মনুষ্য যুবাবস্থাতে ভূমিতে উৎপত্তি হয়েছে!
উপ সর্প মাতরং ভুমিমেতামুরুব্যচসং পৃথিবীং সুশেবাম্। ঊর্ণম্রদা য়ুবতির্দক্ষিণাবত এষা ত্বা পাতু নির্ঋতেরুপস্থাত্।।
ঋ০ মন্ডল১০সূক্ত১৮মন্ত্র১০থেকে ১২
ঋ০ মন্ডল১০সূক্ত১৮মন্ত্র১০থেকে ১২
उप॑ सर्प मा॒तरं॒ भूमि॑मे॒तामु॑रु॒व्यच॑सं पृथि॒वीं सु॒शेवा॑म् ।
ऊर्ण॑म्रदा युव॒तिर्दक्षि॑णावत ए॒षा त्वा॑ पातु॒ निॠ॑तेरु॒पस्था॑त् ॥
पदार्थान्वयभाषाः -(एताम्-उरुव्यचसं पृथिवीं सुशेवां भूमिं मातरम्-उपसर्प) हे जीव ! जन्म धारण करने के लिये तू इस बहुत प्रकार से जीव व्यक्तियों को प्रकट करनेवाली विस्तृत और अनुकूलता की सम्पादिका भूमि रूपी माता को प्राप्त हो (दक्षिणावते-एषा युवतिः-ऊर्णम्रदाः) स्वकर्मफल शरीर के धारण योग्य जीव के लिये यह युवति की भाँति या बीज को अपने अन्दर मिलानेवाली कृषिभूमि की भाँति (निर्ऋतेः-उपस्थात् त्वा पातु) मृत्युरूप घोर आपत्ति के आञ्चल से तेरी रक्षा करे ॥१०॥
भावार्थभाषाः -आरम्भ सृष्टि में सब जीवों की एकमात्र माता पृथिवी ही होती है। अत एव उस समय मनुष्यों की भी अमैथुनी सृष्टि होती है। नानाभेदों से मनुष्यादि शरीरों का प्रादुभार्व होता है। आरम्भ सृष्टि में पृथ्वी युवति जैसी या कृषिभूमि जैसी कोमल होती है ॥१०॥-ब्रह्ममुनि
আধিভৌতিক ভাষ্যঃ
পদার্থঃ হে জীব!/ আত্মা (সুশেবাম্) [সুশেবঃ সুসুখতমঃ-নিরু০ ৩।৩] সর্বোত্তম সুখ প্রদানে সর্বোত্তম (এতাম্) ইহা (মাতরম্) মাতার সমান (ভূমিম্) প্রারম্ভে যাহার গর্ভে সব প্রাণী উৎপন্ন হয়ে যাহার উপর সব প্রাণী নিবাস করেন, সে পৃথিবী (উরু-ব্যচসম্) অতি বিস্তারবান হয়ে সব ভ্রণকে (উপ সর্প) নিকটতা থেকে প্রাপ্ত হয়, ইহার সাথেই ওই গর্ভের আন্তরিক আবরণ নিরন্তর হালকা স্পন্দন করতে থাকে (ঊর্ণম্রদা) [ঊর্ণম্রদা ইত্যুর্ণমৃদ্বীত্যেবৈতদাহ-কাশ০ ৪।২।১।১০; সাধ্বী দেবেভ্য ইত্যেবৈতদাহ য়দাহোর্ণম্রদসং ত্বেতি-শ০ ১।৩।১।