বাক্ রশ্মিই আকাশ। বহু রশ্মিকে বাক্ রশ্মি বলা হয়।
আকাশ এক পদার্থ। আকাশের নির্মান হবার পূর্বে বহু সূক্ষ প্রাণঃরশ্মি, ছন্দরশ্মি,মরুত আদি রশ্মি নির্মান হয়ে থাকে। যখন আকাশ ছিল না তখন সব অবকাশ ছিল।
আকাশ নিয়ে বিভিন্ন ঋষিদের উক্তি এবং ব্রাহ্মণগ্রন্থের উক্তি।
(গোপথ ব্রাহ্মণ পূর্বাদ্ধ ২/২৪) অন্তরিক্ষ বৈ যজুষম্ অন্তরিক্ষম্।।
অর্থাৎ যজুংষি ছন্দরশ্মিই আকাশ। যজু মন্ত্রে যত ছন্দ ও অক্ষর রশ্মি আছে তাহার দ্বারা আকাশ নির্মিত।
(তৈত্তিরীয় আরণ্যক ৭/৫/১) ভূব ইত্যোন্তরিক্ষম্।।
ভূবঃ ব্যাহৃতি রশ্মিই অন্তরিক্ষ।
(জৈমিনী ব্রাহ্মণ ৪/১১ এবং ১/১১) বাগ্ ইতি অন্তরিক্ষম্।
বাক্ রশ্মিই অন্তরিক্ষ।। বেদ মন্ত্র সকল এবং ছন্দই বাক্ রশ্মি। অর্থাৎ বহু সখ্যক বেদ ঋচা তথা যজু ঋচা দ্বারা অন্তরিক্ষ বা অাকাশ নির্মিত।
(কাঠক সংহিতা ১৬/২) আত্মা অন্তরিক্ষম্।
সূত্রাত্মা বায়ূই অন্তরিক্ষ। সূত্রাত্মা প্রাণ রশ্মি সকল রশ্মির জন্মদাতা ও ধারণ কর্তা। মনস্তত্বে এই রশ্মি সৃষ্টি হবার সাথে সাথে আকাশ তত্বের সম্প্রীরণ হতে থাকে।
(শতপথ ৮/৩/৪/১১) ত্রিষ্টুভম্ অন্তরিক্ষম্। ত্রিষ্টুভ ছন্দরশ্মিই অন্তরিক্ষ বা আকাশ।
সৃষ্টিতে এই ছন্দরশ্মি উৎপন্ন হবার সাথে সাথে অাকাশ তত্ব প্রভাবিত হতে থাকে।
(তান্ড্য ব্রাহ্মণঃ ৭/৩/৯) অয়ম্ মধ্যম লোকঃ অন্তরিক্ষম্ বৃহতী।
বৃহতী ছন্দরশ্মিই এই মধ্য লোক তথা অন্তরিক্ষ বা আকাশ। বৃহতী ছন্দের সম্প্রীরণ হবার সাথে সাথে আকাশ তত্বের নির্মান হতে থাকে।
(শতপথব্রাহ্মণ ১/২/১৬) অন্তরিক্ষ এব দ্যাবা পৃথিবী বিষ্টব্দে। বিভিন্ন প্রকারের বাক্ রশ্মি দ্বারা প্রকাশিত বা অপ্রকাশিত লোকের নির্মান তথা আকাশের নির্মাণ হয়ে থাকে।
(শতপথব্রাহ্মণ ৯/৩/১/৩) অন্তরিক্ষ এব বিশ্বম্ বায়ূর নরঃ। অন্তরিক্ষ ই দিব্যবায়ূ তথ্য প্রান রশ্মি ও ছন্দরশ্মি এবং মরুত রশ্মি সম্প্রীরণ হতে সৃষ্টি হয়।
(ঐতরেয় ব্রাহ্মণ ২/৪/১) অন্তরিক্ষম্ মরিচ।। অন্তরিক্ষই মরিচী লোক। দিব্য বায়ূলোকই মরীচি লোক।
(ঐতরেয় ব্রাহ্মণ ২/৩/১) আবপনম্ আকশম্ ইদম্ সমত্ততে।
(জৈমিনী ব্রাহ্মণ ২/১৮) স ইমান প্রানাণঃ প্রাণ আকাশান্ অভি নির্মানাতি।
সমগ্র প্রাণরশ্মি সকলই আকাশ।
