পঠন পাঠন বিষয়ে সমাজ সুধরক,যুগ পরিবর্তক,মহাপুরুষ মহর্ষী স্বামী দেব দয়ানন্দ সরস্বতীর বিচার।
আর্যগ্রন্থ সকলের পঠন এরূপ,যেমন গভীর সমুদ্রে এক ডুব দিয়া বহুমূল্য মুক্তা ফল প্রাপ্ত হওয়া। ব্যাকরণ পাঠের ছয় বা আট মাসের মধ্যে সমগ্র যাস্ক মুনিকৃত নিঘন্টূ এবং নিরুক্ত অর্থ সহিত পড়িবে এবং পড়াইবে। অন্য নাস্তিককৃত অমরকোযাদিতে অনেক বৎসর বৃথা নষ্ট করিবে না। তদনন্তর পিঙ্গলাচার্য্যকৃত ছন্দোগ্রন্থ যাহাতে,বৈদিক ও লৌকিক ছন্দের পরিজ্ঞান,নবীন রচনা,শ্লোক প্রস্তুত করিবার রীতি ইত্যাদি শিক্ষা করিবে। বৃত্তরত্নাকরাদি অল্প বুদ্ধি প্রকম্পিত গ্রন্থ সকল পাঠে অনেক বৎসর নষ্ট করিবে না। তদনন্তর মনুস্মৃতি, বাল্মীকীয় রামায়ণ এবং মহাভারতের উদ্যোগর্ব্বান্তর্গত বিদুরনীতি প্রভৃতি উত্তম প্রকরণ (প্রবন্ধ) যাহাতে দুষ্ট ব্যসন সকল দুরীভুত হয়, তাহা পাঠ করিবে এবং উত্তমতা ও সভ্যতা প্রাপ্ত হইয়া এইরূপে পদচ্ছেদ পদার্থোক্তি,অম্বয়,বিশেষ্য,বিশেষণ এবং ভাবার্থ অধ্যাপকেরা জ্ঞাপন করিবেন এবং বিদ্যার্থিগণ জ্ঞাত হইতে থাকিবে।
তৎপশ্চাৎ পূর্ব্বমীমাংসা,বৈশেষিক,ন্যায়, যোগ,সাংখ্য এবং বেদান্ত অর্থাৎ যতদুর সম্ভব ঋষিকৃত ব্যাখ্যা সহিত অথবা উত্তম বিদ্বান্ গনের সরল ব্যাখ্যাযুক্ত ছয় শাস্ত্রের পঠন এবং পাঠন করিবে ও করাইবে। পরন্তু বেদান্ত সূত্র পড়িবার পূর্ব্বে ঈশ,কেন,কঠ,প্রশ্ন,মন্ডূক,মান্ডূক্য,ঐতরেয়,তৈত্তিরীয়,ছান্দোগ্য এবং বৃহদারণ্যক এই দশ উপনিষদের পাঠ করিয়া ছয় শাস্তের ভাষ্যাবৃত্তি সহিত সূত্র সকল পড়িবে। পশ্চাৎ ছয় বর্ষের মধ্যে চারি ব্রাহ্মণ অর্থাৎঃ ঐতরেয়,শতপথ,সাম,এবং গোপথ ব্রাহ্মণের চারি বেদের স্বর,শব্দ,অর্থ,সম্বন্ধ এবং ক্রিয়া সহিত পাঠ করা কর্ত্তব্য।
" স্থাণুরয়ং ভারহারঃ কিলাভুদধীত্য বেদং ন বিজানাতি যোহর্থম্।
যোহর্থজ্ঞ ইৎসকলং বর্দমশ্নূতে নাকমেতি জ্ঞানবিধূতপাপ্মা।-নিরুক্ত ১/১৮
প্রশ্নঃ হোম হইতে কি উপকার হয়..?
