যজুর্বেদ ৪০/৮ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

04 August, 2020

যজুর্বেদ ৪০/৮

যজুর্বেদ অধ্যায় ৪০ মন্ত্র ৮
স পর্যগাচ্ছুক্রমকায়মব্রণমস্নাবিরꣳ শুদ্ধমাপাপবিদ্ধম্ ।
কবির্মনীষী পরিভূঃ স্বয়ম্ভূর্যাথাতথ্যতোহऽর্থান্ ব্যদধাচ্ছাশ্বতীভ্যঃ সমাভ্যঃ।।
स पर्य॑गाच्छु॒क्रम॑का॒यम॑व्र॒णम॑स्नावि॒रꣳ शु॒द्धमपा॑पविद्धम्।
 क॒विर्म॑नी॒षी प॑रि॒भूः स्व॑य॒म्भूर्या॑थातथ्य॒तोऽर्था॒न् व्य᳖दधाच्छाश्व॒तीभ्यः॒ समा॑भ्यः ॥

সঃ। পরি। আগাত্। শুক্রম্। অকায়ম্। অব্রণম্। অস্নাবিরম্। শুদ্ধম্। অপাপবিদ্ধমিত্যপাপsবিদ্ধম্। কবিঃ। মনীষী। পরিভূরিতিsভুঃ। স্বয়ম্ভূরিতি স্বয়মsভুঃ। যথাতথ্যত ইতি যাথাsতথ্যতঃ। অর্থান্। বি। অদধাত্। শাশ্বাতীভ্যঃ। সামাভ্যায়ঃ।।
पद पाठ
सः। परि॑। अ॒गा॒त्। शु॒क्रम्। अ॒का॒यम्। अ॒व्र॒णम्। अ॒स्ना॒वि॒रम्। शु॒द्धम्। अपा॑पविद्ध॒मित्यपा॑पऽविद्धम् ॥ क॒विः। म॒नी॒षी। प॒रि॒भूरिति॑ परि॒ऽभूः। स्व॒यम्भूरिति॑ स्वय॒म्ऽभूः। या॒था॒त॒थ्य॒त इति॑ याथाऽत॒थ्य॒तः। अर्था॑न्। वि। अ॒द॒धा॒त्। शा॒श्व॒तीभ्यः॑। समा॑भ्यः ॥
(সঃ) পরমাত্মা (পরি) সব দিক হইতে (অগাৎ) ব্যাপ্ত আছেন (শুক্রম্)সর্ব্ব শক্তিমান্ (অকায়ম্)শরীর রহিত (অব্রণম্) ছিদ্র রহিত(অস্নাবিরম্) স্নায়ু আদির বন্ধন রহিত (শদ্ধম্) দোষ রহিত (অপাপবিদ্ধম্)পাপরহিত (কবিঃ) সর্ব্বজ্ঞ (মনীষী) অন্তর্যামী (পরিভূঃ) দুষ্টের দমন কর্ত্তা (স্বয়ম্ভূঃ) জন্মরহিত (যাথাতথ্যতঃ) যথাযথভাবে (অর্থান্) সব পদার্থের (বি) বিশেষরূপে (অদধাৎ) বিধান করিযাছেন (শাশ্বতীভ্যঃ) বিনাশ রহিত (প্রজাভ্যঃ) প্রজাদের জন্য।

বঙ্গানুবাদঃ- পরমাত্মা সর্ব্বব্যাপক,অনাদি স্বরূপ ব্রহ্ম, সদা মুক্ত, ন্যায়কারী, সর্বশক্তিমান (অনন্ত শক্তি যুক্ত), শরীররহিত, রোগরহিত, জন্মরহিত(অজন্মা), শুদ্ধ(নির্মল), নিষ্পাপ, সর্বজ্ঞ, সবকিছুর সাক্ষী, অন্তর্যামী, নিয়ন্তা, দুষ্টের দমন কর্তা ও অনাদি। তিনি তাঁহার শাশ্বত প্রজা (জীবের) জন্য যথাযথ ফলের বিধান করেন। কল্পের আরম্ভে জীবকে ধর্ম্ম,অর্থ,কর্ম্ম এবং মোক্ষ লাভের জন্য বেদ রূপী জ্ঞান প্রদান করেন। 

