ইসকনের স্বরূপ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

24 June, 2020

ইসকনের স্বরূপ

ইংরেজিতে আইএসকেসিওএন (ISKCON) শব্দের পুরো রূপটি হলো ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কন্সাসনেস, যা পশ্চিমা দুনিয়ায় হরে কৃষ্ণ মুভমেন্ট বা হরে কৃষ্ণ আন্দোলন নামে পরিচিত। ১৯৬৬ সালে মার্কিন মুল্লুকে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অভয় করনারাভিন্দ নামের একজন হিন্দু ধর্মযাজক এটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যে তিনি সংগঠনটিকে ব্যাপকভাবে পরিচিত করে তোলেন। ষাটের দশকের হতাশাগ্রস্ত পশ্চিমা সমাজে যোগব্যায়াম এবং ধ্যান করার প্রাচীন ভারতীয় রীতিকে তিনি হরে কৃষ্ণ কীর্তনের সুরে অনেকের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলেন। ভারতীয় কীর্তনের ধ্রুপদী সুরের সাথে তিনি পশ্চিমা ঘরানার জনপ্রিয় সঙ্গীতের তাল-লয়-সুর সংযুক্ত করে তার হরে কৃষ্ণ কীর্তনগুলোকে দারুণ শ্রুতিমধুর করে তোলেন। ষাটের দশকের পশ্চিমা দুনিয়ার সঙ্গীতজগতের কিংবদন্তি জর্জ হ্যারিসন এবং জন লেননের সাহায্য নিয়ে অভয় করনারাভিন্দ কয়েকটি জনপ্রিয় কীর্তনের অ্যালবাম তৈরি করেন। বিটল-সখ্যাত জর্জ হ্যারিসনের সুপারহিট অ্যালবাম মাই সুইট লর্ড এবং জন লেননের গিভ পিস অ্যা চান্স অ্যালবামের সাথে হরে কৃষ্ণ লিরিক্স যোগ করার ফলে ইসকন এবং হরে কৃষ্ণ ইউরোপ-আমেরিকার মানুষের মুখে মুখে ভাসতে থাকে।


ইসকনের সৃষ্টি কিন্তু ভারতে নয় আমেরিকার নিউইয়র্কে। মাত্র ৫০ বছর আগে, ১৯৬৬ সালে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতার নাম ‘অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ’। অবাক হওয়ার মত বিষয়, এ ব্যক্তি ভারতে কোন হিন্দু শিক্ষালয়ে লেখাপড়া করেনি, লেখাপড়া করেছে খ্রিস্টানদের চার্চে। পেশায় সে ছিলো ফার্মাসিউটিকাল ব্যবসায়ী, কিন্তু হঠাৎ করেই তার মাথায় কেন হিন্দু ধর্মের নতুন সংস্করণের ভুত চাপলো, কিংবা কোন শিক্ষাবলে চাপলো তা সত্যিই চিন্তার বিষয়। স্বামী প্রভুপাদ নতুন ধরনের হিন্দু সংগঠন চালু করতেই প্রথমেই তাতে বাধা দিয়েছিলো মূল ধারার সনাতন হিন্দুরা। অধিকাংশ হিন্দুই তার বিরুদ্ধচারণ শুরু করে। কিন্তু সেই সময় স্বামী প্রভুপাদের পাশে এসে দাড়ায় জে. স্টিলসন জুডা, হারভে কক্স, ল্যারি শিন ও টমাস হপকিন্স-এর মত চিহ্নিত ইহুদী-খ্রিস্টান এজেন্টরা।
উল্লেখ্য- এ সংগঠনটি হিন্দুদের অধিকাংশ বেসিক কনসেপ্ট স্বীকার করে না। তারা হিন্দুদের উপর সম্পূর্ণ নিজস্ব কনসেপ্ট চাপিয়ে দেয়। এদের চেনার সহজ উপায়- এরা সব সময় ইউরোপীয় সাদা চামড়াদের সামনে নিয়ে আসে। সংগঠনটি মুলত এনজিও টাইপ। এরা নিম্নবর্ণের হিন্দুদের দলে ভিড়িয়ে দল ভারি করে। এ কারণে তাদের আস্তানাগুলো হয় নিম্নবর্ণের হিন্দুদের আস্তানার পাশে।

