এবং ঈশ্বর | এই প্রকৃতির এর, এবং আত্মার কাজ, অহংকার এবং পাঁচটি সূক্ষ্ম ভুত প্রকৃতি, এবং চেতনা মনের কারণ এবং স্থূল ভূতের কারণ | আর পুরুষরা কারো স্বভাব বা কারো কাজ নয় |
আমি অবশ্যই বলি এই জ্ঞান শুধু মাত্র বেদ, বাইবেল, কুরআন ইত্যাদির মত কোন ধর্মীয় বইয়ে কোন জ্ঞান নেই । আর তারা এই জিনিস জানে না এবং এই জিনিস জানতে চায় না | এটা জানার কারণ একটাই উপায় বেদ এর জন্য যে পৃথিবীর কেউ জানে না | কোরআনের উৎপত্তি এবং বাইবেল স্পষ্ট বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দিয়ে | যেমন kūtana বলে-আল্লাহ একবার কুন শব্দ বলেছেন যা - এটা ঘটে | যখন কোন শব্দ একটি করে শব্দ-যখন সামনে কেউ থাকে না, তখন কে বলা হয়? এমনকি বাইবেল বলে ঈশ্বর সৃষ্টি সৃষ্টি করেছেন - এমনকি এখানে সবকিছু বলা হয়ে গেছে, কাকে বলতে হবে জানি না |
একই ভাবে, সব দৃষ্টিভঙ্গি শুধু নিজের দোকান করেছে, দুর্ভাগ্যবশত এই আর্য বা হিন্দু যারা বেদ জ্ঞানের কথা বলে, তাদের কাজে না আনার কারণে, সব ভোট ও ধর্ম । এটা আয়ত্ত করতে যাচ্ছি । | এই মানুষগুলো সাধুদের উপেক্ষা করেছে, সাধক বেদ ফিরে আসতে বলেছে, তারা বেদ থেকে চলে গেছে, এই ফলাফল তার ফলাফল |
ঈশ্বর
ঈশ্বর সচ্চিদানন্দস্বরূপ, নিরাকার, সর্বশক্তিমান, ন্যায়কারী, দয়ালু, অজন্মা, অনন্ত, নির্বিকার, অনাদি, অণুপম, সর্বাধার, সর্বেশ্বর সর্বব্যাপক, সর্বান্তর্যামী, অজর, অমর, অভয়, নিত্য, পবিত্র ও সৃষ্টিকর্তা,
এখন ‘‘ঈশ্বর’’ শব্দের শব্দের তাৎপর্য আলোচনা করা যাক। ‘‘ঈশ্’’ ধাতুর উত্তরে বরচ্ প্রত্যয় যোগে ‘‘ঈশ্বর’’ শব্দটি উৎপন্ন হয়েছে। ‘‘ঈশ্’’ ধাতুর অর্থ শ্রেষ্ঠ বা প্রভূ। যিনি এই জীব-জগতের সকলের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বা যিনি সকলের প্রভূ, তিনিই ঈশ্বর। আবার যাঁর অষ্টবিধ ঐশ্বর্য আছে, তিনিই ঈশ্বর। অষ্টবিধ ঐশ্বর্য বলতে অণিমা, মহিমা, গরিমা, লঘিমা, প্রাপ্তি, প্রাকাম্য, ঈশিত্ব ও বশিত্ব বোঝায়। সূক্ষ্ম আকার ধারণ করার ক্ষমতাকে অণিমা, শরীরকে স্থুলাকার করার ক্ষমতাকে মহিমা, ইচ্ছা মত ভারী হওয়ার ক্ষমতাকে গরিমা, ইচ্ছা মত লঘু বা হালকা হওয়ার ক্ষমতাকে লঘিমা, সর্বত্র গমন করার ক্ষমতাকে প্রাপ্তি, নিজ ভোগের ইচ্ছা পূর্ণ করার ক্ষমতাকে প্রাকাম্য, প্রভূত্ব করার ক্ষমতাকে ঈশিত্ব এবং সকলকে বশ করার ক্ষমতাকে বশিত্ব বলে।
ভগবান কে? যাঁর ভগ (গুণ) আছে তিনিই ভগবান। ভগ বলতে ঐশ্বর্য, বীর্য, যশ, শ্রী, বৈরাগ্য এবং জ্ঞান এই ছয়টি গুণকে বোঝায়। এবার ব্রহ্ম প্রসঙ্গে আসা যাক। ‘‘বৃনহ’’ ধাতু পূর্বক মন্ দ্বারা ব্রহ্ম শব্দটি নিষ্পন্ন হয়েছে। ‘‘বৃনহ’’ ধাতুর অর্থ বৃহৎ। যিনি বৃহৎ বা অসীম এবং সর্বব্যাপী আছেন, তিনিই ব্রহ্ম। ব্রহ্ম নিরাকার (যাঁর কোন আকার নেই), নিরঞ্জন (যাঁকে অঞ্জন বা চক্ষু দ্বারা দর্শন করা যায় না), নির্বেদ্য (যাঁকে জানা যায় না), অনন্ত (যাঁর আদি বা অমত্ম নেই), অসীম (যাঁর সীমা নেই), অজর (যাঁর জরতা নেই), অমর (যিনি মরেন না), অবিনশ্বর (যাঁর বিনাশ নেই), অখ- (যাঁকে