মানুষের উৎপত্তি - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

30 June, 2020

মানুষের উৎপত্তি

     
মানুষের উৎপত্তি
                                                                                                                             তারিখ - ৩০/০৬/২০২০
বিক্রম সম্বত ২০৭৭
মঙ্গলবার,দশমী
নক্ষত্রমণ্ডল - চিত্র \ স্বাতী
 পক্ষ-শুক্লা
মাস - আষাড়

विकासवाद का वैदिक सिद्धांत 👈

সৃষ্টি ও মানুষের উৎপত্তি বৈজ্ঞানিক জগতের জন্য কৌতূহলের বিষয়। চার্লস ডারউইনের বিকাশবাদের পরিকল্পনার পর থেকেই তার সমর্থক তথা বিরোধী দুই পক্ষরই বিতর্ক চলছে । বিকাশবাদীদের স্বীকৃতি হলো অ্যামিবা থেকে মানুষ্য পর্যন্তের শৃঙ্খলাকে ক্রমিক বিকাশের দান তারা মনে করে, যার মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে পরিস্থিতি অনুকূল কিছু পরিবর্তন হয়ে তা থেকেই নতুন নতুন প্রজাতিগুলো হয়েছিল । এই প্রকার এই বিচারধারা অনুসারে মানুষ্য ও অন্য পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ, সকলের পূর্বপুরুষ একই ছিল তথা আধুনিক বানর হলো মানুষের সর্বাধিক নিকটতম সম্বন্ধী । বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে নানান অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিকাশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবশ্যকতার অনুরূপ হচ্ছিলো অর্থাৎ এক প্রাণী অন্য এক প্রাণীতে কোনো বিকৃতির কারণে বদলাচ্ছিলো । এই বিকাশবাদের বিরুদ্ধে অনেক বিদেশী বৈজ্ঞানিক সময়ে - সময়ে অনেক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। শারীরিক বিকাশ, বৌদ্ধিক বিকাশ এবং ভাষার বিকাশ এই তিন বিষয়ের ওপরেও বিকাশবাদের বিরোধী বিদেশী বৈজ্ঞানিকেরাও অনেক গম্ভীর প্রশ্ন তুলে ধরেছেন, কিন্তু বিকাশবাদীরা কখনও এই প্রশ্নগুলোর সঠিকভাবে উত্তর দিতে পারে না । এদিকে ভারতে মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী ও অনুযায়ী অনেক বিদ্বানেরা বিকাশবাদের এই সিদ্ধান্তকে মিথ্যা প্রমাণিত করেছেন, তা সত্বেও ডারউইনের বিকাশবাদ আজও কিছু পূর্বাগ্রহী বৈজ্ঞানিকের কাছে আদর্শ সিদ্ধান্ত হয়ে আছে ।
এই কিছু দিন পূর্বে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন রাজ্যমন্ত্রী শ্রীমান ডা০ সত্যপাল সিংহ জী বক্তব্য করেছিলেন যে আমরা সকল মানুষেরা বানরের নই বরং মানুষেরই সন্তান, কিন্তু এই মহানুভাবেরা কোলাহল করতে করতে ওনার ওপর চতুর্দিক থেকে আক্রমণ করতে থাকে । দেশের বৈজ্ঞানিক আর বৈজ্ঞানিক সংস্থাও একজোট হয়ে যায় । আমিও এই সকলের কাছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক প্রশ্ন করেছিলাম কিন্তু কোনো প্রমাণিত সংস্থা বা বিদ্বান আমার প্রশ্নের উত্তর দেন নি বরং কিছু মহানুভাবেরা অহেতুক প্রলাপই করেছেন । এই মহানুভাবেরা কোনো দেশী অথবা বিদেশী অথবা বিচারকের কোনো বক্তব্যই হোক না কেনো, কখনোই স্বীকার করবে না যে আমরা মানুষের সন্তান ?
আমার প্রশ্নের উত্তরে কেবল আমার সিদ্ধান্ত জানার ইচ্ছা প্রকাশকারী মহানুভাবেদের জন্য আমি বৈদিক বিকাশবাদের ওপর আমার সংক্ষিপ্ত বিচার প্রস্তুত করছি -
বস্তুত: “বিকাশবাদ’’ শব্দটির ওপর বিচার করুন, তো শব্দটি উত্তম এবং সার্থক, কিন্তু ডারউইন ও তার সমর্থকেরা এই শব্দটির সঠিক অর্থ জানে না আর নিজের অবৈজ্ঞানিক মতকে “বিকাশবাদ’’ বিশেষণে বিভূষিত করতে প্রয়াসই করেছে । যদি আমরা সম্পূর্ণ সৃষ্টির ওপর গম্ভীরভাবে বিচার করি, তো স্পষ্ট দেখা যায় যে সম্পূর্ণ সৃষ্টি এবং তার প্রত্যেক উৎপন্ন পদার্থ বিকাশের সিঁড়ি চড়তে - চড়তেই বর্তমান স্বরূপে আজ দেখা যাচ্ছে । বিনা ক্রমিক বিকাশে প্রাণী জগতের কি বলবো, কোনো লোক লোকান্তর কিংবা এক কণা, ফোটন আদিও নির্মাণ হবে না । বৈদিক বিজ্ঞান বিকাশবাদের খুব ব্যাখ্যা করে কিন্তু আমাদের বিকাশবাদ কখনোই ডারউইনের বিকাশবাদ নয় । ডারউইনের বিকাশবাদ বস্তুত: বিকাশবাদ নয়, বরং তা হলো অনিয়ন্ত্রিত ও বুদ্ধিবিহীন যদৃচ্ছায়াবাদ (মনগড়া), যাকে ভদ্রবশ বৈজ্ঞানিক বিকাশবাদ নামে আখ্যা দিচ্ছে ।
বাস্তবে বিকাশের অর্থ হলো, ‘‘বীজ থেকে অঙ্কুর, অঙ্কুর থেকে বৃক্ষ আর তা থেকে পুষ্প, ফল এবং পুনঃ বীজ উৎপন্ন হওয়া ।’’ আজ বিজ্ঞান যাকে মূল কণা মানছে, তা সেই কোয়ার্ক তথা ফোটনসও মূল পদার্থ নয় । ওটা হলো সূক্ষ্ম ঘনীভূত রূপ অর্থাৎ ওই রশ্মিগুলোর নানান সমুদায়ের বিকশিত রূপ । যে String theorist এই কণাগুলোকে সূক্ষ্ম String দ্বারা তৈরী মনে করে, ওই String -ও মূল তত্ব নয়, বরং তা হলো বৈদিক রশ্মিগুলোর ঘনীভূত ও বিকশিত রূপ । String ও কণা বা ফোটনস-এর সম্বন্ধে বর্তমান বিজ্ঞান অনভিজ্ঞ । জীববিজ্ঞানী যে অ্যামিবাকে সবথেকে ছোট ইউনিট মনে করে, অথবা তার ভিতর বিদ্যমান গুণসূত্র, জীন্স, D.N.A. আদিকে সূক্ষ্মতম পদার্থ বলে মনে করে, তারা জানে না যে ‘‘যেখানে তাদের জীববিজ্ঞান সমাপ্ত হয়ে যায়, সেখানে ভৌতিক বিজ্ঞান শুরু হয় আর যেখানে ভৌতিক বিজ্ঞান সমাপ্ত হয়ে যায়, সেখানে বৈদিক ভৌতিক বিজ্ঞান শুরু হয় আর যেখানে বৈদিক ভৌতিক বিজ্ঞানের সীমা সমাপ্ত হয়ে যায়, সেখানে বৈদিক আধ্যাত্মিক বিজ্ঞান শুরু হয় ।’’ আজ সমস্যা এটাই যে বৈদিক ভৌতিক বিজ্ঞান এবং বৈদিক আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের নিতান্ত অবহেলা করে বা তার উপহাস বা বিরোধ করে ভৌতিক বিজ্ঞান এবং জীব বিজ্ঞানী ইত্যাদির সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা চলছে । এটাও এক দুঃখজনক সত্য যে, সংসারকে বৈদিক ভৌতিক বিজ্ঞান সম্বন্ধে বোঝানোর ব্যাক্তি এখন কোথায় ? এই কারণে বর্তমান বিজ্ঞান অনেক সমস্যায় গ্রস্থ হয়ে আছে । তথা এক সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে, তো অনেক নতুন সমস্যাও উৎপন্ন করে ফেলে । এক টেকনোলজির আবিষ্কার করে, তো নানান দুষ্প্রভাবকেও করে ফেলে, ঔষধের বিকাশের সাথে সাথে রোগেও নিরন্তর বিকাশ হচ্ছে, সুখ -বিলাসিতা বিকাশের সাথে সাথে অপরাধ এবং প্রকৃতি প্রদূষণকেও সমৃদ্ধি করে চলেছে । এই সব সমস্যার মূল কারণ হলো, বর্তমান বিজ্ঞানের অপূর্ণ জ্ঞান, যার কারণ হলো বৈদিক বিজ্ঞানকে উপেক্ষা করা । অস্তু ।
আমরা কথা বলছিলাম যে সৃষ্টির প্রত্যেক কথিত মূলকণা ও ফোটন সূক্ষ্ম বৈদিক রশ্মিগুলোর অতি বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ সংযোগ দ্বারা তৈরী হয়েছে । সেই রশ্মিগুলো মনস্তত্ব এবং মহতত্ত্ব, কাল ও প্রকৃতির সংযোগ দ্বারা উৎপন্ন হয়েছে । সবার পিছনে সর্বনিয়ন্ত্রক, সর্বশক্তিমান, সর্বব্যাপক, নিরাকার, সর্বজ্ঞানী, চেতন কর্তা ঈশ্বরের প্রেরণা রয়েছে । সৃষ্টির সর্বাধিক সূক্ষ্মতত্ব প্রকৃতি থেকে বর্তমান মূলকণাগুলো পর্যন্ত বিকাশের এই পথ অনেক লম্বা ও এতে ব্যবস্থিত বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া রয়েছে, যাকে নিয়ে বর্তমান ভৌতিক বৈজ্ঞানিকের বিশেষ বোধ নেই । মূলকণা এবং ফোটনের উৎপত্তি থেকে নক্ষত্র, গ্রহ ও উপগ্রহ পর্যন্ত নির্মাণের বিকাশের এই যাত্রার চর্চা এখানে করা উচিৎ হবে না । তবে বর্তমান Cosmology, Particle Physics, Astrophysics, Quantum field theory, String theory এর মতো বিভিন্ন সংস্থাগুলো এই বিষয়গুলোকে নিয়ে নিজের সীমার ভিতর ব্যাখ্যা করে । আমার বিষয়ও এই বিষয়গুলোর গভীরে আলোকপাত করা । জীব বিজ্ঞান আমার বিষয় নয়, তা সত্ত্বেও বর্তমান অন্ধকার কোলাহলের মাঝে কিছু যুবকের অনুরোধে আমি আমার কথা ভৌতিক বিজ্ঞানের গভীরতা ছেড়ে বনস্পতি ও প্রাণী জগতের উৎপত্তির উপরই কেন্দ্রিত করছি । যখন পৃথিবীর মতো