पदार्थान्वयभाषाः -हे मनुष्यो ! जो ब्रह्म (शुक्रम्) शीघ्रकारी सर्वशक्तिमान् (अकायम्) स्थूल, सूक्ष्म और कारण शरीररहित (अव्रणम्) छिद्ररहित और नहीं छेद करने योग्य (अस्नाविरम्) नाड़ी आदि के साथ सम्बन्धरूप बन्धन से रहित (शुद्धम्) अविद्यादि दोषों से रहित होने से सदा पवित्र और (अपापविद्धम्) जो पापयुक्त, पापकारी और पाप में प्रीति करनेवाला कभी नहीं होता (परि, अगात्) सब ओर से व्याप्त जो (कविः) सर्वत्र (मनीषी) सब जीवों के मनों की वृत्तियों को जाननेवाला (परिभूः) दुष्ट पापियों का तिरस्कार करनेवाला और (स्वयम्भूः) अनादि स्वरूप जिसकी संयोग से उत्पत्ति, वियोग से विनाश, माता, पिता, गर्भवास, जन्म, वृद्धि और मरण नहीं होते, वह परमात्मा (शाश्वतीभ्यः) सनातन अनादिस्वरूप अपने-अपने स्वरूप से उत्पत्ति और विनाशरहित (समाभ्यः) प्रजाओं के लिये (याथातथ्यतः) यथार्थ भाव से (अर्थान्) वेद द्वारा सब पदार्थों को (व्यदधात्) विशेष कर बनाता है, (सः) वही परमेश्वर तुम लोगों को उपासना करने के योग्य है ॥
भावार्थभाषाः -हे मनुष्यो ! जो अनन्त शक्तियुक्त, अजन्मा, निरन्तर, सदा मुक्त, न्यायकारी, निर्मल, सर्वज्ञ, सबका साक्षी, नियन्ता, अनादिस्वरूप ब्रह्म कल्प के आरम्भ में जीवों को अपने कहे वेदों से शब्द, अर्थ और उनके सम्बन्ध को जनानेवाली विद्या का उपदेश न करे तो कोई विद्वान् न होवे और न धर्म, अर्थ, काम और मोक्ष के फलों के भोगने को समर्थ हो, इसलिये इसी ब्रह्म की सदैव उपासना करो ॥
[ he manushyo ! jo anant shaktiyukt, ajanma, nirantar, sada mukt, nyaayakaaree, nirmal, sarvagy, sabaka saakshee, niyanta, anaadisvaroop brahm kalp ke aarambh mein jeevon ko apane kahe vedon se shabd, arth aur unake sambandh ko janaanevaalee vidya ka upadesh na kare to koee vidvaan na hove aur na dharm, arth, kaam aur moksh ke phalon ke bhogane ko samarth ho, isaliye isee brahm kee sadaiv upaasana karo .]
ভাষার্থঃ হে মনুষ্য ! যে ব্রহ্ম ( শুক্রম্ ) শীঘ্রগামী , সর্বশক্তিমান ( অকায়ম্ ) স্হুল , সূক্ষ্ম আপ আর কারণ শরীর থেকে রহিত , ( অব্রণম্ ) ছিদ্র রহিত যাহার দুই টুকরো হয় না , ( অস্নাবিরম্ ) নাড়ী আদির বন্ধন রহিত , ( শুদ্ধম্ ) অবিদ্যা আদি দোষের হইতে রহিত হয়ে সদা পবিত্র , ( অপাপবিদ্ধম্ ) যে কখনও পাপ হইতে যুক্ত , পাপকারী আর পাপ দ্বারা প্রেমকারী হয় না , সে ( পরি+অগাত্ ) সর্বত্র ব্যাপক , যে ( কবিঃ ) সর্বজ্ঞ ( মনীষী ) সব জীবের মনোবৃতিতিকে জানে , ( পরিভূঃ ) দুষ্ট পাপীদের তিরস্কারকারী , ( স্বয়ম্ভূঃ ) অনাদিস্বরূপ , যাহার সংযোগ থেকে উৎপত্তি আর বিয়োগ হইতে বিনাশ হয় না ,যাহার মাতা -পিতা কেউ নেই আর যাহার গর্ভবাস জন্ম , বৃদ্ধি আর ক্ষয় হয় না , সে পরমত্মা ( শাশ্বতীভ্যঃ ) সনাতন ,অনাদি স্বরূপ নিজের স্বরূপের দৃষ্টি থেকে উৎপত্তি আর বিনাশ হইতে রহিত ( সমাভ্যঃ) প্রজার জন্য ( য়াথাতভ্যতঃ) যথার্থ হইতে ( অর্থান্ ) বেদের দ্বারা সব পদার্থর ( ব্যদধাত্ ) উত্তম প্রকারে উপদেশ করে । ( সঃ ) সে পরমত্মাই তোমাদের উপাসনা করার যোগ্য ।
