কর্মফল পুনর্জন্ম - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

17 July, 2020

কর্মফল পুনর্জন্ম

কর্মফল পুনর্জন্ম
কর্মফল পুনর্জন্ম
“নাভুক্তং ক্ষীয়তে কর্ম কল্প কোটি শতৈরপি।
অবশ্যমেব ভোক্তব্যং কৃতংকর্ম শুভাশুভম্‌”।।

অর্থাৎ মানুষকে তার কর্মফল ভোগ করতেই হবে।আর সেই কর্মফল ভোগ করতে যদি শতকোটি জন্ম লাগে তবুও তাকে বার বার আসতে হবে, অভুক্ত কর্মফল ভোগ করার জন্যে জন্ম নিতে হবে। কেননা, যতক্ষণ এই কর্মফল ভোগ শেষ না হচ্ছে, ততক্ষণ তার মুক্তি বা মোক্ষ কিছুই হবে না।
পুনর্জন্মের অর্থ হল- “জীবের মৃত্যুর পর আত্মা পুনরায় নতুন দেহ ধারণ করে”।
পুনর্জন্ম
পুনর্জন্ম

পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন
বাংলা পুনর্জন্ম বা জন্মান্তর সংক্রান্ত বই পিডিএফ 'জন্মান্তরবাদ- ডাঃ হেমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়'

জয়পুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামনােবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন পরিচালক ও অধ্যক্ষ ডঃ হেমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বিগত পনেরাে বছর ধরে পুনর্জন্মের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার সন্ধানে গবেষণা করে চলেছেন।আত্মা অবিনশ্বর -এ বিশ্বাস আমাদের বেদ উপনিষদ অথবা পুরাণে বহু আলােচিত বিষয়। ভারতীয় ধর্ম সাধনায়, প্রধানতঃ হিন্দু বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মালম্বীদের কাছে এর আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যাও অনেক আছে। আমাদের দেশের সাধু-সন্তের যৌগিক-বলে পূর্ব জীবনের এবং আরো অতীত জন্মের ইতিকথা বলতে পারেন এবং বলেছেনও। বেদ উপনিষদের সত্য ত্ৰেতা দ্বাপর যুগের কথা বাদ দিলেও গৌতম বুদ্ধের জাতক কাহিনীগুলি প্ৰমাণিত করে যে মানব জীবন বহু জন্ম-জন্মান্তরের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়ে আসছে।
अग्नेर्वयं प्रथमस्यामृतानां मनामहे चारु देवस्य नाम।
 स नो मह्या अदितये पुनर्दात्पितरं च दृशेयं मातरं च॥
ऋग्वेद  मण्डल:1 सूक्त:24 मन्त्र:2 


अन्वय:

वयं यस्याग्नेर्ज्ञानस्वरूपस्यामृतानां प्रथमस्यानादेर्देवस्य चारु नाम मनामहे, स एव नोऽस्मभ्यं मह्या अदितये पुनर्जन्म दात् ददाति, यतश्चाहं पुनः पितरं मातरं च स्त्रीपुत्रबन्ध्वादीनपि दृशेयं पश्येयम्॥२॥
पदार्थान्वयभाषाः -हम लोग जिस (अग्ने) ज्ञानस्वरूप (अमृतानाम्) विनाश धर्मरहित पदार्थ वा मोक्ष।प्राप्त जीवों में (प्रथमस्य) अनादि विस्तृत अद्वितीय स्वरूप (देवस्य) सब जगत् के प्रकाश करने वा संसार में सब पदार्थों के देनेवाले परमेश्वर का (चारु) पवित्र (नाम) गुणों का गान करना (मनामहे) जानते हैं, (सः) वही (नः) हमको (मह्यै) बड़े-बड़े गुणवाली (अदितये) पृथिवी के बीच में (पुनः) फिर जन्म (दात्) देता है, जिससे हम लोग (पुनः) फिर (पितरम्) पिता (च) और (मातरम्) माता (च) और स्त्री-पुत्र-बन्धु आदि को (दृशेयम्) देखते हैं॥२॥
भावार्थभाषाः -हे मनुष्यो ! हम लोग जिस अनादिस्वरूप सदा अमर रहने वा जो हम सब लोगों के किये हुए पाप और पुण्यों के अनुसार यथायोग्य सुख-दुःख फल देनेवाले जगदीश्वर देव को निश्चय करते और जिसकी न्याययुक्त व्यवस्था से पुनर्जन्म को प्राप्त होते हैं, तुम लोग भी उसी देव को जानो, किन्तु इससे और कोई उक्त कर्म करनेवाला नहीं है, ऐसा निश्चय हम लोगों को है कि वही मोक्षपदवी को पहुँचे हुए जीवों का भी महाकल्प के अन्त में फिर पाप-पुण्य की तुल्यता से पिता-माता और स्त्री आदि के बीच में मनुष्यजन्म धारण कराता है॥२॥-स्वामी दयानन्द सरस्वती

