তা উভাে চতুরঃ পদঃ সম্পসারয়াব স্বর্গ লােকে প্রোর্ণুবাথাং বৃষা বাজী রেতােধা রেতাে দধাতু।
(যজুর্বেদ ২৩-২০)।
পদার্থঃ (তৌ উভৌ) রাজা এবং প্রজা উভয়ে মিলে (চতুর পদ) ধর্ম অর্থ। কাম মােক্ষ এই চার পুরুষার্থ কে (সম্প্রসারয়াব) উত্তম প্রকারে বিস্তৃত করবে (স্বর্গ লােকে) সুখময় লােকে (প্র ণুবাথাম) একে অপর কে রক্ষা করবে (বৃষা) দুষ্টকে বাধার সামর্থযুক্ত (বাজী) ঐশ্বর্যযুক্ত রাজা (ইন্দ্রো বৈ বাজী; ঐ০ ৩১৮] (রেতােধা) বীর্য- পরাক্রম ধারন করে (রেত) রাষ্ট্রকে পরাক্রম (দধাতু) দান করেন।
সরলার্থঃ রাজা এবং প্রজা উভয়ে মিলে ধর্ম অর্থ কাম মােক্ষ এই চার পুরুষার্থ কে উত্তম প্রকারে বিস্তৃত করবে সুখময় লােকে একে অপর কে রক্ষা করবে। দুষ্টকে বাধার সামর্থযুক্ত ঐশ্বর্যযুক্ত রাজা বীর্য- পরাক্রম ধারন করে রাষ্ট্রকে পরাক্রম দান করেন।
মহর্ষি দয়ানন্দ জী কৃত ভাষ্য অনুযায়ী উক্ত মন্ত্রে অশ্বের উল্লেখ নেই। অশ্বের উল্লেখ না থাকায় যজ্ঞার্থ করার প্রশ্ন ই আসে না।
কিন্তু আচার্য মহীধরের মতে বাজী শব্দটির অর্থ অশ্ব। এখানে রাজ মহিষী কে মৃত অশ্ব চতুর্পদ সম্প্রসারণ করে রেতঃদান করে স্বর্গে পাঠায়। ভাষ্য নিয়ে মতবিরোধ হবার দরুণ আমরা দেখি ব্রাহ্মণ ও নিরুক্ত কাকে সমর্থন করে।
ঋগ্বেদীয় ঐতরেয় ব্রাহ্মণ 3/18 মতে,
“বাজিনং” এই পদে ইন্দ্রই বাজী (বাজযুক্ত অর্থাৎ অন্নযুক্ত)। এইরূপে এই মন্ত্রে চারিটি পদ [ যথাক্রমে ] বৃষ্টিপ্রদ, মরুৎসম্বন্ধী, বিষ্ণুসম্বন্ধী ও. ইন্দ্রসম্বন্ধী।
এছাড়া যজুর্বেদের মাধ্যান্দিন শাখার অন্তর্গত শতপথ ব্রাহ্মণে ও বাজিন শব্দের অর্থ নিম্নরূপঃ
এছাড়া যজুর্বেদের মাধ্যান্দিন শাখার অন্তর্গত শতপথ ব্রাহ্মণে ও বাজিন শব্দের অর্থ নিম্নরূপঃ
শতপথ-ব্রাহ্মণ
[৪ প্র.১ ব্রা]
, বাজিন ভক্ষণের জন্য হন্তে গ্রহণ করিয়া পরস্পর সকলকেই হোতুপ্রভৃতি পদে সম্বোধনপূর্বক (এই বাজিম ক্ষণের জন্য) অনুজ্ঞা প্রদান করুন (উপহয়)।' এইরূপে অনুজ্ঞা প্রার্থনা করিয়া ও অনুজ্ঞাত (উপঃ ") হইয়া ঐ বাজিন ভক্ষণ করেন। তাহা ভক্ষণ করিবার কয়েকটি বৈকল্পিক মন্ত্র সূত্রগ্রন্থে দৃষ্ট হয়, যথা—“তুমি বাজী (অন্নবান) ঋতুগণের বাজিন,“আমি তােমাকে ভক্ষণ করি! অথবা ‘আমি বাজী (বলবিশেষশালী, বা অন্নবান), আমি অনুজ্ঞাত হইয়া অনুজ্ঞাত বাজিনকে ভক্ষণ করি।' অথবা 'আমি অন্নের দ্বারা অন্নবান হইব (কিংবা বলবিষয়ে বলবান্ হইব )!' মন্ত্ৰকয়টির মূল এইঝতুনাৎ ত্বা বাজিনা বাজিন "ভক্ষয়ামি।'ৰাজহং বাজিনস্যোপহুতস্যোগহুতো ভক্ষয়ানি ! ‘বাজে বাজী ভূয়াসম!" সােমবাগে হুতাবিশিষ্ট সোমভক্ষণ এইরূপেই করিতে হয় ( কা, শ্রো. ৩,৫,২১)। এই জন্য উক্ত হইয়াছে যে, তাদৃশ বাজিনপান সােমসদৃশ। কা. শ্রৌ ১০. ১৯-২৭।