![]() |
প্রশ্ন উত্তরে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী |
উত্তরঃ সকলেই জানেন যে দুর্গন্ধযুক্ত বায়ু এবং জল হইতে রোগ এবং রোগ হইতে প্রাণিগনের দুঃখ হয়। এবং সুগন্ধিত বায়ু ও হল দ্বারা আরোগ্য ও রোগনাশ হেতু সুখলাভ হয়।
প্রশ্নঃ চন্দনাদি ঘর্ষন করতঃ কাহাকেও প্রলেপ দিলে এবং ঘৃতাদি ভোজনার্থ দান করিলে অত্যন্ত ঐপকার হয় এজন্য উহা অগ্নিতে দিয়া ব্যার্থ নষ্ট করা কি বুদ্ধিমানের কাজ..?
উত্তরঃ যদি তুমি পদার্থবিদ্যা জানিতে তবে কদাপি এরূপ বাক্য বলিতেনা। কারণ কোন দ্রব্যেরই অভাব হয় না,দেখ যেখানে হোম হয় তাহা হইতে দূরদেশস্থিত পুরুষের নাসিকাতে সুগন্ধের গ্রহন হয়। এইরূপ দুর্গন্ধ সম্বন্ধেও হয় ইহা বুঝিতে হইবে। অগ্নি প্রক্ষিপ্ত পদার্থ সূক্ষরূপে বিস্তারিত হইয়া বায়ুর সহিত দূরদেশে নীত হইয়া দুর্গন্ধের নিবৃত্তি করিয়া থাকে।
কেশর,মৃগনাভী,সুগন্ধী পুষ্প এবং আতর প্রভৃতি সুগন্ধে এরূপ শক্তি নাই যে গৃহস্থিত(অশুদ্ধ)বায়ুকে নির্গত করিয়া বিশুদ্ধ বায়ুর প্রবেশ করাইতে পারে,কারন উহাতে ভেদকশক্তি নাই। অগ্নিরই এরূপ সামর্থ্য আছে যে উহা উক্ত বায়ু এবং দুর্গন্ধযুক্ত পদার্থ সকলকে ছিন্ন ভিন্ন ও লঘু করিয়া উহাদিগকে বহির্গত করাইয়া, পবিত্র বায়ুর প্রবেশ করাইয়া দেয়।
প্রশ্নঃ মন্ত্র পাঠ পূর্ব্বক হোম করিবার প্রয়োজন কি..?
উত্তরঃ মন্ত্র গুলিতে এরূপ ব্যাখ্যান আছে, যাহাতে হোমনুষ্ঠানের লাভ,বিদিত হওয়া যায় ও মন্ত্রগুলির আবৃত্তি হইলেও কন্ঠস্থ থাকে(এবং)বেদাদি গ্রন্থের পঠন,পাঠন ও রক্ষা হইয়া যায়।
প্রশ্নঃ হোমানুষ্ঠান কি না করিলে পাপ হয়..?
উত্তরঃ হ্যাঁ হয়,কারণ যে মনুষ্যের দেহ হইতে যে পরিমাণে দুর্গন্ধ উৎপন্ন হইয়া বায়ু এবং জলকে দুষিত করতঃ রোগোৎপত্তির নিমিত্ত হইয়া প্রাণিগণের দুঃখ প্রাপ্তি প্রাপ্তি করায়,সেই পরিমাণেই উক্ত মনুষ্যের পাপ হইয়া থাকে। এজন্য উক্ত পাপের নিবারণার্থ সস বা তাহার অধিক পরিমাণে সুগন্ধি,বায়ু ও জলে বিস্তৃত করা আবশ্যক। আর ভোজন পান দ্বারা সেই এক(ভুক্ত)ব্যাক্তিরই সুখ বিশেষ হইয়াথাকে কিন্তু,যত পরিমাণ ঘৃত ও সুগন্ধাদি পদার্থ ভোজন করিতে পারে,সেই পরিমান দ্রব্য দ্বারা হোম করিলে লক্ষ লক্ষ মনুষ্যের উপকার সাধিত হয়। পরন্তু যদি মনুষ্যগণ ঘৃতাদি উত্তম পদার্থ ভোজন না করেন তবে তাদের শরীরও আত্মার বলোন্নতি হইতেপারেনা;একারণ উৎকৃষ্ট পদার্থের পান ভোজনও করা আবশ্যক। কিনতউ তদপেক্ষাও হোম করা অধিক (প্রয়োজনীয়) অতএব হোম করা আবশ্যক।
