বাল্যবিবাহ ও আর্যসমাজ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

31 July, 2020

বাল্যবিবাহ ও আর্যসমাজ

বাল্যবিবাহ ও আর্যসমাজ
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর আর্য সমাজের বিখ্যাত কীর্তি আর তা হল ভারতে "বাল্যবিবাহ" নিষিদ্ধকরনের পথে প্রথম যুগান্তকারী পদক্ষেপ তথা Age of Consent Act প্রণয়ন। ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম রুপকার,বিখ্যাত সমাজ সংস্কারক,তৎকালীন আইনসভার সদস্য ও শিক্ষাবিদ হরবিলাস সারদাকে।আর তাঁর হাত ধরেই রচিত হয়েছিল
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর পবিত্র অথর্ববেদ মন্ত্রের বিখ্যাত অনুবাদ-
ব্রহ্মচর্যেণ কন্যা যুবানং বিন্দতে পতিম্

(অথর্ববেদ ১১.৫.১৮)
অর্থাৎ কন্যা পড়াশোনা,বেদধ্যায়ন,ব্রহ্মচর্য সম্পন্ন করে পূর্ণ যুবতী হলেই কেবল সে ব্রহ্মচর্য সম্পন্ন করা যোগ্য যুবক পাত্রকে বিয়ে করবে।
এই অনুবাদের মাধ্যমেই আইনি লড়াই শুরু করেন হরি সিং গৌর আর পরবর্তীতে তা চালিয়ে যান আর্য সমাজের ভক্ত,মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর শিষ্য ও আজমীর আর্য সমাজের প্রধান হরবিলাস সারদা। ফলশ্রুতিতে ১৯২৯ সালের ১ লা অক্টোবর তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার পাশ করে "সারদা আইন" যাতে করে পরবর্তীতে বাল্যবিবাহ ক্রমে নিষিদ্ধ হয়ে যায়।আর্য সমাজের সবচেয়ে বিখ্যাত অবদানের মধ্যে বেদবিরোধী বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধকরন অন্যতম শ্রেষ্ঠ অবদান হিসেবে আজও বিদ্বান মহলে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়।তাঁর হাত ধরে আর্য সমাজের আরেকটি বিখ্যাত অবদান ছিল "বিধবা মহিলাদের সম্পত্তির ভাগ দেবার জন্য করা মামলা" যা তৎকালীন উগ্রপন্থী কুসংস্কারাচ্ছন্ন হিন্দু সমাজের জন্য চালু করা সম্ভব হয়নি।
বাল্যবিবাহ ও আর্যসমাজ
হরবিলাস সারদা
প্রণাম এই মহান ব্যাক্তিকে আর তাঁর অনুপ্রেরণা মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীকে যাঁরা প্রমাণ করেছিলেন বেদশাস্ত্রের জ্ঞান থাকলে সমাজের যে কোন কুপ্রথাকে সমূলে উচ্ছেদ করা সম্ভব।যখন সারা ভারতবর্ষ কার হাতের ছোঁয়া খেলে কয়দিন উপবাস থেকে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে আর কোন বর্ণের হলে কোন রঙের পৈতা পরতে হবে এও নিয়ে বিতর্কে মেতে থাকত তখন বেদ নামক ব্রহ্মাস্ত্র হাতে একের পর এক সমাজ সংস্কার চালিয়ে গিয়েছিল আর্য সমাজ।
