বেদে দুর্গাপূজো - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

06 July, 2020

বেদে দুর্গাপূজো

বেদে দুর্গাপূজো
দুর্গা সূক্তের আসল অর্থ
তৈত্তিরীয় অরণ্যক প্রপাঠক ১০, অনুবাক ১

জাতবেদসে সুনবাম সোমমরাতী যতো নি দহাতি বেদঃ।
স নঃ পর্ষদতি দূর্গাণি বিশ্বা নাবেব সিন্ধং দুরিতাত্যগ্নিঃ।।১।।

(ঋগবেদ ১।৯৯।১)
মন্ত্রার্থঃ (জাতবেদসে) উৎপন্ন চরাচর কে জ্ঞাত জগদীশ্বরের জন্য আমরা (সোমম্) সমস্ত ঐশ্বর্যযুক্ত সাংসারিক পদার্থের (সুনবাম) নিষ্কর্ষন করি, তিনি (অরাতীয়তঃ) অধর্মী দুষ্টজনের (বেদঃ) ধন কে (নি দহাতি) নিরন্তন নষ্ট করেন (সঃ) তিনি (অগ্নিঃ) বিজ্ঞানস্বরূপ জগদীশ্বর! যেমন মাঝি (নাবেব) নৌকা দ্বারা (সিন্ধুম) নদী বা সমুদ্রের পার করেন, সেরূপ (নঃ) আমাদের (অতিঃ) অত্যন্ত (দূর্গাণি) দুর্গতি, দূর্গম স্থান ও (অতিদুরিতা) অতি দুঃখদানকারী (বিশ্বা) সমস্ত পাপাচরন থেকে (পর্ষত) পার করেন।

তামগ্নিবর্ণা তপসা জলন্তী বৈরোচনী কর্মফলেষু জুষ্টাম্।
দূর্গা দেবীং শরণমহং প্রপদ্যে সুতরসি তরসে নমঃ।।২।।

পদার্থঃ (তামগ্নিবর্ণা) অগ্নির ন্যায় প্রকাশস্বরূপ (তপসা) স্বকীয় সন্তাপ দ্বারা (জলন্তী) দুষ্টের দহনকারী (বৈরোচনীম্) স্বপ্রকাশ (কর্মফলেষু) কর্মফলের নিমিত্তে (জুষ্টাম্) সেবিত (দূর্গা দেবীম্) দুর্গতি নাশকারী পরমাত্মার (শরণমহম্) আমি শরণ (প্রপদ্যে) প্রাপ্ত করি (সুতরসি তরসে নমঃ ) হে সংসার ত্রাণকারী পরমাত্মা তোমাকে নমস্কার।।

অগ্নে⁠ ত্বং পা⁠রয়া⁠ নব্যো⁠ অ⁠স্মান্থ্স্ব⁠স্তিভি­⁠রতি⁠ দু⁠র্গাণি⁠ বিশ্বা⁠ ।
পূশ্চ⁠ পৃ⁠থ্বী ব⁠হু⁠লা ন⁠ উ⁠র্বী ভবা⁠ তো⁠কায়⁠ তন⁠য়ায়⁠ শংয়োঃ ॥ ৩॥

পদার্থঃ হে (নব্যঃ অগ্নে) স্তুতির যোগ্য জ্ঞানস্বরূপ জগদীশ্বর (ত্বম্) তুমি (অস্মান্) আমাদের (স্বস্তিভিরতিঃ) সুখের রীতি দ্বারা (বিশ্বা দুর্গা) সমস্ত আপদ থেকে (অতি) অতিশয় (পারয়ঃ) পার করো। (ন) আমাদের (পূশ্চ) নিবাসযোগ্য (পৃথ্বী) বিস্তীর্ণ ভূমি এবং (উর্বী) সর্ব নিষ্পাদনযোগ্য ভূমি (বহুলা) প্রশস্ত হোক, (তোকায়) আমাদের সন্তান তথা (তনয়ায়) তাদের সন্তানকে (শংয়োর্ভবা) সুখযুক্ত করো।।

