বর্ণ ও ধ্বনি - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

19 July, 2020

বর্ণ ও ধ্বনি

ধ্বনি : কোন ভাষার উচ্চারণের ক্ষুদ্রতম এককই হলো ধ্বনি। ভাষাকে বা ভাষার বাক প্রবাহকে বিশেলষণ করলে কতগুলো ক্ষুদ্রতম একক বা মৌলিক ধ্বনি পাওয়া যায়। যেমন- অ, আ, ক্, খ্, ইত্যাদি।
আর ধ্বনির লিখিত রূপই হল বর্ণ। বিভিন্ন ধ্বনিকে লেখার সময় বা নির্দেশ করার সময় যে চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তাকে বর্ণ বলে।
আমরা যখন কাছাকাছি থাকি তখন ধ্বনিময় শব্দ ব্যবহার করে মনের ভাব প্রকাশ করি।কিন্তু যখন দূরে থাকি তখন মনের ভাব প্রকাশের জন্য আমরা ধ্বনির লিখিত সাংকেতিক রূপ ব্যবহার করি।ধ্বনির এই লিখিত সাংকেতিক রূপই হল বর্ণ।যেমন---অ আ ক খ ইত্যাদি।
বর্ণগুলি দু'ভাগে বিভক্ত----স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জন বর্ণ।
স্বর বর্ণ:--যে সকল বর্ণ অন্য বর্ণের সাহায্য ছাড়াই নিজে নিজে উচ্চারিত হতে পারে সেই সকল বর্ণকে স্বরবর্ণ বলে।স্বরধ্বনি নির্দেশ করার জন্য ব্যবহৃত বর্ণকে স্বরবর্ণ বলে।
স্বর বর্ণ এগারটি---অ আ ই ঈ উ ঊ ঋ এ ঐ ও ঔ।

যৌগিক স্বরবর্ণ

বাংলা বর্ণমালায় দেখা যায় কিছু যৌগিক ধ্বনি রয়েছে। ভাষাবিজ্ঞানীরা বলেন যে, মৌলিক স্বরধ্বনি ৭টি; আর যৌগিক স্বরধ্বনি ৩টি। যৌগিক স্বরবর্ণগুলো হলঃ
যৌগিক স্বরধ্বনিবিশ্লেষণ
র্+ই(Rh+i)
ও+ই(O+i)
ও+উ(O+u)
স্বরধ্বনি : ধ্বনি উচ্চারণের সময় মানুষ ফুসফুস থেকে কিছু বাতাস ছেড়ে দেয়। এবং সেই বাতাস ফুসফুস কণ্ঠনালী দিয়ে এসে মুখ দিয়ে বের হওয়ার পথে বিভিন্ন জায়গায় ধাক্কা খেয়ে বা বাঁক খেয়ে একেক ধ্বনি উচ্চারণ করে। যে ধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময় এই বাতাস কোথাও বাধা পায় না, বা ধাক্কা খায় না, তাদেরকে স্বরধ্বনি বলে। যেমন, অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ইত্যাদি। এগুলো উচ্চারণের সময় বাতাস ফুসফুস থেকে মুখের বাহিরে আসতে কোথাও ধাক্কা খায় না।
ব্যঞ্জনধ্বনি : যে সব ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে বাতাস মুখের বাহিরে আসার পথে কোথাও না কোথাও ধাক্কা খায়, বা বাধা পায়, তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। যেমন- ক্, খ্, গ্, ঘ্, ইত্যাদি। এই ধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময় বাতাস জিহবামূল বা কণ্ঠ্যে ধাক্কা খায়। তাই এগুলো ব্যঞ্জনধ্বনি।

