ওম্ই শব্দস্রোত। সেই শব্দস্রোত হতে সমগ্র ব্রহ্মান্ড নির্মান হতে থাকে।
পরা ওম্> মহতত্ব> অহঙ্কারতত্ব> মনস্তত্ব> সূক্ষ প্রাণ এবং ছন্দরশ্মি > মরুত রশ্মি > পার্টিকেল ইলিমেন্টারি পার্টিকেল বা কার্ক কোয়ান্টাদির
নির্মান পর্যাক্রমে হয়ে থাকে।
ব্রাহ্মণ বচনঃ
১)( মৈত্রীসংহিতা ২/৭৭) প্রজাপতয়ে মনবে স্বাহা।
প্রজাপতিই মন।
২) (তান্ড্য ৪/১০/২) মহতত্বই প্রজাপতি।
৩) (১০/১ ও ২৬/৩ কৌষিতকি) প্রতাপতির বৈ মনঃ। মন ই প্রজাপতি।
মন এবং মহতত্ব উভয়ই প্রজাপতি। ইহাই প্রাথমিক তত্ব সমুহ যাহা পরা ওম্ বা কাল রশ্মির প্রভাবে প্রথম উৎপত্তি হয়। ইংরেজীকে কালকে টাইম বলে। ঈশ্বর ও কাল তত্বের পশ্চাৎ মহতত্ব।
মহতত্বের মাঝে সূক্ষ ওম রশ্মি কাজ করতে থাকে ফলে অহংকার এবং মনস্তত্ব অাদির সৃষ্টি হতে থাকে। সককিছুর মূলে বাচ্য ওম্ এবং পরা ওম্।
যদক্রন্দঃ প্রথমং জায়মান উদ্যন্ৎসমুদ্রাদুত বা পুরীষাত্।
শয়েনস্য পক্ষা হরিণস্য বাহু উপস্তুত্যং মহি জাতং তে অর্বন্।। ঋগ্বেদ ১/১৬৩/১
পদার্থঃ-- (যত) যে কারণ ( অক্রন্দঃ) শব্দ করে ( প্রথমম্) আদিতে ( জায়মানঃ) উৎপন্ন হয় ( উদ্যন্) উদিত হয়ে যায় ( সমুদ্রাত্) অন্তিরক্ষে ( উত) ও ( বা) পক্ষান্তরে ( পুরীষাত্) পূর্ণকারণে ( শয়েনস্য পক্ষা) অতি তীব্র গতিযুক্ত পঙ্গ সমান ( হরিণস্য বাহু) শুভ্র হিরণের ন্যায় শ্বেত জ্যোতি[ যাহাকে পরা ওম্ বা কাল রশ্মি বলা হয়[ যাহাকে পরমাত্মার দুই পক্ষ রূপ লাগাম বলা হয়েছে] ( উপস্তুত্যম্) সমীপে প্রশংসা করিবার যোগ্য ( মহি, জাতম্) মহ তত্ব জাত হইল ( তে) তখন ( অর্বন) বিজ্ঞান রূপ পরমাত্মা।।
ভাবার্থঃ সৃষ্টির প্রথম অবস্থায় তীব্র বেগযুক্ত কাল তত্বের নির্মা ন তথা পরা ওমের সৃষ্টি করল ঈশ্বর যাহা ভাইব্রেশন বা কম্পনরূপ ছিল। বেদ বলছে ক্রন্ধন প্রথমে জাত হল। যাহা পরমাত্মার তেজ বলা হয়] তাহা প্রকৃতির মাঝে ভাইব্রেশন আরম্ব করল। ভাইব্রেশন হতে তথা পরা ওম্ রশ্মি হতে জন্ম নিল প্রজাপতি মহতত্ব। মহতত্ব মানে বুদ্ধিতত্ব।। এই মহতত্ব হতে শুরু করে পরা ওম্ রশ্মির প্রভাবে মলিকূল পর্যন্ত একে একে সব সৃষ্টি হল। এভাবে হে "অর্বন" ( জ্ঞানস্বরূপ পরমাত্মা) পূর্ব সৃষ্টিতে তিন পদার্থের কার্য দাতা আপনিই স্তুতি পাবার যোগ্য ছিলেন।।
य॒मेन॑ द॒त्तं त्रि॒त ए॑नमायुन॒गिन्द्र॑ एणं प्रथ॒मो अध्य॑तिष्ठत्।
ग॒न्ध॒र्वो अ॑स्य रश॒नाम॑गृभ्णा॒त्सूरा॒दश्वं॑ वसवो॒ निर॑तष्ट ॥-ঋক ১/১৬৩/২
- ভাবার্থঃ- পরমাত্মা কতৃক প্রদত্ত শক্তিকে ত্রিগুনাত্ম শক্তি অধিষ্ঠিত হল। প্রথম ইন্দ্র অর্থাৎ বিদ্যুৎ জ্যোতি এই শক্তিকে অধিষ্ঠিত করেছিল। অর্থাৎ পরমাত্মা সেই ত্রিগুনাত্মক প্রকৃতিতে অধিষ্ঠিত হয়ে গেল। সাম্যঅবস্থায় প্রকৃতি সেই পরমাত্মার সামান্য লাগামরূপ জ্যোতি ওম্ রশ্মিকে গ্রহন করেছিল অর্থাৎ কস্মিক ওম্ রশ্মির এর একটা অংশ মূল প্রকৃতির উপর ঝাটকে পড়ে এবং তাহা পরমাত্মার লাগাম স্বরূপ সৃষ্টিকার্য আরম্ব করে দেয়।
পরা ওম রশ্মির প্রভাবে বিভিন্ন তত্বের নির্মান হতে হতে মলিকূলার স্টেপ টপকিয়ে চন্দ্র,সূর্য,নক্ষত্র, ইত্যাদির নির্মান তথা গ্যালাক্সি তথা আমাদের ইউনিভার্সের নির্মান হয়ে যায়।
[पदार्थान्वयभाषाः -हे (वसवः) चौबीस वर्ष ब्रह्मचर्य के सेवन से विद्या को प्राप्त हुए सज्जनो ! तुम जिस (यमेन) नियमकर्त्ता वायु से (दत्तम्) दिये हुए (एनम्) इस पूर्वोक्त प्रशंसित अग्नि को (त्रितः) अनेकों पदार्थ वा अनेकों व्यवहारों को तरनेवाला (इन्द्रः) बिजुलीरूप अग्नि (आयुनक्) शिल्प कामों में नियुक्त करे (प्रथमः) वा प्रख्यातिमान् पुरुष (एनम्) इस उक्त प्रशंसित अग्नि का (अध्यतिष्ठत्) अधिष्ठाता हो वा (गन्धर्वः) पृथिवी को धारण करनेवाला वायु (अस्य) इसकी (रशनाम्) स्नेह क्रिया को और (सूरात्) सूर्य से (अश्वम्) शीघ्रगमन करानेवाले अग्नि को (अगृभ्णात्) ग्रहण करे उसको (निरतष्ट) निरन्तर काम में लाओ ॥ -स्वामी दयानन्द सरस्वती
भावार्थभाषाः -जो मनुष्य विद्वानों के उपदेश से पाई हुई विद्या को ग्रहण कर बिजुली से उत्पन्न हुए कारण से फैले वायु से धारण किये सूर्य से प्रकट हुए शीघ्रगामी अग्नि को प्रयोजन में लाते हैं, वे दरिद्रपन के नाश करनेवाले होते हैं ॥ ]
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