খ- করা যায় না অর্থাৎ যিনি পূর্ণ), অপরিণামী (যার কোন পরিমান নেই), অবিকার (যাঁর বিকার নেই) এবং বিভু (যিনি শক্তিমান)। ব্রহ্মসূত্রে আছে, ‘‘জন্মাদ্যস্য যতঃ’’ অর্থাৎ যা হতে জগতের সৃষ্টি, স্থিতি ও লয়, তিনি ব্রহ্ম। এখন প্রশ্ন হল, ব্রহ্ম নিরাকার ও নির্গুণ হলে কিভাবে তিনি জগৎকে নিয়ন্ত্রন করেন? প্রকৃতপক্ষে ব্রহ্মের দেহ ও ইন্দ্রিয় না থাকলেও তিনি নিষ্প্রাণ বা জর নয়। ব্রহ্ম চৈতন্যময় কারণ চৈতন্যময় না হলে তিনি পাপ-পূণ্যের বিচার করতে পারতেন না।
মুণ্ডক উপনিষদে বলা হয়েছে, ‘‘যাঁর জ্ঞান অপ্রতিহত, সমগ্র সৃষ্টি যাঁর জ্ঞাত, তপস্যা যার জ্ঞানময়, সেই ব্রহ্ম হতেই স্রষ্টা, নাম, রূপ ও অন্ন উৎপন্ন হয়’’। বেদে স্রষ্টাকে ঈশ্বর বা ভগবান বলে সম্বোধন করা হয়নি। বেদের ঋষিগণ প্রকৃতির বিভিন্ন শক্তির মধ্যে স্রষ্টাকে প্রত্যক্ষ করেছেন। তাঁরা উপলব্ধি করেছেন যে, এক স্রষ্টা প্রকৃতিতে বিভিন্ন রূপে বিদ্যমান। তাঁরা স্রষ্টার সে রূপকে কখনও অগ্নি, কখনও ইন্দ্র, কখনও সূর্য নামে অভিহিত করেছেন এবং তাঁরা উপলব্ধি করেছেন যে, অগ্নি, ইন্দ্র, সূর্য, বরুণ প্রভৃতি দেবতা পৃথক নয়। এক স্রষ্টাই অগ্নি, ইন্দ্র, সূর্য প্রভৃতি রূপে প্রকাশিত হয়েছেন।
বেদে স্রষ্টাকে পুরুষ নামেও সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলের পুরষ-সূক্তে বলা হয়েছে- ‘‘সে পুরুষের অনন্ত মস্তক, অনন্ত নয়ন, অনন্ত চরণ। তিনি সমগ্র ভুবনকে পরিব্যাপ্ত করেও নাভির দশাঙ্গুল ঊর্ধে অর্থাৎ হৃদয়ে বিরাজিত আছেন’’। শঙ্করাচার্য ঈশ্বরকে গোবিন্দ নামে আখ্যায়িত করেছেন। শঙ্করাচার্য তাঁর বিবেকচূড়ামণি গ্রন্থের শুরুতেই বলেছেন, ‘‘সমস্ত বেদান্তশাস্ত্রের সিদ্ধান্তে যাঁর কথা বলা হয়েছে, যিনি বাক্য ও মনের অতীত এবং পরমানন্দ স্বরূপ সদ্-গুরু সেই গোবিন্দ নামধারী পরমাত্মাকে আমি প্রণাম করি’’। সহজ কথায় বেদান্তবাক্য দ্বারা যাঁকে জানা যায়, তিনিই গোবিন্দ।
ঈশ্বরের অস্তিত্ব উপলব্ধি করার উপায় কি? একটি পাত্রে জলের মধ্যে কিছু চিনি রেখে দিলে কিছুক্ষণ পর চিনি জলে দবীভূত হয়ে অদৃশ্য হয়ে যাবে। চিনি ও জলের দ্রবণে চিনিকে দেখা না গেলেও ঐ দ্রবণ পান করে বোঝা যায় যে, এতে চিনি আছে। এভাবে ঈশ্বরকে চক্ষু দ্বারা প্রত্যক্ষ না করা গেলেও তাঁর অসিত্মত্ব অস্বীকার করা অসম্ভব। ন্যায়-দর্শনে ঈশ্বরের অস্তিত্বের পক্ষে যেসব যুক্তি দেয়া হয়েছে, তা আলোচনা করা যাক। প্রথমত, সব পদার্থের মধ্যেই একটি কার্য-কারণ সম্বন্ধ থাকে। যা থেকে কার্য সৃষ্টি হয়, তাই কারণ। কুমার মাটি দিয়ে ঘট তৈরি করে, এখানে মাটি কারণ এবং ঘট কার্য। চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, পাহাড়, পবর্ত, সমুদ্র, বন প্রভৃতি সবই যোগিক পদার্থ। যৌগিক পদার্থ অংশের সমষ্টি এবং এর আকার-আকৃতি রয়েছে। তাই যৌগিক পদার্থ মাত্রই কার্য। প্রত্যেক কার্যের একটি কারণ আছে। তাই চন্দ্র সূর্য, নক্ষত্র প্রভৃতি কার্যেরও কারণ আছে। কারণ প্রধানত দুই প্রকার, যথা- উপাদান কারণ এবং নিমিত্ত