বৈষ্ণবদের কি বেদ মানা উচিত ? - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

24 June, 2020

বৈষ্ণবদের কি বেদ মানা উচিত ?

রাজা ভোজের দেড়শত বছর পরে বৈষ্ণব মত আরম্ভ হয়। 'শঠকোপ নামক এক ব্যাক্তি কঞ্জর কূলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার দ্বারা এই মতবাদ কিছু প্রচলিত হয়। মেথর কূলে জন্মগ্রহণকারী মুনিবাহন এবং তৃতীয় যবনকূলে জন্মগ্রহণকারী যবনাচার্য আচার্য হলেন। 

বৈষ্ণব দের কি বেদ মানার প্রয়োজন নেই?

শ্রীভগবান কঠোরভাবে নির্দেশ করেছেন--
শ্রুতি-স্মৃতী মমৈবাজ্ঞা যস্তামুল্লঙ্ঘ্য বর্ততে। আজ্ঞাচ্ছেদী মম দ্রোহী মদ্ভক্তোঽপি ন বৈষ্ণবঃ।।
অনুবাদ: শ্রুতি ও স্মৃতির বিবাধ- আমরা আজ্ঞা বলিয়া জানিবে। যিনি এই শ্রুতি ও স্মৃতিকে উল্লঙ্ঘন করিয়া কর্ম্মান্তরে বর্তমান থাকেন, তিনি আমার ভক্ত হইলেও আজ্ঞাছেদকারী ও আমার প্রতি দ্রোহী হন; তিনি বৈষ্ণব নন। (বাধূল-স্মৃতি, ১৮৯ নং শ্লোক)।

বিষ্ণু পুরাণ বলে-
ন চলতি নিজবর্ণধর্ম্মতো যঃ-- তমবৈহি বিষ্ণু ভক্তম্।
অনুবাদ: যিনি নিজ বর্ণের ধর্ম হইতে বিচলিত হন না, তাঁহাকেই বিষ্ণুভক্ত জানিবে। বিষ্ণু পুরাণ-৩/৭/২০)

পুরাণে বলা হয়েছে-

চীরবাসা জটী বিপ্র দন্ডী মুন্ডিত এব বা ।
বিভূষিতো বা বিপ্রেন্দ্র ন লিঙ্গং ধর্ম্মকারণম্।।

অনুবাদ: হে বিপ্রেন্দ্র! সাধক চীর পরিধায়ী, জটাধারী, দন্ডী, মুন্ডিত বা বিভূষিত, যাহাই হউন, তাহাতে বিশেষ কিছু হয় না; কেননা চিহ্নই ধর্মের কারণ নহে। (পদ্ম পুরাণ, উত্তরখন্ড- ৮০/১০৪)

অর্থলোভাদসদদ্ভ্যশ্চ মন্ত্রান্ দাস্যন্তি বেশিনঃ।।
অন্তঃশঠা মহাক্রুরা পরদ্রব্যাভিলিপ্সবঃ।
ভ্রমন্তে বৈষ্ণবৈবের্শের্ঘাজয়িষ্যন্ত্যসজ্জনান্।।
পুরানার্থবিদাং সাধুশীলানাঞ্চ দ্বিজন্মনাম্।
দেবতাদ্বেষকাস্তে বৈ দ্বেষয়িষ্যন্তি সর্ব্বদা।।

অনুবাদ: গুরু বেশধারী লোকেরা অর্থলোভে অসজ্জনদিগকে মন্ত্র প্রদান করিবে। তাহারা অন্তঃশঠ মহাক্রুর এবং পরদ্রব্যাভিলাষী, বৈষ্ণব-বেশে ভ্রমণ করতে অসজ্জাতিদিগকে যাজন করিবে। সেই সব দেবতা দ্বেষী বৈষ্ণব-বেশিগণ, পুরাণার্থ-বেত্তা সাধুশীল ব্রাহ্মণদের প্রতি সর্ব্বদা দ্বেষ করিবে।-(বৃহদ্ধর্ম পুরাণ, উত্তর খন্ড- ১৯/১৭-১৯)।
প্রকৃত বৈষ্ণব:
বৈষ্ণবদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বৈষ্ণব হচ্ছেন শম্ভু।
ভগবত পুরাণে বলা আছে-