কৌতূহলী মনে এর পরে কতকগুলাে প্রশ্ন এসে জমা হয়-- পুনর্জন্ম বা জন্মান্তর কি শুধু নিছক গল্পকথা না বাস্তব সম্ভাবনা মানব জীবনের মরদেহ বিনাশের পর কোন অস্তিত্ব থাকে কি ? থাকলে কি ভাবে থাকে। কোন্ সূক্ষ্মপথে মৃত্যুর পরেও পূর্বজীবনের স্মৃতি বছরের পর বছর বিচরণ করে এবং কিভাবে অনুভাবী বিগত জন্মের কথা স্মরণ করতে পারে?উপরের ঐ প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজে পেতে তিনি পৃথিবীর সর্বত্র একধিকবার ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং তত্ত্ব ও তথ্যের এক বিপুল পরিসংখ্যান সংগ্রহ করেছেন।
কর্মফল পুনর্জন্ম
কর্মফল পুনর্জন্ম
কৌতূহলী মনে এর পরে কতকগুলাে প্রশ্ন এসে জমা হয়-- পুনর্জন্ম বা জন্মান্তর কি শুধু নিছক গল্পকথা না বাস্তব সম্ভাবনা মানব জীবনের মরদেহ বিনাশের পর কোন অস্তিত্ব থাকে কি ? থাকলে কি ভাবে থাকে। কোন্ সূক্ষ্মপথে মৃত্যুর পরেও পূর্বজীবনের স্মৃতি বছরের পর বছর বিচরণ করে এবং কিভাবে অনুভাবী বিগত জন্মের কথা স্মরণ করতে পারে?উপরের ঐ প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজে পেতে তিনি পৃথিবীর সর্বত্র একধিকবার ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং তত্ত্ব ও তথ্যের এক বিপুল পরিসংখ্যান সংগ্রহ করেছেন।
प्र॒सद्य॒ भस्म॑ना॒ योनि॑म॒पश्च॑ पृथि॒वीम॑ग्ने। स॒ꣳसृज्य॑ मा॒तृभि॒ष्ट्वं ज्योति॑ष्मा॒न् पुन॒रास॑दः ॥३८ ॥-यजुर्वेद » अध्याय:12» मन्त्र:38
पदार्थान्वयभाषाः -
हे (अग्ने) प्रकाशमान पुरुष सूर्य्य के समान (ज्योतिष्मान्) प्रशंसित प्रकाश से युक्त जीव ! (त्वम्) तू (भस्मना) शरीर दाह के पीछे (पृथिवीम्) पृथिवी (च) अग्नि आदि और (अपः) जलों के बीच (योनिम्) देह धारण के कारण को (प्रसद्य) प्राप्त हो और (मातृभिः) माताओं के उदर में वास करके (पुनः) फिर (आसदः) शरीर को प्राप्त होता है ॥३८ ॥
भावार्थभाषाः -इस मन्त्र में वाचकलुप्तोपमालङ्कार है। हे जीवो ! तुम लोग जब शरीर को छोड़ो, तब यह शरीर राख रूप होकर पृथिवी आदि पाँच भूतों के साथ मिल जाता है। तुम अर्थात् आत्मा माता के शरीर में गर्भाशय में पहुँच, फिर शरीर धारण किये हुए विद्यमान होते हो ॥३८ ॥-स्वामी दयानन्द सरस्वती

