একটি রথ, সেই রথের উপর আরোহী বসে আছে। সেই রথটিকে চালনা করছে সারথী। পাঁচটি ঘোড়া রথটিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ঘোড়াদের লাগাম গুলি হাতে ধরে সারথী ঘোড়াগুলিকে
নিয়ন্ত্রণ
করছে।
আমাদের দেহটি হচ্ছে রথ। এই দেহরে মধ্যে রয়েছে ‘আমি’ বা আত্ম। দেহরূপ রতের আরোহী আত্ম। দেহরূপ রথটি চালনা করছে সারথী বুদ্ধি। এই দেহরূপ রথটি পাঁচটি ঘোড়ারূপ উন্দ্রিয় সমন্বিত। অর্থাৎ,
পঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয়
হচ্ছে চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা,
জিহ্বা ও ত্বক। বুদ্ধি ঘোড়ারূপ উন্দ্রিয়গুলিকে
লাগাম রুপ মন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করছে। মনকে লাগামের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
বুদ্ধি রূপ সারথী যদি বিকৃত হয়, অর্থাৎ টিক না থাকে তবে সে লাগাম ধরে থাকলেও ঘোড়া গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। বিবেক বুদ্ধি অনুসারে তেমনই মনটা যদি চলে তবে দুর্বার ইন্দ্রিয় গুলিকে সংযত করা সম্ভব হয়। স্বভাব চঞ্চল ঘোড়া গুলি জাগতিক উদ্দীপনায়
যথেচ্ছাচার
করতে পারে, নিয়ন্ত্রনের
বাইরে বিপজ্জনক ভাবে চলতে পারে। তখন অকালে রথ ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সারথী বিকারগ্রস্ত
হয় এবং আরোহী আতঙ্কিত ভাবে অসহায় বোধ করতে থাকে।আমাদের
চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা,
জিহ্বাও ত্বক যখাক্রমে জড় জাগতিক রূপ, শ্বাদ, গন্ধ, রস ও স্পর্শ সুখভোগের দিকে দুর্বারিত
ভাবে ধাবিত হলে ভজন সাধনের উপযুক্ত শ্রেষ্ঠ দুর্লভ নরদেহটি অকালে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়। মোহাগ্রস্ত
বুদ্ধি ভ্রষ্ট জীবন খুবই বিপজ্জনক।
শেষে হতাশাচ্ছন্ন
জীব জন্ম-মৃত্যুর ভব সংসারে ত্রিতাপ দুঃখে জর্জরিত হয়।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