কারণ। যেমন- ঘটের উপাদান কারণ মাটি এবং নিমিত্ত কারণ কুমার। চন্দ্র, সূর্য প্রভৃতির কার্যেরও উপাদান ও নিমিত্ত কারণ থাকবে। পঞ্চভূতই (মাটি, জল, আগুন, বায়ু ও আকাশ) এদের উপাদান কারণ। তবে এদের নিমিত্ত কারণ কে? চন্দ্র, সূর্য, প্রভৃতি কার্যের নিমিত্ত কারণই ঈশ্বর। দ্বিতীয়ত এ জগতে কেউ ধনী, কেউ দরিদ্র, কেউ সুখী, কেউ দুঃখী, কেউ জ্ঞানী, কেউ মূর্খ-মানুষের মধ্যে এই বিভেদে একটা কারণ আছে। মানুষের কর্মফলই এই বিভেদের জন্য দায়ী। সুকর্ম করলে সুফল এবং কুকর্ম করলে কুফল পাওয়া যায়। মানুষের এই শুভাশুভ ফল যাতে সঞ্চিত থাকে তাকে অদৃষ্ট বলে। জীব নিজে তার অদৃষ্টকে জানে, তাই জীবের পক্ষে অদৃষ্টকে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয়। সুতরাং কোন চৈতন্যময় সত্ত্বাই এই অদৃষ্টকে নিয়ন্ত্রন করেন এবং সে চৈতন্যময় সত্ত্বাই ঈশ্বর।
এখন প্রশ্ন হল ঈশ্বর সাকার না নিরাকার? পাত্রভেদে ঈশ্বর সাকার বা নিরাকার। ব্রহ্মসূত্রের তৃতীয় অধ্যায়ের দ্বিতীয় পাদে আছে, ‘‘অরূপবদেব হি, তৎপ্রধানত্বাৎ’’ অর্থাৎ ব্রহ্ম নিশ্চিতভাবেই নিরাকার, কারণ তিনি বেদ ও বেদান্তের প্রধান প্রতিপাদ্য (বর্ণনীয়) বিষয়। পরে বলা হয়েছে- ‘‘তদব্যক্তমু আহ হি’’ অর্থাৎ শাস্ত্রে ব্রহ্মকে অব্যক্ত বা ইন্দ্রিয়াতীতও বলে উপদেশ দিয়েছেন। ‘কেন’ উপনিষদে আছে, ‘‘সেই ব্রহ্মে চক্ষু গমন করে না তর্থাৎ চক্ষু দ্বারা তাঁকে দেখা যায় না, বাক্য দ্বারা তাকে প্রকাশ করা যায় না এবং মন দ্বারাও তাকে মনন বা চিন্তা করা যায় না’’। সোজা কথায় ব্রহ্ম চক্ষু, কর্ণ আদি ইন্দ্রিয় ও মনের অগোচর অর্থাৎ ব্রহ্ম নিরাকার। ঈশ উপনিষদে আছে- ‘‘যিনি ব্রহ্ম হতে তৃণ পর্যন্ত সমস্ত ভূত বা বস্তুকে আত্মাতেই দর্শন করেন এবং সমস্ত ভূত বা বস্তুর মধ্যে নিজের আত্মাকেই দর্শন করেন, তিনি এ রকম দর্শনের পর কাউকে ঘৃণা করেন না’’। অর্থাৎ ব্রহ্ম সর্বভূতে বিরাজমান। একমাত্র নিরাকার বস্তুই সর্বভূতে বিরাজিত থাকতে পারে।
বেদান্ত মতে ঈশ্বর স্বরূপত নির্গুণ, নিরাকার এবং অব্যক্ত হলে ঈশ্বরের সাকার রূপের কল্পনা কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে ব্রহ্মসূত্রে বলা হয়েছে, ‘‘বৃদ্ধ্যর্থঃ পাদবৎ’’ অর্থাৎ উৎপাসনার সুবিধার্থে ব্রহ্মের পাদ আদি রূপ কল্পনা করা হয়েছে। ছান্দোগ্য উপনিষদে বলা হয়েছে, ‘‘ব্রহ্ম চার পাদ ও ষোড়শ-কলা বিশিষ্ট। প্রকাশবান, অনন্তবান, জ্যোতিষ্মান ও আয়তনবান এই হল ব্রহ্মের চার পাদ। প্রতি পাদে চার কলা রয়েছে। প্রকাশবানে পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ দিক নামক কলা, অনন্তবানে পৃথিবী, অন্তরীক্ষ, দ্যুলোক ও সমুদ্র নামক কলা, জ্যোতিষ্মানে অগ্নি, সূর্য, চন্দ্র ও বিদ্যুৎ নামক কলা এবং আয়তনবানে প্রাণ চক্ষু, কর্ণ ও মন নামক কলা রয়েছে। ব্রহ্মের এই সাকার রূপ কাল্পনিক ও রূপক কারণ কোন বস্তুর রূপ ঐ রকম থাকতে পারে না। মূলত ব্রহ্মকে সহজ উপায়ে চিন্তা করার জন্য তাঁর রূপের কল্পনা করা হয়েছে। ব্রহ্মসূত্রে আছে- ‘‘স্থানবিশেষাৎ, প্রকাশাদিবৎ’’ অর্থাৎ স্থান বিশেষের জন্য ব্রহ্মের সাকার রূপ কল্পনা করা হয়ে থাকে; যেমন- আকাশ, আলোক প্রভৃতির ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। একটি ঘটের মধ্যস্থ আকাশ আর বাইরের আকাশের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, শুধু নাম বা উপাধির পার্থক্য থাকে। তদ্রূপ ঘরের ভেতরের আলো ও বাইরের আলো একই, শুধু পৃথক নাম ও উপাধি দেয়া হয় মাত্র। যখন ঘটের বিনাশ হয় তখন ঘটের ভিতরের ও বাইরের আকাশ এক হয়ে যায়, তেমনি ঘরের বিনাশ হলে ঘরের ভেতরের ও বাইরের আলো এক হয়ে যায়। শুধু নাম বা উপাধির জন্যই নিরাকার ব্রহ্মকে সাকার বলে মনে হয়।
জ্ঞানযোগীর নিকট ব্রহ্ম নিরাকারও হলে ভক্তের নিকট ব্রহ্ম সাকার ও সচ্চিদানন্দময়। ভক্তগণ সগুণ ব্রহ্ম বা ভগবানের সাথে প্রভূ, বন্ধু, মাতা, পিতা প্রভৃতি সম্বন্ধ পাতিয়ে তাঁর মূর্তিতে পূজা-অর্চনা করে আনন্দ পান। তারা অনমত্ম ও অসীম ঈশ্বরকে ভক্তিডোরে বেঁধে সীমার মাঝে আনতে চান। কিন্তু ভক্ত যখন সাধনার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে পরাভক্তি অর্জন করেন, তখন ঈশ্বরকে কোন বিশেষ মূর্তির মধ্যে না দেখে সর্বভূতেই দর্শন করেন। প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বর বাইরে নয়, অন্তরেই অবস্থান করেন। সাধক মূলত অন্তরের ঈশ্বরের প্রতিবিম্বই বাইরে দর্শন করেন।
ঈশ্বর যদি নিরাকারই হয়ে থাকেন তবে তিনি সাকার হন কিভাবে? অনেক সাধক সাধনাবলে ঈশ্বরের সাকার রূপ দর্শন করতে পারেন; কিন্তু কিভাবে? ঈশ্বরের সাকার রূপ আসলে কি? মূলত পাত্রভেদে ঈশ্বর সাকার বা নিরাকার। মানুষ তার জ্ঞান-বুদ্ধি অনুসারে ঈশ্বরের বিভিন্ন আকার-আকৃতি চিন্তা করে। যে ভক্ত বুদ্ধি বা জ্ঞান-বিচার করে উপলব্ধি করেন যে, ঈশ্বর সাকার এবং সাধনাবলে তাঁকে দর্শন করা সম্ভব, সে ভক্তের মনে ঈশ্বরের একটি কাল্পনিক চিত্র অঙ্কিত হয়। ইন্দ্রিয়গণের অধিপতি মন এবং মনের অধিপতি বুদ্ধি বা জ্ঞান। ভক্তের জ্ঞান-বুদ্ধি বলে ঈশ্বর সাকার। যেহেতু বুদ্ধি মনের অধিপতি সেহেতু বুদ্ধির নির্দেশে ভক্তের মনে ঈশ্বরের একটি চিত্র অঙ্কিত হয়। ঈশ্বরের সে চিত্রকে প্রত্যক্ষ করার জন্য তাঁর মন পঞ্চ-জ্ঞানেন্দ্রিয়কে (চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহবা, ও ত্বক) নির্দেশ দেন। তখন ভক্ত সাধনাবলে যে মায়াকে বশীভূত করতে পেরেছেন, সে মায়া তাঁর পঞ্চ-জ্ঞানেন্দ্রিয়ের উপর ক্রিয়া করে। পরিশেষে ভক্ত মনের কল্পিত ঈশ্বররের মায়াময় রূপ চক্ষুর সম্মুখে দর্শন করেন। মায়া দ্বারা বশীভূত ঐ চক্ষুই দিব্য-চক্ষু নামে খ্যাত। সুতরাং ঈশ্বর স্বরূপত নিরাকার এবং তাঁর সাকার রূপ মূলত মায়াময়। মায়া যেহেতু অস্থায়ী, সেহেতু ঈশ্বরের সাকার রূপও অস্থায়ী।
