গায়ত্রী মন্ত্রের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

14 June, 2020

গায়ত্রী মন্ত্রের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ
তৎসবিতুর্বরেণ্যং ভর্গো
দেবস্য ধীমহি।
ধিয়ো য়ো নঃ প্রচোদয়াৎ।।
(ঋগ্বেদ ৩/৬২/১০; যজুর্ব্বেদ ৩/৩৫, ৩০/২; সামবেদ উত্তরার্চ্চিক ৬/৩/১০)
গায়ত্রী মন্ত্রের ব্যাখ্যা

পদার্থঃ- (ভূঃ) ভূ নামক ছন্দ রশ্মি কিংবা অপ্রকাশিত কনা বা লোক, (ভূবঃ) ভূব নামক রশ্মি কিংবা আকাশ তত্ব,(স্বঃ) সুবঃ নামক রশ্মি কিংবা প্রকাশিত কনা ফোটন বা সূর্যাদি তারা আদিতে যুক্ত। ( তত্) সেই অগোচর বা দূরস্থ সবিতা অর্থাৎ মন, ওম্ রশ্মি, সকল ছন্দ রশ্মি,বিদ্যুৎ সূর্যাদি পদার্থকে ( বরেন্যম্ ভর্গঃ দেবস্য) সর্বত আচ্ছাদিতকারী ব্যাপক [ ভর্গঃ= অগ্নির্বৈ ভর্গঃ ( শতপথ ১২/৩/৪/৮) আদিত্য বৈ ভর্গঃ(জৈউ ৪/১২/২/২) বীর্য বৈ ভর্গহ্এষ বিষ্ণুর্যজ্ঞঃ (শতপথ ৫/৪/৫/১) অযং বৈ পৃথিবী লোক ভর্গঃ ( শতপথ ১২/৩/৪/৭)] আগ্নেয় তেজ, যাহা সম্পূর্ণ পদার্থকে ব্যাপ্ত করে সংযোজক বা সম্পীডক বল দ্বারা যুক্ত হয়ে প্রকাশিত বা অপ্রকাশিত লোকের নির্মান হেতু প্রেরিত করতে সমর্থিত হয়, (ধীমহি) প্রাপ্ত হয় অর্থাৎ এই সম্পূর্ন পদার্থ সেই আগ্নেয় তেজ, বল অাদিকে ব্যাপক রূপে ধারন করে।( ধিযঃ যঃ নঃ প্রচোদয়াত্) যখন সেই উপযুক্ত অাগ্নেয় তেজ সেই পদার্থকে ব্যাপ্ত করে নেয়,তখন বিশ্বামিত্র ঋষি সংজ্ঞক মন ও ওম্ রশ্মি রূপ পদার্থ [ধীঃ= কর্মনাম (নির্ঘন্টুঃ২/১) প্রজ্ঞানাম ( নির্ঘন্টুঃ ৩/৯), বাগ্ বৈ ধীঃ(ঐ আ ১/১/৪)] নানা প্রকার বাগ্ রশ্মির বিবিধ দিপ্তি ও ক্রিয়া দ্বারা যুক্ত করেেই উত্তম প্রকারে প্রেরিত ও নিয়ন্ত্রিত করতে থাকে। সরলার্থঃ- মন এবং ওম্ রশ্মি ব্যাহৃতি রশ্মিসকল দ্বারা যুক্ত হয়ে ক্রমশঃ সকল মরুদ্ ছন্দ আদি রশ্মির অনুকূলতা দ্বারা সক্রিয় করে সকল কনা এবং আকাশ তত্বকে উচিত বল ও নিয়ন্ত্রনে যুক্ত করে। ইহা দ্বারা সকল লোক তথা অন্তরিক্ষে বিদ্যমান পদার্থ নিয়ন্ত্রিত ঊর্জা দ্বারা যুক্ত হয়ে নিজের ক্রিয়াকে সমুচিত রূপে সম্পাদিত করতে সমর্থ হয়। ইহা দ্বারা বিদ্যুৎ বল ও সম্যক নিয়ন্ত্রিত রহে।
®️।।গায়ত্রী মন্ত্রের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।।®️
সৃষ্টির প্রথম ঋচা ছিল গায়ত্রী মন্ত্র। গায়ত্রী মন্ত্রের পূর্বে সৃষ্টিতে অন্য কোন মন্ত্র ছিল না। গায়ত্রী মন্ত্রের সৃষ্টির সাথে সাথেই অন্য সকল ঋচা সৃষ্টি হতে আরম্ভ করে। তাই গায়ত্রী মন্ত্র সকল মন্ত্রের মাতা স্বরূপ।।