মার্কিন পপ তারকাদের কল্যাণে আরো অনেক নামীদামি তারকা, প্রভাবশালী লোকজন এবং ধনাঢ্য ব্যক্তিরা ইসকন সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ফলে অভয় করনারাভিন্দকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। যে অভয় একদিন শূন্য হাতে মার্কিন মুল্লুকের নিউ ইয়র্ক শহরে পা রেখেছিলেন, সেই তিনি ধর্মের নামে এত বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেন; যার আর্থিক মূল্য দেখে দুনিয়া কাঁপানো সফল ব্যবসায়ীরা পর্যন্ত হতবাক হয়ে পড়লেন। বর্তমানে ইসকন নামের প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন মন্দির, ধ্যানগৃহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং তীর্থকেন্দ্রের মাধ্যমে সারা দুনিয়ার শত শত দেশের কয়েক হাজার স্থানে নিজেদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। আপনি যদি অতি সরলভাবে ইসকনের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করেন, তবে দেখতে পাবেন- তারা সনাতন ধর্মের অনুসারী। তারা হরে কৃষ্ণ নামের গুণকীর্তন করে এবং হিন্দু ধর্মের বিধানাবলির আলোকে জীবন পরিচালনা করে। তারা তাদের মন্দিরে কীর্তন-ভজন প্রভৃতি গান গেয়ে নিজেদের ধর্মাচার চর্চা করে। তাদের পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অনাথ আশ্রমে দরিদ্র ও অসহায় ছেলেদেরকে আশ্রয় দেয়া হয় এবং শিক্ষিত করে গড়ে তোলা হয়। তাদের মন্দিরগুলোতে যেকোনো ধর্মের যেকোনো বয়সের ক্ষুধার্ত লোক গিয়ে দিনের পর দিন বিনামূল্যে খাবার খেতে পারে। পৃথিবীর সবচেয়ে দামি কোম্পানি অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস যখন গরিব ছিলেন তখন তিনি প্রায়ই হরে কৃষ্ণ মন্দিরে গিয়ে খাবার খেতেন বলে তিনি স্বয়ং বহু বক্তৃতায় তা উল্লেখ করেছেন। তারা আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে এবং তাদের ফুড ফর লাইফ অর্থাৎ জীবনের জন্য খাদ্য কর্মসূচির আওতায় তারা সারা বছর বিভিন্ন দারিদ্র্যপীড়িত এলাকাতে গিয়ে ক্ষুধার্ত মানুষের মধ্যে নিয়মিত খাদ্য বিতরণ করে। ইসকন সম্পর্কে উল্লিখিত তথ্য পর্যালোচনা করলে তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে সারা দুনিয়ায় প্রশংসার বন্যা বয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে প্রশংসা তো দূরের কথা, উল্টো তাদেরকে নিয়ে সেই ষাটের দশক থেকে কিরূপ সমালোচনা চলছে তা বুঝতে হলে নিউ ইয়র্কের মার্কিন ফেডারেল কোর্টের কয়েকটি আলোচিত মামলা সম্পর্কে জানতে হবে। ১৯৭৬ সালে নিউ ইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টে People Vs Murphy অর্থাৎ জনগণ বনাম মার্ফি মামলায় যদিও রায় প্রদান করেন, হরে কৃষ্ণ মতবাদ একটি ভালো ধর্মীয় বিশ্বাস; কিন্তু মামলার প্রেক্ষাপট এবং বাদিদের অভিযোগ আজো অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে ইসকনের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়। ওই মামলায় দু’জন মার্কিন নাগরিক আদালতে ইসকনের বিরুদ্ধে এই বলে অভিযোগ দায়ের করেন যে, ইসকনের ধর্মগুরুরা তাদের কোমলমতি শিশুসন্তানদের ব্রেনওয়াশ করে প্রথমে তাদেরকে পরিবার থেকে আলাদা করেছে এবং পরবর্তীকালে ধর্মান্তরিত করেছে।
