জান্নাতি রমণীদের কোরআনের ভাষায় বলা হয় ‘হুর’। এ শব্দটি কোরআন মাজিদের চারটি সুরায় ব্যবহূত হয়েছে।
প্রথমত, সুরা দোখানের ৫৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি তাদের আনতলোচনা স্ত্রী দেব।’
দ্বিতীয়ত, সুরা তুরের ২০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তারা সারিবদ্ধ সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে। আমি তাদের আনতলোচনা হুরদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে দেব।’
তৃতীয়ত, সুরা আর রাহমানের ৭২ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘(জান্নাতিদের জন্য রয়েছে) তাঁবুতে অবস্থানকারিণী হুরগণ।’ চতুর্থত, সুরা ওয়াকেয়ার ২২ থেকে ৩৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তথায় (জান্নাতে থাকবে) আনতনয়না হুরগণ, যারা আবরণে রক্ষিত মোতির মতো। তারা যা কিছু করত তার পুরস্কারস্বরূপ। তারা তথায় (জান্নাতে) অবান্তর ও কোনো পাপবাক্য শুনবে না, শুনবে সালাম আর সালাম (শান্তি, শান্তি)। যারা ডান দিকের দল, কত ভাগ্যবান ডান দিকের দল। তারা থাকবে এমন উদ্যানে, যেখানে আছে কাঁটাবিহীন কুলবৃক্ষ এবং কাঁদি কাঁদি কলা এবং দীর্ঘ ছায়ায় আর সদা প্রবাহিত পানি ও প্রচুর ফলমূল, যা শেষ হওয়ার নয় এবং নিষিদ্ধও নয়। আর থাকবে সমুন্নত শয্যায়। আমি জান্নাতি হুরদের বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি। তাদের করেছি চিরকুমারী, কামিনী, সমবয়স্কা।’
তাদের কাছে থাকবে নত, আয়তলোচনা তরুণীগণ।
ভ্রু এবং মাথার চুলছাড়া যাদের শরীরে কোন পশম থাকবে না। [Sunan al-Tirmidhi, hadith: 5638]
পরিপূর্ণ স্তন্যের অধিকারী, সমবয়স্কা। কিছু অনুবাদকের ভাষায়, যেই স্তনে কখনো মানুষের স্পর্শ পড়ে নি। সুরাটির তাফসির পড়ুন এখান থেকে।
মহানবী (সা.) বলেছেন, জান্নাতি রমণীদের চার রঙে সৃষ্টি করা হয়েছে। যেমন—সাদা, হলদে, সবুজ ও লাল। তাদের দেহ জাফরান, মৃগনাভি, আম্বর ও কাফুর দ্বারা সৃষ্টি। তাদের চুল লবঙ্গ দ্বারা সৃষ্টি। পা থেকে হাঁটু পর্যন্ত সুগন্ধি জাফরানের দ্বারা সৃষ্টি। হাঁটু থেকে নাভি পর্যন্ত মৃগনাভির দ্বারা তৈরি, নাভি থেকে ঘাড় পর্যন্ত আম্বরের তৈরি, ঘাড় থেকে মাথা পর্যন্ত কাফুরের তৈরি। যদি একজন রমণী পৃথিবীতে সামান্য থুতু নিক্ষেপ করত, তাহলে সমগ্র পৃথিবী সুঘ্রাণে মুখরিত হয়ে যেত, তাদের বক্ষের মধ্যে আল্লাহর নাম ও স্বামীর নাম লেখা থাকবে। প্রত্যেকের হাতে ১০টি করে স্বর্ণের কাঁকন থাকবে। প্রত্যেক আঙুলে থাকবে মুক্তার আংটি এবং উভয় চরণে থাকবে জহরতের নূপুর।
জান্নাত হলো মুমিনের চিরসুখের ঠিকানা। সেখানে সুখশান্তির অন্ত থাকবে না। সুখশান্তি ও আরাম-আয়েশের জন্য যা প্রদান করা প্রয়োজন তার সব কিছুই মুমিনদের জান্নাতে প্রদান করা হবে। স্বামী-স্ত্রী উভয় মুমিন হলে স্বামী তার দুনিয়ার স্ত্রী পাবে। অন্যথায় স্বামী মুমিন হলে তার জন্য অন্য স্ত্রীর ব্যবস্থা করা হবে। আর শুধু স্ত্রী মুমিন হলে তার জন্য সুখের যাবতীয় সুব্যবস্থা থাকবে। (দুররুন-নাসিহিন : ১/১০৬)