আর্যসমাজের অন্যতম অবদান হল শুদ্ধি আন্দোলনের প্রবর্তন । এই আন্দোলনের দ্বারা ধর্মান্তরিত হিন্দুদের প্রায়শ্চিত্তের মাধ্যমে হিন্দু সমাজে গ্রহণ করা হত । আর্যসমাজ উত্তর ভারতের ম্রিয়মান হিন্দু সমাজের হতাশা ও অবসাদ দূর করে তাঁদের মনোবল বৃদ্ধি করেছিলেন । পরবর্তীকালে আর্যসমাজ ছিল স্বাধীনতাপ্রেমী বিপ্লবীদের প্রেরণাস্থল ।
জাতিভেদহীন বিবাহ
“অক্ষমালা বৈশিষ্টেন সংযুক্তা ধর্মযোনিজা ।
সারঙ্গী মন্দপালনে জগামোভা হর্ণীয়তাম্ ।।
📕(মনুসংহিতা ৯২৩) অর্থাৎ বশিষ্ট নিকৃষ্ট কুলোৎপন্ন অক্ষ মালাকে এবং মন্দপাল অধম কুল হইতে উৎপন্ন সারঙ্গীকে বিবাহ করিয়াছিলেন ।” ইহাদের পুত্রেরা সকলেই পিতৃবর্ণ ব্রাহ্মণ হইয়াছিলেন ; কোন নুতন জাতির সৃষ্টি হয় নাই ।
মহর্ষি উৎস বিবাহ করিলেন ক্ষত্রিয় রাজা ভগিরথের কন্যাকে ।
এইরূপে মহর্ষি অঙ্গিরা ক্ষত্রিয় মরুত্তের কন্যাকে , মহর্ষি হিরণ্যহস্ত ক্ষত্রিয় মাদিরাশ্বের কন্যাকে , ব্রাহ্মণ ঋষ্যশৃঙ্গ ক্ষত্রিয় দশরথের কন্যা শান্তাকে , জমদগ্নি ক্ষত্রিয় প্রসেনজিতের কন্যা রেণুকাকে , মহর্ষি ভৃগু ব্রাম্মন পুত্র এবং ক্ষত্রিয় শর্য্যাতির কন্যাকে , মহর্ষি রিতিক ক্ষত্রিয় গাধীর কন্যা বা
বিশ্বামিত্রের ভগ্নী সত্যবতীকে অবাধে বিবাহ করিয়াছিলেন ।
তখন ব্রাহ্মণ বংশ অব্রাহ্মণ এবং অব্রাহ্মণ বংশে ব্রাহ্মণ জন্মগ্রহণ করিতেন ।
মনুর পুত্র ধৃষ্ট হইতে ধার্ষ্ট নামক ক্ষত্রিয় বংশের উৎপত্তি ।
ধার্ষ্টগণ ক্ষত্রিয় হইতে ব্রাহ্মণ হইয়াছিলেন ।
(শ্রীমদ্ভগবদ -শ্রীধর টিকা ৯।২।১৭৬) ।
দিষ্ট ছিলেন ক্ষত্রিয় কিন্তু তাঁহার পুত্র নাভাগ বৈশ‌্য ; ইনি বৈশ্য কন্যা বিবাহ করিয়াছিলেন (মার্কণ্ডেয় পুরাণ) নাভাগারিষ্টের দুই বৈশ্য পুত্র ব্রাহ্মণ হইয়াছিলেন ,
(হরিবংশ ১১।৬৫৮) ।
মনুর দৌহিত্র পুরুরবার বংশে জন্মিয়াছিল ক্ষত্রিয় শুনুক । এই শুনুকের বংশে চারি বর্ণই জন্মিয়াছে , (বিষ্ণুপুরাণ ৩।১৮) ।
ক্ষত্রিয় বিজয়ের পুত্রই মহাত্মা কপিল । বিজয়ের অন্য পুত্র সুহোত্রের গৃৎসমতি নামক পুত্রের বংশে ও চারিবর্ণের উৎপত্তি হয় (হরিবংশ ৩২) । পুরূরবার বংশে ক্ষত্রিয় রভস জন্মগ্রহণ করেন , তাঁহার গোত্র হইতে বহু ব্রাহ্মণ জন্মগ্রহণ করেন ,
(ভাগবত ৯/১৭/১০) । পুরুর বংশে ক্ষত্রিয় মেধা তিথি জন্মগ্রহণ করেন , এই মেধাতিথি হইতেই কাম্বায়ন গোত্রীয় ব্রাহ্মণগণ জন্মগ্রহণ করেন ,
( বিষ্ণুপুরাণ ৪/১৯/২) ।