উপরোল্লিখিত, ঘটনার পর ১৯৮৭ সালে আরেকটি মামলায় ইসকন নেতা কির্তানন্দের বিরুদ্ধে মার্কিন আদালতে হত্যা মামলার চার্জ গঠন হয় এবং তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি তার সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে বিরাট এক অপরাধী গ্যাং গড়ে তুলেছে যাকে অপরাধ বিজ্ঞানের ভাষায় র‌্যাকেটারিং (Racketeering) বলা হয়। অপরাধী কির্তানন্দ আট বছর জেল খাটার পর বের হয়ে আসেন এই ভিত্তিতে যে, আদালত পরবর্তী সময়ে সন্তষ্ট হয় যে, আসামির সাথে হত্যাকাণ্ডের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু তিনি যে অপরাধীচক্রের হোতা এবং নিজস্ব গ্যাংয়ের মাধ্যমে ভয়ভীতিমূলক নানা অপরাধ করে নিজেদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যায় এবং তাদের বিরুদ্ধ মতের লোকদেরকে শায়েস্তা করে, আদালত কির্তানন্দ এবং তার ৫০০ সহযোগীকে প্রতারণার দায়েও অভিযুক্ত করেন। ইসকন সম্পর্কে উল্লিখিত দু’টি সাড়া জাগানো মামলার বাইরে সত্তর এবং আশির দশকে শিশু নির্যাতন এবং শিশু বলাৎকারের একাধিক মামলা দায়ের করা হয়, যেগুলোর মধ্যে টারলি কেস (Turley Case) সারা দুনিয়ায় হইচই ফেলে দেয়। ২০০৪ সালে এই মামলা নিষ্পত্তি হয়। বাদির পক্ষে আদালতের রায় ছিল যে, ইসকনকে ৯০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশী ঢাকায় প্রায় সাত হাজার ৬০০ কোটি টাকা বাদিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ইসকন এ অবস্থায় নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে এবং দেড় কোটি ডলার, অর্থাৎ ১২৭ কোটি টাকা পরিশোধ করে রক্ষা পায়। ইসকনের কর্মকাণ্ড নিয়ে ভারতবর্ষের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেও রয়েছে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া। হিন্দুরা মনে করছে যে, ইসকন বিকৃত ধর্মমত প্রচার করে হিন্দুইজমের সর্বনাশ করছে। ইসকন প্রচার করছে, তাদের ধর্মে বর্ণিত ৩৩ কোটি দেবতার মধ্যে প্রধান দেবতা হলো কৃষ্ণ। তাদের মতে কৃষ্ণ হলো আদি ও একক দেবতা। কৃষ্ণ থেকেই বাকি দেবতাদের সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবীতে মানবরূপে যত দেবতা এসেছেন, তারা সবাই কৃষ্ণের অবতার বা কৃষ্ণজাত সৃষ্টি। ইসকনের হরে কৃষ্ণ মতবাদের সাথে কোনো হিন্দু সংগঠনই একমত নয়। হিন্দুরা সেই অনাদিকাল থেকে শিবকেই প্রধান দেবতা মেনে আসছে। সুতরাং হরে কৃষ্ণ মতবাদ পুরো হিন্দুইজমের ওপরই আঘাত হেনেছে বলে হিন্দুরা অভিযোগ করছে।