ঈশ্বরের সাকার রূপ একেক জনের নিকট একক রকম। দপর্ণের সম্মুখে কোন বস্তু রাখলে দর্পণে বস্তুটির যে প্রতিবিম্ব পড়ে, তা দেখে মনে হয় যে, ঐ দর্পণের মধ্যে বস্তুটির অস্তিত্ব আছে। তদ্রূপ অন্তকরণে থাকা ঈশ্বরের কাল্পনিক রূপের প্রতিবিম্ব দেখে মনে হয় সাকার ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে। কিন্তু যিনি জ্ঞানযোগী তিনি জ্ঞান-বিচার করে উপলব্ধি করেন-ঈশ্বর নিরাকার। ফলে তাঁর মনে ঈশ্বরের কোন কাল্পনিক চিত্র অঙ্কিত হয় না। তিনি মায়াকে বশীভূত করেছেন বলে তাঁর সম্মুখে ঈশ্বরের কোন মায়াময় সাকার রূপও উৎপন্ন হয় না। জ্ঞানযোগীরা ঈশ্বরকে বড় জোর কোন জ্যোতি বা আলোকরশ্মি রূপে কল্পনা করেন কিন্তু কখনই সাকার মূর্তির কল্পনা করেন না। জ্ঞানযোগীরা বলেন, ঈশ্বরের যদি দেহ থাকে তবে তাঁর ইন্দ্রিয়, মন, বুদ্ধি ও চৈতন্য থাকবে। যদি ঈশ্বরের মন থাকে তবে তাঁর ইচ্ছা, চিন্তা, সুখ, দুঃখ, রাগ, দ্বেষ প্রভৃতি থাকবে কারণ এগুলো মনের বৃত্তি। কিন্তু ঈশ্বর তো সুখ-দুঃখ, রাগ-দ্বেষ প্রভৃতির ঊর্ধে, কেননা ঐ সব গুণ থাকলে ঈশ্বর পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে পড়বেন। আবার দেহ ও মন যেহেতু নশ্বর, সেহেতু ঈশ্বরও নশ্বর হবেন। সুতরাং যেহেতু ঈশ্বর অবিনশ্বর সেহেতু তিনি সাকার নন।
অদ্বৈত বেদান্তবাদীদের মতে ঈশ্বর ও জীবে কোন ভেদ নেই অর্থাৎ জীবই ঈশ্বর কিন্তু মায়ার কারণে মনে হয় ঈশ্বর জীব থেকে পৃথক। ছান্দোগ্য উপনিষদে আছে- সর্বং খল্বিদং ব্রহ্মঅর্থাৎ সব কিছুই ব্রহ্ম। কঠ উপনিষদে আছে, ‘‘মনসৈবেদমাপ্তব্যং নেহ নানাসিত্ম কিঞ্চন। মৃত্যোঃ স মৃত্যুং গচ্ছতি য ইহ নানেব পশ্যতি।।’’ অর্থাৎ এই জগতে ব্রহ্ম হতে পৃথক কিছুই নেই, এই তত্ত্বটি সংস্কৃত মন দ্বারাই উপলব্ধি করতে হবে। যে ব্যক্তি এই জগৎকে ব্রহ্ম হতে পৃথক মনে করে, সে মৃত্যু হতে মুক্তি পায় না। মানুষ এভাবে প্রতিটি বস্ত্তকে ঈশ্বরজ্ঞান করলে তাঁর হিংসা দূরীভূত হয়ে যেত কারণ যাকে হিংসা করবে সেও তো ঈশ্বর। পরিশেষে একথাই বলা চলে যে, ব্রহ্ম অজ্ঞেয়, অচিন্ত্য এবং অসীম। তাই সীমাবদ্ধ চক্ষু, কর্ণ, প্রভৃতি ইন্দ্রিয় দ্বারা তাঁকে প্রত্যক্ষ করা সম্ভব নয়। ব্রহ্ম বা ঈশ্বর অব্যক্ত বলেই দুর্লভ। ঈশ্বর যদি সুলভ বস্তু হতেন, তবে তিনি সকলের পরম আরাধ্য হতেন না।
|| ईश्वर को जानने के लिए सृष्टि विज्ञान को जानना होगा ||
यह विचार ऋषि देव दयानन्द जी का है, मानव मात्र को चाहिए सृष्टि रचना को भली प्रकार जानना पड़ेगा परमात्मा को जानने के लिए, अर्थात अगर कोई अपने आप को जानना चाहे अथवा परमात्मा को जानना चाहे तो पहले सृष्टि रचना का जानना जरूरी है |सृष्टि बनाने वाला कौन है, बनने का कारण क्या है, बनती किस प्रकार से है, किस चीज से बनती है यह सभी विषय को जानना मानव का ही काम है, मानव कहलाने के कारण इसका जानना जरूरी भी इस लिए हुवा, की मानव ही दुनिया का ऐसा प्राणी है जो जानना चाहता है जानने की क्षमता है, अपना ज्ञान को बढ़ाना चाहता है, कब, क्या, क्यों, और कैसे, इसे जानने की ताकत रखने वालों का ही नाम मानव हैं |