নিম্নগানাং যথা গঙ্গা দেবানামচ্যুতো যথা।
বৈষ্ণবানাং যথা শম্ভুঃ পুরাণামিদং তথা।।

অনুবাদ: নদীসমূহের মধ্যে যেমন গঙ্গা ,দেবগণের মধ্যে বিষ্ণু ও বৈষ্ণবগণের মধ্যে যেমন শিব প্রধান, তদ্রুপ পুরাণনিচয়ের মধ্যে এই ভাগবতই শ্রেষ্ঠ। (ভাগবত- ১২/১৩/১৬)

এহেন শ্রেষ্ঠ বৈষ্ণবের মুখেই শোনা যাক বৈষ্ণবের সংজ্ঞা-
বেদপরায়ণতাঃ কর্ম্ম কুর্ব্বন্তি বৈদিকম্।।
সত্যং বদন্তি যে দেবি নাসূয়ন্তি পরান্ ক্কচিৎ।
পরনিন্দাং ন কুর্ব্বন্তি পরস্বং ন হরন্তি চ।।
ন স্মরন্তি ন পশ্যন্তি ন স্পৃশ্যন্তি কদাচন।
পরদারান্স সুরপাংশ্চ যে চ তান্ বিদ্ধি বৈষ্ণবান্।।

অনুবাদ: যাঁহারা বেদপাঠনিরত হইয়া বৈদিক কর্মের আচরণ করেন, যাঁহারা সত্য কথা কহেন, কদাচ অপরের অসচয়া করছন না, পরনিন্দা বা পরধন হরণ করেন না, পরনারী সুরুপা হইলেও কদাচ স্মরণ , দর্শন বা স্পর্শ করে না তাহাদিককেই বৈষ্ণব বলিয়া জানিবেন। (স্কন্দ পুরাণ, বিষ্ণুখন্ডে-বেঙ্কটাচলমাহাত্ম্য-৬/৫৫-৫৭)।

শ্রুতিস্মৃত্যুক্তমাচারং যো ন সেবেত বৈষ্ণবঃ ।
স চ পাষন্ডমাপন্নো বৌরবে নরকে বসেৎ।।
অনুবাদ: যে বৈষ্ণব শ্রুতি-স্মৃতি বিহিত আচার অনুষ্ঠান না করে পাষন্ড রৌরব নরকে বাস করে থাকে।
(পদ্মপুরাণ, উত্তর খন্ড- ২৫৩/৩৬)

ভাগবতে বলা হয়েছে- বেদপ্রণিহিতো ধর্ম্মো হ্যধর্ম্মস্তদ্বিপর্য্যায়ঃ। বদো নারায়ণঃ সাক্ষাৎ সয়ম্ভরিতি শুশ্রম।। অনুবাদ: বেদে যাহা 'কর্ত্তব্য' বলিয়া বিহিত হইয়াছে, তাহাতেই 'ধর্ম্ম' ; তদ্বিপরীত অধর্ম্ম । বেদ সাক্ষাৎ নারায়ণ এবং স্বতঃসম্ভূত। (ভাগবত-৬/১/১৪০)।

নাচরেদ্ যস্ত্ত বেদোক্তং স্বয়মঙ্গোঽজিতেন্দ্রিয়ঃ।
বিকর্ম্মণা হ্যধর্ম্মেণ মৃত্যোমৃত্যুমুপৈতি সঃ।।
অনুবাদ: যে অজিতেন্দ্রিয় ব্যক্তি বেদ বিহিত কর্ম্ম করে না, সে সেই কর্ম্মত্যাগের অধর্ম্মে অনন্ত যমযন্ত্রণা ভোগ করিয়া থাকে। (ভাগবত-১১/৩/৪৬)

শ্রুতি-স্মৃতি-পুরাণাদি-পঞ্চরাত্র-বিধিং বিনা।
ঐকান্তিকী হরেভক্তিরুৎপাতায়ৈব কল্পতে।।