আমরা সবাই অভয় চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ কে মোটামুটি চিনি, যিনি ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। উনি শ্রীল প্রভুপাদ নামেও পরিচিত। সনাতনী এবং বৈষ্ণবরা উনাকে সাক্ষাৎ কৃষ্ণ রূপে দেখেন,যদিও তিনি একজন সাধারণ এবং অতি চতুর ব্যক্তি ছিলেন। চতুরতার আড়ালে তিনি ধর্ম প্রচার করতেন,এবং এমন এমন কিছু মন্তব্য উনি করেছেন কিংবা ইসকন থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন বইতে তিনি এমন এমন কথা বলেছেন যে উনাকে ভন্ড বলতেও অনেকে পিছপা হবেন না। তপস্যা করে তার বিজ্ঞানের জ্ঞান এত অসাধারণ যে তা বড় বড় বিজ্ঞানিদের অজ্ঞান করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। আসুন দেখিনি তিনি কৃষ্ণপ্রেম এবং তপস্যা করে কি কি জানতে পেরেছেন।? ১১ ই মে ১৯৭৫ সালে মর্নিং ওয়াক কথোপকথনে প্রভুপাদ দাবি করেছেন,

Prabhupāda: Rahu planet orbit is in between moon and sun. So when it comes in between moon and sun there is eclipse. At night it is eclipse in the moon, and daytime it is eclipse in the sun. চরম হাস্যকর একটি দাবি।? যারা মোটামুটি প্রাইমারি শিক্ষাও পেয়েছেন,উনারাও রাহু গ্রহের কথা শুনে এবং চাঁদ ও সূর্যের মাঝে রাহুর কক্ষপথ আছে শুনে হেসে মরে যাবেন। যারা গ্রহণ সন্মন্ধ্যে পুঙ্খানুপুঙ্খ ধারণা রাখেন উনারা প্রভুপাদের এই দাবি দেখে রীতিমতো হেঁচকি তুলতে বাধ্য হবেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এবং বৈষ্ণবরা এটাকে “কথার কথা” বলে চালিয়ে দেন কিংবা “রূপক” বলে চালিয়ে দিয়ে বক্তব্যটিকে সযত্নে লালিত করে যাচ্ছে,কিন্তু উপরের বক্তব্য দেখে সেটা যে রূপকধর্মী কোনো বক্তব্য নয়,সেটা সহজেই বোঝা যায়। তাছাড়া বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীদের বৈজ্ঞানিক গবেষণা তুড়ি মেরে উড়িয়ে প্রভুপাদ সূর্য্য ও চাঁদের অবস্থান সন্মন্ধ্যে ভগবৎ ভাষ্য তে বলেছেন,

শুধু তাই নয়, তিনি চরম নারী বিদ্বেষী এবং নারীদের অবদমিত করে রাখার সপক্ষেও ছিলেন। ধর্ষণ সম্মন্ধে মর্নিং ওয়াক কথোপকথনে তিনি বলেন,

“So either by force or by willingly, if there is itching, everyone feels relieved itching it. That’s a psychology. It is not that the woman do not like rape. They like sometimes. They willingly. That is the psychology. Outwardly they show some displeasure, but inwardly they do not. This is the psychology.“

কি রকম নোংরা মনোবৃত্তি দেখুন। মহিলারা নাকি ধর্ষণ পছন্দ করে। এরূপ নোংরা মনোবৃত্তি নিয়ে তিনি কি করে পৃথিবীতে কৃষ্ণ প্রেম বিলি করতেন সেটা আমার মাথায় ঢোকে না। ধর্ষণ কাকে বলে উনি সেটা আদৌ জানেন তো? সাইকোলজির ‘স’ উনি জানেন? তাছাড়া নারী স্বাধীনতা সন্মধে ১৯৭৭ সালের ৫ই এপ্রিল মুম্বাইয়ের একটি কথোপকথনে ইন্দিরা গান্ধীকে “পতিতা” বলেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন,

Prabhupāda: They can do, all their political reasons. These rascals, they can do anything. They have no principles, no morality, no standard of morality—nothing. Simply all rogues and thieves. It will be there more and more. All rogues and thieves will take part in politics. That is stated. Dasyu dharmeṇa. Just like dasyu, the burglar, the thieves, they have got organization how to get money. So they, the government, they’ll be rogues and thieves. And whenever there is necessity of money, then tax. You work hard; they will tax. Organized burglars, organized guṇḍās. And Indira was doing that, Indira and company. Take the power and club(?) them and do whatever you like. She is a prostitute; her son is a guṇḍā. This is the sample of the… But it will be done all round the world. This is a sample of that.

Tamāla Kṛṣṇa: She seems to have been one of the worst leaders so far.

Prabhupāda: She is not leader, she is a prostitute. Woman given freedom means prostitute. Free woman means prostitute. What is this prostitute? She has no fixed-up husband. And free woman means this, daily, new friend.