কোনো গ্রহ নক্ষত্র থেকে পৃথক হয়, কিংবা নক্ষত্র ওই গ্রহগুলো থেকে দূরে সরে যায়, ওই সময় গ্রহের স্বরূপ আগ্নেয় হয় । ধীরে ধীরে সেই আগ্নেয় রূপ ঠান্ডা হয়ে দ্রবীয় রূপে পরিণত হতে থাকে আর সেই সময় উৎপন্ন জলীয় বাষ্প ক্রমে ক্রমে ঠান্ডা হয়ে বৃষ্টি হওয়াতে পৃথিবী জলমগ্ন হতে থাকে । যে ভাগ উচ্চতার কারণে জলের বাইরে থাকে সেখানে জীবনের উৎপত্তি হেতু প্রয়োজনীয় তত্ত্ব অক্সিজেন, হাইড্রোজেন, কার্বন, নাইট্রোজেন, D.N.A., R.N.A., Fat, অ্যামিনো অম্ল, প্রোটিন, জল আদি বিভিন্ন রাসায়নিক অভিক্রিয়াগুলো নিরন্তর চলার কারণে উৎপন্ন হওয়া শুরু করে । এই উৎপত্তিতে সহস্র বছর লেগে যায় । এসব পদার্থ এই পৃথিবীর উপর এখানে ওখানে দ্রব্য ও গ্যাস রূপে ভরে যায় । সদ্য উৎপন্ন সাগরগুলোতেও এই পদার্থ উৎপন্ন হওয়া শুরু করে । এর পুনঃ অগ্রিম বিকশিত ও সংযুক্ত রূপে এক কোষীয় বনস্পতির উৎপত্তি হয় । বিভিন্ন পরমাণু (Atoms) ও ছোট অণু (Molecules) এর বিশিষ্ট ও বুদ্ধিপূর্ণ সংযোগ দ্বারা বনস্পতি (উদ্ভিদ) কোষের উৎপত্তি হলো অতি রহস্যময়ী ও ব্যবস্থিত প্রক্রিয়া । এটা সবসময় মনে রাখতে হবে যে সূক্ষ্ম রশ্মিগুলো থেকে বনস্পতি কোষের নির্মাণের সহস্র ধাপের সঞ্চালন কোনো মনগড়া প্রক্রিয়া দ্বারা সম্ভব নয় আর না এসব নিষ্প্রয়োজন ও অনিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়া, বরং এটা হলো ঈশ্বর তত্ত্ব দ্বারা বুদ্ধিপূর্বক প্রেরিত, নিয়ন্ত্রিত ও এক বিশিষ্ট প্রয়োজনযুক্ত প্রক্রিয়া । এক এক কোষের সঞ্চালনকে ভালো করে দেখুন, তো দেখবেন যে এতে কয়েক আরব সূক্ষ্ম কণার এক বিশিষ্ট বৈজ্ঞানিক সংযোগ আছে আর তার মধ্যে প্রত্যেক কণা শত শত সূক্ষ্ম বৈদিক রশ্মিগুলোর বিশিষ্ট সংযুক্ত বা বিকশিত রূপ রয়েছে । এর জন্য সর্বত্র চেতন শক্তির অনিবার্য ভূমিকা আছে । যাকে ছাড়া এই প্রক্রিয়া এক পাও এগোবে না । এটাও ধ্যানে রাখতে হবে যে জল, বায়ু, ভূমি এবং তার মধ্যে বা তার দ্বারা নানান জীবনীয় তত্ব তৈরির পর সর্বপ্রথম বনস্পতিরই উৎপত্তি হয় । বনস্পতি কোষের উৎপন্ন হওয়া, তার জীবিত থাকা এবং তার বিকশিত হয়ে গাছপালার উৎপন্ন হওয়ার জন্য আবশ্যক তত্বের উৎপত্তি পূর্বেই হয়ে থাকে, তারই পশ্চাৎ বনস্পতি কোষের জন্ম রাসায়নিক প্রক্রিয়া দ্বারা হয় । প্রাণী কোষ বনস্পতি নির্মাণের পশ্চাৎই উৎপন্ন হয় । তার কারণ হলো যে সকল জীব-জন্তু বনস্পতির উপরই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ রূপে নির্ভরশীল । মাংসাহারী প্রাণী শাকাহারী প্রাণীগুলোর উপর নির্ভরশীল থাকে । এই কারণে বনস্পতি উৎপত্তির পশ্চাৎ জীব জন্তুদের উৎপত্তি এককোষীয় জীব থেকেই শুরু হয় । বনস্পতির মধ্যেও সহজ থেকে জটিল গঠনকারী বনস্পতির ক্রমিক উৎপত্তি হয় । ক্রমিক উৎপত্তির মানে এই নয় যে শৈবাল বিকশিত হয়ে বটবৃক্ষ হয়ে যায় অথবা পিপল, আম আর ববুল বাদামের রূপ নেয় । এই প্রকারে এককোষীয় জীব অ্যামিবার উৎপত্তি ভূমি বা জলে হয়, কিন্তু কোনো জীব যদিও বা সেটি এককোষীয় হোক না কেন অথবা বহুকোষীয়, কেবল কিছু পদার্থের রাসায়নিক সংযোগ মাত্রই হয় না বরং তার ভিতর সূক্ষ্ম চেতন তত্ব জীবাত্মারও সংযোগ হয়। সম্পূর্ণ সংযোগই হলো জীবের রূপ। বর্তমান বিজ্ঞানও রাসায়নিক সংযোগ দ্বারা কোষের উৎপত্তি স্বীকার করে-
A very important step the formation of a cell must have been the development of lipid membrane. In order that biological systems can function efficiently, it is essential that the enzymes connected with successive stages of synthesis of biochemical pathway should be in a close a proximity to one another. The necessary conditions for this are obtained in cells by means of lipid membranes which can maintain local high concentration of reactants. The presence of hydrocarbons early in the earth’s history has already been mentioned....
Life requires for its maintenance a continuous supply of energy this could have been provided by ultraviolet or visible light from the sun, or possibly partly from the breakdown of unstable free radiations produced in the earth’s atmosphere by ultraviolet light. [Cell Biology, page - 474 by E.J. Ambrose & Dorothy M. East, London -1973]
অর্থ হল যে এই পৃথিবীতে রাসায়নিক, জৈবিক ক্রিয়াগুলো দ্বারা বিভিন্ন প্রকারের এনজাইমস এর নির্মাণ হয়ে জীবন হেতু আবশ্যক পদার্থের নির্মাণ হয়েছে । এর সাথেই নানাবিধ রাসায়নিক পদার্থ দ্বারাই কোষীকা ভিত্তিগুলোর তথা জীব দ্রব্যাদির নির্মাণ এই ভূমিতে হয়েছিল তথা কোষগুলোর নিরন্তর পোষণ দেওয়ার কাজ পৃথিবীতে উপস্থিত আবশ্যক রাসায়নিক পদার্থগুলো তথা সূর্যের প্রকাশ করেছে । কিছু বৈজ্ঞানিক এমন বিশ্বাস করেন যে পৃথিবীতে জীবন অন্য কোনো গ্রহ থেকে এসেছে, ওনার কাছে আমরা জানতে চাই যে, যেই ভাবে কোনো অন্য গ্রহতে জীবনের উৎপত্তি হতে পারে, তো ওরকম ভাবে এই পৃথিবীতে কেন হতে পারবে না ?
বস্তুতঃ এই ধরনের বিচার সর্বথা অপরিপক্ক চিন্তার পরিনাম । বর্তমান কিছু বৈজ্ঞানিকেরাও এই ধারণার সঙ্গে একমত নয় । তারা বলেন -
The view the life did in fact originate on the earth itself after it had cooled over a period of many thousands of years is almost universally accepted today. [Cell Biology, page - 474]
যে বৈজ্ঞানিক অ্যামিবা থেকে বিকশিত হয়ে অর্থাৎ এক প্রজাতি থেকে দ্বিতীয় প্রজাতির উৎপন্ন হওয়ার কথা বলে, তারা এটা বিচার করে না যে উদ্ভিদ বা প্রাণীর মধ্যে এ ধরনের পরিবর্তন সম্ভব নয় আর না এর কোন প্রয়োজন আছে । আমরা এখানে বৈজ্ঞানিকদের কল্পিত ও মিথ্যা বিকাশবাদের উপর কোনো প্রশ্ন এই কারণে করবো না, কারণ আমরা এর আগেও অনেক প্রশ্ন তার উপর করেছি। যারা ডারউইনের বিকাশবাদের বিস্তারিত পর্যালোচনা জানতে চায়, তাদের আর্য বিদ্বান পণ্ডিত রঘুনন্দন শর্মা দ্বারা লিখিত বৈদিক সম্পত্তি নামক গ্রন্থ পড়া উচিত । প্রশ্ন করছি, যখন রাসায়নিক বিক্রিয়া থেকে অ্যামিবা উৎপন্ন হতে পারে, তখন বিভিন্ন প্রাণীর শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর উৎপত্তি কেন হতে পারবে না ? যখন ৫০০ এরও অধিক গুণসূত্রকারী অ্যামিবা রাসায়নিক অভিক্রিয়া দ্বারা উৎপন্ন হতে পারে, তখন বানর, শিম্পাঞ্জি, অরাঙ্গুটান যার গুণসূত্র হলো ৪৮-৪৮, আবার ৪৬ গুণসূত্রকারী মানবের মধ্যে স্ত্রী ও পুরুষের ২৩-২৩ গুণসূত্রকারী শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর উৎপত্তি অ্যামিবার মতো কেন হতে পারবে না ? মানুষের সমান গুণসূত্রকারী Sable Antelope এর মতো হরিণের মতো পশু তথা Reaves’s Muntjac নামক হরিণের মতো পশুর শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর, ৫৬ গুণসূত্রকারী হাতির শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর উৎপত্তি কেন হতে পারবে না ? পিঁপড়া, যার গুণসূত্র হলো কেবল ২, তারা কেন উৎপন্ন হতে পারবে না ?
এখানে বৈদিক মত এই যে, যে সকল জীবের ভরণ-পোষণ হেতু যত কম পদার্থের আবশ্যকতা হয়, সেই জীব ততই আগে উৎপন্ন হয় । সকল প্রাণীর মধ্যে বনস্পতির উৎপন্ন আগে হয় আর মাংসাহারী প্রাণীদের পূর্বে শাকাহারী প্রাণীদের তথা শাকাহারীদের মধ্যে মানুষ্য এক এমন প্রাণী, যাকে সব থেকে বিকশিত বা উন্নত মানা যেতে পারে এবং তারা বিভিন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল থাকে, এই কারণে তাদের উৎপত্তি সবার শেষে হয়েছে ।