प्रवाहसे तीन चीज अनादी है जो कभी भी नाश नहीं होता हमेशा से है और हमेशा ही रहेगा | ईश्वर =प्रकृति =जिव = इसका बनाने वाला कोई नहीं इसे अनादी कहते हैं | परमात्मा कभी समाप्त नहीं होंगे =जीवात्मा भी ख़त्म नहीं होने वाला है = और प्रकृति भी समाप्त ना होकर रूप बदलता है | जैसा परमात्मा अनादी है ठीक उसी प्रकार, जीव, और प्रकृति भी अनादी है, अर्थात जिसका प्रारंभिक काल नहीं, यह हमेशा से है और हमेशा ही रहेगा |
द्वा सुपर्णा सयुजा सखाया समानं वृक्षं परिषस्वजाते |
तयोरन्यःपिप्पलं स्वाद्वत्त्यनश्न्न्यो अभि चाकशीति || ऋ० म० 1 सू 164 म० 20
अर्थात =यहाँ ईश्वर्, प्रकृति, और जीव, तीनों बराबर से है, एक दुसरे का सखा {मित्र} है प्रकृति रूपी वृक्ष में विराजमान है | ईश्वर को खाना पीना नहीं पड़ता है, वह सर्वज्ञ है,जीव अल्पज्ञ है, प्रकृति ज्ञान शून्य है | जीव खता पीता है, परमात्मा को खाना पीना नहीं पड़ता वह अनशन करते हुए भी सभी के स्वाद को जानते हैं |
इन तीनों के गुण कर्म स्वाभाव भी अनादी है, जीव इस संसार रूपी वृक्ष में पापपूण्यरूपी फलों को भोगता है | और परमात्मा न भोगता हुवा चारों ओर अन्दर, बाहर सर्वत्र प्रकाशमान हो रहा है | ईश्वर, जीव, और प्रकृति,तीनों अनादी है |
अर्थात अनादी सनातन जीवरूप प्रजा के लिए वेद द्वारा परमात्मा ने सब विद्याओं का बोध कराया है |
अजामेकां लोहितशुक्लकृष्णां, ब्रह्मिःप्रजाःसृजमानां स्वरुपः|
अजो ह्यको जुषमनो अनुशेते, जहा त्येना, भुक्त भोगामजोअन्य: ||
प्रकृति, जीव, और परमात्मा तीनों”अज अर्थात जिनका जन्म कभी नहीं होता, कभी यह जन्म नहीं लेते | अर्थात यह तीन सब जगत के कारण है इनका कारण कोई नहीं | इस अनदि प्रकृति का भोग अनदि जीव करता हुवा फंसता है | और परमात्मा ना तो उसे भोगता है और ना ही इसमें लिप्त होता है | जीवात्मा और पर्मय्मा के काम बटे हुए हैं परमात्मा जिसे अंजाम देता है वह जीवात्मा कर ही नहीं सकता | और जीवात्मा जिस कार्य को करता है उसे परमात्मा नहीं करते,उसकी शान के खिलाफ है मर्यादा के खिलाफ है | और प्रकृति जड़ होने के कारण वह अपने आप कुछ भी नहीं कर सकता उससे,जीवात्मा हे काम लेता है वह अपने आप कुछ भी नहीं कर सकता इसे जानना बहुत जरूरी है |
प्रकृति क्या है उसे समझें {सत्य} {रज:} {तम:} यह तीन मिलकर जो संघात है, उसका नाम प्रकृति है | उससे महत्तत्व बुद्धिः उससे अहंकार, अहंकार से पांच तन्मात्रा, सुक्ष्य्म भूतऔर दस इन्द्रियां तथा ग्यारहवां मन, पांच तन्मात्राओं से पृथिव्यादी पांच भूत,ये चौबीस और पचीसवा” परुष” अर्थात जीव और परमेश्वर हैं | इनमें से प्रकृति अविकरिणी,और महतत्व, अहंकार तथा पांच सूक्ष्म भूत प्रकृति का कार्य और इन्द्रियां मन तथा स्थूल भूतों का कारण है | और पुरुष न किसी की प्रकृति उपादानकारण और न किसी का कार्य है |