কি বিচিত্র বোকা বোকা এবং নোংরা চিন্তাধারা। শুধু তাই নয় ১৯৭৫ সালের ৯ই নভেম্বর ধনঞ্জয় কে লেখা একটি চিঠিতে প্রভুপাদের চরম নারীবিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে ধনঞ্জয় কে তিনি লেখেন,

“I note that your wife and Visalaini both gave birth to baby girls. That is the defect. I want male children but you have no stamina for it. I expected from Visalaini by her belly that it would be a boy.“

শিশুকন্যা জন্ম দেয়া প্রভুপাদের মতে একটি “ডিফেক্ট”।

তাছাড়া প্রভুপাদের পশুবৃত্তি মনোভাব প্রকাশ পায় ১৯৬৯ সালের ১২ ই এপ্রিল নিউ ইয়র্ক এ “রুম কনভারসেশন” এ।

তাছাড়া মহিলাদের বুদ্ধিমত্তা কে প্রভুপাদ চূড়ান্তভাবে অপমান করেছেন ২৬ শে সেপ্টেম্বর ১৯৭২ এ শ্রীমদ ভাগবতম লেকচারে। সেখানে প্রভুপাদ বলেছেন,

“woman does not have more than thirty-six ounce of brain substance, whereas in man it has been found that he has got up to sixty-four ounce. Now, this is modern science. Therefore generally, generally, woman, less intelligent than man. You cannot find any big scientist, any big mathematician, any big philosopher amongst woman. That is not possible. Although in your country, you want equal status with man, freedom, but by nature you are less intelligent. What can be done? (laughter)”

পাঠক বিবেচনা করুন একজন কতটা গণ্ডমূর্খ এবং সল্পবুদ্ধিসম্পন্ন হলে এহেন মন্তব্য করতে পারেন। যদি উনার কথা সত্যি হয় তাহলে হাইপেশিয়া,হানা,জি.ই.এম.অ্যন্সকম্বে,মেরি কুরী,রোজালিন্ড ফ্র্যাংকলিন,লিজ মেইটন্যার– ইনারা কে ছিলেন? ইনারা কি মূর্খ ছিলেন?

তারপর ১৯৭৩ সালের ৪ঠা জানুয়ারি মধুকারা কে লেখা চিঠিতে আবার নারীদের সন্মধে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন তিনি।

তারপর প্রভুপাদ তার বই শ্রীমদ ভাগবতম ৪.২৫.৪১ এ বলেছেন,

“Although rape is not legally allowed, it is a fact that a woman likes a man who is very expert at rape.”

পাঠক আপনিই বিচার করুন,প্রভুপাদ আদৌ সুস্থ মস্তিষ্কর অদিকারী ছিলেন কিনা।

এরপরও লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে মায়াপুরে ১৯৭৭ সালে ২৭শে ফেব্রুয়ারি রুম কনভারসেশন এ দাঁত কেলিয়ে শিশু বিবাহকে সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি বলেছেন,

Man has no maximum. Even an eighty-years-old man can marry a sixteen-years-old girl. (laughter)

উক্ত কথোপকথনেই প্রভুপাদ গর্বিত হয়ে নির্লজ্জের মতো বড় গলা করে দাবি করেছেন যে তিনি একটি ১১ বছরের মেয়ে কে বিবাহ করেছিলেন।

Prabhupāda: Otherwise there is no objection. I married; my wife was eleven years old.

১৯৭২ সালের ৭ই নভেম্বর মিস্টার লয় কে লেখা একটি চিঠিতে আরো নারীদের নিয়ে আরো অনেক কথা বলেছেন উনি। তারপর ১৫ই আগস্ট ১৯৭১ সালে লন্ডনে রুম কনভারসেশন এ তিনি আরো কুরুচিকর কথা বলেছেন,বিশেষ ভাবে তিনি বলেছেন,

Prabhupāda: Yes. That is psychological. They develop… Sex life, sex urge is there as soon as twelve years, thirteen years old, especially women. So therefore early marriage was sanctioned in India. Early marriage. Boy fifteen years, sixteen years, and girl twelve years. Not twelve years, ten years. I was married, my wife was eleven years. I was 22 years. She did not know what is sex, eleven years’ girl. Because Indian girls, they have no such opportunity of mixing with others. But after the first menstruation, the husband is ready. This is the system, Indian system.