মানুষ যে কর্ম করে তার ফল ভোগ তাকেই করতে হয়। প্রতিটি কর্মেরই একটা সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে যদি স্থান-কাল-পাত্র অপরিবর্তিত থাকে।স্থান-কাল-পাত্রের পরিবর্তনের ফলে প্রতিক্রিয়ার ধরণ ও মাত্রায় পরিবর্তন এসে থাকে। মানুষ ভাল বা মন্দ যে ধরণের কর্মই করুক না কেন, তার ফলে তার মনে এক ধরণের বিকৃতি তৈরী হয়।মন সব সময় এই বিকৃতি সরিয়ে পূর্বাবস্থায় ফিরে আসতে চায়। যে বিপরীত প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে মন তার পূর্বের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে তাকে বলে কর্মফল ভোগ। এই কর্মফল ভোগ সঙ্গে সঙ্গে হতে পারে আবার নাও হতে পারে। যে ক্ষেত্রে কর্ম করা হয়েছে কিন্তু ফল ভোগ করা হয়নি সেই অভুক্ত কর্মফলকে বলে সংস্কার। প্রতি মুহুর্তে কর্মের মাধ্যমে আমাদের মনে নতুন নতুন সংস্কার তৈরী হয়। এই সংস্কার ভোগ ২, ৪ দিনে হতে পারে ৫, ১০ বা ২০ বৎসরে হতে পারে। আবার এ জন্মে না হয়ে পরবর্তী জন্মেও হতে পারে। আমাদের প্রত্যেকের মনে জন্ম-জন্মান্তরের সংস্কার পুঞ্জীভুত হয়ে রয়েছে। এই সংস্কার ভোগ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ মুক্তি বা মোক্ষ পেতে পারে না। 
কর্মফল পুনর্জন্ম
কর্মফল পুনর্জন্ম
“কর্মন্যে বাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন”।-গীতা
অর্থাৎ কর্মে তোমার অধিকার আছে, কিন্তু কর্মফল তোমার হাতে নেই। তুমি যেমন ইচ্ছা কর্ম করতে পার কিন্তু তার ফল প্রকৃতির হাতে।প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে কর্মের প্রতিফল তোমাকে ভোগ করতেই হবে। আমরা যে কর্ম করি তা দুই ধরণের- প্রত্যয়মূলক কর্ম ও সংস্কারমূলক কর্ম।কেউ যখন স্বাধীন ভাবে স্ব-ইচ্ছায় কোন কর্ম করে তাকে বলে প্রত্যয়মূলক কর্ম। কিন্তু যেখানে তার কোন স্বাধীনতা নেই, অবস্থার চাপে পড়ে তাকে বাধ্য হয়ে কাজ করতে হয় তাকে বলে সংস্কারমূলক কর্ম। যেমন ধরা যাক, কোন একজন চুরি করলো। চুরি করার সময় ওই লোকটির স্বাধীন ইচ্ছা কাজ করেছিল, তাই এটা তার প্রত্যয়মূলক কর্ম। এই কর্মের ফল ভোগ তাকে ভোগ করতেই হবে। যতক্ষণ না সেই কর্মফল ভোগ শেষ হচ্ছে ততক্ষণ সেই অভুক্ত কর্মফল তার মনের সংস্কাররূপে থেকে যাবে। এখন এই সংস্কার কাল পরিপক্ক হয়ে অনুকূল পরিবেশ পাওয়া মাত্রই সে হয় পুলিশের হাতে ধরা পড়বে অথবা অন্য কোন প্রকারে শাস্তি পাবে। এই ভাবে সে অবস্থার চাপে পড়ে তার পূর্বকৃত কর্মের ফল ভোগ করবে। এখানে তার স্বাধীন ইচ্ছা কাজ করে না। তাই এটা তার সংস্কারমূলক কর্ম।
মানুষের ক্ষেত্রে এই সংস্কার তিন ধরণের হয়ে থাকে-
১) জন্মগত সংস্কার- এক বা একাধিক পূর্বজন্মের অর্জিত বা সৃষ্ট সংস্কারকে এই জন্মের জন্মগত সংস্কার বলে।
২) অর্জিত সংস্কার- এই জন্মের প্রত্যয়মূলক কর্মের দ্বারা সৃষ্ট সংস্কারকে অর্জিত সংস্কার বলে।
৩) আরোপিত সংস্কার- যে দেশ, জাতি, সমাজ বা পরিবেশে মানুষ জন্ম নেয়, লালিত-পালিত হয় বা যে পরিবেশে মানুষ থাকে সেই পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত বা সৃষ্ট সংস্কারকে বলে আরোপিত সংস্কার।যেমন- কোন ছেলে বস্তিতে জন্ম নিয়েছে আর তার বাবা মা খুব ঝগড়াটে। তাহলে ওই ছেলেও একটু বড় হয়ে ঝগড়া বা গালাগালি করতে শিখবে। এটা তার বাবা-মায়ের পরিবেশ দ্বারা আরোপিত সংস্কার।
কিছু পাশ্চাত্য বিদ্বানদের এই ধারনা যে, বেদের মধ্যে পূনর্জন্ম সিদ্ধান্তের সমর্থন নেই।  কিছু কিছু লেখকও পশ্চিমের  এসব বিদ্বানদের অন্ধ অনুসরন করে।  ইহার এক কারন বেদের অর্থ কে সুক্ষভাবে না বোঝা।  এবং দ্বিতীয় কারন মুখ্য রূপে পাশ্চাত্য বিদ্বানরা ইসাই মতালম্বী ছিলো। ইসাই মতবালম্বীরা কর্মফল ব্যবস্থা এবং পূনর্জন্মের সমর্থন করে না। এজন্য পশ্চিমাদের ধারনা যে বেদে পূনর্জন্মের কোন কথা নেই।
শাস্ত্রে জন্মান্তরবাদ👉 পিডিফ
 কিন্তু সনাতন ধর্ম বলতে গেলে পুনর্জন্ম এবং কর্মফলের উপর সু প্রতিষ্ঠিত। উপনিষদ, গীতাই পূনর্জন্ম সমন্ধ্যে পরিষ্কারভাবে বর্ণিত হয়েছে। যা মূলত বৈদিক সিদ্ধান্ত থেকে ক্রমে ক্রমে চলে এসেছে। বেদে আমরা পূনর্জন্ম সমন্ধ্যে সুস্পষ্ট প্রমাণ পাই -