বিশ্বা⁠নি নো দু⁠র্গহা⁠ জাতবেদঃ⁠ সিন্ধু⁠ন্ন না⁠বা দু⁠রি⁠তাঽতি⁠পর্ষি ।
অগ্নে⁠ অত্রি⁠বন্মন গৃণা⁠নো⁠ঽস্মাকং⁠ বোধ্যবি⁠তা ত⁠নূনা⁠ম্ ॥ ৪॥



পদার্থঃ হে ( দুর্গহা জাতবেদঃ) আপদহন্তা সর্বজ্ঞ পরমেশ্বর তুমি (নঃ) আমাদের (বিশ্বানি দুরিতা) সমস্ত পাপ থেকে (নাবা সিন্ধুম্) সমুদ্রে নৌকার মতো (অতিপর্ষি) অতিশয় পার করো। হে (অগ্নে) জ্ঞানস্বরূপ পরমেশ্বর (অত্রিবত্) জীবন্মুক্ত পুরুষের সমান (মনসা) মন দ্বারা (গৃণানঃ) আমাদের স্তুতিকৃত তুমি (অস্মাকম্) আমাদের (তনুনাম্) শরীরের (অবিতা) রক্ষক (বোধি) হও।।

পৃ⁠ত⁠না⁠জিতং⁠⁠ সহ⁠মানমু⁠গ্রম⁠গ্নি⁠ হু⁠বেম পর⁠মাত্সধস্থা⁠ত্ ।
 স নঃ⁠ পর্ষ⁠দতি⁠ দু⁠র্গাণি⁠ বিশ্বা⁠ ক্ষাম⁠দ্দে⁠বো অতি⁠ দুরি⁠তাত্য⁠গ্নিঃ ॥ ৫॥

পদার্থঃ (পরমাত্ সধস্থাত্) উৎকৃষ্ট স্থানে অধিষ্ঠিত (পৃতনাজিতম্) শত্রু বিজেতা (সহমানম্) শত্রুনাশক (উগ্রম্) উগ্র (অগ্নি) জ্ঞানস্বরূপ পরমেশ্বর কে (হুবেম্) আহ্বান করি (স) সেই (অগ্নি দেব) জ্ঞানস্বরূপ পরমাত্মদেব (বিশ্বা) সমস্ত (দুর্গাণি) আপদ (অতি)অতিশয় (ক্ষামত) নাশশীল বস্তু (দুরিতা) পাপ থেকে (অতি) অতিশয় (নঃ) আমাদের (পর্ষত্) রক্ষা করেন।।৫।।

 প্র⁠ত্নোষি⁠ ক⁠মীড্যো⁠ অধ্ব⁠রেষু⁠ স⁠নাচ্চ⁠ হোতা⁠ নব্য⁠শ্চ⁠ সথ্সি⁠ ।
স্বাঞ্চা⁠গ্নে ত⁠নুবং⁠ পি⁠প্রয়⁠স্বা⁠স্মভ্যং­⁠ চ⁠ সৌভ⁠গ⁠মায়⁠জস্ব ॥ ৬॥

পদার্থঃ (অগ্নে) হে পরমাত্মন্! (প্রত্নঃ) তুমি পুরাতন (হি) এই কারণে (ইড্য) সবার স্তুতিযোগ্য (সনাত্, চ, হোতা) শাশ্বতিক হবনপ্রযোজক (নব্যঃ চ) নিত্যনূতন এবং (অধ্বরেষু, সৎসি) হিংসারহিত যজ্ঞে বিরাজমান (স্বাম্ তন্বম্ চ) আপন ব্রহ্মণ্ডরূপী শরীর কে (পিপ্রয়ত্ব) প্রীণিত করে (অস্মভ্যম্, চ) এবং আমাদের অর্থ (সৌভগম্, আয়জস্ব) সৌভাগ্য প্রাপ্ত করাও।।৬।।

অনেকে বলে আর্যরা নাকি দেবীর উপাসনা করে না। এটা কি ঠিক দাদা?
২. বেদ এর মধ্যে কি দূর্গার কথা আছে?