কিছু বলার মতো ভাষা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না আর। এরপর প্রভুপাদ শ্রীমদ ভাগবতম ৪.২৫.৪২ এ বলেছেন,

A young woman who has no husband is called anatha meaning “one who is not protected.” As soon as a woman attains the age of puberty, she immediately becomes very much agitated by sexual desire. It is therefore the duty of the father to get his daughter married before she attains puberty. Otherwise she will be very much mortified by not having a husband. Anyone who satisfies her desire for sex at that age becomes a great object of satisfaction. It is a psychological fact that when a woman at the age of puberty meets a man and the man satisfies her sexually, she will love that man for the rest of her life, regardless who he is. Thus so-called love within this material world is nothing but sexual satisfaction.

হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ, হরে হরে। যে মহিলার স্বামী নেই সে নাকি অনাথ।এমন কথা যে কোনো মানুষের মুখ দিয়ে বেরোতে পারে সত্যি ভাবা যায় না, যদিও উনি মানুষ ছিলেন কিনা সেই বিষয়েই আমি সন্দেহ প্রকাশ করি।

প্রভুপাদ ভাবতেন তিনি যা বলবেন সেটাই প্রমানহীনভাবে সঠিক,আর বাকিরা সবাই মূর্খ। অনেকেই আছেন স্বামীজীকে খুব পছন্দ করেন। পাশাপাশি ইস্কনের সাথেও লাফিয়ে বেড়ান। অবশ্যই উনাদের মনে হতে পারে এখানে অবশ্যই প্ররভুপাদ বাজে কিছু অবশ্যই বলবেন না। কিন্তু তাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে তিনি বিবেকানন্দ কে রাস্কেল বলেছেন। মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে?বেশ দেখে নিন ওহ হ্যাঁ উনি কিন্তু ঋষি অরবিন্দকেও উনার ঘৃণার লিষ্টে রেখেছেন।


বৈষ্ণবদের দাবী আল্লাহ আর কৃষ্ণ আর শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু সব একই

ইসকনের মিথ্যাচার এবং বিভ্রান্তি
কোরানের কোথাও যে শ্রীকৃষ্ণের কোন অস্তিত্ব নেয় সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু বৈষ্ণব গণ কোরান থেকেও শ্রীকৃষ্ণ কে খুজে পায়। বর্তমানে বৈষ্ণব দের সব চেয়ে বড় সংঘটন ইসকন থেকে প্রকাশিত একটা বইতে তারা এমন দাবি করেছে। বইটার নাম "প্রশ্ন করুন উত্তর পাবেন" সেই বইয়ের ২৩১নং পৃষ্ঠা বলা হয়েছে(যা শ্রীচৈতন্য বলেছেন) "তোমার শাস্ত্র কোরানে অবশ্যই নির্বিশেষবাদ প্রথা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে; কিন্তু কোরানের শেষে সেই নির্বিশেষ তত্ত্ব খন্ডন করে সবিশেষ তত্ত্ব স্থাপিত হয়েছে"। এখানে নির্দিষ্ট কোন সূরার কথা উল্লেখ করেনি তবুও কোরানের সূরা আলাক থেকে শুরু করে শেষের যে সূরা গুলো আছে যেমন সূরা আল-কাফিরুন, আন-নাসর, আল-লাহাব, আল-ইখলাস, আল-ফালাক্ব এবং সর্ব শেষ সূরা আন-নাস পর্যন্ত ১৯টি সূরা দেখলাম। সেখানে নির্বিশেষ, সবিশেষ তত্ত্বের কোন অস্তিত্ব নাই।

মিথ্যাচার এবং বিভ্রান্তি
(প্রশ্ন করুন উত্তর পাবেন) উক্ত বইয়ের ২৩২ পৃষ্ঠা তে বৈষ্ণবরা বলছে "শ্যামসুন্দর শ্রীকৃষ্ণকেই কোরানে ভগবান বলে স্বীকার করা হয়েছে" সমগ্র কোরানে শ্রীকৃষ্ণ তো অনেক দূরের কথা, কৃষ্ণের পিতাকে ও খুজে পাওয়া সম্ভব না।
কোরানে কোথাও কি বলা হয়েছে, আল্লাহ শ্যামসুন্দর?
কোরানে কি কোথাও আছে আল্লাহ্ আর এক নাম কৃষ্ণ?
আল্লাহ কৃষ্ণের মত জন্ম গ্রহণ করে, রাসলীলা করে, বাঁশি বাজায়, বিবাহ করে ইত্যাদি, এমন কোন কথা কি কোরানে আছে? তাহলে কিসের উপর ভিত্তি করে বৈষ্ণবরা এমন দাবি করেছে? যে কোরানে শ্যামসুন্দর শ্রীকৃষ্ণকেই ভগবান বলে স্বীকার করা হয়েছে।

