(ওম্ ইতি ব্রহ্ম) ব্রহ্মই ওম্ ( ওম্ ইতি সর্বম্) ওম্ ই সব কিছু।। ( তৈত্তিরীয় ১/৮)
ঋষি তিত্তীরের বচন।
ব্রহ্ম শব্দে বৃহৎ।।
ওম্ শব্দে বাচ্য ও বাচক।
বাচক ওম যেটি পরা ওম্।।
বাচ্য ওম্ যিনি সৃষ্টিকর্তা সয়ম্ভূঃ।।
ঋষি তিত্তীর এখানে বাচ্য বাচক দুই প্রকারের ওমেরই বর্ণনা করেছেন।
পরা ওম্ যেটি বাচক। যেটিকে ওম্ রশ্মি বলি সেটি একটি দ্রব্য। যাহা কাল রশ্মি। সৃষ্টির প্রথম পদার্থ এই পরা ওম্ রশ্মি। ঋষি কনাদ পরা ওম্ তথা কালকে দ্রব্য বলে গন্য করেছেন। পরমাত্মা কতৃক পরা ওম্ রশ্মি প্রথমেই অ্যাকটিভ হয়। সেই ওম্ রশ্মি দ্বারা সকল সৃষ্টির নির্মান হতে থাকে।
তাই ঋষি তিত্তীর বলেছে ( ওম্ ইতি সর্বম্) ওম্ ই সব। অর্থাৎ ওম্ ই সব হয়েছেন। এই ওম্ পরা ওম্।
বাচ্য ওম্।
সয়ম্ভূঃ পরমাত্মাই বাচ্য ওম্। (তস্য বাচকঃ প্রণবঃ)। সয়ম্ভূঃ পরমাত্মা কতৃক পরা ওম্ জগৎ নির্মান করেন। সয়ম্ভূঃ নিজে সৃষ্টি হন না বা তাহা হতে কোন এনার্জি ও ট্রান্সফার হয় না। পরমাত্মা তথা সয়ম্ভূঃ হতে কোন ম্যাটারিয়াল ও উৎপত্তি হয়ে জগৎ নির্মান করে না - কারণ বাচ্য ওম্ নিমিত্ত কারণ। সযম্ভূঃ পরমাত্মা বিকার রহিত। তাই সয়ম্ভূঃ পরমাত্মা নিজে সৃষ্টি হন না বা নিজ হতে সৃষ্টি করেন না তিনি অখন্ড পূর্ণ।
পরা ওম্ রশ্মির দ্বারাই ইউনির্ভাসের নির্মান।
পরা ওম্ রশ্মিই অনাদি সত্বা। প্রলয়ে নিষ্ক্রিয় সৃষ্টির সময় সক্রিয় হয়ে থাকে। এটি কাল রশ্মি। কাল. দিশা. টাইম সব এক বস্তু প্রায় সামান্য ভেদ যেমন কাচা পাকা অাম। মূল প্রকৃতির সহিত পরমাত্মায় অাশ্রিত থাকে পরা ওম্। পরা ওম্ দ্বারা সয়ম্ভূঃ ঈশ্বর প্রকৃতির বিভাজন করে থাকেন। প্রকৃতিই উপাদান কারন। এই প্রকৃতি নামক উপাদাণ কারন পরা ওম্ রশ্মির দ্বারা গর্ভবতী হন। তথা মহতত্বধারী তত্বের নির্মান করেন। তার পরে ইনির্ভাসের একেক তত্বের নির্মান হতেই থাকে। শেষে চন্দ্র, সূর্য,নক্ষত্র,গ্যালাক্সি,তারামন্ডলি ইত্যাদি সৃষ্টি হন।
আশা করি নিরাকার পরমাত্মা হতে দ্রব্যময় উপাদান যুক্ত ইউনির্ভাসের নির্মান কিভাবে হয় সেটি সকলে বুঝতে পেরেছেন।
ওতম্শম্
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