অনুবাদ: শ্রুতি, স্মৃতি, পুরাণ ও পঞ্চরাত্রপ্রভৃতির বিধিকে না মানিয় যদি কেহ একান্তভাবেও শ্রীহরিভক্তির অনুষ্ঠান করে, তথাপি তাহাতে উৎসাতই লাভ হয়। (শ্রীশ্রীভক্তিরসামৃতসিদ্ধু-১/২/১০১)
পদ্ম পুরাণে মহাদেব বলেছেন-
যথোচিতা চ বর্ণস্য কার্য্যা ইজ্যা হরের্নৃণাম্।
বর্ণাশ্রমানুরুপঞ্চ কর্ত্ত্যবং বৈষ্ণবঃ শুভেঃ।।

অনুবাদ: নরগণ যে যে বর্ণান্তর্গত, তাহার পক্ষে সেই সেই বর্ণোচিত হরিপূজাই কর্তব্য। শুভ বৈষ্ণবগণ বর্ণাশ্রমানুরূপ পূজানুষ্ঠান করিবেন। (পদ্ম পুরাণ, উত্তরখন্ড-২৫৩/৩৪)
মায়োদিতেষ্ববহিতঃ স্বধর্ম্মেষু মদাশ্রয়ঃ।
বর্ণাশ্রমকুলাচারমকামাত্মা সমাচরেৎ।।
অনুবাদ: ভগবান বলিলেন,- আমার আশ্রিত নিষ্কাম ভক্ত মদুক্ত স্বধর্ম্মে অবহিত হইয়া বর্ণাশ্রম ও কুলাচারোচিত কার্য্য আচরণ করিবেন। (ভাগবত-১১/১০/১)

উরূ তদস্য য়দ্বৈশ্যঃ পদভ্যাক্ষ শূদ্রো অজায়ত৷৷
(যর্জুবেদ ৩১/১১)
ইহার অর্থ এই যে,ব্রাহ্মণ ঈশ্বরের মুখ হইতে,ক্ষত্রিয় বাহু হইতে,বৈশ্য উরু হইতে এবং শূদ্র চরণ হইতে উৎপন্ন হইয়াছে৷
মূর্খ ব্যবসায়ীর দল প্রচার করে,মুখ যেমন বাহু,পা হয় না,তেমন ব্রাহ্মণও ক্ষত্রিয়,শূদ্র হতে পারে না এবং শূদ্রও ব্রাহ্মণ হতে পারে না
উত্তরঃ- মূর্খের দলেরা এই মন্ত্রের যে অর্থ করিয়াছে তাহা ঠিক নহে৷কারণ এস্হলে 'পুরুষ' অর্থাৎ নিরাকার ব্যাপক পরমাত্মার অনুবৃত্তি রহিয়াছে৷ তিনি নিরাকার বলিয়া তাহার মুখাদি অঙ্গাদি হইতে পারে না আর অঙ্গাদি হইলে তিনি সর্বশক্তিমান,জগতের স্রষ্টা ,ধর্তা এবং প্রলয় কর্তা, জীবসমূহের পাপ-পূণ্যের জ্ঞাতা,নিয়ন্তা,সর্বজ্ঞ,অজ এবং অমর ইত্যাদি বিশেষ গুণযুক্ত হইতে পারেন না৷ অতএব ইহার অর্থ এই যে,যিনি (অস্য) পূর্ণ ব্যাপক পরমাত্মার সৃষ্টিতে মুখের ন্যায় সকলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ,তিনি(ব্রাহ্মণঃ) ব্রাহ্মণ ৷