পদার্থঃ- (ভূঃ) ভূ নামক ছন্দ রশ্মি কিংবা অপ্রকাশিত কনা বা লোক, (ভূবঃ) ভূব নামক রশ্মি কিংবা আকাশ তত্ব,(স্বঃ) সুবঃ নামক রশ্মি কিংবা প্রকাশিত কনা ফোটন বা সূর্যাদি তারা আদিতে যুক্ত। ( তত্) সেই অগোচর বা দূরস্থ সবিতা অর্থাৎ মন, ওম্ রশ্মি, সকল ছন্দ রশ্মি,বিদ্যুৎ সূর্যাদি পদার্থকে ( বরেন্যম্ ভর্গঃ দেবস্য) সর্বত আচ্ছাদিতকারী ব্যাপক [ ভর্গঃ= অগ্নির্বৈ ভর্গঃ ( শতপথ ১২/৩/৪/৮) আদিত্য বৈ ভর্গঃ(জৈউ ৪/১২/২/২) বীর্য বৈ ভর্গহ্এষ বিষ্ণুর্যজ্ঞঃ (শতপথ ৫/৪/৫/১) অযং বৈ পৃথিবী লোক ভর্গঃ ( শতপথ ১২/৩/৪/৭)] আগ্নেয় তেজ, যাহা সম্পূর্ণ পদার্থকে ব্যাপ্ত করে সংযোজক বা সম্পীডক বল দ্বারা যুক্ত হয়ে প্রকাশিত বা অপ্রকাশিত লোকের নির্মান হেতু প্রেরিত করতে সমর্থিত হয়, (ধীমহি) প্রাপ্ত হয় অর্থাৎ এই সম্পূর্ন পদার্থ সেই আগ্নেয় তেজ, বল আদিকে ব্যাপক রূপে ধারন করে।( ধিযঃ যঃ নঃ প্রচোদয়াত্) যখন সেই উপযুক্ত আগ্নেয় তেজ সেই পদার্থকে ব্যাপ্ত করে নেয়,তখন বিশ্বামিত্র ঋষি সংজ্ঞক মন ও ওম্ রশ্মি রূপ পদার্থ [ধীঃ= কর্মনাম (নির্ঘন্টুঃ২/১) প্রজ্ঞানাম ( নির্ঘন্টুঃ ৩/৯), বাগ্ বৈ ধীঃ(ঐ আ ১/১/৪)] নানা প্রকার বাগ্ রশ্মির বিবিধ দিপ্তি ও ক্রিয়া দ্বারা যুক্ত করেেই উত্তম প্রকারে প্রেরিত ও নিয়ন্ত্রিত করতে থাকে।
ভাবার্থঃ- মন এবং ওম্ রশ্মি ব্যাহৃতি রশ্মিসকল দ্বারা যুক্ত হয়ে ক্রমশঃ সকল মরুদ্ ছন্দ অাদি রশ্মির অনুকূলতা দ্বারা সক্রিয় করে সকল কনা এবং অাকাশ তত্বকে উচিত বল ও নিয়ন্ত্রনে যুক্ত করে। ইহা দ্বারা সকল লোক তথা অন্তরিক্ষে বিদ্যমান পদার্থ নিয়ন্ত্রিত ঊর্জা দ্বারা যুক্ত হয়ে নিজের ক্রিয়াকে সমুচিত রূপে সম্পাদিত করতে সমর্থ হয়। ইহা দ্বারা বিদ্যুৎ বল ও সম্যক নিয়ন্ত্রিত রহে।
সৃষ্টিতে গায়ত্রী ঋচার প্রভাবঃ-
এই ঋচার উৎপত্তির পূর্বে বিশ্বামিত্র ঋষি অর্থাৎ ওম্ রশ্মি,ছন্দ রশ্মি বিশেষ সক্রিয় হয়ে থাকে। ইহার ছন্দ দৈবী বৃহতি+ নিচৃৎ গায়ত্রী হওয়াতে ইহার ছন্দ প্রভাব দ্বারা বিভিন্ন প্রকাশিত কনা বা রশ্মি আদি পদার্থ তীক্ষণ তেজ বা বল প্রাপ্ত করে সম্পীডত হতে থাকে। ইহার দৈবত প্রভাবে মনস্তত্ব এবং ওম, ছন্দ রশ্মি রূপ সূক্ষতম পদার্থতে নিয়ে বিভিন্ন প্রাণ, মরুদ্ ছন্দ রশ্মি,বিদ্যুতের সাথে সকল দৃশ্য কনা প্রভাবিত ও সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই প্রক্রিয়ায় ভূঃ,ভূবঃ এবং সুবঃ নামক সূক্ষ ছন্দ রশ্মিয়া ' ওম্ ছন্দ রশ্মির দ্বারা বিশেষ সংগত বা প্রেরিত হয়ে কনা বা কনাবঢ,আকাশ তত্ব পর্যন্ত প্রভাবিত করে। ইহা হতে এই সকল কিছুতে বল এবং ঊর্জা বৃদ্ধি হয়ে সকল পদার্থ বিশেষ সক্রিয়তাকে প্রাপ্ত হয়। এই সময় ঘটমান সকল ক্রিয়াতে যে ছন্দ রশ্মি নিজে নিজের ভূমিকা নিভায়, এ সব বিশেষ উত্তেজিত হয়ে নানা কর্মকে সমৃদ্ধ করে থাকে। বিভিন্ন লোক যেমন তারা আদি প্রকাশিত লোক অথবা পৃথিবী অাদি অপ্রকাশিত লোক, সকল কিছুর রচনার সময় এই ছন্দ রশ্মি নিজের ভূমিকা নিভায়। ইহার প্রভাবে সম্পূর্ন পদার্থে বিদ্যুৎ এবং ঊষ্মার বৃদ্ধি হতে থাকে পরন্তু এই স্থিতিতে ও এই ছন্দ রশ্মি বিভিন্ন কণা বা পরামানুকে সক্রিয়তা প্রদান করে ও অনুকূলতা দ্বারা নিয়ন্ত্রনে থাকতে সাহায্য করে।।।
✍️মাননীয় নৈষ্ঠিকজীর কৃত ব্যাখা®️

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