উচ্চারণের দিক থেকে স্বরবর্ণগুলি হ্রস্বস্বর ,দীর্ঘস্বর ও প্লূতস্বর এই তিন ভাগে বিভক্ত।আর গঠনের দিক থেকে বর্ণগুলি মৌলিক স্বর ও যৌগিক স্বর এই দুই ভাগে বিভক্ত।
হ্রস্বস্বর :--অ ই উ ঋ---এই চারটি স্বরধ্বনি অল্প সময়ে উচ্চারিত হয় বলে এদের হ্রস্বস্বর বলে।
দীর্ঘস্বর:---আ ঈ ঊ এ ঐ ও ঔ--এই সাতটি স্বরধ্বনীর উচ্চারণে দীর্ঘ সময় লাগে বলে এদের দীর্ঘস্বর বলে।
প্লূতস্বর :---দূর থেকে ডাকলে,কাঁদলে বা চিৎকার করলে স্বর বর্ণের উচ্চারণ দীর্ঘায়িত হয়।স্বর বর্ণের এই দীর্ঘায়িত উচ্চারণকেই প্লূতস্বর বলে।যথা'--গো-ও'-ও-ও-ল ;কৈ গো-ও'-ও ;যদূ '-হে-এ'--এ মাছ কিবা'-আ'আআ।
মৌলিক স্বর:--অ আ ই ঈ উ ঊ ঋ এ ও--এই স্বর বর্ণ গুলিকে বিশ্লষণ করলে অন্য কোন স্বরধ্বনি পাওয়া যায় না বলে এদের মৌলিক স্বর বলে।
যৌগিক স্বর:--ঐ এবং ঔ-কে বিশ্লষণ করলে পাওয়া যায় ঐ=ও+ই ;ঔ=ও+উ।এই জন্য এদের যৌগিক স্বর বলে।এদের যুগ্মস্বর বা সন্ধ্যক্ষরও বলা হয়।
স্বরবর্ণগুলির মধ্যে অ এবং এ-র দু'রকম উচ্চারণ আছে,--সংবৃত ও বিবৃত।
অ-কারের উচ্চারণ যখন অ-কারই থাকে তখন তাকে সংবৃত বা স্বাভাবিক উচ্চারণ বলে।আর অ-কারের উচ্চারণ যখন ও-কার হয় তখন তাকে বিবৃত বা বিকৃত উচ্চারণ বলে।অমল,কমল ,বিমল ইত্যাদি ক্ষেত্রে অ-কারের স্বাভাবিক উচ্চারণ হয়েছে।কিন্তু কলিকাতা(কোলিকাতা),ককিল (কোকিল),অতি(ওতি)ইত্যাদি ক্ষেত্রে অ-কারের বিবৃত বা বিকৃত উচ্চারণ হয়েছে।
এ-কারের উচ্চারণ যখন এ-কার থাকে তখন তা স্বাভাবিক বা সংবিদ উচ্চারণ।কিন্তু এ-কারের উচ্চারণ যখন অ্যা হয় তখন তা বিবৃত বা বিকৃত উচ্চারণ।দেশ ,বেশ ,শেষ ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ-কারের স্বাভাবিক উচ্চরণ হয়েছে।কিন্তু বেলা(ব্যালা),খেলা(খ্যালা),দেখ (দ্যাখ)ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ-কারের বিকৃত উচ্চারণ বা বিবৃত উচ্চারণ হয়েছে।
স্বরবর্ণের উচ্চারণ স্থান--
অ,আ--এদের উচ্চারণ কালে জিহ্বা কন্ঠের দিকে আকৃষ্ট হয়;এই কারনে বর্ণ দুটিকে কন্ঠ্য বর্ণ বলে।
ই,ঈ---এদের উচ্চারণ কালে জিহ্বা তালুর দিকে আকৃষ্ট হয়;এজন্য এরা তালব্য বর্ণ।
উ,ঊ---বর্ণ দুটির উচ্চারণ কালে জিহ্বা ওষ্ঠের দিকে আকৃষ্ট হয় ;এজন্য এরা ওষ্ঠ্য বর্ণ।
ঋ--এই বর্ণটির উচ্চারণ কালে জিহ্বা মূর্ধাকে স্পর্শ করে;এজন্য এটি মূর্ধন্য বর্ণ।
এ,ঐ--বর্ণ দুটির উচ্চারণ কালে জিহ্বা কন্ঠ ও তালুর দিকে আকৃষ্ট হয়;এজন্য বর্ণ দুটিকে কন্ঠ্য-তালব্য বর্ণ বলে।
ও,ঔ---বর্ণ দুটির উচ্চারণ কালে জিহ্বা কন্ঠ ও ওষ্ঠের দিকে ধাবিত হয়;এজন্য এদের কন্ঠৌষ্ঠ্য বর্ণ বলে।
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
ব্যঞ্জন বর্ণ --
যে সকল বর্ণ স্বর বর্ণের সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হতে পারে না সেই সকল বর্ণকে ব্যঞ্জন বর্ণ বলে। ব্যঞ্জনধ্বনি নির্দেশ করার জন্য ব্যবহৃত বর্ণকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলে।