(তৈত্তীরিয় ব্রাহ্মণ ৫/৬/৮/৫) প্রাণঃ বা অন্তরিক্ষম্। প্রাণরশ্মিই আকাশ। বহু সকল প্রাণ রশ্মির সম্প্রীরনে আকাশ সৃষ্টি হয়।
(কপিষ্ঠল ৩১/১৩) পশবো অন্তরিক্ষম্। পশুসকল ই অন্তরিক্ষ। মরুত রশ্মি বা বিভিন্ন ছন্দ আদি প্রাণরশ্মির নাম পশু।
আকাশ সম্পর্কে মহাবিজ্ঞানী ব্রহ্মাজীর বচন ( মহাভারত অশ্বমেধিক অনুগীতা পর্বের ১ এবং ১৮ শ্লোক বিধেয়।
মহামুনি ভারদ্বাজ ( মজাভারত শান্তিপর্ব মোক্ষ ধর্ম পর্ব অধ্যায় ১৮৩ এর বচন বিধেয়)
আকাশ সম্পর্কে এই দুই মহান বিজ্ঞানী তাদের মত ব্যক্ত করেছেন।
আকাশ এক পদার্থ। আকাশের নির্মান হবার পূর্বে বহু সূক্ষ প্রাণঃরশ্মি, ছন্দরশ্মি,মরুত আদি রশ্মি নির্মান হয়ে থাকে। যখন আকাশ ছিল না তখন সব অবকাশ ছিল।
আকাশ নিয়ে বিভিন্ন ঋষিদের উক্তি এবং ব্রাহ্মণগ্রন্থের উক্তি।
(গোপথ ব্রাহ্মণ পূর্বাদ্ধ ২/২৪) অন্তরিক্ষ বৈ যজুষম্ অন্তরিক্ষম্।।
অর্থাৎ যজুংষি ছন্দরশ্মিই আকাশ। যজু মন্ত্রে যত ছন্দ ও অক্ষর রশ্মি আছে তাহার দ্বারা আকাশ নির্মিত।
(তৈত্তিরীয় আরণ্যক ৭/৫/১) ভূব ইত্যোন্তরিক্ষম্।।
ভূবঃ ব্যাহৃতি রশ্মিই অন্তরিক্ষ।
(জৈমিনী ব্রাহ্মণ ৪/১১ এবং ১/১১) বাগ্ ইতি অন্তরিক্ষম্।
বাক্ রশ্মিই অন্তরিক্ষ।। বেদ মন্ত্র সকল এবং ছন্দই বাক্ রশ্মি। অর্থাৎ বহু সখ্যক বেদ ঋচা তথা যজু ঋচা দ্বারা অন্তরিক্ষ বা অাকাশ নির্মিত।
(কাঠক সংহিতা ১৬/২) আত্মা অন্তরিক্ষম্।
সূত্রাত্মা বায়ূই অন্তরিক্ষ। সূত্রাত্মা প্রাণ রশ্মি সকল রশ্মির জন্মদাতা ও ধারণ কর্তা। মনস্তত্বে এই রশ্মি সৃষ্টি হবার সাথে সাথে আকাশ তত্বের সম্প্রীরণ হতে থাকে।
(শতপথ ৮/৩/৪/১১) ত্রিষ্টুভম্ অন্তরিক্ষম্। ত্রিষ্টুভ ছন্দরশ্মিই অন্তরিক্ষ বা আকাশ।
সৃষ্টিতে এই ছন্দরশ্মি উৎপন্ন হবার সাথে সাথে অাকাশ তত্ব প্রভাবিত হতে থাকে।
(তান্ড্য ব্রাহ্মণঃ ৭/৩/৯) অয়ম্ মধ্যম লোকঃ অন্তরিক্ষম্ বৃহতী।
বৃহতী ছন্দরশ্মিই এই মধ্য লোক তথা অন্তরিক্ষ বা আকাশ। বৃহতী ছন্দের সম্প্রীরণ হবার সাথে সাথে আকাশ তত্বের নির্মান হতে থাকে।
(শতপথব্রাহ্মণ ১/২/১৬) অন্তরিক্ষ এব দ্যাবা পৃথিবী বিষ্টব্দে। বিভিন্ন প্রকারের বাক্ রশ্মি দ্বারা প্রকাশিত বা অপ্রকাশিত লোকের নির্মান তথা আকাশের নির্মাণ হয়ে থাকে।