मैं निश्चित रूपसे कहता हूँ यह ज्ञान सिर्फ और सिर्फ वेद में है, किसी भी मजहबी पुस्तक जैसा बाइबिल, कुरान आदि किताबॉन में यह ज्ञान नहीं है और ना वह जानते हैं इस चीज को और ना जानना ही चाहते हैं | कारण इसे जानने के लिए एक मात्र रास्ता है वेद जिसे दुनिया के कोई भी मत पंथ वाले नहीं जानते हैं | कुरान और बाइबिल की उत्पत्ति विषय पर ध्यान देने से स्पष्ट होता है | जैसा कूतन कहता है –अल्लाह ने एक बार कुन शब्द कहने से फयाकुन- होजाता है | जब की कुन शब्द एक आदेशात्मक शब्द है –जब सामने कोई नहीं तो किसे कहा होजा ? बाइबिल भी कहती है ईश्वर ने सृष्टि बनाई – यहाँ भी सब कुछ कहने मात्र से होजाता है,किससे कहा इसका पता नहीं है |
इसी प्रकार सभी मत पंथोंने महज अपनी दुकानदारी ही किया है, दुर्भाग्य इन आर्य या हिन्दू कहलाने वालों के लिए हैं की सारा खजाना ज्ञान वेद इन्ही के पास है, इनके आचरण में ना लाने से आज सभी मत और पंथ वाले इसपर हावी होते जा रहे हैं | इन लोगों ने ऋषियों की अवहेलना की है ऋषियों ने वेदों की तरफ लौटने को कहा यह वेद से दूर होते गये इसीका ही नतीजा सामने है |
महेन्द्रपाल आर्य
ঈশ্বরেরে প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেয়াতো সম্ভব নয়। তাহলে কিভাবে আপনি ঈশ্বরকে প্রতিষ্ঠা করবেন?
উত্তরঃ প্রমাণ অর্থ হচ্ছে স্বচ্ছ জ্ঞান যা ইন্দ্রিয় অঙ্গ গুলো হতে প্রাপ্ত উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হয়। কিন্তু লক্ষ করুন ইন্দ্রিয় অঙ্গ গুলো শুধ মাত্র গুন সুমহকে ধারণ করতে পারে ঐ সকল গুনের কারন বা হেতুকে নয়। উদারহন স্বরূপ, যখন আপনি এই লেখাটি পড়ছেন তখন কিন্তু আপনি আমার অস্তিত্বকে ধারণ করতে পারছেন না, কিন্তু কতগুলি সাংকেতিক চিহ্ন, বর্ন, বা ছবি যা কম্পিউটার স্ক্রিনে আসছে যা আপনি অর্থপূর্ন জ্ঞানে রূপান্তরিত করছেন। তারপরে আপনি এই সিদ্বান্তে উপনীত হয়েছেন যে এই লেখাটির কোন লেখক আছে এবং এই লেখকের অস্তিত্বের প্রমান আপনার কাছে আছে বলে আপনি দাবী করেন। ্সুতরাং এটা হচ্ছে একটি পরোক্ষ প্রমাণ যদি প্রত্যক্ষ ভাবেই প্রতীয়মান হয়। ঠিক একই ভাবে এই সমস্ত সৃষ্টি যা আমরা এর বৈশিষ্ট্য দ্বারা পর্যবেক্ষন করি আমাদের ইন্দ্রিয় অঙ্গসমূহ মধ্য দিয়ে তা ঈশ্বরের অস্তিত্বকে পরোক্ষভাবে প্রকাশ করে।
যখন প্রত্যক্ষভাবে একটি সত্ত্বার সাথে একটি সংবেদনশীল তথ্যের যোগসূত্র ঘটাতে পারবেন তখন আপনি দাবী করতে পারবেন যে আপনার প্রত্যক্ষ প্রমান আছে। উদাহরণ স্বরূপ, যখন আপনি আম খান তখন আপনি এর মিষ্ট গুনকে উপলব্ধি করতে পারেন এবং যে আমটি খেয়েছিলেন তার সাথে এই মিষ্ট গুনটিকে সংশ্লিষ্ট করতে পারছেন। এখানে গুরুত্বপুর্ন দিকটি হচ্ছে আপনি "প্রত্যক্ষ প্রমান" কে শুধু মাত্র সংশ্লিষ্ট করতে পারছে নির্ধারিত কোন ইন্দ্রিয় অঙ্গ দিয়ে যা আপনি ব্যবহার করেছিলেন ঐ গুনটিকে পর্যবেক্ষন করার জন্য। অর্থা আমের এই প্রত্যক্ষ প্রমান আপনি কর্ন ইন্দ্রিয়ের মধ্য দিয়ে পাবেন না। এটা কেবল জিহ্বা, নাসিকা, ও চক্ষু দ্বারাই সম্ভব। ঠিক তেমনি বাস্তবে আমরা "পরোক্ষ প্রমাণ" গুলিও পাই যদিও আমরা এগুলোকে "প্রত্যক্ষ প্রমান" বলে থাকি।
