গো মাংস ও হিন্দু ধর্ম - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

30 June, 2020

গো মাংস ও হিন্দু ধর্ম

গো মাংস ও হিন্দু ধর্ম
গো মাংস ও হিন্দু ধর্ম
अद्रिणा ते मन्दिन इन्द्र तूयान्त्सुन्वन्ति सोमान्पिबसि त्वमेषाम्।
पचन्ति ते वृषभाँ अत्सि तेषां पृक्षेण यन्मघवन् हूयमानः।। -ऋ. 10.28.3
अर्थात् हे इन्द्र! अन्न की कामना से तुम्हारे लिए जिस समय हवन किया जाता है, उस समय यजमान पत्थर के टुकड़ों पर शीघ्रतिशीघ्र सोमरस (शराब) तैयार करते हैं, उसे तुम पीते हो, यजमान बैल पकाते है और उसे तुम खाते हो।
उक्ष्णो हि मे प´चदश साकं पचन्ति विंशतिम्।
उताहमद्मि पीव इदुभा कुक्षी पृणन्ति मे विश्वस्मादिन्द्र उत्तरः ।। ऋ. 10. 86. 14
अर्थात् इन्द्राणी द्वारा प्रेरित यज्ञकत्र्ता मेरे लिए 15-30 बैल काटकर पकाते हैं, जिन्हें खाकर में मोेटा होता हूँ। वे मेरी कुक्षियों को सोम (शराब) से भी भरते हैं।
বৃষকপায়ি রেবতি সুপুত্র আহু সুস্নুষে।
ঘসত্ত ইন্দ্র উক্ষণঃ প্রিয়ং কাচিৎকরং হবির্বিশ্বস্মাদিন্দ্র ।। (ঋগবেদ ১০।৮৬।১৩)
🍀সরলার্থঃ সমস্ত সুখ কে মেঘের তূল্য বর্ষনকারী প্রভূর
অপার শক্তি! হে অনেক ঐশ্বর্যের স্বামিনি! হে উত্তম
পুত্র, জীবধারী! হে উত্তম সুখপূর্বক বিরাজমান,
সুখদায়িনি! পরমঐশ্বর্যবান প্রভূ সেচনকারী মেঘ দ্বারা
উৎপন্ন প্রীতিকারক অনেক সুখ দান কারী তোমার
উত্তম অন্ন সদৃশ [জগত কে] ভক্ষন করেন [প্রলয়কালে
লীন করে নেয় ] পরমঐশ্বর্যবান প্রভূ সবার থেকে
উপরে।
(অনুবাদঃ জয়দেব শর্মা)
উক্ষ্ণো হি মে পঞ্চদশ সাকং পচন্তি বিংশতিম্।
উতাহমদ্মি পীব ইদুভা কুক্ষো পৃণন্তি মে বিশ্বস্মাদিন্দ্র উত্তর।।
(ঋগবেদ ১০।৮৬।১৪)
.
🍀সরলার্থঃ আমার সেচনকারী পনেরো - দশ ইন্দ্রীয়
এবং পঞ্চ প্রাণ হাত এবং পায়ের বিশ আঙ্গুলির সমান
শরীরের ভিতর বিশ অঙ্গকে এক সাথে পরিপাক করে
এবং পরিপুষ্ট হয়ে পুষ্টিদায়ক ভোগ্য দেহ এবং নানা প্রকার
ভোগ কে বা সেই প্রাণকে ভোগ করি, ঐ সমস্ত প্রাণ
নিশ্চয়রূপে আমার দুই পার্শ পূর্ণ করে, শক্তিশালী প্রভূ
সবার থেকে উপরে।
(অনুবাদঃ জয়দেব শর্মা)
এবার চলুন দেখা যাক কেনো তারা এখানে গো-মাংস ভক্ষণ বৈধতা বিষয়ে এতো মাথা ঘামাচ্ছে---
👉ঋঃ ১০/৮৬/১৩ মন্ত্রটিতে "উক্ষণ" শব্দে বৃষ করায় এমন অনর্থ ঘটেছে।
উক্ষন শব্দের অর্থ আমরা পূর্বেই ব্যাখ্যা করেছি। তবুও
এস্থলে পুনরায় কিঞ্চিত তুলে ধরছি। উক্ষ (সেচন
অর্থে) + কনিন্ = উক্ষন। এবং বৃদ্ধিকরন অর্থেও উক্ষ ধাতু
এসেছে।
নিরুক্ত সংহিতা ১৩।৯ এ উক্ষণ শব্দের অর্থটি পরিষ্কার
হযেছে। "উক্ষণ উ- ক্ষেতের্বৃদ্ধিকর্মণ
উক্ষনত্যুদকেনোতিবা ;
নিরুঃ ১৩।৯ " অর্থাৎ বৃদ্ধি অর্থে উক্ষ অথবা জল সেচন কারী
অর্থে। অতএব মন্ত্রটির সত্যার্থ এরূপ দাড়ায় - ইন্দ্র
(পরমঐশ্বর্যবান প্রভূ) "উক্ষণ"সেচনকারী মেঘ দ্বারা
উৎপন্ন "তে হবি" অন্নের তূল্য (জগত) কে "ঘসত" ভক্ষন
করেন। অর্থাৎ প্রলয় কালে সমস্ত জগৎ কে লীন করে
নেয়।
.
💎 দ্বিতীয় মন্ত্র অর্থাৎ ১০/৮৬/১৪ এ একই "উক্ষণ" শব্দের ব্যবহার এ মন্ত্রেও হয়েছে তাই
এখানে এর ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন। মন্ত্রটিতে পনেরো
ষাড় নয় বরং সেচন সামর্থ পনেরো - দশ ইন্দ্রীয় এবং পঞ্চ
প্রাণকে এবং শরীরস্থ বিশ অঙ্গকে পরিপক্ক করার বলা
হয়েছে। বেদের আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যাই সর্বাপেক্ষা
গ্রহনযোগ্য কারন আক্ষরিক অর্থে সর্বদাই অনর্থ ঘটিয়া
থাকে।

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অথর্ববেদ ২/১৩/৪

  ह्यश्मा॑न॒मा ति॒ष्ठाश्मा॑ भवतु ते त॒नूः। कृ॒ण्वन्तु॒ विश्वे॑ दे॒वा आयु॑ष्टे श॒रदः॑ श॒तम् ॥ ত্রহ্যশ্মানমা তিষ্ঠাশ্মা ভবতুতে তনূঃ। কৃণ্বন্তু...

Post Top Ad

ধন্যবাদ