জান্নাতি হুরের বর্ণনা। . হে যুবক! তুমি একি করছ? টগবগে তোমার যৌববন তুমি কার পেছনে ব্যায় করছ, যাকে কিছুক্ষণ আগে ভ্রমর এসে মধু আহরন করেছে!! বরং তুমি তার দিকে যাও,,,,,,,,, নাম তার হুর। যে হবেন উঠতি বয়সের যুবতী রমণী। তাঁদের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে প্রবাহিত থাকবে নব যৌবনের স্বর্গীয় সুধা। তাদের গাল হবে গোলাপ ও আপেলের মত লাল মিশ্রিত সাদা বর্ণের। গলায় পরানো থাকবে মণি- মুক্তার অলংকার। তাদের চেহারা সূর্যের মত উজ্জ্বল চকচকে হবে। তারা যখন হাসবে, তখন তাদের মুখমন্ডল থেকে বিজলির মত আলোর চমক বের হতে থাকবে। জান্নাতবাসী একজন পুরুষ তাঁর স্ত্রীর গালে নিজের চেহারা দেখতে পাবেন। যেমন আয়নায় নিজের ছবি দেখতে পাওয়া যায়। মাংস ও পোষাকের ভিতরে আচ্ছাদিত হাড়ের মগজ সমূহ বাহির থেকে দেখা যাবে। জান্নাতের একজন হুর যদি দুনিয়াতে একবার দৃষ্টি দিত, তাহলে আকাশ ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থান সুভাসে ভরে যেত, সমস্ত সৃষ্টি আল্লাহর প্রশংসা ও বড়ত্ব বর্ণনা করত, পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তকে তথা সমগ্র পৃথিবীটাকে সুসজ্জিত করে দিতো, প্রতিটি চোখ সকল জিনিষ থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে তাঁর দিকে চেয়ে থাকত, সূর্যের আলোতে যেমন তারকারাজির আলো মিটে যায়, তেমনি তাঁর চেহারার আলোতে সূর্যের আলো মিটে যেত। বেহেশতের একজন হুরকে যদি দুনিয়ার মানুষেরা দেখতে পেত, তাহলে সকল দুনিয়াবাসী আল্লাহর উপর ঈমান আনয়ন করত। জান্নাতী মহিলার মাথার একটি ওড়নার মূল্য দুনিয়া ও তার মধ্যবর্তী সকল বস্তু হতেও বেশী হবে। হুরদের কাছে তাদের স্বামীদের সাথে মিলিত হওয়া জান্নাতের অন্যান্য সকল বস্তু হতে অধিক আনন্দময় হবে। তাদের স্বামীদের সাথে দীর্ঘকাল অতিবাহিত হওয়ার পরও তাদের সৌন্দর্য্য ও ভালবাসার বিন্দুমাত্র কমতি হবেনা। বরং কাল যতই অতিবাহিত হবে, ততই তাদের সৌন্দর্য্য ও ভালবাসা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। বেহেশতের হুরগণ সকল দোষ-ত্রুটি ও নাপাকী থেকে পূত-পবিত্র হবেন। তারা গর্ভধারণ, সন্তান প্রসব, মাসিক রক্তস্রাব, প্রস্রাব-পায়খান া সহ সকল প্রকার অপবিত্রতা থেকে সম্পূর্ণ পরিস্কার- পরিচ্ছ ন্ন থাকবেন। তাদের যৌবন শেষ হবেনা, পোষাক পুরাতন হবেনা। তাদের সাথে সহবাসে কোন ক্লান্তি বোধ হবেনা। তারা কেবল তাদের স্বামীদের উপরই দৃষ্টি অবনত রাখবেন। স্বামী ছাড়া অন্য কারও কথা মনে কল্পনাও করবেন না। স্বামীর চোখের দৃষ্টিও কেবল তাঁর দিকেই থাকবে। কারণ সেই তো তার একমাত্র চাওয়া-পাওয়ার বস্তু। তার দিকে তাকাইলে তাঁকে আনন্দিত করে তুলবেন। আদেশ দিলে তা পালন করবেন। তাকে রেখে কোথায়ও গেলে আমানতদারীর হেফাযত করবেন। মোট কথা জান্নাতী ব্যক্তি তার স্ত্রীকে নিয়ে চরম আনন্দে দিনাতিপাত করবেন। জান্নাতের স্ত্রীদেরকে তাদের স্বামীগণের পূর্বে কোন মানুষ বা জিন স্পর্শও করতে পারেনি। যখনই