।। ইসলাম-পূর্ব আরবে আরবি ভাষায় পবিত্র বেদের স্তুতি।।
পৃথিবীর সব অধিবাসীরাই একসময় সনাতন ধর্মের অনুসারী ছিলো। তার প্রমাণ পাবেন পৃথিবীর বিভিন্ন লাইব্রেরীতে রাখা ইতিহাসের পাতায় অার প্রত্নতত্ত্ব বা ভাস্কর্য এ। এরকমই এক গর্বিত ইতিহাস পাওয়া যায় ইসলামপূর্ব অারব দেশে। আরবি ভাষা বলতে আজ বিশ্বের মানুষ বোঝে ইসলামের ভাষা। মূলত ইসলামের সর্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ কোরআন ই আরবি ভাষায় রচিত। কিন্তু আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব যা জানলে অাশ্চর্য্য হবেন। ইসলামপূর্ব অারবেও ছিলো পবিত্র বেদের গুনগান।
এখানে একটি কবিতা দেয়া হল আরবি কবি লাবি-বিন-ই-আখতাব-বিন-ই-তুরফার এর যিনি ইসলাম-পূর্ব আরবে বাস করতেন।
“আয়া মুয়ারেকাল আরজ উশাইয়া নোহা মিনার হিন্দ-ই (ভারত) ওয়া আরাদকআল্লাহা মান্নোনাইফেইল জীকারাতুন”
“Oh the divine land of HIND (India) (how) very blessed art thou!
Because thou art the chosen of God blessed with knowledge”
Because thou art the chosen of God blessed with knowledge”
” হে হিন্দের (ভারত) পবিত্র ভূমি পরম আশীর্বাদ প্রাপ্ত কারন ঈশ্বর (কবিতায় তিনি আল্লাহ শব্দটি ব্যাবহার করেছেন) দ্বারা নির্বাচিত, জ্ঞান দ্বারা আশীর্বাদ প্রাপ্ত ”
“ওয়াহালাটিযালি যতুন আইনানা সাহাবী অখা-অতুন যিকরা ওয়াহাযায়হি যোনাজ্জালুর-রোসু মিনাল হিন্দাতূন।
”সেই স্বর্গীয় জ্ঞান যেটি চারটি বাতিঘরের মত মহিমায় দীপ্ত- ভারতীয় ঋষিদের দ্বারা অজস্রবার উচ্চারিত ”
“ইয়াকূলূণাল্লাহা য়া আহাল আরাফ আলামীন কূল্লাহূম ফাততাবী-উ-যিকারাতূল বেদ বূক্কূম মালাম জোণাজ্জায়লাতুন।“
” ঈশ্বর (কবিতায় তিনি আল্লাহ শব্দটি ব্যাবহার করেছেন) সমগ্র মানবজাতিকে নির্দেশ দিয়েছেন, বেদের পথ অনুসরণ করতে তার স্বর্গীয় নির্দেশাবলীসহ।”
ওয়াহোয়া আলামুস সাম ওয়াল যজুর মিনাল্লাহ তানাজিলান ফা ইনোমা য়া আখিগো
মুতিয়াবায় আন ইয়োবাসশেরিয়োনা যতুন।
মুতিয়াবায় আন ইয়োবাসশেরিয়োনা যতুন।
” জ্ঞানের বিস্ফোরণে সাম এবং যজুর সৃষ্টির উপর অবতীর্ণ, তাই ভাইরা বেদকে সম্মান করে এবং অনুসরণ করেন এবং মুক্তির পথ দেখান।”
“ওয়া ঈসা নাইন হুমা ঋগ অথর্ব নাসায়হিন কা আ খুয়াতুন ওয়া আসান্ত আলা-উদান ওয়াবোয়া মাশা-ই-রাতুন”
”বাকি দুই, ঋগ এবং অথর্ববেদ আমাদের শিক্ষা দেয় ঐক্য, তাদের জ্যোতির নিচে আশ্রয় দেয় এবং অনন্তকাল পর্যন্ত অন্ধকার দূরীভূত করে।”
এই কবিতাটি লাবি-বিন-ই-আখতাব-বিন-ই-তুরফার রচিত। তিনি আরবে থাকতেন ১৮৫০ খৃস্টপূর্বে ।
এটা সার-উল-অকুলে পাওয়া গিয়েছে যা ১৭৪২ সালে অটোম্যান তুর্কি রাজা সুলতান সালিমের আদেশে সংকলন করা হয়।
(তথ্যসূত্রঃ “Vedic History of Pre-Islamic Mecca” by Shrimati Aditi Chaturvedi )
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