(বাহু) বাহুবৈ বলং 'বাহুবৈ বির্য়্যম্,,(শতপথ ব্রাঃ ৬/৩/২)
৩৫ বল বীর্যের নাম বাহু৷ যাহার মধ্যে ইহা অধিক ,তিনি (রাজন্যঃ)ক্ষত্রিয় ৷(উরূ) কটির অধোভাগ এবং জানুর উপরিভাগের নাম উরূ৷যিনি সকল দেশে উরূবলে গমনাগমন করেন এবং প্রবেশ করেন তিনি (বৈশ্যঃ) বৈশ্য৷ আর (পদ্ভ্যাম্) যে ব্যক্তি পদ বা নিম্ন অঙ্গের ন্যায় মূর্খাদি দূর্গুণ বিশিষ্ট ,সেই ব্যক্তি শূদ্র৷
অন্যত্র শতপথ ব্রাহ্মণাদিতেও এই মন্ত্রের এইরূপই অর্থ করা হইয়াছে যথা-
'য়স্মাদেতে মুখ্যাস্তস্মানমুখতো হ্যসৃজ্যন্ত' ইত্যাদি ৷
যেহেতু ইহারা মূখ্য,অতএব মুখ হইতে উৎপন্ন হইয়াছে এই রূপ বলা সঙ্গত৷ অর্থাৎ যেমন সকল অঙ্গের মধ্যে মুখ শ্রেষ্ঠ সেইরূপ যে মনুষ্যজাতির মধ্যে সম্পূর্ণ বিদ্যা এবং উত্তম গুণ-কর্ম স্বভাবসম্পন্ন তাহাকে উত্তম ব্রাহ্মণ বলে৷যেহেতু পরমেশ্বর নিরাকার তাহার মুখাদি অঙ্গই নাই,অতএব মুখাদি হইতে উৎপন্ন হওয়া অসম্ভব ৷যদি মুখাদি অঙ্গ হইতে ব্রাহ্মণ আদি উৎপন্ন হইত তবে তাহাদের আকৃতিও উপাদান কারণে সদৃশ হইত৷ যেরূপ মুখের আকার গোল,সেইরূপ তাহার শরীরও মুখের ন্যায়,বৈশ্যের উরূর ন্যায়,এবং শূদ্রের পায়ের ন্যায় আকৃতি বিশিষ্ট হওয়া উচিত৷ কিন্তু তাহা হয় না৷ যদি কেহ তোমাকে প্রশ্ন করে যে যাহারা মুখাদি হইতে উৎপন্ন হইয়াছিল তাহাদের সংজ্ঞা ব্রাহ্মণ হউক কিন্তু সে যুক্তিও তোমাদের ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হইতে পারে না৷ কেননা অপর সকলে যেমন গর্ভাশয় হইতে উৎপন্ন হয় তোমরাও সেইরূপ হইয়াছ৷