হসন্ত বা হলন্ত ধ্বনি : আমরা যখন ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণ করি, তখন তার শেষে একটি স্বরধ্বনি ‘অ’-ও উচ্চারণ করি। যেমন, ‘ক্’ কে উচ্চারণ করি (ক্ + অ =) ‘ক’। উচ্চারণের সুবিধার জন্য আমরা এই কাজ করি। কিন্তু স্বরধ্বনি ছাড়া ‘ক্’ উচ্চারণ করলে সেটা প্রকাশ করার জন্য ‘ক’-এর নিচে যে চিহ্ন 
(& )দেয়া হয়, তাকে বলে হস্ / হল চিহ্ন। আর যে ধ্বনির পরে এই চিহ্ন থাকে, তাকে বলে হসন্ত বা হলন্ত ধ্বনি। কোন বর্ণের নিচে এই চিহ্ন দেয়া হলে তাকে বলে হসন্ত বা হলন্ত বর্ণ।
বাংলা ভাষায় মোট ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ রয়েছে। এর মধ্যে অনেকে দুটো 'ব' ছেঁটে একটা করার কথা বলেন যা যুক্তিগ্রাহ্য না হওয়ায় করা হয়নি। এর কারণ নিচে বর্ণিত আছে। 'ক্ষ' (ক্ + ষ) নিয়ে একটি পৃথক স্বাধীন বর্ণ গঠনের মত দেওয়া হলেও তা গৃহীত হয়নি কারণ 'ক্ষ' অন্যান্য যুক্তাক্ষরের মতই; তাই স্বাধীন বর্ণ হিসাবে ধরা যাবে না। ৎ, ং, ঃ ঁ - এগুলির মধ্যে ঁ -কে বর্ণ হিসেবে ধরা হয় না যেহেতু তা উচ্চারণে বাকি তিনটির মত নতুন কিছু যোগ করে না, শুধু উচ্চারণের নাসিক্যভবণ ঘটায় আর তাই, সেটি ব্যঞ্জনবর্ণ নয়। সুতরাং, ৩৯ টি বর্ণ হল:
ব্যঞ্জনবর্ণ
য়ড়ঢ়
এর মধ্যে দুটো 'ব' দেখতে পাচ্ছেন। প্রথমটি বর্গীয় ব, শেষেরটি অন্তস্থ ব।
দুই ব এর উচ্চারণগত পার্থক্য: বর্গীয় ব এর উচ্চারণ স্পষ্ট অর্থাৎ, ওষ্ঠ বর্ণ হওয়ার কারণে এই ব উচ্চারণ করতে হবে ঠোঁট দুটো বন্ধ করার পর ফাঁক করার মাধ্যমে, তবে অন্তস্থ ব এর উচ্চারণ স্থান ভেদে ভিন্ন হয়।
ব্যঞ্জন ধ্বনি গুলি স্পর্শবর্ণ ,উষ্মবর্ণ ,অন্তঃস্হবর্ণ এবং অযোগবাহু বা আশ্রয়ভোগী বর্ণ---এই চার ভাগে বিভক্ত।
স্পর্শ বর্ণ ;---ক থেকে ম পর্যন্ত পঁচিশটি বর্ণ উচ্চারণকালে মুখ গব্বরের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করে বলে এদের স্পর্শবর্ণ বলে।
স্পর্শবর্ণগুলিকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।এদের প্রত্যেকটিকে বলে বর্গ।প্রতিটি বর্গের প্রথম বর্ণ অনুসারে বর্গের নামকরণ করা হয়েছে।এগুলি হল---
ক খ গ ঘ ঙ--ক-বর্গ,
চ ছ জ ঝ ঞ--চ-বর্গ
ট ঠ ড ঢ ণ--ট-বর্গ
ত থ দ ধ ন--ত-বর্গ
প ফ ব ভ ম--প-বর্গ
স্পর্শ বর্ণগুলি অল্পপ্রাণ বর্ণ ,মহাপ্রাণ বর্ণ ,অঘোষ বর্ণ ,ঘোষ বর্ণ ও অনুনাসিক বা নাসিক্য বর্ণ---এই কয় ভাগে বিভক্ত।
অল্পপ্রাণ বর্ণ :--প্রতি বর্গের প্রথম ও তৃতীয় বর্ণের (ক-গ,চ-জ,ট-ড,ত-দ,প-ব)উচ্চারণে প্রাণ বায়ু বা শ্বাস বায়ু কম লাগে বলে এদের অল্পপ্রাণ বর্ণ বলে।
মহাপ্রাণ বর্ণ :--প্রতি বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ ( খ-ঘ,ছ-ঝ,ঠ-ঢ থ-ধ,ফ-ভ)বর্ণের উচ্চারণে প্রাণ বায়ু বা শ্বাসবায়ু বেশী লাগে বলে এদের মহাপ্রাণে বর্ণ বলে।
অঘোষ বর্ণ :--প্রতি বর্গের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণের উচ্চারণে ষোষ বা নাদ (গাম্ভীর্য)কম থাকে বলে এদের অঘোষ বর্ণ বলে।যথা--ক খ চ ছ ট ঠ ত থ প ফ।
ঘোষ বর্ণ:--প্রতি বর্গের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ণের উচ্চারণে ঘোষ বা নাদ (গাম্ভীর্য)বেশী থাকে বলে এদের ঘোষ বর্ণ বলে।যথা--গ ঘ জ ঝ ড ঢ দ ধ ব ভ।
অনুনাসিক বা নাসিক্য বর্ণ :---প্রতি বর্গের পঞ্চম বর্ণের (ঙ ঞ ণ ন ম)উচ্চারণ নাসিকার সাহায্যে হয় বলে এদের অনুনাসিক বা নাসিক্য বর্ণ বলে।
উষ্ম বর্ণ :--শ ষ স হ--এই চারটি ব্যঞ্জণ ধ্বনির উচ্চারণ কালে মুখ দিয়ে উষ্ণ শ্বাসবায়ু নির্গত হয় বলে এদের উষ্ণ বর্ণ বলে।
অন্তঃস্থ বর্ণ :--য র ল ব--এই চারটি বর্ণের উচ্চারণ স্থান স্পর্শ বর্ণ ও উষ্ণ বর্ণের মাঝামাঝি বলে এদের অন্তঃস্থ বর্ণ বলে।
অযোগবাহ বা আশ্রয়ভোগী বর্ণ:--অনুস্বর ,বিসর্গ এবং চন্দ্র বিন্দুর নিজস্ব কোন উচ্চারণ নেই।এরা অন্য বর্ণের সাথে যুক্ত হয়ে অথবা অন্য বর্ণের আশ্রয়ে থেকে উচ্চারিত হয়।এজন্য এদের অযোগ (নয় যোগ)বাহ বর্ণ বা আশ্রয়ভোগী বর্ণ বলে।
ব্যঞ্জন বর্ণের উচ্চারণ স্থান :---
ক খ গ ঘ ঙ--এদের উচ্চারণকালে জিহ্বা কন্ঠের দিকে আকৃষ্ট হয়;এরা কন্ঠ বর্ণ।
চ ছ জ ঝ ঞ---জিহ্বা তালুর দিকে আকৃষ্ট হয়;এরা তালব্য বর্ণ।
ট ঠ ড ঢ ণ---জিহ্বা মূর্ধার দিকে আকৃষ্ট হয়;এরা মূর্ধন্য বর্ণ ।
ত থ দ ধ ন---জিহ্বা দন্তে আঘাত করে ;এরা দন্ত্য বর্ণ ।
প ফ ব ভ ম-- জিহ্বা ওষ্ঠের দিকে আকৃষ্ট হয়;এরা ওষ্ঠ্য বর্ণ।
য শ---জিহ্বা তালু স্পর্শ করে;তালব্য বর্ণ।
র ষ---জিহ্বা মূর্ধাকে স্পর্শ করে;মূর্ধন্য বর্ণ।
ল স---জিহ্বা দন্ত স্পর্শ করে;দন্ত বর্ণ।
ব (অন্তঃস্থ)---জিহ্বা দন্ত ও ওষ্ঠ স্পর্শ করে;দন্তৌষ্ঠ্য বর্ণ।
হ---জিহ্বা কন্ঠের দিকে আকৃষ্ট হয়;কন্ঠ্য বর্ণ।