তার দিকে তাকাবেন, আনন্দে মন ভরে দিবেন, যখন কথা বলবেন ছন্দময় মিষ্টি কথা দ্বারা হৃদয় ভরে দিবেন। জান্নাতের রুমসমূহে যখন তারা ঘুরাফেরা করবে, তখন তাদের আলোতে রুমগুলো আলোময় হয়ে যাবে। বেহেশতের অধিবাসী নারী-পুরুষগণ হবেন একই বয়সের পরিপূর্ণ যুবক-যুবতী। আপনি যদি বেহেশতের হুরদের সৌন্দর্য্যরে ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন, তাহলে আপনি কি চন্দ্র ও সূর্যের সৌন্দর্য্য ও উজ্জ্বলতা প্রত্যক্ষ করেছেন? তাদের চোখের রং সম্পর্কে জানতে চাইলে জেনে নিন যে, তাদের চোখের রং হবে পরিস্কার সাদার মাঝেকাকের কালো চোখের মত কালো বর্ণের। তাদের শরীরের কোমলতা হবে বৃক্ষের কচি শাখা-পাতার ন্যায় নরম ও কোমল। আপনি যদি তাদের শরীরের রং সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, তবে জেনে নিন যে তাদের শরীরের রং হবে প্রবাল ও পদ্মরাগের মত উজ্জ্বল। জান্নাতে মুমিনদের জন্য রয়েছে সচ্চরিত্রা সুন্দরী রমণীগণ। তাদের বাহিরের সৌন্দর্যের সাথে সাথে অভ্যন্তরীণ চরিত্রও হবে অত্যন্ত সুন্দর ও পূত-পবিত্র। তারা হবে অন্তরের প্রশান্তি ও চক্ষু শীতলকারিনী। তারা হবে স্বামীদের কাছে অতি প্রিয় কোমল দেহ বিশিষ্ট আরব্য রমণীতুল্য। সেই রমণী সম্পর্কে আপনাদের কিরূপ ধারণা?ূূা তিনি যখন তার স্বামীর চেহারার দিকে তাকাবেন, তখন তার হাসিতে জান্নাত আলোময় হয়ে উঠবে। যখন তিনি এক প্রাসাদ থেকে অন্য প্রাসাদে গমণ করবেন, তখন আপনি দেখে বলবেন এই তো সূর্য তার কক্ষপথ ছেড়ে এখানে চলে এসেছে। যখন তিনি তার স্বামীর সাথে কথা বলবেন, তখন কতইনা সুন্দর হবে সেই কথোপকথন!!। যখন তাঁর স্বামীর সাথে আলিঙ্গন করবেন, তখন কতইনা সুন্দর হবে সেই আলিঙ্গন। হুরীরা যখন গান গাইবে, তখন কতইনা সুন্দর হবে সে গানের কন্ঠ!!। যখন তাদের সাথে মেলামেশা করবেন,
গ্রন্থের নামঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [1669]
অধ্যায়ঃ ২৫/ জিহাদের ফযীলত
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ শহীদের সাওয়াব।
১৬৬৯। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রহমান (রহঃ) … মিকদাম ইবনু মা‘দীকারির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর কাছে শহীদদের জন্য রয়েছে ছয়টি বৈশিষ্টঃ রক্ত ক্ষরণের প্রথম মূহূর্তেই তাকে মাফ করা হবে। জান্নাতে তার নির্ধারিত স্থান প্রদর্শন করা হবে। কবর আযাব থেকে তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। সবচেয়ে মহাভীতির দিনে তাকে নিরাপদে রাখা হবে, তাঁর মাথায় সম্মানের তাজ পরানে হবে, এর একটি ইয়াকুত পাথর দুনিয়া ও এর সব কিছু থেকে উত্তম হবে; বাহাত্তর জন আয়াত লোচন হুরের সঙ্গে তার বিবাহ হবে, তার সত্তর জন নিকট আত্মীয় সম্পর্কে তার সুপারিশ কবুল করা হবে। সহীহ, আহকামুল জানায়িয ৩৫-৩৬, তা’লীকুর রাগীব ২/১৯৪, সহীহাহ ৩২১৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৬৬৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নম্বরঃ [1669]