এখানে ও স্পষ্ট যে বাজ শব্দের অর্থ অন্নযুক্ত।
বৈদিক শব্দার্থকোষে বাজিনের অর্থপ্রকরণ এরূপ
বাজিন্ = বিজ্ (ভয় এবং চলার অর্থে) + ণিনি ( তাচ্ছীল্য অর্থে) = বাজিন।
অন্নবান।
গতিমান।
বহু অন্ন ভক্ষণকারী অশ্ব।(আধুনিককালে অশ্ব অর্থে প্রযুক্ত।যেহেতু বেদ আধুনিক না, তাই বাজিন শব্দ অশ্ব অর্থে প্রযুক্ত হওয়া একপ্রকার অসম্ভব)
বাজ্ + ইন্ = বাজন্। বলবানিরুক্তে
ও ইন্দ্র শব্দটির উৎপত্তি বোঝাতে গিয়ে বলা হয়েছেঃ
Indra is (so called because) he divides food (irā+ dr), or he gives food (ira+da), or he bestows food (irā+alā), or he sends food (ira + däraya), or he holds food (iva + dhāruya)
ইন্দ্র বলার কারণ তিনি খাদ্য কে ভাগ করেন(ইর+দ্র) অথবা তিনি খাদ্য দেন (ইর+দ্) অথবা তিনি খাদ্য ধারণ করেন (ইর+ধ্) অথবা তিনি খাদ্য পাঠান (ইর+দারয়) অথবা তিনি খাদ্য ধরে রাখেন (ইর+ ধারয়)
সুতরাং নিরুক্ত থেকে ও এটা পাওয়া যাচ্ছে ইন্দ্র ই পরোক্ষে বাজিন। তাই যজুর্বেদের উক্ত মন্ত্রে অশ্বের কোনও উল্লেখ ই নেই। সুতরাং অশ্বের রেতধারণের প্রশ্ন ই আসে না।
বৈদিক শব্দার্থকোষে বাজিনের অর্থপ্রকরণ এরূপ
বাজিন্ = বিজ্ (ভয় এবং চলার অর্থে) + ণিনি ( তাচ্ছীল্য অর্থে) = বাজিন।
অন্নবান।
গতিমান।
বহু অন্ন ভক্ষণকারী অশ্ব।(আধুনিককালে অশ্ব অর্থে প্রযুক্ত।যেহেতু বেদ আধুনিক না, তাই বাজিন শব্দ অশ্ব অর্থে প্রযুক্ত হওয়া একপ্রকার অসম্ভব)
বাজ্ + ইন্ = বাজন্। বলবানিরুক্তে
ও ইন্দ্র শব্দটির উৎপত্তি বোঝাতে গিয়ে বলা হয়েছেঃ
Indra is (so called because) he divides food (irā+ dr), or he gives food (ira+da), or he bestows food (irā+alā), or he sends food (ira + däraya), or he holds food (iva + dhāruya)
সুতরাং নিরুক্ত থেকে ও এটা পাওয়া যাচ্ছে ইন্দ্র ই পরোক্ষে বাজিন। তাই যজুর্বেদের উক্ত মন্ত্রে অশ্বের কোনও উল্লেখ ই নেই। সুতরাং অশ্বের রেতধারণের প্রশ্ন ই আসে না।
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