ক্ষত্রিয় রাজ অজমিঢ়ের বংশে প্রিয়মেধাদি ব্রাহ্মণ জন্মগ্রহণ করেন
(ভাগবত ৯/২১/২১) । অজমীঢ়ের বংশে মুদ্গলের জন্ম , এই মুদ্গল হইতেই মৌদ্গল্য গোত্রীয় ব্রাহ্মণের উৎপত্তি (মৎস্য পুরাণ) ।
গর্গ , সংস্কৃতি ও কাব্য নামক তিনজন মহর্ষি ক্ষত্রিয় ব্রাহ্মণ হয়েছিলেন (মৎস্য পুরাণ) । গর্গ হইতে শিনি এবং তাঁহা হইতে ক্ষত্রিয়-গার্গগণ ব্রাহ্মণ হইয়াছিলেন । গর্গের ভ্রাতা মহাবীর্য্যের পুত্র ক্ষত্রিয় অরুক্ষয়ের তিন পুত্র ত্রর্য্যরুণ , পুষ্করী ও কপি ব্রাহ্মণ হইয়াছিলেন (মৎস পুরাণ) । পুরো বংশীয় ক্ষত্রিয় ঋষ্টি সেনের পুত্র দেবাপি স্বীয় ভ্রাতা শান্তনুর পৌরহিত্য করিয়াছিলেন (নিরুক্ত ২।১০) । সিন্ধুদিপ , দেবাপি ও বিশ্বমিত্র ক্ষত্রিয় হইয়াও ব্রাহ্মণত্ব লাভ করিয়াছিলেন (মহাভারত শল্য ৪০ ) । ক্ষত্রিয় জনক ব্রাহ্মণত্ব লাভ করেন (শতপথ ব্রাহ্মণ ) ।
শুধু তাহাই নয়—
জাতো ব্যাসস্তু কৈবর্ত্ত্যাঃ শ্বপাক্যাশ্চ পরাশরঃ ।
শুক্যাঃ শুকঃ কণাদাখ্যঃ ততোলুক্যাঃ সূতোহ ভবৎ ।।
মৃগীজঋষ্যশৃঙ্গোহপি
বশিষ্ঠো গণিকান্তজঃ ।
মন্দপালো মুনিশ্রেষ্ঠো নাবিকাপত্য উচ্যতে ।।
মান্ডব্যো মুনিরাজস্তু মন্ডুকী গর্ভসম্ভবঃ
বহবোহন্যোহপি বিপ্রত্বং প্রাপ্তা যে শূদ্রযোনয়ঃ ।।
📙 ( ভবিষ্য পুরাণ ব্রাহ্ম পর্ব্ব ৪২ অধ্যায় — বজ্রসূচী দ্রষ্টব্য ) ।
অর্থাৎ কৈবর্ত কন্যার গর্ভজাত মহর্ষি কৃষ্ণ দৈপায়ণ বেদব্যাস , শ্বপাক অনার্য্য কন্যার গর্ভজাত শাস্ত্র কর্তা পরাশর (ব্যাসের পিতা) , ম্লেচ্ছ কন্যা শুকীর গর্ভজাত শুকদেব (ব্যাসের পুত্র ; অনার্য্য কন্যা উলুকীর গর্ভজাত বৈশেষিক দর্শনাকার কণাদ ; শূদ্র কন্যা মৃগী’র গর্ভজাত ঋষ্যশৃঙ্গ ; বেশ্যার গর্ভজাত মহর্ষি মন্দপাল ; ব্যাধ জাতীয় কন্যা মুন্ডুকীর গর্ভজাত ঋষি মান্ডব্য ; তারা সকলেই ব্রাহ্মণ হইয়াছিলেন।
বারবিলাসিনী যাবালার পুত্র সত্যকাম ব্রাহ্মণ হইয়াছিলেন । (ছান্দোগ্যোপনিষৎ) ।
শ্রীকৃষ্ণ ক্ষত্রিয় বংশে জন্মিয়াও অভিমুন্যুর জাতকর্ম প্রভৃত্তি শুভকর্ম্মে পৌরহিত্য করিয়াছিলেন (মহাভারত আদি পর্ব্ব ২২১ বর্দ্ধমান রাজবাটীর ) ।
ক্ষত্রিয়া রেনুকার গর্ভে জন্মিয়া পরশুরাম ব্রাহ্মণ হইয়াছিলেন (মহাভারত -বন পর্ব্ব ১১৫।১৬) ।
অন্ধ মুনি বৈশ্য ছিলেন । শূদ্রাণী স্ত্রীর গর্ভে জন্মিয়াছিলেন ব্রাহ্মণ সিন্ধু মুনি । ইঁহাকে বধ করিয়া দশরথ ব্রহ্ম হত্যার পাপে লিপ্ত হইয়াছিলেন (রামায়ণ , অযোধ্যা কান্ড ৬৩।৫১) ।
দাসী পুত্র কক্ষীবাপ পূজনীয় ঋষি এবং দাসী পুত্র নারদ দেবর্ষি হইয়াছিলেন ।