অধ্যায়ঃ ২৫/ জিহাদের ফযীলত
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ শহীদের সাওয়াব।
১৬৬৯। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রহমান (রহঃ) … মিকদাম ইবনু মা‘দীকারির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর কাছে শহীদদের জন্য রয়েছে ছয়টি বৈশিষ্টঃ রক্ত ক্ষরণের প্রথম মূহূর্তেই তাকে মাফ করা হবে। জান্নাতে তার নির্ধারিত স্থান প্রদর্শন করা হবে। কবর আযাব থেকে তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। সবচেয়ে মহাভীতির দিনে তাকে নিরাপদে রাখা হবে, তাঁর মাথায় সম্মানের তাজ পরানে হবে, এর একটি ইয়াকুত পাথর দুনিয়া ও এর সব কিছু থেকে উত্তম হবে; বাহাত্তর জন আয়াত লোচন হুরের সঙ্গে তার বিবাহ হবে, তার সত্তর জন নিকট আত্মীয় সম্পর্কে তার সুপারিশ কবুল করা হবে। সহীহ, আহকামুল জানায়িয ৩৫-৩৬, তা’লীকুর রাগীব ২/১৯৪, সহীহাহ ৩২১৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৬৬৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত]
হাদিস নম্বরঃ [1663]
অধ্যায়ঃ ২০/ জিহাদের ফাযীলাত
পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী
পরিচ্ছদঃ ২৫. শহীদের সাওয়াব
১৬৬৩। মিকদাম ইবনু মা’দীকারিব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শহীদের জন্য আল্লাহ্ তা’আলার নিকট ছয়টি পুরস্কার বা সুযোগ আছে। তার প্রথম রক্তবিন্দু পড়ার সাথে সাথে তাকে ক্ষমা করা হয়, তাকে তার জান্নাতের বাসস্থান দেখানো হয়, কবরের আযাব হতে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়, সে কঠিন ভীতি হতে নিরাপদ থাকবে, তার মাথায় মর্মর পাথর খচিত মর্যাদার টুপি পরিয়ে দেওয়া হবে। এর এক একটি পাথর দুনিয়া ও তার মধ্যকার সবকিছু হতে উত্তম। তার সাথে টানা টানা আয়তলোচনা বাহাত্তরজন জান্নাতী হুরকে বিয়ে দেওয়া হবে এবং তার সত্তরজন নিকটাত্মীয়ের জন্য তার সুপারিশ কুবুল করা হবে।
সহীহ, আহকা-মুল জানায়িজ (৩৫-৩৬), তা’লীকুর রাগীব (২/১৯৪), সহীহা (৩২১৩)
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ গারীব বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নম্বরঃ [1663]
অধ্যায়ঃ ২০/ জিহাদের ফাযীলাত
পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী
পরিচ্ছদঃ ২৫. শহীদের সাওয়াব
১৬৬৩। মিকদাম ইবনু মা’দীকারিব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শহীদের জন্য আল্লাহ্ তা’আলার নিকট ছয়টি পুরস্কার বা সুযোগ আছে। তার প্রথম রক্তবিন্দু পড়ার সাথে সাথে তাকে ক্ষমা করা হয়, তাকে তার জান্নাতের বাসস্থান দেখানো হয়, কবরের আযাব হতে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়, সে কঠিন ভীতি হতে নিরাপদ থাকবে, তার মাথায় মর্মর পাথর খচিত মর্যাদার টুপি পরিয়ে দেওয়া হবে। এর এক একটি পাথর দুনিয়া ও তার মধ্যকার সবকিছু হতে উত্তম। তার সাথে টানা টানা আয়তলোচনা বাহাত্তরজন জান্নাতী হুরকে বিয়ে দেওয়া হবে এবং তার সত্তরজন নিকটাত্মীয়ের জন্য তার সুপারিশ কুবুল করা হবে।