এখন প্রশ্ন এটা উঠছে যে, মাতা বিহীন ভ্রূণের বিকাশ কি করে হয় ? শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর তো ধরে নিন রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলস্বরূপ ভূমি বা জলে হয়ে গেছে কিন্তু শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর নিষিক্তকরণ ও ভ্রূণের বিকাশ কোথায় আর কি ভাবে হয়েছে ? এই বিষয়ে মনুষ্য উৎপত্তির চর্চায় মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীজী তার সত্যার্থ প্রকাশ নামক গ্রন্থে যুবাবস্থাতে ভূমিতে উৎপত্তি বলেছেন । তিনি তর্ক দিয়েছেন যে, যদি শিশু অবস্থাতে উৎপত্তি হতো তবে, তার রক্ষা আর পালন কে করতো তথা যদি বৃদ্ধ উৎপন্ন হতো, তবে বংশপরম্পরা কি ভাবে চলতো ? এই কারণে মানুষের যুবাবস্থাতেই ভূমিতে উৎপত্তি হয়েছে । যদিও এই বিষয়ে তিনি কোনো প্রমাণ দেন নি কিন্তু আমরা ঋগবেদের প্রমাণ এই বিষয়ে পাই, যেখানে লেখা আছে

উপ সর্প মাতরং ভুমিমেতামুরুব্যচসং পৃথিবীং সুশেবাম্ ।
ঊর্ণম্রদা য়ুবতির্দক্ষিণাবত এষা ত্বা পাতু নির্ঋতেরুপস্থাত্ ।। ঋ০ মন্ডল ১০ সূক্ত ১৮ মন্ত্র ১০
ইহার উপর আমার আধিভৌতিক ভাষ্যঃ হে জীব! (সুশেবাম্) {সুশেবঃ সুসুখতমঃ-নিরু০ ৩/৩} উত্তম সুখ প্রদানে সর্বোত্তম (এতাম্) এই (মাতরম্) মাতার সমান (ভূমিম্) প্রারম্ভে যাহার গর্ভে সকল প্রাণী উৎপন্ন হয়ে বা যাহার উপর সব প্রাণী নিবাস করে, সেই পৃথিবী (উরু-ব্যচসম্) অতি বিস্তারবান হয়ে সকল ভ্রূণকে (উপ সর্প) নিকটতা থেকে প্রাপ্ত হয়, ইহার সাথেই ওই গর্ভের আন্তরিক আবরণ নিরন্তর হালকা স্পন্দন করতে থাকে (ঊর্ণম্রদা) {ঊর্ণম্রদা ইত্যুর্ণমৃদ্বীত্যেবৈতদাহ -কাশ০ ৪/২/১/১০; সাধ্বী দেবেভ্য ইত্যেবৈতদাহ য়দাহোর্ণম্রদসং ত্বেতি -শ০ ১/৩/১/১০} সেই ভূমি ঐ ভ্রূণকে এইরূপ আচ্ছাদন প্রদান করে, যাহা পশমের সমান কোমল, মসৃণ বা আরামদায়ক । তাহা ওই দিব্য ভ্রূণকে সবদিক থেকে গর্ভকে সমান সুখদায়ক স্পর্শযুক্ত ঘর প্রদান করে । (য়ুবতীঃ) ওই গর্ভরূপ পৃথিবীতে নানান জীবনীয় রসের মিশ্রণ -অমিশ্রণের ক্রিয়া নিরন্তর চলতে থাকে (দক্ষিণাবতঃ) সেই পৃথিবী ঐ ভ্রূণকে তখন পর্যন্ত পোষণ প্রদান করতে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত তাহারা নিজের পালন ও রক্ষণ করতে পূর্ণ দক্ষ অর্থাৎ সক্ষম না হয়ে যায় (এষা) এই ভূমি (ত্বা) তুমি জীবকে (নির্ঋতেঃ-উপস্থাত্) {নির্ঋতির্নিরমণাত্ ঋচ্ছতেঃ কৃচ্ছ্রাপত্তিরিতরা -নিরু০ ২/৮} পূর্ণ রূপে নিরন্তর সানন্দ রমণ করে, এইরূপ সুরক্ষিত ও উত্তম স্থানে (পাতু) ঐ ভ্রূণ বা জীবের পালন করে । ইহার সাথেই যেখানে ক্লেশ পৌছাতে পারে, এই প্রকার অসুরক্ষিত স্থান থেকে ওই ভূমির গর্ভরূপ আবরণ ওই জীব বা ভ্রূণকে রক্ষা করে ।