মিথ্যাচার এবং বিভ্রান্তি
বৈষ্ণবদের দাবী আল্লাহ আর কৃষ্ণ আর শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু সব একই। তারা বলে...
"পরমেশ্বর ভগবান একই। হিন্দুরা তাঁকে কৃষ্ণ মুসলমানেরা তাকে আল্লাহ বলেন"।
কোরাণ শাস্ত্রে নাকি বলা হয়েছে--
"কোরাণ শাস্ত্রেও আল্লার দুই উদার হস্ত ঊর্ধ্ব দিকে প্রসারিত বলে বর্ণিত হয়েছে। আর শ্রীচৈতন্য চরিতামৃতেও বর্ণনা রয়েছে শ্রীকৃষ্ণের ঔদার্য রুপ গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর দুই হস্ত ঊর্ধ্বদিকে প্রসারিত। গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ"।
আপনার নিজেরা বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে দেখুন। এর চেয়ে হাস্যকর দাবি এবং ভণ্ডামি আর কি হতে পারে।
(তথ্যসূত্রঃ প্রশ্ন করুন উত্তর পাবেন, পৃষ্ঠা- ২৩৬)

মিথ্যাচার এবং বিভ্রান্তি
ইসকন বৈষ্ণবদের দাবি "মোহাম্মদ(স) ছিলেন একজন ভগবৎ-তত্ত্বজ্ঞ ব্যক্তি এবং ভগবানের বাণী প্রচারের জন্য ভগবৎ-নির্ধারিত" (তথ্যসূত্রঃ ভগবদগীতার সারতত্ত্ব, পৃষ্ঠা-৪৮)
ইসকনি বৈষ্ণবদের কথা মতো তো দেখা যাচ্ছে হিন্দুদের উচিৎ সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে, ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিম হয়ে যাওয়া; সেটাই নয় কি? কোরানে সব চেয়ে কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে “শিরক” এর জন্য, যা এমন এক পাপ, আল্লাহ কখনো ক্ষমা করেন না, শিরকের কোন ক্ষমা নাই। কোরানে বলা হয়েছে-
তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর ও কোন কিছুকে তার শরীক করো না। (৪:৩৬) (১)
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সাথে শিরক করাকে ক্ষমা করবেন না, আর তার থেকে ছোট যাবতীয় গুনাহ যাকে ইচ্ছা করেন ক্ষমা করে দেবেন, আর যে কেউ আল্লাহর সাথে শিরক করে সে ভীষণভাবে পথ ভ্রষ্ট হয়। (৪:১১৬) (২)
শিরক অর্থ হচ্ছে আল্লাহ্ সাথে অন্য কাউকে শরিক বা অংশীদার করা। দেবদেবীদের বা মূর্তিকে আল্লা মনে করা হচ্ছে শিরক। প্রতিমা ইত্যাদির পূজাপাট শিরকের অন্তরভুক্ত। (৩)
আর আল্লাহ্ সাথে অংশীদার করার শাস্তি হচ্ছে....
“নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহ্ অংশীস্থাপন করবে, আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিবেন এবং তার বাসস্থান হবে জাহান্নাম। আর এরুপ অত্যাচারীদের জন্যে কোন সাহায্যকারী থাকবে না।” (৫:৭২)
নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। (৩:১৯) (৪)
আর কেই ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো তার পক্ষ থেকে কবুল করা হবে না এবং সে হবে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত। (৩:৮৫) (৫)
কোরান থেকে উপরিউক্ত তথ্য তুলে ধরার উদ্দেশ্য হচ্ছে বৈষ্ণবদের মিথ্যাচার, ভণ্ডামি আরো সুস্পষ্ট করা। ইসকনি বৈষ্ণবদের দাবি আল্লাহ আর কৃষ্ণ এবং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু সব একই, মোহাম্মদ(স) ছিলেন একজন ভগবৎ-তত্ত্বজ্ঞ ব্যক্তি। অথচ কোরানে পরিষ্কার বলা হয়েছে আল্লাহ্ সাথে কাউকে শরীক না করার জন্য, কোন অংশীদার না করার জন্য, যদি করে তবে তারা শিরক করার গুনাহ করবে। যার কোন ক্ষমা নাই তারা জাহান্নামে জ্বলবে। কিন্তু বৈষ্ণবরা আল্লাহ্ সাথে শ্রীকৃষ্ণকে, চৈতন্য কে অংশীদারি বা শিরক করছে, কোরান মতে যা হচ্ছে একটা পাপ। বৈষ্ণবগণ যেহেতু আল্লাহ সাথে কৃষ্ণ কে অংশীদার করেছে সেহেতু তারা হচ্ছে জাহান্নামি। তারা যখন মোহাম্মদ(স) কে একজন ভগবৎ-তত্ত্বজ্ঞ ব্যক্তি বলে, তাহলে তাদের তো উচিৎ তীর্থ করতে না গিয়ে হজ্জ করে আসা। জাহান্নামি বৈষ্ণবরা বলবে কোরান দেয়া হয়েছিল অল্পবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের জন্য, আমাদের জন্য না। যদি তাই হয়, তবে আপনাদের ঈশ্বর কৃষ্ণ মানে আল্লা আবার কোরানে কেন বললেন? নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। তবে কৃষ্ণ মানে আল্লাহ আবার এই কথা বলে মানুষের মধ্যে বিবাদ কেন সৃষ্টি করলেন? একটা মিথ্যাকে আড়াল করার জন্য আর কত মিথ্যার রচনা করবেন?