সহীহ, আহকা-মুল জানায়িজ (৩৫-৩৬), তা’লীকুর রাগীব (২/১৯৪), সহীহা (৩২১৩)
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ গারীব বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
এর তফসিরে বলা হয়েছে,
[*] كواعب শব্দটি كاعب-এর বহুবচন। যার অর্থ হল পায়ের গাঁট। যেমন গাঁট উঁচু হয়ে থাকে, ঠিক তেমনি তাদের স্তনগুলিও অনুরূপ উঁচু উঁচু হবে; যা তাদের রূপ-সৌন্দর্যের একটি সুদৃশ্য। (অর্থাৎ তারা সদ্য উদ্ভিন্ন স্তনের ষোড়শী তরুণী হবে।) أتراب শব্দের অর্থ হল সমবয়স্ক।
[ গ্রন্থঃ তাফসীরে আহসানুল বায়ান। অনুবাদঃ শায়েখ আব্দুল হামিদ ফাইজী ]
[*] كواعب শব্দটি كاعب-এর বহুবচন। যার অর্থ হল পায়ের গাঁট। যেমন গাঁট উঁচু হয়ে থাকে, ঠিক তেমনি তাদের স্তনগুলিও অনুরূপ উঁচু উঁচু হবে; যা তাদের রূপ-সৌন্দর্যের একটি সুদৃশ্য। (অর্থাৎ তারা সদ্য উদ্ভিন্ন স্তনের ষোড়শী তরুণী হবে।) أتراب শব্দের অর্থ হল সমবয়স্ক।
[ গ্রন্থঃ তাফসীরে আহসানুল বায়ান। অনুবাদঃ শায়েখ আব্দুল হামিদ ফাইজী ]
অপূর্ব সুন্দরী, ভার্জিন, যারা পেশাব পায়খানা পর্যন্ত করবে না, মাসিক হবে না, যতই যৌন কর্ম করুক তারা কোনদিন গর্ভবতী হবে না। যেসব নারীর হাইমেন চির অক্ষত থাকবে অসংখ্যবার সেক্সের পরেও। অর্থাৎ তারা সতী থাকবে, যতবার সেক্সই তারা করুক না কেনঃ
তিরমিজী, অধ্যায় ২, পৃষ্ঠা-১৩৮:
প্রত্যেক বেহেশতবাসীকে দেওয়া হবে ৭২টি অনিন্দ্য সুন্দরী হুরী তাদের ভোগের জন্য। বেহেশতবাসীরা যেকোন বয়সেই মারা যাক না কেন, তারা যখন বেহেশতে প্রবেশ করবে তখন তাদের বয়স হবে ৩০ বৎসরের যুবকের ন্যায় এবং তাদের বয়সে আর কোন পরিবর্তন হবে না; আর প্রত্যেক বেহেশতবাসীকে ১০০টি শক্তিশালী পুরুষের সমান যৌনশক্তি দান করা হবে।
প্রত্যেক বেহেশতবাসীকে দেওয়া হবে ৭২টি অনিন্দ্য সুন্দরী হুরী তাদের ভোগের জন্য। বেহেশতবাসীরা যেকোন বয়সেই মারা যাক না কেন, তারা যখন বেহেশতে প্রবেশ করবে তখন তাদের বয়স হবে ৩০ বৎসরের যুবকের ন্যায় এবং তাদের বয়সে আর কোন পরিবর্তন হবে না; আর প্রত্যেক বেহেশতবাসীকে ১০০টি শক্তিশালী পুরুষের সমান যৌনশক্তি দান করা হবে।
সহি হাদিস, অধ্যায় ৪, পৃষ্ঠা-১৭২, নং ৩৪
হযরত আলী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, নবী (সঃ) বলেছেন যে বেহেশতে একটি মস্তবড় খোলা বাজার থাকবে, যেখানে কোন কেনাবেচা হবে না। সেখানে শুধুই থাকবে অতিসুন্দরী উন্নতবক্ষা হুরীগণ, যারা ফলের দোকানের ন্যায় সেজেগুজে বসে থাকবে বেহেশতবাসীদেরকে আকর্ষণ করার জন্য। বেহেশতবাসীদের পছন্দ হলেই তৎক্ষণাৎ তারা সে হুরীর সঙ্গে যৌন কাজ শুরু করে দেবে ঠিক সেখানেই।
হযরত আলী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, নবী (সঃ) বলেছেন যে বেহেশতে একটি মস্তবড় খোলা বাজার থাকবে, যেখানে কোন কেনাবেচা হবে না। সেখানে শুধুই থাকবে অতিসুন্দরী উন্নতবক্ষা হুরীগণ, যারা ফলের দোকানের ন্যায় সেজেগুজে বসে থাকবে বেহেশতবাসীদেরকে আকর্ষণ করার জন্য। বেহেশতবাসীদের পছন্দ হলেই তৎক্ষণাৎ তারা সে হুরীর সঙ্গে যৌন কাজ শুরু করে দেবে ঠিক সেখানেই।