১০] সে ভূমি ঐ ভ্রণকে ঐরূপ আচ্ছাদন প্রদান করেন, যে পশমের সমান কোমল, মসৃণ বা আরামদায়ক। সে ওই দিব্য ভ্রণকে সবদিক থেকে গর্ভের সমান সুখদায়ক স্পর্শযুক্ত ঘর প্রদান করেন। (য়ুবতীঃ) ওই গর্ভরূপ পৃথিবীতে নানা জীবনীয় রসের মিশ্রণ-অমিশ্রণের ক্রিয়া নিরন্তর চলতে থাকে (দক্ষিণাবতঃ) সে পৃথিবী ঐ ভ্রণকে তখন পর্যন্ত পোষণ প্রদান করতে থাকেন, যখন পর্যন্ত তাহার নিজের পালন বা রক্ষণ করতে পূর্ণ দক্ষ অর্থাৎ সক্ষম না হয়ে যায় (এষা) এই ভূমি (ত্বা) তুমি জীবকে (নির্ঋতেঃ-উপস্থাত্) [নির্ঋতির্নিরমণাত্ ঋচ্ছতেঃ কৃ চ্ছ্রাপত্তিরিতরা-নিরু০ ২।৮] পূর্ণ রূপে নিরন্তর হর্ষযুক্ত মরণ করেন, এইরূপে সুরক্ষিত বা উত্তম স্থানের মধ্যে (পাতু) ঐ ভ্রণ বা জীবের পালন করেন। ইহার সাথেই যেখানে ক্লেশ পৌছায়, এই প্রকার অসুরক্ষিত স্থানের দ্বারা ওই ভূমিকে গর্ভরূপ আবরণ ওই জীব বা ভ্রণকে রক্ষা করেন।।১০।।
” মনুষ্যা ঋষয়শ্চ য়ে, ততো মনুষ্যা অজায়ন্ত”
অনুবাদঃ আদিতে অনেক অর্থাত শত শত, সহস্র মনুষ্য উৎপন্ন হয়েছিল।
শতপথ ব্রাহ্মণ ১৪কান্ড, ৩প্রপাটক, ২ব্রাহ্মণ, ৫ কনিকা।
অনুবাদঃ আদিতে অনেক অর্থাত শত শত, সহস্র মনুষ্য উৎপন্ন হয়েছিল।
শতপথ ব্রাহ্মণ ১৪কান্ড, ৩প্রপাটক, ২ব্রাহ্মণ, ৫ কনিকা।
মাতা পুত্রং য়থা সিচাম্যেনং ভূম ঊণুর্হি।।১১।।
उच्छ्व॑ञ्चस्व पृथिवि॒ मा नि बा॑धथाः सूपाय॒नास्मै॑ भव सूपवञ्च॒ना ।
मा॒ता पु॒त्रं यथा॑ सि॒चाभ्ये॑नं भूम ऊर्णुहि ॥
ऋग्वेद मण्डल:10 सूक्त:18 मन्त्र:11
पदार्थान्वयभाषाः -(पृथिवि-उच्छ्वञ्चस्व मा निबाधथाः) हे पृथिवी ! तू जीवगर्भ को धारण करने के लिये पुलिकतपृष्ठा-उफनी हुई हो जा, जिससे इस जीव को पीड़ा न दे सके (अस्मै सूपायना सूपवञ्चना भव) इस जीव के लिए शरीर धारण कराने योग्य शोभन आश्रय देनेवाली हो (भूमे माता पुत्रं यथा सिचा-एनम्-अभि-ऊर्णुहि) हे भूमि ! जैसे माता पुत्र को जनने के पश्चात् दूधवाले स्तनपार्श्व से ढकती है, ऐसे तू भी वनस्पतियुक्त पार्श्व से इसे आच्छादित कर-करती है ॥११॥
भावार्थभाषाः -जीवगर्भ जब भूमि में आता है, तो भूमि ऊपर के पृष्ट पर पुलकित उफनी हुई पोली सी हो जाती है, जिससे आसानी के साथ जीव बढ़ सके और वह गर्भ की आवश्यकताओं को पूरा करती है। गर्भ के पूर्ण होते ही उसको ऊपर उभरने-बाहर प्रकट करने में योग्य होती है तथा बाहर प्रकट हो जाने पर ओषधियों से उसका पोषण करती है, अतएव उस समय जीव सब प्रकार कुशल कुमारावस्था में उत्पन्न होते हैं ॥११॥