"বৈদিক তত্ত্বের বিবর্তন" লিখেছেন -আচার্য অগ্নিব্রত নৈষ্ঠিক
বই টি ডাউনলোড করে পড়তে পারেন👉মানুষের উৎপত্তি
এই লেখাটির শেষ অংশে বৈদিক মন্ত্রের উল্লেখ করা আছে।
 (অনুবাদ করেছেন রাজারাম সোলঙ্কি)
উচ্ছ্বঞ্চস্ব পৃথিবী মা নি বাধথাঃ সূপায়নাস্মৈ ভব সূপবঞ্ছনা।
মাথা পুত্রং য়থা সিচাভ্যেনং ভূম ঊর্ণুহি।।
ঋগ্বরদ -১০।১৮।১১

পদার্থ- ( পৃথিবী-উচ্ছ্বঞ্চস্ব মা নিবাধথাঃ) হে পৃথিবী! তুমি জীব গর্ভকে ধারণ করার জন্য পুলকিতপৃষ্ঠ-উষ্ণ হয়ে যাহাতে এই জীবের পীড়া না হয় (অস্মৈ সূপায়না সূপবঞ্চনা ভব) এই জীবের জন্য শরীর ধারণের যোগ্য সুন্দর আশ্রয় দানকারী হউন (ভূমে মাথা পুত্রং য়থাঃ সিচা এনম্-অভি-ঊর্ণুহি) হে ভূমি যেরূপ মাতা পুত্রকে জানার পশ্চাৎ দুধযুক্ত স্তন পাশে ঢেকে রাখে ঐরূপ তুমিও বনস্পতিযুক্ত নিচে তাহাকে আচ্ছাদিত কর।

ভাবার্থ-জীবগর্ভ যখন ভূতিতে আসে তখন ভূমির উপর পৃষ্ঠে আনন্দে উষ্ণ হয়ে শুন্যস্হান হয়ে যায় যাহাতে সুগমতার সাথে জীব বৃদ্ধি হতে থাকে আর সে গর্ভের আবশ্যকতার সম্পূর্ণ করেন।গর্ভ পূর্ণ হয়েই তাহার উপর যৌবন উদ্গত হয়ে-বাইরে প্রকট করতে যোগ্য হয় তথা বাইরে প্রকট হয়ে ঔষধির দ্বারা তাহারা পোষন করে অতএব এই সময় জীব সব প্রকার কুশল কুমারাবস্হাতে উৎপন্ন হয়।।

 সৃজন এবং মানব উত্স বৈজ্ঞানিক বিশ্বের জন্য কৌতূহলের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। চার্লস ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বের পরে, এর সমর্থক এবং বিরোধীদের মধ্যে বিতর্ক অবিরত ছিল। বিবর্তনীয় ধারণাটি অ্যামিবাস্তো মানবদের থেকে প্রগতিশীল বিকাশের শৃঙ্খলকে বিবেচনা করে, যেখানে নতুন যুগের জন্ম হয়েছে পুরানো থেকে, বিভিন্ন বয়সের পরিস্থিতি অনুসারে কিছু ভিন্নতা। সুতরাং, এই মতাদর্শ অনুসারে, মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীজগতের সমান ছিল এবং আধুনিক বানরটি মানুষের নিকটতম আত্মীয়। বিভিন্ন প্রজাতির বিভিন্ন সংঘের বিকাশ প্রয়োজনীয়তার সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘটেছিল, অর্থাৎ একটি প্রাণী অন্যরকম কিছু বিকৃতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে। এই বিবর্তনতত্ত্বের বিপরীতে অনেক বিদেশী বিজ্ঞানী বিপ্লববিরোধী সময়কে বিভিন্ন তত্ত্ব দিয়েছিলেন। বিবর্তন তত্ত্বের বিরোধী বিজ্ঞানী উভয় তিনটি সম্পর্কে জৈবিক বিকাশ, বৌদ্ধিক বিকাশ এবং ভাষাগত বিকাশের বিরুদ্ধে অনেক গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন, কিন্তু বিবর্তনবাদীরা কখনই এগুলির উত্তর দিতে পারেনি। প্রশ্নগুলি যথাযথভাবে। ভারতে, মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী, তাঁর উত্তরসূরি এবং অন্যান্য বিদ্বানরা বিবর্তনবাদের ধারণাটি প্রমাণ করেছেন, তবে কিছুটা পক্ষপাতদুষ্ট বিজ্ঞানীরা আজও কিছু পক্ষপাতদুষ্ট বিজ্ঞানীর পক্ষে।