সংশোধক বর্ণ

সংশোধক
চিহ্নচিহ্নের নামকাজ
খণ্ড ত"ত" এর খণ্ড রূপ
অনুস্বার"ঙ" এর খণ্ড রূপ
বিসর্গ"হ্" এর আরেকটি রূপ, র এবং স বিলুপ্ত হয়ে বানানে বিসর্গ আসতে পারে, যেমন পুনর>পুনঃ, নমস> নমঃ
চন্দ্রবিন্দুঅনুনাসিক স্বর
 নিচে বর্ণমালা অন্যান্য তথ্য সহকারে দেয়া হলো-



পূর্ণমাত্রা
অর্ধমাত্রা
মাত্রাহীন
স্বরবর্ণ
ঐ*
ঔ*
ব্যঞ্জনবর্ণ


-

-

-

-

-
-

-

-
ংঃ

  ঁ

-
-
মোট স্বরবর্ণ
১১
মোট ব্যঞ্জনবর্ণ
৩৯
মোট বর্ণ
৫০
পূর্ণ, অর্ধ ও মাত্রাহীন বর্ণ
৩২
১০
* এই দুটি স্বরধ্বনিকে দ্বিস্বর বা যুগ্ম স্বরধ্বনি বলে। কারণ, এই দুটি মূলত ২টি স্বরধ্বনির মিশ্রণ। যেমন- অ+ই = ঐ, অ+উ = ঔ বা ও+উ = ঔ। অর্থাৎ, বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি মূলত ৯টি।

বর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ ; কার ও ফলা : প্রতিটি স্বরবর্ণ ও কিছু কিছু ব্যঞ্জনবর্ণ দুটো রূপে ব্যবহৃত হয়। প্রথমত, স্বাধীনভাবে শব্দের মাঝে ব্যবহৃত হয়। আবার অনেক সময় অন্য কোন বর্ণে যুক্ত হয়ে সংক্ষিপ্ত রূপে বা আশ্রিত রূপেও ব্যবহৃত হয়। যেমন, ‘আ’ বর্ণটি ‘আমার’ শব্দের স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, আবার ‘ম’-র সঙ্গে আশ্রিত হয়ে সংক্ষিপ্ত রূপেও (া ) ব্যবহৃত হয়েছে।
স্বরবর্ণের এই আশ্রিত সংক্ষিপ্ত রূপকে বলে কার, আর ব্যঞ্জনবর্ণের আশ্রিত সংক্ষিপ্ত রূপকে বলে ফলা। উপরে ‘আমার’ শব্দে ‘ম’-র সঙ্গে যুক্ত ‘আ’-র সংক্ষিপ্ত রূপটিকে (া ) বলা হয় আ-কার। এমনিভাবে ই-কার ( w ), ঈ-কার (  x ), উ-কার ( y ), ঊ-কার ( ~ ), ঋ-কার (ৃ ), এ-কার ( † ), ঐ-কার ( ˆ ), ও-কার ( ো), ঔ-কার ৌ) কার। তবে ‘অ’ এর কোন কার নেই।

আবার আম্র শব্দে ‘ম’-র সঙ্গে ‘র’ সংক্ষিপ্ত রূপে বা ফলা যুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ সংক্ষিপ্ত রূপটি (ª ) র-ফলা। এরকম ম-ফলা ( ¨ ), ল-ফলা (  ­ ), ব-ফলা (  ^ ), ইত্যাদি।

উচ্চারণবিধি

স্বরধ্বনির উচ্চারণ

স্বরধ্বনির উচ্চারণের সময় বাতাস ফুসফুস থেকে বের হয়ে কোথাও বাধা পায় না। মূলত জিহবার অবস্থান ও ঠোঁটের বিভিন্ন অবস্থার পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন স্বরধ্বনি উচ্চারিত হয়। নিচে স্বরধ্বনির উচ্চারণ একটি ছকের মাধ্যমে দেখানো হলো-