পদার্থঃ (পৃথিবী) সে গর্ভরূপ পূর্বোক্ত পৃথিবী (উচ্ছ্বঞ্চস্ব) উৎকৃষ্টরূপে উর্দ্ধ দিশাতে স্পন্দিত হয়ে কিংবা উত্তপ্ত হয়ে হতে থাকে। (মা বাধথাঃ) ওই ভূমির আবরণ এমন হয়, যে তাহার অন্তর ক্ষণকাল থেকে ভ্রণ বা জীবের প্রাপ্ত হয়ে থাকে জীবনীয় রসকে থামাতে পারে না অর্থাৎ তাহার রস ক্রোধ-ক্রোধ করে ওই জীবকে প্রাপ্ত হতে থাকে। (অস্মৈ) সে এই জীবনের জন্য (সূপায়না-ভব) সে ভূমি তাহাকে পোষক বা সংবর্ধক জীবনীয় তত্বের উপহার মিলিত হয়ে (সূপবঞ্চনা)[উপবঞ্চনম্=দুবকনা] সে ভূমি আবরণ ঐ ভ্রণের বা জীবের উত্তম প্রকার লুকিয়ে আশ্রয় প্রদান করেন (মাতা য়থা) যে প্রকার মাতা নিজের সন্তানকে কোল বা গর্ভে ঢেকে সুরক্ষা প্রদান করেন, ওই প্রকার (নি-সিচা ভূমেঃ) [নি+সিচ্=উপরে ফেলে, গর্ভযুক্ত করা-আষ্টে] ভূমিকে তাহার ভাগ ঐ জীবের নিজের গর্ভে নিয়ে তাহার উপর নানা আবরণের দ্বারা (এনং) ঐ জীবকে (অভি ঊর্ণুহি) সবদিক থেকে আচ্ছাদিত করে নেয়।।১১।।
উচ্ছ্বঞ্চমানা পৃথিবী সু তিষ্ঠতু সহস্রং মিত উপ হি শ্রয়ন্তাম্।
তে গৃহাসো ঘৃতশ্চুতো ভবন্তু বিশ্বাহাস্মৈ শরণাঃ সন্ত্বত্র।।১২।।
उ॒च्छ्वञ्च॑माना पृथि॒वी सु ति॑ष्ठतु स॒हस्रं॒ मित॒ उप॒ हि श्रय॑न्ताम् ।
ते गृ॒हासो॑ घृत॒श्चुतो॑ भवन्तु वि॒श्वाहा॑स्मै शर॒णाः स॒न्त्वत्र॑ ॥
ऋग्वेद मण्डल:10 सूक्त:18 मन्त्र:12
पदार्थान्वयभाषाः -(उच्छ्वञ्चमाना पृथिवी सुतिष्ठतु) जब पुलकितपृष्टा उफनी हुई-पोली सी बनी हुई पृथिवी तैयार हो जाती है तब (सहस्रं मितः-हि-उपश्रयन्ताम्) बहुसंख्या प्राप्त जीव उसके आश्रित रहते हैं (ते गृहासः-घृतश्चुतः-भवन्तु-अस्मै विश्वाहा-अत्र शरणाः सन्तु) जीवात्मा के लिए वे गर्भगृह रसपूर्ण और सर्वदा आश्रय देनेवाले होते हैं ॥१२॥
भावार्थभाषाः -जीवसृष्टि के लिए पृथिवी ऊपर पोली और मृदु कुछ काल तक बनी रहती है। पुनः उनमें असंख्य जीव आश्रित रहते हैं, अत एव आज तक भी स्व-स्वजातीय सङ्घ में रहने का स्वभाव प्रायः सभी जीवों में वर्तमान है। आत्मा के लिए गर्भगृह स्वाभाविक रस देते हुए शरणीय हैं ॥