বৈদিক বিজ্ঞান বিবর্তনকে বিকাশযুক্ত পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে, তবে আমাদের বিবর্তনবাদীরা কখনই বিবর্তনবাদ ডারউইনের কাছে যায় না। ডারউইনের বিবর্তন আসলে বিবর্তন নয়, বরং অনিয়ন্ত্রিত ও অচেতন, যাকে বৈজ্ঞানিক বিবর্তনের নাম দিয়ে দেওয়া হচ্ছে মায়া। বাস্তবে বিবর্তনবাদ, বীজ, ফুল, উদ্ভিদ এবং ফলফ্রমে যা আবার শেষ বীজকে জন্মায়  আজ, মৌলিক কণাগুলি, যা মৌলিক হিসাবে বিবেচিত হয়, এটি আসলে মৌলিক নয়। কোয়ার্ক এবং ফোটনসারেও মৌলিক নয়। এগুলি হ'ল মাইক্রো-রশ্মির সংশ্লেষিত রূপগুলি, অর্থাত্ এই রশ্মির বিভিন্ন গোষ্ঠীর বিকাশযুক্ত রূপ। এই স্ট্রিং তাত্ত্বিকরা বলছেন যে এই কণাগুলি মাইক্রো স্ট্রিং থেকে তৈরি, তারা মৌলিক উপাদানগুলিকে বিস্মৃত করে না, তবে এগুলি বৈদিক রশ্মির সংশ্লেষিত এবং বিকশিত রূপ। মডার্নসায়েন্স স্ট্রিং এবং কণা বা ফোটনের বিকাশ সম্পর্কে অবগত নয়। জীববিজ্ঞানী যিনি অ্যামিবা বা ক্রোমোজোম, জিন, ডিএনএ ইত্যাদির সাথে এর মধ্যে ক্ষুদ্রতম একক হিসাবে আচরণ করেন। তারা জানে না যেখানে তাদের জীববিজ্ঞানের সমাপ্তি ঘটে, সেখানে পদার্থবিজ্ঞানের শুরু যেখানে মডার্নফিজিক্সেন্ডস রয়েছে, সেখানেই আছে ভডিক পদার্থবিদ্যার সূচনা এবং যেখানে বৈদিক পদার্থবিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা রয়েছে সেখানে বৈদিক আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের সূচনা হয়েছে। আজ, বিদ্রূপটি হ'ল প্রচেষ্টা বৈদিকফিজিক্স এবং বৈদিক আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের বিরোধিতা করে অবহেলা করে পদার্থবিজ্ঞান এবং জীববিজ্ঞান ইত্যাদির সমস্যা সমাধানের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। এটি একটি মর্মান্তিক সত্য যে বৈদিক পদার্থবিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতন ব্যক্তিরা কোথায় আছেন? এই কারণে, আধুনিক বিজ্ঞান অনেক সমস্যায় ভোগে এবং একটি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে, এটি অনেকগুলি নতুন সমস্যাও তৈরি করে। যদি কেউ কোনও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে তবে সে নেতিবাচক দিকগুলিও তৈরি করে ওষুধের বিকাশের সাথে সাথে রোগগুলিও সর্বদা বাড়ছে।
এই সমস্ত সমস্যার মূল কারণ হ'ল আধুনিক বিজ্ঞানের অসম্পূর্ণ জ্ঞান, যা বৈদিক জ্ঞানকে উপেক্ষা করার কারণ W আমরা আলোচনা করছিলাম যে মহাবিশ্বের প্রতিটি ভাবাপন্ন পার্টিক্যাল এবং ফোটন বৈদিক রশ্মির খুব বুদ্ধিমান সংমিশ্রণ দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। থিমানাস-তত্ত্ব এবং মনসত্ত্ব-তত্ত্ব দ্বারা উত্পাদিত এগুলি হ'ল ক্যালান্দপ্রকাশীর সমাহার God allশ্বরের শক্তি ও অনুপ্রেরণার পরেও যিনি হলেন সর্বজ্ঞ, সর্বব্যাপী, নিরাকার, সর্বজ্ঞ know প্রকৃতির উপ-স্তরের স্তর থেকে বর্তমান কণায় প্রকৃতির বিকাশযাত্রা একটি দীর্ঘ এবং নিয়মতান্ত্রিক বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া, যার সম্পর্কে আধুনিক বিজ্ঞানীবিদদের যথাযথ জ্ঞান নেই। কণার উৎপত্তি এবং ফোটন থেকে তারা, গ্রহ এবং উপগ্রহ নির্মাণ পর্যন্ত উন্নয়ন যাত্রা নিয়ে এখানে আলোচনা করা ঠিক হবে না। কসমোলজি, পার্টিকাল ফিজিক্স, অ্যাস্ট্রোফিজিক্স, কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরি, স্ট্রিং থিওরির মতো বিভিন্ন শাখা এটিকে তাদের সীমাতে ব্যাখ্যা করে। আমার গবেষণাগুলিও এই পদার্থগুলিকে ফোকাস করার জন্য। জীববিজ্ঞান আমার বিষয় নয়; তবে কিছু তরুণ-তরুণীর অনুরোধ অনুসারে, আইএম কিছু সময় পদার্থবিদ্যার অনুপাত রেখে গাছপালা এবং প্রাণীর জীবের উত্সকে কেন্দ্র করে Earth পৃথিবীর মতো কোনও গ্রহ যখন তার নক্ষত্র থেকে পৃথক হয়, বা নক্ষত্র plane গ্রহগুলি থেকে আলাদা হয়ে যায়, তখন গ্রহের প্রকৃতি জাঁকজমকপূর্ণ। ধীরে ধীরে এটি তরল আকারে শীতল হতে শুরু করে, সেই সময় জলীয় বাষ্প দ্বারা উত্পাদিত টোথরেন ধীরে ধীরে জল জমে উঠতে শুরু করে; যে অংশটি পানির বাইরে থেকে যায়, সেখানে লাইফ.ই.অক্সিজেন, হাইড্রোজেন, কার্বন, নাইট্রোজেন, ডি.এন.এ., আর.এন.এ., চর্বি, অ্যামিনো অ্যাসিড, প্রোটিন, ওয়াটারেটিকের উত্সের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানও রয়েছে। বিভিন্ন ধরণের অবিচ্ছিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলির কারণে produce তারা উত্পাদন করতে হাজার হাজার বছর সময় নেয়। এই সমস্ত পদার্থ এই পৃথিবী এবং সেখানে তরল এবং গ্যাস ফর্মগুলিতে পূর্ণ হয়। এই পদার্থগুলি আর্দ্রজাতীয় মহাসাগরেও উত্পাদিত হয়। সবশেষে একক কোষ উদ্ভিদ এই উপাদানগুলির উত্পাদন করে। বিভিন্ন পরমাণু এবং ক্ষুদ্র অণুগুলির নির্দিষ্ট এবং বৌদ্ধিক সংমিশ্রণের কারণে উদ্ভিদকোষের উত্স একটি রহস্যময় এবং নিয়মিত পদ্ধতি process সর্বদা এটি লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে সূক্ষ্ম রাশ্মিতো উদ্ভিদ কোষ থেকে নির্মাণের সহস্রাব্দের কাজ পরিচালনা কোনও র্যান্ডম (স্বেচ্ছাসেবী) প্রক্রিয়া দ্বারা সম্ভব নয়, এটি অপ্রয়োজনীয় এবং নিয়ন্ত্রণহীন নয়, বরং এটি Godশ্বরের দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে অনুপ্রাণিত হয় এবং এটি একটি নির্দিষ্ট, বৌদ্ধিক ও উদ্দেশ্যমূলক প্রসেস.আরক্ল্যাসল্যান্ডের কাঠামোটি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পাবে যে এর কোটি কোটি কণার একটি বিশেষ বৈজ্ঞানিক সংমিশ্রণ রয়েছে, এবং তাদের প্রত্যেকেরই রয়েছে কয়েক শতাধিক সূক্ষ্ম বৈদিক রশ্মির নির্দিষ্ট সংমিশ্রণ বা বিকাশযুক্ত রূপ। এই কারণে, সর্বত্র সচেতন শক্তি (Godশ্বর) এর অপরিহার্য ভূমিকা রয়েছে। এটি ছাড়া প্রক্রিয়াটি আরও একধাপ এগিয়ে যেতে পারে না। জলের, বায়ু, ভূমি এবং অন্যান্য জীবন উপাদানগুলির পরে এটিও গুরুত্বপূর্ণ, উদ্ভিদের উত্স প্রথম। প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি প্রথমে উদ্ভিদ কোষগুলির উত্পাদন, বেঁচে থাকার বিকাশের জন্য উত্পাদিত হয় এবং এর পরে, উদ্ভিদ কোষ রাসায়নিক প্রক্রিয়া থেকে জন্মগ্রহণ করে। উদ্ভিদ গঠনের পরে পশুর কোষ উত্পাদিত হয়েছিল। কারণটি হ'ল সমস্ত প্রাণী এবং অন্যান্য প্রাণী উদ্ভিদের উপর প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে নির্ভর করে। নিরামিষাশীদের প্রাণীরা নিরামিষ প্রাণীর উপর নির্ভরশীল। এ কারণে, আবিষ্কারের উত্থানের পরে, কোষযুক্ত প্রাণীর উত্সের সূচনা হয় e হায়ারারচ্লোরিগিনের অর্থ এই নয় যে শেত্তলাগুলি বটবৃক্ষ হয়ে উঠবে বা পিপলকান ফর্মোগুলের মঙ্গো বা বাবলা আকার ধারণ করবে imilar একইভাবে, থিমোইবা, যার একটি কোষ রয়েছে, জলীয় স্থলভাগে জন্মেছে, এমনকি এটি একক সেলুলার বহুবর্ষীয় হলেও তা নয় is নির্দিষ্ট পদার্থের রাসায়নিক সংমিশ্রণ, তবে এটি জীবনের সূক্ষ্ম সচেতন উপাদান (আত্মা) এর সংমিশ্রণে রয়েছে whole পুরো সংমিশ্রণটি একটি জীবের রূপ। আধুনিক বিজ্ঞান রাসায়নিক সংমিশ্রণ সহ কোষের উত্সকেও স্বীকৃতি দেয় a একটি কোষ গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ অবশ্যই লিপিড মেমব্রেনের বিকাশ ছিল। জৈবিক সিস্টেমগুলি দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারে, জৈব রাসায়নিক পথের সংশ্লেষণের ধারাবাহিক পর্যায়ের সাথে সংযুক্ত এনজাইমগুলি খুব কাছাকাছি থাকা উচিত essential.
একে অপরের সান্নিধ্য। এর জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলি কোষগুলিতে লিপিড মেমব্রেনের মাধ্যমে পাওয়া যায় যা বিক্রিয়াদের স্থানীয় উচ্চ ঘনত্ব বজায় রাখতে পারে। পৃথিবীর ইতিহাসের প্রথমদিকে হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতি ইতিমধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে .... জীবনকে তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজন একটি ধ্রুবক শক্তি যা সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট বা দৃশ্যমান আলো দ্বারা সরবরাহ করা যেতে পারে, বা আংশিকভাবে অস্থির মুক্তের ভাঙ্গন থেকে অতিবেগুনী আলো দ্বারা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে উত্পাদিত বিকিরণগুলি। [সেল বায়োলজি, পৃষ্ঠা -474 ই জে। অ্যামব্রোজ অ্যান্ড ডরোথি এম। এস্টি, লন্ডন -1973] কিছু বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে জীবন পৃথিবীর অন্য কোনও গ্রহ থেকে এসেছে, আমরা তাদের কাছ থেকে জানতে চাই যে যখন জীবন অন্য কোনও গ্রহে উত্পন্ন হতে পারে, তবে কেন এই গ্রহে থাকতে পারে না? আসলে, এই জাতীয় ধারণা সম্পূর্ণ অপরিণত চিন্তার ফল। কিছু আধুনিক বিজ্ঞানীও এই অনুমানের সাথে একমত নন। তারা বলেছে- হাজার হাজার বছরের সময়কালে শীতল হওয়ার পরে পৃথিবীতে বাস্তবে যে দৃষ্টিভঙ্গি দেখা গিয়েছিল তা আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। [কোষ জীববিজ্ঞান, পৃষ্ঠা -৪74৪] বিজ্ঞানীরা যারা বলে যে একটি প্রজাতি অন্য প্রজাতির উত্পাদন করে; শেষ পর্যন্ত ফ্রোমোমাইবা, তারা ভাবেন না যে এই ধরনের পরিবর্তন উদ্ভিদগুলিতে বা জীবের মধ্যে নয় এবং এটির প্রয়োজনীয়তা নেই। আমরা এখানে বিজ্ঞানীদের মিথ ও কপটতার বিষয়ে কোন প্রশ্ন রাখব না, কারণ আমরা ইতিমধ্যে এ বিষয়ে মানসিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছি। যারা ডারউইনের বিবর্তনীয় তত্ত্বটি পর্যালোচনা করতে চান, তাদের আর্য পন্ডিতের লেখা 'বেদিক সম্পত্তি' নামে একটি বই পড়তে হবে। রঘুনন্দন শর্মা। তবে, যখন অ্যামিবা রাসায়নিক বিক্রিয়া থেকে উদ্ভূত হতে পারে, তবে শুক্রাণু এবং বিভিন্ন জীবের ডিম্বাশয়ের উত্সগুলি কেন এই প্রতিক্রিয়া হতে পারে না? যখন 500 টিরও বেশি ক্রোমোসোমযুক্ত অ্যামিবা রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া বোরইগাইনেটেড করতে পারে, তবে হোয়মনকি, শিম্পাঞ্জি, ওরেঙ্গুয়ানস, যা ৪৮-৪৮ ক্রোমোসোম, মানব রয়েছে: পুরুষ ও স্ত্রী ২৩-২৩ ক্রোমোজোমফ শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু অ্যামিবার মতো জন্মায় না কেন? কেন এস্পেল এবং ডিম্বাশয় যেমন সেবল অ্যান্টেলোপেন্ডেরেসের মুনটজ্যাকের সমান পরিমাণ ক্রোমোসোম অশুভান এবং ৫ ch ক্রোমোসোমাল হাতিয়ান রয়েছে অ্যামিবা হতে পারে না, এবং যেখানে মাত্র ২ টি ক্রোমোজোম রয়েছে, কেন অ্যামিবার উৎপত্তি হতে পারে না? এখানে বৈদিক মতামত যে জীবের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে পরিমাণ কম পদার্থের প্রয়োজন হয়, সেগুলিই জীবের উত্পাদিত হয় আগের মতোই e নিরামিষ প্রজাতির উদ্ভিদ, নিরামিষাশীদের মধ্যে, মানুষ এমন একটি প্রাণী যা সবচেয়ে উন্নত বা উন্নত হিসাবে বিবেচিত হতে পারে, এবং এটি বিভিন্ন প্রাণী এবং গাছপালার উপর নির্ভর করে, টোথিসিট উত্সাহিত শেষটি। এখন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, ভ্রূণের উন্নয়ন কীভাবে হয়? স্ত্রীলোক ছাড়া কি ঘটবে? রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ফলশ্রুতিতে জমি বা জলে থাটস্পার্ম এবং ডিমওয়ালা উত্পাদিত হতে পারে, তবে শুক্রাণু, ডিম এবং ফোয়েটশাপেনের নিষিক্তকরণ কোথায় এবং কীভাবে হয়েছিল? মানবজীবনের উত্সাহ, মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী 'সত্যার্থ প্রকাশ' নামে যুবসমাজের গ্রন্থের রূপটি অমানবিকের বর্ণনা করেছেন e তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে, মানুষ যদি অচিলের মতো জন্মগ্রহণ করে, তবে কে আধ্যাত্মিক সুরক্ষা দেবে, এবং যদি বয়স্করা জন্মগ্রহণ করতেন তবে কিভাবে বংশ পরম্পরা চালানো হবে? এই কারণে মানুষ তার যৌবনে ভূমি থেকে জন্মগ্রহণ করে। যদিও তিনি এ বিষয়ে কোনও প্রমাণ দেননি, তবে আমরা এই বিষয়ে ঋগ্বেদের প্রমাণ পেয়েছি, যেখানে এটি লিখিত রয়েছে
আমার বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা- যে প্রাণীগুলি জন্মগ্রহণ বা যার উপরে সমস্ত মানুষ বাস করে, সেই পৃথিবী  উচ্চ প্রসারণের সাথে, ভ্রূণের অভ্যন্তরের আচ্ছাদনটি ক্রমাগত কম্পন করে  বিআর; ডব্লিউ.কেজেই } এইচআর;  এল কে / ওহ এনএসওএসএইচ; বিআর;রোসফ্রার। জমি সেইসব ভ্রূণকে এমন কভার সরবরাহ করে, যা উলের মতো মসৃণ এবং আরামদায়ক হয়। এটি অবিশ্বাস্য যে, divineশিক ভ্রূণকে চারদিক থেকে গর্ভের হিসাবে একটি মনোরম জটলা বাড়ি ¼ " তাদের উত্থাপন এবং তাদের বিক্রয়কাজের দক্ষতার সুরক্ষা। ¼, "কেকিএই ল্যান্ড- আপনার (প্রাণীটি) জাইজিকাল সুরক্ষিতভাবেই সুরক্ষিতভাবে অরগান-অর্থে জীবকে সুরক্ষিত করে। এটির পাশাপাশি, এইরকম সুরক্ষিত স্থান থেকে যেখানে সঙ্কট পৌঁছে যেতে পারে, সেই জমির আচ্ছাদন সেইরোগজীবী ভ্রূণকে সুরক্ষা দেয়।