প্রত্যেক মনুষ্যের ১৬ আহুতি ও অন্যুন ৬ মাসাপরিমাণে ঘৃত এক এক আহুতি দিবে। তাহা অপেক্ষা অধিক হলে আরও উত্তম হয়। এই জন্য আর্য্যবর শিরোমনি মহাশয়,ঋষি ও মহর্ষিগণ,রাজা ও মহারাজাগণ অধিক পরিমাণে হোমানুষ্ঠান করিতেন ও করাইতেন। যে কাল পর্য্যন্ত এই হোম করণের প্রচার ছিল তাবৎ আর্ষ্যাবর্ত্তদেশ রোগরহিত এবং সুখপূর্ণ ছিল।
এখনও যদি ইহার (পুনঃ) প্রচার হয় তাহা হইলে তদ্রূপ হইয়া যাইবে। এই দুই যজ্ঞ,১ম ব্রহ্মযজ্ঞ-যাহা পঠন,পাঠন,সন্ধ্যোপাসন,ঈশ্বরের স্তুতি,পার্থনা উপাসনা করা। ২য় দেবযজ্ঞ,যাহা অগ্নিহোত্র হইতে আরম্ভ করিয়া অশ্বমেধ প্রয়্যন্ত যজ্ঞ এবং বিদ্যান্গনের সেবা ও সঙ্গ করা।পরন্তু ব্রহ্মতর্য্যে কেবল ব্রহ্মযজ্ঞ এবং অগ্নিহোত্রই করিতে হয়।
সমস্ত কিছু উত্তমরূপে পরীক্ষা করা কর্ত্তব্য, পরীক্ষা পাঁচ প্রকার দ্বারা হয়।
১ম-যাহা যাহা ঈশ্বরের গুণ,কর্ম্ম স্বভাবের এবং বেদের অনুকুলহয় তাহাই,সত্য, এবং তদ্বিরুদ্ধ অসত্য হইয়া থাকে। ২য়- যাহা যাহা সৃষ্টিক্রমের অনুকুল তাহাই সত্য এবং যাহা সৃষ্টিক্রমের বিরুদ্ধ,তৎসমুদায় অসত্য। যেমন যদি কেহ কহে,যে মাতা-পিতার যোগ(শুক্তানু+ডিম্বানু) ব্যাতীত সন্তান উৎপন্ন হয়,উক্ত বাক্য সৃষ্টিক্রম বিরুদ্ধ তাহা,অগ্রাহ্য হইয়া থাকে। ৩য়- আপ্ত অর্থাৎ যাহা ধার্ম্মিক,বিদ্বান্,সত্যবাদী এবং নিষ্কপট লোকদিগের সঙ্গ ও উপদেশের অনুকুল তাহাই গ্রাহ্য এবং তদ্বিরুদ্ধ তাহা অগ্রাহ্য হইয়া থাকে।
৪'র্থ-নিজ আত্মার পবিত্রতা ও বিদ্যার অনুকুল অর্থাৎ যেরূপ নিজের পক্ষে,সুখ প্রিয় এবং দুঃখ অপ্রিয় তদ্রূপই সর্ব্বত্র বুঝিবে যে আমিও কাহাকেও যদি দুঃখ বা সুখ দেই তবে সেও অপ্রসন্ন বা প্রসন্ন হইবে। ৫ম- আট প্রকার প্রমাণ, অর্থাৎ প্রত্যক্ষ,অনুমান,উপমান,শব্দ,ঐতিহ্য,অর্থাপত্তি,সম্ভব এবং অভাব। ইহাদিগের মধ্যে প্রত্যক্ষাদি লক্ষণ সম্বন্ধে যে যে সূত্র নিম্ন লিখিত হইবে তৎসমুদয়, ন্যায় শাস্ত্রের প্রথম ও দ্বিতীয় অধ্যায় হইতে(গৃহীত)জানিবে।
ইন্দ্রিয়ার্থ সন্নিকর্ষোৎপন্নং জ্ঞানমব্যপদেশ্যমব্যভিচারি ব্যবসায়াত্মকং প্রত্যক্ষম্
চলবে...