পদার্থঃ (উচ্ছ্বঞ্চমানা) পূর্বোক্ত উত্তপ্ত এবং মৃদু স্পন্দন করে এবং কোমল (পৃথিবী) ভূমি (সু তিষ্ঠতু) ঐ ভ্রণের বা জীবের আচ্ছাদিকা হয়ে সুদৃঢ়তা দ্বারা সুরক্ষাপূর্বক স্থিত হয়ে ঐ জীবেরও স্থিরতা প্রদান করেন (সহস্রম্ মিতঃ) ওই ভূমিকে পৃথক-পৃথক স্থানে অনেক সংখ্যাতে (উপ হি শ্রয়ন্তাম্) নিকট থেকে আশ্রয় পাই কিংবা ঐ গর্ভরূপ স্থানের মধ্যে বড় সংখ্যাতে [মিতঃ=মিনোতিগতিকর্মা-নিরু০ ২।১৪] বিভিন্ন সূক্ষ্ম অণুর প্রবাহ বানিয়ে থাকে (তে গৃহাসঃ) ভূমিকে তাহার স্থান ঐ জীবের জন্য ঘরের সমান হয় [গৃহাম্=গৃহাঃ কস্মাদ্ গৃহণাতীতি সতাম্-নিরু০ ৩।১৩] আর ঘরের সমান তাহার ভূকোষ্ঠ ঐ জীবের ঐরূপই ধরে বা ধারণ করে থাকেন, (ধৃতশ্চুতো ভবন্তু) তাহার ভূকোষ্ঠ ঐরূপ হয় যে ইহার মধ্যে ঘীর সমান মসৃণ রস সদৈব চুয়াতে থাকে (অস্মৈ) তিনি ঐ জীবের জন্য (বিশ্বাহা) [বিশ্বাহা=সর্বাণি দিনানি-ম০ দ০ য০ ভা০ ৭।১০] সর্বদা অর্থাৎ পূর্ণ যুবাবস্থা পর্যন্ত (শরণাঃ সন্তু অত্র) এই অবস্থাতে তিনি জীব ঐ কোষ্ঠের মধ্যে আশ্রয় পাই।।১২।।
এই মন্ত্রে ভূমির অন্তর যুবাবস্থা পর্যন্ত কিভাবে মনুষ্য সহিত সব জরায়ুজ প্রাণী বিকসিত হয়, ইহার সুন্দর চিত্রণ করেছেন।এই জগতের যাবতীয় জীবশ্রেণী চারিস্তরে বিভক্ত;প্রথম স্তর উদ্ভিজ্জ,দ্বিতীয় স্বেদজ,তৃতীয় অন্ডজ,চতুর্থ জরায়ুজ। প্রকৃতির পর্থম স্তরে জীবগণ বৃক্ষলতাদিরূপে জন্মিয়া থাকে,দ্বিতীয় স্তরে জীবগন স্বেদ অর্থাৎ জল বা লালা হইতে উৎপ্ন হয়। জল সংয়ুক্ত কোন দ্রব্য পচিয়া গেলে ঐ প্রকার জীব দৃষ্ট হইয়া থাকে, অথবা কোন কোন্ বৃক্ষের পত্রে প্রথমতঃ লালার মত এক প্রকার পদার্থ দৃষ্ট হয়,তৎপর ক্রমশঃ ঐ লালা হইতে শত শত কীটের উদ্বব হইয়া থাকে, উহারাই স্বেদজ শ্রেণীভুক্ত। এই স্তর হইতে তৃতীয় স্তর অন্ডজ শ্রেনীতে উন্নীত হইয়া অন্ড অর্থাৎ ডিম্ব মধ্য হইতে উৎপন্ন হয়। পরিশেষে প্রকৃতির চতুর্থ স্তর জরায়ুজ শ্রেণীতে জীবগণ উন্নীত হয়; এই অবস্থায় মাতৃগর্ভস্থিত জরায়ুর অব্যন্তরে প্রাণীগন সৃষ্ট হইয়া থাকে মনুষ্যগন জরায়ুজের উদাহরণ।
যে প্রকার অমীবা আদি এক কোশীয় প্রাণীর নির্মাণ রাসায়নিক বা জৈবিক ক্রিয়ার দ্বারা হয়, ঐ প্রকার বহুকোশীয় জরায়ুজ তথা অণ্ডজেরও শুক্র তথা রজর নির্মাণ ইহা উত্তপ্ত হয়ে কোমল তথা সব আবশ্যক পদার্থ, যে অবশ্য মাতার গর্ভে হয়, যাহা পরিপূর্ণ পৃথিবীর ধরাতলের পরতের মধ্যে হয়ে যায়।