মিসকাত অধ্যায় ৩, পৃষ্ঠা-৮৩-৯৭
হুরীগণ এত বেশি সুন্দরী ও রূপসী হবে যে, তারা যদি আকাশের জানালা দিয়ে পৃথিবীর দিকে তাঁকায়, তাহলে সমস্ত দুনিয়া আলোকিত হবে এবং সুগ্রানে ভরে যাবে আকাশ ও পৃথিবীর মাঝখানের সব জায়গা। একজন হুরীর মুখমণ্ডল হবে আয়নার চেয়েও মসৃন বা পরিস্কার, যাতে নিজ চেহারা দেখতে পাবে এবং হুরীর পায়ের মজ্জা দেখা যাবে খালি চোখে।
হুরীগণ এত বেশি সুন্দরী ও রূপসী হবে যে, তারা যদি আকাশের জানালা দিয়ে পৃথিবীর দিকে তাঁকায়, তাহলে সমস্ত দুনিয়া আলোকিত হবে এবং সুগ্রানে ভরে যাবে আকাশ ও পৃথিবীর মাঝখানের সব জায়গা। একজন হুরীর মুখমণ্ডল হবে আয়নার চেয়েও মসৃন বা পরিস্কার, যাতে নিজ চেহারা দেখতে পাবে এবং হুরীর পায়ের মজ্জা দেখা যাবে খালি চোখে।
তিরমিজি,অধ্যায় ২, পৃষ্ঠা ৩৫-৪০
একজন হুরী অনিন্দ্য সুন্দরী যুবতী, যার শরীর হবে আয়নার মত স্বচ্ছ বা মসৃন। তার পায়ের হাড়ের ভেতরের মজ্জা দেখতে পাওয়া যাবে যেন মনি-মুক্তার ভেতরে রেখার ন্যায়। তাকে মনে হবে একটি সাদা গ্লাসে রাখা লাল মদের ন্যায়। সে হবে সাদা রং-এর দুধে আলতা মিশানো, এবং তার কখনো হায়েজ (মাসিক), পেশাব, পায়খানা, গর্ভবতি হওয়া ইত্যাদি কিছুই হবে না। হুরি হবে অল্প-বয়স্কা, যার বক্ষ-যুগল হবে বড় বড় ও গোলাকার, যা কখনোই ঝুলে পড়বে না; সব সময় তীরের ন্যায় চোকা থাকবে। এসব হুরীগণ থাকবেন এক অতি উজ্জ্বল এবং জৌলুসপূর্ণ জায়গায়।
একজন হুরী অনিন্দ্য সুন্দরী যুবতী, যার শরীর হবে আয়নার মত স্বচ্ছ বা মসৃন। তার পায়ের হাড়ের ভেতরের মজ্জা দেখতে পাওয়া যাবে যেন মনি-মুক্তার ভেতরে রেখার ন্যায়। তাকে মনে হবে একটি সাদা গ্লাসে রাখা লাল মদের ন্যায়। সে হবে সাদা রং-এর দুধে আলতা মিশানো, এবং তার কখনো হায়েজ (মাসিক), পেশাব, পায়খানা, গর্ভবতি হওয়া ইত্যাদি কিছুই হবে না। হুরি হবে অল্প-বয়স্কা, যার বক্ষ-যুগল হবে বড় বড় ও গোলাকার, যা কখনোই ঝুলে পড়বে না; সব সময় তীরের ন্যায় চোকা থাকবে। এসব হুরীগণ থাকবেন এক অতি উজ্জ্বল এবং জৌলুসপূর্ণ জায়গায়।
হাদিস নং ৪৩৩৭ ইবনে মাজাহ, ভলিউম-৫, পৃষ্ঠা-৫৪৭:
আবু ওমামা (রাঃ) বলেছেন যে আল্লাহর রসুল (দঃ) বলেছেন, “আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বেহেশতে স্থান দিবেন এবং প্রতিটি বেহেশতবাসীকে বিবাহ দিবেন ৭২টি অনিন্দ্য সুন্দরী রমণীর সঙ্গে; যাদের মধ্যে দুইজন হবে চিরকুমারি (virgin) আয়োতলোচনা এবং বড়-বড় চোখওয়ালা হুরী, এবং বাকী ৭০জন হবে উত্তরাধিকার, যা সে লাভ করবে দোজখবাসীদের হিস্যা থেকে বা গনীমতের মাল থেকে। প্রত্যেকটি সুন্দরী রমণী বা কন্যার থাকবে খুব সুখদায়ক যৌনাঙ্গ (pleasant vagina) এবং বেহেশতি পুরুষের যৌনাঙ্গ (penis) সর্বদাই শক্ত ও খাড়া হয়ে থাকবে (Permanent erection), কখনো বাঁকা হবে না যৌনতার সময়। অর্থাৎ মূলত পুরুষাঙ্গটি সবসময়ই হুরীদের যোনির ভেতরে প্রবিষ্ট থাকবে পালাক্রমে একের পর এক প্রায় ৭০ বৎসর ধরে।