এই মন্ত্রগুলিতে কীভাবে মানুষ সহ সমস্ত ঝিল্লি প্রাণী যুবক যুগে যুগে বেড়ে ওঠে, সুন্দরভাবে চিত্রিত হয়েছে Am অ্যামিবা ইত্যাদি হিসাবে, যা রাসায়নিক ও জৈবিক ক্রিয়ায় গঠিত অ্যানোনেসেল, একইভাবে ডিম্বাণুর সৃষ্টি করে বহুবিশ্লেষিত প্রাণীর মধ্যে এই সমস্ত প্রয়োজনীয় পদার্থ রয়েছে যা এই একইভাবে মাতৃগর্ভে পাওয়া যায় নিখুঁত পৃথিবীর এই স্তরকে উত্পাদিত করে ow এখন আসুন বিবেচনা করা যাক কেন নিউট্রোফয়েটাসের জন্য মায়ের গর্ভের প্রয়োজন? কারণ ভ্রূণ প্রয়োজনীয় বৃদ্ধির জন্য পুষ্টি পেতে পারে নরম, স্মুথকভার এবং প্রয়োজনীয় তাপ get এই অবস্থাগুলি যদি মাতৃগর্ভ থেকে অন্য কোথাও উত্পাদিত হয় তবে ভ্রূণের বিকাশ ঘটবে, ঠিক যেমনটি আজ টেস্টটিউব থেকে শিশুটির জন্ম হয়েছে es হ্যাঁ, একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ন যে সেই সময়ে মানুষ বা কোনও প্রকারের জমি থেকে যে কোনও ঝর্ণা ঝিনুকের মতো ঝিল্লি জন্মগ্রহণ করে ish মহর্ষিদয়ানন্দের এই বক্তব্য একদমই উপযুক্ত, যদি কোনও শিশু জন্মগ্রহণ করে, তবে বয়স্করা যদি জন্মগ্রহণ করে তবে হিমান্দকে কে লালন করা উচিত তবে তাদের থেকে বংশধররা কীভাবে পারেন? (দেখুন-সত্যার্থ প্রকাশ, অষ্টম অধ্যায়) উপনিষদের লেখক এটিকে আরও বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন

এই ঈশ্বরিক থেকেই অনেক বিদগ্ধ ব্যক্তি এবং সাধারণ বুদ্ধিজীবী জন্মগ্রহণ করেন ryআরয়ানস্কলার আচার্য বৈদ্য নাথশাস্ত্রী "বৈদিক যুগ এবং আদি মানব" মনুষনে বোস্টনের (ইউএসএ) জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ডঃ ক্লার্কের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। ভাবতে, হাঁটতে ও নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছিল। এখানে যে কারও জিজ্ঞাসা করা উচিত, কীভাবে যৌবনের বয়স পঁচাশি বছর বয়সে বেড়ে ওঠা এবং লালনপালনের জন্য বেড়েছে? যখন এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়, তখন এ নিয়ে কোনও আপত্তি নেই, কারণ ত্রৈমাসিকের মধ্যেই একটি শিশু গর্ভে থাকে lives প্রায় নয় মাস। জন্মের আগে, এটি শ্বাস নেয় না, ক্রিওরল্যাফ করে, এটি কোনও হাত বা পা ছুঁড়ে ফেলে না, খায় না, প্রসবের পরে তাত্ক্ষণিকভাবে সমস্ত ক্রিয়া তাত্ক্ষণিকভাবে শুরু হয়। তাহলে কি এটি কোনও আশ্চর্যজনক জিনিস নয়, মূল্যবান নয়? যদি কোনও ব্যক্তিকে এ থেকে দূরে রাখা হয় এবং এই সরবরাহ প্রক্রিয়া সম্পর্কে অসচেতন থাকে তবে তিনি এই প্রক্রিয়াটি গ্রহণ করবেন না। তিনি যদি উদ্যানের উত্স দেখে থাকেন তবে তিনি স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রসব প্রক্রিয়াটি গ্রহণ করতে প্রস্তুত নন। সুতরাং, যৌবনে জীবের উত্স অসম্ভব নয়, হ্যাঁ, এটি দুর্দান্ত wonderful তাহলে, জটিলতা, সুশৃঙ্খলতা, বৈজ্ঞানিকরূপে কি এমন একটি সৃষ্টি প্রক্রিয়া বিস্মৃত নয়? তারপরে কীভাবে সমস্ত যুবক, ডিম্বাণু এবং ঘাম-জন্মান্তর সকল স্তন্যপায়ী প্রাণীর দ্বারা জমি থেকে রাসায়নিক বিক্রিয়া জন্মেছিল তা জেনে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ, যা মাতৃরূপে। একই ধরণের মাটি, উদ্ভিদের বীজ পৃথিবীর রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উদ্ভূত হয়েছিল এবং পরবর্তীতে এই পৃথিবীতে থিসেন্টাল পুষ্টি দ্বারা উদ্ভিদ বিকাশ ঘটে এবং অন্যান্য প্রাণীর উত্থানের আগে গাছপালা এবং দৈত্য গাছের আকারে রূপ নেয়। অ্যাক্রেচারের জন্ম হয় একইভাবে এবং এই খাবারটি তত্ক্ষণাত মাটিতে পাওয়া যায়। যৌবনের যুগে অনেক পুরুষ এবং স্ত্রী দম্পতি জমি, সেই সময় তারা বিভিন্ন ফল, ফুল এবং খাবারের মাটি দেখতে পেয়েছিল এবং যখন তারা এই দেশ থেকে বের হয়, তারা ঠিক একইভাবে খাওয়া শুরু করে, ঠিক যেমনটি শিশু (মানুষের বা যে কোনও প্রাণীর) দুধ পান করা শুরু করে। এ নিয়ে কারও সন্দেহ নেই।

[ঈশ্বর মনুষ্য সৃষ্টির জন্য পৃথিবীতে মাতৃ গর্ভ তৈরী করেন ]

উচ্ছ্বঞ্চস্ব পৃথিবী মা নি বাধথাঃ সূপায়নাস্মৈ ভব সূপবঞ্ছনা।
মাথা পুত্রং য়থা সিচাভ্যেনং ভূম ঊর্ণুহি।।
ঋগ্ববেদ -১০।১৮।১১

পদার্থ- ( পৃথিবী-উচ্ছ্বঞ্চস্ব মা নিবাধথাঃ) হে পৃথিবী! তুমি জীব গর্ভকে ধারণ করার জন্য পুলকিতপৃষ্ঠ-উষ্ণ হয়ে যাহাতে এই জীবের পীড়া না হয় (অস্মৈ সূপায়না সূপবঞ্চনা ভব) এই জীবের জন্য শরীর ধারণের যোগ্য সুন্দর আশ্রয় দানকারী হউন (ভূমে মাথা পুত্রং য়থাঃ সিচা এনম্-অভি-ঊর্ণুহি) হে ভূমি যেরূপ মাতা পুত্রকে জানার পশ্চাৎ দুধযুক্ত স্তন পাশে ঢেকে রাখে ঐরূপ তুমিও বনস্পতিযুক্ত নিচে তাহাকে আচ্ছাদিত কর।

ভাবার্থ-জীবগর্ভ যখন ভূতিতে আসে তখন ভূমির উপর পৃষ্ঠে আনন্দে উষ্ণ হয়ে শুন্যস্হান হয়ে যায় যাহাতে সুগমতার সাথে জীব বৃদ্ধি হতে থাকে আর সে গর্ভের আবশ্যকতার সম্পূর্ণ করেন।গর্ভ পূর্ণ হয়েই তাহার উপর যৌবন উদ্গত হয়ে-বাইরে প্রকট করতে যোগ্য হয় তথা বাইরে প্রকট হয়ে ঔষধির দ্বারা তাহারা পোষন করে অতএব এই সময় জীব সব প্রকার কুশল কুমারাবস্হাতে উৎপন্ন হয়।।

[ঈশ্বর আদিতে নানা জীব ও মনুষ্যদির অমৈথুন সৃষ্টি করেছিলো ]

উপ সর্প মাতরং ভূমিমেতামুরুব্যচসং পৃথিবীং সুশেবাম্। ঊর্ণস্রদা য়ুবতির্দক্ষিণাবত এষা ত্বা পাতু নির্ঋতেরুপস্হাত্।।
ঋগ্বেদ -১০।১৮।১০

পদার্থ- (এতাম্-উরুব্যচসং সুশেবাংভূমি মাতরম্-উপসর্প) হে জীব! জন্ম ধারণ করার জন্য তুমি এই অনেক প্রকারের জীব ব্যক্তির প্রকটকারীর বিস্তৃত আর অনুকূলতার সম্পাদক ভূমি রূপী মাতাকে প্রাপ্ত হয় (দক্ষিণাবতে -এষা য়ুবতিঃ ঊর্ণশ্রদাঃ) স্ব-কর্মফল শরীরে ধারণ যোগ্য জীবের জন্য এই যুবতির যথার্থ অথবা বীজকে নিজের অন্তর মিশ্রিতকারী কৃষি ভূমিকে যথার্থ (নির্ঋতেঃ-উপস্হাত্ ত্বা পাতু)মৃত্যুরূপ ঘোর আপত্তির অঞ্চল থেকে তোমার রক্ষা করে।

ভাবার্থ-ঈশ্বর আদি সৃষ্টিতে সব জীবের একমাত্র মাতা পৃথিবীই হয়। অতএব ওই সময় মনুষ্যেরও অমৈথুন সৃষ্টি হয়। নানা পার্থক্য দ্বারা মনুষ্যাদি শরীরের প্রাদুর্ভাব হয়। সূচনা সৃষ্টিতে পৃথিবী যুবতি যেরূপ অথবা ভূমি যেরূপ কোমল হয়।

[সৃষ্টির আদিতে এই ভূমিতে অসংখ্য জীবের উৎপন্ন করেন ]

উচ্ছ্বঞ্চমানা পৃথিবী সু তিষ্ঠতু সহস্রং মিত উপ হি শ্রয়ন্তাম্। তে গৃহাসো ঘৃতশ্চুতো ভবন্তু বিশ্বাহাস্মৈ শরণাঃ সন্স্বত্র।
ঋগ্বেদ-১০।১৮।১২