এখন আমরা বিচারের যে ভ্রণকে পোষণের জন্য মাতার গর্ভের আবশ্যকতা কি হয়? এই কারণ, যেহেতু ভ্রণের আবশ্যক বৃদ্ধি হেতু পোষক পদার্থ প্রাপ্ত হয়ে থাকে, ভ্রণকে সুরক্ষিত কোমল, মসৃণ আবরণ তথা আবশ্যক তাপ মিলিয়ে। যদি এই পরিস্থিতে মাতার গর্ভ থেকে অন্যত্র কোথাও উৎপন্ন করা যায়, তবে ভ্রণের বিকাশ সেখানে হয়ে যায়, যে প্রকার আজ পরীক্ষার দ্বারা বাচ্চা উৎপন্ন করেন।
হ্যাঁ, এক কথা মহত্বের হয় যে ওই সময় মনুষ্য বা কোন জরায়ুজ যুবাবস্থাতে ভূমিতে উদ্ভিজের যথার্থ উৎপন্ন হয়।
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী জীর এই কথন সর্বদা উচিত যে যদি শিশু উৎপন্ন হয়, তবে পালন কে করবে আর যদি বৃদ্ধ উৎপন্ন হয়, তখন তাহাদের বংশ কিভাবে চলত? (দেখুন-সত্যার্থ প্রকাশ, অষ্টম সমুল্লাস)
উপনিষদকার ঋষি ইহার আরো বিস্তার দিয়েছেন-
তস্মাচ্চ দেবা বহুদা সংপ্রসূতাঃ সাধ্যা মনুষ্যাঃ........।।৭।।মুণ্ডক উপ০ ১।১।৭
অর্থাৎ-ওই পরমাত্মা থেকে অনেক বিদ্বান সিদ্ধি প্রাপ্ত জন তথা সাধারণ বিদ্বান জন উৎপন্ন হয়েছে।
ঈশ্বর অসংখ্য মনুষ্য সৃষ্টির আদিতে যুবাবস্হায় উৎপন্ন করেনউপো রুরুচে য়ুবতির্ন য়োষা বিশ্ব জীবং প্রসুবংতি চরায়ৈ।
অভূদগ্নিঃ সমিধে মানুষাণামরুজ্যের্তিবাধমনা সমাংসি।
ঋগ্বেদ-৭।৭৭।১
उपो॑ रुरुचे युव॒तिर्न योषा॒ विश्वं॑ जी॒वं प्र॑सु॒वन्ती॑ च॒रायै॑ ।
अभू॑द॒ग्निः स॒मिधे॒ मानु॑षाणा॒मक॒र्ज्योति॒र्बाध॑माना॒ तमां॑सि ॥
upo ruruce yuvatir na yoṣā viśvaṁ jīvam prasuvantī carāyai |
abhūd agniḥ samidhe mānuṣāṇām akar jyotir bādhamānā tamāṁsi ||
पदार्थान्वयभाषाः -(तमांसि) अज्ञानरूप तम को (बाधमाना) नाश करती हुई (अग्निः ज्योतिः) प्रकाशस्वरूप ज्योति (मानुषाणां समिधे अकः) मनुष्यों के सम्बन्ध में प्रकट हुई, जिसने (प्रसुवन्ती) प्रसूतावस्था में (विश्वं चरायै जीवं) विश्व के चराचर जीवों को (अभूत्) प्रकट किया, वह ज्योति (उपो) इस संसार में (युवतिः) युवावस्थावाली (रुरुचे) प्रकाशित हुई, (न योषा) स्त्री के समान नहीं ॥१॥