প্রশ্নঃ মন্ত্র পাঠ পূর্ব্বক হোম করিবার প্রয়োজন কি..?
উত্তরঃ মন্ত্র গুলিতে এরূপ ব্যাখ্যান আছে, যাহাতে হোমনুষ্ঠানের লাভ,বিদিত হওয়া যায় ও মন্ত্রগুলির আবৃত্তি হইলেও কন্ঠস্থ থাকে(এবং)বেদাদি গ্রন্থের পঠন,পাঠন ও রক্ষা হইয়া যায়।
প্রশ্নঃ হোমানুষ্ঠান কি না করিলে পাপ হয়..?
উত্তরঃ হ্যাঁ হয়,কারণ যে মনুষ্যের দেহ হইতে যে পরিমাণে দুর্গন্ধ উৎপন্ন হইয়া বায়ু এবং জলকে দুষিত করতঃ রোগোৎপত্তির নিমিত্ত হইয়া প্রাণিগণের দুঃখ প্রাপ্তি প্রাপ্তি করায়,সেই পরিমাণেই উক্ত মনুষ্যের পাপ হইয়া থাকে। এজন্য উক্ত পাপের নিবারণার্থ সস বা তাহার অধিক পরিমাণে সুগন্ধি,বায়ু ও জলে বিস্তৃত করা আবশ্যক। আর ভোজন পান দ্বারা সেই এক(ভুক্ত)ব্যাক্তিরই সুখ বিশেষ হইয়াথাকে কিন্তু,যত পরিমাণ ঘৃত ও সুগন্ধাদি পদার্থ ভোজন করিতে পারে,সেই পরিমান দ্রব্য দ্বারা হোম করিলে লক্ষ লক্ষ মনুষ্যের উপকার সাধিত হয়। পরন্তু যদি মনুষ্যগণ ঘৃতাদি উত্তম পদার্থ ভোজন না করেন তবে তাদের শরীরও আত্মার বলোন্নতি হইতেপারেনা;একারণ উৎকৃষ্ট পদার্থের পান ভোজনও করা আবশ্যক। কিনতউ তদপেক্ষাও হোম করা অধিক (প্রয়োজনীয়) অতএব হোম করা আবশ্যক।
প্রত্যেক মনুষ্যের ১৬ আহুতি ও অন্যুন ৬ মাসাপরিমাণে ঘৃত এক এক আহুতি দিবে। তাহা অপেক্ষা অধিক হলে আরও উত্তম হয়। এই জন্য আর্য্যবর শিরোমনি মহাশয়,ঋষি ও মহর্ষিগণ,রাজা ও মহারাজাগণ অধিক পরিমাণে হোমানুষ্ঠান করিতেন ও করাইতেন। যে কাল পর্য্যন্ত এই হোম করণের প্রচার ছিল তাবৎ আর্ষ্যাবর্ত্তদেশ রোগরহিত এবং সুখপূর্ণ ছিল।
এখনও যদি ইহার (পুনঃ) প্রচার হয় তাহা হইলে তদ্রূপ হইয়া যাইবে। এই দুই যজ্ঞ,১ম ব্রহ্মযজ্ঞ-যাহা পঠন,পাঠন,সন্ধ্যোপাসন,ঈশ্বরের স্তুতি,পার্থনা উপাসনা করা। ২য় দেবযজ্ঞ,যাহা অগ্নিহোত্র হইতে আরম্ভ করিয়া অশ্বমেধ প্রয়্যন্ত যজ্ঞ এবং বিদ্যান্গনের সেবা ও সঙ্গ করা।পরন্তু ব্রহ্মতর্য্যে কেবল ব্রহ্মযজ্ঞ এবং অগ্নিহোত্রই করিতে হয়।
যোহবমন্যেত তে মূল হেতুশাস্ত্রাশ্রয়াদ্ দ্বিজঃ।
স সাধউভির্ব্বহিষ্কার্য্যো নাস্তিকো বেদনিন্দুকঃ।।-মনু ২/১১
যিনি বেদ এবং বেদানুকুল আপ্ত পরুষ রচিত শাস্ত্রের অপমান করেন সেই,বেদ নিন্দুক নাস্তিককে জাতি,পঙ্ ক্তি এবং দেশ হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দেওয়া কর্ত্তব্য। কারণঃ-