পদার্থ- (উচ্ছ্বঞ্চমানা পৃথিবী সুতিষ্ঠিতু) যখন পুলকিতপৃষ্ঠ উষ্ণ হয়ে শূন্যস্হানে বনস্হলী হয়ে পৃথিবী তৈরী হয়ে যায় তখন (সহস্রং মিতঃ-হি উপশ্রয়ন্তাম্) বহু-সংখ্যা প্রাপ্ত জীব তাহার আশ্রিত থাকে ( তে গৃহাসঃ-ঘুতশ্চুতঃ-অস্মৈ বিশ্বাহা-অত্র শরণাঃ সন্তুঃ)জীবাত্মার জন্য তিনি গর্ভগৃহ রসপূর্ণ আর সর্বদা আশ্রয় দানকারী হয়।

ভাবার্থ- ঈশ্বর জীব সৃষ্টির জন্য পৃথিবী উপর শূন্যস্হান আর স্হীরচিত্ত কি্ছু কাল পর্যন্ত বনস্হলী থাকে। পূণঃ তাহাতে অসংখ্য জীব আশ্রিত থাকে অতএব আজ পর্যন্ত স্ব-স্ব জাতীয় সঙ্গে থাকার প্রায় সমস্ত জীবে বর্তমান। আত্মার জন্য গর্ভগৃহ স্বাভাবিক ভাবে রস দানে শরণীয়।

আধিভৌতিক ভাষ্যঃ (উচ্ছ্বঞ্চমানা) পূর্বোক্ত উথল এবং মৃদু স্পন্দন করে নরম (পৃথিবী) ভূমি (সু তিষ্ঠতু) ঐ ভ্রূণের বা জীবের আচ্ছাদিকা হয়ে সুদৃঢ়তা দ্বারা সুরক্ষাপূর্বক স্থিত হয়ে ঐ জীবেরও স্থিরতা প্রদান করে (সহস্রম্ মিতঃ) ওই ভূমির পৃথক-পৃথক স্থানে অনেক সংখ্যায় (উপ হি শ্রয়ন্তাম্) জীব নিকটস্থ থেকে আশ্রয় পায় কিংবা ঐ গর্ভরূপ স্থানের মধ্যে বড় সংখ্যাতে {মিতঃ=মিনোতিগতিকর্মা - নিরু০ ২/১৪} বিভিন্ন সূক্ষ্ম অণুর প্রবাহ হয়ে থাকে (তে গৃহাসঃ) ভূমির সেই স্থান ঐ জীবের জন্য ঘরের সমান হয় {গৃহাম্=গৃহাঃ কস্মাদ্ গৃহণাতীতি সতাম্-নিরু০ ৩/১৩} আর ঘরের সমান সেই ভূকোষ্ঠ ঐ জীবের ঐরূপই ধরে বা ধারণ করে থাকে, যেমন মাতা তাহার সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে রাখে (ধৃতশ্চুতো ভবন্তু) সেই ভূকোষ্ঠ ঐরূপ হয় যে ইহার মধ্যে ঘী-এর সমান মসৃণ রস সর্বদা চুয়াতে থাকে (অস্মৈ) তাহা ঐ জীবের জন্য (বিশ্বাহা) {বিশ্বাহা=সর্বাণি দিনানি -ম০ দ০ য০ ভা০ ৭/১০} সর্বদা অর্থাৎ পূর্ণ যুবাবস্থা পর্যন্ত (শরণাঃ সন্তু অত্র) এই অবস্থাতে সেই জীব ঐ কোষ্ঠের মধ্যে আশ্রয় পায় ।
এই মন্ত্রগুলোতে ভূমির ভিতর যুবাবস্থা পর্যন্ত কিভাবে মানুষ্য সহ সকল জরায়ুজ প্রাণী বিকশিত হয় তার সুন্দর চিত্রন করা হয়েছে ।
যে প্রকারে অ্যামিবা আদি এককোষীয় প্রাণীর কোষের নির্মাণ রাসায়নিক ও জৈবিক ক্রিয়ার দ্বারা হয়, ওই প্রকারে বহু কোষীয় জরায়ুজ তথা ডিম্বজেরও শুক্র তথা রজের নির্মাণ এই উথলানো কোমল তথা সকল আবশ্যক পদার্থ, মাতার গর্ভে যেসবই থাকে, দ্বারা পরিপূর্ণ পৃথিবীর পৃষ্ঠ স্তরের মধ্যে হয়ে যায় । এখন আসুন বিবেচনা করা যাক কেন ভ্রূণের পুষ্টির জন্য মায়ের গর্ভের প্রয়োজন । এই কারণে, যাতে ভ্রূণ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে পারে, ভ্রূণকে নিরাপদ নরম, মসৃণ আবরণ তথা প্রয়োজনীয় উষ্ণতা যেন পায় । যদি এই পরিস্থিতিগুলোকে মাতৃগর্ভের বাইরে অন্যত্র কোথাও এই অবস্থার উৎপন্ন করা হয়, তো ভ্রূণের বিকাশ ওখানেই হয়ে যাবে, যেভাবে আজ পারখনালী (Test Tube) থেকে শিশুর জন্ম করা হয়েছে ।

[ঈশ্বর অসংখ্য মনুষ্য সৃষ্টির আদিতে যুবাবস্হায় উৎপন্ন করেন ]

উপো রুরুচে য়ুবতির্ন য়োষা বিশ্ব জীবং প্রসুবংতি চরায়ৈ। অভূদগ্নিঃ সমিধে মানুষাণামরুজ্যের্তিবাধমনা সমাংসি।
ঋগ্বেদ-৭।৭৭।১

পদার্থ- (তমাংসি) অজ্ঞানরূপ তমোকে (বাধমানা) নাশ করিয়ে (অগ্নিঃ জ্যাতিঃ) প্রকাশ-স্বরূপ জ্যাতি (মানুষাণাং, সমিধে,অকঃ) মনুষ্যের সম্বন্ধে প্রকট হয়ে যিনিই (প্রসুবংতি) প্রসুতাবস্হাতে (বিশ্ব,চরায়ৈ, জীবং) বিশ্বরের চরাচর জীবকে (অভূত্) প্রকট করে, সে জ্যাতি (উপো)এই সংসারে (য়ুবতিঃ) যুবাবস্হায় (রুরুচে) প্রকাশিত হয় (ন য়োদা) স্ত্রীর সমান নয়।

ভাবার্থ- এই মন্ত্রে পরমাত্মার জ্যাতিস্রূপে বর্ণন করেছেন অর্থাৎ জগৎজননী জ্যাতিরূপ পরমাত্মা যে জীবমাত্রের জন্মদাতা। উনিই সৃষ্টির আদিতে বিশ্বরের চরাচর জীবের যুবাবস্হাতে প্রকট করেন, আর সে পরমাত্মারূপ শক্তিএ যুবাবস্হাতে প্রকট হয় স্ত্রীর সমান নয়।

[ ঈশ্বরই আদিতে তিব্বতে মনুষ্য সৃষ্টি করেছিল ]

উত্তে স্তভ্নামি পৃথিবীং ত্বত্পরীমং লোগং নিদধন্মো অহং রিষম্।
এতাং স্হূর্ণা পিতরো ধারয়ন্তু তেহত্রা য়মঃ সাদনা তে মিনোতু।।
ঋগ্বেদ ১০।১৮।১৩

পদার্থ - (পৃথিবীং তে-উত্ স্তভ্নামি) হে জীব! তোমার জন্য আমি ঈশ্বর, পৃথিবীকে জলমিশ্রিত ভূগোল থেকে উপরে টেনে (ইমং ত্বত্-লোগং পরিনিদধত্-ম-উ-অহং-রিষম্) সেখানে তোমার এই গর্ভকোষে রেখেছি আমি না দুঃখ দান করি ( এতাং স্হূণাং পিতরঃ-ধারয়ন্তু)ইহা থেকে উপরে উঠে পৃথিবীকে সূর্য- কিরণে ধারণ করে (তত্র য়মঃ-তে সদনা মিনোতু) সূর্য তোমার জন্য প্রয়োজনীয় কোষ কে প্রাপ্ত করায়।

ভাবার্থ- ঈশ্বর আদিতে সৃষ্টি পৃথিবীর উঁচু স্হানে করেন । সে স্হান জলমিশ্রিত পৃথিবী থেকে পর্বতভূমি রূপে [ তিব্বতের ]
উপরের দিকে টানে। উঠে ওই ভূভাগে সূর্যের রশ্মি ধারণ করেন আর সূর্য নিজের রশ্মি দ্বারা জীবাত্মার গর্ভদিকে প্রাপ্ত করান, অর্থাৎ তাঁহার দ্বিতীয় নাম সবিতা।


No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