ভাবার্থঃ হে মনুষ্য ! যদি অনন্ত শক্তিশালী , অজন্ম , অখণ্ড , সদাই মুক্ত ন্যায়কারী , পাপরহিত , সর্বজ্ঞ, সবার দৃষ্টা , নিয়ন্তা আর অনাদি স্বরূপ ব্রহ্ম সৃষ্টির আদিতে স্বয়ং প্রোক্ত বেদের শব্দ দ্বারা অর্থ আর সম্বন্ধকে বুঝানোকারী বিদ্যার উপদেশ না করে তো কোন বিদ্ধান হয় না , আর না ধর্ম , অর্থ কাম , মোক্ষ রূপ ফলকে প্রাপ্ত করে । এই জন্যই এই ব্রহ্মকে সদা উপাসনা করো ।।
ভাষ্যসার -পরমেশ্বর কোথায় -যে ব্রহ্ম শীঘ্রগামী ,সর্বশক্তিমান , স্হল , সূক্ষ্ম আর কারণ শরীর রহিত , ছিদ্র রহিত এবং অখণ্ড , নাড়ী আদির বন্ধন থেকে রহিত , অবিদ্যাদি দোষ হইতে রহিত হয়ে সদা পবিত্র অথবা যে কখনও পাপযুক্ত , পাপকারী আর পাপপ্রিয় হয় না , সে সর্বত্র ব্যাপক । সে সর্বজ্ঞ , সব জীবের মনেবৃত্তির জ্ঞাতা , দুষ্ট পাপী জনের তিরস্কারকারী , স্বয়ম্ভূ অর্থাৎ অনাদি তাহার সংযোগ দ্বারা উৎপত্তি আর বিয়োগ থেকে বিনাশ হয় না । সে জন্ম , বৃদ্ধি ক্ষয় হইতে রহিত হয় । অনন্ত শক্তিকারী , অজ , নিরন্তর , সদা মুক্ত ন্যায়কারী , নির্মল , সর্বজ্ঞ , সবার সাক্ষী , নিয়ন্তা অনাদি স্বরূপ ব্রহ্ম-সৃষ্টির আদিতে সনাতন , অনাদি স্বরূপ , নিজের স্বরূপ হইতে উৎপত্তি আর পাদার্থের উপদেশ করে । যদি ব্রহ্ম স্বয়ং প্রোক্ত বেদের দ্বারা শব্দ , অর্থ , সম্বন্ধর বিজ্ঞাপন বিদ্যার উপদেশ না করে তো কোন মনুষ্য বিদ্বান হতে পারে না আর না কোন ধর্ম ,অর্থ, কাম , মোক্ষ রূপ ফলকে প্রাপ্ত করে ।অতঃ সব মনুষ্য মন্ত্রোক্ত ব্রহ্মকেই উপাসনা করেন ।।
'স পর্যগাৎ' এই শ্রুতিবাক্য অনুসারে ঈশ্বরের অবতার প্রমাণ করা কোন প্রকারেই সম্ভব হয় না।
বেদে পাষাণাদি মূর্ত্তি পূজা এবং পরমেশ্বরের আবাহন বিসর্জ্জনের জন্য কোন অক্ষর বা মন্ত্র নাই। এ পর্য্যন্ত নাই যে পাষাণের মূর্ত্তি নির্ম্মাণ করিয়া মন্দিরে স্থাপন করে চন্দন ও অক্ষতাদি দ্বারা পূজা করিবে-ইহার লেশমাত্র নাই।
ঈশ্বরের স্থানে অন্য কোন পদার্থ কে পূজনীয় মানিবে না এবং সর্বদা নিষেধও করা হয়েছে।[যজুর্বেদ ৪০।৯, যজুর্বেদ ৩২।৩] কেনোপনিষদে পরিস্কার বলা হয়েছে যিনি প্রাণ সমূহ দ্বারা চালিত হয়েন না এবং যাঁহার নিমিত্ত প্রাণ গতিশীল হয় তুমি,তাহাকেই ব্রহ্ম বলে জান এবং উপাসনা কর; তদ্ভিন্ন উপাসনা করিও না ইত্যাদি অনেক নিষেধ আছে.. নিষেধ যখন আছে তখন মূর্ত্তি পূজোর কথা বলাও নেই- যেমন অপ্রাপ্তের নিষেধ।
"অপ্রাপ্তের নিষেধ"- যেমন হে পুত্র তুমি কখন চুরি করিও না, দুষ্টের সঙ্গ করিও না

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