জিহবার অবস্থান
জিহবা সামনে আগাবে
ঠোঁটের প্রসারণ ঘটবে
জিহবা শায়িত অবস্থায়
ঠোঁট স্বাভাবিক/ বিবৃত
জিহবা পিছিয়ে আসবে
ঠোঁট গোলাকৃত হবে
উচ্চে
ই ঈ
(উচ্চসম্মুখ স্বরধ্বনি)

উ ঊ
(উচ্চ পশ্চাৎ স্বরধ্বনি)
উচ্চমধ্যে
(মধ্যাবস্থিত সম্মুখ স্বরধ্বনি)

(মধ্যাবস্থিত পশ্চাৎ স্বরধ্বনি)
নিম্নমধ্যে
অ্যা
(নিম্নাবস্থিত সম্মুখ স্বরধ্বনি)

(নিম্নাবস্থিত পশ্চাৎ স্বরধ্বনি)
নিম্নে

(কেন্দ্রীয় নিমণাবস্থিত স্বরধ্বনি, বিবৃত ধ্বনি)


যৌগিক স্বরধ্বনি : পাশাপাশি দুটি স্বরধ্বনি থাকলে তারা উচ্চারণের সময় সাধারণত একটি স্বরধ্বনি রূপে উচ্চারিত হয়ে থাকে। পাশাপাশি দুটি স্বরধ্বনি একটি স্বরধ্বনি রূপে উচ্চারিত হলে মিলিত স্বরধ্বনিটিকে বলা হয় যৌগিক স্বর, সন্ধিস্বর, সান্ধ্যক্ষর বা দ্বি-স্বর

বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বর মোট ২৫টি। তবে যৌগিক স্বরবর্ণ মাত্র ২টি- ঐ, ঔ। অন্য যৌগিক স্বরধ্বনিগুলোর নিজস্ব প্রতীক বা বর্ণ নেই।

ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণ

উচ্চারণ অনুযায়ী ব্যঞ্জনধ্বনিগুলো অনেকগুলো ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

স্পর্শ ব্যঞ্জন : ক থেকে ম পর্যন্ত প্রথম ২৫ টি ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারিত হওয়ার সময় ফুসফুস থেকে বের হওয়া বাতাস মুখগহবরের কোন না কোন জায়গা স্পর্শ করে যায়। এজন্য এই ২৫টি বর্ণকে বলা হয় স্পর্শধ্বনি বা স্পৃষ্টধ্বনি।
অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি : যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় বা ফুসফুস থেকে বের হওয়া বাতাসের জোর বেশি থাকে, তাকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। আর যে ধ্বনিগুলোতে বাতাসের জোর কম থাকে, নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় না, তাদেরকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। ক, গ, চ, জ- এগুলো অল্পপ্রাণ ধ্বনি। আর খ, ঘ, ছ, ঝ- এগুলো মহাপ্রাণ ধ্বনি।

ঘোষ ও অঘোষ ধ্বনি : যে সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয়, অর্থাৎ গলার মাঝখানের উঁচু অংশে হাত দিলে কম্পন অনুভূত হয়, তাদেরকে ঘোষ ধ্বনি বলে। আর যে সব ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না, তাদেরকে অঘোষ ধ্বনি বলে। যেমন, ক, খ, চ, ছ- এগুলো অঘোষ ধ্বনি। আর গ, ঘ, জ, ঝ- এগুলো ঘোষ ধ্বনি।

উষ্মধ্বনি বা শিশধ্বনি : শ, ষ, স, হ- এই চারটি ধ্বনি উচ্চারণের শেষে যতক্ষণ ইচ্ছা শ্বাস ধরে রাখা যায়, বা শিশ্ দেয়ার মতো করে উচ্চারণ করা যায়। এজন্য এই চারটি ধ্বনিকে বলা হয় উষ্মধ্বনি বা শিশধ্বনি। এগুলোর মধ্যে শ, ষ, স- অঘোষ অল্পপ্রাণ, হ- ঘোষ মহাপ্রাণ।ঃ

ঃ (বিসর্গ) : অঘোষ -র উচ্চারণে প্রাপ্ত ধ্বনিই হলো । বাংলায় একমাত্র বিস্ময়সূচক অব্যয়ের শেষে বিসর্গ ধ্বনি পাওয়া যায়। পদের মধ্যে ‘ঃ’ বর্ণটি থাকলে পরবর্তী ব্যঞ্জনের উচ্চারণ দুইবার হয়, কিন্তু ‘ঃ’ ধ্বনির উচ্চারণ হয় না।

কম্পনজাত ধ্বনি- র : ‘র’ ধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহবার অগ্রভাগ কম্পিত হয়, বা কাঁপে এবং দন্তমূলকে কয়েকবার আঘাত করে ‘র’ উচ্চারিত হয়। এজন্য ‘র’-কে বলা হয় কম্পনজাত ধ্বনি।