भावार्थभाषाः -इस मन्त्र में परमात्मा को ज्योतिरूप से वर्णन किया गया है अर्थात् जगज्जननी ज्योतिरूप परमात्मा, जो जीवमात्र का जन्मदाता है, उसने आदि सृष्टि में विश्व के चराचर जीवों को युवावस्था में प्रकट किया और वह परमात्मरूप शक्ति भी युवावस्था में प्रकट हुई स्त्री के समान नहीं ॥ इस मन्त्र में जीव शब्द स्पष्ट आया है, जिसके अर्थ चराचर प्राणधारी जीव के हैं, शुद्धचेतन के नहीं, क्योंकि शुद्धचेतनरूप जीव न कभी मरता और न उत्पन्न होता है, वह अनादि अनन्त सदा एकरस रहता है। इसका वर्णन “द्वा सुपर्णा सयुजा सखाया” ऋ० १।१६४।२०। इत्यादि मन्त्रों में स्पष्ट वर्णित है ॥१॥-आर्यमुनि
পদার্থ- (তমাংসি) অজ্ঞানরূপ তমোকে (বাধমানা) নাশ করিয়ে (অগ্নিঃ জ্যাতিঃ) প্রকাশ-স্বরূপ জ্যাতি (মানুষাণাং, সমিধে,অকঃ) মনুষ্যের সম্বন্ধে প্রকট হয়ে যিনিই (প্রসুবংতি) প্রসুতাবস্হাতে (বিশ্ব,চরায়ৈ, জীবং) বিশ্বরের চরাচর জীবকে (অভূত্) প্রকট করে, সে জ্যাতি (উপো)এই সংসারে (য়ুবতিঃ) যুবাবস্হায় (রুরুচে) প্রকাশিত হয় (ন য়োদা) স্ত্রীর সমান নয়।
ভাবার্থ- এই মন্ত্রে পরমাত্মার জ্যাতিস্রূপে বর্ণন করেছেন অর্থাৎ জগৎজননী জ্যাতিরূপ পরমাত্মা যে জীবমাত্রের জন্মদাতা। উনিই সৃষ্টির আদিতে বিশ্বরের চরাচর জীবের যুবাবস্হাতে প্রকট করেন, আর সে পরমাত্মারূপ শক্তিএ যুবাবস্হাতে প্রকট হয় স্ত্রীর সমান নয়।
ঈশ্বরই আদিতে তিব্বতে(পৃথিবীর সব থেকে উচুতম স্থান) মনুষ্য সৃষ্টি করেছিল
উত্তে স্তভ্নামি পৃথিবীং ত্বত্পরীমং লোগং নিদধন্মোঅহং রিষম্।
এতাং স্হূর্ণা পিতরো ধারয়ন্তু তেহত্রা য়মঃ সাদনা তে মিনোতু।।
ঋগ্বেদ ১০।১৮।১৩
उत्ते॑ स्तभ्नामि पृथि॒वीं त्वत्परी॒मं लो॒गं नि॒दध॒न्मो अ॒हं रि॑षम् ।
ए॒तां स्थूणां॑ पि॒तरो॑ धारयन्तु॒ तेऽत्रा॑ य॒मः साद॑ना ते मिनोतु ॥
अंग्रेज़ी लिप्यंतरण
ut te stabhnāmi pṛthivīṁ tvat parīmaṁ logaṁ nidadhan mo ahaṁ riṣam | etāṁ sthūṇām pitaro dhārayantu te trā yamaḥ sādanā te minotu ||
पद पाठ
उत् । ते॒ । स्त॒भ्ना॒मि॒ । पृ॒थि॒वीम् । त्वत् । परि॑ । इ॒मम् । लो॒गम् । नि॒ऽदध॑त् । मो इति॑ । अ॒हम् । रि॒ष॒म् । ए॒ताम् । स्थूणा॑म् । पि॒तरः॑ । धा॒र॒य॒न्तु॒ । ते । अत्र॑ । य॒मः । सद॑ना । ते॒ । मि॒नो॒तु॒ ॥ १०.१८.१३