মিথ্যাচার এবং বিভ্রান্তি
ইসকনের একাধিক বই তে যীশু কে অবতার বা ভগবানের প্রেরিত প্রতিনিধি হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করে। তারা বলেন ধর্মে গ্লানি দেখা দিলে ও অধর্মের অভ্যুত্থান হলে ভগবান অবতীর্ণ হন। কখনো তিনি স্বয়ং আসেন, কখনো তিনি তার অন্তরঙ্গ সেবক ভক্তদেরকে তার প্রতিবিধি হিসাবে পাঠান-- যেমন যীশু(পুত্র)
(তথ্যসূত্রঃ ভগবদগীতা সারতত্ত্ব পৃষ্ঠা-৬৯)
ইসকনের একাধিক বইতে তারা এই দাবিও করে যীশুর জন্মের ভবিষ্যত বাণী নাকি ভবিষ্যতেপুরাণ করা হয়েছে। কিন্তু তা ভবিষ্যতপুরাণের কোথায় আছে সেটা উল্লেখ করে না। শুধু বলে যীশু-ভবিষ্যপুরাণ। কিন্তু যদি ভবিষ্যপুরাণে যিশুর, মোহাম্মদ(স) বা অন্য কারো কথা থাকলেও তা গ্রহণযোগ্য না, কারণ ভবিষ্যপুরাণ কোন গ্রহণযোগ্য পুরাণ না। যীশু কোন অবতার নয়।
শেষ কথা হচ্ছে.....
ইসকনের জাহান্নামি বৈষ্ণব এরুপ মিথ্যাচার করার, বিভ্রান্তি প্রচারের উদ্দেশ্য কি?

তথ্য প্রমাণঃ
(১) সূরা আন-নিসা, আয়াত- ৩৬

(২) সূরা আন-নিসা, আয়াত- ১১৬

(৩) তাফসীরে আল জালালাইন, পৃষ্ঠা-৩৩৯

(৪) সূরা আলে-ইমরান, আয়াত- ১৯

(৫) সূরা আলে-ইমরান, আয়াত-৮৫

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

ব্রহ্মচর্যের সাধনা ভোজন

  নবম ভাগ ভোজন ভূমিকা - "ধর্মার্থকামমোক্ষাণামারোগ্যম্ মূলমুত্তমম্" . ধর্ম-অর্থ-কাম আর মোক্ষ এই পুরুষার্থচতুষ্টয় হল মানব জীবনের উ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