উত্তর-
১. যারা এটা বলে তারা হয়তো প্রকৃত সত্য জানে না অথবা জানলেও মিথ্যাচার করছে। প্রথমে দেখুন দেবী মানে কি-


দেব দেবী- (দিবু ক্রীডাবিজিগীষাব্যবহারদ্যুতি স্তুতিমোদমদস্বপ্নকান্তিগতিষ) এই ধাতু থেকে দেব ও দেবী দুইটা শব্দই সিদ্ধ হয়। পরমাত্মা তথা পরমেশ্বরের নাম তিন লিঙ্গেই আছে যথা- "ব্রহ্মচিতিরীশ্বরশ্চেতি"। যখন ঈশ্বরের বিশেষণ হবে তখন 'দেব', আর যখন চিতির বিশেষণ হবে তখন 'দেবী'। এই কারণে পরমেশ্বরের একটা নাম দেবী।

(ক্রীডা) যিনি শুদ্ধ [সমস্ত] জগতকে ক্রীড়া করাইবার, (বিজিগীষা) ধার্মিকদের জয়যুক্ত
করাইবার ইচ্ছুক [ব্যবহার] যিনি সকল চেষ্টার সাধন ও উপসাধন সমূহের দাতা, (দ্যুতি) স্বয়ং
প্রকাশ স্বরূপ ও সকলের প্রকাশক, (স্তুতি) প্রশংসার যোগ্য, (মোদ) স্বয়ং আনন্দস্বরূপ এবং অপরের আনন্দদাতা, (মদ) মদোম্মত্তদের
তাড়নাকারী, (স্বপ্ন) সকলের নিদ্রার জন্য রাত্রি ও প্রলয়ের কর্তা, (কান্তি) কামনার যোগ্য এবং (গতি) জ্ঞানস্বরূপ- এই জন্য সেই পরমেশ্বরের নাম 'দেব'। দেব শব্দের যতগুলো অর্থ লিখিত
হয়েছে 'দেবী' শব্দের অর্থও ততগুলি আছে।

এখন ঋগবেদের  দেবী সুক্তের সকল মন্ত্রের ভাবার্থ দেওয়া হল-
ঋগবেদ ১০/১২৫/১-৮

১)আমি বাক্-আমব্রীনী, অসীম জ্ঞানের কন্ঠস্বর, মহাবিশ্বের বাক্, (আমি) ১১ রুদ্র, ৮ বসু, ১২ আদিত্য এবং সকল বিশ্বদেবগনের সহিত সকল
কিছু বহনকারী ও একই সঙ্গে বিদ্যমান৷ আমি মিত্র ও বরুন (দিবস ও রাত্রি) উভয়ের
সাথে ব্যাপ্ত ও ইহাদের ধারন করি৷ আমি ইন্দ্র ও অগ্নি (বাতাস ও আগুন) উভয়ের সহিত ব্যাপ্ত ও ইহাদের ধারন করি৷ আমি অশ্বিনীদ্বয়কে বহন করি ও ধারন করি৷

২)আমি যোগাযোগের ক্ষেত্রে এবং দলগত সোম
আনন্দের ক্ষেত্রে অভ্যর্থনা ও অভিজ্ঞতার
প্রকাশকে বহন করি৷ আমি আকৃতি গঠনগত (পুষ্টি ও বৃদ্ধি) বিকাশ প্রক্রিয়া বহন করি, জীবনের শক্তি ও মহিমাকে এবং অগ্রগতিকে বহন করি৷ আমি যজমানগনের জন্য সম্পদ ও অগ্রগতি বহন করি যারা জীবনের জন্য মিষ্টতা ও সৌন্দর্য সৃষ্টি করে এবং যারা মনুষ্যগন ও সকল প্রাণীগনের কল্যানের জন্য যজ্ঞের প্রচুর হবি বহন করে৷