তাড়নজাত ধ্বনি- ড় ও ঢ় : ‘ড়’ ও ‘ঢ়’ উচ্চারণের সময় জিহবার অগ্রভাগের নিচের দিক বা তলদেশ ওপরের দাঁতের মাথায় বা দন্তমূলে দ্রচত আঘাত করে বা তাড়না করে উচ্চারিত হয়। এজন্য এদেরকে তাড়নজাত ধ্বনি বলে। মূলত ‘ড’ ও ‘র’ দ্রচত উচ্চারণ করলে যে মিলিত রূপ পাওয়া যায় তাই ‘ড়’ এর উচ্চারণ। একইভাবে ‘ঢ়’, ‘ঢ’ ও ‘র’-এর মিলিত উচ্চারণ।

পার্শ্বিক ধ্বনি- ল : ‘ল’ উচ্চারণের সময় জিহবার অগ্রভাগ উপরের দাঁতের মাথায় বা দন্তমূলে ঠেকিয়ে জিহবার দু’পাশ দিয়ে বাতাস বের করে দেয়া হয়। দু’পাশ দিয়ে বাতাস বের হয় বলে একে পার্শ্বিক ধ্বনি বলে।
আনুনাসিক বা নাসিক্য ধ্বনি : ঙ, ঞ, ণ, ন, ম- এদের উচ্চারণের সময় এবং ং,  ঁ কোন ধ্বনির সঙ্গে থাকলে তাদের উচ্চারণের সময় মুখ দিয়ে বাতাস বের হওয়ার সময় কিছু বাতাস নাক দিয়ে বা নাসারন্ধ্র দিয়েও বের হয়। উচ্চারণ করতে নাক বা নাসিক্যের প্রয়োজন হয় বলে এগুলোকে বলা হয় আনুনাসিক বা নাসিক্য ধ্বনি।

পরাশ্রয়ী বর্ণ : ং,ঃ,ঁ - এই ৩টি বর্ণ যে ধ্বনি নির্দেশ করে তারা কখনো স্বাধীন ধ্বনি হিসেবে শব্দে ব্যবহৃত হয় না। এই ধ্বনিগুলো অন্য ধ্বনি উচ্চারণের সময় সেই ধ্বনির সঙ্গে মিলিত হয়ে উচ্চারিত হয়। নির্দেশিত ধ্বনি নিজে নিজে উচ্চারিত না হয়ে পরের উপর আশ্রয় করে উচ্চারিত হয় বলে এই বর্ণগুলোকে পরাশ্রয়ী বর্ণ বলে।

নিচে স্পর্শধ্বনির (ও অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধ্বনি) একটি পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা ছক আকারে দেয়া হলো-



স্পর্শধ্বনি/ বর্গীয় ধ্বনি (বর্গগুলো এই পর্যন্ত সীমিত)

নাম
উচ্চারণ প্রণালী
অঘোষ
 ঘোষ
নাসিক্য

অঘোষ
অঘোষ
ঘোষ
অল্পপ্রাণ
মহাপ্রাণ
অল্পপ্রাণ
মহাপ্রাণ

অল্পপ্রাণ
মহাপ্রাণ
মহাপ্রাণ
ক-বর্গীয় ধ্বনি
(কণ্ঠ্য ধ্বনি)
জিহবার গোড়া নরম তালুর পেছনের অংশ স্পর্শ করে




চ-বর্গীয় ধ্বনি
(তালব্য ধ্বনি)
জিহবার অগ্রভাগ চ্যাপ্টা ভাবে তালুর সামনের দিকে ঘষা খায়
য য়


ট-বর্গীয় ধ্বনি
(মূর্ধন্য ধ্বনি)
জিহবার অগ্রভাগ কিছুটা উল্টিয়ে ওপরের মাড়ির গোড়ার শক্ত অংশ স্পর্শ করে


ত-বর্গীয় ধ্বনি
(দন্ত্য ধ্বনি)
জিহবা সামনের দিকে এগিয়ে ওপরের দাঁতের পাটির গোড়া স্পর্শ করে


প-বর্গীয় ধ্বনি
(ওষ্ঠ্য ধ্বনি)
দুই ঠোঁট বা ওষ্ঠ ও অধর জোড়া লেগে উচ্চারিত হয়













  • উল্লেখ্য, কণ্ঠ্য ধ্বনিকে জিহবামূলীয় এবং মূর্ধণ্য ধ্বনিকে দন্তমূল প্রতিবেষ্টিত ধ্বনিও বলে।

অন্তঃস্থ ধ্বনি : য, র, ল, ব- এদেরকে অন্তঃস্থ ধ্বনি বলা হয়। তবে অন্তঃস্থ ‘ব’ এখন আর বর্ণমালায় নেই, এবং এখন আর এটি শব্দে স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয় না। তবে ব্যাকরণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষত সন্ধিতে এর প্রয়োগ দেখা যায়।

কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ যুক্তবর্ণ
ক+ত = ক্ত
জ+ঞ = জ্ঞ
ত+ত = ত্ত
ন+থ = ন্থ
র+উ = রু
ষ+ম = ষ্ম
হ+উ = হু
ক+ষ = ক্ষ
ঞ+জ = ঞ্জ
ত+থ = ত্থ
ন+ধ = ন্ধ
র+ঊ = রূ
ষ+ণ = ষ্ণ
হ+ঋ = হৃ
ক+য = ক্য
ঞ+চ = ঞ্চ
ত+ম = ত্ম