বেদঃ স্মৃতিঃ সদাচারঃ স্বস্য চ প্রিয়মাত্মানঃ।
এতচ্চতুর্ব্বিধং প্রাহুঃ সাক্ষাৎ ধর্ম্মস্য লক্ষণম্।।-মনু ২/১৩
বেদ,স্মৃতি অর্থাৎ বেদানুকুল আপ্তোক্ত মনুস্মৃত্যাদি শাস্ত্র, সৎপুরুষদিগের আচরণ, এবং যাহা সনাতন অর্থাৎ বেদ দ্বারা ঈশ্বর প্রতিপাদিত কর্ম্ম, এবং নিজ আত্মার প্রিয়কার্য্য,অর্থাৎ যাহা আত্মা চাহে যথা সত্যভাষণাদি,এই চতুষ্টয়ই ধর্ম্মের(সাক্ষাৎ) লক্ষণ,অর্থাৎ ইহা হইতে ধর্ম্মাধর্ম্মের নিশ্চয় হইয়া থাকে। যাহা পক্ষপাত রহিত,ন্যায়,সত্যগ্রহণ এবং অসত্যের সর্ব্বথা পরিত্যাগ রূপ আচরণ তাহারই নাম ধর্ম্ম, এবং পক্ষপাতযুক্ত, অন্যায়াচরণ,সত্যত্যাগ এবং অসত্যগ্রহণ রূপ কার্য্যকেই অধর্ম্ম বলা যায়।সমস্ত কিছু উত্তমরূপে পরীক্ষা করা কর্ত্তব্য, পরীক্ষা পাঁচ প্রকার দ্বারা হয়।
১ম-যাহা যাহা ঈশ্বরের গুণ,কর্ম্ম স্বভাবের এবং বেদের অনুকুলহয় তাহাই,সত্য, এবং তদ্বিরুদ্ধ অসত্য হইয়া থাকে। ২য়- যাহা যাহা সৃষ্টিক্রমের অনুকুল তাহাই সত্য এবং যাহা সৃষ্টিক্রমের বিরুদ্ধ,তৎসমুদায় অসত্য। যেমন যদি কেহ কহে,যে মাতা-পিতার যোগ(শুক্তানু+ডিম্বানু) ব্যাতীত সন্তান উৎপন্ন হয়,উক্ত বাক্য সৃষ্টিক্রম বিরুদ্ধ তাহা,অগ্রাহ্য হইয়া থাকে। ৩য়- আপ্ত অর্থাৎ যাহা ধার্ম্মিক,বিদ্বান্,সত্যবাদী এবং নিষ্কপট লোকদিগের সঙ্গ ও উপদেশের অনুকুল তাহাই গ্রাহ্য এবং তদ্বিরুদ্ধ তাহা অগ্রাহ্য হইয়া থাকে।
৪'র্থ-নিজ আত্মার পবিত্রতা ও বিদ্যার অনুকুল অর্থাৎ যেরূপ নিজের পক্ষে,সুখ প্রিয় এবং দুঃখ অপ্রিয় তদ্রূপই সর্ব্বত্র বুঝিবে যে আমিও কাহাকেও যদি দুঃখ বা সুখ দেই তবে সেও অপ্রসন্ন বা প্রসন্ন হইবে। ৫ম- আট প্রকার প্রমাণ, অর্থাৎ প্রত্যক্ষ,অনুমান,উপমান,শব্দ,ঐতিহ্য,অর্থাপত্তি,সম্ভব এবং অভাব। ইহাদিগের মধ্যে প্রত্যক্ষাদি লক্ষণ সম্বন্ধে যে যে সূত্র নিম্ন লিখিত হইবে তৎসমুদয়, ন্যায় শাস্ত্রের প্রথম ও দ্বিতীয় অধ্যায় হইতে(গৃহীত)জানিবে।
ইন্দ্রিয়ার্থ সন্নিকর্ষোৎপন্নং জ্ঞানমব্যপদেশ্যমব্যভিচারি ব্যবসায়াত্মকং প্রত্যক্ষম্
চলবে...
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