पदार्थान्वयभाषाः -(पृथिवीं ते-उत् स्तभ्नामि) हे जीव ! तेरे लिए मैं ईश्वर, पृथिवी को जलमिश्रित भूगोल से ऊपर खींचता हूँ (इमं त्वत् परिनिदधत्-म-उ-अहं रिषम्) वहाँ तेरे इस गर्भकोश को रखता हुआ मैं पीड़ा नहीं देता हूँ (एतां स्थूणां पितरः-धारयन्तु) इस ऊपर उठी हुई पृथिवी को सूर्यकिरणें धारण करें (तत्र यमः-ते सदना मिनोतु) सूर्य तेरे लिए सब आवश्यक कोशों को प्राप्त करावे ॥१३॥
भावार्थभाषाः -आरम्भ सृष्टि भूगोल के ऊँचें भाग पर होती है। वह भाग जलमिश्रित भूगोल से पर्वतभूमि के रूप में ऊपर खींचा जाता है। उस उठे हुए भूभाग को सूर्य की रश्मियाँ धारण करती हैं और सूर्य अपनी रश्मियों द्वारा जीवात्मा के गर्भादि को प्राप्त कराता है, अतएव उसका दूसरा नाम सविता है ॥१३॥-ब्रह्ममुनि
পদার্থ - (পৃথিবীং তে-উত্ স্তভ্নামি) হে জীব! তোমার জন্য আমি ঈশ্বর, পৃথিবীকে জলমিশ্রিত ভূগোল থেকে উপরে টেনে (ইমং ত্বত্-লোগং পরিনিদধত্-ম-উ-অহং-রিষম্) সেখানে তোমার এই গর্ভকোষে রেখেছি আমি না দুঃখ দান করি ( এতাং স্হূণাং পিতরঃ-ধারয়ন্তু)ইহা থেকে উপরে উঠে পৃথিবীকে সূর্য- কিরণে ধারণ করে (তত্র য়মঃ-তে সদনা মিনোতু) সূর্য তোমার জন্য প্রয়োজনীয় কোষ কে প্রাপ্ত করায়।
ভাবার্থ- ঈশ্বর আদিতে সৃষ্টি পৃথিবীর উচুতম স্থানে করেন । সে স্হান জলমিশ্রিত পৃথিবী থেকে পর্বতভূমি রূপে [ তিব্বতের ]
উপরের দিকে টানে। উঠে ওই ভূভাগে সূর্যের রশ্মি ধারণ করেন আর সূর্য নিজের রশ্মি দ্বারা জীবাত্মার গর্ভদিকে প্রাপ্ত করান, অর্থাৎ তাঁহার দ্বিতীয় নাম সবিতা।
বিঃদ্রঃ
আচার্য অগ্নিব্রত ন্যাষ্টিক লেখা vaidic theory of Evolution পড়ুন, কি ভাবে অসংখ্য মানুষ যুবা অবস্থায় ভুমি থেকে প্রকট হয়েছে জানতে।
ऋग्वेद के मंत्रों में ‘पृथिवी माता’ का यह विचार बार बार दोहराया गया है-
“बन्धुर्मे माता पृथिवी महीयम्”
-ऋग्वेद‚ 1.164.33
अथर्ववेद के ‘पृथिवीसूक्त’ में भी मन्त्रद्रष्टा ऋषि भूमि को माता तथा स्वयं को उसका पुत्र बताने में गौरव का अनुभव करता है-
“माता भूमिः पुत्रोऽहं पृथिव्याः”
-अथर्ववेद‚ 12.1.12
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