র+ধ = র্ধ
স+র = স্র
হ+ব = হ্ব
ক+র = ক্র
ঞ+ছ = ঞ্ছ
ত+র = ত্র
ব+ধ = ব্ধ
ল+ল = ল্ল
স+ন = স্ন
হ+ণ = হ্ণ
গ+উ = গু
ট+ট = ট্ট
ত+র+উ = ত্রু
ভ+র = ভ্র

স+ব = স্ব
হ+ন = হ্ন
ঙ+গ = ঙ্গ
ণ+ড = ণ্ড
দ+য = দ্য
ভ+র+উ = ভ্রু
শ+উ = শু
স+ত = স্ত
হ+ম = হ্ম
ঙ+ক = ঙ্ক

দ+ম = দ্ম
ম+ব = ম্ব
শ+র+উ = শ্রু
স+য = স্য



দ+ধ = দ্ধ

শ+র+ঊ = শ্রূ
স+থ = স্থ


উষ্মধ্বনি বা শিশ্ধ্বনি
ঃ (বিসর্গ)
কম্পনজাত ধ্বনি- র
তাড়নজাত ধ্বনি- ড় ও ঢ়
পার্শ্বিক ধ্বনি- ল
আনুনাসিক বা নাসিক্য ধ্বনি : ঙ, ঞ, ণ, ন, ম
পরাশ্রয়ী বর্ণ : ং,ঃ,ঁ
এক নজরেঃ
স্বরবর্ণ; - 11টি
√ 
ব্যঞ্জনবর্ণ‎  - 39 টি
√ মৌলিক স্বরধ্বনি - 7 টি
√ যৌগিক স্বরধ্বনি -২টি
যৌগিক স্বর জ্ঞাপক বর্ণ - ২৫টি।
√ হ্রসস্বর স্বরধ্বনি - 4 টি
√ দীর্ঘস্বর স্বরধ্বনি - 7টি
√ মাত্রাহীন - 10 টি
√ অর্ধমাত্রা - 8 টি
√ পূর্ণমাত্রা - 32 টি
√ কার - 10 টি
√ স্পর্শবর্ণ - 25 টি
 