৩)আমি সমাজ ব্যবস্থার শক্তি ও সংগঠন
প্রনালী৷ আমি মনুষ্যগনের যুথবদ্ধ ব্যবস্থায় সম্পদ, সন্মান ও শ্রেষ্ঠত্বের অগ্রদূত৷ আমি মনুষ্য
জীবনের মৌলিক বিষয়সমূহ ও এর
মূল্যবোধের চিন্তা, সচেতনতা ও সুনির্দিষ্ট সংগঠিত প্রক্রিয়া৷ জ্ঞানী ও ঋষিগন আমাকে বিবিধ সামাজিক রাজনৈতিক কাঠামোতে স্থাপন
করেন নানাবিধ সুস্থিত অবস্থায় এবং বিবিধ দিকে অগ্রগতির বিবিধ বিকাশশীল শক্তি ও
সম্ভাবনার সহিত (আমাকে স্থাপন করেন)৷

৪)হে শ্রোতাগন আমি তোমাদের কি বলি তা শোন, ইহা বিশ্বাসের সহিত শ্রবনযোগ্য এবং অনুশীলনযোগ্য৷ যে কেহ দেখে যাহাই দেখে, যে কেহ প্রাণধারন করে, যাহা বলা হয়েছে যে কেহই তা শ্রবন করে, সে আমা কর্তৃকই জীবনের অন্ন
গ্রহন করে৷ আমি যাহা বলি তা যাহারা শোনে না,
যত্নবান হয় না এবং আমাকে অবজ্ঞা করে তাহারা
পতিত হয়, তাহারা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়৷

৫)এবং এ সকল কিছু যাহা ঋষিগন ও অভিজ্ঞ বিদ্বানগন কর্তৃক প্রশংসিত ও আদরনীয় এবং এমনকি সৎ মানসিকতাপূর্ণ মনুষ্যগন কর্তৃক প্রশংসিত, তাহা আমিই (দিব্য বাক্) স্বয়ং বলি৷ যাকে আমি ইচ্ছা করি তাকে তার যোগ্যতার গুনে, বৈশিষ্ট্য ও কর্মের গুনে তার মেধা বৃদ্ধি করি,
যজ্ঞীয় ব্রহ্মার যোগ্য ধর্মানুরাগী করি, কাব্যিক ঋষির দর্শন বৃদ্ধি করি, ব্যাতিক্রমী চিন্তাশীলদের বুদ্ধিমত্তাকে বর্ধিত করি৷

৬)আমি রুদ্রের জন্য ধনু (ন্যায় বিচার ও শাস্তি
প্রদান শক্তি) উত্তোলন করি, ভক্তি ও দেবত্বের
অনুসরনকারীদের বিরুদ্ধে ঘৃনা ও হিংস্র শক্তিকে
দূর করতে৷ মনুষ্যগনের জন্য আমিই যুদ্ধ করি
এবং তাহাদের জন্য পরিতৃপ্তি ও সুখ সৃষ্টি করি,
এবং আমি পৃথিবী ও অন্তরীক্ষে ব্যাপ্ত আছি৷

৭)আমি এই মনুষ্যজাতির এবং এই জগতের
রক্ষাকারী অভিভাবক দ্যুলোককে শাসকরূপে সৃষ্টি করি এবং সুর্যকে সৃষ্টি করি৷ জলের গভীরে ও সমূদ্রে এবং মহাকাশের অনুতে আমার স্থান৷
একইভাবে আমি ব্যাপ্ত আছি মহাবিশ্বের সকল
স্থানে, এবং আমি আলোর আকাশে পৌছাই এবং
আমার আলো ও মহিমা দ্বারা উর্দ্ধে দ্যুলোককে স্পর্শ করি৷

৮)মহাজগতের সকল স্থানে ব্যাপ্ত হয়ে ও তাকে
অর্ন্তভুক্ত করে, আমি সম্মুখে যাই ঠিক যেভাবে
বাতাস আকাশ জুড়ে প্রবাহিত হয়৷ অন্তরীক্ষ
ছাড়িয়ে, এই জগত ছাড়িয়ে আমি (আমার শক্তি ও ক্ষমতা এতই) সর্বব্যাপী এবং আমার অস্তিত্ব
বর্ণনাযোগ্য নয়৷