আবু ওমামা (রাঃ) বলেছেন যে আল্লাহর রসুল (দঃ) বলেছেন, “আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বেহেশতে স্থান দিবেন এবং প্রতিটি বেহেশতবাসীকে বিবাহ দিবেন ৭২টি অনিন্দ্য সুন্দরী রমণীর সঙ্গে; যাদের মধ্যে দুইজন হবে চিরকুমারি (virgin) আয়োতলোচনা এবং বড়-বড় চোখওয়ালা হুরী, এবং বাকী ৭০জন হবে উত্তরাধিকার, যা সে লাভ করবে দোজখবাসীদের হিস্যা থেকে বা গনীমতের মাল থেকে। প্রত্যেকটি সুন্দরী রমণী বা কন্যার থাকবে খুব সুখদায়ক যৌনাঙ্গ (pleasant vagina) এবং বেহেশতি পুরুষের যৌনাঙ্গ (penis) সর্বদাই শক্ত ও খাড়া হয়ে থাকবে (Permanent erection), কখনো বাঁকা হবে না যৌনতার সময়। অর্থাৎ মূলত পুরুষাঙ্গটি সবসময়ই হুরীদের যোনির ভেতরে প্রবিষ্ট থাকবে পালাক্রমে একের পর এক প্রায় ৭০ বৎসর ধরে।
আবু উমামা কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল বলেছেন, ‘আল্লাহ যাদের জান্নাতে প্রেরণ করবেন, তাদের প্রত্যেককে ৭২ খানা স্ত্রীর সহিত বিবাহ দেয়া হইবে; যার দুইখানা হুরি এবং বাকি সত্তরখানা হবে জাহান্নামবাসীদের সম্পত্তির। তাদের সকলের থাকবে কামুক যৌনাঙ্গ এবং তার লিঙ্গ থাকবে অনন্তকাল উত্থিত।
[সুনান ইবনে মাজা, যুহ্দ (Book of Abstinence) ৩৯]
[সুনান ইবনে মাজা, যুহ্দ (Book of Abstinence) ৩৯]
দারাজ ইবনে আবি হাতিম কর্তৃক উল্লেখিত, আবু সাইদ আল-খুদরির নিকট হইতে প্রাপ্ত, আবু আল-হায়থাম’আবদুল্লাহ ইবনে ওহাব কর্তৃক বর্ণিত, যিনি শুনেছেন, নবী (সঃ) বলেছেন,’ জান্নাতের সবচে ছোট পুরস্কার হবে একটি প্রাকৃতিক ঘর, যেখানে আট হাজার ভৃত্য এবং ৭২ খানা হুরি থাকবে, যার গম্বুজ থাকবে মুক্তো, পান্না ও চুনী দ্বারা সজ্জিত, এবং যা প্রশ্বস্ত হবে আল-জাবিয়াহ থেকে সানার মধ্যকার দুরত্বের সমান।
[আল-তিরমিজি, ভল্যুম ৪, চ্যাপ্টার ২১, নাম্বার ২৬৮৭]
[আল-তিরমিজি, ভল্যুম ৪, চ্যাপ্টার ২১, নাম্বার ২৬৮৭]
একজন হুরির সাথে প্রতিবার শয্যাগ্রহনকালে আমরা তাকে কুমারী হিসেবে পাব। তাছাড়া জান্নাতিদের লিঙ্গ কখনো নমনীয় হবে না। এই লিঙ্গোত্থান হবে অনন্তকালের জন্য; প্রতিবার তোমরা যে আনন্দ উপভোগ করবে, তা হবে পরম তৃপ্তিদায়ক যা এই দুনিয়ার কেউ পায় নি, এবং তোমরা যদি সেই পুলক দুনিয়াতে থেকে লাভ করতে তাহলে অজ্ঞান হয়ে যেতে। নির্বাচিত প্রতিটি মুসলিম বান্দা তাদের পৃথিবীর স্ত্রীদের ছাড়া আরও ৭০ খানা হুরির সহিত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হইবে, এবং তাদের সকলের থাকবে অত্যন্ত কামুক যোনী।
[আল-ইতকান ফি উলুম আল-কুরান, পৃঃ ৩৫১]
[আল-ইতকান ফি উলুম আল-কুরান, পৃঃ ৩৫১]
জান্নাত আরবি শব্দ। এর অর্থ উদ্যান, বাগান। মহানবী (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য এমন সব নিয়ামত প্রস্তুত করে রেখেছি, যা কোনো চক্ষু দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো মানুষের মনে এ সম্পর্কে কোনো ধারণাও জন্মেনি। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৯৯৪)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জান্নাতে মুমিনদের জন্য মোতির গাঁথুনি করা একটি তাঁবু আছে। এর উচ্চতা ৩০ মাইল। এর প্রত্যেক কোণে মুমিনদের জন্য এমন নারীরা থাকবে যাদের কেউ দেখেনি। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৯৯৩)