ব্রাহ্মণ জরৎকারু অনার্য্য নাগ কন্যাকে বিবাহ করিয়াছিলেন , ইঁহারই গর্ভে ব্রাহ্মণ আস্তিক মুনি জন্মগ্রহণ করেন ।

।।অথর্ববেদ ষষ্ঠ কাণ্ড।।
।।অষ্টম সূক্ত।।
যথা বৃক্ষং লিবুজা সমন্তং পরিষস্বজে ।
এবা পরি ষ্বজস্ব মাং যথা মাং কামিন্যসো যথা মন্নাপগা অসঃ ॥১॥
পদার্থ– (যথা) যেভাবে (লিবুজা) লতা (বৃক্ষম্) বৃক্ষকে (সমন্তম্) সব দিক থেকে (পরিষস্বজে) দৃঢ় ভাবে আঁকড়ে ধরে, (এবা) তেমনি ভাবে (মাম্) আমাকে (পরি ষ্বজস্ব) তুমি প্রেমপূর্বক আঁকড়ে ধরো। (যথা) যার ফলে তুমি (মাম্) আমাকে (কামিনী অসঃ) অনন্য চিত্তে কামনা করো, (যথা) যার ফলে তুমি (মৎ) আমার থেকে (অপগাঃ) বিচ্যুত (ন অসঃ) হও না। ॥১॥
যথা সুপর্ণঃ প্রপতন্ পক্ষৌ নিহন্তি ভূম্যাম্ ।
এবা নি হন্মি তে মনো যথা মাং কামিন্যসো যথা মন্ নাপগা অসঃ ॥২॥
পদার্থ– (যথা) যেভাবে (সুপর্ণঃ) পাখি (ভূম্যাম্) ভূমিতে (প্রপতন্) বেগে নামতে থেকে (পক্ষৌ) পাখা দুটিকে (নিহন্তি) শিথিল [নিশ্চল] করে দেয়, (এবা) তেমনি ভাবে (তে) তোমার জন্য (মনঃ) আমার মন (নি হন্মি) নিশ্চল [সমর্পণ] করে দেই। (যথা) যার ফলে তুমি (মাম্) আমাকে (কামিনী অসঃ) অনন্য চিত্তে কামনা করো, (যথা) যার ফলে তুমি (মৎ) আমার থেকে (অপগাঃ) বিচ্যুত (ন অসঃ) হও না। ॥২॥
যথেমে দ্যাবাপৃথিবী সদ্যঃ পর্যেতি সূর্যঃ ।
এবা পর্যেমি তে মনো যথা মাং কামিন্যসো যথা মন্ নাপগা অসঃ ॥৩॥
পদার্থ– (যথা) যেভাবে (সূর্যঃ) সূর্য (সদ্যঃ) শীঘ্রই উদয় হতেই (দ্যাবাপৃথিবী) আকাশ ও পৃথিবীতে (পরি-এতি) [সূর্য রশ্মি] ব্যাপ্ত হয়ে যায়, (এবা) তেমনি ভাবে (তে মনঃ) তোমার মনে আমি (পর্যেমি) অতি দ্রুত ব্যাপ্ত হয়ে যাই৷ (যথা) যার ফলে তুমি (মাম্) আমাকে (কামিনী অসঃ) অনন্য চিত্তে কামনা করো, (যথা) যার ফলে তুমি (মৎ) আমার থেকে (অপগাঃ) বিচ্যুত (ন অসঃ) হও না। ॥৩॥