এক নজরে বাংলা বর্ণমালা
# বাংলা বর্ণমালায় মোট বর্ণ আছে ৫০টি।
(স্বরবর্ণ ১১টি
+ ব্যঞ্জণবর্ণ ৩৯টি)
# বাংলা বর্ণমালায় মোট স্বরবর্ণ ১১টি
(হ্রস্ব স্বর ৪টি +
দীর্ঘ স্বর ৭টি)
# বাংলা বর্ণমালায় মোট ব্যঞ্জণবর্ণ ৩৯টি
(প্রকৃত ৩৫টি +
অপ্রকৃত ৪ টি)
# বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণমাত্রাযুক্তবর্ণ
আছে ৩২টি
(স্বরবর্ণ ৬টি + ব্যঞ্জণবর্ণ ২৬টি)
# বাংলা বর্ণমালায় অর্ধমাত্রাযুক্তবর্ণ
আছে ৮টি
(স্বরবর্ণ ১টি + ব্যঞ্জণবর্ণ ৭টি)
# বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণআছে
১০টি
(স্বরবর্ণ৪টি + ব্যঞ্জণবর্ণ ৬টি)
# বাংলা বর্ণমালায় কার আছে এমন
স্বরবর্ণ ১০টি (“অ”
ছাড়া)
# বাংলা বর্ণমালায় ফলা আছে এমন
ব্যঞ্জণবর্ণ ৫টি (ম,
ন, ব,য, র) { সৌমিত্র শেখরের বই যে ৬টি ।
যেমন: ন, ম, য, র
ল, ব
# বাংলা বর্ণমালায় স্পর্শধ্বনি/বর্গীয়
ধ্বনি আছে ২৫টি
(ক থেকে ম পর্যন্ত)
# বাংলা বর্ণমালায় কন্ঠ/
জিহবামূলীয়ধ্বনি আছে ৫টি
(“ক” বর্গীয়ধ্বনি)
# বাংলা বর্ণমালায় তালব্য ধ্বনি আছে৮টি
(“চ” বর্গীয়
ধ্বনি + শ,য, য়)
# বাংলা বর্ণমালায় মূর্ধন্য/পশ্চা
ৎদন্তমূলীয় ধ্বনি আছে
৯টি (“ট” বর্গীয়ধ্বনি + ষ, র, ড়, ঢ়)
# বাংলা বর্ণমালায় দন্ত্য ধ্বনি আছে৭টি
(“ত” বর্গীয়
ধ্বনি + স,ল)
# বাংলা বর্ণমালায় ওষ্ঠ্য ধ্বনি আছে৫টি
(“প” বর্গীয়
ধ্বনি)
# বাংলা বর্ণমালায় অঘোষ ধ্বনি
আছে১৪টি (প্রতি
বর্গের ১ম ও ২য় ধ্বনি + ঃ, শ, ষ, স)
# বাংলা বর্ণমালায় ঘোষ ধ্বনি আছে১১টি
(প্রতি বর্গের
৩য় ও ৪র্থ ধ্বনি + হ)
# বাংলা বর্ণমালায় অল্পপ্রাণ ধ্বনিআছে
১৩টি (প্রতি
বর্গের ১ম ও ৩য় ধ্বনি + শ, ষ, স)
# বাংলা বর্ণমালায় মহাপ্রাণ ধ্বনিআছে
১১টি (প্রতি
বর্গের ২য় ও ৪র্থ ধ্বনি + হ)
# বাংলা বর্ণমালায় নাসিক্য/
অনুনাসিকধ্বনি আছে ৮টি
(প্রতি বর্গের ৫ম ধ্বনি + ং, ৺, ও)
# বাংলা বর্ণমালায় উষ্ম/শিষ ধ্বনি৪টি (শ,
ষ, স, হ)
# বাংলা বর্ণমালায় অন্তঃস্থ ধ্বনি৪টি (ব,
য, র, ল)
# বাংলা বর্ণমালায় পার্শ্বিক ধ্বনি১টি
(ল)
# বাংলা বর্ণমালায় কম্পনজাত ধ্বনি১টি
(র)
# বাংলা বর্ণমালায় তাড়নজাত ধ্বনি১টি
(ড়, ঢ়)
  • আধুনিক বাংলা উচ্চারণে কিছু ব্যঞ্জনবর্ণের মধ্যে উচ্চারণে পার্থক্য নেই, যেমন "ন" (দন্ত্য ন), "ণ" (মূর্ধন্য ণ) আর "ঞ" (ঞীয়/ইঙ)।
  • "শ" (তালব্য শ) আর "ষ" (মূর্ধন্য ষ) আধুনিক বাংলা উচ্চারণে একই রকম উচ্চারণ করা। "স" (দন্ত্য স) -র উচ্চারণ শব্দের উপর নির্ভর করে।
  • অর্ধ-স্বরবর্ণ: "ঙ" (উঙ/উম/উঁঅ) শব্দের প্রথমে আসতে পারে না। তেমনই "য়" (অন্তঃস্থ অ) শব্দের প্রথমে আসতে পারে না।
  • "ড়" (ডএ শূন্য ড়) আর "ঢ়" (ঢএ শূন্য ঢ়), মনে করা হয় কমপক্ষে ব্যবহৃত এবং প্রায় অপ্রচলিত ব্যঞ্জনবর্ণ।
  • "য" (অন্তঃস্থ য) আর "জ" (বর্গীয় জ), -র মধ্যের উচ্চারণে পার্থক্য আছে, তা'ও অনেক বার পার্থক্য না'ও বোঝা যেতে পারে।
বেদে যে যে মন্ত্র, যে যে ছন্দে প্রকাশিত, সেই সেই মন্ত্রে সেই সেই ছন্দ।
ছন্দ তিন প্রকারের – ছন্দ, অতিছন্দ ও বিছন্দ। এই তিনের প্রত্যেকটিতে ৭টি করিয়া ভেদ আছে।
ছন্দ সাতটি, যথা- গায়ত্রী, উষ্ণিক্, অনুষ্টুপ্, বৃহতী, পঙক্তি, ত্রিষ্টুপ ও জগতী।
অতিছন্দও সাতটি
যথা – অতিজগতী, শক্করী, অতিশক্করী, অষ্টি, অত্যষ্টি, ধৃতি ও অতিধৃতি।
বিছন্দও সাতটি, যথা- কৃতি, প্রকৃতি, আকৃতি, বিকৃতি, সংকৃতি, অতিকৃতি ও উৎকৃতি।
এই ২১টি ছন্দের প্রত্যেকটিতে বিভিন্ন সংখ্যক অক্ষরযুক্ত থাকে। গায়ত্রীতে ২৪ অক্ষর, উষ্ণিকে ২৭টি, অনুষ্টুপে ৩২টি, বহতীতে ৩৬টি, পংক্তিতে ৪০টি, ত্রিষ্টুপে ৪৪ টি, জগতীতে ৬০টি, অত্যষ্টিতে ৬৮টি, ধৃতিতে ৭২টি, অতিধৃতিতে ৭৬টি, কৃতিতে ৮০টি, প্রকৃতিতে ৮৪টি, আকৃতিতে ৮৮টি, বিকৃতিতে ৯২টি, সংকৃতিতে ৯৬টি, অতিকৃতিতে ১০০টি এবং উৎকৃতিতে ১০৪টি অক্ষর থাকে। এই ২১ ছন্দের মধ্যে কোনটিতে এক অক্ষর কম হইলে তাহাতে নিচৃৎ এবং এক অক্ষর বেশী হইলে ভুরিজ বিশেষণ যুক্ত হয়। এই ২১ ছন্দের আর্ষী, দৈবী, আসুরী, প্রজাপত্যা, যাজুষী সাম্লী, আর্চী ও ব্রাহ্মী ভেদে ৮ ভেদ এবং বিরাট, নিচৃৎ, শুদ্ধা, ভূরিজ্ ও স্বরাট্ ভেদে ৪ ভেদ হয়। অতিছন্দ ও বিছন্দেরও ভেদ হয়। এইভাবে নানা পদ যোজনা ও অক্ষর যোজনা দ্বারা এই সব ছন্দের না না বিভেদ করা হইয়াছে।

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