আনাস ইবন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জান্নাতে এমন একটি বৃক্ষ রয়েছে, কোনো সওয়ারি তার ছায়ায় এক শ বছর ধরে চললেও তা অতিক্রম করতে পারবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৯৯০)
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে নবী! যারা ঈমান আনে এবং সত্কর্ম করে, তাদের সুখবর দিন, তাদের জন্য রয়েছে এমন জান্নাত, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবহমান থাকবে। যখনই তাদের ফলমূল খেতে দেওয়া হবে, তারা বলবে, এরূপ ফলই তো আগে আমাদের দেওয়া হতো। তাদের বাহ্যিক দৃষ্টিতে একই ধরনের ফলমূল দেওয়া হবে (তবে স্বাদ হবে ভিন্ন)। আর সেখানে তাদের জন্য রয়েছে পবিত্র সঙ্গী। তারা সেখানে অনন্তকাল বসবাস করবে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫) জান্নাতে থাকবে চারটি নদী—একটি পানির, একটি মধুর, একটি দুধের এবং একটি শরাবের।
জান্নাতিদের আকৃতি
মহানবী (সা.) বলেছেন, আমার ৭০ হাজার উম্মত একসঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের চেহারা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৯৮৯)
আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জান্নাতে প্রবেশকারী প্রথম দলের চেহারা হবে ১৪ তারিখের চন্দ্রের মতো। জান্নাতে তাদের থুতু আসবে না। নাকে সর্দি ঝরবে না, মলত্যাগ করতে হবে না। তাদের ঘাম মেশকের মতো সুগন্ধিযুক্ত হবে। প্রত্যেকে দুজন করে এমন স্ত্রী পাবে, অত্যধিক সৌন্দর্যের কারণে তাদের মাংস ভেদ করে হাড়ের ভেতরের মজ্জাও দেখা যাবে। জান্নাতিদের মধ্যে মতভেদ দেখা দেবে না। পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি হবে না। সবাই এক মন, এক প্রাণ হয়ে থাকবে। সকাল-বিকাল তারা আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণায় রত থাকবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৯৯৫)
প্রিয় নবী (সা.) আরো বলেন, জান্নাতিরা অসুস্থ হবে না, কখনো তাদের নাকে সর্দি ঝরবে না। থুতু আসবে না। তাদের বাসন হবে সোনা ও রুপার। চিরুনি হবে স্বর্ণনির্মিত। তাদের আংটিসমূহ মুক্তার মতো চিকচিক করতে থাকবে। (বুখারি, হাদিস : ২৯৯৬)
জান্নাতিরা হবে ৩৩ বছরের যুবক-যুবতি, দৈর্ঘ্যে হবে ৬০ হাত, জান্নাতিরা অতি উজ্জ্বল চেহারার অধিকারী। জান্নাতে যে ফলমূল দেওয়া হবে, তা দেখতে এক রকম হলেও স্বাদে-গন্ধে হবে ভিন্নতর ও বৈচিত্র্যময়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তারা পরিধান করবে চিকন ও পুরু রেশমি বস্ত্র এবং মুখোমুখি হয়ে (গদিতে) বসবে।’ (সুরা দোখান, আয়াত : ৫৩)
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