“বেদোখিলো ধর্মমূলম্।”(মনুসংহিতা ২/৬)
অর্থাৎ, বেদ হল হল ধর্মের মূল। ধর্মের বিষয়ে বেদ স্বতঃ প্রমাণ।

“নাস্তি বেদাত্ পরং শাস্ত্রম্।”(অত্রিস্মৃতি ১৫০)
অর্থাৎ, বেদের চেয়ে বড় কোনো শাস্ত্র নেই।
“সর্বজ্ঞানময়ো হি সঃ।।”(মনুসংহিতা ২/৭)
অর্থাৎ, বেদ সকল জ্ঞানের ভান্ডার।
যে সব স্মৃতিশাস্ত্র বেদবহির্ভূত এবং যে সব শাস্ত্র বেদবিরুদ্ধ কুতর্কমূলক, পরলোক সম্পর্কে সেইসব শাস্ত্রই নিষ্ফল এবং তমঃকল্পিত মাত্র। যে সব শাস্ত্র বেদমূলক নয় কিন্তু পুরুষকল্পিত সে সব শাস্ত্র বারবার উৎপন্ন হচ্ছে ও বার বার বিনষ্ট হচ্ছে। আধুনিকতার দরুন সেই সব শাস্ত্র নিষ্ফল ও মিথ্যা। ॥ (মনু ১২/৯৫-৯৬)
ব্রাহ্মণ প্রভৃতি চতুবর্ণ, স্বর্গ প্রভৃতি তিন লোক, ব্রহ্মচর্য প্রভৃতি চার আশ্রম এবং ভূত, ভবিষ্যত ও বর্তমান এই সমুদয় বেদ হতেই প্রসূত হয়েছে। শব্দ-স্পর্শ-রূপ-রস-গন্ধ এসবই বেদ প্রসূত। বৈদিক কর্ম জীবের গতি নিয়ন্ত্রণ করে বলে গুণ ও কর্ম অনুযায়ী বেদই সকলের প্রসূতি। (মনু১২/ ৯৭-৯৮)
এই চরাচর সমুদয় প্রাণীজগৎকে সনাতন বেদ শাস্ত্রই ধারণ করছেন। তাই জ্ঞানীরা বেদকে মানুষের পুরুষার্থ সাধনের পরম উপায় বলে মনে করেন। একমাত্র বেদশাস্ত্রজ্ঞ ব্যক্তি সৈনাপত্য, রাজ্য, দণ্ডপ্রণেতৃত্ব এবং সর্বলোকাধিপত্য পাওয়ার উপযুক্ত।
(মনু ১২/৯৯-১০০)
যিনি ধর্মের তত্ত্ব জানতে চান তাঁর পক্ষে প্রত্যক্ষ, অনুমান এবং বেদমূলক স্মৃতি প্রভৃতি বিভিন্ন আগম সব কিছুই উত্তম রূপে জানা উচিত। যিনি বেদ এবং বেদমূলক স্মৃতি প্রভৃতি ধর্মোপদেশ বেদশাস্ত্রের অবিরোধী তর্কের মাধ্যমে অনুসন্ধান করেন একমাত্র তিনিই ধর্মকে জানতে পারেন, অপর কেউ নয় ॥
(মনু ১২/১০৫-১০৬)
“অনাদিনিধনা নিত্যা বাগূত্সৃষ্টা স্বয়ম্ভূবা।
আদৌ বেদময়ী দিব্যা য়তঃ সর্বাঃ প্রবৃত্তয়ঃ।।”
(মহাভারত শান্তি পর্ব ১২/২৩২/২৪)
অর্থাৎ,সৃষ্টির আদিতে স্বয়ম্ভূ পরমাত্মা থেকে এই বেদ বাণী প্রকাশিত হয়েছিল যার না আদি আছে,না অন্ত,যা নিত্যনাশরহিত এবং দিব্য।যা থেকে জগতের সমস্ত প্রবৃত্তির প্রকাশ পেয়েছে।
ঋষয়স্তপসা বেদানধ্যৈষন্ত দিবানিশম অনাদিনিধনা
বিদ্যা বাগৎসৃষ্টা স্বয়ম্ভুবা।।
(মহাঃ শান্তি পর্ব ২৩২।২৪)
অর্থাৎ মহর্ষিগণ তপোবলেই দিবানিশি বেদ অধ্যয়ন
করিয়া থাকেন। সৃষ্টির প্রথমে জগদীশ্বর আদি অন্ত শূন্য বেদ রূপী বিদ্যার সৃষ্টি করিয়াছেন ।
“মন্ত্রায়ুর্বেদ প্রামাণ্যবচ্চ তত্প্রমাণ্যমাপ্তপ্রামাণ্যাত্"
(ন্যায় দর্শনের ২/১/৬৭ সুত্র)
- পরম আপ্ত পরমেশ্বরের বাণী এবং অসত্য, পরস্পর বিরোধী এবং পুনরোক্তি দোষরহিত হওয়ায় বেদকে পরম প্রমাণ হিসেবে সিদ্ধ করা হয়েছে।
বৈশেষিক দর্শনে শাস্ত্রকার কণাদ মুনি
“তদ্ বচনাদাম্নায়স্য প্রামাণ্যম্।”
(১০/১/৩)
এই সূত্রের দ্বারা পরমেশ্বরের বাণী হওয়ায় আম্নায় অর্থাৎ বেদকে প্রামাণ্য বলেছেন।

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

ব্রহ্মচর্যের সাধনা ভোজন

  নবম ভাগ ভোজন ভূমিকা - "ধর্মার্থকামমোক্ষাণামারোগ্যম্ মূলমুত্তমম্" . ধর্ম-অর্থ-কাম আর মোক্ষ এই পুরুষার্থচতুষ্টয় হল মানব জীবনের উ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