এখন কিছু শ্লোকের মাধ্যমে দেবী বন্দনা করি-
"য়া দেবী সর্ব্বভূতেষু বিষ্ণুমায়েতি শব্দিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ, নমো নমঃ।।
য়া দেবী সর্ব্বভূতেষু চেতনেত্যভিধীয়তে।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।।
য়া দেবী সর্ব্বভূতেষু বুদ্ধিরূপেণ সংস্থিতা। নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।।
য়া দেবী সর্ব্বভূতেষু নিদ্রারূপেণ সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।।
য়া দেবী সর্ব্বভূতেষু ক্ষুধারূপেণ সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।।
য়া দেবী সর্ব্বভূতেষু ছায়ারূপেণ সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।।
য়া দেবী সর্ব্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।।
য়া দেবী সর্ব্বভূতেষু শান্তিরূপেণ সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।।"
এবার ২য় নং প্রশ্নের ব্যাপারে বলা যাক-
বেদ এর মধ্যে দূর্গা শব্দ সরাসরি দেবী অর্থে নেই। তবে নিম্নরূপ 'দূর্গাণি' আছে, যার অর্থ নিরুক্ত অনুসারে "দুর্গতি ও দুর্গম স্থান"! এই মন্ত্রে মূলত অগ্নি তথা বিজ্ঞান স্বরূপ জগদীশ্বরকেই তথা পরমাত্মাকেই 'দূর্গানি' বলা হয়েছে। কারণ অগ্নিই আমাদের দুর্গতি ও দূর্গম স্থান এবং সকল দুঃখদানকারী পাপচার থেকে পার করেন। বাকিটুকু নিজেরাই দেখুন-
"জাতবেদসে সুনবাম সোমমরাতী যতো নি দহাতি বেদঃ।
স নঃ পর্ষদতি দূর্গাণি বিশ্বা নাবেব সিন্ধং দুরিতাত্যগ্নিঃ।।"
ঋগবেদ ১।৯৯।১.
পদার্থঃ (জাতবেদসে) উৎপন্ন চরাচর কে জ্ঞাত জগদীশ্বরের জন্য আমরা (সোমম্) সমস্ত ঐশ্বর্যযুক্ত সাংসারিক পদার্থের (সুনবাম) নিষ্কর্ষন করি, তিনি (অরাতীয়তঃ) অধর্মী দুষ্টজনের (বেদঃ) ধন কে [ বেদ ইতি ধননামানি; নিঘন্টু ২/১০] (নি দহাতি) নিরন্তন নষ্ট করেন (সঃ) তিনি (অগ্নিঃ) বিজ্ঞানস্বরূপ জগদীশ্বর! যেমন মাঝি (নাবেব) নৌকা দ্বারা (সিন্ধুম) নদী বা সমুদ্রের পার করেন, সেরূপ (নঃ) আমাদের (অতিঃ) অত্যন্ত (দূর্গাণি) দুর্গতি, দূর্গম স্থান ও [দূর্গণি দূর্গমনানি স্থানানি; নিরুক্ত ১৪।৩৩]  

(অতিদুরিতা) অতি দুঃখদানকারী (বিশ্বা) সমস্ত পাপাচরন থেকে (পর্ষত) পার করেন।।



সরলার্থঃ উৎপন্ন চরাচর কে জ্ঞাত জগদীশ্বরের জন্য আমরা সমস্ত ঐশ্বর্যযুক্ত সাংসারিক পদার্থের নিষ্কর্ষন করি, তিনি অধর্মী দুষ্টজনের ধন কে নিরন্তন নষ্ট করেন, তিনি বিজ্ঞানস্বরূপ জগদীশ্বর! যেমন মাঝি নৌকা দ্বারা নদী বা সমুদ্রের পার করেন, সেরূপ আমাদের অত্যন্ত দুর্গতি, দূর্গম স্থান ও অতি দুঃখদানকারী সমস্ত পাপাচরন থেকে পার করেন।।




(বিঃদ্রঃ ওপরের ছবিতে যাহা দেখছেন তাহা দেবীও নয়, দুর্গতি নাশকারি অগ্নিও নয়!)






ওম্ শান্তি শান্তি শান্তি

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