--- আমরা জ্ঞানস্বরূপ বিনাশধর্ম রহিত পদার্থের মধ্যে অদ্বিতীয় স্বরূপ সব জগতের প্রকাশকারী পরমেশ্বরের  পবিত্রম নাম  স্মরন করি। তিনি আমাদের মহৎ গুনের ধারক পৃথিবীর মধ্যে পুনরায় জন্ম দান করেন ,  যাতে আমরা পিতা এব মাতাকে (চ) এবং অনান্য জনকে দর্শন করতে পারি।
(ঋগবেদ, মন্ডল ১সূক্ত ২৪মন্ত্র ২)

--- হে প্রাণবিদ্যাবিদ! আমাদের এই শরীরে পুনরায় [পুনর্জন্মে] নেত্র  পুনরায় প্রাণকে আমাদের  ভোগ্যবস্তু গ্রহনের শক্তি প্রদান করুন দীর্ঘ সময় পর্যন্ত উপরে আকাশ মধ্যে  সূর্যকে দেখতে থাকি  হে অনুমতি প্রদানকারী! আমাদের  সুখ দ্বারা সুখী করুন।
(ঋগবেদ ১০মন্ডল ৫৯সূক্ত ৬মন্ত্র)

--- সুখদাত্রী  ভূমি আমাদের পুনরায় [পুনর্জন্মে] প্রাণশক্তি  প্রদান করেন দ্যুলোক পুনরায় [প্রানশক্তি প্রদান করেন] অন্তঃরিক্ষ পুনরায় [প্রাণশক্তি প্রদান করেন ] পরমেশ্বর আমাদের পুনরায়  শরীর প্রদান করেন সবার পোষক প্রভূ পুনরায় আমাদের সৎপথ প্রদান করেন যা কল্যানদায়ক।
(ঋগবেদ ১০মন্ডল ৫৯সূক্ত ৭ মন্ত্র)