।।অথর্ববেদ ষষ্ঠ কাণ্ড।।
।।নবম কাণ্ড।।
বাঞ্ছ মে তন্বং পাদৌ বাঞ্ছাক্ষ্যৌ বাঞ্ছ সক্থ্যৌ ।
অক্ষ্যৌ বৃষণ্যন্ত্যাঃ কেশা মাং তে কামেন শুষ্যন্তু ॥১॥
পদার্থ– তুমি (মে) আমার (তন্বম্) শরীরকে (বাঞ্ছ) মন থেকে কামনা করো, (পাদৌ) পা দুটিকে (বাঞ্ছ) মন থেকে কামনা করো, (অক্ষ্যৌ) চোখ দুটিকে, (সক্থ্যৌ) ঊরু দুটিকে (বাঞ্ছ) কামনা করো। [অর্থাৎ আমার প্রত্যেক অঙ্গকে তুমি মন থেকে কামনা করো]। (বৃষণ্যন্ত্যাঃ) আমার প্রতি কামনাকারী (তে) তোমার (অক্ষ্যৌ) দুটি চোখ এবং (কেশাঃ) কেশগুচ্ছ (মাম্) আমাকে (কামেন) তোমার প্রবল কামনা দ্বারা (শুষ্যন্তু) সুখ প্রদানকারী হোক। ॥১॥
মম ত্বা দোষণিশ্রিষং কৃণোমি হৃদয়শ্রিষম্ ।
যথা মম ক্রতাবসো মম চিত্তমুপায়সি ॥২॥
পদার্থ– আমি (হৃদয়শ্রিষম্) হৃদয়ে আশ্রিত [বসবাসকারী] (ত্বা) তোমাকে (মম) আমার (দোষণিশ্রিষম্) বাহুতে আশ্রিত [আলিঙ্গন] (কৃণোমি) করব। (যথা) যার ফলে তুমি (মম) আমার (ক্রতৌ) হৃদয়ে বা বুদ্ধিতে (অসঃ) অবস্থান করো এবং (মম) আমার (চিত্তম্) চিত্ততে (উপায়সি) এসে বসবাস করো৷ ॥২॥
যাসাং নাভিরারেহণং হৃদি সংবননং কৃতং গাবো ঘৃতস্য মাতরোঽমূং সং বানয়ন্তু মে ॥৩॥
পদার্থ– (যাসাং) যার (হৃদি) হৃদয়ে (নাভিঃ) স্নেহ, (আরেহণম্) প্রশংসা এবং (সংবননম্) ভক্তি পরস্পর যুক্ত (কৃতম্) করা হয়েছে, (ঘৃতস্য) ঘৃতের (মাতরঃ) মাতৃরূপ (গাবঃ) গাভীর ন্যায় (অমূং) এই প্রিয়তমাকে (মে) আমার জন্য (সং বানয়ন্তু) প্রেমপূর্বক প্রেরিত করো৷

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

জাতিবাদ ও ভগবান মনু

  সম্পাদকীয় বর্তমান সময়ে দেশ অনেক গম্ভীর সমস্যায় গ্রস্ত আছে, তারমধ্যে একটা হল - জাতিবাদ। এই জাতিবাদের কারণে আমাদের দেশের অনেক বড় হানি হ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