যেহেতু ঈশ্বর হচ্ছেন সবচেয়ে সুক্ষ অতীন্দ্রি়য় সত্ত্বা সেহেতু ঈশ্বরের "প্রত্যক্ষ প্রমান" আমাদের এই অসুক্ষ অশিষ্ট সীমিত শক্তির ইন্দ্রিয় অঙ্গ যেমন নাক, কান, চোখ, জিহ্বা, চর্ম দ্বারা সম্ভব নয়। যেমন আমরা অতি পারমানবিক কণাকে এমনকি অনেক শক্তিশালী অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখতে পারি না, আমরা শ্রবণাতীত শব্দ (Ultrasonic Sound ) শুনতে পারি না, আমরা স্বরন্ত্র একটি অণুর স্পর্শ অনুভব করতে পারি না। অর্থাৎ ঈশ্বরকে এই দুর্বল ও অসুক্ষ ইন্দ্রিয় অঙ্গ দ্বারা প্রমাণিত করা যাবে না ঠিক যেমন আমকে কর্ন দ্বারা অথবা অতি পারমানবিক কণাকে কোন ইন্দ্রিয় অঙ্গ দিয়ে ইন্দ্রগ্রাহ্য করা যাবে না।
একমাত্র ইন্দ্র যা ঈশ্বরকে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য করতে পারে তা হলে মন। যখন মন সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রিত এবং সকল ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টিকারী উপাদান (যেমন চিন্তা যা সর্বদা জাগ্রত থাকে) থেকে মুক্ত এবং ঈশ্বরের সকল গুন সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান যা অধ্যায়ন ও চর্চার মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে, তাহলেই বুদ্ধিবৃত্তির মধ্যে দিয়েই প্রত্যক্ষভাবে ঈশ্বরকে প্রমান করা যাবে যেমন করে ঐ আমকে এর স্বাদ দ্বারা প্রমান করা হয়েছিল। এটাই হচ্ছে জীবনের উদ্দেশ্য যা একজন যোগী করার চেষ্টা করেন মন নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পদ্বতী প্রয়োগ করেন। এই পদ্ধতি গুলোর মধ্যে রয়েছে অহিংসা, সত্য সন্ধান, পর দুঃখকাতরতা, সকলের জন্য পরম সুখ সন্ধান, উন্নত নৈতিক চরিত্র, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই, মানুষের মাঝে একতা ইত্যাদি, ইত্যাদি।
এভাবে আমাদের প্রাতাহিক জীবনে আমরা ঈশ্বরের প্রত্যক্ষ প্রমানের ইঙ্গিত পাই। যখন আমরা চুরি, প্রতারণা, পাশবিকতার মত কোন ভুল কাজ করি তখন আমরা ভয়,ভীতি, লজ্জা, সন্দেহের ইত্যাদি আকারের আমরা ক্ষীণ ভেতরকার ক্ষীন কণ্ঠস্বর শুনতে পাই। আর যখনই আমরা কোন মঙ্গল সূচক কাজ করি যেমন কাউকে সাহায্য করা, কোন শিশুকে আর্শীবাদ করা ইত্যাদি, তখনও আমরা ভেতরকার ক্ষীণ কণ্ঠস্বর শুনতে পাই ভয়শূন্য, আত্মতৃপ্তি, প্রত্যয়ী ও পরম সুখবোধ আকারে।
এই ভেতরের কণ্ঠস্বরটি আসে ঈশ্বরের কাছ থেকে। আমরা প্রায়শই এর শ্রাব্যতাকে কমিয়ে চুপ করে রাখার চেষ্টা করি আমাদের চারপাশে উচ্চ শব্দের DJ Music এর মত নির্বোধ প্রবণতার মাধ্যমে। কিন্তু তখন আমরা সবাই কোন এক সময়ে ভেতরের কণ্ঠস্বরকে আরও উচ্চ শব্দে শুনতে পাই যখন এই সব কিছু তুলনামূলকভাবে নিঃশ্চুপ।
যখন আত্মা নিজেকে সকল মানসিক বিশৃঙ্খলা থেকে নিজেকে শুদ্ধ করে এবং ঐ DJ ক্লাব থেকে বেরিয়ে আসে তখন আত্মা নিজেই নিজেকে ও ঈশ্বর প্রত্যক্ষভাবে প্রামানিক হয়। এভাবে আমরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয় মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরকে প্রতিষ্টা করতে পারি পরিষ্কার ভাবে যেভাবে বিভিন্ন সত্ত্বাকে আমরা করতে পারি।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