--- হে  প্রকাশমান জীব! শরীর দাহের পর পৃথিবী এবং জলের মধ্যে দেহ ধারনের কারন কে প্রাপ্ত হও এবং মাতার গর্ভে [পিতা দ্বারা ] সংযুক্ত হয়ে  তেজস্বী হয়ে পুনরায় এই লোকে ফিরে আসো।
(যজুর্বেদ ১২অধ্যায় ৩৮ মন্ত্র)

--- পরম ঐশ্বর্য  আমার পুনরায় [পুনর্জন্মে] আত্মবল ধন এবং বেদ বিজ্ঞান পুনরায় [পুনর্জন্মে] প্রাপ্ত হোক বলার মধ্যে চতুর বিদ্বান লোক যথাস্থানে [কর্ম অনুসারে] এই লোকেই পুনরায় [প্রাপ্ত করার] সামর্থ করো।
(অথর্ববেদ কান্ড ৬সূক্ত ৬৭মন্ত্র ১)

--- হে মনুষ্য! মরনন্তর তোমার নেত্র সূর্যকে প্রাপ্ত হয় আত্মা প্রাণবায়ুকে প্রাপ্ত হয় কৃত কর্ম অনুসারে আত্মা দুল্যো এবং পৃথিবী লোকে  ও যায়।  যদি সেই লোক কে প্রাপ্তির মধ্যমে তোমার আত্মার কর্ম হিতকর হয় তখন শরীর ধারন করে অথবা জলে ও  যায় এবং ঔষধি বৃক্ষ আদির মধ্যে ও স্থিতি লাভ করে।
(ঋগবেদ মন্ডল ১০সূক্ত ১৬মন্ত্র ৩)

--- আমি মানুষের জন্য দুই মার্গ শ্রবন করেছে এক পিতৃযান এবং দ্বিতীয় দেবযান যা পিতা ও মাতার সংসর্গ দ্বারা উৎপন্ন  এই সমস্ত  চর, জীবিত সংসার এই দুই মার্গ দ্বারাই সুখপূর্বক প্রয়াণ করে।
(যজুর্বেদ ১৯অধ্যায় ৪৭ মন্ত্র)

এরকম আরো শত উদাহরন দেখানো যাবে পবিত্র বেদ থেকে যেগুলো জন্মান্তরবাদ এর কথা ব্যখ্যা করেছে।

মূলত জন্মান্তরবাদ এমন একটি তত্ত্ব যা বৈজ্ঞানিক ভাবেই প্রমানিত।
এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর Head of the department,psychiatri Dr. Ian Stevenson এর কথা যিনি সারা পৃথিবী থেকে তিনহাজার এর ও অধিক কেস হিস্ট্রি এর প্রমান করেছিলেন যারা
অবিদ্যা জাত প্রকৃতি হতে বন্ধন থেকে তথা দুঃখ থেকে মুক্তি তথা ব্রহ্মে অব্যাহত গতিতে বিচরণ করা হলো মোক্ষ । (কঠ: ১/২/১৭)
জীবাত্মার কর্ম স্বার্থ অত: জীবাত্মার ফল‌ও স্বার্থ লাভ করে । মোক্ষে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবস্থান করার পর জীবাত্মার পুনরাবৃত্তি হয় ।

কর্মফল সিদ্ধান্ত পডুন👉 link

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অথর্ববেদ ২/১৩/৪

  ह्यश्मा॑न॒मा ति॒ष्ठाश्मा॑ भवतु ते त॒नूः। कृ॒ण्वन्तु॒ विश्वे॑ दे॒वा आयु॑ष्टे श॒रदः॑ श॒तम् ॥ ত্রহ্যশ্মানমা তিষ্ঠাশ্মা ভবতুতে তনূঃ। কৃণ্বন্তু...

Post Top Ad

ধন্যবাদ