(শতপথব্রাহ্মণ ৯/৩/১/৩) অন্তরিক্ষ এব বিশ্বম্ বায়ূর নরঃ। অন্তরিক্ষ ই দিব্যবায়ূ তথ্য প্রান রশ্মি ও ছন্দরশ্মি এবং মরুত রশ্মি সম্প্রীরণ হতে সৃষ্টি হয়।
(ঐতরেয় ব্রাহ্মণ ২/৪/১) অন্তরিক্ষম্ মরিচ।। অন্তরিক্ষই মরিচী লোক। দিব্য বায়ূলোকই মরীচি লোক।
(ঐতরেয় ব্রাহ্মণ ২/৩/১) আবপনম্ আকশম্ ইদম্ সমত্ততে।
(জৈমিনী ব্রাহ্মণ ২/১৮) স ইমান প্রানাণঃ প্রাণ আকাশান্ অভি নির্মানাতি।
সমগ্র প্রাণরশ্মি সকলই আকাশ।
(তৈত্তীরিয় ব্রাহ্মণ ৫/৬/৮/৫) প্রাণঃ বা অন্তরিক্ষম্। প্রাণরশ্মিই আকাশ। বহু সকল প্রাণ রশ্মির সম্প্রীরনে আকাশ সৃষ্টি হয়।
(কপিষ্ঠল ৩১/১৩) পশবো অন্তরিক্ষম্। পশুসকল ই অন্তরিক্ষ। মরুত রশ্মি বা বিভিন্ন ছন্দ আদি প্রাণরশ্মির নাম পশু।
আকাশ সম্পর্কে মহাবিজ্ঞানী ব্রহ্মাজীর বচন ( মহাভারত অশ্বমেধিক অনুগীতা পর্বের ১ এবং ১৮ শ্লোক বিধেয়।
মহামুনি ভারদ্বাজ ( মজাভারত শান্তিপর্ব মোক্ষ ধর্ম পর্ব অধ্যায় ১৮৩ এর বচন বিধেয়)
আকাশ সম্পর্কে এই দুই মহান বিজ্ঞানী তাদের মত ব্যক্ত করেছেন।
মনস্তত্ব নির্মান হবার পরে। মনকে আশ্রয় করে বিভিন্ন রশ্মিয়া জন্মগ্রহন করে অার সেই রশ্মির প্রভাবে আকাশের নির্মান হয়ে থাকে। পাচ ভূতগনের মধ্যে অাকাশ তত্বই সর্বপ্রথম জাত হয়। অাধুনিক বিজ্ঞান আকাশকে ভ্যাকুয়ম এনার্জি বলে থাকে। অাধুনিক বিজ্ঞান আকাশ সম্পর্কে তেমন কিছু ব্যক্ত করতে পারেন নাই। তারা আকাশকে নির্মান বিজ্ঞান জানেন না এ সম্পর্কে তারা অপরিচিত। কিন্তু আমাদের বেদ এবং ঋষিরা আকাশের পূর্ণ নির্মান রহস্য লক্ষ লক্ষ বছর পূর্বে বলে গেছেন। এটিই সনাতন শাস্ত্রের বা ধর্মের মহত্ব। পৃথিবীর আর কোন ধর্মমত সৃষ্টি তত্বকে কোনভাবেই বর্ননা করতে পারেন নি। বরং তার ভ্রান্ত মতের বিস্তার ঘটিয়েছেন। বৈদিক ঋষিরা একমাত্র সঠিক সিদ্ধান্ত ব্যক্ত করেছেন। তাই সৃষ্টি বিদ্যা জানতে হলে বেদ ও ব্রাহ্মণ জানা প্রতিটি সনাতনীর অন্যতম দায়িত্ব এবং কর্তব্য। আশা করি সকলে ইহার মর্মার্থ বোঝবার চেষ্টা করবেন।
আচার্য অগ্নিব্রত ন্যাষ্টিক
।।ও৩ম্ শান্তি শান্তি শান্তি।।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